ভিকারুননিসা নুন স্কুল ও কলেজের বর্তমান ছাত্রীদের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে রচিত। [...]

অনেকেই আমাদের বলেন আমরা নাকি ‘প্রিভিলেজড গ্রুপ’। সমাজের 'ফরচুনেট' অংশের প্রতিনিধি। বাঙালি শিক্ষিত মধ্যবিত্তের সন্তানই আমাদের অধিকাংশ। বিত্তবান না হলেও সচ্ছল বলা চলে আমাদের অনেককেই। খাওয়া-পরা-পড়াশোনা-টিভি দেখা-ঘুরে বেড়ানো এসব খাতে হিসেবের মধ্যে থেকেও আমাদের জন্য কিছুটা বিলাসি খরচ মাঝে-মাঝেই হয়তো করেন আমাদের অভিভাবকেরা। আবদার-আহ্লাদ করে খেলনা-জামাকাপড়-গল্পের বই দশবার চাইলে পাঁচবার তো নিদেনপক্ষে মিলেই যায়! কিন্তু সচ্ছলতার নির্ভরতার চেয়েও বড় ‘প্রিভিলেজ’ হল আমাদের জীবনের এক পুঁজি যা থেকে বাংলাদেশের অধিকাংশ মেয়েশিশু বঞ্চিত -- সেই পুঁজির নাম ‘স্বপ্ন’। আমাদের মা কিংবা বাবা যেদিন প্রথম আমাদের নির্ভরতার-আঙুল-পেলেই-মুঠি-মুড়ে-ধরে-ফেলার ছোট্ট হাত ধরে এই বিশাল চত্বরের মাঝে ছেড়ে দিয়েছিলেন, সেদিন প্রথম নিজেদের স্বপ্ন আমাদের মাঝে সংক্রমিত করেছেন তাঁরা। তাঁদের মেয়েদের রয়েছে স্বপ্ন দেখার অধিকার, ব্যক্তিত্ববিকাশের অধিকার, বড় হয়ে সমাজ-গড়ায় নিজ নিজ হাতের ছাপ রাখার অধিকার -- তাঁরা জানতেন এবং বিশ্বাস করতেন! বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক, প্রায়-নিষ্ঠুর পরীক্ষা—প্রথম শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ভয়-ভীতি-বাধার তীব্রতা অতিক্রম করে অবলীলায় মা’কে স্কুলগেটের বাইরে পিছে ফেলে এসে নতুন বন্ধুর পাশে এসে বসতে পেরেছি আমরা শুধু ওই স্বপ্ন-সংক্রমণের কারণে। ওই সংক্রমণ আমাদের পুতুলের মত ঠুনকো শিশুশরীরে সঞ্চার করেছে অপার শক্তি। পাঁচ-ছয় বছর বয়সে মায়ের শ্রমে শিখে আসা বাংলা বর্ণমালা আর ইংরেজি এলফাবেট দিয়ে দুনিয়াটাকে দেখতে শিখেছি; পড়তে শিখেছি ক্লাসের আপার দেওয়া পাঠ; কাঁড়ি-কাঁড়ি হোমওয়ার্কের বোঝা বহন করেছি; সমাধান করেছি বীজগণিতের খটোমটো ফরমুলা; চোখ গোল করে গল্প শুনেছি ইতিহাসের; পাবলিক পরীক্ষার ভুতুড়ে সকালে চুলে তেল দিয়ে টান-টান করে বেণি বেঁধে কলমের খস-খসানিতে পৃষ্ঠা ভরিয়েছি; কেমিস্ট্রি ল্যাবের বীকারে সবজে-নীল অধঃক্ষেপ দেখে পৃথিবীকে রঙিন ভেবেছি; বিতর্কের মঞ্চে প্রতিপক্ষের তার্কিক আর বিচারক প্যানেলকে চমৎকৃত করেছি বৈশ্বিক অর্থনীতির ভরাডুবির খতিয়ান দেখিয়ে; বিশাল কাঠের বোর্ডে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে মেধাবী সিনিয়ার আপুদের নাম, সেই ১৯৬১ সাল থেকে; ঘাড় কাত করে সেই নামগুলো দেখেছি আর ভেবেছি ওদের মত হতে পারব কিনা। আর বাড়ি এসে মাকে দিয়েছি তাচ্ছিল্যের ভর্ৎসনা -- “ধ্যুত, আমাদের আপা বলেছেন এটাই ঠিক। মা, তুমি কিচ্ছু জানো না!” মা নিশ্চয়ই খুশি হয়ে ভাবতেন, “ছোট্ট মেয়েটা কত বড় হয়ে যাচ্ছে!” বাবাকে বলতেন, “জানো তোমার মেয়ে স্কুলে কী কী করে? কী কী শেখে?” বাবা আত্মপ্রসাদের হাসি হাসতেন। মুখে বলতেন না, কিন্তু মনে…

