এক দুরারোগ্য অভ্যাসবশত কোনো কিছু না বুঝেও ধুপধাপ কোনো কোনো বই পড়ে ফেলতে পারি, তেমনি হাতে পাওয়ার ৬/৭ দিনের মধ্যেই পড়ে ফেললাম কৌশিক বসুর সাম্প্রতিক বই অ্যান ইকোনোমিস্ট ইন দ্য রিয়েল ওয়ার্ল্ড : দ্য আর্ট অফ পলিসিম্যাকিং ইন ইন্ডিয়া।[..]

পুরনো বইপ্রস্থ বইপ্রস্থ ২৫ আগস্ট ২০০৯ বইপ্রস্থ ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ বইপ্রস্থ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ বইপ্রস্থ ২৬ জুন ২০১২ বইপ্রস্থ ২৩ এপ্রিল ২০১৩ বইপ্রস্থ ১৮ নভেম্বর ২০১৩ বইপ্রস্থ ১১ মে ২০১৪ বইপ্রস্থ ৫ নভেম্বর ২০১৫ বইপ্রস্থ ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ অর্থনীতিরব্যর্থনীতিঅব্যর্থনীতিসমাজনীতিরাজনীতিসংস্কৃতি An Economist in the Real World : The Art of Policymaking in India ।। Kaushik Basu ।। প্রকাশক : Penguin Viking ।। মূল্য : 599 ভারতীয় টাকা এক দুরারোগ্য অভ্যাসবশত কোনো কিছু না বুঝেও ধুপধাপ কোনো কোনো বই পড়ে ফেলতে পারি, তেমনি হাতে পাওয়ার ৬/৭ দিনের মধ্যেই পড়ে ফেললাম কৌশিক বসুর সাম্প্রতিক বই অ্যান ইকোনোমিস্ট ইন দ্য রিয়েল ওয়ার্ল্ড : দ্য আর্ট অফ পলিসিম্যাকিং ইন ইন্ডিয়া। কৌশিক বসু মনমোহন সিংয়ের দ্বিতীয় টার্মে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন প্রায় তিন বছরের মতো সময়কাল জুড়ে, আমার সাথেও সেসময়েই পরিচয় কৌশিক বসুর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত তার এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের সুবাদে, সে সাক্ষাৎকারের মূল বিষয় ছিল ভারতের ক্রমবর্ধমান ভ্রষ্টাচার যাকে আমরা অতিপ্রচলিত ‘ভুল’ দুর্নীতি শব্দ দিয়ে corruption এর বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহার করছি, সেসাক্ষাৎকারেই তার এই প্রস্তাব আমার ভাল লেগেছিল যে ‘অপমানমূলক ঘুষ (harassment bribery)’ দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে ঘুষ দাতাকে আইন করে নির্দোষ ঘোষণা করে ভারতের বিকট দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটা জরুরি পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে যেখানে ভারতীয় প্রচলিত আইনে দাতা ও গ্রহীতা দুজনেই অপরাধী, এই বইয়েও অষ্টম পরিচ্ছেদে এনিয়ে বিশদ আলোচনা আছে, আমার মতে আমাদের সবারই এপরিচ্ছেদটি পড়ে দেখা উচিত, বাংলাদেশেও আমার মতে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতির বিরুদ্ধে কৌশিক বসুর এই প্রস্তাবটি ভেবে দেখা উচিত। Let me present the gist of this idea. In India ordinary citizens and, at times, even large corporations are asked to pay a bribe for something to which they have legal entitlement. I had called these ''harassment bribes.'' Say a woman has filed her tax return properly and it turns out that the Income Tax Department owes her some money. It is not uncommon for a critical employee of the department to ask for some money before he releases the reimbursement. To give another example: a person has imported…

