অনেক চেষ্টার পর ১৯৭৫ সালে রাজধানীর কেন্টনমেন্ট ওইসব বহিরাগত ভিলেনকে হত্যা করে এবং প্রেসিডেন্ট পরিবারকে তাদের ন্যায্য ভবনে ফিরিয়ে আনে [...]

টুইট করতে করতে অনেক সময় এমন কিছু গুচ্ছ টুইট হয়ে যায় যেগুলোকে পোস্টের রূপ সহজে দেয়া যায়। সেকাজটাই এখানে করা হল। আগে এরকম প্রচুর টুইট কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। এখন থেকে ভাবছি, এরকম টুইটগুলোকে ‘টুইট থেকে পোস্টে’ সিরিজে সংগ্রহ করে রাখব। আমি তো শুনেছি ১৯৭১ সালটা ১দিনের বছর ছিল সেদিন ১জন প্রেসিডেন্ট এসেছিল তার ১মলেডি তাকে কালুরঘাটে পাঠিয়ে জাতিকে বিশ্বে এক নতুন দেশের ঘোষণা ১/চ— MasudKarimমাক (@urumurum) September 8, 2014 দিতে বলেছিল, একেই ২৬শে মার্চ বলে, তারপরে ১৯৭২ আসে, সেবছর প্রতিকূল বছর ছিল, পশ্চিমবঙ্গ থেকে কিছু পাতি ভিলেন ও পাকিস্তান থেকে এক মস্ত ২/চ— MasudKarimমাক (@urumurum) September 8, 2014 ভিলেন এসে নতুন দেশটা দখল করে প্রেসিডেন্টকে কালুরঘাট থেকে রাজধানীর কেন্টনমেন্টে এনে ১মলেডি ও তার বাচ্চাকাচ্চাসহ বন্দী করে রাখে, অনেক ৩/চ— MasudKarimমাক (@urumurum) September 8, 2014 চেষ্টার পর ১৯৭৫ সালে রাজধানীর কেন্টনমেন্ট ওইসব বহিরাগত ভিলেনকে হত্যা করে এবং প্রেসিডেন্ট পরিবারকে তাদের ন্যায্য ভবনে ফিরিয়ে আনে, এভাবেই ৪/চ— MasudKarimমাক (@urumurum) September 8, 2014 বাংলাদেশের মুক্তি আসে এটাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, কিন্তু ষড়যন্ত্রের কি শেষ আছে, মস্ত ভিলেনের দিল্লিবাসী মেয়ে এসে প্রেসিডেন্টকে ৫/চ— MasudKarimমাক (@urumurum) September 8, 2014 মেরে ফেলে ১৯৮১ সালে, এরপরের ইতিহাস তো সবার জানা, আজ জাতির প্রেসিডেন্ট নেই কিন্তু তার ১মলেডি ১মসন্তানেরা আছে, বাংলাদেশের ইতিহাস যেই ৬/চ— MasudKarimমাক (@urumurum) September 8, 2014 লিখবেন এই ৩জনের যেকোনো ২জনের সাথে কথা বলে লিখবেন - যতদিন এই ৩জনের ২জন বেঁচে থাকবে ততদিন বাংলাদেশের ইতিহাস থাকবে ৭/৭— MasudKarimমাক (@urumurum) September 8, 2014 আমি তো শুনেছি ১৯৭১ সালটা ১দিনের বছর ছিল সেদিন ১জন প্রেসিডেন্ট এসেছিল তার ১মলেডি তাকে কালুরঘাটে পাঠিয়ে জাতিকে বিশ্বে এক নতুন দেশের ঘোষণা দিতে বলেছিল, একেই ২৬শে মার্চ বলে, তারপরে ১৯৭২ আসে, সেবছর প্রতিকূল বছর ছিল, পশ্চিমবঙ্গ থেকে কিছু পাতি ভিলেন ও পাকিস্তান থেকে এক মস্ত ভিলেন এসে নতুন দেশটা দখল করে প্রেসিডেন্টকে কালুরঘাট থেকে রাজধানীর কেন্টনমেন্টে এনে ১মলেডি ও তার বাচ্চাকাচ্চাসহ বন্দী করে রাখে, অনেক চেষ্টার পর ১৯৭৫ সালে রাজধানীর কেন্টনমেন্ট ওইসব বহিরাগত ভিলেনকে হত্যা করে এবং প্রেসিডেন্ট পরিবারকে তাদের ন্যায্য ভবনে ফিরিয়ে আনে, এভাবেই বাংলাদেশের মুক্তি আসে এটাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার…

