আলমাসে ইউনূস নিয়মিত লুকিয়ে লুকিয়ে সামাজিক ছবি দেখতেন।
আলমাসে নিয়মিত [...]
আলমাসে নিয়মিত [...]
আলমাসে ইউনূস নিয়মিত লুকিয়ে লুকিয়ে সামাজিক ছবি দেখতেন।
এই বিদঘুটে শিরোনাম কার জন্য দাগা হয়েছে সবাই নিঃসন্দেহে বুঝতে পেরেছেন[...]
এই বিদঘুটে শিরোনাম কার জন্য দাগা হয়েছে সবাই নিঃসন্দেহে বুঝতে পেরেছেন, হ্যাঁ, পদ্মা সেতুর মতো আর কে আছে যার জন্য এমন বিদঘুটে শিরোনাম দাগা যায়? এবার, আমি কেন এরকম বিদঘুটে শিরোনাম দাগলাম? আমি না জানি সংস্কৃত না জানি অর্থনীতি কিন্তু সবসময় অর্থনীতির ধ্রুপদী সংস্কার নিয়ে কথা বলি। তাহলে, আমি ছাড়া আর কে আছে যার মন থেকে এমন বিদঘুটে শিরোনাম বের হবে? কিন্তু এই বিদঘুটে শিরোনামের উদ্দেশ্য কী? এই আরেক আকাশকুসুম কল্পনা – ভাবছি এই বিদঘুটে শিরোনামের মন্ত্রপুত হয়ে সরকার পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্প নিয়ে আরো সাবধানতা অবলম্বন করবে। ভয় পাবেন না, বিচি অনেক বেশি হয়ে গেলেও, কাঁকরোলটা ছোটই হবে। পদ্মা সেতু এমন কোনো প্রকল্প নয়, যে তা এখনই এই মুহূর্তে যেকোনো উপায়ে করে ফেলতে হবে। পদ্মা সেতু এক সুবিশাল প্রকল্প, এই প্রকল্প সম্পন্ন করতে কোনো একটি কারণে বা কোনো বিবিধ কারণে যদি প্রকল্প ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, তাহলে মুদ্রাস্ফীতির ধারায় থাকা বর্তমান অর্থনীতির মুদ্রাস্ফীতির সূচক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তার খেয়াল আছে আমাদের? যদি খেয়াল থাকে তাহলে রোগনির্ণয় তো হয়ে গেল, এবার চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেই হয়। চিকিৎসা কী? একটাই। যেখান থেকে যেভাবে টাকা আসুক, সেটা আসতে হবে, আর সরকারকে সম্ভব সবগুলো উপায় পর্যালোচনা করে কোন ফাইনান্সিয়াল প্রস্তাবটি প্রকল্পের গুণগত মান নিশ্চিত করবে ও প্রকল্পের ঋণপ্রবাহের সুদকে সর্বনিম্নে বেঁধে রাখবে এবং শেষ পর্যন্ত এই প্রকল্পের প্রান্তিক ভোক্তাদের সবচেয়ে কম সেবামূল্যে সেতুটির সেবা ব্যবহার করার সুযোগ দেবে – এই ভাবনাগুলো সর্বাধিক বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নেয়া। চারিদিক দিক থেকে শুধু শোনা যাবে, পারে নাই – পারবে না। কিন্তু সরকারকে ভাবতে হবে এই প্রকল্প যেন মুদ্রাস্ফীতির বাঁধ ভেঙ্গে না দেয়। এবং এই ভাবনার সফলতায় যখন পদ্মা সেতু হবে তখন ‘পারে নাই – পারবে না’দের মুখ বন্ধ হয়ে যাবে।
নিচ্ছে দিচ্ছে করছে চাই [...]
একটু + নিচ্ছে একটু - দিচ্ছে একটু × করছে একটু ÷ করছে, দেখি, কারো কোনো উদ্বেগ নেই। কিন্তু যখনই = অধিকার চাই তখনি তেড়ে আসে উগ্র আপত্তি।
- একটি গাড়ি কখন পরিবেশ দূষিত করে? - যখন গাড়িটি চলে।[...]
