[আইসিএসএফ] – ‘প্রজন্ম সংলাপ’ ২য় পর্ব বিষয়ঃ “সাঈদীর চূড়ান্ত রায়: প্রতিক্রিয়া, পর্যালোচনা এবং করণীয়” প্রজন্ম সংলাপের এই পর্বে আলোকপাত করা হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় – দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিচারের চূড়ান্ত রায় -এর উপর৷ ১৯৭১-এর আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন এমন দু’জন একটিভিস্ট এবং গবেষক এই পর্বের আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিচারের চূড়ান্ত রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচকদ্বয় তাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন; পর্যালোচনা এবং বিশ্লেষণ করেছেন বিচারের সামগ্রিক প্রক্রিয়া, জটিলতা, সাফল্য এবং ব্যার্থতাকে নিয়ে, এবং একই সাথে বলেছেন ভবিষ্যত করণীয় সম্পর্কে। প্রথম খন্ড দ্বিতীয় খন্ড তৃতীয় খন্ড আলোচনায় অংশ নিয়েছেন: – আসিফ মুনীর, শহীদ সন্তান, উন্নয়ন এবং সংস্কৃতি কর্মী – এম সানজীব হোসেন, পিএইচডি গবেষক, ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্য। সঞ্চালক: – ড. বিদিত লাল দে, প্রভাষক, ব্রুনেল, বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্য। গবেষণা: – মাহবুব আজাদ – আরমান রশিদ – বিদিত লাল দে ভিডিও সম্পাদনা – স্যাম এবং শান্ত গ্রাফিক্স – স্যাম আবহ সঙ্গীত – ‘Dark Justice’ (by Grégoire Lourme) প্রচার সহযোগিতায় – মোঃ গোলাম মোস্তফা – রুম্মান মাহমুদ সার্বিক সহযোগিতায়: সচলায়তন নাগরিক ব্লগ আমার ব্লগ মুক্তাঙ্গন আমরা বন্ধু ই-বাংলাদেশ ক্যাডেট কলেজ ব্লগ জেনোসাইড আর্কাইভ বাতায়ন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ সার্বিক তত্ত্বাবধান – ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিন – ড. রায়হান রশিদ প্রযোজনা: ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আই সি এস এফ) www.icsforum.org ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (ICSF) সাইটে মূল পোস্ট লিন্ক।
কিন্তু সমস্ত সমস্যা দেখতাম ওই সোজা পথ ও আত্মসমর্পণ নিয়ে – দেখতাম মানে আজো দেখছি এবং এই সমস্যা পিছু ছাড়ছে না – এই দিকনির্দেশনার মধ্যেই আছে রাজনৈতিক ইসলাম অথবা ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার। [...]
সোজা পথ। আত্নসমর্পণ। মানুষের জীবনের লক্ষ্য নিয়ে ইসলামের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনার পাশাপাশি আছে সাক্ষ্য, প্রার্থনা, দান, সংযম, বিসর্জন ও তীর্থ সম্মেলন। ছোটোবেলা থেকেই দেখছি – সাক্ষ্য, প্রার্থনা, দান, সংযম, বিসর্জন ও তীর্থ সম্মেলন নিয়ে তেমন সমস্যার কোনো কিছু নেই। এসব পালনীয় ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট করণকৌশল ও আচরণবিধি আছে এবং হুজুরদের সাথে সাধারণ মুসলমানের এসব নিয়ে তেমন কোনো তুলকালাম ব্যাপারস্যাপার নেই বললেই চলে – বরং এগুলোই সমাজে হুজুর ও সাধারণ মুসলমানদের ধর্মীয় সম্পর্কের মূলভিত্তি। কিন্তু সমস্ত সমস্যা দেখতাম ওই সোজা পথ ও আত্মসমর্পণ নিয়ে – দেখতাম