২৬ আগষ্ট ২০০৬, ফুলবাড়ী শহরের পথে পথে সকাল থেকে টহল দিচ্ছে পুলিশ-বিডিআর । সেদিন তেল-গ্যস বিদ্যুত- বন্দর...সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে এশিয়া এনার্জির অফিস ঘেরাও কর্মসূচি। জনগনের অসম্মতি শর্তেও ওপেনপিট কয়লা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার এশিয়া এনার্জি নামক বহুজাতিক কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলো তার বিরুদ্ধে সেদিন জনগনের ক্ষোভে-বিক্ষোভে তাঁতিয়ে ওঠে ফুলবাড়ীর রাজপথ-মাঠ-প্রান্তর । একপর্যায়ে শান্তিপুর্ণ সমাবেশ শেষে বিচ্ছিন্ন জনতার ওপর চলে বিডিআর-এর গুলি, ৩ জন মারা যায় ।চলে দিনভর টিয়ার শেল নিক্ষেপ আর লাঠিপেটা, রাতে ঘরে ঘরে তল্রাশি-গ্রেফতার । শত শত লোক আহত হয়, ফুলবাড়ী শহরের দোকানপাট ভেভ্গে মুচড়ে দেয়া হয় ।

২৬ আগষ্ট ২০০৬, ফুলবাড়ী শহরের পথে পথে সকাল থেকে টহল দিচ্ছে পুলিশ-বিডিআর । সেদিন তেল-গ্যস বিদ্যুত- বন্দর...সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে এশিয়া এনার্জির অফিস ঘেরাও কর্মসূচি। জনগনের অসম্মতি শর্তেও ওপেনপিট কয়লা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার এশিয়া এনার্জি নামক বহুজাতিক কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলো তার বিরুদ্ধে সেদিন জনগনের ক্ষোভে-বিক্ষোভে তাঁতিয়ে ওঠে ফুলবাড়ীর রাজপথ-মাঠ-প্রান্তর । একপর্যায়ে শান্তিপুর্ণ সমাবেশ শেষে বিচ্ছিন্ন জনতার ওপর চলে বিডিআর-এর গুলি, ৩ জন মারা যায় । চলে দিনভর টিয়ার শেল নিক্ষেপ আর লাঠিপেটা, রাতে ঘরে ঘরে তল্রাশি-গ্রেফতার । শত শত লোক আহত হয়, ফুলবাড়ী শহরের দোকানপাট ভেভ্গে মুচড়ে দেয়া হয় । আমরা রাতের আধারে ২৫ ও ২৬ তারিখ শ্যুট করা ফুটেজ বাঁচাতে ঢাকায় রওনা করি। সেই দুদিনের ফুটেজ থেকে এক রাতে নির্মিত হয় ‌'ফুলবাড়ীর রক্তপতাকা', ফারুক ওয়াসিফ ও সম্পাদক আজাহার ভাই মিলে কাজটি করে। আমাদের শ্যুটিং টিম(জাইদ আজিজ ও আমি ) তখন ফুলবাড়ীতে অবরোধের শ্যুট করছি 'ফুলবাড়ীর সাত দিন ' নামের ডকু'র জন্যে। 'ফুলবাড়ীর সাত দিন ' -এখনো শেষ হয়নি, তবে বহুবার বহুস্থানে প্রদর্শিত হয়েছে। 'ফুলবাড়ীর রক্তপতাকা'র সাথে আরো কিছু তথ্য যুক্ত করে ইউটিউবে ২ পার্টে আপলোড করেছেন আমাদেরই বন্ধু ।

খানিক আগে আমাদের হাতে হাউজ অব লর্ডস-এর প্যাডে লর্ড অ্যাভবেরির একটি বিবৃতি এসে পৌঁছেছে, যেটি গত ২৩ জুন বুধবার যুক্তরাজ্যের অল পার্টি পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপের আয়োজিত সেমিনার সংক্রান্ত [...]

