প্রতি জেলার পুলিশ সুপার যেন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত জেলে রাখেন, সময়মতো ওই ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করতে হবে। কার কার নামের আগে ডি-ভোটার তকমাটি জুড়ে দিতে হবে সে ব্যাপারে নির্ণয় নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকারও জেলা পুলিশ সুপারের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে ওই রায়ে।[...]

আমরা বাংলাদেশের মানুষেরা আসামের শুধু উলফা সমস্যার কথাই জানি। কিন্তু আসামের আরো একটি বড় সমস্যা হল ‘ডি-ভোটার’ দাগাঙ্কিত করে কাউকে Detention Camp-এ আটকে রেখে মানুষের নাগরিকতার মানবাধিকারকে চরম অবমাননা করা। এই সমস্যার সাথে দেশভাগ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এসব জড়িত। তাছাড়া এই সমস্যা হিন্দু-মুসলমান উভয়েরই সমস্যা এবং এই সমস্যা দূরীকরণে দুই সম্প্রদায়কেই সমান সক্রিয় হতে হবে। তাছাড়া বাংলাভাষী হিসেবে বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার বাঙালিদেরও এই সমস্যা সমাধানে আন্তরিক সংহতি প্রকাশ করা উচিত। এই বিষয়ে সুপারিশকৃত লিন্কে প্রথম আলোকপাত করেছিলাম ২৭ এপ্রিল ২০১১ তারিখে। ২২ জুন ২০১১ দৈনিক যুগশঙ্খ-এ প্রকাশিত ধ্রুবকুমার সাহার উত্তরসম্পাদকীয়টি আজ এখানে তুলে দিলাম এবিষয়ে আমরা মোটামুটি একটা ধারণা লাভ করতে পারব এই আশায়। ডি-ভোটার নির্দেশের কোনও আইনি বৈধতা নেই ধ্রুবকুমার সাহা অসমে বসবাসকারী অনসমিয়া ভারতীয়দের নাগরিক জীবনের অন্তর্হিত সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হল ‘ডি-ভোটার’ পরিচয় নিয়ে সংকটটি। হাইকোর্টের বিচারপতি বিকে গোস্বামী ২১-০৪-২০১১ তারিখে এক রায়দানে ঘোষণা করেছেন যে সন্দিহান ব্যক্তির নামের আগে 'ডি-ভোটার' শব্দটি সংযোজিত হওয়া সেই ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকা থেকে কেটে ফেলতে হবে এবং তাকে ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’ তথা জেলে পুরে দিতে হবে। প্রতি জেলার পুলিশ সুপার যেন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত জেলে রাখেন, সময়মতো ওই ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করতে হবে। কার কার নামের আগে ‘ডি-ভোটার’ তকমাটি জুড়ে দিতে হবে সে ব্যাপারে নির্ণয় নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকারও জেলা পুলিশ সুপারের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে ওই রায়ে। রাজ্যের সর্বত্র তাই সুবিজ্ঞ মহলে এক চাপা ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হতে দেখা যায়। অনেক মহলে এই রায়কে সম্পূর্ণ বেআইনি, অমানবিক এবং পক্ষপাতদুষ্ট বলে আখ্যায়িত করছে। এ ব্যাপারে ভারতীয় সংবিধান, দেশের সর্বোচ্চ আদালত কিংবা উচ্চ ন্যায়ালয়গুলির অবস্থান কী তা খতিয়ে দেখতেই এ লেখার অবতারণা। ভারতবর্ষের The Govt. of India Act’ 1935, The Registration of Foeigners Act এবং এটির নির্দেশনাবলী অনুধাবন করলে দেখা যায়, এর নীতি-নিয়মগুলি অখণ্ড ভারতের জন্য প্রণীত ছিল। ১৯৪৭-এ স্বাধীনতালাভ ও তৎসহ সাময়িক দেশবিভাগের পর ১৯৪৯ সালে গৃহীত ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬ ও ৭ অনুধাবন করলে আমরা দেখতে পাই যে প্রধানত সদ্য তৈরি ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রদ্বয়ের অগণিত উদ্বাস্তুর কথা মাথায় রেখে এই ধারাগুলি সংযোজিত হয়। এতে আছে যে ১৯৪৮ সালের…

পরীক্ষামূলক পোস্ট১

স্বাগতম।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.