আমি সাতে পাঁচে থাকার মানুষ নই, আমার দৃষ্টি সবসময় আমার মতো করে বাঁধানো -- সাতে পাঁচের প্যাঁচে বাঁধা [...]

ছোটবেলা থেকে আমার প্রধান কাজ উদ্দেশ্যমূলক মাখামাখি, ওই যে কোনো খেলাই খেলতে পারতাম না সেখানেও আমার মাখামাখি থেকে প্রভাবশালী কারোরই রেহাই ছিল না – খেলার মাঠের ছেলেগুলো কেমন যেন আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করত, পরে জেনেছিলাম আমি মাঠে গেলেই নাকি ওরা বলত, মাখন এসেছে। আর আমি আরেকটি কাজ করতাম, একাজটা আমি বিভিন্ন পরিস্থতিতে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করতে পারতাম, এবং সত্যিকার অর্থে বলতে কি – আমার চেয়ে একাজ বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত আর কাউকে আমার চেয়ে ভালভাবে করতে দেখিনি – আমি ভুল লোক দিয়ে ঠিক কাজটি করাতে ঈর্ষণীয়ভাবে দক্ষ। আমি সাতে পাঁচে থাকার মানুষ নই, আমার দৃষ্টি সবসময় আমার মতো করে বাঁধানো -- সাতে পাঁচের প্যাঁচে বাঁধা – এবং এজন্যই আমার সাথে তাল রাখতে আমার গুণগ্রাহী তালবিদরাও সদাসতর্ক থাকেন, আমিও এমনই দৃষ্টিবিদ এমনই সতর্কতা জারি রাখি নিজের উপরও – কাউকে কখনো পরীক্ষামূলক প্যাঁচে ফেলার লোভে পড়ি না, সাতে পাঁচের প্যাঁচে কেউ পড়লে একবারই পড়ে – আর সেখান থেকে বের হতে পারে না। গোপনে এত কথা লেখাটা ঠিক হচ্ছে না, অবশ্য লেখার কারণও আছে, কিন্তু সেকারণটা কোথাও উন্মুক্ত করা যাবে না – কারণ জীবনে এই প্রথম মালেকা আমাকে না জানিয়ে কয়েকটি আমার জন্য প্রাণঘাতী পদক্ষেপ দিয়েছে – যার অভিঘাত আমার মতো গভীর জলের আত্মস্বীকৃত রাজাকারের আসনটাই তছনছ করে দেয় কিনা এই ভয় আমাকে স্নায়বিক তাড়নায় চুরমার করে দিতে চাইছে। চর্মকার মালাকার স্বর্ণকার তো বোঝেন, কাজেই রাজাকারও নিশ্চয়ই বোঝেন – গর্বের সাথে দুদশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে এই রাজা বানানোর কাজ করছি বলে দুনিয়াজোড়া ফুলানো ফাঁফানো আমার যে হাঁকডাক তা কি এবার ধুলিসাৎ হয়ে যাবে? আরো গোপন ডায়েরি : হন্যতে : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গোপন ডায়েরি আসব আগের দিন আজ যাই : মনমোহন সিংয়ের গোপন ডায়েরি পুতুল প্রতিভা : মওদুদ আহমেদের গোপন ডায়েরি চাণক্য নই : প্রণব মুখার্জির গোপন ডায়েরি কই মাছের প্রাণ : এরশাদের গোপন ডায়েরি এক বিয়োগ এক : খালেদা জিয়ার গোপন ডায়েরি আমার জলবায়ু : শেখ হাসিনার গোপন ডায়েরি টিপাইমুখ বাঁধ : দীপু মনির গোপন ডায়েরি

১৪ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের সোয়াস-এ (SOAS) "ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালস বাংলাদেশ: জাস্টিস ইন পারস্পেকটিভ" শীর্ষক একটি আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘটিত নৃশংসতা ও অপরাধের বিচারের দাবিতে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত প্ল্যাটফর্ম ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মূলত মানবতাবিরোধী অপরাধ, শান্তিবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের চলমান বিচার প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। দু'টি পর্বে অনুষ্ঠানটি বিভক্ত ছিলো। প্রথম পর্বে ছিলো বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরিচিতি, এর ইতিহাস ও বর্তমান নিয়ে উপস্থাপনা এবং দ্বিতীয় পর্বে ছিলো দর্শক-শ্রোতাদের প্রশ্নোত্তর, যেখানে চলমান বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে নানা প্রশ্নের সদুত্তর দিয়ে সংশয় দূর করার চেষ্টা করা হয়েছে। [...]

