বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ন্যাটোর প্রাসঙ্গিকতা এবং এর অবলুপ্তি বিষয়ে মূল নিবন্ধটি লিখেছেন শহিদুল ইসলাম। মুক্তাঙ্গনের পক্ষ থেকে নিবন্ধটি এখানে এমবেড করে তুলে দেয়া হল পাঠকের জন্য। পড়তে সমস্যা হলে অনুগ্রহ করে সংযুক্ত পিডিএফ-লিন্ক থেকে পুরো লেখাটি ডাউনলোড করে নিন [...]

[মুক্তাঙ্গনের পক্ষ থেকে শহিদুল ইসলামের নিবন্ধটি এখানে এমবেড করে দেয়া হল। পড়তে অসুবিধে হলে অনুগ্রহ করে নিবন্ধটির পিডিএফ কপি এই লিন্ক থেকে ডাউনলোড করে নিন]

৪৮ বছর ও ২০ বছর, গড়া ও ভাঙ্গা, প্রতিরোধ ও স্রোত, জার্মানি এক হল, ১৯৬১-তে গড়া বার্লিন দেয়াল ১৯৮৯-এ ভেঙ্গে গেল, ওম শান্তি বিপ্লব, পূর্ব বার্লিন থেকে পশ্চিম বার্লিনে পরিযায়ী মানুষের সংখ্যা শুধুই বাড়ছিল—১৯৫০-এ ১৯৭০০০—১৯৫১-তে ১৬৫০০০—১৯৫২-তে ১৮২০০০ [..]

৪৮ বছর ও ২০ বছর, গড়া ও ভাঙ্গা, প্রতিরোধ ও স্রোত, জার্মানি এক হল, ১৯৬১-তে গড়া বার্লিন দেয়াল ১৯৮৯-এ ভেঙ্গে গেল, ওম শান্তি বিপ্লব, পূর্ব বার্লিন থেকে পশ্চিম বার্লিনে পরিযায়ী মানুষের সংখ্যা শুধুই বাড়ছিল—১৯৫০-এ ১৯৭০০০—১৯৫১-তে ১৬৫০০০—১৯৫২-তে ১৮২০০০—১৯৫৩-তে ৩৩১০০০ : এভাবে আর নয়, ১৯৬১ সালে নিজেকে একঘরে করল পূর্ব তথা সমাজতন্ত্রী জার্মানি, এমন দেয়াল যা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নয়, অনুগমন বন্ধ করতে তৈরি করা হয়েছিল, স্বাধীনতার কথা উঠেছে, ‘দেয়ালহীন স্বাধীনতা’র প্রচার চলছে, মানুষ নিজের স্বাধীনতার জন্য দেয়াল ভেঙ্গে দিয়েছে, মানুষ আরো সব দেয়াল ভেঙ্গে দিতে চায়, নাগরিক অধিকার নিয়ে আন্দোলিত কর্মী বা মানবাধিকার কর্মী, এরাই ছিল নেতৃত্বে, তাদের মন্ত্রণাসভা চার্চ, বিপ্লবের ভাষা রাস্তায় নেমে আসা, পেছনে আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড—সেই মিত্রশক্তি—আর পূর্ব ও পশ্চিমের দুই জার্মান সরকার—এই ছয় জনের মিলিত উদ্যোগে এক জার্মানি, বিখ্যাত পোস্টারের ভাষা ৪+২=১, জার্মানি আবার স্বাধীন হল, সমাজতন্ত্রের পতন হল, তুমি কমিউনিস্ট হও আমার অস্ত্র তোমাকে রক্ষা করবে, সে যুগের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে গর্বাচেভ ন্যাটোর ভূমি প্রসারিত করে দিলেন, কারণ সমাজতন্ত্র ক্ষমতাহীন হয়ে পড়েছিল, থ্যাচারের আশঙ্কা সত্য হয়েছিল, এক জার্মানির শক্তি বেড়ে যাবে—ইংল্যান্ডের শক্তি ও গুরুত্ব হ্রাস পাবে, হ্যাঁ, এক জার্মানি ইউরোপকেও এক করে ছাড়ল, পৃথিবীকে একমেরু করে ছাড়ল, আর কোনো দেয়াল থাকল না ঠিকই, আটকে রাখার বিরক্তিকর পুনরাবৃত্তির দেয়াল সব ভেঙ্গে গেল, সবাই মিলে আরেকবার, বারবার স্বাধীন হল, কিন্তু স্বাধীন দেয়ালহীন অস্তিত্বে দেয়ালসর্বস্বতার মুক্ত মানুষ অসংখ্য দেয়ালের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ষাঁড়ের মতো স্টক এক্সচেঞ্জের গোলকধাঁধায় শিঙের গুতার শক থেরাপি নিয়ে সর্বস্ব দেয়ালে হারিয়ে ফেলছে : হয় ভাঙ্গছে নয় গড়ছে, গড়ছে নয় ভাঙ্গছে, দেয়ালসর্বস্বতার জেরে, জীবনটাই…শেষ…হয়ে…যাচ্ছে… পোস্টার প্রদর্শনী "From Peaceful Revolution to German Unity" থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম ২৮ অক্টোবর ২০০৯।

হবি কমিউনিস্ট, ইউরোপে আজকাল অনেক বামপন্থীকে, এনামেই ডাকে অনেকে। এরা কী করেন? সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, নানা রকম ফোরাম, মানবন্ধন, এসব অপেক্ষাকৃত ‘সাদাকলার’ কার্যক্রমের সাথেই এদের যত যোগসাজশ। কী আছে এদের? স্টাইল, এক অসাধারণ বামপন্থী জীবনযাপনের লাইফস্টাইল আয়ত্বে আছে এদের, আছে নিশ্চিত জীবিকা এবং পার্টিকে দেয়ার মতো অপর্যাপ্ত সময়, আর এক যাযাবরপ্রথা — বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের সহজলভ্যতার যুগে একে ব্যবহারে খুবই সচেতন এরা। এই হবি কমিউনিস্টরা শিল্পোন্নত ইউরোপীয় দেশগুলোর সোসালিস্ট ও কমিউনিস্ট পার্টিগুলোর একটা উল্লেখযোগ্য অংশ হয়ে উঠেছে এখন। ইউরোপে মধ্য-বাম রাজনীতি বা সোসালিস্ট রাজনীতির অবসান হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন, এবং ইউরোপীয় রাজনীতির প্রধান তিন দেশ জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালিতে এবং আরো বড় পরিসর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে সোসালিস্ট দলগুলোর ভরাডুবি এই আশঙ্কাকে অনেকটুকু বিশ্বাসযোগ্য করে তুলছে। আর ইউরোপের বাম রাজনীতির এই দুরাবস্থার অনেকগুলো কারণের মধ্যে দলের সদস্য ও শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে হবি কমিউনিস্টদের প্রাদুর্ভাবকেও অনেকে দায়ী করছেন। লাতিন আমেরিকা ও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে হবি কমিউনিস্টদের প্রাদুর্ভাব না হলেও এখানে যে এদের অস্তিত্ব নেই তা ঠিক নয়। আমাদের দেশেও বাম রাজনৈতিক দলগুলোতে এরকম অনেক সদস্য ও শুভানুধ্যায়ীরা আছেন যাদেরকে সহজেই হবি কমিউনিস্ট ডাকা যেতে পারে।

পরীক্ষামূলক পোস্ট১

স্বাগতম।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.