উত্তরপশ্চিমে বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে ভারতীয় মাওবাদীরা পৌঁছে গেছে। তারা এখন মুর্শিদাবাদ নদীয়া ও মালদায় ঘাঁটি গড়েছে। এটা মাওবাদীদের কৌশলগত সম্প্রসারণ। সম্প্রতি মাওবাদীদের অপারেশনগুলো ভারত সরকার ও মিডিয়াকে ভাবাচ্ছে। এতদিন বলা হত তাদের অস্ত্রের উৎস ভারতের অস্ত্র বাজারেই সীমাবদ্ধ। এখন কিন্তু সরকার ও মিডিয়া উভয়েরই আঙ্গুল উঠেছে বাংলাদেশের অস্ত্রের কারবারিদের দিকে। ভারতীয় মিডিয়া এখন বলছে বাংলাদেশের উত্তরপশ্চিম সীমান্তে মাওবাদীরা এসে কিছু অস্ত্র এর মধ্যে কিনে নিয়ে গেছে এবং আরো অস্ত্রের বায়নানামা সম্পাদনের প্রয়োজনীয় বোঝাপড়া সেরে গেছেন এবং এখানকার অস্ত্রের কারবারিদের সাথে তাদের একটি গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আর এই অঞ্চলের চরমপন্থিদের সাথেও মাওবাদীদের দুয়েকটি বৈঠকের কথাও মিডিয়া বলছে এবং কিছু সংবাদমাধ্যম এতটুকু পর্যন্ত বলছে যে ভারতীয় মাওবাদীরা বাংলাদেশে মাওবাদের সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখতে চায়। ভারত সরকার শুধু বলেছে, মুর্শিদাবাদ নদীয়া ও মালদা তিন জেলায় যে বিস্তীর্ণ এলাকা আছে সীমান্তে, সেই সীমান্ত পথকেই অস্ত্রের চালানের কাজে ব্যবহার করতে চায় মাওবাদীরা। মাওবাদীদের কয়েকজন নেতা নাম বদল করে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো ঘুরে গেছেন।আমরা তো বাংলাদেশে আমাদের অস্ত্র কারবারিদের সম্বন্ধে কিছুই জানি না। কিন্তু সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অস্ত্র কারবারিদের নাম আছে। আগে বাংলাদেশের ইসলামি জঙ্গি, উলফা এবং ভারতের ইসলামি জঙ্গিদের সাথে এখানকার অস্ত্র ব্যবসায়ীদের ভয়ঙ্কর সম্পর্কের কথা আমরা অনেক শুনেছি। কিন্তু ঠিক কারা কারা এই অস্ত্র ব্যবসায়ের গডফাদার, তাদের সংখ্যাই বা কত, তার কোনো ধারণা আমরা আজো আমাদের সরকার বা মিডিয়ার কাছ থেকে পাইনি। এই ধরনের নাশকতার শক্তিধর চক্রের সমীক্ষা জানতে সরকার ও মিডিয়া ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের সব সরকার ও সব মিডিয়া এই বিষয়টিতে সবসময়ে অত্যন্ত রক্ষণশীল ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু সময় হয়ে গেছে, এখনই সরকার ও মিডিয়াকে রক্ষণশীল ভূমিকা পরিত্যাগ করতে হবে না হয় বাংলাদেশের অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সব গোপন আঁতাতগুলো ভয়ঙ্কর সব পদক্ষেপের দিকে এগিয়ে যাবে। যেদিকটি সরকার ও মিডিয়ার সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখা উচিত, তা হল, সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা যেন মাওবাদী ও বাংলাদেশের অস্ত্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনোভাবেই গোপন আঁতাতটি শক্তিশালী না হয়ে ওঠে। কারণ এই আঁতাত যদি একবার দৃঢ় হয় তবে বাংলাদেশে মাওবাদী উগ্রপন্থা বিস্তারের হাজারটা সম্ভাবনাহীনতার কারণ থাকলেও এই উগ্রপন্থার সম্প্রসারণ ঘটবেই – এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। কারণ আমার মতে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত উগ্রপন্থী এখন মাওবাদীরা – চূড়ান্ত সামরিক দক্ষতা ও গেরিলা আক্রমণ ঠেকানোর মতো সাঁড়াশি রণকৌশল জানা না থাকলে মাওবাদীদের কেউ ঠেকাতে পারবে না। আর বাংলাদেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে এখন আর আদিবাসী বসতি তেমন না থাকলেও বাংলাদেশের দরিদ্রতম অঞ্চল এটি এবং বাংলাদেশের খনি সম্পদ যা আছে তাও এ অঞ্চলেই আছে। এবং আমরা সবাই জানি মাওবাদীরা এই দারিদ্র ও খনি যেখানে সেখানে তাদের উগ্রপন্থা বিস্তারে খুবই সফল। তাই আমাদের সরকার ও মিডিয়ার সময় এসেছে অস্ত্র ও অস্ত্র ব্যবসায়ের কালোবাজারটিকে নিয়ে আরো সতর্ক হওয়া ও প্রতিবেদন মনস্ক হওয়া। আর এটাও আমরা সবাই জানি আমাদের সরকার ও মিডিয়ার যত দেরী হয়ে যাবে ততই উগ্রপন্থীদের বন্দুকের নলের কাছে আমরা পৌঁছে যাব।
মাসুদ করিম
লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।
Have your say
You must be logged in to post a comment.
