ধর্ম ধর্ম আদতে ভাই ভাই

আমরা গরমের দেশের মানুষেরা সহজেই উত্তেজিত। রাজনীতি, মেয়েঘটিত, আর ধর্ম হলো চরম তরম উত্তেজিত হওয়ার মতো প্রিয় বিষয় আমাদের। আগাপাশ তলা না ভেবে হুঙ্কার ছেড়ে ঝাপিয়ে পড়ি যুদ্ধে। কোথায় কে একখান কার্টুন আঁকলো তাই নিয়ে মার মার কাট কাট, সালমান রুশদী কিংবা তাসলিমা কিছু লিখেছে, কল্লা কাটো। এরমধ্যে অনন্তকাল থেকে পাশাপাশি থাকার জন্য ও অর্থনৈতিক বৈষম্যতার কারনে এ উপমহাদেশে হিন্দু – মুসলিম বৈরীতা চার্টের টপ লিষ্টেড আইটেম যাকে বলে। কিন্তু আদতে ধর্মগুলোর মধ্যে অমিলের থেকে মিলই বেশি। হিন্দু মুসলমান গুতাগুতি কেনো করে সেই নিয়ে আজ একটু ধর্ম রংগ।

দুই দলের ধর্মান্ধরাই একে অন্যের বাড়িতে অন্ন গ্রহন করেন না। দু’দলের একই সমস্যা, জাত যাবে। একদল হালাল ছাড়া খাবেন না আবার অন্যদল মুসলমানের ছোঁয়া বলে খাবেন না।

শুদ্ধ হওয়ার জন্য দু’দলের লোকেরাই উপবাস করে থাকেন।

দু’দলেরই পাপ মোচন করার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা ও সময় আছে।

বিশুদ্ধ পানিও আছে। একদলের আছে জমজমের পানিতো অন্যদলের আছে গঙ্গাজল।

দু’দলই তাদের পবিত্র কাজের সময় সেলাই করা বস্ত্র পরিধান করেন না। মুসলমানরা হজ্বের সময় আর হিন্দুরা পূজার সময়।

পশু উৎসর্গে ধর্মের ভূমিকা এ উপমহাদেশের দু’দলের কাছেই অপরিসীম। স্বর্গে যাওয়ার জন্য দু’দলই নিরীহ পশুদের উৎসর্গ করে থাকেন কিন্তু ভিন্ন পদ্ধতিতে। পদ্ধতি ভিন্ন হলেও বস্তু একই।

যদিও মুহম্মদ, রাম, কৃষ্ণ সবাই শান্তির বানী প্রচার করার দাবী করেছেন কিন্তু তারা শান্তির চেয়ে অশান্তি থুক্কু যুদ্ধই করেছেন বেশি।

এই তিনজনের জীবনেই নারীদের অপরিসীম ভূমিকা ছিল, বৈধ এবং অবৈধ পন্থায়।

দুই ধর্মেই পুরুষের নীচে মেয়েদের স্থান, স্বামী পরম গুরু।

দু’দলই পাপমোচনের আশায় হুজুর কিংবা পূজারীকে অজস্র দান ধ্যান করে থাকেন। তার বাইরে কেউ মসজিদ বানানতো কেউ মন্দির।

মৃত্যুর পর অন্তত সুখ, সাথে ঊর্বশী, হুর, আঙ্গুর বেদানার প্রতিশ্রুতি উভয়েই দেন আমাদেরকে।

দু’দলেরই ধর্মানুভূতি অত্যন্ত প্রখর। ধর্মানুভূতিতে আঘাত করা আর শ্লীলতাহানি করা একই পর্যায়ের অপরাধের স্তরে পরে। কথার আগে তাদের ছুরি চলে। ভন্ড নাস্তিক আর আঁতেলে দল ভর্তি। সবারই রক্ত লাল আর মরে গেলে ফিরে আসার সম্ভাবনা অনেক কম জানা সত্বেও তাদের ধর্মের নামে এই অপরিসীম যুদ্ধ চলছে এবং চলতেই থাকবে।

তানবীরা
১৪.০১.১০

তানবীরা

আমি নিজেকে কোনদিন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবিনি, মনের ভুলেও না। কখনো কখনো মনে হয়েছিলো যে আমার প্রয়োজন রয়েছে, এইমাত্র।

৩৬ comments

  1. বিনয়ভূষণ ধর - ১৫ জানুয়ারি ২০১০ (৮:৩১ অপরাহ্ণ)

    তানবীরা!!!
    আপনার লেখাটা খুব ভালো করে কয়েকবার পড়লাম। অনেক জায়গায় আপনার লেখার সাথে একমত পোষণ করতে পারলামনা বলে দু:খিত! আপনি কি সবাইকে এককাতারে ফেলতে চান? দুই ধর্মের যারা অনুসারী তারা সবাই কি এতোটা Fanatic? আশা করি সামনে এই বিষয়ে আপনার আরো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাবো। আপনার প্রতি শুভেচ্ছা রইল…