- একটি গাড়ি কখন পরিবেশ দূষিত করে? - যখন গাড়িটি চলে। তাহলে গাড়ি থেকে কার্বন নিঃসরণ কমাতে হলে গাড়ি চালানো কমাতে হবে। গাড়ি চালানো কমাতে হলে গাড়ি (কার, বেবিটেক্সি) কম চালিয়ে গাড়িতে (ট্রেন, বাস) চড়া বাড়াতে হবে। এবং এর জন্য সরকারের নাগরিক যাতায়াত পরিকল্পনায় অনেক বেশি কমিউনিটি ট্রান্সপোর্ট নিয়ে ভাবতে হবে। সকালে স্কুলে যাওয়া ও অফিস-কারখানায় যাওয়া, দুপুরে স্কুল থেকে ফেরা ও সন্ধ্যায় অফিস-কারখানা থেকে ফেরা, এই যানবাহনের পিকআওয়ার শুধু অসহনীয় ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি করছে না, জ্যামের পর্দার আড়ালে ওই সময়ে কার্বন নিঃসরণের মাত্রাও দিনের অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। স্কুলবাস সত্যিই এক বড় সমাধান হবে, এদিকে নাগরিক মাত্রেরই নজর দেয়া উচিত, এবং এই পরিকল্পনাকে সফল করতে সিটি করপোরেশন ও সরকারের যাতায়াত বিভাগের পূর্ণ কর্মতৎপরতা প্রয়োজন। অফিস ও কারখানার জন্য কমিউনিটি বাস ও কমিউনিটি ট্রেন চালু করা উচিত, এবং আমাদেরও নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে অফিসে কারখানায় যাওয়ার অভ্যাসের ইতি ঘটানো উচিত। জনসংখ্যার এক অতি কম অংশ আমাদের দেশে নিজেদের গাড়ি ব্যবহার করে, কিন্তু এই অতি ক্ষুদ্র অংশই এখন সবচেয়ে বড় দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে, গত ২ বছরে দেশে জ্যামের সবচেয়ে বড় কারণ কারের সংখ্যা বৃদ্ধি, এভাবে কার বাড়তে থাকলে, আমরা যারা সরু রাস্তার আবাসিক এলাকায় থাকি তাদেরকে কারের উপর দিয়ে হেঁটে রাস্তা পার হতে হবে। এমনকি ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েতেও এখন কারের ছড়াছড়ি। হাইওয়েতে কার চলাচল ঠেকাতে কারের ওপর অতিরিক্ত টোল আরোপ করা উচিত। যাদের কার কেনার সামর্থ্য আছে ও যাদের কার আছে, তারা কি কার কিনবেন না বা চালাবেন না ? অবশ্যই চালাবেন ও কিনবেন, এবং কার চালাবেন সন্ধ্যায়। এবং আস্তে আস্তে আমাদের এমন নীতির দিকে চলে যাওয়া উচিত যে, যিনি গাড়ি চালাতে জানেন না তিনি গাড়ি কিনতে পারবেন না। নিজেদের মধ্যে এই সচেতনতা ‘চড়ব বেশি চালাব কম’ নীতির বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমাদের ব্যক্তিগত যাতায়াত ভাবনা আরো যুগোপযোগী করে তোলা উচিত। এর ক্যাম্পেইন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে এবং আমাদের হতে হবে দায়িত্ববান সচেতন নাগরিক। আর সব সময়ের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ একটি জাতীয় প্রধান পরিকল্পনার মর্যাদা পাওয়া উচিত এবং দেশের প্রতিটি দম্পতির অগ্রাধিকারভিত্তিক পরিকল্পনা হওয়া উচিত তাদের সংসারকে ছোট রাখা।…
শহুরে জীবন একেবারেই উন্নীত হলো না নাগরিক জীবনে। এখানেই নিজেকে বড়ো নিঃস্ব মনে হয় আমার। গত এক যুগ আমি শুধু গ্রামের সাথে সংযোগহীন নই, এ সময়কালে আমি নিজেকে গড়েও তুলেছি নাগরিক মূল্যবোধে। আমার চিন্তায় চেতনায় আমি কৃষির চেয়ে বেশি শিল্পলগ্ন, জীবনে যেমন, জীবনাচরণেও[...]