আমাদের সাধারণ বুদ্ধির মধ্যবিত্ত নিরাপত্তা-বোধের মুখে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো (অথবা অভয় দেখানো) একটি কৃশকায়, খর্বকায় মানুষের বেশ একটা জম্পেশ বড় মাপের দীঘল জীবন চোখের সামনে খাপ খোলে, বিশ্বাস হয় না সব কথা -- কখনো কষ্ট হয়, কখনো ঈর্ষা হয়, কখনো বাকরুদ্ধ ভালবাসায় ভরে যায় মন। লিখেছেন কোনো এক কাবুলিওয়ালার কাছে বেশ কিছু টাকা ঋণ নিয়ে ঋণের সুদের মাসিক বকেয়া মেটানোর তাগিদে । লিখতে কি ভালো লাগে মশাই? আমি তো লিখে খাই, খেয়ে লিখি -- ইত্যাকার হাস্য-উর্দ্রেককারী টিপ্পনি, অথচ হেসে উড়িয়ে দেবার জো নেই এই সব আপাত বুদবুদের মত নিঃসংকোচ কথাকে । [...]

শিবরাম বা শিব্রাম চক্রবর্তীর বেজায় মিষ্টির আসক্তি । বিশেষ করে রাবড়ি বা রসগোল্লা জাতীয় রসের মিষ্টি । এর সঙ্গে তার একান্ত উপাদেয় রসে টইটম্বুর লেখার কোনো যোগাযোগ বোধহয় --- টক ঝাল মিষ্টি তেতো কষায়, যেকোনো অভিজ্ঞতাকে মধুর প্রলেপ দিয়ে, আগাগোড়া সুমিষ্ট লেখনীর রসে জারিয়ে রসনা ও মনের খোরাক করে তোলা কম কথা নয় । বইখানা পড়ে একটু প্রসন্ন আশ্চর্য-ভাবাপন্ন মুগ্ধতায় আপ্লুত আছি । এবার বিদিত থেকে আনা, শিব্রামের ঈশ্বর পৃথিবী ভালবাসা, তাঁর অদ্বিতীয় আত্মজীবনীর প্রথম ভাগ । কথার পিঠে কথার খেলা, শব্দের লোফালুফি, বিনা লাফালাফিতেই তিনি যেভাবে ব্যবহার করে থাকেন, তাতে তাঁকে king অফ puns বলাই যায় অনায়াসে -- সেই পানাভ্যাসে আমরাও আসক্ত, আরক্ত না হয়ে পারছি না দেখা যায়! তাঁর এই অনুপ্রাসিক শব্দের অক্লেশ, অহর্নিশ জাগলিং, জিমন্যাস্টিকস-এর জেল্লায় আমাদের কিশোর-পাঠে হর্ষবর্ধন গোবর্ধনের পার্টনারশিপ আমাদের রাম-হাসি বা শিবরাম-হাসি সাপ্লাই করেছিল নিশ্চয়ই । কিন্তু তাঁর জীবনকাহিনী আমার পড়া অন্য জীবনকাহিনী থেকে বিসদৃশ ভাবে আলাদা । কেন? তাই ব্যক্ত করার দুর্বল চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছি। শুরুতেই শিবরাম বলে নিয়েছেন তাঁর শৈশব ছিল ঈশ্বর-পীড়িত । মা বাবা দুজনই অসাধারণ দুটি মানুষ কিন্তু তাঁর । পরে বুঝতে পারি তাঁর Bohemian জীবনের বীজ ওই বাবার বৈরাগী পদ্ব্রাজক ভাব, আর মার নিরাসক্ত আত্মশক্তির মধ্যেই বোধ হয় । চাঁচোলের এক রাজ-পরিবারেই তাঁর জন্ম -- সম্পর্কের কাকা ছিলেন রাজা, কিন্তু রাজ-জোটক ছিল না তাঁর কপালে । বাবা ছোট বেলায় সংসার-ত্যাগী সন্ন্যাসী হয়ে ছিলেন, পরে এসে বিয়ে করেন তাঁর মা-কে । দুজনই সাদাসিধে মানুষ, গন্য মান্য ছিলেন, কিন্তু মনে হয় কোনো উন্নাসিকতার মধ্যে ছিলেন না । মা-ই ছিলেন শিব্রামের গুরু, বন্ধু, সবই । তাঁর কাছেই তিনি যা কিছু সার শিখেছেন । তার পর তার সঙ্গে জারিয়ে নিয়েছেন জীবনের অভিজ্ঞতা । ওই বাড়ির পাশেই প্রতিবেশীর কন্যা রিনির সঙ্গে শিব্রামের বন্ধুত্ব এবং বাল্যপ্রেম । একেবারেই মধুর, বাল্যকাল থেকে বয়ঃসন্ধির টলটলে আবেগে ভরা । সবচেয়ে সুন্দর হলো, এই প্রেমে আপাত ভাবে কোনো অপরিচয়ের আড়াল, কোনো রহস্য ছিল না । পুরোটা স্বচ্ছ ও অবারিত । রিনিকে নিয়েই সেসময় শিব্রামের জগত আবর্তিত । কিন্তু রিনিরা সপরিবারে কলকাতায় চলে যায়। রিনির মা ভেবেছিলেন সেখানে রিনিদের বিয়ের…