    • কামরুজ্জমান জাহাঙ্গীর - ১৫ জানুয়ারি ২০১০ (৯:৫০ অপরাহ্ণ)

      আপনার লেখাটি অবশ্যই একধরনের কষ্টার্জিত অনুযোগ থেকেই লেখা। কিছু বিষয়ের সাথে ভিন্নমত প্রকাশ না করে পারা যাচ্ছে না। উপরে বিনয়ভূষণ ধর মতামতে একটা দিক প্রকাশ পেয়েছে। আরেকটা মৌলিক বিষয়ে আপানর সাথে দ্বিমত প্রকাশ করছি, ধর্ম শুধু উত্তেজনাই তৈরি করে না, ঘুমও পাড়ায়। আমার মনে হয়, উত্তেজনা একটা সীমিত জনগোষ্ঠীর ভিতর বিরাজ করে, আর ভাবে ডুবিয়ে রাখে অনেক অনেক মানুষকে। আমার তো ধারণা এখানেই ধর্মের আসল কাজটি হয়ে থাকে। যারফলে মানুষ তার যথার্থ অস্তিত্ব, শক্তি, প্রেরণা, অধিকার, এমনকি্ উত্তেজনাও সেভাবে অনুভব করে না।

      এই তিনজনের জীবনেই নারীদের অপরিসীম ভূমিকা ছিল, বৈধ এবং অবৈধ পন্থায়।

      মুহাম্মদ, রাম, কৃষ্ণ সম্পর্কেই তো কথাগুলি বললেন? এসব এভাবে বললে তো হচ্ছে না, তথ্যসহ এর ব্যাখ্য দরকার। বৈধ/অবৈধ সম্পর্কে আপনার বিশ্বাসটি ঠিক কি?! কারণ বৈধ/অবৈধ, সত্য/মিথ্যা এসব তো একেবারেই রিলেটিভ টার্ম। আপনি কি আপনার ফিলসফি থেকে এর ব্যাখ্যা করবেন?

      বিশুদ্ধ পানিও আছে। একদলের আছে জমজমের পানিতো অন্যদলের আছে গঙ্গাজল।

      অত্র স্থলে শু্দ্ধ শব্দটি কি যথার্থ হয়?! নদীর পানি, তাও আবার গঙ্গাস্নানের পানি কখনও শু্দ্ধ হওয়ার কথা নয়। ভূগর্ভস্থ থেকে সরবরাহের দরুন আবে জমজমের পানি বিশুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যাই হোক, আপনার শুদ্ধ শব্দটিকে ‘তথাকথিত পবিত্র পানি’ বলা যেতে পারে ।

      ভন্ড নাস্তিক আর আঁতেলে দল ভর্তি।

      উপরোক্ত সিদ্ধান্তটি ক্লিয়ার হলো না। ধর্মের প্রতি আস্থাশীল কাউকে না হয় আপনি আতেঁলই বললেন, নাস্তিক বলবেন কিভাবে? সনাতন ধর্মের নাস্তিক্যের একটা ধারা আছে বলে জানা যায় (তাও একক ভগমানকে এখানে সেইভাবে অস্বীকার করা হয় না), তবে মুসলমানদের ভিতর এর তো চিন্তাই করা যায় না।
      এইসব ভিন্নধারণার পরও বিনাদ্বিধায় বলতে হয়, আপনার লেখাটি বেশ সাহসী, দরকারি, এর বহুল প্রচার অতি আবশ্যক।

      • তানবীরা - ১৮ জানুয়ারি ২০১০ (৪:১৯ পূর্বাহ্ণ)

        কামরুজ্জামান, আপনার সুলিখিত মন্তব্যেটির জন্যে প্রথমেই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ গ্রহন করুন। আমি আমার অনেক লেখায় একটি কথা উল্লেখ করি, আমার জীবনের লেখার খাতায় যতো আঁকিবুকি কাটা তার বেশির ভাগই আমার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে নেয়া। এ লেখাটিও তার ব্যতিক্রম নয়। আপনার মন্তব্যের প্রথম লাইনটি আমার মনকে ছুঁয়ে গেছে। আমার কষ্টার্জিত অভিজ্ঞতার রম্য বটেই এই লেখাটুকু। এখন আপনার মন্তব্যের উত্তরটুকু,

