লন্ডন, ২২ জুন : বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী বিচারের উদ্যোগ ও প্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যে যুক্তরাজ্যে গৃহীত একটি উদ্যোগ ভেস্তে গেছে। জাস্টিস কনসার্ন নামে একটি ভূঁইফোড় সংগঠন যুক্তরাজ্যের অল-পার্টি পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপ (এপিপিজিএইচআর) -এর মাধ্যমে এ প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। এ ঘটনায় এপিপিজিএইচআর-এর ভাইস চেয়ারম্যান লর্ড অ্যাভবেরির ভূমিকা নিয়েও বিভিন্ন মহলে নানা সংশয় দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্তদের প্রধান আশ্রয়দানকারী রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষত যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে যুদ্ধাপরাধ বিচারের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। জাস্টিস কনসার্ন সেরকমই একটি সংগঠন, যার কোনও তৎপরতাই এর আগে যুক্তরাজ্যে দেখা যায়নি।
জাস্টিস কনসার্ন নামের এ সংগঠনটি বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ বিচারের প্রয়াসকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ইউ কে অল-পার্টি পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপের ওপর ভর করার অপচেষ্টা চালায়। প্রাথমিক পর্যায়ে এ প্রচেষ্টায় তারা সফলতাও অর্জন করে এবং ২৩ জুন যুক্তরাজ্যে হাউস অব লর্ডসে এপিপিজিএইচআর-এর পৃষ্ঠপোষকতায় ‘বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩ : আন্তর্জাতিক মান বিচার’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে। জাস্টিস কনর্সানের তৎপরতা থেকে বোঝা গেছে যে, তাদের উদ্দেশ্য ছিল এ সেমিনারকে খুবই গুরুত্ববহ করে তোলা এবং এতে বাংলাদেশের সরকার পর্যায়ের প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করা। কিন্তু এ উদ্যোগে জাস্টিস কনসার্ন কেবল ব্যর্থই হয়নি, বরং তারা যে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত তা ফাঁস হয়ে যায়। ফলে এপিপিজিএইচআর-এর এ সেমিনারটি সম্পর্কে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, এপিপিজিএইচআর আয়োজিত সেমিনারটিতে উপস্থিতির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় যোগাযোগের জন্যে যে টেলিফোন নাম্বারটি দেয়া হয়েছিল, সেটিতে বেশ কয়েকবার চেষ্টা চালিয়ে গত ২১ জুন কথা বলা সম্ভব হয়েছে। এ সময় টেলিফোনটি ধরেন জাস্টিস কনসার্নের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। সেমিনারটির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাস্টিস কনসার্ন আর এ আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত নেই। এটি আয়োজন করছে এপিপিজিএইচআর।’
এরপর এপিপিজিএইচআর অফিসে যোগাযোগ করা হলে সেখানকার একজন কর্মকর্তা জানান, এরকম কোনও ইভেন্ট-এ এপিপিজিএইচআর-এর সম্পৃক্তির কথা তাদের জানা নেই। এপিপিজিএইচআর-এর অফিস থেকে এরকম জানানো হলেও যুক্তরাজ্যে ওয়ার ক্রাইম স্ট্র্যাটেজি ফোরামের (WCSF) একজন সংগঠক জানিয়েছেন, লর্ড অ্যাভবেরি তাদের সেমিনারে উপস্থিত থাকার জন্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তবে তারা সুনির্দিষ্ট তথ্যপত্র উপস্থাপন করে জানিয়েছেন, এর সঙ্গে জামায়াতচক্র সংশ্লিষ্ট থাকায় উদ্যোগটির উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে বলে তারা এতে যোগ দেবেন না।
জানা গেছে, সেমিনারটি হিউম্যান রাইটস গ্রুপ-এর উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে বলে প্রচার করা হলেও, উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের টেলিফোন নাম্বারটি জামায়াত ঘরানার সুপরিচিত এক সংগঠকের। এটি নিশ্চিত হওয়ার পর ‘ওয়ার ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম’-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত একদল তরুণ বিষয়টি আরও বিশদভাবে জানার চেষ্টা চালান। তারা সাইটটি সম্পর্কে জানার জন্যে বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হন। তথ্যানুসন্ধানে