g42 সাম্রাজ্যবাদ ফ্যাসিবাদের রূপ নিচ্ছে। অবশ্যই তা আগের কায়দায় নয়। তবে আগের সঙ্গে এবারের মিল চিরায়ত ফ্যাসিবাদের যে মিল তা-ই: কর্পোরেশনের মদদ, সামরিকায়ন, ঝাঁঝালো সাংষ্কৃতিক চটক, ম্যাস মিডিয়ার ম্যাস কালচারাল ডেসট্রাকশসনের ক্ষমতা, ধর্মীয় রক্ষণশীলতার ব্যবহার ইত্যাদি। হিটলারের লক্ষ্য ছিল রাশিয়াসহ পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোসহ আফ্রিকা ও এশিয়ার রিসোর্স দখল, নয়া উপনিবেশায়ন, উন্নত প্রজাতি সৃষ্টি। আর এবারের ফ্যাসিবাদেরও লক্ষ্য সেই একই, মধ্য এশিয়া, পশ্চিম আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার রিসোর্স দখল, মধ্যপ্রাচ্যে নয়াউপনিবেশ স্থাপন এবং শ্বেতাঙ্গ পাশ্চাত্যের সাংষ্কৃতিক শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করা। হিটলারের ঘৃণার রাজনীতি ইহুদি হলোকস্ট ঘটিয়েছিল। আর পাশ্চাত্যের পুঁজিবাদী শক্তির ঘৃণার শিকার হয়ে বসনিয়া, রুয়ান্ডা, সোমালিয়া, ইরাক. আফগানিস্তান, কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনে মুসলিম হলোকস্ট চালু আছে। কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের আদলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গুয়ানতানামো ও আবু ঘারিব কারাগার। এ নিয়ে যুক্তি-তর্ক-প্রমাণাদি হাজির করা যায়। আপাতত দৃশ্য দিয়ে তা উপস্থাপন করা যাক [...]

সাম্রাজ্যবাদ ফ্যাসিবাদের রূপ নিচ্ছে। অবশ্যই তা আগের কায়দায় নয়। তবে আগের সঙ্গে এবারের মিল চিরায়ত ফ্যাসিবাদের যে মিল তা-ই: কর্পোরেশনের মদদ, সামরিকায়ন, ঝাঁঝালো সাংষ্কৃতিক চটক, ম্যাস মিডিয়ার ম্যাস কালচারাল ডেসট্রাকশসনের ক্ষমতা, ধর্মীয় রক্ষণশীলতার ব্যবহার ইত্যাদি। হিটলারের লক্ষ্য ছিল রাশিয়াসহ পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোসহ আফ্রিকা ও এশিয়ার রিসোর্স দখল, নয়া উপনিবেশায়ন, উন্নত প্রজাতি সৃষ্টি। আর এবারের ফ্যাসিবাদেরও লক্ষ্য সেই একই, মধ্য এশিয়া, পশ্চিম আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার রিসোর্স দখল, মধ্যপ্রাচ্যে নয়াউপনিবেশ স্থাপন এবং শ্বেতাঙ্গ পাশ্চাত্যের সাংষ্কৃতিক শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করা। হিটলারের ঘৃণার রাজনীতি ইহুদি হলোকস্ট ঘটিয়েছিল। আর পাশ্চাত্যের পুঁজিবাদী শক্তির ঘৃণার শিকার হয়ে বসনিয়া, রুয়ান্ডা, সোমালিয়া, ইরাক. আফগানিস্তান, কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনে মুসলিম হলোকস্ট চালু আছে। কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের আদলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গুয়ানতানামো ও আবু ঘারিব কারাগার। প্যাট্রিয়ট অ্যাক্ট দিয়ে খোদ আমেরিকায় এবং সন্ত্রাস দমনের নামে গোটা দুনিয়ায় নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। সন্দেহ নাই ওবামার আবির্ভাবে এই কাজের ওপর মায়াবি ঘোর টেনে দেবে কিছু কালের জন্য। তবে আমেরিকা+ইসরায়েল+ব্রিটেন+অস্ট্রেলিয়া+কানাডা+জাপান ও ভারত মিলে একটা অক্ষ শক্তিও দাঁড়িয়ে গেছে। এ নিয়ে যুক্তি-তর্ক-প্রমাণাদি হাজির করা যায়। আপাতত দৃশ্য দিয়ে তা উপস্থাপন করা যাক|

