স্বাধীনতা দিবস এর প্রাক্কালে, অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত যুদ্ধাপরাধের বিচার ট্রাইবুনাল এবং এর সাথে সংশ্লিষ্টদের নাম ঘোষিত হল। ৩৯ বছর পর, ২৫ মার্চ ১৯৭১ এর সেই ‘কাল রাত’ এর দিনটিতেই ন্যায়বিচার অন্বেষণ এবং এর প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে নতুন করে এই জাতির যাত্রা শুরু হল।
বিডিনিউজ এর খবরে প্রকাশ:
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে বিচারক প্যানেল ও তদন্ত কর্মকর্তাদের নাম ঘোষণা করেছে সরকার। আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বৃহস্পতিবার একইসঙ্গে প্রকাশ করেছেন আদালতের আইনজীবীদের নামও। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে যুদ্ধাপরাধ বিচারে তিন সদস্যের বিচারক প্যানেল, সাত সদস্যের তদন্তকারী প্যানেল ও ১২ সদস্যের আইনজীবী প্যানেলের সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হয়।
বিচারক হিসেবে থাকছেন: বিচারপতি নিজামুল হক, বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ একেএম জহির আহমেদ।
তদন্তকারী সাত কর্মকর্তা হলেন– সাবেক অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মতিন, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আবদুর রহিম, সাবেক ডিআইজি কুতুবুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর এএসএম শামসুল আরেফিন, সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মীর শহীদুল ইসলাম, সিআইডি ইন্সপেক্টর নূরুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক।
আইনজীবী প্যানেলে রয়েছেন– গোলাম আরিফ টিপু, সৈয়দ রেজাউর রহমান, গোলাম হাসনাইন, জহির আহমেদ, রানা দাশগুপ্ত, জেয়াদ আল মালুম, সৈয়দ হায়দার আলী, খোন্দকার আবদুল মান্নান, মোশাররফ হোসেন কাজল, নুরুল ইসলাম সুজন, সানজিদা খানম ও সুলতান মাহমুদ শিমন।
বিস্তারিত পোস্ট আসা করেছিলাম। নির্মানের কেউ কি এই প্যানেল এর সম্মানিত সদস্যদের বায়োগ্রাফি নিয়ে কিছু বলবেন? এই মুহূর্তে এই বিষয়টা জানা খুব জরুরী। শর্ষের মধ্যে কোন ভূত যাতে না থাকে সেটা নিশ্চিত হওয়াটা জরুরী।
তদন্তকারী সদস্যদের মধ্যে একজনকে জানি তিনি হচ্ছেন, শামসুল আরেফিন, যিনি দীর্ঘদিন যাবত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষনা করছেন, এই বিষয়ে তাঁর নিজের গবেষনা প্রতিষ্ঠান আছে, ব্যক্তি মানুষ হিসাবে তিনি অত্যন্ত সৎ এবং নিষ্ঠাবান।আমি মনে করি সরকারের এটি অত্যন্ত ভালো এবং যোগ্য নিয়োগ।
আমিও তাই মনে করি।
সরকারের এ উদ্যোগটি খুবই ভালো, তবে তা যেন রাজনীতির কোনো কৌশল না হয়।
পত্রিকান্তরে প্রকাশ, তদন্তকারী সাত কর্মকর্তার মধ্যে প্রথমে যার নাম রয়েছে, সাবেক অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মতিন, তিনি ২০০২ সালে অবসরে যাওয়ার পর বসুন্ধরা গ্রুপের প্রধান আইন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। নয়া দিগন্তের সংবাদে এ সম্পর্কে লেখা হয়েছে, সাবেক অতিরিক্ত আইজি নূরুল আলম গত ২৫ মার্চ অপারগতা প্রকাশ করায় তড়িঘড়ি করে আবদুল মতিনকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়।
মোশারফ হোসেন কাজল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জরুরি শাসনকালে দুদক-এর আইনজীবী ছিলেন। বর্তমান সরকারের আইনজীবী হিসেবেও দায়িত্ব পারন করছেন।
ন্যায়বিচার সম্পর্কে অমর্ত্যসেনের একটা কথা মনে পড়ছে, “কেবল ন্যায়বিচার হলেই চলবে না, ন্যায়বিচার যে হচ্ছে সেটা দৃশ্যত সবার কাছে স্পষ্ট হওয়াটাও জরুরী”। যুদ্ধাপরাধের মত এমন গুরুত্ববহ ব্যপারে এই দিকটার দিকে লক্ষ্য রাখা খুব দরকার। সফলভাবে বিচার সম্পন্ন হবার পর কারো মনে যেন এব্যপারে সামান্য সন্দেহ বা প্রশ্নের উদ্ভব না হয় যে ঠিক বিচার হল কিনা। এছাড়া বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে উত্থিত যে কোন প্রশ্নের উত্তর যেন মানুষ পায় সেজন্য বিচার প্রক্রিয়া, প্রসিডিংস এসব যতটুকু সম্ভব স্বচ্ছতার সাথে জনসম্মুখে প্রকাশ করা হলে তাও আরেকটা ভাল সিদ্ধান্ত হবে। এতে করে ভবিষ্যতে কোন প্রশ্ন ওঠার সুযোগ থাকবে না আর প্রশ্ন উঠলে সেটার উত্তর দেয়াও… বাকিটুকু পড়ুন »
সুশান্তের জিজ্ঞাসাটা বোধকরি আমাদের অনেকেরই, কারণ আমারও প্রথমেই মনে এই কথাটা এসেছিল। একটু হতাশ হয়েছিলাম যাঁরা এসব নিয়ে গবেষণা করেন, লেখালেখি করছেন, করেছেন, তাঁদের কারো নাম না দেখে। পরে অবশ্য শামসুল আরেফিনের নামের দিকে একজন দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। যাই হোক, আমরাও চাই ‘একটা’ কিছু হোক, কিন্তু, সেটা যেন পর্বতের মূষিক প্রসব না হয়। এখনই বোধহয় সব মন্তব্য করার সময় আসে নি। কিন্তু, ঘরপোড়া গরু বিধায় মনে হয়, ভয় পাই, শঙ্কা জাগে, “বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া” হবে না তো? অপ্রাসঙ্গিক মনে হলেও একটা প্রশ্ন: যদি বিচারে সন্তুষ্ট হওয়া না যায়, ট্রাইবুন্যালের বাইরে কেউ কি বিচার চাইতে পারবেন? নাকি, এর রায়ই সর্বমান্য হবে? আর,… বাকিটুকু পড়ুন »
রাজনৈতিক বিতর্ক এড়াতে প্রসিকিউশন প্যানেল থেকে দু’জন আইনজীবীর নাম প্রত্যাহার করা হয়েছে। ইত্তেফাক রিপোর্ট যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত তদন্ত সংস্থা কাজ শুরু করেছে। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্ত এবং দালিলিক প্রমাণাদি সংগ্রহের কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন স্থানে কাজ করছেন। এছাড়া দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের হাতে থাকা দালিলিক প্রমাণাদি সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা। গতকাল সোমবার তদন্ত সংস্থার প্রধান আব্দুল মতিন ও অপর সদস্য সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আব্দুর রহিম পুরাতন হাইকোর্ট ভবনে অফিস করেছেন। সকাল ১০ টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যালয়ে ছিলেন। পরে আইন মন্ত্রণালয়ে… বাকিটুকু পড়ুন »