১. ১৯৭১
২. গণতন্ত্র এবং দায়বদ্ধতা
আমরা সকল স্তরে গণতন্ত্র ও দায়বদ্ধতার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি। সে লক্ষ্যে আমরা মুক্তাঙ্গনকে মত প্রকাশের একটি স্বাধীন, নির্ভয় ও উম্মুক্ত ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
৩. ধর্মনিরপেক্ষতা এবং জাতীয়তাবাদ
একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা চাই এমন এক দেশ যেখানে আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও কৃষ্টি হয়ে উঠবে গর্ব, আত্মপরিচয় এবং আত্মমর্যাদাবোধের অনুষঙ্গ। এমন এক দেশ চাই যেখানে সকল সংস্কৃতি, সকল ধর্ম, সকল বিশ্বাস (এবং বিশ্বাসহীনতা) সমান সুরক্ষায় আলোচিত হতে পারে।
৪. সততা এবং প্রামাণ্যতা
সৎ বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার অংশ হিসেবে এখানকার সমস্ত লেখা এবং মতবিনিময়ের ক্ষেত্রে আমরা গবেষণা, তথ্য, উপাত্ত, এবং যুক্তি নির্ভরতাকে প্রাধান্য দিতে বদ্ধপরিকর।
৫. স্পষ্টতা এবং বোধগম্যতা
চিন্তা ও মতের প্রকাশ ও আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে বক্তব্যের স্পষ্টতা, সংক্ষিপ্ততা, এবং সহজবোধ্যতা অত্যন্ত জরুরী বলে আমরা মনে করি। মুক্তাঙ্গন এই চর্চাকে উৎসাহিত করে।
৬. জ্ঞান ও জিজ্ঞাসা
আমরা চাই কৌতূহল জাগানিয়া এবং অর্থবহ আলোচনার এমন এক ক্ষেত্র হয়ে উঠুক মুক্তাঙ্গন যা এই সময় ও বিশ্বকে বোঝার ক্ষেত্রে আমাদের পাঠকদের আরও সমৃদ্ধ করবে।
৭. যোগাযোগ ও মিথষ্ক্রিয়া
লেখক ও পাঠকের মধ্যে সক্রিয় এবং অর্থবহ মত বিনিময় ও সহযোগী চিন্তা-বিনির্মাণ নীতিতে আমরা বিশ্বাস করি।
৮. অন্তর্ভুক্তি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা
মুক্তাঙ্গনে ভিন্ন মতামত স্বাগত। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক আলোচনার এমন একটি ক্ষেত্র আমরা তৈরীতে সচেষ্ট যেখানে প্রত্যেকে তার নিজের মতটুকু প্রকাশ করতে পারে।
৯. নৈতিকতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা
মুক্তাঙ্গনে যে কোনো তথ্যের উপস্থাপন ও প্রচারের ক্ষেত্রে আমরা উন্নত নৈতিক মানদন্ড প্রত্যাশা করি। কারণ, আমরা চাই মুক্তাঙ্গন বিশ্বাসযোগ্য তথ্য ও উপাত্তের নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে গড়ে উঠুক।
১০. টেকসইতা ও প্রভাব
আমরা এমন বিষয়বস্তু প্রচারে প্রত্যয়ী যা টেকসই উন্নয়নের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।