ওয়ার ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিচার না হওয়া অপরাধীদের বিচারের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তাদের 'মিডিয়া আর্কাইভ' এ ক্ষেত্রে সবচে বেশি তথ্যসমৃদ্ধ। সম্প্রতি তাদের মিডিয়া আর্কাইভে যোগ হয়েছে দুর্লভ একটি প্রামান্যচিত্র। ১৯৯৫ সালে ব্রিটেনের চ্যানেল ফোরে প্রচারিত হয় 'ওয়ার ক্রাইমস ফাইল: ডিসপ্যাচেস' নামের একটি অসাধারন বর্ননা। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশে থেকে পালিয়ে আসা কথিত যুদ্ধাপরাধী কয়েকজন রাজাকার/আলবদর কিভাবে ব্রিটেনে বাসা গেড়েছে, ধর্মের ব্যবসা ফেঁদেছে, তা নিজের চোখেই দেখুন। চ্যানেল ফোর এই ডকুমেন্টারি তৈরির পর পরেই চৌধুরী মঈনূদ্দীন তরফ থেকে এক আইনী হুমকির মুখে পড়ে। সুরাহা হয় এই শর্তে যে চ্যানেল ফোর এই তথ্যচিত্র পুনঃ প্রচার করতে পারবে না। সত্যকে চাপা দেবার এই পুরোনো হাতিয়ার আজো ব্যবহার করে যাচ্ছে রাজাকার চক্র। এখানে তাদেরই মুখোশ খুলে দেয়া হলো।। যুগপৎ প্রকাশ: সচলায়তন, আমারব্লগ, মুক্তমনা, সামহোয়ার-ইন

গত ৩০ মে 'আমাদের সময়' পত্রিকায় একটি অদ্ভুত খবর প্রকাশিত হয়েছে। এও কি সম্ভব যে সরকারের আইন বিষয়ক 'বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টাগণ' ১৯৭৩ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে প্রণীত মূল ইনডেমনিটি আইনটির অস্তিত্বের ব্যাপারে অবগত নন? বিশ্বাস করা কঠিন, কিন্তু কিছুই অসম্ভব না। নাকি এই আইনটির উদ্দেশ্য হল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নতুন এক শ্রেনীর ব্যক্তিবর্গকে দায়মুক্তি প্রদান?

গত ৩০ মে আমাদের সময় পত্রিকায় একটি অদ্ভুত খবর প্রকাশিত হয়েছে (মিডিয়া আর্কাইভে আপলোডকৃত)। খবরে প্রকাশ, আইন বিচার এবং সংসদ বিষয়ক সংসদীয় কমিটি একটি নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে যার লক্ষ্য হবে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা সংঘটিত সব ফৌজদারী অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি। শুধু মুক্তিযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বা প্রয়োজনে সংঘটিত অপরাধগুলোই এই দায়মুক্তির আওতায় পড়বে। পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী: প্রায় ৪০ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের অপরাধের দায়মুক্তি দিয়ে আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধকালীন সম্মুখ সমরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী কিংবা এদেশীয় রাজাকারদের হত্যা, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়াসহ যেসব অনিবার্য কাজ করতে হয়েছে এবং প্রচলিত আইনে যা অপরাধ তার দায় থেকে মুক্তি দিয়ে এ আইন প্রণীত হবে। জাতীয় সংসদের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এ আইনসহ সংবিধানের বিভিন্ন বিধান কার্যকর করতে আরও প্রায় চল্লিশটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। আইন কমিশনকে এসব আইনের খসড়া তৈরি করে সংসদীয় কমিটির কাছে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। আইন কমিশন ইতিমধ্যেই এসব আইনের খসড়া তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, স্বাধীনতার ৪০ বছর পরেও এ ধরনের আইন প্রণয়ন করা হয়নি বলেই জামায়াত এখন ওই সময়ের কর্মকা ের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার চাওয়ার সাহস দেখায়। এ আইন অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। রিপোর্টটিতে দেখা যাচ্ছে আইন কমিশনও ইতোমধ্যেই এই নতুন ইনডেমনিটি আইনটির খসড়া প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। প্রকাশিত খবরটি যে কারণে অদ্ভুত তা হল, আজ থেকে প্রায় ৩৭ বছর আগেই এই সুনির্দিষ্ট বিষয়টিকে কেন্দ্র করে একটি আইন প্রণীত হয়েছিল, যা এখনো বলবত। আইনটির নাম: The Bangladesh National Liberation Struggle (Indemnity) Order 1973 (P.O. No. 16 of 1973)। ১৯৭৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী তারিখে প্রণীত এই আইনটিকে ১ মার্চ ১৯৭১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারী ১৯৭২ পর্যন্ত পুরো সময়টির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য করা হয়েছে। সবার সুবিধার্থে ১৯৭৩ সালের সংক্ষিপ্ত এই আইনটির পুরোটাই এখানে উদ্ধৃত হল: WHEREAS it is expedient to provide for indemnity to persons in the service of the Republic and to other persons in respect of act done in connection with the national liberation struggle, the maintenance or restoration of order; NOW, THEREFORE, in…

মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন যাঁরা, তাদের কত অংশ রাজনীতি অর্থনীতির জটিল তত্ত্বপাঠ নিয়ে তারপর অংশ নিয়েছিলেন আর কত অংশ গিয়েছিলেন স্রেফ ভালোবাসার তাগিদে? মানুষের প্রতি নেতৃত্বের, আর নেতৃত্বের প্রতি মানুষের সেই ভালোবাসা [..]

১. আর্নেস্তো চে গুয়েভারার ওপর নির্মিত স্টিভেন সডেরবার্গ এর ছবি 'দি আর্জেন্টাইন' দেখছিলাম। ছবিটি শুরু হয়েছে ১৯৬৪ সালে হাভানায় সাংবাদিক লিসা হাওয়ার্ডের নেয়া চে গুয়েভারার একটি সাক্ষাৎকারকে পটভূমিতে রেখে। সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে লিসা জিজ্ঞেস করলেন: - What is the most important quality for a revolutionary to possess? - l`amour. ('ভালোবাসা', চে'র উত্তর। 'মানুষের প্রতি, ন্যায় এর প্রতি, আর সত্যের প্রতি ভালোবাসা')। তরুণ বয়সে চে তখনো চে হয়ে ওঠেননি, স্রেফ আর্নেস্তো। বেরিয়ে পড়েছিলেন লাতিন আমেরিকা ঘুরে দেখতে। সম্বল একটি মটরসাইকেল আর মানুষের প্রতি গভীর মমতা আর ভালোবাসা। মানুষকে ভালোবেসেই ক্রমে আর্নেস্তো হয়ে উঠেছিলেন চে। সেই ভালোবাসা মানুষও তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে দু'হাতে। চের মৃত্যুর পর ৪৩ বছরেও সেই ভালোবাসা এতটুকু ম্লান হয়নি, বরং দেশ কাল সীমানা সময় ডিঙিয়ে - লাতিন আমেরিকা ইউরোপ থেকে শুরু করে বাংলার একটি তরুন কিংবা কিশোরের চোখেও সেই ভালোবাসা সমান দীপ্তি নিয়ে জ্বলে। ২. আরেকটি সাক্ষাৎকারের কথা বলি এবার। স্বাধীনতার ঠিক পর পরই সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টকে দেয়া বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎকার। ফ্রস্ট প্রশ্ন করলেন - 'আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি কি'? বঙ্গবন্ধু বললেন - 'আমি আমার মানুষকে ভালোবাসি' ফ্রস্ট এবার জিজ্ঞেস করলেন - 'আপনার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা কি'? একটু থেমে বঙ্গবন্ধু বললেন - 'আমি তাদের বড় বেশী ভালোবাসি' বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন - 'আমি আমার দেশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, সেই ভালোবাসা নিয়ে মরতে চাই, আর কিছু চাই না'। ৩. মানুষ রাজনীতি করে মানুষেরই জন্য। আর সেই মানুষও ভালোবেসেই কাউকে তাদের নেতা বানায়। নেতার এক ডাকে মুক্তির বাণী বুকে নিয়ে রাজপথে জীবন দেয়, স্টেনগান হাতে তুলে নেয়। বিশ্বের সবচেয়ে পরাক্রমশালী রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে যায়। কখনো কখনো এই ভালোবাসাই কয়েক দশকের মিথ্যা ক্লেদ গ্লানি স্তাবকতাকে দু'হাতে সরিয়ে সত্যের সন্ধান করে। মিথ্যাচার দেখলে প্রতিবাদ করে, মিথ্যাবাদীদেরকে এবং তাদের দোসরদের চিহ্নিত করে। ৪. মনে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এক বন্ধুর সাথে তার নেতার বক্তৃতা শুনতে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে বন্ধুটিকে বলেছিলাম - 'যে নেতৃত্বের প্রত্যাশা আমি করি, তার নেতার মধ্যে আমি সেটি খুঁজে পাইনি'। বন্ধুটি দুঃখিত হয়ে আমাকে একটি লম্বা লেকচার দিয়েছিল - ব্যক্তিগত ক্যারিশমা বা মমতা দিয়ে কেন একজন নেতাকে বিচার করা সঠিক নয় (বৈজ্ঞানিক তো…