খানিক আগে আমাদের হাতে হাউজ অব লর্ডস-এর প্যাডে লর্ড অ্যাভবেরির একটি বিবৃতি এসে পৌঁছেছে (এখানে দেখুন), যেটি গত ২৩ জুন বুধবার যুক্তরাজ্যের অল পার্টি পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপের আয়োজিত সেমিনার সংক্রান্ত। বিবৃতিটির উল্লেখযোগ্য দিকগুলি হলো, লর্ড অ্যাভবেরির পক্ষ থেকে সেখানে বলা হয়েছে : ১. অল পার্টি পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপ-এর অনুরোধে ওয়ার ক্রাইমস কমিটি অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল বার এসোসিয়েশন সংক্ষেপে আই বি এ বাংলাদেশে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধসমূহ বিচারের জন্যে যে আইন অনুসরণ করছে তার উপযোগিতা মূল্যায়ন করে দেখেছে। ২. এর উদ্দেশ্য এই নয় যে, বাংলাদেশে সংগঠিত যুদ্ধাপরাধকে খাটো করে দেখা হচ্ছে- বরং ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশের আওতায় বিচার সংগঠিত হলে তার আইনী যৌক্তিকতা যেন গত ৩৭ বছরে উন্নীত আইনি স্ট্যান্ডার্ডের বিচারে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেটি নিশ্চিত করা। ৩. গত ২০০৯-এর শেষের দিকে পার্লামেন্টারী হিউম্যান রাইটস গ্রুপ (পিএইচআরজি)-এর কাছে ওয়ার ক্রাইমস কমিটি তাদের প্রাপ্তি বা ফাইন্ডিংগুলি পাঠায়। প্রাপ্তিসমূহ নিজেদের মধ্যে মূল্যায়নের পর পিএইচআরজি-এর চেয়ার মিস অ্যান ক্লুয়েড বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলির মন্তব্যের জন্যে যুক্তরাজ্যের দায়িত্বে নিয়োজিত বাংলাদেশ হাই কমিশনারের কাছে হস্তান্তর করেন। ৪. আইবিএ-র এ রিপোর্ট পর্যালোচনার জন্যে ২৪ জুন হাউজ অব লর্ডস-এ সেমিনারের আয়োজন করা হয় এবং ২১ জুন যুক্তরাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনার তাদের মন্তব্য পাঠান। তবে তিনি বা তাঁর কোনও প্রতিনিধি সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন না। ৫. সেমিনারের প্রধান বক্তা হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশের- সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট খন্দকার মাহবুব হোসেন। ৬. আইবিএ-র প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে বার বার বলেছেন যে বাংলাদেশের আইনটির উন্নতিসাধনে বা সংশোধনের ক্ষেত্রে পরামর্শ দিতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন, যাতে এ আইনটি আন-র্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সংবিধি, অধুনালুপ্ত যুগোশ্লাভিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, রুয়ান্ডাসংক্রান- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ পূর্ব তিমুর ও সিয়েরা লিয়েনের জাতীয় ট্রাইব্যুনালগুলির মতোই আন্তর্জাতিক মানসম্মত হয়ে ওঠে। ৭. বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ সংক্রান্ত সংলাপ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বাহকের দায়িত্ব পালন করছেন লর্ড অ্যাভবেরি। এবার লর্ড অ্যাভবেরি, আপনি আমাদের এই কথাগুলি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, শুনুন : ১. বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পরপরই যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হয়েছিল ১৯৭২ সালে, দালাল আইনের আওতায়। এর মান নিয়ে কোনও আপত্তিই ওঠেনি তখন, বরং…

বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী বিচারের উদ্যোগ ও প্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যে যুক্তরাজ্যে গৃহীত একটি উদ্যোগ ভেস্তে গেছে। জাস্টিস কনসার্ন নামে একটি ভূঁইফোড় সংগঠন যুক্তরাজ্যের অল পার্টি পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপ এপিপিজিএইচআর -এর মাধ্যমে এ প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। এ ঘটনায় এপিপিজিএইচআর-এর ভাইস চেয়ারম্যান লর্ড অ্যাভবেরির ভূমিকা নিয়েও বিভিন্ন মহলে নানা সংশয় দেখা দিয়েছে। এ সেমিনারে ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন, অতএব এটিতে উপস্থিত না হলে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নের মুখে পড়বে ইত্যাদি যুক্তি দেখানো হয় জামাতমনস্ক লবিস্টদের পক্ষ থেকে। কিন্তু 'ওয়ার ক্রাইম স্ট্র্যাটেজি ফোরাম'-এর তথ্যপত্র থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে এ সেমিনারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ফলে সরকারের পক্ষ থেকেও এতে কেউ যোগ দিচ্ছেন না।