বেরিয়ে আসে যে, যুক্তরাজ্যে জামায়াত-শিবির ঘরানার একটি সাপ্তাহিক ইউরোবাংলার নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকারী কামাল শিকদারের নামে এই ডোমেইনটি রেজিস্ট্রি করা হয়েছে, যিনি এক কালে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির এর কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। সাইটটি রেজিস্টার করার সময় তার ব্যক্তিগত বাড়ির ঠিকানাও ব্যবহার করা হয়েছে। জাস্টিস কনর্সানের ওয়েবসাইটটিতে ‘কনটাক্ট আস’ এবং ‘অ্যাবাউট আস’ সহ বেশ কয়েকটি পেইজও সবার জন্যে উন্মুক্ত নয়। এর আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ- যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় গোপনে ইসলামী ছাত্র শিবিরের তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন এবং যুক্তরাজ্যে আসার পর বাংলাদেশ ফোরাম অব ইউরোপ (BFE)-এর নির্বাহী সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ ফোরাম অব ইউরোপ যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ থেকে আসা শিবির কর্মীদের সংগঠন হিসেবে সুপরিচিত, যাদের আয়োজিত আলোচনাচক্রে কথিত যুদ্ধাপরাধী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকেও অতীতে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। এছাড়াও বিএফই এর সাথে আইএফই (Islamic Forum of Europe – IFE) নামের আরেকটি জঙ্গী-মৌলবাদ সমর্থক বিতর্কিত সংগঠনের যোগাযোগের বিষয়টিও সর্বজনবিদিত। উল্লেখ্য, আইএফই এর প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম হল – যুক্তরাজ্যে অবস্থানকারী কথিত যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মুঈনউদ্দিন, যার বিরুদ্ধে একাত্তরের বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার সুষ্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। (এখানে এবং এখানে দেখুন)।
জানা গেছে, বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সেমিনারটিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চালানো হয়। এমনকি এ সেমিনারটিতে লর্ড অ্যাভবেরির ভূমিকা নিয়েও নানা সংশয় দেখা দিয়েছে। এ সেমিনারে ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন, অতএব এটিতে উপস্থিত না হলে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নের মুখে পড়বে ইত্যাদি যুক্তি দেখানো হয় জামাতমনস্ক লবিস্টদের পক্ষ থেকে। কিন্তু ‘ওয়ার ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম’-এর তথ্যপত্র থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে এ সেমিনারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ফলে সরকারের পক্ষ থেকেও এতে কেউ যোগ দিচ্ছেন না।
তবে জাস্টিস কনসার্ন নামের সংগঠনটি এরপরও তাদের অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এরই অংশ হিসেবে আগামী ২৫ জুন শুক্রবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে সংগঠনটির আহ্বায়ক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সভাপতিত্বে কুইন মেরির ম্যাসন লেকচার থিয়েটারে ‘বাংলাদেশ : গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং বাক-স্বাধীনতা’ শীর্ষক একটি সেমিনার। এতে প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যথাক্রমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেক্রেটারি ব্যারিস্টার মাহবুব হোসেন এবং ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল।
Have your say
You must be logged in to post a comment.
১১ comments
মোহাম্মদ মুনিম - ২৩ জুন ২০১০ (২:১২ পূর্বাহ্ণ)
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব হোসেন ন্যুয়র্কে যা বলেছেন
অবিশ্রুত - ২৩ জুন ২০১০ (৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ)
অদ্ভূত!
এই একটিমাত্র শব্দই তাৎক্ষণিকভাবে মনে এলো এ খবর পড়ার পরে। এরকম অদ্ভূত সব ঘটনাই ঘটে কলিকালে…অদ্ভূত আধার এক আর কাকে বলে!