২৪ comments
মোহাম্মদ মুনিম - ১৬ এপ্রিল ২০১০ (৫:০৮ পূর্বাহ্ণ)
ভারতের নকশালদের আন্দোলনকে আন্দোলন না বলে এক ধরনের organized crime syndicate বলা যায়। তারা চাঁদাবাজির মাধ্যমে মোটামুটি ভাবে ১৫০০ কোটি টাকার একটা tax base তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চাঁদার বিনিময়ে নিরাপত্তা পাচ্ছে, বেকার যুবক শ্রেণী কাজ পাচ্ছে (কাজ মানে নকশাল আন্দোলনের কর্মী হবার কাজ), এই নিরাপত্তা আর কাজ কোনটাই ভারতীয় সরকার দিতে পারেনি। খুব শীঘ্রি পারবে বলেও মনে হয় না। বোম্বে আর হায়দ্রাবাদে রাতারাতি কল সেন্টার বসিয়ে বিদেশী কাঁচা পয়সা এনে বাহবা কুড়ানো যত সহজ, গহিন বনাঞ্চলে শক্তিশালী অর্থনীতি চালু করা তত সহজ নয়।
বিশ্বের অন্যান্য স্থানেও radical রাজনীতি কেন্দ্রিক এই জাতীয় syndicate আছে। আফ্রিকাতে যেমন আছে হীরক খনি কেন্দ্রিক বিদ্রোহী গ্রুপ, দক্ষিণ আমেরিকাতে যেমন আছে মাদক ব্যাবসা কেন্দ্রিক মাওবাদীরা, আফগানিস্তানে আছে পপি চাষ কেন্দ্রিক তালেবান। এদের রাজনীতি মুলধারার কেউ খাবে না, কিন্তু এরা থেকেই যাবে, যতদিন না কেন্দ্রীয় সরকার চলনসই আঞ্চলিক অর্থনীতি চালু করতে পারে। মাঝে মাঝে সেনা অভিযান চালিয়ে এই syndicate গুলোকে মোটামুটি মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করা হয়। কিন্তু মুল equilibrium তাতে খুব একটা নষ্ট হয় না। শ্রীলঙ্কাতে তামিলরা আন্দোলনও তাই ছিলো, ইউরোপ আমেরিকায় থাকা প্রবাসী তামিলদের পাঠানো টাকাতে বেশ চলছিল বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, শ্রীলঙ্কা সরকার ব্যাপক লবিয়িং করে বিদেশী source বন্ধ করে তারপর সেনা অভিযান চালিয়ে আন্দোলন সমূলে উৎপাটন করেছে।
বাংলাদেশে তো দীর্ঘদিন ধরে সর্বহারার ঝামেলা ছিলোই। যে দেশে মোটামুটি কোটির উপরে বেকার যুবক আছে, তারা তো চরমপন্থী আন্দোলনে যাবেই, সেটা মার্ক্সবাদ, ইসলাম, একটা কিছু হলেই হল, একটা syndicate দাঁড়িয়ে গেলেই হলো, মাসে মাসে কয়েক হাজার টাকার বন্দোবস্ত হলে বাংলাদেশের অনেক যুবকই অস্ত্র হাতে নিবে, বা আত্মঘাতি বোমারু হয়ে যাবে। তবে বাংলাদেশ ছোট সমতল ভুমি হওয়াতে সেনা অভিযান চালিয়ে এইসব আন্দোলন নির্মূল করা খুব কঠিন হবার কথা নয়। কিন্তু সেনাবাহিনীর মধ্যেই আছে ডিজিএফআই নামের ভূত। ভারতকে মুশকিলে ফেলার মত নকশাল যদি দেশে থাকে, তবে এর চেয়ে ভাল তো কিছু হয় না। ‘দশ ট্রাক’ অস্ত্র এরাই নিজের হাতে পৌঁছে দিবে।
বিনয়ভূষণ ধর - ১৭ এপ্রিল ২০১০ (১২:২৫ অপরাহ্ণ)
@মাসুদ ভাই!
