নতুন কাল সমাগত। উন্নয়ন ও ইসলাম : এই কালের ফসল ঘরে উঠে গেছে। নতুন কালে নতুন দিনের যদি জন্ম না হয়, যদি উন্নয়নসাম্য ও সংস্কৃতিসভ্যতা আমাদের সৃষ্টিশীল রাজনৈতিক পরিসরে প্রবিষ্ট না হয় - তাহলে বাংলাদেশের বর্তমান সংকট আরো উৎকট সংকটেই পর্যবসিত হবে।

দূর থেকে বাংলাদেশকে দেখতে গিয়ে, ২০০৯ এর শুরু থেকে ২০২৪ এর অর্ধাংশ পর্যন্ত, দুটি শব্দে যখন এক সিংহলি বন্ধুকে – যেবন্ধুটির ব্যবসায়িক সূত্রে বছরের নয় মাসই কাটত বাংলাদেশে – সেই বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে বললাম, কলকাতায় বসে সে আমাকে বলল : উন্নয়ন ও ইসলাম। আমি কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে বসেছিলাম, কারণ ঠিক এই দুটি শব্দই আমি অন্য এক সূত্রে ২০১৯ সালের শেষে কলকাতায় আমার ঘনিষ্ঠ এক অত্যন্ত প্রভাবশালী সাংবাদিকের মুখে শুনেছিলাম, তিনি আমাকে বলেছিলেন – কলকাতায় সেবার ইডেনে গোলাপী টেস্ট উদ্বোধনে শেখ হাসিনা এসেছিলেন এবং তাদের মধ্যে কথাবার্তার এক পর্যায়ে – শেখ হাসিনা নাকি বলেছিলেন উন্নয়ন ও ইসলাম নিয়ে বাংলাদেশে তার সরকার কখনোই কোনো আপোস করবেন না। এখন এই উন্নয়ন ও ইসলাম পাশাপাশি আমি আরো অনেকের কাছে বিগত বছরগুলোতে আরো অনেক বার শুনেছি এবং আমিও এটা ধরে নিয়েছি বাংলাদেশে ২০১৯ এর শুরু থেকে ২০২৪ এর অর্ধাংশ পর্যন্ত শেখ হাসিনার শাসনে উন্নয়ন ও ইসলাম উচ্চকিত হয়েছে। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই এতে আমি কোনো অর্থেই উন্নয়ন ও ইসলাম নিয়ে কোনো ধরনের বিরূপ ধারণার প্রতি

আকৃষ্ট হইনি এবং শেখ হাসিনার শাসনের মূলমন্ত্র যদি উন্নয়ন ও ইসলাম হয়ে থাকে তাতেও আমি কোনো সমস্যা না দেখে বরং এই দুই মূলমন্ত্র ধরে তিনি বাংলাদেশকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন সেটাতেই আমি সতত উদগ্রীব থেকেছি। কিন্তু যেটা আমার বলার কথা, আজ এখানে, তা হল এই উন্নয়ন ও ইসলাম এখন যেভাবেই হোক তার শাসনকাল অতিক্রম করেছে, তবুও এখনো আমরা দেখতে পাচ্ছি – বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে যারা শাসন করতে আসতে পারে এবং বাংলাদেশকে এখন যারা শাসন করছে, তারাও একই ভাবে না হলেও অন্য ভাবে এই উন্নয়ন ও ইসলামকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতেই মশগুল আছে। আমাকে বলতেই হবে, তারা ভুল করছে, এবং শুধু তাই নয় – আজ কোনো যাদুবলে শেখ হাসিনাও যদি বাংলাদেশকে শাসন করতে শুরু করে, তাহলে তার জন্যও এটা চরম ভুল হবে আবার তার পুরনো মন্ত্র উন্নয়ন ও ইসলামে তার ক্ষমতাচক্রকে সাজিয়ে তোলা। অর্থাৎ, আমি এটাই বলতে চাইছি উন্নয়ন ও ইসলামের কাল শেষ হয়ে গেছে, নতুন কাল সমাগত, তাই আমরা যেই হই না কেন, আমরা যদি পুরোনো কালের উন্নয়ন ও ইসলামকে আঁকড়ে…

আলমাসে নিয়মিত [...]

আলমাসে ইউনূস নিয়মিত লুকিয়ে লুকিয়ে সামাজিক ছবি দেখতেন।

এই বিদঘুটে শিরোনাম কার জন্য দাগা হয়েছে সবাই নিঃসন্দেহে বুঝতে পেরেছেন[...]

এই বিদঘুটে শিরোনাম কার জন্য দাগা হয়েছে সবাই নিঃসন্দেহে বুঝতে পেরেছেন, হ্যাঁ, পদ্মা সেতুর মতো আর কে আছে যার জন্য এমন বিদঘুটে শিরোনাম দাগা যায়? এবার, আমি কেন এরকম বিদঘুটে শিরোনাম দাগলাম? আমি না জানি সংস্কৃত না জানি অর্থনীতি কিন্তু সবসময় অর্থনীতির ধ্রুপদী সংস্কার নিয়ে কথা বলি। তাহলে, আমি ছাড়া আর কে আছে যার মন থেকে এমন বিদঘুটে শিরোনাম বের হবে? কিন্তু এই বিদঘুটে শিরোনামের উদ্দেশ্য কী? এই আরেক আকাশকুসুম কল্পনা – ভাবছি এই বিদঘুটে শিরোনামের মন্ত্রপুত হয়ে সরকার পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্প নিয়ে আরো সাবধানতা অবলম্বন করবে। ভয় পাবেন না, বিচি অনেক বেশি হয়ে গেলেও, কাঁকরোলটা ছোটই হবে। পদ্মা সেতু এমন কোনো প্রকল্প নয়, যে তা এখনই এই মুহূর্তে যেকোনো উপায়ে করে ফেলতে হবে। পদ্মা সেতু এক সুবিশাল প্রকল্প, এই প্রকল্প সম্পন্ন করতে কোনো একটি কারণে বা কোনো বিবিধ কারণে যদি প্রকল্প ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, তাহলে মুদ্রাস্ফীতির ধারায় থাকা বর্তমান অর্থনীতির মুদ্রাস্ফীতির সূচক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তার খেয়াল আছে আমাদের? যদি খেয়াল থাকে তাহলে রোগনির্ণয় তো হয়ে গেল, এবার চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেই হয়। চিকিৎসা কী? একটাই। যেখান থেকে যেভাবে টাকা আসুক, সেটা আসতে হবে, আর সরকারকে সম্ভব সবগুলো উপায় পর্যালোচনা করে কোন ফাইনান্সিয়াল প্রস্তাবটি প্রকল্পের গুণগত মান নিশ্চিত করবে ও প্রকল্পের ঋণপ্রবাহের সুদকে সর্বনিম্নে বেঁধে রাখবে এবং শেষ পর্যন্ত এই প্রকল্পের প্রান্তিক ভোক্তাদের সবচেয়ে কম সেবামূল্যে সেতুটির সেবা ব্যবহার করার সুযোগ দেবে – এই ভাবনাগুলো সর্বাধিক বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নেয়া। চারিদিক দিক থেকে শুধু শোনা যাবে, পারে নাই – পারবে না। কিন্তু সরকারকে ভাবতে হবে এই প্রকল্প যেন মুদ্রাস্ফীতির বাঁধ ভেঙ্গে না দেয়। এবং এই ভাবনার সফলতায় যখন পদ্মা সেতু হবে তখন ‘পারে নাই – পারবে না’দের মুখ বন্ধ হয়ে যাবে।

নিচ্ছে দিচ্ছে করছে চাই [...]