লন্ডন, ২২ জুন : বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী বিচারের উদ্যোগ ও প্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যে যুক্তরাজ্যে গৃহীত একটি উদ্যোগ ভেস্তে গেছে। জাস্টিস কনসার্ন নামে একটি ভূঁইফোড় সংগঠন যুক্তরাজ্যের অল-পার্টি পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপ (এপিপিজিএইচআর) -এর মাধ্যমে এ প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। এ ঘটনায় এপিপিজিএইচআর-এর ভাইস চেয়ারম্যান লর্ড অ্যাভবেরির ভূমিকা নিয়েও বিভিন্ন মহলে নানা সংশয় দেখা দিয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্তদের প্রধান আশ্রয়দানকারী রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষত যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে যুদ্ধাপরাধ বিচারের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। জাস্টিস কনসার্ন সেরকমই একটি সংগঠন, যার কোনও তৎপরতাই এর আগে যুক্তরাজ্যে দেখা যায়নি। জাস্টিস কনসার্ন নামের এ সংগঠনটি বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ বিচারের প্রয়াসকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ইউ কে অল-পার্টি পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপের ওপর ভর করার অপচেষ্টা চালায়। প্রাথমিক পর্যায়ে এ প্রচেষ্টায় তারা সফলতাও অর্জন করে এবং ২৩ জুন যুক্তরাজ্যে হাউস অব লর্ডসে এপিপিজিএইচআর-এর পৃষ্ঠপোষকতায় ‘বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩ : আন্তর্জাতিক মান বিচার' শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে। জাস্টিস কনর্সানের তৎপরতা থেকে বোঝা গেছে যে, তাদের উদ্দেশ্য ছিল এ সেমিনারকে খুবই গুরুত্ববহ করে তোলা এবং এতে বাংলাদেশের সরকার পর্যায়ের প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করা। কিন্তু এ উদ্যোগে জাস্টিস কনসার্ন কেবল ব্যর্থই হয়নি, বরং তারা যে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত তা ফাঁস হয়ে যায়। ফলে এপিপিজিএইচআর-এর এ সেমিনারটি সম্পর্কে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, এপিপিজিএইচআর আয়োজিত সেমিনারটিতে উপস্থিতির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় যোগাযোগের জন্যে যে টেলিফোন নাম্বারটি দেয়া হয়েছিল, সেটিতে বেশ কয়েকবার চেষ্টা চালিয়ে গত ২১ জুন কথা বলা সম্ভব হয়েছে। এ সময় টেলিফোনটি ধরেন জাস্টিস কনসার্নের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। সেমিনারটির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‌জাস্টিস কনসার্ন আর এ আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত নেই। এটি আয়োজন করছে এপিপিজিএইচআর।' এরপর এপিপিজিএইচআর অফিসে যোগাযোগ করা হলে সেখানকার একজন কর্মকর্তা জানান, ‌এরকম কোনও ইভেন্ট-এ এপিপিজিএইচআর-এর সম্পৃক্তির কথা তাদের জানা নেই। এপিপিজিএইচআর-এর অফিস থেকে এরকম জানানো হলেও যুক্তরাজ্যে ওয়ার ক্রাইম স্ট্র্যাটেজি ফোরামের (WCSF) একজন সংগঠক জানিয়েছেন, ‌লর্ড অ্যাভবেরি তাদের সেমিনারে উপস্থিত থাকার জন্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তবে তারা সুনির্দিষ্ট তথ্যপত্র উপস্থাপন করে জানিয়েছেন, এর সঙ্গে জামায়াতচক্র সংশ্লিষ্ট থাকায় উদ্যোগটির উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের সন্দেহ…

দেখতে খুব সাদাসিদে মেয়েটি। মাত্র ক্লাস এইটে পড়তো। বাবামার কনিষ্ঠা কন্যা। রাস্তার প্রেমিকদের যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে বিষপান করলো গতকাল। ইলোরা তার নাম। ...