        আমরা যখন প্রথমে ইউরোপে আসি, আমাদের খুব ইচ্ছে ইউরোপটা ঘুরে দেখার। সাধ অনেক থাকলেও সাধ্য সীমিত। অফ সীজনে এখানে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সস্তায় ভ্যাকেশনের আয়োজন করে অনেক কোম্পানী। ইউরোপীয়ান সংস্কৃতি সম্বন্ধে অজ্ঞতার জন্য আমরা সেটা বুঝতে পারিনি। আমরা সেই ট্যুর নিলাম স্পেনের জন্য। গ্রুপে সবাই ৬৫ এর ওপর বয়সী। তারা পরিকল্পনা করে একসাথে আনন্দ করে বন্ধুরা – পরিচিতরা ঘুরতে বেড়িয়েছেন। সাথে আমরা দুজন। ভ্রমনের প্রথমে দূরত্ব থাকলেও আমাদের নিরিবিলিতা দেখে দুদিন পর থেকেই তারা আমাদেরকে তাদের দলে নিয়ে নিলেন। আমরা সেই জৈবিক বৃদ্ধ কিন্তু মানসিক তরুনদের দলে ভীড়ে গেলাম। সারাদিন তারা হইচই করে স্পেন ঘুরছেন, সমুদ্রে সাঁতার কাটছেন, সন্ধ্যেয় সব বন্ধুরা মিলে একসাথে নাচছেন। তখন আমার বার বার আমার বৃদ্ধা দাদীর কথা মনে পড়ত যিনি নিজ ঘরে শুধু নামাজ আর তাসবীহতে জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। এমন একটা জীবনের স্বাদ নেয়ার কোন সুযোগ বা পরিস্থিতি যার জীবনে কোনদিন আসেনি। ইশ্বর প্রার্থনা তাকে কতোটুকু মানসিক শান্তি দিয়েছিলেন সে আমি জানি না। কিন্তু ইউরোপীয়ান বৃদ্ধদের জীবন যে দাদীর চেয়ে সুখতর এতে আমার অন্তত কোন দ্বিধা নেই। এবং পশ্চিমা দেশের ইশ্বরে অবিশ্বাসী লোকেরা অন্তত আমাদের ভারতবর্ষের মানুষদের চেয়ে মানসিক শান্তিতে আছেন সেটা আপনি যেকোন ওয়েব সাইট খুলেই দেখে নিতে পারেন।

        আমি এটি একটি রম্য রচনা লিখেছি। কোন প্রবন্ধ বা আলোচনার ইস্যু হিসেবে নয়। তাই রেফারেন্স উল্লেখ করার প্রয়োজন বোধ করিনি। কিন্তু এ বিষয়টি বহুবার ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে অনেক লেখকের আলোচনায় উঠে এসেছে। তবুও আমি আমার খুব পছন্দের কিছু লেখকের নাম উল্লেখ করছি যারা ভিন্ন আঙ্গিকে জীবনকে ভাবতেন। হুমায়ূন আজাদ স্যার, আরজ আলী মাতুব্বর, আহমদের শরীফ, আহমদ ছফা, দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, পল কার্জ, রিচার্ড ডকিন্স, আকাশ মালিক, আবুল কাশেম।
        ভালো থাকবেন।

        • মুয়িন পার্ভেজ - ১৮ জানুয়ারি ২০১০ (১:৩৫ অপরাহ্ণ)

          আমরা সেই জৈবিক বৃদ্ধ কিন্তু মানসিক তরুনদের দলে ভীড়ে গেলাম। সারাদিন তারা হইচই করে স্পেন ঘুরছেন, সমুদ্রে সাঁতার কাটছেন, সন্ধ্যেয় সব বন্ধুরা মিলে একসাথে নাচছেন। তখন আমার বার বার আমার বৃদ্ধা দাদীর কথা মনে পড়ত যিনি নিজ ঘরে শুধু নামাজ আর তাসবীহতে জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। এমন একটা জীবনের স্বাদ নেয়ার কোন সুযোগ বা পরিস্থিতি যার জীবনে কোনদিন আসেনি। ইশ্বর প্রার্থনা তাকে কতোটুকু মানসিক শান্তি দিয়েছিলেন সে আমি জানি না। কিন্তু ইউরোপীয়ান বৃদ্ধদের জীবন যে দাদীর চেয়ে সুখতর এতে আমার অন্তত কোন দ্বিধা নেই।

          সত্যিই, এ যেন আমাদের দাদি-নানিদের মৃত্যুমুখী জীবনের সাধারণ চিত্র — তসবি ও তিতিক্ষা নিয়ে বেঁচে থাকা। হুমায়ুন আজাদও ইউরোপকে ‘স্বর্গ’ বলেছেন এক সাক্ষাৎকারে, তরুণতরুণীদের উদ্দাম নাচের প্রসঙ্গেই। মানসিক সুস্বাস্থ্যের পক্ষে নৃত্য খুবই উপকারী, সন্দেহ নেই, কিন্তু আমাদের সমাজকে ধর্মের বল্মীক এমন সমাচ্ছন্ন করে রেখেছে যে নিজের স্ত্রী-কন্যাকে নিয়েও নাচতে গেলে বিকৃতভাবে সে-দৃশ্য পরিবেশন করা হয় কারও-কারও প্রবল উৎসাহে; ‘বরাহপোনাদের ঘৃণ্য কুকর্মের নতুন ধরন’ — আলমগীরের এ-লেখাটি তার প্রমাণ।