কতিপয় খবরের কাগজ সহ ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো যেভাবে বিদেশী সাহায্যকারীদের সংবাদ ফলাও করে প্রকাশ করে তাতে মনে হয় এটি অশুভ চক্রের পাঁয়তারা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা বাংলাদেশের মানুষ তাদের বক্তব্য বা পরামর্শ শুনতে চাই না। যদি শুনতেই  হয়, যে-সময় যে-সরকার থাকবে তারা শুনবে এবং প্রয়োজন মনে করলে প্রয়োগ করবে। আমাদের সাধারণ মানুষদের তা নিয়ে এত মাথাব্যথা নেই। দয়া করে তাদের সংবাদ ফলাও করে প্রকাশ করার কারণ অথবা উদ্দেশ্য আমাদেরকে বলবেন কি? সংবাদ সংস্থাগুলো কিসের মোহে কূটনীতিক পাড়া বা বিশ্বব্যাংক বা আই.এম.এফ. প্রেরিত ব্যক্তিত্বকে এত গুরুত্ব দিয়ে থাকে! বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের অবদান বা অংশগ্রহণ কতটুকু তা সংবাদমাধ্যমগুলো দয়া করে প্রকাশ করবেন কি? অথবা এ যাবৎ তাদের ঋণের বিপরীতে কত টাকা আমরা সুদ দিয়েছি বলবেন কি? আপনাদের মাধ্যমে জাতি তা জানতে চায়। আপনাদের মাধ্যমে এই সুদখোরদের হিরো বানাতে চাই না। তাদের সংবাদ বা পরামর্শ যতটুকু সম্ভব পাশ কাটিয়ে যাওয়া উচিত। তারা কখনো জনগণের পক্ষে ওকালতি করতে আসে না। আসে আমাদের দেশের মূল্যবান সম্পদ চুরির ষড়যন্ত্র করতে। তারা কোনো আমলে কোনো সময় বৃহৎ জনগোষ্ঠীর পক্ষে কথা বলেনি। এমনকি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং ১৯৯০-এর গণ অভ্যুত্থানের সময়ে তাদের ভূমিকাও সকলের জানা। তারা সবসময় নব্য স্বৈরাচারী, নব্য রাজাকার, নব্য মিরজাফর তৈরিতে ব্যস্ত থাকে। তাদের মধ্যে এখনো ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আচরণ বিদ্যমান। দোষ আমাদেরই, আমরা শিক্ষা নিই না। কথা থেকে যায়, আমরা যদি আমাদের কয়েকজন বুদ্ধিজীবীকে তাদের দেশে পরামর্শ দেয়ার জন্য প্রেরণ করি তারা কি আমাদের এই বুদ্ধিজীবীদের পরামর্শ গ্রহণ করবে? অথবা আপনাদের মতো কাভারেজ দেবে? দেবে না। আমি বিব্রত বোধ করি যখন আমাদের দেশের মিডিয়ার কল্যাণে ঐ দেশের একজন ৩য় শ্রেণীর কর্মকর্তা আমাদের দেশে এসে হয়ে যান ন্যাশনাল ইস্যু বা জাতীয় ব্যাক্তিত্ব। যে ব্যক্তিটির সংবাদ পরিবেশন করা হলো তার দেশে তার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু? বা সে এই মর্যাদার কতটুকু প্রয়োগ করতে পারবে? যদি এতো প্রচার কাজে আসতো, তারা ফিরে গিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারতো তাহলে আমার কোনো দুঃখ ছিল না। তারা আমাদের দেশে আসে অল্প খরচে কিছু বিনোদনের আশায়, সাথে বাড়তি প্রাপ্তি সংবর্ধনা বা আদরযত্নের আশায়। যেসব ব্যক্তি খুব কার্যকর ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে,…