১৪ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের সোয়াস-এ (SOAS) "ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালস বাংলাদেশ: জাস্টিস ইন পারস্পেকটিভ" শীর্ষক একটি আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘটিত নৃশংসতা ও অপরাধের বিচারের দাবিতে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত প্ল্যাটফর্ম ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মূলত মানবতাবিরোধী অপরাধ, শান্তিবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের চলমান বিচার প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। দু'টি পর্বে অনুষ্ঠানটি বিভক্ত ছিলো। প্রথম পর্বে ছিলো বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরিচিতি, এর ইতিহাস ও বর্তমান নিয়ে উপস্থাপনা এবং দ্বিতীয় পর্বে ছিলো দর্শক-শ্রোতাদের প্রশ্নোত্তর, যেখানে চলমান বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে নানা প্রশ্নের সদুত্তর দিয়ে সংশয় দূর করার চেষ্টা করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে তিনজন বিচারক নিয়ে ২০১০ সালে 'আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩' এর সংশোধিত সংস্করণের অধীনে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয় এবং পরবর্তীকালে বিচার প্রক্রিয়াকে বেগবান করার জন্যে দ্বিতীয় আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানটি লন্ডন সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হয়। স্থানীয় মিডিয়ার পাশাপশি বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আগ্রহীদের বিপুল সমাগম ঘটে এ অনুষ্ঠানে। রানা ইয়াসমিনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই আয়োজকরা অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। এরপর একটি প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে সংঘটিত বর্বরতা ও অপরাধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হয়। ড. নওরীন তামান্না "১৯৭১: অপরাধী, আক্রান্ত, উদ্দেশ্য ও অপরাধ" শীর্ষক এক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় চলমান বিচার প্রক্রিয়ার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন। নোরা শরিফ "বিচারের জন্য চার দশকের আন্দোলন" শিরোনামে এক বক্তৃতায় ১৯৭১ সালে সংঘটিত অপরাধের বিচারের জন্য আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরেন। আইনজীবী সৈকত আচার্যি বিচার প্রক্রিয়ার কাঠামো ও প্রকৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা ও কার্যপরিধি, বিচারে প্রযুক্ত আইন ও জুরিসপ্রুডেন্স বর্ণনা করেন। আরিফুর রহমান বিচার প্রক্রিয়ায় জড়িত বিভিন্ন পক্ষের ভূমিকা, রাজনীতির ওপর বিচারের প্রভাব এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থ নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে দর্শক-শ্রোতাবৃন্দের সঙ্গে রায়হান রশিদ এবং নোরা শরিফ এর স্বতস্ফূর্ত আলোচনায় অনেক তথ্য ও আলোচনার অবতারণা হয়, যার মাধ্যমে চলমান বিচার প্রক্রিয়ার নানা দিক স্পষ্টতর হয়। আইসিএসএফ এর পক্ষ থেকে একটা অফিশিয়াল স্টেটমেন্ট পড়ে শোনানো হয়, পূর্ণ তদন্ত দাবী করা হয় বাংলাদেশ সরকারের কাছে, সে তদন্তে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের…

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে আল-জাজিরায় গোলাম আযমের গ্রেফতার এবং বিচার নিয়ে প্রচারিত এক বিতর্কিত সংবাদ প্রতিবেদনকে ঘিরে দেশী বিদেশী সংবাদ মাধ্যমগুলোতে এবং মূলত সাংবাদিকদের মধ্যে পরবর্তী সময়ে নতুন কিছু বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের নাগরিক সমাজের দুটি অংশের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদন সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিপরীত প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। বহুল-আলোচিত এই প্রতিবেদনটির বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক অপরাধগুলোর বিচারের বিষয়ে আল-জাজিরা ঘরানার সাংবাদিকতাকে আরেকটু ভালভাবে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে এই লেখায়। [...]

