৩ জুন ২০১২তে বাস থামিয়ে যে দশ জন মুসলিমকে ছুরির আঘাতে হত্যা করা হয়েছিল তার মধ্যে আট জনই ছিলেন রেঙ্গুনের মুসলমান যারা রাখাইন প্রদেশে তবলিগি চিল্লা শেষে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলেন। [...]

আগামী ১৬ জুন নোবেল ফাউন্ডেশন এক বিলম্বিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৯৯১ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার তুলে দেবেন সু কি'র হাতে। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ও তার পূর্বাপর ইউরোপ সফরের উদ্দেশ্যে আজ রেঙ্গুন ছাড়বেন সু কি। বর্তমানে বার্মার রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিম-রাখাইন বৌদ্ধ যেদাঙ্গা হচ্ছে তা পেছনে ফেলে ইউরোপ সফর এবং সফর শেষে দেশে ফিরে আসাই এখন তার মূল লক্ষ্য, তাই দায়সারা মন্তব্যের চেয়ে বেশি কিছু বলছেন না তিনি। অথচ ৩ জুন ২০১২তে বাস থামিয়ে যে দশ জন মুসলিমকে ছুরির আঘাতে হত্যা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে আট জনই ছিলেন রেঙ্গুনের মুসলমান যারা রাখাইন প্রদেশে তবলিগি চিল্লা শেষে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলেন। রাখাইন বৌদ্ধরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ২৮ মে ২০১২তে রাখাইন এক মেয়েকে কয়েকজন রোহিঙ্গা মুসলিমের ধর্ষণ ও পরবর্তীতে খুনের রেশ ধরে। বার্মার রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা মুসলমানেরা ২০১০ সালে ভোটার লিস্টে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন এবং কথা ছিল সেনাবাহিনী সমর্থিত দলের প্রার্থীকে ভোট দিলে তাদেরকে বার্মার জাতীয়তাও দেয়া হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এবিষয়ে কোনো তৎপরতা থাইন সাইন সরকারের মধ্যে দেখা যায়নি। রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যে সন্ত্রাসবাদী আছে এটা ঠিক, কিন্তু সাধারণ রোহিঙ্গা মুসলমানরা তো সন্ত্রাসবাদী নয়। সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্নিত করে সাধারণ রোহিঙ্গা মুসলমানদের জাতীয়তা দেয়ার প্রশ্নে সু কি'র কোনো স্পষ্ট অবস্থান এখনো আমাদের চোখে পড়েনি। জাতিসংঘ ও হিউম্যান রাইট ওয়াচ বাংলাদেশকে বলছে বাংলাদেশের সীমান্ত রোহিঙ্গা সাধারণ শরণার্থী মুসলমানদের জন্য শিথিল করে দিতে। কিন্তু জাতিসংঘ ও হিউম্যান রাইট ওয়াচ নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্ত সু কি'কে কেন বলছে না, রাখাইন প্রদেশেই এই শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘ ক্যাম্প সৃষ্টিতে সহায়তা করতে? জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা যদি এরকম ক্যাম্প সৃষ্টি করতে পারে তাহলে সেই ক্যাম্পে যাবতীয় সাহায্য সহযোগিতা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত থাকবে। এবং বাংলাদেশে শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরও পর্যায়ক্রমে সেই ক্যাম্পে স্থানান্তরিত করতে নীতিগত সহায়তা চাইবে। আর যদি এর জন্য জাতিসংঘের শান্তি মিশন প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রেও বাংলাদেশ সাড়া দেবে। আর এই সবকিছু সম্ভব সু কি যদি এবিষয়ে নিজেকে জড়াতে চান। কিন্তু সু কি'র যা অবস্থা তাতে তো শুধু এটাই মনে হচ্ছে তিনি নোবেলে ও সংসদে আটকা পড়ে গেছেন।

উত্তরপশ্চিমে বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে ভারতীয় মাওবাদীরা পৌঁছে গেছে। তারা এখন মুর্শিদাবাদ নদীয়া ও মালদায় ঘাঁটি গড়েছে।[...]