আপনার মতো আমরাও খুব উদ্বেগের সাথে ব্যাপারটি খেয়াল করেছি। সন্ত্রাসের মাধ্যমে মাওবাদীদের যেভাবে বিস্তার ঘটেছে তা থেকে কিভাবে আমরা সবাই পরিত্রান পেতে পারি তা নিয়ে আমাদের সবার খুব গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা উচিত। কারণ আর যাই হোক মানুষ হত্যা আর সন্ত্রাস করে বর্তমান বিশ্বে অধিকার আদায়ের নামে অপ-রাজনীতি মানুষ এখন আর গ্রহন করেনা। মাওবাদীদের বিষয়টি নিয়ে গতকাল প্রথম আলো পত্রিকায় একটি চমৎকার কলাম লিখেছেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক জনাব হাসান ফেরদৌস। পড়ুন এখানে…
মনজুরাউল - ২৩ এপ্রিল ২০১০ (৩:০৪ পূর্বাহ্ণ)
লেখককে মনে হলো ভয় পেয়ে স্পোকসম্যানের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন!
মোহাম্মদ মুনিম এর মন্তব্যে একাত্তরে ইন্দীরা গান্ধীর রাষ্ট্রীয় বিবৃতির গন্ধ পাওয়া গেল! ভাল। ভীত বা আতঙ্কিত হওয়া ভাল। তাতে করে অন্তত “organized crime syndicate” এর ভূত দেখা রদ হতে পারে।
ব্লাডি সিভিলিয়ান - ২৬ এপ্রিল ২০১০ (১২:১৭ অপরাহ্ণ)
@ মনজুরাউল:
এটা স্পোকসম্যানের দায়িত্ব কি? লেখকের মনোভাব প্রকাশ করামাত্রই কি তাঁকে কোন না কোনভাবে ট্যাগড হতেই হবে?
মাওবাদীরা আপনার কাছে আদর্শবাদী, বুঝলাম। কিন্তু, এর অন্যদিকটা দেখার বা আলোচনা করার সম্ভাবনা একেবারে রদ করাটা কি শুধু ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্যেই মুছবে?
মাসুদ করিম - ১ মে ২০১০ (১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ)
ভারতের রিজার্ভ পুলিশের ভেতরেই আছে মাওবাদীদের কাছে অস্ত্র বিক্রির কারবারের লোকজন। পুলিশের পাঁচ সদস্যসহ অস্ত্র কারবারের সাথে জড়িত মোট ছয় জনকে প্রেপ্তার করেছে ভারতীয় বিশেষ টাস্ক ফোর্স। পড়ুন এখানে।
মাসুদ করিম - ৩ মে ২০১০ (১০:১৪ পূর্বাহ্ণ)
বাংলাদেশের অস্ত্র কারবারিদের কাছ থেকে অস্ত্র কিনছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস। এবং এই অস্ত্র কেনার স্বীকারোক্তি করেছেন তৃণমূলের শিশির অধিকারী, যিনি আবার ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই মর্মে গতকাল দিল্লির নতুন সাপ্তাহিক (এই সাপ্তাহিক পত্রিকাটি এম.জে আকবরের উদ্যোগ, একসঙ্গে প্রকাশিত হয় দিল্লি ও লন্ডন থেকে, এখনো কোনো ওয়েব সংস্করণ প্রকাশ করছে না, তবে শীঘ্রই এর ওয়েব সংস্করণ আসবে) ‘দি সানডে গার্ডিয়ান’ একটি স্টোরি প্রকাশ করে TMC minister gave money to buy arms। ওই পত্রিকার স্টোরির ভিত্তিতে আজকের গণশক্তি পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘বাংলাদেশ থেকে অস্ত্র কিনছেন তৃণমূলের মন্ত্রী’। আমাদের অস্ত্র কারবারিরা উপমহাদেশে বারবার খবরের শিরোনাম হচ্ছেন, কিন্তু এদের বিরুদ্ধে সত্যিই কি কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, বা আমরা কি সত্যিই আমাদের মিডিয়া থেকে এদের বিষয়ে জানতে পারছি? প্রসঙ্গত ‘ডেইলি স্টার’-এ প্রকাশিত কুমিল্লায় এক কালভার্ট এলাকায় ৭০০০ বুলেট পাওয়ার ঘটনাও উদ্বেগজনক।
মাসুদ করিম - ২ জুন ২০১০ (১:১৮ পূর্বাহ্ণ)
