অস্কার-সম্ভবা “আভাতার” ও ঢাকাই ঢিষ্টিং ঢিষ্টিং ফিলিমের সাদৃশ্যসমূহ

অনেক কষ্টে পকেটের টাকা গুনিয়া দিয়া অত্যাধুনিক থিয়েটারে বসিয়া চোখে কালো চশমা পরিধান করিয়া তিন মাত্রায় বিস্তৃত (3D) অস্কার তথা সারা পৃথিবী বিজয়ী চলচিত্র “আভাতার” দেখিয়া আসিলাম।[...]

অনেক কষ্টে পকেটের টাকা গুনিয়া দিয়া অত্যাধুনিক থিয়েটারে বসিয়া চোখে কালো চশমা পরিধান করিয়া তিন মাত্রায় বিস্তৃত (3D) অস্কার তথা সারা পৃথিবী বিজয়ী চলচিত্র “আভাতার” দেখিয়া আসিলাম। অনলাইনে ফ্রীতে দেখি নাই মজা নষ্ট হইয়া যাইবে বিধায়। সাধারন সিনেমার টিকিটের থেকে বেশি মূল্যে তিন মাত্রায় বিস্তৃত সিনেমার টিকিট কিনিয়া হলে বসিয়া বসিয়া আমি পাপিষ্ঠা ভাবিতেছিলাম ঢাকাই ফিলিমের সাথে এটার এতো মিল মিল লাগে ক্যান?

১. নায়ক পড়বিতো পর মালীর ঘাড়ের মতো, বিপদে পড়লতো টারজান মার্কা নায়িকাই আসলো বাঁচাতে। যদিও পরে জংগল ভর্তি বহু সাহসী মানুষকে দেখা গিয়েছিল কিন্তু সেই মূহুর্তে নায়িকা সহায়।
২. নায়কের “জাংগল লাইফের” শিক্ষা দীক্ষার সব ভার অবধারিতভাবে নায়িকার ওপরই বর্তাইলো।
৩. প্যানডোরা দেশের নায়িকা প্রথমে পৃথিবীর নায়ককে “ক্ষ্যাত – গাধা” ভাবলেও অবশেষে দুজনের মধ্যে প্রেমতো হলোই।
৪. ‘গ্রেস’ যখন অসুস্থ হলো, সবাই গান গেয়ে প্রার্থনা করলো। সাধারনতঃ এধরনের গানে প্রায় সবসময়ই ঢাকাই ছবিতে কাজ হয় কিন্তু এটাতে ‘গ্রেস’ মরে গেলেও গান গাওয়া হয়েছিল।
৫. নায়ক প্রথমে বুঝে না বুঝে যেই অভিসন্ধি নিয়েই মিশনে নেমেছিলেন, পরে দুঃস্থদের স্বার্থ রক্ষা করতে নিজের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েই দিলেন।
৬. সমস্ত অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র , কৌশল, বোমা সব সাবেক কালের তীর ধনুক আর ছুরির কাছে ফেল মারলো।
৭. প্রথমে বিমানবাহিনী তারপরে সেনাবাহিনী যুদ্ধে ফেল মারলো। অবশেষে “আইওয়া” তাদের প্রার্থনা শুনলো এবং ঘোড়া, বানর ও আরো নাম না জানা নানা পশু মানে বনবাহিনী এসে যুদ্ধে অংশগ্রহন করে তাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করলো
৮. ভিন গ্রহের মানুষ হয়েও নায়িকা এবং তার পিতা মাতা মাঝে মাঝে ভিলেনরা পর্যন্ত শুদ্ধ এ্যমেরিকান ইংলিশ ও একসেন্টে কথা কইলো
৯. শেষ দৃশ্যে নায়কের শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হওয়া মাত্র নায়িকা যে জীবনে চেয়ার টেবিলও চোখে দেখে নাই, সে অক্সিজেন মাস্ক টানিয়া আনিয়া নায়কের মুখে জায়গামতো পরাইয়া দিলো
১০. নায়িকাকে প্রানে রক্ষা করতে যাইয়াই নায়ক প্রচন্ড রকম আহত হইলো।
১১. নায়িকাকে ভালোবাসার কারনেই নায়ক নিজ গ্রুপের সাথে “বাগাওয়াত” করলো
১২. নায়িকাকে ভিলেন “পাইছি তোরে” ভাব নিয়া আটকে ফেলা মাত্র, নায়ক অন্য জায়গা থেকে উড়ে এসে নায়িকাকে রক্ষা করে ফেলল।
১৩. মুগাম্বোর মতো এখানেও “টরুক মাতুকা” আছেন তাদের ভগবান।
১৪. নায়ক তাদের ক্ষতি করতে এসেছিলো জেনে নায়িকা আর নায়কের মধ্যে ট্যান্ডাই ম্যান্ডাই হলেও পরে নায়িকার ভুল ভাঙ্গে যে নায়ক আসলে “লুক” ভালো।
১৫. নায়িকার কথিত হবু স্বামী প্রথম থেকেই নায়ককে অপছন্দ করতো, নায়ক নায়িকা দুজনে দুজনের হয়ে যাওয়াতে তিনি প্রচন্ড নাখোশ হন
১৬. ভিনগ্রহের লোকজনেরও প্রার্থনার জন্য বিশেষ জায়গা আছে।
১৭. নায়িকা ভিনগ্রহের রাজকন্যা পরে নায়ক গোত্রের কর্নধার হয়
১৮. শেষ দৃশ্যে বিজ্ঞানের বদলে শুধুমাত্র তন্ত্র মন্ত্রের দ্বারা তারা নায়কের আত্মা এবং শরীরকে অন্য মাত্রা দিতে সাফল্য অর্জন করেন।