দেখতে খুব সাদাসিধে মেয়েটি। মাত্র ক্লাস এইটে পড়তো। বাবামার কনিষ্ঠা কন্যা। রাস্তার প্রেমিকদের যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে বিষপান করলো গতকাল। ইলোরা তার নাম। এরকম আরো অনেক ইলোরা প্রাণ দিয়েছে বিগত বছরগুলোতে, আরো দেবে। কেবল পত্রিকায় প্রকাশিত হিসেব ধরলে গত কয়েক বছরে হিসেব করলে শ' খানেক আত্মহনন পাওয়া যাবে। নাম তার ইভ টিজিং। আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখনো ছিল। ক্লাসফাইভের মেয়েকেও স্কুলছাড়া হতে দেখেছি ইভ টিজিং-এর যন্ত্রণায়। আমার নিজের ছোট বোনও পড়েছিল ইভ টিজিং-এর হুমকিতে। আমি ঠেঙ্গানি দিয়ে নিরস্ত করেছিলাম। ঠেকাতে না পারলে কি হতো বলা মুশকিল। ইভ টিজিং-এ সবাই আত্মহত্যা করে না। যদি করতো তা কয়েক লক্ষ ছাড়িয়ে যেতো। যারা ইভ টিজিং করে, তারা সমাজের নীচুস্তরের ছেলে না। বেশিরভাগই স্বচ্ছল প্রভাবশালী ঘরের সন্তান। ফলে তারা অপরাধ করেও বিচারের উর্ধ্বে থেকে যায়, সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। বলি, আইন শক্ত করতে হবে। কিন্তু ভাবি আইন শক্ত করে কী হয়। এত আইন করেও এসিড নিক্ষেপ বন্ধ করা যায়নি, ইভ টিজিং বন্ধ হয়নি, আরো অনেক অপরাধকর্ম বন্ধ হয়নি। এদেশে আইন করে কোন অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, এটা প্রতিষ্ঠিত সত্যে পরিণত হয়ে গেছে। অপ্রিয় সত্য হলো, আমাদের দুর্বলতা আইন প্রয়োগে। আইনকে প্রয়োগের আওতায় আনতে পারছি না কেন? রাস্তাঘাটে টহল পুলিশকে পান বিড়ি খেয়ে বৈকালিক ভ্রমণে রত অবস্থায় দেখি সবসময়। ওদের কাজটা কি আসলে? আমি কখনো কোন পুলিশ বা অন্য বাহিনীকে সমাজে অপরাধ দমনে এগিয়ে আসতে দেখি না। কাঁধে অচল রাইফেল ঝুলিয়ে পর্যটকের মতো ঘুরে বেড়ানো পুলিশকে অপরাধী দুরে থাক, রাস্তার টোকাইও ভয় পায় না। এই পুলিশ বা অন্য যে সকল বাহিনী আছে, তাদেরকে টহলের নামে অলস পর্যটনে না পাঠিয়ে একটু হাত পা নেড়ে কাজে লাগানো যায় না? এদেশে এখন আইনের লোক দেখি দুরকম। হয় একদম অলস অকর্মণ্য পুলিশ, নয় একেবার কালো চশমার ডাইরেক্ট ক্রসফায়ার। এর মাঝামাঝি কোন রাস্তা নাই? উন্নত দেশের এত টেকনোলোজি ফ্যাশান আমদানি করি আমরা, সভ্যতা আমদানি করতে পারি না? আসলেই কি আমরা এতটাই অকার্যকর জাতে পরিণত হয়ে গেছি? সংবাদ সুত্রঃ http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=132905

তিনি যে নারী চরিত্র দাঁড় করিয়েছেন ‘থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার’-এ তাতে আপাতভাবে একটি প্রগতিশীল সমাধানে পৌছাচ্ছি মনে হলেও শেষ পর্যন্ত কর্পোরেট নৈতিকতায়, সতীত্বের নিগড়ে, প্রেমহীন-ভাবনাহীন দেনা-পাওনার সম্পর্কে, ‘ভোগ্যা’ হিসেবেই রুবার রূপান্তর ঘটেছে [..]

