বাংলাদেশে মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপরাধের অভিযোগ এনে তাদেরকে চুপ করিয়ে দেয়ার একটি রীতি রয়েছে৷ কয়েক ডজন লোকের বিরুদ্ধে আদালতে এই ধরনের অভিযোগ আছে এবং তারা পুনরায় গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন৷ আকাশের জামিনের পক্ষে শুনানি করা একজন আইনজীবী অভিযোগ করেছেন যে র‍্যাবের প্ররোচনায় তাঁর বিরুদ্ধেও অপরাধের অভিযোগ এনে তাকে হয়রানি করা হয়৷ জাহাঙ্গীর আলম আকাশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয় - এই অভিযোগটি মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয়৷ আকাশের মুক্তির পর, র‌্যাব কর্মকর্তারা জামিন অযোগ্য জরুরি বিধিমালা ব্যবহার করে তার জামিনের আদেশ প্রত্যাহারের চেষ্টা করেছিলেন৷ তিনি তার চাকরি হারিয়েছেন এবং গ্রেপ্তারের আশংকায় তার নিজ শহর রাজশাহীতে বসবাস করতে ভয় পাচ্ছেন৷ আরো পড়ুন ও উদ্যোগ নিন

প্রতিনিয়ত চারপাশে এমন কিছু অবিচারের ঘটনা ঘটছে যেসব বিষয়ে কুলীন লেখকদের লিখতে মানা। কুলীন পত্রপত্রিকা বা ফোরামেও সেসব ছাপতে মানা। নিতান্তই যদি কিছু লিখতে হয় তবে তা তত্ত্বের আবরণে লেখাই নিরাপদ। পাছে লোকে ‘নিম্ন মাঝারি’ বলে গাল দিয়ে বসে! পাছে সেসব লেখাকে রগরগে অপরাধ-সাংবাদিকতার লেবেল এঁটে দেয় কেউ! বুদ্ধিবৃত্তিক তাত্ত্বিকতার আড়াল খুঁজতে চাইলে তারও সুযোগের কোনো কমতি নেই [...]

প্রতিনিয়ত চারপাশে এমন কিছু অবিচারের ঘটনা ঘটছে যেসব বিষয়ে কুলীন লেখকদের লিখতে মানা। কুলীন পত্রপত্রিকা বা ফোরামেও সেসব ছাপতে মানা। নিতান্তই যদি কিছু লিখতে হয় তবে তা তত্ত্বের আবরণে লেখাই নিরাপদ। পাছে লোকে ‘নিম্ন মাঝারি’ বলে গাল দিয়ে বসে! পাছে সেসব লেখাকে রগরগে অপরাধ-সাংবাদিকতার লেবেল এঁটে দেয় কেউ! বুদ্ধিবৃত্তিক তাত্ত্বিকতার আড়াল খুঁজতে চাইলে তারও সুযোগের কোনো কমতি নেই। একটা বিষয় নিয়ে যদি পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা জটিলীকৃত কপচানিই (problematize) না করা গেল, তাহলে আর কিসের ইন্টেলেকচুয়াল! ধরা যাক, আড়াল নিতে চাইলে, নীচের এই ঘটনাটিও বহু তাত্ত্বিকতার আড়াল নিয়ে লেখা যায় -- সুধী সমাজের রুচিকে এতটুকু আঘাত না করে। যেমন: নারীর প্রতি সহিংসতা, চাইল্ড এবিউজ, বৈষম্য, সাম্প্রদায়িকতা, সংখ্যালঘুত্ব, আইনের আশ্রয় লাভ, সুবিচার, পুনর্বাসন ইত্যাদি ইত্যাদি। এটি কোনো “অনন্যসাধারণ” ঘটনা নয়। খুবই সাধারণ, নিত্য নৈমিত্তিক, বহুবার বহুভাবে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। এই সহিংসতার ঘটনাটি অসাধারণ হয়ে উঠতে পারতো, যদি পাত্রীটি (মিলি রানী, ১৩) অন্ধ বাবা খোকা মালাকারের কন্যা না হয়ে কোনো মিডিয়া মোগলের কন্যা হতো; যদি পাত্রীটি সাংস্কৃতিক (এবং ক্ষমতাশালী) এলিটদের কারো কন্যা হতো। তেমনটি হবার নয়। তার চেয়ে বরং নীচের খবরটি আজ সকালে যেভাবে পড়েছি হুবহু সেভাবেই তুলে ধরি। দৈনিক জনকণ্ঠ (৮ ডিসেম্বর ২০০৮)

পরীক্ষামূলক পোস্ট১

স্বাগতম।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.