তানবীরা

আমি নিজেকে কোনদিন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবিনি, মনের ভুলেও না। কখনো কখনো মনে হয়েছিলো যে আমার প্রয়োজন রয়েছে, এইমাত্র।

২৩ comments

  1. রায়হান রশিদ - ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৪:১৫ অপরাহ্ণ)

    শুরুতে বিজ্ঞাপনের সময়ই ঠিক নাকের ওপর যেভাবে এসে শ্যাম্পেনের গ্লাস চুরমার হয়ে সারা সিনেমা হলে ছিটিয়ে পড়লো, তার পর থেকে ‘অবতার’ এর কাহিনীতে আর তেমন মনযোগই দিতে পারিনি। ত্রিমাত্রিক দৃশ্যজগতই দেখছিলাম বিস্ময় নিয়ে, যুক্তি আর সমালোচনার টুপি ঝটপট জ্যাকেটের পকেটে ঢুকিয়ে ফেলে। প্রযুক্তির সুবাদে প্রথম সবাক চলচিত্র, প্রথম রঙিন টেলিভিশন, কিংবা প্রথম ত্রিমাত্রিক/ডলবি শব্দায়ন বুঝি মানুষ এমনই বিস্ময় নিয়ে উপভোগ করেছিল! কিছুটা না হয় ঢাকাই ঢিস্টিং ঢিস্টিংই হল, ক্ষতি কি?

    ১৫. নায়িকার ভাই প্রথম থেকেই নায়ককে অপছন্দ করতো, নায়ক নায়িকা দুজনে দুজনের হয়ে যাওয়াতে নায়িকার ভাই প্রচন্ড নাখোশ হয়

    লেজবিশিষ্ট সম্ভ্রান্ত চেহারার লেঙ্গটি পরিহিত ক্রুদ্ধ-ঈর্ষান্বিত সেই ভদ্রলোক নায়িকার ভাই ছিলেন বুঝি?

    মজার পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ।

    • তানবীরা - ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১০:০৮ অপরাহ্ণ)

      ভুলটা আমি ঠিক করে দিলাম। ধন্যবাদ রায়হানকে।

      থ্রীডিতে কিন্তু এটা প্রথম সিনেমা নয়।
      http://www.boingboing.net/2008/04/08/april-8-1953-first-b.html

      ধন্যবাদ আপনাকে সুচিন্তিত মতামতের জন্য।

      • রায়হান রশিদ - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১:৫২ পূর্বাহ্ণ)

        ভুল ধরার জন্য উল্লেখ করিনি আসলে; আমিই ঠিক নিশ্চিত ছিলাম না প্যানডোরা গ্রহের সম্পর্কগুলোর ব্যাপারে।
        আমার জন্য অবশ্য ‘অবতার’ই প্রথম ত্রিমাত্রিক। কিন্তু ১৯৫৩ সালে, এতো আগেও যে ত্রিমাত্রিকে পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি রিলিজ হয়েছে এটা সত্যিই চমকপ্রদ খবর। ধন্যবাদ জানানোর জন্য। তবে একটা বিষয় বোঝার চেষ্টা করছি। প্রযুক্তিটির ব্যাপক প্রসারে এতো দেরী হল কেন? কারও জানা আছে?

        • তানবীরা - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৪:০৬ পূর্বাহ্ণ)

          রায়হান, ভুল ভুলই। সেটা আপনি বলবেন, আমি চেষ্টা করবো, সেই জন্যইতো ব্লগে আসা। আপনি সেটা নিয়ে মোটেও ভাববেন না।
          স্বীকার করতে লজ্জা নেই, এটা আমি আগেই দেখছিলাম কিন্তু পোষ্টে কোন মন্তব্য আসে নাই দেখে আমি আলসেমি করে ঠিক করিনি ভেবছিলাম কেউ হয়তো আগ্রহী নন এই পোষ্টের ব্যাপারে।
          আর থ্রীডি মুভি মাঝে মাঝে আসে। আমি গত জুলাইতে একটা দেখছিলাম, নামটা এখন মনে করতে পারছি না, মনে হলেই এসে জানিয়ে যাবো।
          ভালো থাকবেন।

          • তানবীরা - ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৪:৩২ পূর্বাহ্ণ)

            গত বছর আমি প্রথম থ্রী ডি সিনেমা দেখি “আইস এজ থ্রী”।
            http://www.imdb.com/title/tt1080016/

            নামটা অবশেষে মনে পড়ল ঃ)

        • মোহাম্মদ মুনিম - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১১:১৯ অপরাহ্ণ)