একটু + নিচ্ছে একটু - দিচ্ছে একটু × করছে একটু ÷ করছে, দেখি, কারো কোনো উদ্বেগ নেই। কিন্তু যখনই = অধিকার চাই তখনি তেড়ে আসে উগ্র আপত্তি।

- একটি গাড়ি কখন পরিবেশ দূষিত করে? - যখন গাড়িটি চলে।[...]

- একটি গাড়ি কখন পরিবেশ দূষিত করে? - যখন গাড়িটি চলে। তাহলে গাড়ি থেকে কার্বন নিঃসরণ কমাতে হলে গাড়ি চালানো কমাতে হবে। গাড়ি চালানো কমাতে হলে গাড়ি (কার, বেবিটেক্সি) কম চালিয়ে গাড়িতে (ট্রেন, বাস) চড়া বাড়াতে হবে। এবং এর জন্য সরকারের নাগরিক যাতায়াত পরিকল্পনায় অনেক বেশি কমিউনিটি ট্রান্সপোর্ট নিয়ে ভাবতে হবে। সকালে স্কুলে যাওয়া ও অফিস-কারখানায় যাওয়া, দুপুরে স্কুল থেকে ফেরা ও সন্ধ্যায় অফিস-কারখানা থেকে ফেরা, এই যানবাহনের পিকআওয়ার শুধু অসহনীয় ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি করছে না, জ্যামের পর্দার আড়ালে ওই সময়ে কার্বন নিঃসরণের মাত্রাও দিনের অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। স্কুলবাস সত্যিই এক বড় সমাধান হবে, এদিকে নাগরিক মাত্রেরই নজর দেয়া উচিত, এবং এই পরিকল্পনাকে সফল করতে সিটি করপোরেশন ও সরকারের যাতায়াত বিভাগের পূর্ণ কর্মতৎপরতা প্রয়োজন। অফিস ও কারখানার জন্য কমিউনিটি বাস ও কমিউনিটি ট্রেন চালু করা উচিত, এবং আমাদেরও নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে অফিসে কারখানায় যাওয়ার অভ্যাসের ইতি ঘটানো উচিত। জনসংখ্যার এক অতি কম অংশ আমাদের দেশে নিজেদের গাড়ি ব্যবহার করে, কিন্তু এই অতি ক্ষুদ্র অংশই এখন সবচেয়ে বড় দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে, গত ২ বছরে দেশে জ্যামের সবচেয়ে বড় কারণ কারের সংখ্যা বৃদ্ধি, এভাবে কার বাড়তে থাকলে, আমরা যারা সরু রাস্তার আবাসিক এলাকায় থাকি তাদেরকে কারের উপর দিয়ে হেঁটে রাস্তা পার হতে হবে। এমনকি ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েতেও এখন কারের ছড়াছড়ি। হাইওয়েতে কার চলাচল ঠেকাতে কারের ওপর অতিরিক্ত টোল আরোপ করা উচিত। যাদের কার কেনার সামর্থ্য আছে ও যাদের কার আছে, তারা কি কার কিনবেন না বা চালাবেন না ? অবশ্যই চালাবেন ও কিনবেন, এবং কার চালাবেন সন্ধ্যায়। এবং আস্তে আস্তে আমাদের এমন নীতির দিকে চলে যাওয়া উচিত যে, যিনি গাড়ি চালাতে জানেন না তিনি গাড়ি কিনতে পারবেন না। নিজেদের মধ্যে এই সচেতনতা ‘চড়ব বেশি চালাব কম’ নীতির বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমাদের ব্যক্তিগত যাতায়াত ভাবনা আরো যুগোপযোগী করে তোলা উচিত। এর ক্যাম্পেইন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে এবং আমাদের হতে হবে দায়িত্ববান সচেতন নাগরিক। আর সব সময়ের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ একটি জাতীয় প্রধান পরিকল্পনার মর্যাদা পাওয়া উচিত এবং দেশের প্রতিটি দম্পতির অগ্রাধিকারভিত্তিক পরিকল্পনা হওয়া উচিত তাদের সংসারকে ছোট রাখা।…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.