সিনেমা চর্চার মানুষ - তাই হয়তো পুরো পৃথিবীকে সিনেমা’র চোখ দিয়ে দেখতে ভালোবাসি। গত শতাব্দীর শেষদিক থেকে পৃথিবীর সিনেমা জগতের কর্মী, কলা-কুশলীরা একদিকে যেমন চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে মানুষকে বিনোদিত করেছেন, তেমনি পৃথিবীর অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যতের সমাজ বাস্তবতার অনেক দৃশ্যগত ধারনা, ভাবনা বা প্রশ্নের অভিজ্ঞতাও দিয়েছেন। বাস্তবতার ত্রিমাত্রিক জগতে কোন মানুষের পক্ষে অনেক কিছুর আস্বাদ নেয়ার সুযোগ না থাকলেও, সিনেমার জগতে মোটামুটি সবই পাওয়া যায়। প্রাগৈতিহাসিক সময় নির্ভর ছবি থেকে ভবিষ্যতের কল্পবিজ্ঞান - আমাদের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার পূরণে সিনেমার ভুমিকা অনেক। এমনকি কিছুক্ষেত্রে তো দিক-নির্দেশনাও পেয়ে যাই আমরা। তাই, আধুনিক বিশ্বের দার্শনিক, চিন্তাবিদ, লেখক, মনোবিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ, সমাজবিদ - যে কোনো মানুষের জন্য চলচ্চিত্র অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিল্পমাধ্যম। তবে আজকের আলোচনা এই বিষয়ে নয় । আমি ভারতের সত্তর দশকে নির্মিত ‘শোলে’ (১৯৭৫) ছবিটির একটি বিশেষ দৃশ্য মনে করিয়ে দেবার চেষ্টা করবো। রমেশ সিপ্পি পরিচালিত এই ছবিটি নিয়ে আমাদের দেশে নতুন করে কিছু বলার নেই। আমরা জানি এর কাহিনী’র থিম বিশ্বের অনেক ছবি থেকে নেয়া । আমাদের দেশেও পরবর্তীতে এই ছবির অনুকরনে ‘দোস্ত-দুশমন’ নামে একটি ছবি নির্মিত হয়। কিন্তু অনেক কারণে ‘শোলে’ সারা ভারতে তো বটেই, সারা পৃথিবীর সিনেমা জগতে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে নিয়েছে । ‘শোলে’ ছবিতে ঠাকুর বলদেভ সিংহ ‘রামগর’ গ্রামের একজন জমিদার লোক। তিনি নিজে বিপদ মোকাবেলায় সাহসী একজন মানুষ বলে দেশ ও আইন রক্ষায় পুলিশে চাকরি করেন, টাকার জন্য নয়। একদা তিনি সাহসিকতার সাথে জনপদের মূর্তিমান আতঙ্ক ডাকু সর্দার গব্বর সিং’কে ধরে ফেলেন, জেলে পুরে দেন। কিন্তু ধূর্ত গব্বর সিং জেল থেকে পালিয়ে ঠাকুরের পুরো পরিবারকে (একমাত্র ছোট পুত্রবধূকে ছাড়া) হত্যা করে প্রতিশোধ নেয়। পরিবার হারিয়ে ক্রোধে উন্মত্ত ঠাকুর গব্বরকে ধরতে গিয়ে নিজেই ধরা পরে দুই হাত হারান। পরিনতি’র এক অসহায় জীবনেও তিনি গব্বর সিং-এর উপর প্রতিশোধ নেবার প্রতিজ্ঞা ছাড়েন না। এই কারণে তিনি ভাড়া করেন সাহসী বিপজ্জনক দুই তরুনকে - ভিরু এবং জয় । যারা ঠাকুরের ভাষায়, মুজরিম কিন্তু অমানুষ নয়। এরপর মারামারি, গোলাগুলি চলতে থাকলো ডাকু গব্বর সিং আর ঠাকুরের লোকের সাথে। আপাত অর্থে এই লড়াই কাহিনীতে সকলের শামিল হবার চক্রটা আমরা ধরি এই ভাবে - ঠাকুর…

চোর নির্বাচন [...]