          ৫০ এর দশকের 3D সিনেমার প্রযুক্তিটি আমাদের ছোটবেলার সেই খেলনাটার মত. খেলনাটার নাম মনে নেই, তবে দেখতে বাইনোকুলারের মত, স্লাইডগুলোতে একই সাবজ়েক্টের দুটো ছবি (একটু ভিন্ন এঙ্গেল থেকে তোলা) থাকতো, ছবি দুটোকে দুচোখ দিয়ে একসাথে দেখলে একটা 3D এফেক্ট আসতো। ৫০ এর দশকের সেই 3D সিনেমা কে ঠিক প্রযুক্তি বলা চলে না, খেলনার এই কৌশলটা বহু আগে থেকে জানা ছিলো। ৫০ এর দশকে টিভি চলে আসাতে সিনেমা ওয়ালাদের মাথায় হাত পড়ে। লোকে ঘরে বসে যদি ছবি দেখে তবে পয়সা দিয়ে থিয়েটারে আসবে কেন। সেই বেপরোয়া অবস্থা থেকেই 3D সিনেমার শুরু। ছবিগুলোর একই দৃশ্য দুটো ক্যামেরা দিয়ে একটু ভিন্ন এঙ্গেল দিয়ে শ্যুট করা হতো। দুই ক্যামেরার মাঝে আলোর একটু তারতম্য হলেই রিশ্যুট। থিয়েটারে দুটো প্রজেক্টর থেকে একই সাথে পর্দায় ছবি ফেলা হতো 3D এফেক্টের জন্য। দর্শকদেরও বিশেষ চশমা পড়তে হতো। প্রজেকশনের সময় দুটো প্রজেক্টরের মাঝে synchronization এর সমস্যা হলেই দুটো ভিন্ন দৃশ্যের ছবি মিলেমিশে পুরো ব্যাপারটাই গড়বড় হয়ে যেত। এতসব সীমাবদ্ধতার কারণে ৫০ এর দশকের 3D অচিরেই মৃত্যুবরণ করে।
          আমি এখনো avatar দেখিনি, দেখার খুব একটা ইচ্ছাও নেই। আমার মতে ক্যামরন সাহেব তেমন কোন প্রতিভাবান পরিচালক নন। তিনি অতিমাত্রায় প্রযুক্তিনির্ভর। কয়েকবছর পরপর নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফিল্মের নামে এক একটা তামাশা তৈরি করেন, আর লোকে সেটাই গোগ্রাসে গিলে।

          • তানবীরা - ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৫:১৬ পূর্বাহ্ণ)

            কয়েকবছর পরপর নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফিল্মের নামে এক একটা তামাশা তৈরি করেন, আর লোকে সেটাই গোগ্রাসে গিলে।

            ভোক্তাদের কাজই গোগ্রাসে গিলা। সে থ্রীডি মুভি হোক কিংবা এইচ ডি, আইফোন থেকে ফ্ল্যাট স্ক্রীন টিভি কিংবা মুভ এন্ড পিক আইসক্রীম। সবই টাকার খেলা আর নতুন প্রযুক্তির চমক ধমক।

  2. শামীম আহমেদ - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১২:১৯ পূর্বাহ্ণ)

    লেখা ভাল লেগেছে। তুলনা সুন্দর হয়েছে। অনেক মজা পেয়েছি।

    • তানবীরা - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৪:০৭ পূর্বাহ্ণ)

      আমার লেখা সার্থক, মজা করার জন্যই এটা লেখা। ধন্যবাদ আপনাকে।

  3. সুব্রত - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (২:২১ পূর্বাহ্ণ)

    গল্প নাটক তো এমনি হয়। অনেকগুলো coincidence মিলিয়ে মিলিয়ে গল্প তৈরি হয়। বা বলতে পারেন- অনেকগুলো coincidence এক সাথে হলেই সেটা গল্প হয়ে ওঠে। অনেক লেখক অনেক সাবধানে coincidence মেলান। অনেকে তোয়াক্কাই করেন না। যেমন রবীন্দ্র নাথের ‘নৌকা ডুবি’। এটাকে অনেকেই গাঁজাখুড়ি বলেন। আবার আপাত দৃষ্টিতে গাঁজাখুড়ি মনে হয় না এমন গল্প ‘মধ্যবর্তিনী’। তারপরেও কোন বেরসিক প্রশ্ন করে বসতে পারেন- ছোট বৌ ই মরল কেন? এর পর যদি ঋত্বিক ঘটকে যান। তাহলেতো বোধহয় আপনি তার নামে ফাঁসি ঘোষণা করবেন।
    সুবর্ণ রেখায় ঈশ্বর গলায় ফাঁসি নিতে যাচ্ছেন। এমন সময় জানালা দিয়ে হর প্রসাদের মাথা। যেই আদর্শবাদী বন্ধুকে ফেলে আরও ১৫/১৬ বছর আগে ঈশ্বর পালিয়ে এসেছিলেন শতশত মাইল দূরে। সেই অভিমানী বন্ধু জানালা দিয়ে মাথা ঢুকিয়ে ফাঁসি নিতে উদ্যত ঈশ্বরকে জিজ্ঞেস করছে- “রাত কত হল?”
    আবার এই ঈশ্বরই প্রথম কোন পতিতার ঘরে, তো একেবারে প্রথম রাতেই বোনের সামনেম, বোনেরও সেদিনও প্রথম রাত। কোলকাতার পত্রপত্রিকায় তখন তুমুল সমালোচনার ঝড়। ঋত্বিককে এক সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞেস করা হল সেকথা। ঋত্বিক উত্তর করলেন- ঈশ্বর যে ঘরে ঢুকবে সে ঘরেইতো ওঁর বোন।
    আমি মানিক থেকেো উদাহরণ দিতে পারি। গল্পটার নাম মনে করতে পারছি না। স্টেসনের সেই কজন যুবক যুবতির গল্প। যারা অন্যান্য নৈতিক অনৈতিক পেষার পাশাপাশি বিনোদন হিসেবে কোন বেওয়ারিস লাশ পেলে কারও না কারও বাবা ভাই সাজিয়ে চাঁদা তুলে সত্কারের পর বাকি টাকা দিয়ে মদ খেত। তেমনি এক বৃদ্ধের লাশ সত্কার শেষে মদ খেয়ে উল্লাশ করতে করতে হঠাত্ মেয়েটা ডুকরে কেঁদে উঠলো। জানা গেল- লাশটা মেয়েটার বাবা ছিল। প্রশ্ন উঠতে পারে – বাবার লাশ কেন আসল? আসলতো আসল মেয়েটারই কেন? মেয়েটা না হয়ে কোন ছেলে হলে কি এরকম মোক্ষম সময়ে কেউ ডুকরে কেঁদে ওঠে? আর কাঁদবেই যখন তখন সবাই ঘুমিয়ে যাওয়ার পর কাঁদল না কেন?