মানে আজো দেখছি এবং এই সমস্যা পিছু ছাড়ছে না – এই দিকনির্দেশনার মধ্যেই আছে রাজনৈতিক ইসলাম অথবা ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার। কোনটা সোজা পথ? কিভাবে চলতে হয় এই সোজা পথ ধরে? কার জন্য কোনটা সোজা পথ? আত্মসমর্পণ কার কাছে? কার আত্মসমর্পণ? কতভাবে আত্মসমর্পণ? কত মাত্রার আত্মসমর্পণ? রাজনৈতিক ইসলাম চায় নিজের রাজনৈতিক জয় এবং তার জয়লাভের মাধ্যমই হবে এটি প্রচার করা যে একটি ইসলামি রাষ্ট্র পেলেই সোজা পথ হাসিল হবে এবং একটি ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম হলে সেই রাষ্ট্রের কাছে সবার আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে সবার জীবনের লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে। অর্থাৎ একটা সর্বব্যাপী অনুশাসন কায়েম হবে – সেই অনুশাসনের রক্ষণাবেক্ষণে প্রজন্মের পর প্রজন্ম রাজনৈতিক মুক্তি পাবে। কিন্তু সাধারণ মুসলমানরা কি রাজনৈতিক ইসলামের এই সোজা পথ ও আত্মসমর্পণের সূত্র মানে? রাজনৈতিক ইসলাম বাংলাদেশে এখনো শতকরা ৪ – ৭ ভাগের বেশি ভোট পায় না। কাজেই আমরা তো সহজেই বলতে পারি বাংলাদেশের মুসলামনেরা সাক্ষ্য, প্রার্থনা, দান, সংযম, বিসর্জন ও তীর্থ সম্মেলনে পরিবেষ্টিত (যদিও সেখানে উল্লেখযোগ্য হারে অনাচরণীয় মুসলমান বিদ্যমান) এবং তারা সোজা পথ ও আত্মসমর্পণের রাজনৈতিক ইসলামের সূত্র মানে না। কিন্তু না, ২৬শে মে ২০১৩ আইসিএসএফ আয়োজিত ‘ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশে রাজনৈতিক ইসলাম’ শীর্ষক সেমিনারের প্রথম পর্বের আলোচক হাসান মাহমুদের একটা বাস্তব আর্তি আমরা যারা কোটি কোটি লোক ধর্মে বিশ্বাস করি। আমরা মানুষ হিসাবে দুর্বল। ষড়রিপুর তাড়নায় আমরা তাড়িত, আমরা ভুল করতে পারি শুনে আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম। আমার মনে হল এই কোটি কোটি মানুষ সোজা পথ ও আত্মসমর্পণ নিয়ে তাহলে এভাবেই বিজড়িত। তাহলে এই কোটি কোটি মানুষের শতকরা ৬৫ ভাগ মনে করে…
১৪ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের সোয়াস-এ (SOAS) "ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালস বাংলাদেশ: জাস্টিস ইন পারস্পেকটিভ" শীর্ষক একটি আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘটিত নৃশংসতা ও অপরাধের বিচারের দাবিতে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত প্ল্যাটফর্ম ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মূলত মানবতাবিরোধী অপরাধ, শান্তিবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের চলমান বিচার প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। দু'টি পর্বে অনুষ্ঠানটি বিভক্ত ছিলো। প্রথম পর্বে ছিলো বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরিচিতি, এর ইতিহাস ও বর্তমান নিয়ে উপস্থাপনা এবং দ্বিতীয় পর্বে ছিলো দর্শক-শ্রোতাদের প্রশ্নোত্তর, যেখানে চলমান বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে নানা প্রশ্নের সদুত্তর দিয়ে সংশয় দূর করার চেষ্টা করা হয়েছে। [...]