          আমার মনে হয়, মূলত আর্থসামাজিক দৈন্যের কারণেই ধর্ম অক্টোপাসের মতো আঁকড়ে ধরেছে আমাদের জীবন। নগরকেন্দ্রিক উন্মূল পরিবার কি গ্রামকেন্দ্রিক যৌথপরিবার সর্বত্রই বৃদ্ধবৃদ্ধাদের জীবন যেন ধূসর শবযাত্রার মহড়া — মর্চেপড়া স্বপ্ন আর ঘুণধরা আশা নিয়ে তাঁরা দিনযাপন করেন কোনো এক ‘গডোর প্রতীক্ষায়’ । মনে পড়ছে নচিকেতার ‘বৃদ্ধাশ্রম’ গানটির কথা; ইউরোপে বৃদ্ধাশ্রমে থাকা মা-বাবাদের কথা কি একটু বলবেন, তানবীরা? শুধু ছুটির দিনের বনভোজন নয়, আমাদের প্রতিদিনের জীবনই নৃত্যময় হয়ে ওঠা দরকার।

          শুভকামনা রইল।

          • তানবীরা - ২২ জানুয়ারি ২০১০ (৪:৩৩ পূর্বাহ্ণ)

            মুয়িন, সবার সামনে স্ত্রী – কন্যা নিয়ে নাচটা দোষের হয়ে যায় আর লোকচক্ষুর অন্তরালে অনেক নোংরা কাজের সার্টিফিকেট হয়, “সেটা কারো ব্যক্তিগত ব্যাপার।”। কি বলার আছে বলুন?
            কিছু কিছু ব্যাপারের বৈষম্য এতো বেশি চোখে লাগে যে মাঝে মাঝে কিছু কটু কথা না লিখে পারি না।
            কখনো সময় পেলে বৃদ্ধদের জীবন নিয়ে লিখব, অনেক কিছু নিয়েই অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে ইচ্ছে করে কিন্তু সময় একটা বড় বাধা।
            প্রতিদিনের জীবন নৃত্যময় হয়ে ওঠা আমাদের মানসিক স্থাস্থ্যে জন্য অত্যন্ত জরুরীতো বটেই।
            ধন্যবাদ সাধু মন্তব্যের জন্য।

    • তানবীরা - ১৮ জানুয়ারি ২০১০ (৩:৫৪ পূর্বাহ্ণ)

      বিনয়ভূষণ, অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যটির জন্যে। আমি আপনার মন্তব্যের উত্তরে যা লিখতে চেয়েছিলাম, সেটা মাসুদ করিম লিখেছেন।
      সবাইকে সব জায়গায় একমত হবে, এমনতো নয়, আমাদের মতের ভিন্নতা নিয়েই আমাদের এগোতে হবে।
      আপনার জন্য রইলো অফুরন্ত শুভকামনা।

  2. মনজুরাউল - ১৬ জানুয়ারি ২০১০ (১:০৩ পূর্বাহ্ণ)

    ধর্মাধর্মির এখন পোয়াবারো! ইন্টারনেট, টিউব, আর সব ভিজ্যুয়াল মিডিয়ায় চড়ে বোরাক ভুলেছে! সাত আসমান মনে হয় নজদিগ হয়েছে! ভবিতব্য উল্টো হয়ে দেখা দিচ্ছে! এটা আশঙ্কার!!

    অ.ট. তানবীরা ভাল আছেন?

    • তানবীরা - ১৮ জানুয়ারি ২০১০ (৪:২৪ পূর্বাহ্ণ)

      আশঙ্কা আছে সত্যি তবে আশাও আছে নয় কি?
      আমি ভালো আছি মনজুরাউল, আমাকে মনে রেখেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনি ভালো আছেনতো?

  3. মাসুদ করিম - ১৬ জানুয়ারি ২০১০ (১০:১২ অপরাহ্ণ)

    ধর্ম ধর্মে কত মিল, কিন্তু অমিলটা এখানে — সবাই মনে করে তার নিজের ধর্মটাই শ্রেষ্ঠ। তাই খুব ধর্মপ্রাণ সহজ মানুষটির ব্যাপারেও আমি সন্দিহান, কারণ সেও নিজের ধর্মটাকেই শ্রেষ্ঠ আসন দিয়ে ওই একটি ব্যাপারে শ্রেষ্ঠতার অবুঝ মন নিয়ে মুখিয়েই থাকে। ধর্মহীনতা আজ আমাদের জীবনের জন্য খুবই প্রয়োজন, এবং প্রতিটি ধর্মের প্রতি শত্রুতা নিয়েই আমাদের ধর্মহীন জীবনের পথ চলাকে এগিয়ে নিতে হবে, ধর্মের জাল থেকে বেরিয়ে ধর্মহীনতার দিকে আমাদের যেতেই হবে।

    • তানবীরা - ১৮ জানুয়ারি ২০১০ (৪:২৫ পূর্বাহ্ণ)