    এভাবে প্রশ্ন করে করে সাহিত্যের রস আস্যাদন হয় না। coincidence-এর কথা বাদ দেই। রবীন্দ্র নাথ, শরত্ রা সেই বাংলায় বসে প্রেমের গল্প লিখতে গিয়ে পূর্ণ বয়ষ্কা বাঙালি নারী অবিবাহিত অবস্থায় খুঁজে পেতেন না। শেষ মেষ তাদের হয় কিশোরীর মুখে পূর্ণ বয়ষ্কার বুলি গুজেঁ দিতে হয়েছে। যা বয়স হিসাব করলে কোথাও মানানসই নয়। যুক্তিও খুঁজে পাবেন না।

    তার চেয়ে বলি কি? দৈনিক পত্রিকা পড়া যেতে পারে। সেখানে বাস্তব জীবনের বাস্তব চিত্র থাকে। সাফল্যের গল্প থাকে, ব্যথর্তার গল্প থাকে। এরকম বেমক্কা coincidence-এর ধাক্কা থাকে না।

    আমি আপনাকে পাল্টা কিছু প্রশ্ন করি? আপনার মনে হয়নি(?)- যে যুগে যুগে দেশে দেশে সভ্য মনুষরা অসভ্য মানুষদের উপরে যেই উপকার গুলো করে গেছেন, তার চমত্কার একটি বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী রুপী প্রতিবাদী কাব্য এটা। হলিউড থেকে এই জিনিস এসেছে আমি কল্পণাও করতে পারি না। এখানে নারী পুরুষের প্রেম দেখলেন- দেখেননি- এখানে নারী পণ্য হয়ে ওঠেনি। পাশাপাশি লড়ছে। কোথাও নেতৃত্বে, কোথাও বুদ্ধিতে, কোথাও আবেগে, কোথাও বিবেচনা বোধে নারীও পুরুষকে অতিক্রম করে সামনে চলে গেছে? কখনো বা command স্থাপন করেছে? দেখতে বসে চার পাশে খেয়াল করে কি দেখেছেন?- যে আপনার চার পাশের মানুষ গুলো মানুষ হয়েও নীল বিড়ালের মতো দেখতে ভীন গ্রহী প্রাণী গুলোর পক্ষ হয়ে গেছে তার স্বজাতীর বিরুদ্ধ লড়াইয়ে?

    তানবীরা, আমার মনে হয়েছে- আপনি খুব তারাহুরো করে সমালোচনা করে বসেছেন। অথবা আপনার রুচিটা আরো অনেক উচ্চ স্তরের। তবে আপনি যেই টেকনিক্যাল প্রশ্ন গুলো তুলেছেন। আপনার সমালোচনা পড়ে আমি আবার একবার দেখে নিলাম। প্রত্যাকটারি উত্তর দেয় আছে ছবিটাতে। আমার মনে হয় না- আমার উত্তর করার প্রয়োজন আছে। আপনি যথেষ্টই বুদ্ধিমান বলে আন্দাজ করি। আপনি নিজেই খুঁজে পাবেন।
    তবা ছবিটা দেখতে বসে আমার বারবার ইরাকের কথা মনে পড়েছে। ইরাকেও ওরা গণতন্ত্র দিতে গিয়েছিল।
    কলম্বাস আজও আমেরিকা আবিষ্কারক।

    • রায়হান রশিদ - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৬:৫৬ পূর্বাহ্ণ)