উত্তরপশ্চিমে বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে ভারতীয় মাওবাদীরা পৌঁছে গেছে। তারা এখন মুর্শিদাবাদ নদীয়া ও মালদায় ঘাঁটি গড়েছে। এটা মাওবাদীদের কৌশলগত সম্প্রসারণ। সম্প্রতি মাওবাদীদের অপারেশনগুলো ভারত সরকার ও মিডিয়াকে ভাবাচ্ছে। এতদিন বলা হত তাদের অস্ত্রের উৎস ভারতের অস্ত্র বাজারেই সীমাবদ্ধ। এখন কিন্তু সরকার ও মিডিয়া উভয়েরই আঙ্গুল উঠেছে বাংলাদেশের অস্ত্রের কারবারিদের দিকে। ভারতীয় মিডিয়া এখন বলছে বাংলাদেশের উত্তরপশ্চিম সীমান্তে মাওবাদীরা এসে কিছু অস্ত্র এর মধ্যে কিনে নিয়ে গেছে এবং আরো অস্ত্রের বায়নানামা সম্পাদনের প্রয়োজনীয় বোঝাপড়া সেরে গেছেন এবং এখানকার অস্ত্রের কারবারিদের সাথে তাদের একটি গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আর এই অঞ্চলের চরমপন্থিদের সাথেও মাওবাদীদের দুয়েকটি বৈঠকের কথাও মিডিয়া বলছে এবং কিছু সংবাদমাধ্যম এতটুকু পর্যন্ত বলছে যে ভারতীয় মাওবাদীরা বাংলাদেশে মাওবাদের সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখতে চায়। ভারত সরকার শুধু বলেছে, মুর্শিদাবাদ নদীয়া ও মালদা তিন জেলায় যে বিস্তীর্ণ এলাকা আছে সীমান্তে, সেই সীমান্ত পথকেই অস্ত্রের চালানের কাজে ব্যবহার করতে চায় মাওবাদীরা। মাওবাদীদের কয়েকজন নেতা নাম বদল করে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো ঘুরে গেছেন।আমরা তো বাংলাদেশে আমাদের অস্ত্র কারবারিদের সম্বন্ধে কিছুই জানি না। কিন্তু সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অস্ত্র কারবারিদের নাম আছে। আগে বাংলাদেশের ইসলামি জঙ্গি, উলফা এবং ভারতের ইসলামি জঙ্গিদের সাথে এখানকার অস্ত্র ব্যবসায়ীদের ভয়ঙ্কর সম্পর্কের কথা আমরা অনেক শুনেছি। কিন্তু ঠিক কারা কারা এই অস্ত্র ব্যবসায়ের গডফাদার, তাদের সংখ্যাই বা কত, তার কোনো ধারণা আমরা আজো আমাদের সরকার বা মিডিয়ার কাছ থেকে পাইনি। এই ধরনের নাশকতার শক্তিধর চক্রের সমীক্ষা জানতে সরকার ও মিডিয়া ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের সব সরকার ও সব মিডিয়া এই বিষয়টিতে সবসময়ে অত্যন্ত রক্ষণশীল ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু সময় হয়ে গেছে, এখনই সরকার ও মিডিয়াকে রক্ষণশীল ভূমিকা পরিত্যাগ করতে হবে না হয় বাংলাদেশের অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সব গোপন আঁতাতগুলো ভয়ঙ্কর সব পদক্ষেপের দিকে এগিয়ে যাবে। যেদিকটি সরকার ও মিডিয়ার সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখা উচিত, তা হল, সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা যেন মাওবাদী ও বাংলাদেশের অস্ত্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনোভাবেই গোপন আঁতাতটি শক্তিশালী না হয়ে ওঠে। কারণ এই আঁতাত যদি একবার দৃঢ় হয় তবে বাংলাদেশে মাওবাদী উগ্রপন্থা বিস্তারের হাজারটা সম্ভাবনাহীনতার কারণ থাকলেও এই উগ্রপন্থার সম্প্রসারণ ঘটবেই – এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। কারণ…