মৌলবাদ দমনে বিশ্বের নীতিনির্ধারকরা প্রকৃতপক্ষে আন্তরিক কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ, মৌলবাদ সব সময়ই সামন্তবাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। বিশেষ করে সমাজতান্ত্রিক বিশ্বকে ভেঙে খান খান করে দিতে পুঁজিবাদীরা এটাকে ব্যবহার করেছে। এমন কি গোত্রগত সংঘাত চাঙ্গা করে রাখতেও ব্যবহৃত হয়েছে মৌলবাদী দানতন্ত্র। তবে কি পরোক্ষভাবে গণতন্ত্রই মৌলবাদের সহচর? আসতে পারে সে প্রশ্নটিও। দেখা গেছে, গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার নামে কোন কোন দেশে মৌলবাদকে উসকে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে- এটাও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। পুঁজিবাদীরা একে ব্যবহার করেছে তাদের প্রয়োজনে। পরে দেখা গেছে এভাবেই ছড়িয়ে পড়েছে বিষবাষ্প। দূষিত হয়ে গিয়েছে ক্রমশ! গোটা বিশ্বের মুক্তিকামী গণতান্ত্রিক মানুষের নিঃশ্বাসের আবাসস্থল। সাম্প্রতিক উদাহরণ হিসেবে ইরাকের কথাই ধরা যাক। ইরাকের শাসক সাদ্দাম হোসেন স্বৈরাচারী ছিলেন। ইরাক শিয়া অধ্যুষিত দেশ। তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ভোট হলে শিয়ারা ক্ষমতায় থাকবে সারাজীবন। সুন্নী পন্থী সাদ্দাম হোসেন টুঁটি চেপে ধরে ছিলেন। ক্ষমতায় ছিলেন বলপূর্বক। এই সাদ্দাম একসময় ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের। সে সম্পর্কে ফাটল ধরার পরই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের শাসকদের কাছে চোখের বালিতে পরিণত হন। সাদ্দামের দেশ ইরাকে গণবিধ্বংসী পরমাণু অস্ত্র আছে, এমন ধুয়া তুলে যুক্তরাষ্ট্র। তারপর যুদ্ধ বাধায়। সে যুদ্ধ এখনো চলছে। ইরাক এখন ধ্বংসস্তূপ। তারপরও পুঁজিবাদীর দৃষ্টি সেখানে প্রসারিত। নেপথ্য নিয়ন্ত্রণ রাখার মরিয়া প্রচেষ্টা চলছে। অন্যদিকে বিদ্রোহীরা মৌলবাদী লেবাসে হোক আর জঙ্গিবাদী লেবাসে হোক প্রতিদিন চোরাগোপ্তা হামলা করছে। শেষ সময়ে এসে আক্রান্ত হয়েছেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। একজন সাংবাদিক বুশকে জুতো নিক্ষেপ করেছেন। তার নাম মুন্তাজার আল যাইদী। জাইদীর ক্ষোভ ছিল ভীষণ, তিনি স্বজন হারিয়েছেন এই যুদ্ধে। নিজে বন্দি থেকেছেন। ইরাক যুদ্ধে নিহত মানুষের লাশ জাইদীকে ব্যথিত করেছে। তিনি তার ঘৃণার চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। এমন ঘৃণা পুঁজিবাদী দুঃশাসন এবং মৌলবাদী হায়েনা দুটোকেই উসকে দেয়। বুশের মাথার ওপর দিয়ে একজোড়া জুতো উড়ে যাওয়ার পর বুশ সাংবাদিকদের হেসে কি বলেছেন- সেটা দেখুন। বুশ মসকারা করে বলেছেন- ‘ইট ওয়াজ এ সাইজ টেন’! অর্থাৎ জুতা জোড়া দশনম্বর ছিল। ভাবটা যেন এমন, চৌদ্দ নম্বর জুতা তার মাথার ওপর দিয়ে উড়ে গেলেও তার কিছু যায় আসে না! এর কারণ কি? কারণটি হচ্ছে সামন্তবাদ ধরে রাখতে হলে এমন ঘটনাবলী সহজে গ্রহণ করার…

ব্রিটেনের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন অর্থনৈতিক ধসের হাত থেকে ব্যাংকগুলিকে উদ্ধার করার জন্যে ৫০০ বিলিয়ন পাউন্ডের যে-উদ্ধারপ্রকল্প ঘোষণা করেছেন, সেইন্ট জেমস পার্কের কাছে অবস্থানরত ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের কর্মকর্তারা তার নাম দিয়েছেন ‘বালতি বেইলআউট’! এই নাম দেয়ার পেছনে ছোটখাটো এক ঘটনা কাজ করেছে। চ্যান্সেলর অ্যালেস্টেয়ার ডার্লিং এবং তার আরও প্রায় ৩০ জন কর্মকর্তা এক ম্যারাথন বৈঠকে বসেছিলেন মঙ্গলবার। আর ওই বৈঠকের ফাঁকে রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাঁরা তাদের মূল্যবান সময়ের খানিকক্ষণ ব্যয় করেছিলেন দক্ষিণ লন্ডনের কেনিংটনের গান্ধী’স ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টের টেকওয়ে কারী উদরস্থ করতে। (more…)

পরীক্ষামূলক পোস্ট১

স্বাগতম।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.