[এই লেখাটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়েছে 'সাপ্তাহিক ২০০০' পত্রিকার স্বাধীনতা দিবস (২০১২) সংখ্যায়] আজ থেকে দু'বছর আগে ২০১০ সালের স্বাধীনতা দিবসকে সাক্ষী রেখে শুরু হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে ১৯৭১-এ সংঘটিত অপরাধ সমূহের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার যাত্রা। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়েছে, বিচারকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে, প্রসিকিউশন টিম গঠন করা হয়েছে, তদন্ত সংস্থা গঠন করা হয়েছে। গত দু'বছরের মধ্যে গোলাম আযমসহ আট জন আসামীর প্রত্যেকের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট এবং আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রও জমা দেয়া হয়ে গেছে; আসামী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত চার্জ গঠন করে মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণও শুরু হয়ে গেছে। এই বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতির সাথে সাথে একদিকে যেমন অবসান ঘটছে ১৯৭১-এ সংঘটিত অপরাধগুলোকে ঘিরে প্রায় দীর্ঘ চার দশক বিস্তৃত বিচারহীনতার এক অন্ধকার অধ্যায়ের, তেমনি বিচার প্রক্রিয়াকে প্রতি পদে বাধাগ্রস্ত করার, বিতর্কিত করার, প্রশ্নবিদ্ধ করার তৎপরতাগুলোও চলছে সমান জোরের সাথে। বিতর্কের এই নতুন ফ্রন্টগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে মিডিয়া, উইকিপিডিয়ার মতো উম্মুক্ত বিশ্বকোষ, এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং ফোরামগুলোকেও। লক্ষণীয় হল, এই সব প্রচারণার ক্ষেত্রে কি দেশী কি বিদেশী মিডিয়া, কেউই কিন্তু কারও থেকে পিছিয়ে নেই। যেমন, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দায়ের হয় ১২ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে। অথচ, তার দু’দিনের মাথায়, ১৪ ডিসেম্বর, দেশের সমস্ত টিভি মিডিয়ার উপস্থিতিতে গোলাম আযম সংবাদ সম্মেলন করেন এবং তা দেশের প্রধান টিভি চ্যানেলগুলোতে ফলাও করে সময় দিয়ে প্রচারও করা হয়। আসামী গোলাম আযমের মতো একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বক্তব্যের ব্যাপারে মিডিয়ার আগ্রহ থাকতেই পারে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত একজন আসামী এভাবে মিডিয়ার সামনে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন কি না, কিংবা সংবাদমাধ্যমগুলোরও সে বিষয়ে কোন দায় দায়িত্ব আছে কি না -- সেই সব বিষয়ও ভেবে দেখার অবকাশ রয়েছে। এবার আসুন চোখ ফেরাই বিদেশী সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার দিকে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্বখ্যাত এই টিভি চ্যানেলে গোলাম আযমের গ্রেফতার এবং বিচার নিয়ে প্রচারিত হয় বিতর্কিত এক সংবাদ প্রতিবেদন। ২ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড দীর্ঘ এই প্রতিবেদনকে ঘিরে আবার দেশী বিদেশী সংবাদ মাধ্যমগুলোতে এবং মূলত সাংবাদিকদের মধ্যে পরবর্তী সময়ে নতুন কিছু বিতর্কেরও সৃষ্টি হতে আমরা দেখেছি। আমাদের নাগরিক সমাজের একাংশ মিডিয়াতে আল-জাজিরার প্রতিবেদনটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত,…

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে বিচারক প্যানেল ও তদন্ত কর্মকর্তাদের নাম ঘোষণা করেছে সরকার। আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বৃহস্পতিবার একইসঙ্গে প্রকাশ করেছেন আদালতের আইনজীবীদের নামও [..]

স্বাধীনতা দিবস এর প্রাক্কালে, অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত যুদ্ধাপরাধের বিচার ট্রাইবুনাল এবং এর সাথে সংশ্লিষ্টদের নাম ঘোষিত হল। ৩৯ বছর পর, ২৫ মার্চ ১৯৭১ এর সেই 'কাল রাত' এর দিনটিতেই ন্যায়বিচার অন্বেষণ এবং এর প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে নতুন করে এই জাতির যাত্রা শুরু হল। বিডিনিউজ এর খবরে প্রকাশ: একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে বিচারক প্যানেল ও তদন্ত কর্মকর্তাদের নাম ঘোষণা করেছে সরকার। আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বৃহস্পতিবার একইসঙ্গে প্রকাশ করেছেন আদালতের আইনজীবীদের নামও। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে যুদ্ধাপরাধ বিচারে তিন সদস্যের বিচারক প্যানেল, সাত সদস্যের তদন্তকারী প্যানেল ও ১২ সদস্যের আইনজীবী প্যানেলের সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হয়। বিচারক হিসেবে থাকছেন: বিচারপতি নিজামুল হক, বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ একেএম জহির আহমেদ। তদন্তকারী সাত কর্মকর্তা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মতিন, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আবদুর রহিম, সাবেক ডিআইজি কুতুবুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর এএসএম শামসুল আরেফিন, সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মীর শহীদুল ইসলাম, সিআইডি ইন্সপেক্টর নূরুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক। আইনজীবী প্যানেলে রয়েছেন- গোলাম আরিফ টিপু, সৈয়দ রেজাউর রহমান, গোলাম হাসনাইন, জহির আহমেদ, রানা দাশগুপ্ত, জেয়াদ আল মালুম, সৈয়দ হায়দার আলী, খোন্দকার আবদুল মান্নান, মোশাররফ হোসেন কাজল, নুরুল ইসলাম সুজন, সানজিদা খানম ও সুলতান মাহমুদ শিমন।