বিডিআর-এর বর্তমান মহাপরিচালক বিডিআর-এর নাম ও পোষাক পরিবর্তনের পরিকল্পনার কথা মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন। এখনো এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রধান মন্ত্রীর দপ্তর, স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির কাছ থেকে কোনো মতামত এখনো জানা যায়নি। মহাপরিচালকের যুক্তি পিলখানার ঘটনায় বিডিআর ও এর পোষাকের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। কিন্তু যে ঘটনাটিকে আমরা অনেক আগেই জঙ্গিহানা বলেছি তার সাথে কেনো বিডিআর-এর ভাবমূর্তি গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে ? হ্যাঁ দৃশ্যমাধ্যমগুলোতে ঘটনার সময়ের বিডিআর-এর ছবি ও দৃশ্য মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে, জঙ্গিরা ও বহিরাগতরা এবং বিডিআর-এর আভ্যন্তরীন জঙ্গি অংশ বিডিআর-এর পোষাক পরেই অ্যাকশনে ছিল, সেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দূর করতে বিডিআর-এর পোষাক পরিবর্তনই যথেষ্ট। বিডিআর শুধু পিলখানা হত্যাযজ্ঞেরই প্রতিনিধিত্ব করে না। বিডিআর মুক্তিযুদ্ধের অপরিসীম সাহস ও আত্নত্যাগেরও প্রতীক। সত্যিকার অর্থে তারা মুক্তিযুদ্ধের আনসাংগ হিরো। সামরিক বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর কথা যত বলা হয়েছে আমাদের প্যারামিলিটারি ও পুলিসের কথা কিন্তু সেভাবে কখনো বলা হয়নি। বিডিআর আমাদের সীমান্ত রক্ষায়ও যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এসেছে স্বাধীনতার পর থেকেই। বিডিআর-কে বিপথে চালিত করার জন্য কাউকে যদি সবচেয়ে বেশি দায়ী করতে হয় তাহলে ২০০১-২০০৬ এর জঙ্গি সরকারকেই দায়ী করতে হয়। ওই সরকারের দায়িত্বহীন নিয়োগ বিডিআর-এর মধ্যে আত্মঘাতী শক্তির অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিল। সেই অনুপ্রবেশ বাংলাদেশের সশস্ত্র সব বাহিনীতেই হয়েছে। পিলখানার মতো ঘটনা বাংলাদেশের যে কোনো বাহিনীতেই ঘটতে পারে, তাই বলে কি আমরা সে রকম কিছু ঘটলেই অনবরত সব সশস্ত্র বাহিনীর নাম পরিবর্তন করতে থাকব ? বিডিআর-এর নাম পরিবর্তন মোটেই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। বড় জোর পোষাকের পরিবর্তন ঘটিয়ে ভাবমূর্তি পরিবর্তনের চেষ্টা অনেক বেশি প্রতীকী ও কার্যকর হবে বলেই মনে হচ্ছে। তবে সবচেয়ে পরিবর্তন আনতে হবে সাধারণ জওয়ানদের যথার্থ দাবী-দাওয়াগুলো মিটিয়ে সরকার যে বিডিআর বান্ধব তার সংকেত বিডিআর-এর প্রত্যেকটি সদস্যের কাছে পৌঁছানো। সেনাবহিনীর কর্তৃত্ব এখনই খর্ব করা যাবে না কিন্তু দিনে দিনে খর্ব করা হবে এবং সে লক্ষ্যে এখনই কাজ শুরু করা হবে সেই প্রতিশ্রুতি বিডিআর-কে দেয়া।