monjuraul_1245599442_2-ddd2 এঁদো পচা ঘেয়ো র্দুগন্ধযুক্ত আলোবাতাসহীন বদ্ধ এক চিলতে ঘরে ছেঁড়া কাঁথা কিংবা স্রেফ চটের বস্তার উপর কোনও ভাবে বিয়োচ্ছে। পশুর মতই তার মা চেটেচুটে(মুছে) তাকে সাফসুতোর করছে। তারপর কোন এক হেকমতি বুজর্গটাইপ ধান্ধাবাজের তাবিজ-কোবজ, সূতো পড়া কিংবা মাদুলি পরিয়ে স্যাঁতসেঁতে মেঝেয় শুইয়ে রাখা হচ্ছে। মাত্র ক’দিনের মধ্যেই তার মা কাজে চলে যাচ্ছে, কেননা তা না হলে তার মায়ের পেটে ভাত জুটবে না। আর পেটে যদি ভাতই না যায় তাহলে বুকে দুধ কি ভাবে আসবে? যদিও তার পরেও বুকে দুধ আসে না। হালা, ফ্যান, এটা ওটা ছাইপাশ মুখে দিয়েই তার বেড়ে ওঠা। কুকুর, কাক, চিল , পোকামাকড় আর মশামাছির সাথে সহাবস্থানে সেই জীবনের বেড়ে ওঠা। এর বিপরীতে উন্নত বিশ্বের একটি শিশু কি ভাবে জন্মে, বেড়ে ওঠে দেখুন [...]

এঁদো পচা ঘেয়ো র্দুগন্ধযুক্ত আলোবাতাসহীন বদ্ধ এক চিলতে ঘরে ছেঁড়া কাঁথা কিংবা স্রেফ চটের বস্তার উপর কোনও ভাবে বিয়োচ্ছে। পশুর মতই তার মা চেটেচুটে(মুছে) তাকে সাফসুতোর করছে। তারপর কোন এক হেকমতি বুজর্গটাইপ ধান্ধাবাজের তাবিজ-কোবজ, সূতো পড়া কিংবা মাদুলি পরিয়ে স্যাঁতসেঁতে মেঝেয় শুইয়ে রাখা হচ্ছে। মাত্র ক’দিনের মধ্যেই তার মা কাজে চলে যাচ্ছে, কেননা তা না হলে তার মায়ের পেটে ভাত জুটবে না। আর পেটে যদি ভাতই না যায় তাহলে বুকে দুধ কি ভাবে আসবে? যদিও তার পরেও বুকে দুধ আসে না। হালা, ফ্যান, এটা ওটা ছাইপাশ মুখে দিয়েই তার বেড়ে ওঠা। কুকুর, কাক, চিল , পোকামাকড় আর মশামাছির সাথে সহাবস্থানে সেই জীবনের বেড়ে ওঠা। এর বিপরীতে উন্নত বিশ্বের একটি শিশু কি ভাবে জন্মে, বেড়ে ওঠে দেখুন: ধূলোবালিহীন অত্যাধুনিক হাসপাতালের কাঁচ ঘেরা কুঠরিতে জন্মানোর পর প্রচন্ড রকম হাইজেনিক ব্যবস্থা বজায় রাখা একদল নার্সের সেবায় দিনে দিনে একটু একটু করে বাড়তে থাকে এই শিশুরা।মায়ের কি দরকার, শিশুর কি দরকার সবই ঠিক করে দেয় ম্যাটার্নিটি বা হাসপাতাল। ওই শিশুটি এরপর বাড়ি ফেরে। সেখানেও সেই হাসপাতালের মতই সুব্যবস্থা।ন্যাকার-পুকার, ডায়াপার, প্যাম্পারস, সব দামী দামী গেজেট সহ সে বাড়তে থাকে। যদি কোন কারণে কোন শিশু কেঁদে ওঠে, আর সেটা যদি রাষ্ট্রর আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ শুনে ফেলে সাথে সাথে সেই বাবা-মা কে তলব করে জানিয়ে দেওয়া হয়- শিশুর যত্ন নিতে তারা অপারগ হলে তাকে যেন নিদৃষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ রাষ্ট্র পুরোপুরিই এক একটি শিশুকে আগামীর নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। আরো বড় হয়ে সেই শিশুটির যখন স্কুলে যাবার সময় হয়, তখনো রাষ্ট্র তার লেখাপড়ার যাবতীয় দায়-দায়িত্ব তুলে নেয়। তার মেধার বিকাশের ফলোআপ দেখে তাকে সেই বিষয়েই লেখাপড়া করানো হয়। সাথে সাথে রাষ্ট্র তাকে খেলাধুলা থেকে শুরু করে যাবতীয় সামাজিক আচার-আচরণ, সংস্কৃতি সবই শেখায়। এভাবেই আজকের শিশু আগামী দিনের নাগরিক হয়ে ওঠে। এবার সেই নাগরিককে আর কোনভাবেই নাগরিক দায়-দায়িত্ব বোঝানোর দরকার করে না। আর আমাদের এরা ? আরো পরে একটু হাঁটতে শিখলেই যেন নিজেই খাবার যোগাড় করে নিতে পারে সেই চেষ্টায় তাকে ঠেলে দেওয়া হয় বাইরে। গু-মুতের পাশে পাশে শুরু হয় তার জীবন সংগ্রাম। সেই…

পরীক্ষামূলক পোস্ট১

স্বাগতম।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.