      প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আপনার মন্তব্যের সাথে একমত।

  4. আমুন রা' - ১৭ জানুয়ারি ২০১০ (১:০৭ পূর্বাহ্ণ)

    ” যদি একই খোদার হয় রচনা
    তাতে তো ভিন্ন থাকে না
    মানুষের যত রচনা, তা্ইতে ভিন্ন হয়।”
    — লালন

    • তানবীরা - ১৮ জানুয়ারি ২০১০ (৪:২৬ পূর্বাহ্ণ)

      ধন্যবাদ আমুন আপনাকে, আপনার সাধু মত্নব্যের জন্যে।

  5. খেয়ালী মন - ১৭ জানুয়ারি ২০১০ (১:৩৫ অপরাহ্ণ)

    “দুই ধর্মেই পুরুষের নীচে মেয়েদের স্থান, স্বামী পরম গুরু। ”
    আমার জানা মতে এই তথ্য ভুল
    তাই এর বিষদ ব্যাখ্যা প্রমান সহ আশাকরি
    “দুই দলের ধর্মান্ধরাই একে অন্যের বাড়িতে অন্ন গ্রহন করেন না। দু’দলের একই সমস্যা, জাত যাবে। একদল হালাল ছাড়া খাবেন না আবার অন্যদল মুসলমানের ছোঁয়া বলে খাবেন না।”
    সময়ের সাথে এই ধারনার পরিবর্তন হয়েছে । খাবেনা এ্ক কথা আর খাওয়া যাবে না ভিন্ন আপনি কোথায় পেয়েছেন তা বলুন

    • ব্লাডি সিভিলিয়ান - ১৭ জানুয়ারি ২০১০ (৪:৩৫ অপরাহ্ণ)

      খেয়ালি মন, কোথায় পেয়েছেন যে, ধর্মগুলো নারীবাদ প্রচার করে? ‘নারী’ পড়ুন এসংক্রান্ত তথ্য জানার জন্যে।
      আর খাওয়া-ছোঁয়া নিয়ে বাড়াবাড়ি নিজেই দেখেছি। হয়তো, আপনার অভিজ্ঞতা নেই।

      • kheyalimon - ২৩ জানুয়ারি ২০১০ (৩:১১ পূর্বাহ্ণ)

        নারী বাদ প্রচার করে আমি তা কিন্তু বলিনি আমি বলতে চেয়েছি নারীদের স্থান নীচে নয় আমরা আমাদের সমাজ ব্যবস্থার মাধ্যমে তা করছি এবং অনেকাংশে ধর্ম নামক বলধের ঘারে চাপিযে দিচ্ছি ।

    • কামরুজ্জমান জাহাঙ্গীর - ১৭ জানুয়ারি ২০১০ (১১:১৯ অপরাহ্ণ)

      “দুই ধর্মেই পুরুষের নীচে মেয়েদের স্থান, স্বামী পরম গুরু। ”
      আমার জানা মতে এই তথ্য ভুল
      তাই এর বিষদ ব্যাখ্যা প্রমান সহ আশাকরি

      আপনার এই অভিপ্রায়ের পক্ষে কী কী প্রমাণ আছে? ইহকাল ও কথিত পরকালেও নারী পুরুষের অধিনে থাকার নিয়মই তৎপর আছে। এর জন্য ব্লাডিসিভিলিয়ান বলেছেন নারী (তিনি নিশ্চয়ই হুমায়ুন আজাদের নারী‘র কথাই বলেছেন) পড়তে বলেছেন। আমিও তার সাথে একমত। আপনাকে অনুরোধ করব, ইসলাম আর সনাতন হিন্দু ধর্মের নারীর ব্যক্তিত্বের বিকাশ, তার বেড়ে উঠার ভিতর মান্য করা আচারনিষ্ঠা, সম্পত্তিতে অংশীদারিত্ব, বিয়ে, ডিভোর্স, আত্মীয়-স্বজন মরণের পরও তার জন্য নির্ধারিত নিয়ম পুরুষের চেয়ে অবহেলার স্পষ্ট স্বাক্ষর বহন করে। পুরুষের জন্য নির্ধারিত হুর-এর যে লোভনীয় (বলা যায় পর্নোগ্রাফিক ডিটেইলিং) বর্ণনা চালু আছে, সেই তুলনায় নারীর জন্য কী রাখা হয়েছে? পুরুষ পরকালে একালের নিষিদ্ধ সবই পাবে, কিন্তু তথায়ও নারী তার সতীচ্ছেদব্যাকুলতা ভুলতে পারবে কি? শুধু তাই নয়, আপনি প্রত্যেক সৃষ্টিকর্তার পারসোনালিটি খেয়াল করুন, তারা সবাই পুরুষালী ভাবে পরিপূর্ণ এক-একটা সত্তা ছাড়া কিছু্ই নয়।

      • খেয়ালী মন - ২৩ জানুয়ারি ২০১০ (৩:০৫ পূর্বাহ্ণ)