মুক্তাঙ্গন ব্লগে পিলখানা ট্র্যাজেডি ও গণহত্যার প্রথম দিনেই আমরা পেয়েছি রায়হান রশিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ লেখা,- যা ঘটনার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও আশঙ্কা তুলে ধরেছিল। ঘটনা-পরম্পরায় লেখাটি আরও পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত হয়েছে এবং তাঁর প্রশ্ন ও আশঙ্কাগুলি আরও ইঙ্গিতময় হয়ে উঠেছে। অনেকেই এতে মন্তব্য করেছেন ও করবেন। বলা ভালো, এ লেখাটিও সেরকম মন্তব্যের পর্যায়ভুক্ত, রায়হান রশিদের চিন্তাঝড়েরই প্রতিক্রিয়া ও অনুষঙ্গ। অবশ্য রায়হান রশিদের প্রথম প্রতিবেদনেই আমি একটি প্রতিক্রিয়া যুক্ত করেছিলাম। তখনও আমরা বেশ অন্ধকারে ছিলাম, তাই সে-প্রতিক্রিয়ার সূত্র ছিল এক অর্থে মিডিয়াপ্রভাবিত। সেখানে আমার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘এই ঘটনা সামরিক বাহিনী ও বিডিআর-এর মধ্যে যে নীরব দ্বন্দ্ব ছিল তাকে আরও সুস্পষ্ট করলো’। কিন্তু ঘটনাটি ষড়যন্ত্রের পর্যায়ভুক্ত হওয়ার কারণে এখন এ নীরব দ্বন্দ্বগুলিকে হয়তো অনেকেই আমলে নেবেন না। কেউ কেউ ব্লগে বিষয়টিকে ‘শ্রেণীসংগ্রাম’ বলে উল্লেখ করায় আমি বিস্ময়বোধক চিহ্ন ব্যবহার করেছিলাম তখন, রায়হান রশিদ, নীড়সন্ধানী এবং আরও দু'একজন এ ব্যাপারে মন্তব্য করেছিলেন আরও স্পষ্টভাবে (একজন আমাকে জানালেন, যে বা যারা বিষয়টিকে শ্রেণীসংগ্রাম বলে উল্লেখ করেছিলেন, তাদের কাউকে না কি এখন আবার সামরিক বাহিনীর জনসংযোগ অধিদপ্তরের ভাষ্য লিখতে দেখা যাচ্ছে!)। প্রতিক্রিয়াটিতে আমি আরও লিখেছিলাম, ‘...অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করাও মূল কারণ হতে পারে -- যাতে সাধারণ বিডিআর সদস্যদের অসন্তোষকে পুঁজি করা হয়েছে’। এখন বিষয়টি আমাদের কাছে সুস্পষ্ট, এর লক্ষ্য ছিল অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা। তাই যে-দাবিগুলিকে প্রচারণায় নিয়ে এসে এই অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার চেষ্টা চালানো হয়েছিল, সেই দাবিগুলি সম্পর্কে আমাদের স্বচ্ছ হওয়া দরকার। এখন যেমনটি দেখা যাচ্ছে, -- অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্য থেকে দাবিগুলি তোলা হয়েছিল বলে এসব দাবিগুলিকে অনেকে অচ্ছুৎ ভাবতে শুরু করেছেন এবং তা ধামাচাপা পড়তে শুরু করেছে -- দাবিগুলির এরকম পরিণতি আমি আশা করি না। দাবিগুলির ন্যায্যতা ও অন্যায্যতা আমাদের অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার। প্রসঙ্গত বলি, এইসব দাবিদাওয়া সম্পর্কে আমারও পরিষ্কার ধারণা নেই। ছাড়া-ছাড়াভাবে এবং মিডিয়ার কল্যাণে যে-সব দফা কানে এসেছে সেগুলি হলো, বিডিআর-এ সামরিক কর্মকর্তাদের প্রেষণে নিয়োগ বন্ধ, শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বিডিআর সদস্যদের পাঠানোর ব্যবস্থা করা এবং অপারেশন ডালভাত কর্মসূচিতে দুর্নীতিপ্রসঙ্গ। এর মধ্যে, গতকাল সংঘটিত হয়েছে পাকিস্তানে আর এক জঘন্য ঘটনা। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট টিমের খেলোয়ারদের ওপর চলেছে আক্রমণ। নিহত হয়েছেন ছয়জন…

পরীক্ষামূলক পোস্ট১

স্বাগতম।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.