সাপ্তাহিক দুটি ছুটির দিন (শুক্র ও শনি)-এর প্রথমটিতে আমি সাধারণত বাইরে কোনোরকম কাজ না রেখে বউ ছেলের সঙ্গে কাটাই। মাঝে মাঝে যে এ নিয়মে ব্যত্যয় ঘটে না তা নয়। যেমন গত সপ্তাহে বউ-ছেলেকে বিশেষ জরুরি কাজের অজুহাত দেখিয়ে বন্ধুদর্শনে উত্তরা চলে যাই এবং বিকেলটা খুবই আনন্দে কাটাই। এই আনন্দের হাত-পা-চোখ-মুখ খুলে দেখানো এ পোস্টের উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য যাত্রাপথের একটি দারুণ অভিজ্ঞতা বিনিময়। (more…)

গত ২৯ জুলাই মুক্তাঙ্গন ব্লগে শ্রদ্ধেয় প্রবীণ লেখক দ্বিজেন শর্মার লাউয়াছড়ার শেকড় শিরোনামে একটি পোস্ট প্রকাশিত হয়। পোস্টটিতে মন্তব্য করতে গিয়ে লক্ষ করলাম কথায় কথায় তা অনেক দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে। তাই ভাবনাগুলোকে আলাদা পোস্টের আকারে তুলে ধরাই সমীচীন মনে হল [...]

গত ২৯ জুলাই মুক্তাঙ্গন ব্লগে শ্রদ্ধেয় প্রবীণ লেখক দ্বিজেন শর্মার লাউয়াছড়ার শেকড় শিরোনামে একটি পোস্ট প্রকাশিত হয়। পোস্টটিতে মন্তব্য করতে গিয়ে লক্ষ করলাম কথায় কথায় তা অনেক দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে। তাই ভাবনাগুলোকে আলাদা পোস্টের আকারে তুলে ধরাই সমীচীন মনে হল। ১. দ্বিজেন শর্মার লেখাটিতে সাম্প্রতিক কালের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় একসাথে উঠে এসেছে। তার মধ্যে যে কয়েকটি খুব সহজেই চিহ্নিত করা যায়, সেগুলো হল : জলবায়ু পরিবর্তন এবং বাংলাদেশের পানির নীচে তলিয়ে যাবার সম্ভাবনা; জৈব জ্বালানীর লাগামহীন উত্তোলন, ব্যবহার এবং তার সাথে পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্পর্ক; দেশীয় তেল গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর ওপর বিদেশী কোম্পানিগুলোর আধিপত্যমূলক আগ্রাসন এবং এ ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার জন্য ঘরে-বাইরে গজিয়ে ওঠা স্বার্থান্বেষী মহল; পুঁজিবাদের অন্তর্নিহিত দ্বন্দ্ব এবং সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার অনিবার্যতা; এবং সাম্যবাদী সমাজকে ঘিরে লেখকের স্বপ্ন। শিরোনামে লাউয়াছড়ার উল্লেখ থাকলেও পুরো লেখাটির প্রথম বাক্যটি ছাড়া আর কোথাও লেখক এর আর কোনো উল্লেখ করেননি, যা বিশেষভাবে চোখে পড়ে। দরকার পড়ে না হয়তো। কারণ, যে অনেকগুলো বিষয়কে ঘিরে এই পোস্ট, তার প্রায় সবগুলোই কীভাবে যেন লাউয়াছড়ার মতো যা কিছু সবুজ, যা কিছু প্রাকৃতিক তার সাথে একসূত্রে গাঁথা। সে অর্থে লাউয়াছড়া কিছু গাছ আর দুর্লভ প্রজাতির প্রাণীর আবাসই শুধু নয়, এর শেকড় বুঝি আমাদের সময়ের আরো অনেক গভীরে প্রোথিত। নিশ্চিত নই, তবে লেখক হয়তো তা‌-ই বোঝাতে চেয়েছেন। ২. বেশ কয়েক বছর আগের কথা। মাগুরছড়া গ্যাসফিল্ডে বিস্ফোরণের জন্য দায়ী অক্সিডেনটাল কর্পোরেশনকে ততদিনে স্থলাভিষিক্ত করেছে ইউনোকল নামের আরেক বিদেশী কোম্পানি। তারা ২০০৪ সালে হাতে নিল পাইপ লাইন তৈরির কাজ (এখানে দেখুন)। বাংলাদেশ সরকারও খুব খুশি। নির্মিতব্য সে পাইপ লাইনের গতিপথ ঠিক করা হল মৌলভীবাজারে অবস্থিত লাউয়াছড়া জাতীয় পার্কের ভেতর দিয়ে। (এখানে লাউয়াছড়ার কিছু স্থিরচিত্র আছে)। (এই তথ্য বাংলাদেশের এক স্বনামধন্য পরিবেশ আইনজীবীর কাছ থেকে শোনা)। যে সময়ের কথা তখন এই পার্কটির সংরক্ষিত স্টেটাসের ব্যাপারটি নাকি (তাঁর মতে) এখনকার মতো এত স্পষ্ট ছিল না। ফলত পরিবেশবাদীরা কিছুটা বেকায়দাতেই পড়ে যান পাইপ লাইনটির প্রস্তাবিত রুটের বিরোধিতা করতে গিয়ে। কারণ সরকারের এক গোঁ -- 'পরিবেশবাদীরা যদি প্রমাণ করতে পারেন যে বনটি সরকারি নীতি অনুযায়ী "সংরক্ষিত", কেবল তখনই বিষয়টা বিবেচনা করা হবে'। অদ্ভুত শর্ত! সরকারি দলিল-দস্তাবেজ ঘেঁটে পরিবেশবাদীদেরই নাকি…

কয়েকদিন আগে বিপ্রদাশ বড়ুয়া পঞ্চাশ বছরের একটি গাছের যাবতীয় কাজের একটা মূল্যায়ন করেছিলেন। একটি পঞ্চাশ বছরের গাছ যে অক্সিজেন তৈরী করে তার মূল্য ৭.৫ লাখ টাকা, জীবজন্তুর আমিষ সরবরাহ করে ৬০ হাজার টাকা, মাটির ক্ষয়রোধ ও উর্বরতা বৃদ্ধির মূল্য ৭.৫ লাখ টাকা, জলের আবর্তনচক্রের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রনের মূল্য ১৫ লাখ টাকা, পাখি ও পোকামাকড় ইত্যাদির আশ্রয় হিসেবে মূল্য ৭.৫ লাখ টাকা। মোট ৪৭ লাখ ১০ হাজার টাকা।

বেসরকারি সংস্থা সেড আয়োজিত 'মধুপুর ও লাউয়াছড়া : বিপন্ন বন, বিপন্ন ঐতিহ্য' শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী গোলটেবিল বৈঠকের (২১--২৭ জুন) আগের দিন টিভিতে একটি সংবাদ শুনে বিষাদে আক্রান্ত হই। লন্ডনের একটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, এই শতকের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরের লোনাজলে তলিয়ে যাবে। (more…)

পরীক্ষামূলক পোস্ট১

স্বাগতম।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.