শুনছিলাম সারোয়ার ফারুকী একটা চলচ্চিত্র ‘বানিয়েছেন’ ; সেইটা নাকি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ‘জেলে’ আবদ্ধ এক নারীর বাস্তবতা দেখা। হলে গিয়ে দেখি, প্রায় পুরোটা সময় জুড়ে দর্শক থেকে থেকে হাসে, শিষ দেয়, হাতে তালি লাগায়। ছবিতে একটা সংলাপ আছে, ‘তুমি জেলে যাবার পর থেকে পুরো পৃথিবীটা আমার কাছে জেলখানা হয়ে গেছে।’ ঢাকার ‘খোলা জেলখানার’ বাস্তবতায় এক নারীর বিপদ দেখে দর্শক সারিতে এতো শিস বাজে কেন, আমোদের হাসি কেন? পুরুষ দর্শক বেশী বলে? নাকি নারীর কষ্ট যেভাবে দেখালে পুরুষ-চোখ-মন মজা পায়, হাততালি দিতে পারে তেমন ছবিই ফারুকী বানিয়েছেন? তিনি তাহলে পুরুষতান্ত্রিক চৈতন্যে শান দিছেন, কাতুকুতু মারছেন -- দর্শক তাই হাসে। তাতে তিনি সফল হইছেন। ছবি তো তাইলে সুপার হিট! অস্বীকার করে কে? একজন নারী দর্শক হিসেবে চলচ্চিত্র শুরুর কিছুক্ষণ পরই আবিস্কার করলাম, প্রেক্ষাগৃহের অন্য দর্শক থেকে তো আমি আলাদা হয়ে পড়ছি। হাসতে পারছি না। বলতে পারছি না যে নির্মাতা নারীর দৃষ্টিরূপ থেকে ছবি বানাইছেন। কেন পারছি না? নারীর দৃষ্টিরূপ থেকে ছবি হলে মূল চরিত্র রুবার যাতনা আমিও নারী হিসেবে বোধ করতাম। কিন্তু তা বোধ হচ্ছে না, আবার নির্মাতা যে হাসি হাসাইতে চাচ্ছেন সেই হাসিও হাসা সম্ভব না। তাহলে কি তিনি রুবার যাতনার উপর এমন মালমসলা ফালাইছেন এমন সিনেমাটিক রং-লেপা দিছেন যে, রুবার বেদনায় পুরুষ দর্শকের মনে সমবেদনার উদয় হতে না হতেই সেটা কৌতুক আর তরুণী নারীকে বিভিন্নভাবে দেখার আমোদে পরিণত হয়! আসেন তাহলে দেখি ফারুকী কি করছেন? থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার-এ চারটি বিষয় তুলে আনার চেষ্টা আছে: ১. পুরুষতান্ত্রিক-পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীর নিরাপত্তার প্রশ্ন। ২. আধুনিক সমাজে নারী-পুরুষ সম্পর্কের গোলযোগ ও টানাপোড়েন। ৩. মধ্যবিত্ত পুরুষ ও নারীর মনস্তাত্ত্বিক-চারিত্রিক পোষ্টমর্টেম। ৪. প্রচলিত মূল্যবোধের সাথে নতুন মূল্যবোধের দ্বন্দ্ব। ছবিতে শেষ পর্যন্ত যে তিনজনের সম্পর্ক জট পাকাতে ও বদলে যেতে দেখি, তারা হলো রুবা, মুন্না ও তপু। মুন্নার সঙ্গে রুবার ‘লিভ টুগেদার’ ছিল, কিন্তু সে এখন খুনের দায়ে জেলবাসী। তপু রুবার ছোটো বেলার বন্ধু, বিপদে পড়ে তার সহায়তা চায় রুবা। এই ছবিতে মূল চরিত্র রুবা একজন মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত তরুণী। তাকে ঘিরে ছবির ‘কাহিনী’ একটু একটু করে এগিয়েছে। রুবার সংকটের শুরু মুন্নার জেলে যাওয়া থেকে। এর আগে…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.