        ধন্যবাদ আলোচনা করার জন্য একটা উদাহরন আমি জানি যদিও ধর্ম নিয়া বেশী কিছুই জানি না
        রামায়ন
        রাম সীতাকে নিয়া ফেরার পর দ্বিতীয় বার যখন তাকে অগ্নী পরিক্ষা দিতে বলে তখন সীতা পাতালে প্রবেশ করে । তথার অবতার রাম কিন্তু তাকে বের করতে পারে নাই।
        আসলে আমার যা মনে হয় নিজেরাই তাদের খাটো করে রেখে ধর্মের দোহাই দেই।
        ভাই নারী পড়ছি ।
        তিনি তার মত বর্ননা করেছেন
        আর অপনি আপনার মত বুজেছেন
        আমি আমার মত ।
        নারীর সম্পত্তিতে ভাগ !
        আইনতো ধর্ম তৈরী করে না করে মানুষ

        • কামরুজ্জমান জাহাঙ্গীর - ২৩ জানুয়ারি ২০১০ (৩:১৬ অপরাহ্ণ)

          আইনতো ধর্ম তৈরী করে না করে মানুষ

          আপনার কথা কি ১০০% সত্যি? বাংলাদেশর সিভিল ল’-এর অনেককিছুই কিন্তু ধর্মের উপর ভিত্তি করেই হয়েছে। যেমন, বিয়ে, ডিভোর্স, সম্পত্তিতে অশীদারিত্ব, এমনকি সামাজিক-ক্রিয়া কর্মের অনেক আইনই যার-তার ধর্মমতে নির্ধারণ করা আছে। এ তো গেল বাংলাদেশের কথা, এমন অনেক দেশ আছে যারা শরীয়া আইন মেনে তাদের সংবিধান রচনা ও পরিচালনা করছে। কাজেই আপনার উপরোক্ত সঠিক নয়।

          • কামরুজ্জমান জাহাঙ্গীর - ২৩ জানুয়ারি ২০১০ (৩:২৭ অপরাহ্ণ)

            আমার লেখা ৫.২.১.১ মন্তব্যটির নিম্নরূপই সঠিক ধরে পড়ার জন্য অনুরোধ করছি।

            আইনতো ধর্ম তৈরী করে না করে মানুষ

            আপনার কথা কি ১০০% সত্যি? বাংলাদেশের সিভিল ল’-এর অনেককিছুই কিন্তু ধর্মের উপর ভিত্তি করেই হয়েছে। যেমন, বিয়ে, ডিভোর্স, সম্পত্তিতে অংশীদারিত্ব, এমনকি সামাজিক-ক্রিয়া কর্মের অনেক আইনই যার-তার ধর্মমতে নির্ধারণ করা আছে। এ তো গেল বাংলাদেশের কথা, এমন অনেক দেশ আছে যারা শরীয়া আইন মেনে তাদের সংবিধান রচনা ও পরিচালনা করছে। কাজেই আপনার উপরোক্ত মন্তব্যটি সঠিক নয়।

          • kheyalimon - ২৫ জানুয়ারি ২০১০ (১০:১৪ পূর্বাহ্ণ)

            “আইনতো ধর্ম তৈরী করে না, করে মানুষ”
            “এমন অনেক দেশ আছে যারা শরীয়া আইন মেনে তাদের সংবিধান রচনা ও পরিচালনা করছে।” এই রচনা ও পরিচালনা কারা? করছে তারা কি ধর্ম না মানুষ
            আসলে আপনি হয়তো আমার কথাটি বুঝতে চান নি বা আমি বুঝাতে পারিনি ।
            “বাংলাদেশর সিভিল ল’-এর অনেককিছুই কিন্তু ধর্মের উপর ভিত্তি করেই হয়েছে। যেমন, বিয়ে, ডিভোর্স, সম্পত্তিতে অশীদারিত্ব, এমনকি সামাজিক-ক্রিয়া কর্মের অনেক আইনই যার-তার ধর্মমতে নির্ধারণ করা আছে। ”
            আপনার এই কথাও ঠিক, কিন্তু ধর্মের উপর ভিত্তি করে কে বা কারা তৈরী করেছে তা বুঝতে হবে । আপনি হয়তো জানবেন প্রয়োজনে এই আইন পরিবর্তনের ক্ষমতা মানুষের কাছে । যেমন ভারত সম্পত্তি অংশীদারিত্ব আইনে মেয়েদের অধিকার ছিলো না এখন তো তার পরিবর্তন হচ্ছে। ধন্যবাদ উত্তর দেবার জন্য

        • রায়হান রশিদ - ২৫ জানুয়ারি ২০১০ (১১:৪০ পূর্বাহ্ণ)

          @ খেয়ালীমন # ৫.২.১

          আইনতো ধর্ম তৈরী করে না করে মানুষ

          আর ‘ধর্ম’ মানুষ তৈরী করে না সে বিষয়ে আপনি নিশ্চিত?