গার্মেন্টস-মালিকদের বিরুদ্ধে আবারও ষড়যন্ত্র হচ্ছে! গত শনিবার টঙ্গী শিল্প এলাকায় ২ জন (মতান্তরে ৪ জন) শ্রমিকের নিহত হওয়ার ঘটনা সেই ষড়যন্ত্রেরই বহিঃপ্রকাশ! বিজিএমইএ-র কর্তারা বলেছেন নাশকতা, যার অর্থ করলে দাঁড়ায় শ্রমিকেরাই এই নাশকতার জন্ম দিয়েছে [...]

তিন রাউণ্ড গুলি খেলে তেইশজন মরে যায় লোকে এত বজ্জাত হয়েছে! স্কুলের যে ছেলেগুলি চৌকাঠেই ধ্বসে গেল অবশ্যই তারা ছিল সমাজবিরোধী। ওদিকে তাকিয়ে দেখো ধোয়া তুলসীপাতা উলটেও পারে না খেতে ভাজা মাছটি আহা অসহায় আত্মরক্ষা ছাড়া আর কিছুই জানে না বুলেটেরা দার্শনিক চোখ শুধু আকাশের তারা বটে দেখে মাঝে মাঝে। পুলিশ কখনো কোনো অন্যায় করে না তারা যতক্ষণ আমার পুলিশ। শঙ্খ ঘোষ, 'ন্যায়-অন্যায় জানিনে' গার্মেন্টস-মালিকদের বিরুদ্ধে আবারও ষড়যন্ত্র হচ্ছে! গত শনিবার টঙ্গী শিল্প এলাকায় ২ জন (মতান্তরে ৪ জন) শ্রমিকের নিহত হওয়ার ঘটনা সেই ষড়যন্ত্রেরই বহিঃপ্রকাশ! বিজিএমইএ-র কর্তারা বলেছেন নাশকতা, যার অর্থ করলে দাঁড়ায় শ্রমিকেরাই এই নাশকতার জন্ম দিয়েছে। তারা ভয়াবহ পরিকল্পনা আর ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পেয়েছেন। কোনো-কোনো পত্রিকার মতে দুই মাস, শ্রমিকদের দাবি ছয় মাস বেতন পাননি তারা। গত শুক্রবারও গার্মেন্টসটিতে রাত অবধি তারা কাজ করেছেন। শ্রমিকদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, ১০ নভেম্বরের মধ্যে সব বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। তাই বেতন না পেয়েও তারা রাস্তায় নামেননি। বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেননি। কিন্তু গত শনিবার কারখানার গেটে এসে শ্রমিকেরা যখন জানতে পারলেন গার্মেন্টস বন্ধ, তখন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন তারা। মালিকেরা আগেই পুলিশকে জানিয়ে রেখেছিল। কেবল শ্রমিকেরা জানতেন না কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা বেশ দায়িত্বের সাথেই গার্মেন্টসটি পাহারা দিয়েছে। শ্রমিকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে -- এ-কথা তো জানাই ছিল। কিন্তু তা-ই বলে গুলি খেয়ে মরবে! বিজিএমইএ-র নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে নাশকতার অভিযোগ তুলেছেন। তারা বলেছেন, আইন মেনেই কারখানা লে-অফ করা হয়েছে। তাদের আইন অনুযায়ী লে-অফের আগে শ্রমিকদের জানানোর প্রয়োজন পড়ে না। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, এদেশের আইন গার্মেন্টস-মালিকদের যা খুশি তা-ই করার অধিকার দিয়েছে। আর সেটা যাতে তারা নির্বিঘ্নে করতে পারেন, সেজন্য রাষ্ট্রের পুলিশ, বিচার বিভাগ, সান্ত্রী-সেপাই, আমলা-কামলা সব, সবাই তাদের সেবায় নিয়োজিত। তাই হুট করে এভাবে শ্রমিকদের মরে যাওয়ার ঘটনায় সকল পক্ষই যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পাবে, তা আর বিচিত্র কী! দৈনিক পত্রিকাগুলোতে চোখ বোলালে মনে হয়, এসব ঘটনায় শ্রমিকেরা কোনো এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙে, কারখানায় আগুন দেয়। যে-কোনো শ্রমিক-সংঘর্ষের সংবাদ পাঠ করলে শ্রমিকদের একটা নৈরাজ্যকর চেহারা পাঠকের মনে স্পষ্ট হয়। গত শনিবারের ঘটনাও…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.