নিজের গ্রামে যাই না এক যুগ হয়ে গেছে। আবার আমার শহুরে জীবনেরও তিন দশক হতে চলল। জীবনের গত এক যুগে হারিয়েছি গ্রামের সেই মাঠ জল বাগান বাতাস, আর শহরে হারিয়েছি আমার নিজের কৈশোর যৌবনের কয়েকটি খেলার মাঠ, কিছু প্রিয় খোলা জায়গা, কিছু মোহমায়ার পাহাড়। কী হারিয়েছি, কেন গত কয়েক বছর নিজের নিভৃতে হাহাকার ওঠে, কী বলি তখন, কোথায় যেন দৃষ্টিহীনভাবে তাকিয়ে থাকি, বারবার কীসের কথা ভাবি, কী প্রেমটাই হারালাম, কে চলে গেল এ জীবন থেকে, কত হাজার বার কত রকম করে কত স্বরে কত অনুযোগে, আমি জানি নেই আমার শুধু : এক একর সবুজ ঘাস। শহুরে জীবন একেবারেই উন্নীত হলো না নাগরিক জীবনে। এখানেই নিজেকে বড়ো নিঃস্ব মনে হয় আমার। গত এক যুগ আমি শুধু গ্রামের সাথে সংযোগহীন নই, এ সময়কালে আমি নিজেকে গড়েও তুলেছি নাগরিক মূল্যবোধে। আমার চিন্তায় চেতনায় আমি কৃষির চেয়ে বেশি শিল্পলগ্ন, জীবনে যেমন, জীবনাচরণেও। আমার প্রিয় বিষয়ের মধ্যে দুটি উল্লেখযোগ্য আগ্রহ হলো চিত্রকলা ও আর্কিটেকচার। প্রকৃতির পাশাপাশি আমি সচেতন নির্মাণ ভালোবাসি। একটি শহর এই সচেতন নির্মাণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই নগর হয়ে ওঠে। ডেভেলপার, মেয়র, নগর উন্নয়ন কর্তা এরাই হলো শহরকে নগর করে তোলার মূল চালিকাশক্তি, এদের চূড়ান্ত অসচেতনতাই দেশের প্রধান দুই শহরের নগর হয়ে ওঠার পথ অবরুদ্ধ করে রেখেছে যুগের পর যুগ। কনক্রিট সত্যিই এক ভালোবাসার বস্তু, কিন্তু তার পাশেও থাকতে হয়, এক একর সবুজ ঘাস, কনক্রিটকেও ভাবতে হয় পাহাড়ের কথা, বহতা দখলমুক্ত নদীই সবচেয়ে প্রাণবন্ত করে কনক্রিটকে, নদী বা সমুদ্র পাড়েই গড়ে ওঠে কনক্রিট হটস্পট। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমাদের প্রধান দুই শহর, একটি নদীর পাড়ে ও আরেকটি মোহনা এবং পাহাড়ের সমন্বয়ে, প্রতিভাদীপ্ত প্রাকৃতিক অবস্থান পেয়েও আজ শহর হতে শহরের জঞ্জালে পর্যবসিত। জলবায়ু পরিবর্তনের কথা যতই বলা হচ্ছে, বিশ্বের বড় বড় কর্তারা বারবার এর ‘উপশম’-এর কথা বলছেন, মানে রোগনির্ণয় হয়ে গেছে এখন এর চিকিৎসার কথা বলছেন। রোগনির্ণয়ে ক্ষতগুলো সব ধরা পড়েছে এশিয়ায় আফ্রিকায় ও দক্ষিণ আমেরিকায়। এ অঞ্চলগুলো থেকে এখন কার্বন নির্গমন কমানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করতে হবে। এর মধ্যে চীন ৪০ শতাংশ ও ভারত ২০-২৫ শতাংশ কার্বন নির্গমন কমানোর লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলও হয়তো…