          • kheyalimon - ২৫ জানুয়ারি ২০১০ (৩:০০ অপরাহ্ণ)

            না ভাই নিশ্চিত না ।
            আমিও সেই কথাই কামরুজ্জমান জাহাঙ্গীর ভাইকে বলতে বা বুঝাতে চেষ্টা করেছি, দুই ধর্মেই পুরুষের নীচে মেয়েদের স্থান, স্বামী পরম গুরু
            এটা কোন ধর্মের মতামত নয় তৈরী মানুষের নাম হয় ধর্মের ।
            ধন্যবাদ

    • তানবীরা - ১৮ জানুয়ারি ২০১০ (৪:৩৯ পূর্বাহ্ণ)

      খেয়ালীমন, সময়ের পরিবর্তনের ছোঁয়া থেকে যারা দূরে আমার রম্যটি তাদের ঘিরেই। চারধার দেখে আপনার কি মনে হয়, আমাদের ভেতরটুকু খুব বদলেছে।
      যারা হালাল জাতীয় ট্যাগে বিশ্বাস করে না তাদের অনেকের বাড়িতেই বিশ্বাসী মুমিনগন খাদ্যগ্রহন করেন না। আবার যারা মাছ মাংস খায় তাদের বাড়িতে অনেক নিরামিষী খাদ্যগ্রহন করেন না। আর এটা আমাদের প্রাত্যহিক জীবন।
      সম্পত্তি এর অধিকার থেকে শুরু করে আদালতে সাক্ষী দেবার অধিকারটুকু অব্ধি যারা ধর্মীয় বিধানে মুড়ে কেড়ে নিয়েছেন তারা নারীদের সমান অধিকার দিয়েছেন? বরং এক ধর্ম যদি বলেছে, স্বামীকে সন্তুষ্ট না করলে আল্লাহও সন্তুষ্ট হবে না তো আরেক দল জ্যান্ত নারীকে চিতায় তুলে দিয়েছেন সহমরনের জন্যে। আর এগুলো এখনো ভিন্ন ভিন্ন ফর্মে চালু আছে সমাজে।
      ধন্যবাদ আপনাকে।

      • খেয়ালী মন - ২৩ জানুয়ারি ২০১০ (৩:১৮ পূর্বাহ্ণ)

        “সময়ের পরিবর্তনের ছোঁয়া থেকে যারা দূরে আমার রম্যটি তাদের ঘিরেই। ” এই কথা মেনে নিলাম
        “এক ধর্ম যদি বলেছে, স্বামীকে সন্তুষ্ট না করলে আল্লাহও সন্তুষ্ট হবে না তো আরেক দল জ্যান্ত নারীকে চিতায় তুলে দিয়েছেন সহমরনের জন্যে। আর এগুলো এখনো ভিন্ন ভিন্ন ফর্মে চালু আছে সমাজে।”
        আমার কথাও সেই কথা ভিন্নতা করতে গিয়ে ধর্মের নামে অধর্ম মানুষই করে যেখানে ধর্মের বই মানুষের লেখা হয় ।
        ধন্যবাদ

  6. নীড় সন্ধানী - ১৭ জানুয়ারি ২০১০ (২:২৪ অপরাহ্ণ)

    ধর্ম আসলে পরকালের মুলা। এক কথায় প্রকাশাইলাম!

    • তানবীরা - ১৮ জানুয়ারি ২০১০ (৪:২৮ পূর্বাহ্ণ)

      এককথায় ধন্যবাদালাইম দাদাকে।

  7. গৌতম - ১৭ জানুয়ারি ২০১০ (৪:৫৩ অপরাহ্ণ)

    পরকালে উর্বশী পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকলে মানতে রাজি আছি। 😉

    • তানবীরা - ১৮ জানুয়ারি ২০১০ (৪:২৯ পূর্বাহ্ণ)

      হুমম ঃ)

    • ব্লাডি সিভিলিয়ান - ১৮ জানুয়ারি ২০১০ (৮:০৪ অপরাহ্ণ)

      গৌতম, ঊর্বশী বানানটা ভুল হৈয়েসে আর ভদ্রমহিলা ‘স্বর্গবেশ্যা’। শিক্ষা নিয়া কাম কৈরা শেষমেষ…আহারে…পোলাগুলা কেমনে ধম্ম ধম্ম কৈরা খারাপ হৈয়া যায়…আফসুস…

      • কামরুজ্জমান জাহাঙ্গীর - ১৮ জানুয়ারি ২০১০ (১১:৪৭ অপরাহ্ণ)