উল্টোরথ-এর 'মেলব্যাগ'-এ মেশানো থাকত কৌতুকের মিছরি আর মিসেস প্রসাদ সিংহ ছিলেন মিছরির বয়াম। [...]

[প্রথম পর্ব] উল্টোরথ-এর 'মেলব্যাগ'-এ মেশানো থাকত কৌতুকের মিছরি আর মিসেস প্রসাদ সিংহ ছিলেন মিছরির বয়াম। মাঝেমধ্যে প্রসাদ সিংহ উত্তর পরিবেশন করলেও মিসেস প্রসাদ সিংহেরই জনপ্রিয়তা ছিল সর্বাধিক, নীচের দুটি চিঠি তার প্রমাণ : কল্যাণী ভট্টাচার্য (আটীয়াবাড়ী বাগান) : আপনার উত্তর খুব ভাল লাগে। একমাত্র আপনার উত্তর পড়বার জন্যই আমি প্রতি মাসে উল্টোরথ রাখি। আশা করি, আপনি মেলব্যাগ ছেড়ে যাবেন না। -- তিনকাল গিয়ে এক কালে ঠেকেছে। এখন কোন চুলোয় যাব বল। (বর্ষ ২০, সংখ্যা ১০, পৌষ ১৮৯৩ শকাব্দ, পৃ. ২৩) তাপস মুখার্জী (নদীয়া) : উল্টোরথে আপনার সুন্দর উত্তর পড়ে খুব অবাক হয়ে যাই। সেই জন্য আপনাকে জানাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা। ছোটভাইয়ের অভিনন্দন গ্রহণ করবেন কি? -- নিশ্চয়। (বর্ষ ২১, সংখ্যা ১, চৈত্র ১৮৯৪ শকাব্দ, পৃ. ২৭) কিছু-কিছু বিষয়ে (যেমন : ধর্ম-বর্ণ) পাঠকদের কৌতূহল মেটানো হয়েছে অত্যন্ত সরল উত্তরে, আবার কখনও-কখনও দেখছি শ্লেষ-বক্রোক্তির টান। মিসেস প্রসাদ সিংহের একটি উত্তর : শিপ্রা দাশ (গৌহাটি) : রাকেশ রোশন হিন্দু, না মুসলমান? -- হিন্দু। (বর্ষ ২০, সংখ্যা ১১, মাঘ ১৮৯৩ শকাব্দ, পৃ. ২২৫) এর আগে প্রায় একই প্রসঙ্গে প্রসাদ সিংহ উত্তর দিয়েছেন : মনোমোহন সরকার (গৌরীপুর) : বাংলায় কি সিডিউল্ড কাস্ট শিল্পী আছেন? -- এসব প্রশ্ন থাক। জাত নিয়ে আজ আর কেউ মাথা ঘামায় না। -- বিশেষ করে কলকাতায়। (বর্ষ ১৩, সংখ্যা ৪, মাঘ ১৮৮৬ শকাব্দ, পৃ. ২৩১) ষাট-সত্তরের দশকে বাংলা ছবির সঙ্গে সাহিত্যের যোগ যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল, উল্টোরথ-এর নিয়মিত বিভাগ 'বরণীয় সাহিত্যের স্মরণীয় চিত্ররূপ' বা 'সাহিত্যের চিত্ররূপ' দেখলেই তা বোঝা যায়। এ-ব্যাপারে পাঠকদের সাগ্রহ পরামর্শও লক্ষণীয়, যেমন প্রসাদ সিংহের প্রতি এক পাঠকের চিঠি : এস. টি. ডি (রঘুনাথপুর) : প্রসাদদা, গত বৎসর পূজা সংখ্যা 'বেতারজগৎ'-এ প্রকাশিত আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের 'মহাবিহার' গল্পটি চিত্রায়িত হলে খুব ভালো হবে এবং চলবেও। আমার হয়ে আপনি পরিচালক অজয় করকে অনুরোধ জানাবেন ছবিটি চিত্রায়িত করবার জন্য? -- আপনার অনুরোধ জানালুম। (বর্ষ ১৩, সংখ্যা ৪, মাঘ ১৮৮৬ শকাব্দ, পৃ. ২২৫) 'মেলব্যাগ' থেকে একগুচ্ছ চিঠি বেছে নিয়ে তুলে দেওয়া হলো (উত্তরদাতা : মিসেস প্রসাদ সিংহ) : ১ স্বপন ব্যানার্জী (লামডিং) : বহুরূপ যাঁর তাঁকে বলা হয় বহুরূপী। পাঁচটি মুখ যাঁর তাঁকে…

অনেক কষ্টে পকেটের টাকা গুনিয়া দিয়া অত্যাধুনিক থিয়েটারে বসিয়া চোখে কালো চশমা পরিধান করিয়া তিন মাত্রায় বিস্তৃত (3D) অস্কার তথা সারা পৃথিবী বিজয়ী চলচিত্র “আভাতার” দেখিয়া আসিলাম।[...]

অনেক কষ্টে পকেটের টাকা গুনিয়া দিয়া অত্যাধুনিক থিয়েটারে বসিয়া চোখে কালো চশমা পরিধান করিয়া তিন মাত্রায় বিস্তৃত (3D) অস্কার তথা সারা পৃথিবী বিজয়ী চলচিত্র “আভাতার” দেখিয়া আসিলাম। অনলাইনে ফ্রীতে দেখি নাই মজা নষ্ট হইয়া যাইবে বিধায়। সাধারন সিনেমার টিকিটের থেকে বেশি মূল্যে তিন মাত্রায় বিস্তৃত সিনেমার টিকিট কিনিয়া হলে বসিয়া বসিয়া আমি পাপিষ্ঠা ভাবিতেছিলাম ঢাকাই ফিলিমের সাথে এটার এতো মিল মিল লাগে ক্যান? ১. নায়ক পড়বিতো পর মালীর ঘাড়ের মতো, বিপদে পড়লতো টারজান মার্কা নায়িকাই আসলো বাঁচাতে। যদিও পরে জংগল ভর্তি বহু সাহসী মানুষকে দেখা গিয়েছিল কিন্তু সেই মূহুর্তে নায়িকা সহায়। ২. নায়কের “জাংগল লাইফের” শিক্ষা দীক্ষার সব ভার অবধারিতভাবে নায়িকার ওপরই বর্তাইলো। ৩. প্যানডোরা দেশের নায়িকা প্রথমে পৃথিবীর নায়ককে “ক্ষ্যাত - গাধা” ভাবলেও অবশেষে দুজনের মধ্যে প্রেমতো হলোই। ৪. ‘গ্রেস’ যখন অসুস্থ হলো, সবাই গান গেয়ে প্রার্থনা করলো। সাধারনতঃ এধরনের গানে প্রায় সবসময়ই ঢাকাই ছবিতে কাজ হয় কিন্তু এটাতে ‘গ্রেস’ মরে গেলেও গান গাওয়া হয়েছিল। ৫. নায়ক প্রথমে বুঝে না বুঝে যেই অভিসন্ধি নিয়েই মিশনে নেমেছিলেন, পরে দুঃস্থদের স্বার্থ রক্ষা করতে নিজের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েই দিলেন। ৬. সমস্ত অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র , কৌশল, বোমা সব সাবেক কালের তীর ধনুক আর ছুরির কাছে ফেল মারলো। ৭. প্রথমে বিমানবাহিনী তারপরে সেনাবাহিনী যুদ্ধে ফেল মারলো। অবশেষে “আইওয়া” তাদের প্রার্থনা শুনলো এবং ঘোড়া, বানর ও আরো নাম না জানা নানা পশু মানে বনবাহিনী এসে যুদ্ধে অংশগ্রহন করে তাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করলো ৮. ভিন গ্রহের মানুষ হয়েও নায়িকা এবং তার পিতা মাতা মাঝে মাঝে ভিলেনরা পর্যন্ত শুদ্ধ এ্যমেরিকান ইংলিশ ও একসেন্টে কথা কইলো ৯. শেষ দৃশ্যে নায়কের শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হওয়া মাত্র নায়িকা যে জীবনে চেয়ার টেবিলও চোখে দেখে নাই, সে অক্সিজেন মাস্ক টানিয়া আনিয়া নায়কের মুখে জায়গামতো পরাইয়া দিলো ১০. নায়িকাকে প্রানে রক্ষা করতে যাইয়াই নায়ক প্রচন্ড রকম আহত হইলো। ১১. নায়িকাকে ভালোবাসার কারনেই নায়ক নিজ গ্রুপের সাথে “বাগাওয়াত” করলো ১২. নায়িকাকে ভিলেন "পাইছি তোরে" ভাব নিয়া আটকে ফেলা মাত্র, নায়ক অন্য জায়গা থেকে উড়ে এসে নায়িকাকে রক্ষা করে ফেলল। ১৩. মুগাম্বোর মতো এখানেও “টরুক মাতুকা” আছেন তাদের ভগবান। ১৪. নায়ক তাদের ক্ষতি…