১৪ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের সোয়াস-এ (SOAS) "ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালস বাংলাদেশ: জাস্টিস ইন পারস্পেকটিভ" শীর্ষক একটি আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘটিত নৃশংসতা ও অপরাধের বিচারের দাবিতে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত প্ল্যাটফর্ম ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মূলত মানবতাবিরোধী অপরাধ, শান্তিবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের চলমান বিচার প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। দু'টি পর্বে অনুষ্ঠানটি বিভক্ত ছিলো। প্রথম পর্বে ছিলো বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরিচিতি, এর ইতিহাস ও বর্তমান নিয়ে উপস্থাপনা এবং দ্বিতীয় পর্বে ছিলো দর্শক-শ্রোতাদের প্রশ্নোত্তর, যেখানে চলমান বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে নানা প্রশ্নের সদুত্তর দিয়ে সংশয় দূর করার চেষ্টা করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে তিনজন বিচারক নিয়ে ২০১০ সালে 'আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩' এর সংশোধিত সংস্করণের অধীনে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয় এবং পরবর্তীকালে বিচার প্রক্রিয়াকে বেগবান করার জন্যে দ্বিতীয় আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানটি লন্ডন সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হয়। স্থানীয় মিডিয়ার পাশাপশি বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আগ্রহীদের বিপুল সমাগম ঘটে এ অনুষ্ঠানে। রানা ইয়াসমিনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই আয়োজকরা অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। এরপর একটি প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে সংঘটিত বর্বরতা ও অপরাধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হয়। ড. নওরীন তামান্না "১৯৭১: অপরাধী, আক্রান্ত, উদ্দেশ্য ও অপরাধ" শীর্ষক এক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় চলমান বিচার প্রক্রিয়ার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন। নোরা শরিফ "বিচারের জন্য চার দশকের আন্দোলন" শিরোনামে এক বক্তৃতায় ১৯৭১ সালে সংঘটিত অপরাধের বিচারের জন্য আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরেন। আইনজীবী সৈকত আচার্যি বিচার প্রক্রিয়ার কাঠামো ও প্রকৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা ও কার্যপরিধি, বিচারে প্রযুক্ত আইন ও জুরিসপ্রুডেন্স বর্ণনা করেন। আরিফুর রহমান বিচার প্রক্রিয়ায় জড়িত বিভিন্ন পক্ষের ভূমিকা, রাজনীতির ওপর বিচারের প্রভাব এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থ নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে দর্শক-শ্রোতাবৃন্দের সঙ্গে রায়হান রশিদ এবং নোরা শরিফ এর স্বতস্ফূর্ত আলোচনায় অনেক তথ্য ও আলোচনার অবতারণা হয়, যার মাধ্যমে চলমান বিচার প্রক্রিয়ার নানা দিক স্পষ্টতর হয়। আইসিএসএফ এর পক্ষ থেকে একটা অফিশিয়াল স্টেটমেন্ট পড়ে শোনানো হয়, পূর্ণ তদন্ত দাবী করা হয় বাংলাদেশ সরকারের কাছে, সে তদন্তে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের…