মাওবাদী ট্যাকল করার বিষয়ে ফিরদাউস আহমেদের এই লেখাটির প্রতিটি অক্ষর পড়া উচিত। বিশেষত মাওবাদী ঠেকাতে গিয়ে না ভারত তার ‘রেড ইন্ডিয়ান মুহূর্ত’-এর চোরাবালিতে তলিয়ে যায়, তাই জিডিপি সামান্য কয়েক ভাগ কম হলেও লেখক খনি নির্ভর অর্থনীতিতে বিরতি দিতে অনুরোধ করেছেন। হ্যাঁ, রেড ইন্ডিয়ান মুহূর্তের খপ্পরে যেন না পড়ে ভারত — এটা আমাদেরও আকাঙ্ক্ষা।
পুরো লেখাটি পড়ুন এখানে।
মাসুদ করিম - ২৭ আগস্ট ২০১০ (১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ)
আত্মসমর্পণ করল মাওবাদী শোভন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণার পর শোভনই প্রথম আত্মসমর্পণকারী মাওবাদী। খবরটি পড়ুন এখানে ও এখানে।
মাসুদ করিম - ৩০ আগস্ট ২০১০ (৯:২৪ অপরাহ্ণ)
২৫ আগস্ট ২০১০-এর এই পোস্ট দিয়ে আজিজুল শুরু করেছেন তার ব্লগ। এখন থেকে আজিজুল হককে প্রিন্ট মিডিয়ার বাইরে ইন্টারনেটে পড়া যাবে : haqueazizul.blogspot.com।
আর এখানে পড়ুন তার ২৮ অগাস্ট ২০১০-এর ব্লগপোস্ট : একজন মাও-চিন্তাধারা অনুগামীর চোখে যুদ্ধবিরতি ।
মাসুদ করিম - ২ আগস্ট ২০১১ (৯:৫২ পূর্বাহ্ণ)
এবার বাংলাদেশের উত্তরপূর্বে আসামেও মাওবাদী তৎপরতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। অসমীয়া পত্রিকা ও আসামের বাংলা পত্রিকায় এই ধরনের খবর এখন প্রতি সপ্তাহেই চোখে পড়ছে, কিন্তু এই পত্রিকাগুলোর লিন্ক শেয়ার করা যায় না। অবশ্য কিছু কিছু ব্লগে আসামে মাওবাদী তৎপরতা নিয়ে পোস্ট এবছরের প্রথম থেকেই দেখা যাচ্ছে। ফেব্রুয়ারি ২০১১-এর North East (India) Blog-এর একটি পোস্ট থেকে
বিস্তারিত পড়ুন : Maoist in North East India : A fact now।
মাসুদ করিম - ১৮ আগস্ট ২০১১ (৩:৫৩ অপরাহ্ণ)
ভারতের মাওবাদী নেতা কিষাণজি ও অন্য নেতারা উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদী আঞ্চলিক সশস্ত্র শক্তিগুলোর সঙ্গে যোগসূত্র গড়ার গোপন চেষ্টা চালাচ্ছে। এনএনএস কলকাতার গতকালের বিশ্লেষণ। পড়ুন লিন্কটিতে গিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বে গণভিত্তি বাড়াতে তৎপর মাওবাদীরা এই শিরোনামের খবরটি।
মাসুদ করিম - ১০ ডিসেম্বর ২০১১ (২:২৫ অপরাহ্ণ)
মাওবাদী নেতা কিষাণজিকে হত্যার পর উত্তর-পূর্বের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে মাওবাদীদের আঁতাত ও তাতে চীনের সম্পৃক্ততা আরো পরিস্কার হচ্ছে।
বিস্তারিত পড়ুন : Kishenji’s N-E Nexus Exposed।
মাসুদ করিম - ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ (৩:১৪ অপরাহ্ণ)
ভারতের মাওবাদীদের কাছে বাইরের অস্ত্র, বিশেষ গেরিলা বাহিনী গড়ছে তারা, বাংলাদেশের সাতক্ষীরার সরিষাকঠি ও কুষ্টিয়ায় নিয়েছে প্রশিক্ষণ, সম্পৃক্ততায় নাম উঠেছে নেপাল শ্রীলন্কারও। পড়ুন এখানে : মাওবাদীদের হাতে বাইরের অস্ত্র ১/২ ও মাওবাদীদের হাতে বাইরের অস্ত্র ২/২।
মাসুদ করিম - ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ (৬:৫০ অপরাহ্ণ)
আসামে মাওবাদী তৎপরতা বৃদ্ধির কথা আবারো উঠল, এবার বললেন, ভারতের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিব জি.কে পিল্লাই।
লিন্ক এখানে।