আমরা গরমের দেশের মানুষেরা সহজেই উত্তেজিত। রাজনীতি, মেয়েঘটিত, আর ধর্ম হলো চরম তরম উত্তেজিত হওয়ার মতো প্রিয় বিষয় আমাদের। আগাপাশ তলা না ভেবে হুঙ্কার ছেড়ে ঝাপিয়ে পড়ি যুদ্ধে। কোথায় কে একখান কার্টুন আঁকলো তাই নিয়ে মার মার কাট কাট, সালমান রুশদী কিংবা তাসলিমা কিছু লিখেছে, কল্লা কাটো। এরমধ্যে অনন্তকাল থেকে পাশাপাশি থাকার জন্য ও অর্থনৈতিক বৈষম্যতার কারনে এ উপমহাদেশে হিন্দু - মুসলিম বৈরীতা চার্টের টপ লিষ্টেড আইটেম যাকে বলে। কিন্তু আদতে ধর্মগুলোর মধ্যে অমিলের থেকে মিলই বেশি। হিন্দু মুসলমান গুতাগুতি কেনো করে সেই নিয়ে আজ একটু ধর্ম রংগ। দুই দলের ধর্মান্ধরাই একে অন্যের বাড়িতে অন্ন গ্রহন করেন না। দু'দলের একই সমস্যা, জাত যাবে। একদল হালাল ছাড়া খাবেন না আবার অন্যদল মুসলমানের ছোঁয়া বলে খাবেন না। শুদ্ধ হওয়ার জন্য দু'দলের লোকেরাই উপবাস করে থাকেন। দু'দলেরই পাপ মোচন করার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা ও সময় আছে। বিশুদ্ধ পানিও আছে। একদলের আছে জমজমের পানিতো অন্যদলের আছে গঙ্গাজল। দু'দলই তাদের পবিত্র কাজের সময় সেলাই করা বস্ত্র পরিধান করেন না। মুসলমানরা হজ্বের সময় আর হিন্দুরা পূজার সময়। পশু উৎসর্গে ধর্মের ভূমিকা এ উপমহাদেশের দু'দলের কাছেই অপরিসীম। স্বর্গে যাওয়ার জন্য দু'দলই নিরীহ পশুদের উৎসর্গ করে থাকেন কিন্তু ভিন্ন পদ্ধতিতে। পদ্ধতি ভিন্ন হলেও বস্তু একই। যদিও মুহম্মদ, রাম, কৃষ্ণ সবাই শান্তির বানী প্রচার করার দাবী করেছেন কিন্তু তারা শান্তির চেয়ে অশান্তি থুক্কু যুদ্ধই করেছেন বেশি। এই তিনজনের জীবনেই নারীদের অপরিসীম ভূমিকা ছিল, বৈধ এবং অবৈধ পন্থায়। দুই ধর্মেই পুরুষের নীচে মেয়েদের স্থান, স্বামী পরম গুরু। দু'দলই পাপমোচনের আশায় হুজুর কিংবা পূজারীকে অজস্র দান ধ্যান করে থাকেন। তার বাইরে কেউ মসজিদ বানানতো কেউ মন্দির। মৃত্যুর পর অন্তত সুখ, সাথে ঊর্বশী, হুর, আঙ্গুর বেদানার প্রতিশ্রুতি উভয়েই দেন আমাদেরকে। দু'দলেরই ধর্মানুভূতি অত্যন্ত প্রখর। ধর্মানুভূতিতে আঘাত করা আর শ্লীলতাহানি করা একই পর্যায়ের অপরাধের স্তরে পরে। কথার আগে তাদের ছুরি চলে। ভন্ড নাস্তিক আর আঁতেলে দল ভর্তি। সবারই রক্ত লাল আর মরে গেলে ফিরে আসার সম্ভাবনা অনেক কম জানা সত্বেও তাদের ধর্মের নামে এই অপরিসীম যুদ্ধ চলছে এবং চলতেই থাকবে। তানবীরা ১৪.০১.১০

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.