এর মধ্যে আরও কিছু খবর চোখে পড়েছে আমাদের। যেমন, গোলাম আযম আবারও চেষ্টা চালাচ্ছেন বিদেশে চলে আসার। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যই লাগসই- কেননা এখানে তার পুত্রধনরা আছে, তারা মাঝেমধ্যেই উইকিপিডিয়ায় হানা দিয়ে বাবার কলংকমোচন করার জন্যে গোলাম আযম এন্ট্রিসহ মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন এন্ট্রিগুলি সংশোধন করার চেষ্টা চালায়, এখানেই এক সময় গোলাম আযমের তত্ত্বাবধানে পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন করা হয়েছিল এবং এখান থেকেই নানা দেশের যুদ্ধাপরাধীরা নানা ভাবে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে আসছে অনেক আগে থেকেই। বহু স্মৃতি বিজড়িত যুক্তরাজ্যে তাই আবার আসার প্রয়োজন বোধ করেছেন গোলাম আযম- যদিও দোহাই দেয়া হচ্ছে যে, সন্তানদের সঙ্গে দেখা করাই তার সফরের উদ্দেশ্য। কিন্তু উদ্দেশ্য যে কী, তা বলাই বাহুল্য।
এক সময় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার জন্যে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন গোলাম আযম, কে জানত নিজের জীবদ্দশাতেই তার সেই নাগরিকত্বপ্রাপ্তিই (যাকে একদিন জামায়াতে ইসলামীর সবাই মনে করেছিল তাদের একটি বড় রাজনৈতিক বিজয়) এক সময় ভয়াবহ খোয়াব হয়ে উঠবে!
ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অনীহা আছে, হতাশা আছে, উপহাস আছে; কিন্তু তারপরও এটি একটি অমোঘ সত্য যে ইতিহাস সবার প্রাপ্যই শোধ করে, কড়ায় গণ্ডায় বুঝিয়ে দেয়। যারা এখন গোলাম আযমদের রক্ষা করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন, তারাও একদিন ইতিহাসের প্রাপ্য বুঝে পাবেন।
এই সেমিনারের আয়োজনে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্যে দিয়ে লর্ড অ্যাভবেরি নিজেকে যে কী পরিমাণ বিতর্কিত করে তুললেন, তা বোধহয় তিনি এখনও বুঝতে পারছেন না। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপিদের বিরুদ্ধে, মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রমাণিতও হচ্ছে; এ ঘটনাপ্রবাহ থেকে পরিষ্কার ব্রিটেনের প্রতিষ্ঠানসমূহের কোনও কর্তা ব্যক্তিই এখন আর সন্দেহের উর্ধে নন। জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধ বিচারকে ঠেকানোর জন্যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে কী পরিমাণ অর্থ লগ্নি করেছেন, তা আমাদের ধারণারও বাইরে। তারা যুদ্ধাপরাধী বিচারকে দেশের জনগণের কাছে অপ্রয়োজনীয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ইত্যাদি হিসেবে প্রমাণ করার জন্যে লাখ লাখ বুকলেট বিনা পয়সায় বিলি করেছে এবং সম্প্রতি সাঈদীর লেখা আরও একটি বুকলেট বিলি করার উদ্যোগ নিয়েছে – এ থেকেই বোঝা যায়, তারা ইতিমধ্যেই কত সংঘবদ্ধ প্রস্তুতি নিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তারা কী পরিমাণ অর্থ লগ্নি করেছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও তার পরিমাণ যে বিশাল, তা এই সামান্য উদাহরণটি থেকেই বোধগম্য।
যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি তরুণদেরও প্রয়োজন দ্রুত এ ধরণের জামাতি উদ্যোগগুলির মুখোশ উন্মোচন করা। ওয়ার ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরামের সংগঠকদের অসংখ্য ধন্যবাদ, সেরকম একটি উদ্যোগের আগাপাশতলা উন্মোচন করে তারা যথাযথ ভূমিকা পালন করেছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন আশা করি।
প্রশ্নোত্তর - ২৩ জুন ২০১০ (৫:০১ অপরাহ্ণ)
ফুয়াদ সাহেবের শিবির-সংশ্লিষ্টতা কেবল কথিত নয়, প্রমাণিত। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে জামাত-শিবির বর্তমানে যে আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে তার পেছনে মূল ভূমিকা পালন করছে কুখ্যাত কামরুজ্জামান ওরফে কামরু রাজাকার। বাংলাদেশ থেকে কামরুজ্জামান কলকাঠি নাড়ছে আর লন্ডনে সে কাঠিসমূহ সমন্বয় করছে ফুয়াদ।
প্রশ্নোত্তর - ২৩ জুন ২০১০ (৫:০৪ অপরাহ্ণ)
জাস্টিস কনসার্ন তো সদ্য গজিয়ে উঠেছে, কিন্তু ভাবনার বিষয় হচ্ছে ওদের নিয়ন্ত্রনে অন্তত আরো এক ডজন সংগঠন আছে যেগুলোর ব্যানার ওরা ব্যবহার করছে বা করবে। এ সংগঠনগুলোর বেশিরভাগই ব্রিটেইনে চ্যারিটি হিসেবে তালিকভুক্ত।
রায়হান রশিদ - ২৩ জুন ২০১০ (৫:১৫ অপরাহ্ণ)
এই সংগঠনগুলোর একটা পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন সত্যিই জরুরী হয়ে পড়েছে।
মুক্তাঙ্গন - ২৩ জুন ২০১০ (৭:০৭ অপরাহ্ণ)
বিডিনিউজ এক্সক্লুসিভ:
রায়হান রশিদ - ২৩ জুন ২০১০ (৯:০০ অপরাহ্ণ)
ডেভিড বার্গম্যানের রিপোর্টটি অসাধারণ। তবে নিচের এই বক্তব্যের আলোকে কিছু নতুন তথ্য উল্লেখ করার প্রয়োজন অনুভব করছি:
গত ১৩ জুন ২০১০, আইবিএ-ওয়ার ক্রাইম কমিটি’র বহুল আলোচিত রিভিউটির (১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইন নিয়ে) বিষয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ তিন আইনজীবির মতামত আহ্বান করা হয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ড কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার আমির উল ইসলাম, এবং জনাব রোকনউদ্দিন মাহমুদসহ আইন কমিশনের চেয়ারম্যান – বিচারপতি (অব:) আব্দুর রশিদ। এই মতামতের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আইবিএ রিভিউ এর প্রত্যুত্তরে একটি বিশদ ‘আইনগত মতামত’ প্রণয়ন করা হয়, যা সপ্তাহকাল আগেই লন্ডনের বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে এসে পৌঁছায়। দূতাবাস এর পক্ষ থেকে এই আইনগত মতামতটি গত ২১ জুন তারিখেই যুক্তরাজ্যের সংশ্লিষ্ট মহলগুলোর কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে – যুদ্ধাপরাধের বিচার ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের আইনী অবস্থান এবং প্রত্যুত্তর হিসেবে। যুক্তরাজ্য আইন সভার যাঁদের কাছে প্রত্যুত্তরটি অফিশিয়ালী পাঠানো হয়েছে তাঁরা হলেন:
১) এ্যান ক্লুইড, ‘অল-পার্টি পার্লামেন্টারী গ্রুপ অন হিউম্যান রাইটস’ এর চেয়ারপার্সন।
২) লর্ড এরিক এ্যাভবেরী, যিনি উপরোক্ত পার্লামেন্টারী গ্রুপের পাঁচ জন ভাইস-চেয়ারম্যানের একজন, তাকেও এই দলিলটির একটি অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
৩) এ্যান মেইন, ‘অল-পার্টি পার্লামেন্টারী গ্রুপ অন বাংলাদেশ’ এর চেয়ারপার্সন।
মাসুদ করিম - ২৩ জুন ২০১০ (৮:৩৯ অপরাহ্ণ)
আজকের দৈনিক সংগ্রামের সূত্রে জানা গেল খন্দকার মাহবুব হোসেন এখন আমেরিকায়। ব্যারিস্টার মাহবুব হোসেন ও খন্দকার মাহবুব হোসেন কি একই লোক? তাহলে আমেরিকার পরই তিনি আসবেন ইংল্যান্ডে, তার সফরসূচি মনে হয় বেশ বড়। নিউইয়র্কের সভায় কারা কারা ছিলেন, কী কী আলোচনা হল, দৈনিক সংগ্রামের প্রতিবেদন
দৈনিক সংগ্রামের এই প্রতিবেদনটির লিন্ক এখানে।
মাসুদ করিম - ২৩ জুন ২০১০ (৯:০৩ অপরাহ্ণ)
টুইটারে এই পোস্টের লিন্ক দেয়ার পাশাপাশি লিখেছি : জামাত হল চোখের পাতা ছাড়া লাল চোখের ত্রাস : এর না আছে ঘুম না আছে লজ্জা। ঘুম আর লজ্জা যার নেই, সে মরে কী করবে?
মাসুদ করিম - ২৫ জুন ২০১০ (১১:০৬ পূর্বাহ্ণ)
এই সেমিনার নিয়ে দৈনিক সংগ্রামের রিপোর্ট
লিন্ক এখানে।
Pingback: যুদ্ধাপরাধের বিচার : ‘বড় হলে বুঝবে’ | ইমতিয়ার শামীম