      @ সুব্রত #৩

      আপনার মনে হয়নি(?)- যে যুগে যুগে দেশে দেশে সভ্য মনুষরা অসভ্য মানুষদের উপরে যেই উপকার গুলো করে গেছেন, তার চমত্কার একটি বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী রুপী প্রতিবাদী কাব্য এটা। হলিউড থেকে এই জিনিস এসেছে আমি কল্পণাও করতে পারি না। এখানে নারী পুরুষের প্রেম দেখলেন- দেখেননি- এখানে নারী পণ্য হয়ে ওঠেনি। পাশাপাশি লড়ছে। কোথাও নেতৃত্বে, কোথাও বুদ্ধিতে, কোথাও আবেগে, কোথাও বিবেচনা বোধে নারীও পুরুষকে অতিক্রম করে সামনে চলে গেছে? কখনো বা command স্থাপন করেছে? দেখতে বসে চার পাশে খেয়াল করে কি দেখেছেন?- যে আপনার চার পাশের মানুষ গুলো মানুষ হয়েও নীল বিড়ালের মতো দেখতে ভীন গ্রহী প্রাণী গুলোর পক্ষ হয়ে গেছে তার স্বজাতীর বিরুদ্ধ লড়াইয়ে?

      অসাধারণ বলেছেন। আপনার মন্তব্য পড়ার পর ভাবতে ভাবতে এখন আরও কয়েকটা ব্যাপার মনে পড়ছে।

      ছবিটিতে ঔপনিবেশিক আগ্রাসনের একটি ভীনগ্রহীয় রূপ ছাড়াও সব ছাড়িয়ে উঠে এসেছে আরও কয়েকটি বিষয়:

      ১) কর্পোরেট লোভ এবং ক্ষেত্র বিচারে এর নিষ্ঠুরতম সামরিকায়িত চেহারা;
      ২) খনিজ সম্পদে একাধিপত্যের উচ্চাভিলাষ এবং সে কারণে প্রকৃতি-হনন;
      ৩) প্যান্ডোরাবাসীদের উপলদ্ধি ও বোধ যে ‘প্রকৃতিই তাদের সবকিছু, প্রকৃতি না বাঁচলে ওরাও কেউ বাঁচবে না’;
      ৪) এই উপলদ্ধি থেকে জীবন বাজি রাখা প্রতিরোধের সংকল্প, যা তাদেরকে তীরধনুক হাতে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রের মুখোমুখি হওয়ার অসামান্য সাহস জোগায়;

      বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এমন একেকটি ছবি ‘পরিবেশ রক্ষা’ ইস্যুতে যতখানি সচেতনতা তৈরী করবে, তেমনটা হয়তো আমরা ডজনখানেক ওয়েবসাইট কিংবা ফোরাম খুলেও পারতাম না। এখানে ছবি বানিয়ে কেউ ব্যবসা করে মিলিয়নিয়ার নাকি বিলিয়নিয়ার হল, কিংবা ছবিটি নান্দনিক কোন্ স্কেলে কত পয়েন্ট স্কোর করলো (কিংবা হারালো), তার চাইতেও বেশী জরুরী ‘পরিবেশ সচেতনতা’ বার্তাটির সফল প্রচার।

      মিডিয়াসহ বিভিন্ন নীতিগত আলোচনায় বেশ অনেক দিন ধরেই The Final Countdown এর কথা উঠে আসছে। জানি না এতে কতটুকু কি অতিরঞ্জন রয়েছে, তবে প্রায় বছরাধিক কাল ধরে বলা হচ্ছে – আর মাত্র ১০০ মাস পর পৃথিবীর পরিবেশ পৌঁছে যাবে এমনই এক পর্যায়ে যাকে বলে point of no return. এর পর হাজার চেষ্টা করেও প্রাকৃতিক ভারসাম্য নাকি ফেরানো যাবে না। গার্ডিয়ানে ছাপানো এনড্রু সিমস এর একটি লেখা থেকে কিছু অংশ উদ্ধৃত করছি:

      in just 100 months’ time, if we are lucky, and based on a quite conservative estimate, we could reach a tipping point for the beginnings of runaway climate change. That said, among people working on global warming, there are countless models, scenarios, and different iterations of all those models and scenarios. So, let us be clear from the outset about exactly what we mean.

      One Hundred Months নামে একটি ওয়েবসাইটও রয়েছে। এই মন্তব্য পেশ করার সময় সেখানকার ঘড়ি অনুযায়ী হাতে আর মাত্র ৮২ মাস (২৩৯৪ দিন; ৫৭৪৫৬ ঘন্টা) বাকি রয়েছে। প্যান্ডোরাবাসীদের প্রতিরোধ দেখে কার মনে সংকল্প জাগেনা পৃথিবীর জন্য পৃথিবীর মাটিতে এমন শক্ত কোন প্রতিরোধ দেখে যেতে কিংবা তার অংশ হতে?

      [দ্রষ্টব্য: ‘১০০ মাসের এই কাউন্ট-ডাউন’ তত্ত্বটির বিপরীতে আরও পাল্টা তত্ত্ব কিংবা গাণিতিক খন্ডন থেকে থাকলে অবাক হবো না। কিন্তু তাতে পরিবেশ বিপর্যয়ের মূল সত্যগুলো (সময়সীমা যাই হোক!) তো আর পাল্টাচ্ছে না!]

      • তানবীরা - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৭:২২ অপরাহ্ণ)

        রায়হান, যারা পরিবেশের সবচেয়ে বড় হন্তাকারী তারা যদি এই সিনেমা দেখে কিছু শেখে, তাহলে আমি অন্যরকম একটা রিভিউ লিখবো, কাসাম সে ঃ)

        বাকি পয়েন্টগুলোতে কিছু বললাম না কারন আমি আমার মনোভাব পরিবর্তন করছি না। অনেক বানিজ্যিক সিনেমাতে মেয়েদেরকে অন্যভাবে ব্যবহার করে দেখায় জীবনের প্রয়োজনে। তাতে সমাজে কি প্রতিফলন হয় কিংবা কতোটুকু? আমার দৃষ্টিতে এখানে ক্যমেরন অনেক বেশি বানিজ্যিক ছিলেন দেন সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ। কিন্তু নানা মুনীর নানা মত থাকতেই পারে।

        ভালো লাগলো আপনার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী জানতে পেরে।

  4. সুব্রত - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (২:৫৫ পূর্বাহ্ণ)

    আমি বাংলা টাইপে খুব দুর্বল। অনেক কষ্টে লিখেছি। পোস্ট করার পর আন্দাজ করলাম অনেক ভুল বানান রয়ে গেছে। নিজ গুণে ক্ষমা করে দেবেন।
    * উদ্ধুতি গুলো, উদাহরণ গুলো স্মৃতি হাতরে লেখা। কোনটা বা পড়া বছর দশেক আগে। একটু এদিক ওদিক হতে পারে।

    • তানবীরা - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৪:০৮ পূর্বাহ্ণ)

      বানান দিয়ে ভাববেন না, আমিতো অভিধান নই। নিজেই এক হাজার ভুল করি।

    • তানবীরা - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৪:২২ পূর্বাহ্ণ)

      আপনার মন্তব্যটি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। আমি দুটো পর্বে উত্তর দিচ্ছি। আমার প্রত্যেক লেখাই প্রচুর তাড়াহুড়োতে লেখা। সময়ের ব্যাপারের সাথে সাথে আমার স্বভাবও এর জন্য দায়ী। ঠান্ডা মাথার মানুষ আমি আসলে না, যা মনে হলো ঝট করে লিখে ফেলা আমার স্বভাব। বলাবাহুল্য এতে অনেক ঝামেলায় পরি, অনেকই তাদের ইচ্ছেমতো রুপ রং বসান আর আমি এর জন্য অনেক চড়া মূল্যও দেই।
      আমি যে কথাগুলো ঠান্ডা মাথায় লিখতে পারিনি সেটা আর একজন কেউ লিখেছেন আমি নীচে পেষ্ট করে দিচ্ছি ঃ

      রাগিব বলেছেন: সিনেমাটা দেখে আমিও শোকে শেষ — পানিতে টাকা ফেলার শোক। স্পেশাল অ্যাফেক্ট ছাড়া পুরা ছবিই প্রায় কপি-পেস্ট। পোকাহোন্টাস কার্টুনটা থেকে কাহিনী মেরে দেয়া, কেবল আমেরিকার আদিবাসীদের জায়গায় অন্য গ্রহের প্রাণী এই।

      আরও বিরক্তি লেগেছে পুরা সিনেমাটাই ফর্মুলা মুভি। কাহিনীর এক ধাপ দেখে পরের ধাপে কী হবে, কোন কোন চরিত্র বিশাল ডায়ালগ মেরে মারা পড়বে ভিলেনের হাতে, ইত্যাদি সবই আন্দাজ করা চলে।
      (মিডিয়াতে আরেকটা ভুল প্রচার চলছে, এটা সর্বকালের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবি। এই ক্ষেত্রে যদি ডলারের মান দিয়ে ধরা হয়, তবে তো এটা সবচেয়ে বেশি ডলার কামিয়েছে বটে। কিন্তু ১৩ বছর আগে টাইটানিক ১ মিলিয়ন ডলার কামালে, আর এখন এটা দেড় মিলিয়ন কামালে অবতার বেশি সফল হয় না, কারণ ১৩ বছর আগের ১ মিলিয়ন আর এখনকার ১ মিলিয়ন সমান নয়। ইনফ্লেশন তথা মূদ্রাস্ফীতি বিবেচনা করলে ৭০ বছর আগের গন উইথ দ্য উইন্ড অনেক বেশি সফল। অবতার সেই তালিকায় ২১ নম্বরে আছে।)

      আসলে দুনিয়াই চলে হুজুগে। সবাই দেখছে এই হুজুগ না থাকলে আমি হয়তো এই ছবিটা দেখতেই যেতাম না।

      হয়তো আমি আপনি সব জিনিসের প্রতি সবসময় একই দৃষ্টিভঙ্গী রাখি না।

      ইরাকেও ওরা গণতন্ত্র দিতে গিয়েছিল।
      কলম্বাস আজও আমেরিকা আবিষ্কারক।

      কিন্তু এ জায়গায় একমত।
      ভালো থাকবেন আবার কথা হবে।

      • তানবীরা - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৭:২৩ অপরাহ্ণ)

        এই মন্তব্যটি সুব্রতের জন্য ছিল “৩” এর উত্তর

  5. রাগিব হাসান - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১১:১২ পূর্বাহ্ণ)

    আমার ঐ মন্তব্যটা উদ্ধৃত করার জন্য তানবীরাকে ধন্যবাদ।

    অবতার দেখে প্রথমত মনে হয়েছে, খুব ভালো গ্রাফিক্সের কাজ সহ পোকাহোন্টাস কার্টুনটা দেখছি। মার্কিনী চলচ্চিত্রে আমেরিকার আদিবাসীদের একটা স্টেরিওটাইপ আছে। জেমস ক্যামেরন সেই স্টেরিওটাইপের বাইরে যেতে পারেননি, বরং বেশ কিছু জিনিষের খিচুড়ি বানিয়েছেন। পোকাহোন্টাসের কথা তো আগেই বলেছি, আর সিনেমার প্রথম ও মাঝের অংশ নেয়া হয়েছে কেভিন কস্টনার অভিনীত ড্যান্সেস উইথ দ্য উল্ভস সিনেমা থেকে। (উইকির কাহিনী সংক্ষেপ মিলিয়ে দেখুন)।

    এখানে দেখার মতো একটাই জিনিষ আছে, তা হলো গ্রাফিক্সের কাজ। গণকমিস্তিরি হিসাবে যখন গ্রাফিক্সের কোর্স পড়ছিলাম, প্রফেসর বলেছিলো, অ্যানিমেশনের সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে মানুষের চুল আর চামড়াকে বাস্তবধর্মী ভাবে ফুটিয়ে তোলা। অবতারের চরিত্রগুলোর অ্যানিমেশন মোটামুটি — চুল আর চামড়া দেখলে এখনো বাস্তব লাগে না। পাখি গুলোর কথা না হয় বাদই দিলাম। আর এটা সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবি যে আদৌ নয় (মূদ্রাস্ফীতি ও দর্শকপ্রিয়তা ধরতে গেলে), তা তো উপরের কমেন্টেই বলেছিলাম।

    হুজুগ জিনিষটাতে বাঙালির কপিরাইট নেই — ওটা মানবজাতিরই মৌলিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।

    • তানবীরা - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৭:২৯ অপরাহ্ণ)

      আপনার মন্তব্যটা এতো গোছানো ছিল যে উল্লেখ না করে পারলাম না রাগিব ভাই।
      আমি যেহেতু বিজ্ঞানের ছাত্রী না আমি গ্রাফিক্সের কাজের সূক্ষনতা বিচার করতে পারি না যদিও রঙ, পাখি, কালার কম্বিনেশন,ব্যাকগ্রাউন্ড এগুলো আমার ভালো লেগেছে। হয়তো বুঝি না বলেই ঃ)
      কিন্তু আমার মতো সাধারন দর্শকের টাইটানিক এর মতো একটা গল্পের প্রত্যাশা থাকে যাতে সিনেমা দেখতে দেখতে চোখ ভিজ়ে আসবে। সেদিকে এবার ক্যমেরন আমার কাছে অন্তত ফেলিউর।

  6. ফারুক ওয়াসিফ - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১১:২৩ পূর্বাহ্ণ)

    উপনিবেশিত, ন্যাটিভ নিজেই নিজেকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম, নিজেই পারে তার ভাগ্য বদলাতে, আলোকিত পশ্চিম আর তার স্যাটেলাইট ন্যাটিভ এলিটরা এটা যেদিন মানবে, সেদিন তো আর তাদের মুরুব্বিগিরি থাকে না। তাই সবচে মহান পাশ্চাত্য নেতাও তৃতীয় দুনিয়ার সমকক্ষ হতে ভালবাসেন না, তিনি চান ত্রাতা হতে। কিন্তু ত্রাতা নিজেই যদি অধিপতি হন, তাহলে ত্রাতার হাত অবশ্যই অধিপতিরই হাত। এই হাত ঢাকার কাজ আগে মিশনারিরা করেছে, এখন এনজিও করে আর করে হলিউডি ফিলিম।
    লেখা দারুণ হইছে। চলুক।

    মজার কথা মনে হলো: ওবামাকে বসানো হয়েছে পাবলিক স্টান্ট হিসেবে, মার্টিন লূথার কিং জুনিয়র-এর অবতার হিসেবে। এখন তারো কি উচিক অবতারের নায়কের মতো বদলে যাওয়া? অবতার কি এই মেসেজ দিতে চাইছে? কথাটাকে সিরিয়াসলি নেওয়ার দরকার নেই।

    • তানবীরা - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৭:৩৩ অপরাহ্ণ)

      “আভাতার” এই ম্যাসেজ দিলে মন্দ হয় না। ধরো ওবামা ডেনমার্কের পরিবেশ চুক্তিতে সাইন করে ফেললো, কিংবা বাংলাদেশ থেকে শুল্কমুক্ত রপ্তানী বাড়িয়ে দিলো, ইরাক থেকে সৈন্য প্রত্যাহার, বিশ্ব জুড়ে অর্থনীতি চাঙ্গা আর বাংলাদেশী শ্রমিকদের মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফেরত আসতে হলো না কালো মুখে।
      তাহলে ওবামাকে কেন্দ্র করে একটা স্ক্রীপ্ট লিখে বাঙ্গালী ঃআভাতার” বানিয়ে ফেলবো, কি বলো?