মাসুদ করিম - ২২ মার্চ ২০১২ (২:১৮ অপরাহ্ণ)
আর এবার ভারতের সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদাম্বরম বললেন, উত্তর-পূর্বেও আছে মাওবাদীরা। লিন্ক এখানে।
মাসুদ করিম - ৩ মার্চ ২০১২ (১০:০০ পূর্বাহ্ণ)
আগেই শোনা যাচ্ছিল এই আঁতাতের কথা মাওবাদী-পরেশ বড়ুয়া-আইএসআই, এখন ভারতের জিনিউজ গোয়েন্দা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বলছে এই আঁতাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট ও সংবাদসংস্থার খবর কতটুকু সত্য আমরা জানি না। তবে ব্যাপারটি চূড়ান্ত উদ্বেগজনক।
লিন্ক : Link between ISI-Maoists revealed।
মাসুদ করিম - ১১ মে ২০১২ (৫:৪৫ অপরাহ্ণ)
আসামে মাওবাদী নিয়ে জল্পনা কল্পনার আর কিছু নেই। প্রথমে খবর আসামে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে চার মাওবাদী মৃত, তারপরেই খবর মাওবাদীদেরকে উলফার পরেশ গোষ্ঠীর নৈতিক সমর্থন।
মাসুদ করিম - ১৮ মার্চ ২০১২ (২:৩৯ অপরাহ্ণ)
এবার শুরু হল বিদেশি নাগরিক অপহরণ। গতকাল ভারতের উড়িষ্যায় মাওবাদীরা দুই ইতালিয়ান পর্যটককে অপহরণ করেছে।
খবরের লিন্ক এখানে।
মাসুদ করিম - ১৪ মে ২০১২ (১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ)
নেপাল ভুটানের মাওবাদীদের গন্তব্য কি তাহলে আসাম? ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্ট তাই বলছে এবং বলা হচ্ছে প্রশাসন সতর্ক, কিন্তু কতটুকু সতর্ক? খবরের লিন্ক এখানে।
মাসুদ করিম - ১৪ মে ২০১২ (১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ)
মাওবাদী তৎপরতা শুধু সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড নয়, এটি ভারত রাষ্ট্রের প্রতি একটা আদর্শিক হুমকি। তরুণ সাংবাদিক কুনাল মজুমদার লিখছেন
বিস্তারিত পড়ুন : Maoism’s ideological threat to India।
মাসুদ করিম - ১১ জানুয়ারি ২০১৩ (৬:৫৯ অপরাহ্ণ)
মৃতদেহের পেটের ভেতর বোমা ঢুকিয়ে দিয়ে নাশতকার চেষ্টা, অভিনব কৌশল ভারতীয় মাওবাদীদের, ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী সিআরপিএফের নিহত সৈনিকের পেট কেটে তাজা বোমা ঢুকিয়ে পেট সেলাই করে দিয়েছিল মাওবাদীরা উদ্দেশ্য ছিল নিহত সৈনিকের দেহ নেয়ার সময় কোনো ভাবে তার পেটে চাপ পড়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটবে এবং নাশকতার মধ্য দিয়ে আরো প্রাণহানি ঘটবে। মৃতদেহের পেট থেকে দেড় কেজি ওজনের বোমাটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং সেই প্রার্থিত নাশকতা থেকে বাঁচা গেছে যদিও কিন্তু মৃতদেহ বহনকারী হেলিকপ্টার বা মৃতদেহে ময়নাতদন্তকারী হাসপাতালে মৃতদেহের পেটে কোনোভাবে চাপ পড়লেই ঘটে যেতে পারত ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ।
বিস্তারিত পড়ুন : মাওবাদীদের নতুন কৌশল! নিহত জওয়ানের পেটের ভেতরে বিস্ফোরক।
মাসুদ করিম - ১২ মার্চ ২০১৪ (১০:২২ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ (৭:৪০ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ১৬ অক্টোবর ২০১৭ (১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ)