সাম্রাজ্যবাদ ফ্যাসিবাদের রূপ নিচ্ছে। অবশ্যই তা আগের কায়দায় নয়। তবে আগের সঙ্গে এবারের মিল চিরায়ত ফ্যাসিবাদের যে মিল তা-ই: কর্পোরেশনের মদদ, সামরিকায়ন, ঝাঁঝালো সাংষ্কৃতিক চটক, ম্যাস মিডিয়ার ম্যাস কালচারাল ডেসট্রাকশসনের ক্ষমতা, ধর্মীয় রক্ষণশীলতার ব্যবহার ইত্যাদি। হিটলারের লক্ষ্য ছিল রাশিয়াসহ পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোসহ আফ্রিকা ও এশিয়ার রিসোর্স দখল, নয়া উপনিবেশায়ন, উন্নত প্রজাতি সৃষ্টি। আর এবারের ফ্যাসিবাদেরও লক্ষ্য সেই একই, মধ্য এশিয়া, পশ্চিম আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার রিসোর্স দখল, মধ্যপ্রাচ্যে নয়াউপনিবেশ স্থাপন এবং শ্বেতাঙ্গ পাশ্চাত্যের সাংষ্কৃতিক শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করা। হিটলারের ঘৃণার রাজনীতি ইহুদি হলোকস্ট ঘটিয়েছিল। আর পাশ্চাত্যের পুঁজিবাদী শক্তির ঘৃণার শিকার হয়ে বসনিয়া, রুয়ান্ডা, সোমালিয়া, ইরাক. আফগানিস্তান, কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনে মুসলিম হলোকস্ট চালু আছে। কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের আদলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গুয়ানতানামো ও আবু ঘারিব কারাগার। প্যাট্রিয়ট অ্যাক্ট দিয়ে খোদ আমেরিকায় এবং সন্ত্রাস দমনের নামে গোটা দুনিয়ায় নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। সন্দেহ নাই ওবামার আবির্ভাবে এই কাজের ওপর মায়াবি ঘোর টেনে দেবে কিছু কালের জন্য।
তবে আমেরিকা+ইসরায়েল+ব্রিটেন+অস্ট্রেলিয়া+কানাডা+জাপান ও ভারত মিলে একটা অক্ষ শক্তিও দাঁড়িয়ে গেছে। এ নিয়ে যুক্তি-তর্ক-প্রমাণাদি হাজির করা যায়। আপাতত দৃশ্য দিয়ে তা উপস্থাপন করা যাক|
Have your say
You must be logged in to post a comment.
৩ comments
ডোবার ব্যাং - ২৩ জানুয়ারি ২০০৯ (১:১৫ অপরাহ্ণ)
ক। পাকিস্তান হলো মার্কিন বলয়ের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের অন্যতম প্রধান ও সক্রিয় মিত্র…আফগানিস্তানে তালেবান চাষাবাদ করা এবং পরবর্তীতে আবার সেই তালেবানবিরোধী যুদ্ধ, খেলার দুই পর্বেই পাকিস্তান ছিলো মার্কিনের বিশ্বস্ত ও অনুগত সহায়তাকারী…
খ। মধ্যপ্র্যাচ্যের আরব দেশগুলোর রাজা-বাদশারা যে শুধু একেকটা তেল কম্পানির পা চাটা কুকুর, তা ই না; মার্কিন বলয়ের নিত্য নতুন আল-কায়েদা মার্কা শ্যাডো এনিমি তৈরি এবং পরবর্তীতে আবার সেই ভূতবিরোধী যুদ্ধ; খেলার দুই পর্বেই এইসব রাজা বাদশাগুলো পালন করেন মার্কিনের বিশ্বস্ত ও অনুগত সহায়তাকারীর ভূমিকা…এদের জলস্থলঅন্তরীক্ষ ব্যবহার করেই ইরাকে মানব ইতিহাসের নৃশংশতম গণহত্যা চালানো হয়েছে…
গ। আপনার লিখিত “তবে আমেরিকা+ইসরায়েল+ব্রিটেন+অস্ট্রেলিয়া+কানাডা+জাপান ও ভারত মিলে একটা অক্ষ শক্তিও দাঁড়িয়ে গেছে। ” বাক্যটির বদলে “তবে আমেরিকা+ইসরায়েল+ব্রিটেন+অস্ট্রেলিয়া+কানাডা+জাপান + ভারত + পাকিস্তান + মধ্যপ্রাচ্য মিলে একটা অক্ষ শক্তিও দাঁড়িয়ে গেছে।” বাক্যটি লিখলে আমাদের বুঝতে বোধয় একটু সহজ হত…
ঘ। ফারুক ওয়াসিফ ভাইয়ের প্রতিটি লেখাই মনযোগ দিয়ে পড়ি…এবং ভালো লাগে…এটার বেলায়ও ব্যতিক্রম ঘটেনি…আপনার জন্য শুভেচ্ছা…
ফারুক ওয়াসিফ - ২৪ জানুয়ারি ২০০৯ (১০:৩২ পূর্বাহ্ণ)
একমত।
তবে আমি ওই লিস্টে পাকিস্তান বা সৌদিকে ঢোকাইনি কারণ, অন্যগুলো কর্তা, এরা কর্ম বা করণ। বাংলাদেশও কিন্তু এই ক্লায়েন্ট রাষ্ট্রগুলোর দলে। তবে উপমহাদেশের জন্য এই অক্ষ শক্তি কিন্ত ভারত-মার্কিন-ইসরেল।
কর্তা আর করণ বা কর্মকে এক করলে পাকিস্তানে বা বাংলাদেশে মার্কিন হামলাকে মনে হবে সাম্রাজ্যবাদের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ। সেটাও যে আগ্রাসী কৌশল!!!
ডোবার ব্যাং - ২৪ জানুয়ারি ২০০৯ (৪:৩৮ অপরাহ্ণ)
পুজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থায় কোনটি থাকে কর্তা রাষ্ট্র আবার কোনটি থাকে কর্ম রাষ্ট্র, জানানোর জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
সাম্প্রতিক সময়ে (আগে কখনো দেখা যেতো না) টিভি চ্যানেলগুলোতে মাঝেমধ্যে তরুন বামপন্থী আলোচক হিসেবে আপনার বক্তব্য শুনি। এগুলোও আমার ভালো লাগে।
আপনার জন্য শুভকামনা।