২৬ আগষ্ট ২০০৬, ফুলবাড়ী শহরের পথে পথে সকাল থেকে টহল দিচ্ছে পুলিশ-বিডিআর । সেদিন তেল-গ্যস বিদ্যুত- বন্দর...সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে এশিয়া এনার্জির অফিস ঘেরাও কর্মসূচি। জনগনের অসম্মতি শর্তেও ওপেনপিট কয়লা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার এশিয়া এনার্জি নামক বহুজাতিক কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলো তার বিরুদ্ধে সেদিন জনগনের ক্ষোভে-বিক্ষোভে তাঁতিয়ে ওঠে ফুলবাড়ীর রাজপথ-মাঠ-প্রান্তর । একপর্যায়ে শান্তিপুর্ণ সমাবেশ শেষে বিচ্ছিন্ন জনতার ওপর চলে বিডিআর-এর গুলি, ৩ জন মারা যায় ।চলে দিনভর টিয়ার শেল নিক্ষেপ আর লাঠিপেটা, রাতে ঘরে ঘরে তল্রাশি-গ্রেফতার । শত শত লোক আহত হয়, ফুলবাড়ী শহরের দোকানপাট ভেভ্গে মুচড়ে দেয়া হয় ।
২৬ আগষ্ট ২০০৬, ফুলবাড়ী শহরের পথে পথে সকাল থেকে টহল দিচ্ছে পুলিশ-বিডিআর । সেদিন তেল-গ্যস বিদ্যুত- বন্দর...সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে এশিয়া এনার্জির অফিস ঘেরাও কর্মসূচি। জনগনের অসম্মতি শর্তেও ওপেনপিট কয়লা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার এশিয়া এনার্জি নামক বহুজাতিক কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলো তার বিরুদ্ধে সেদিন জনগনের ক্ষোভে-বিক্ষোভে তাঁতিয়ে ওঠে ফুলবাড়ীর রাজপথ-মাঠ-প্রান্তর । একপর্যায়ে শান্তিপুর্ণ সমাবেশ শেষে বিচ্ছিন্ন জনতার ওপর চলে বিডিআর-এর গুলি, ৩ জন মারা যায় । চলে দিনভর টিয়ার শেল নিক্ষেপ আর লাঠিপেটা, রাতে ঘরে ঘরে তল্রাশি-গ্রেফতার । শত শত লোক আহত হয়, ফুলবাড়ী শহরের দোকানপাট ভেভ্গে মুচড়ে দেয়া হয় । আমরা রাতের আধারে ২৫ ও ২৬ তারিখ শ্যুট করা ফুটেজ বাঁচাতে ঢাকায় রওনা করি। সেই দুদিনের ফুটেজ থেকে এক রাতে নির্মিত হয় 'ফুলবাড়ীর রক্তপতাকা', ফারুক ওয়াসিফ ও সম্পাদক আজাহার ভাই মিলে কাজটি করে। আমাদের শ্যুটিং টিম(জাইদ আজিজ ও আমি ) তখন ফুলবাড়ীতে অবরোধের শ্যুট করছি 'ফুলবাড়ীর সাত দিন ' নামের ডকু'র জন্যে। 'ফুলবাড়ীর সাত দিন ' -এখনো শেষ হয়নি, তবে বহুবার বহুস্থানে প্রদর্শিত হয়েছে। 'ফুলবাড়ীর রক্তপতাকা'র সাথে আরো কিছু তথ্য যুক্ত করে ইউটিউবে ২ পার্টে আপলোড করেছেন আমাদেরই বন্ধু ।
ওয়ার ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিচার না হওয়া অপরাধীদের বিচারের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তাদের 'মিডিয়া আর্কাইভ' এ ক্ষেত্রে সবচে বেশি তথ্যসমৃদ্ধ। সম্প্রতি তাদের মিডিয়া আর্কাইভে যোগ হয়েছে দুর্লভ একটি প্রামান্যচিত্র। ১৯৯৫ সালে ব্রিটেনের চ্যানেল ফোরে প্রচারিত হয় 'ওয়ার ক্রাইমস ফাইল: ডিসপ্যাচেস' নামের একটি অসাধারন বর্ননা। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশে থেকে পালিয়ে আসা কথিত যুদ্ধাপরাধী কয়েকজন রাজাকার/আলবদর কিভাবে ব্রিটেনে বাসা গেড়েছে, ধর্মের ব্যবসা ফেঁদেছে, তা নিজের চোখেই দেখুন। চ্যানেল ফোর এই ডকুমেন্টারি তৈরির পর পরেই চৌধুরী মঈনূদ্দীন তরফ থেকে এক আইনী হুমকির মুখে পড়ে। সুরাহা হয় এই শর্তে যে চ্যানেল ফোর এই তথ্যচিত্র পুনঃ প্রচার করতে পারবে না। সত্যকে চাপা দেবার এই পুরোনো হাতিয়ার আজো ব্যবহার করে যাচ্ছে রাজাকার চক্র। এখানে তাদেরই মুখোশ খুলে দেয়া হলো।। যুগপৎ প্রকাশ: সচলায়তন, আমারব্লগ, মুক্তমনা, সামহোয়ার-ইন