বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেয়া রাজনৈতিক ঐতিহ্যের ধারক আওয়ামী লীগের ষাটতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর খবর বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান পত্রিকা ‘প্রথম আলো’র প্রথম পাতা ও শেষ পাতায় দেখতে না পেয়ে পুরো পত্রিকাটিতেই খবরটি খুঁজলাম, না, কোথাও খবরটি পাওয়া গেল না। প্রচেষ্টার দশ বছর, কোন প্রচেষ্টা? হ্যাঁ, সেই প্রচেষ্টা যার মাধ্যমে বলা যায়, এই দশটি বছর, অসৎ নিরপেক্ষতার মতিউর দশক। তার এই অসৎ নিরপেক্ষতা নিরন্তর যাকে লক্ষ্য করে এগিয়েছে সে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনা বিরোধিতার সার্বক্ষনিক কর্মী মতিউর রহমান, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা হস্তান্তরের পরদিন তার পত্রিকার শিরোনাম করেছিলেন ‘গণতন্ত্রের নাজাত দিবস’। সেই কর্মীই কিছুদিন আগে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান নিয়োগে অনিয়মের প্রধান আসামী করলেন শেখ হাসিনাকে। বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতের দুর্ভাগ্য এখানে যে, এই মতিউর দশক কাটিয়ে আর কোনো সম্পাদক বা কোনো পত্রিকা, প্রাণশক্তির স্পর্শে এই জগতকে অনুপ্রাণিত করতে পারল না। আমরা প্রেরণাহীন সময় কাটাচ্ছি, আমাদের প্রতিদিনের নিঃসঙ্গতা, খবরহীন উদাসীনতা, আমাদেরকে সংকটের শুধুই গভীরে নিয়ে যাচ্ছে।
পরিকল্পিতভাবে দ্রব্যমূল্যস্ফীতি - বিডিআর নিয়ন্ত্রিত 'অপারেশন ডালভাত' - উঁচু পর্যায়ে অফিসারদের সেখান থেকে আখের গোছানোর অভিযোগ - সেই সাথে সাধারণ বিডিআর সদস্যদের বেতন ভাতা ইত্যাদি নিয়ে দীর্ঘকালীন বঞ্চনাপ্রসূত ক্ষোভ - পিলখানা ক্যাম্পে গোলাগুলি - ঘটনাস্থলে সেনা বাহিনী মোতায়েন - সেনা বাহিনী বিডিআর মুখোমুখি - জিম্মি উর্ধ্বতন অফিসাররা - হতাহতের সংখ্যা অনিশ্চিত - সমঝোতা আলোচনা - দাবী দাওয়া বিবেচনার এবং তা পর্যায়ক্রমে পূরণের আশ্বাস - অস্ত্র সমর্পনের আহ্বান - সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা - অস্ত্র সমর্পন - আটকে পড়া নারী ও শিশুদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে . . .
[পোস্টের শিরোনাম ঈষৎ বদলে নেয়া হল] পরিকল্পিতভাবে দ্রব্যমূল্যস্ফীতি - বিডিআর নিয়ন্ত্রিত 'অপারেশন ডালভাত' - উঁচু পর্যায়ে অফিসারদের সেখান থেকে আখের গোছানোর অভিযোগ - সেই সাথে সাধারণ বিডিআর সদস্যদের বেতন-ভাতা ইত্যাদি নিয়ে দীর্ঘকালীন বঞ্চনাপ্রসূত ক্ষোভ - পিলখানা ক্যাম্পে গোলাগুলি - ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী মোতায়েন - সেনাবাহিনী বিডিআর মুখোমুখি - জিম্মি ঊর্ধ্বতন অফিসাররা - হতাহতের সংখ্যা অনিশ্চিত - সমঝোতা আলোচনা - দাবি-দাওয়া বিবেচনার এবং তা পর্যায়ক্রমে পূরণের আশ্বাস - অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান - সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা - অস্ত্র সমর্পণ - আটকে পড়া নারী ও শিশুদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে - পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা পিলখানায় প্রবেশ করে দায়িত্ব বুঝে নিচ্ছেন - মৃতদেহের তন্ন তন্ন অনুসন্ধান চলছে . . . জরুরী: উপরের ঘটনাক্রমের আপডেট ছাড়া এই পোস্টটি মূলতঃ লেখা হয়েছে ঘটনার প্রথম প্রহরে। জরুরী তথ্য-সীমাবদ্ধতা ছিল এটি লেখার সময়। তাই পাঠকের প্রতি বিনীত অনুরোধ থাকবে সেটি আমলে নেয়ার জন্য। ঘটনার সাম্প্রতিকতা বিবেচনায় এসব প্রশ্নের উত্তর এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যাচ্ছে না। সবাই মিলে এসব প্রশ্নের পাশাপাশি আরও নতুন সব প্রশ্ন তুলে আনার এবং সে সবের উত্তর খোঁজায় মনোনিবেশের সময় এখন। [কোনো সুনির্দিষ্ট ক্রম অনুসরণ করা হয়নি এখানে] - ব্যারাক এলাকায় যেসব নারী, শিশু এবং বেসামরিক নাগরিক আটকা পড়েছেন, তাঁদের অবস্থা কী? - আহত এবং অসুস্থরা কি পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছেন? - ঘটনার অন্তরালে অন্য কোনো ঘটনা নেই তো? - পরিকল্পিত না স্বতঃস্ফূর্ত? - ঠিক আজই এখনই কেন এই বিদ্রোহ? - তিন বছর বা ছয় মাস আগে নয় কেন? - এটি অন্য কোনো ঘটনা থেকে জনতার মনোযোগ সরানোর প্রয়াস নয় তো (দেশ যখন যুদ্ধাপরাধের বিচারের কথা ভাবছে)? - '৭৫-এ এমনই এক সিপাহি বিপ্লব অনুষ্ঠিত হয়েছিল সাধারণ সিপাহিদের বঞ্চনাকে সামনে তুলে ধরে, যা পরবর্তীকালে জেনারেল জিয়ার উত্থান, কর্নেল তাহের এবং মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের হত্যার মধ্য দিয়ে ইতিহাসের গতিপথ বদলে দিয়েছিল; তেমন কিছুরই পুনরাবৃত্তি হবে না তো? - যেসব বিডিআর সদস্যকে ঘটনার জন্য ঢালাও সাধারণভাবে ক্ষমা করেছে সরকার, সেটি (সাধারণ ক্ষমা) ভবিষ্যতে ঠিকভাবে মানা হবে তো? নাকি ঘটনা কিছুটা স্তিমিত হয়ে এলেই তারা সম্মুখীন হবেন প্রতিশোধমূলক হয়রানি এবং নির্যাতনের? - সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা ছাড়া অন্য কি কি বিকল্প পথ খোলা ছিল…
স্বাগতম।