টুইট করতে করতে অনেক সময় এমন কিছু গুচ্ছ টুইট হয়ে যায় যেগুলোকে পোস্টের রূপ সহজে দেয়া যায়। সেকাজটাই এখানে করা হল। আগে এরকম প্রচুর টুইট কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। এখন থেকে ভাবছি, এরকম টুইটগুলোকে ‘টুইট থেকে পোস্টে’ সিরিজে সংগ্রহ করে রাখব। এই পোস্টে সংকলিত টুইটগুলো ক্রমান্বয়ে : এক, দুই, তিন। এখন শুধু একথা মুখ ফুটে বলার বাকি আছে, আমাদের চুরিতে জনগণের সমর্থন আছে -- কারণ জনগণের ভোটে আমরা নির্বাচিত হয়েছি। আর বিরোধীদের একথা মুখ ফুটে বলার বাকি আছে, ওরা আর কত চুরি করবে এবার আমাদেরকে চুরি করার সুযোগ দিন। আর ভোটারদের একথা মুখ ফুটে বলার আছে, আমরা চোর নির্বাচন করি। নির্বাচিত চোর হতে চাইলে আমাদের দুয়ারে আপনাদের আসতেই হবে।

corruption এর বাংলাটাই আমরা ভুল করেছি।[...]

টুইট করতে করতে অনেক সময় এমন কিছু গুচ্ছ টুইট হয়ে যায় যেগুলোকে পোস্টের রূপ সহজে দেয়া যায়। সেকাজটাই এখানে করা হল। আগে এরকম প্রচুর টুইট কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। এখন থেকে ভাবছি, এরকম টুইটগুলোকে ‘টুইট থেকে পোস্টে’ সিরিজে সংগ্রহ করে রাখব। এই পোস্টে সংকলিত টুইটগুলো ক্রমান্বয়ে : এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ, ছয়, সাত, আট। corruption এর বাংলাটাই আমরা ভুল করেছি। দুর্নীতি সুনীতির বিপরীত bad policy, good policyর বাংলা। bad policyর বিচার ও তদন্ত উন্নত বিশ্বেও হয় না,এটা হয়ত হবে পরবর্তী বিশ্বে। অথবা নাম বিভ্রাটে বাংলাদেশের 'দুনীতি দমন কমিশন' সেটা শুরু করার কথা ভাবতে পারে। ঘুষ, অর্থ আত্মসাৎ, টেন্ডারবাজি,অবৈধভাবে বড় বড় সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেয়া এগুলো অসততা, নির্বাহী দূষণ -- সংষ্কৃতে আরো যথার্থ শব্দ আছে, ভ্রষ্টাচার। হিন্দি ভাষায় সংস্কৃত এই শব্দটিই corruption বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। আমরা Anti-Corruption Commissionএর বাংলা করতে পারি 'অসততা দমন কমিশন'। অসৎ কর্মকর্তা, অসৎ ব্যবসায়ী খুব শুনি আমরা, কাজেই এতে কমিশনের অর্থ আরো পরিস্কার হবে। 'দুনীতি দমন কমিশন'কে আমরা রেখে দেব আমরা যখন নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আরো বেশি খারাপ নীতি ভাল নীতি নিয়ে ক্রিটিক্যাল হব, ঢালাও নীতিনির্ধারণ করব না - তখন যখন সবকিছুর পরেও কেউ যদি দুর্নীতির (bad policy) প্রয়োগ করে বসবে তার বিচার করতে। এবং সেবিচার করা অনেক কঠিন কাজ হবে, কারণ দুর্নীতি অনুধাবন যেমন কঠিন দুর্নীতি অসততার চেয়ে অনেক ব্যাপকতা নিয়ে জনগণের ক্ষতি করে, সেক্ষতি নিরুপণ করা কঠিনতম কাজ হবে।

অভিযুক্তদের নাম তো বাজারে সবাই জানে, এই রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার অনেক আগে থেকেই বাজার জানে কারা কারসাজি করেছে – তদন্তের মধ্য দিয়ে তো তাদের করসাজির কৌশলগুলোর চালচলন আমরা জানতে পেরেছি মাত্র।[...]

মুহিত প্রথমেই বললেন, ইউনিপের জন্য শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে। তারপর শেখ হাসিনার অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমান বললেন, শেয়ার ধসের কারণে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের যে-আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তাতে তাদের প্রতি তার কোনো সহানূভুতি নেই – না জেনে না শুনে তারা শেয়ার ব্যবসা করতে এসেছে কেন? এরপর সংসদে শেখ হাসিনা বললেন তিনি শেয়ার ব্যবসা করেন না কাজেই এ ব্যবসার সব তিনি বোঝেন না তবে তিনি অনুরোধ করেছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা যেন ভাল শেয়ার কম দামে বিক্রি না করেন – ধরে রাখেন – বাজার ভাল হলে ভাল দামে শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন। এখন গত বৃহষ্পতিবার শেয়ার কেলেঙ্কারির রিপোর্ট মুহিতের কাছে পেশ করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে মুহিত বলেছিলেন, অভিযুক্তদের অপরাধের প্রমাণ পাওয়া না পর্যন্ত তাদের নাম প্রকাশ করা হবে না – এটা বাদ দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। কিন্তু অভিযুক্তদের নাম তো বাজারে সবাই জানে, এই রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার অনেক আগে থেকেই বাজার জানে কারা কারসাজি করেছে – তদন্তের মধ্য দিয়ে তো তাদের করসাজির কৌশলগুলোর চালচলন আমরা জানতে পেরেছি মাত্র। প্লেসমেন্ট শেয়ার, বুকবিল্ডিং, ব্যাংকের স্পন্সর শেয়ার হোল্ডারদের অতিমূল্যায়িত বাজারে অনেক শেয়ার বিক্রি করে দেয়া, মার্চেন্ট ব্যাংকিং-এর নামে ব্যাংকগুলোর একবোরেই অনিয়ন্ত্রিত শেয়ার ব্যবসা। সবই জানা ছিল, রিপোর্ট পেশ হওয়ার পর একটাই নতুন শব্দ আমার ভাণ্ডারে যোগ হয়েছে সেটা হল 'Omnibus Account' – আমরা ভেবেছিলাম সব বিনিয়োগকারী তার বিও একাউন্টেই তার শেয়ার ব্যবসার সব লেনদেন করেন – কিন্তু এখন জানতে পারলাম বড় বড় ব্যবসায়ীরা তা করেন না – তারা তাদের লেনদেনকে অস্বচ্ছ রাখতে মার্চেন্ট ব্যাংক বা শেয়ার ব্রোকার কোম্পানির 'Omnibus Account'-এ বড় বড় লেনদেন করেন। যাদের নাম অর্থমন্ত্রী জানতে দিতে আপাতত চাচ্ছিলেন না, তাদের নাম রিপোর্টের আগে যেমন সবাই জানত এখন রিপোর্টের পরে আরো ভাল করে জানে। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর কাজ আরো অনেক বড় – তাকে আরো বেশি কথা বলা উচিত 'সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন' কীভাবে চলবে, দেশে 'ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ' হবে কি না এসব নিয়ে পরিকল্পনা তৈরির প্রথমিক কাজ শুরু করে দেয়া। আর তার যদি মনে হয় তার একার দ্বারা এই কাজ করা সম্ভব নয় তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে বলা তাকে সহায়তা দিতে – অর্থমন্ত্রণালয়ের জন্য একটা উপদেষ্টা পরিষদ গড়ে দিতে, যে-পরিষদে…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.