  7. মুক্তাঙ্গন - ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১২:৪৪ পূর্বাহ্ণ)

    @ তানবীরা,
    আপনার এই পোস্টটি মুক্তাঙ্গন এর রি-পোস্ট নীতির পরিপন্থী হওয়ার কারণে প্রথম পাতা থেকে আপনার ব্যক্তিগত ব্লগ-পাতায় সরিয়ে দেয়া হল। এই পোস্টটি গত ৬ ফেব্রুয়ারী আপনি আমরা বন্ধু প্লাটফর্মে প্রকাশ করেছেন। এখানে লিন্ক

    মুক্তাঙ্গনে নিবন্ধন করার সময়ই নিবন্ধন-পদ্ধতির বাধ্যতামূলক অংশ হিসেবে আপনার এই নীতিটির ব্যাপারে অবগত হওয়ার কথা। নীতিটি আপনাকে আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছি:

    ৭। অন্য ব্লগে ছাপানো পোস্ট মুক্তাঙ্গনে ছাপানো, অথবা মুক্তাঙ্গনে ছাপানো পোস্ট অন্যত্র ছাপানো আমরা নিরুৎসাহিত করি। সেক্ষেত্রে ব্লগ প্রশাসক চাইলে পোস্টটি মুক্তাঙ্গন থেকে মুছে দিতে পারেন কিংবা প্রথম পাতা থেকে লেখকের নিজস্ব পাতায় সরিয়ে দিতে পারেন। তবে ক্ষেত্র বিশেষে ব্লগ প্রশাসক নিয়মটি প্রয়োগ না করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, যেমন: (ক) ব্যক্তিগত/নিজস্ব ব্লগে ছাপানো পোস্টের ক্ষেত্রে; (খ) ছাপার মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রকাশিত কিংবা প্রকাশিতব্য লেখার ক্ষেত্রে; (গ) অন্য যে কোন অনলাইন ফোরামে প্রকাশিত কিংবা প্রকাশিতব্য লেখার ক্ষেত্রে, যেখানে পাঠকদের মন্তব্য করার বা আলোচনায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই; (ঘ) বিশেষ কোন মানবিক সাহায্য পোস্ট, কোন জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পোস্ট (যার তাৎক্ষনিক ও ব্যাপক প্রচারণা প্রয়োজন), মানবতার পক্ষে প্রচারণা পোস্ট কিংবা জরুরী আহ্বানমূলক পোস্টের ক্ষেত্রে।

    আপনি জানেন, মুক্তাঙ্গন এর এই রিপোস্ট নীতিটি লেখকদেরই তৈরী, যা মডারেশন টিম অনুসরণ করে মাত্র। তাই আমরা আশা করি সকল লেখক এই নিয়মটির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন। লেখকদের স্বাধীনতা রয়েছে কোন্ প্লাটফর্ম থেকে নিজের লেখা ছাপবেন সেটি মনস্থির করা। সুতরাং, অনুরোধ থাকবে, মুক্তাঙ্গনে কোন লেখা প্রকাশে মনস্থির করলে সেটা এখানকার নিয়মাবলীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই যেন তা করা হয়।

    আগেও একাধিকবার বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে। কোন নতুন লেখা সাবমিট হওয়ার পর (মুক্তাঙ্গন এর) মডারেশন টিম সেটি আর কোথাও ছাপানো হয়েছে কিনা সে জাতীয় বিব্রতকর গোয়েন্দাগিরি করা থেকে নিজেদের বিরত রাখতে চায়। লেখকদের ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ এর প্রতি শ্রদ্ধা থেকেই এই চর্চার উৎপত্তি। এর পরও যদি এভাবে পূর্বে প্রকাশিত পোস্টের ব্যাপারে কোন ধরণের ঘোষণা না দিয়ে পোস্ট সাবমিট করা হতে থাকে, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এখানকার অন্যান্য সকল লেখকবৃন্দ। কারণ, তখন বাধ্য হয়েই মডারেশন টিমকে প্রতিটি পোস্ট অনুমোদনের আগে পুরো ইন্টারনেট খুঁজে বেড়াতে হবে, যা পোস্ট-লেখকের জন্য যতোটা, মডারেশন টিম এবং এখানকার বাকি সব ব্লগারের জন্যও ঠিক ততোটাই বিব্রতকর এবং কালক্ষেপী হয়ে উঠবে।

    যেহেতু পোস্টটি ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়ে গেছে এবং এতে মন্তব্য করা হয়ে গেছে, তাই মডারেশন টিম লেখাটি পুরোপুরি মুছে ফেলার পরিবর্তে আপনার ব্যক্তিগত ব্লগ পাতায় সরিয়ে দিতে বাধ্য হল।

    ধন্যবাদ।

    • তানবীরা - ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৪:০৭ পূর্বাহ্ণ)

      ধন্যবাদ মডারেশন টীমকে। ভবিষ্যতে এই নীতিমালা স্মরণ রাখার অঙ্গীকার করা হলো।

  8. ইমতিয়ার - ৬ মার্চ ২০১০ (৪:৩৯ পূর্বাহ্ণ)

    আভাটার নিয়ে স্লাভোজ-এর কৌতূহলোদ্দীপক অভিমত, পড়া যেতে পারে এই লিংক থেকে।

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.