        হাহাহা, আলাপ তো দেখি এখন বেশ্যালয়গামী হয়ে যাচ্ছে!
        ব্লাডিসিভিলিয়ানের ঠাট্টাকোলাহলমুখর শুদ্ধিকরণের ভিতর আসুন পাঠকসকল আমরা খানিক ইতিহাস পাঠ করি। স্বর্গবেশ্যাই বলি আর পারিবারিক বেশ্যাই বলি, এই সম্প্রদায়কে আমরা, ভদ্রলোকসকল, দৃশ্যত যত অবহেলা বা ঘৃণা করি, তারা কি এতই অবহেলার যোগ্য? প্রথমেই বলে নিতে হয়, বেশ্যার জন্মের সাথে পুরুষের পুরুষালীই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যুক্ত হয়ে আছে। যখন সামাজিক জীবনের মানবসকল সিঙ্গেল ফ্যামিলির দিকে ধাবিত হন, তখন কিছু রমণীর জীবনযাত্রা বেশ্যার জীবন বরণে বাধ্য হতে থাকে। তাও হয় প্রধানত পুরুষসৃষ্ট দুই প্রবণতার ফলেই। একটি প্রবণতা তৈরি করে শক্তিপ্রবর পুরুষসম্প্রদায়, তা তাদের যৌনতার অবাধ প্রয়োগের জন্যই সৃষ্টি করে রাখে। অন্য ধারাটি নগর-ললনারূপী কিছু স্বাধীনচেতা নারী এতে যুক্ত হতে থাকেন। তারা স্বামী-স্ত্রীর এই জৈবিক জীবনকে শৃঙ্খল জ্ঞান করেন। সংসারের প্রচলিত ঘরদোর অস্বীকার করেন তারা।
        আধুনিককালে সেই ধারার সাথে নারীর নানান সামাজিক-ধর্মজ-আর্থিক লাঞ্ছনার ইতিহাস যোগ হয়। এবং এর হাত থেকে বাঁচতে কথিত অবৈধ জীবনকে বহন করতে বাধ্য হন তারা। নগরসভ্যতার বিস্তৃতির ফলে এর অভ্যরিণ চেহারাও অনেক বদলে গেছে।
        আর আমরা যে সভ্যভব্য পুরুষসকল ক্ষমতার জোরে সংসার কিংবা সংসারবিহীনতার অনেক ক্ষেত্রে বেশ্যালয়ের কাঠামো বজায় রাখছি- এর অবসান কবে হবে?

        • তানবীরা - ২২ জানুয়ারি ২০১০ (৪:৪১ পূর্বাহ্ণ)

          কামরুজ্জমান জাহাঙ্গীর, আপনার সাথে আরো একটু যোগ করছি। কোন পেশাই আসলে অবহেলার নয়। আর এই পেশায় কিন্তু পুরুষরাও আছেন আজকাল। যাদের ইংরেজী নাম আছে “জিগোলো”। বাংলা প্রতিশব্দ খুঁজে নেয়া দরকার এখন আমাদের।

          • কামরুজ্জমান জাহাঙ্গীর - ২২ জানুয়ারি ২০১০ (১:৪২ অপরাহ্ণ)

            জিগোলো-এর বাংলা হতে পারে পুরুষ-দেহজীবী। হ্যাঁ আমি তানবীরার সাথে সহমত প্রকাশ করছি, কোনো পেশাকেই খারাপ দৃষ্টিতে দেখা সঠিক নয়।
            নব্বই দশকে বাংলাদেশে একজন নামকরা চিত্রনায়ক ছিলেন, যাকে বলা হতো মিঃ ঠোকরালী, তিনি বর্তমানে প্রবাসী, যিনি কলবয় হয়ে গিয়েছিলেন।

      • আনোয়ার - ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৯:১৭ অপরাহ্ণ)

        @ ব্লাডি সিভিলিয়ান (মন্তব্য ৭.২)

        এটা কি ব্যক্তিগত আক্রমণ হয়ে গেল না? গৌতমদা খানিকটা হালকা চালেই মন্তব্যটা করেছিলেন; আর তানবীরার লেখাটাও খানিকটা রম্য ধাঁচের!

    • খেয়ালী মন - ২৩ জানুয়ারি ২০১০ (৩:২২ পূর্বাহ্ণ)

      হাসাইলেন ভাই
      ইহকালে যা পাওয়া যায় তার জন্য
      অনিশ্চিৎ পরকালের জন্য অপেক্ষা করতে ক্যান যামু
      সেইটাই মাথায় ধরে না

  8. রায়হান রশিদ - ১৯ জানুয়ারি ২০১০ (৯:২৩ পূর্বাহ্ণ)

    অনেক ধন্যবাদ, তানবীরা। লক্ষ্য করছি পোস্টটিকে যথার্থভাবেই ‘রম্য’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন। কিছু সরলীকরণ হয়তো রয়েছে, তবে (রম্য) ক্যারিকেচারে এটুকু সরলীকরণ তো থাকতেই পারে।
    আবারও ধন্যবাদ।

    • তানবীরা - ২২ জানুয়ারি ২০১০ (৪:৪২ পূর্বাহ্ণ)

      ধর্ম ব্যপারটাই আমার কাছে রংগ মনে হয়। ধন্যবাদ রায়হান আপনাকে।

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.