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে (আমি যদ্দুর জানি) আসামীদের সবাই রাজনৈতিকভাবে মৃত ছিলেন। নাৎসীরা থেকে শুরু করে বর্তমানে বিচারাধীন রোদোভান কারাচদিচ [....]

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে (আমি যদ্দুর জানি) আসামীদের সবাই রাজনৈতিকভাবে মৃত ছিলেন। নাৎসীরা থেকে শুরু করে বর্তমানে বিচারাধীন রোদোভান কারাচদিচ, এরা সকলেই বিচারাধীন সময়ে রাজনৈতিক ভাবে দুর্বল বা মৃত ছিলেন। অল্প কিছু শুভানুধ্যায়ী ছাড়া এদের পক্ষে কেউ ছিলেন না। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আসামীরাও রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। সম্ভবত এই প্রথমবারের মত কোন সক্রিয় রাজনৈতিক দলের নেতারা (প্রকৃতপক্ষে সব শীর্ষ নেতারাই) যুদ্ধাপরাধের মত গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে আদালতে যাচ্ছেন। সে হিসাবে এটা সরকারের একটা সাহসী পদক্ষেপ। জামাতের জনসমর্থন সেভাবে কোন কালেও ছিল না, একাত্তরপূর্ব বাংলাদেশেও না, আজকের বাংলাদেশও না। কিন্তু একদল সক্রিয় কর্মীর সুবাদে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারা চিরকাল pivotal অবস্থানে থেকেছে। ১৯৯৩ সালে শেখ হাসিনা নিজামীকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ‘তাদের ডানে রাজাকার, বামে স্বৈরাচার, সামনে অন্ধকার” এই কাব্যিক উক্তিটি করলেন। খালেদা জিয়া সেই রাজাকারকেই ২০০১ সালে মন্ত্রী করলেন। সেই সময়ে বিএনপির এক মন্ত্রী ‘আমরা জামাতকে স্মৃতিসৌধে নিতে পেরেছি’ এই জাতীয় একটা হাস্যকর উক্তি করেছিলেন বলে মনে পড়ে। এই দুঃখজনক ব্যাপারগুলোর মাঝেও একটা আশার ব্যাপার হচ্ছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি দু'দলই রাজাকার ফ্যাক্টরটি ব্যবহার করেছে। জামাত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হয়ে গেলেই তারা রাজাকার ফ্যাক্টরটি ব্যবহার করেছে। এমনকি সামরিক বাহিনীর অফিসাররাও রাজাকার ফ্যাক্টরটি ব্যবহার করেছেন। বিএনপি '৯১ এ রাজাকার আব্দুর রহমান বিশ্বাসকে রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত করেছিল। '৯৬ এ জেনারেল নাসিমের পদ্যচ্যুতির ক্ষুদ্র নাটিকাটি যখন ঘটে, তখন তাঁর পক্ষের অফিসারদের রেকর্ডকৃত কথোপকথনে রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসকে ‘রাজাকার বিশ্বাস’ নামে অভিহিত করা হয়েছে শোনা যায়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলিয়া কিছুই নাই’ এই জাতীয় কিছু আপ্তবাক্য ব্যবহার করে সকল রাজনৈতিক দলই জামাতকে ব্যবহার করেছে (এবং ব্যবহৃত হয়েছে), আবার বাংলাদেশের মানুষের মনে জামাতীদের ব্যাপারে যে তীব্র ঘৃণা আছে সে আবেগটিরও ব্যবহার করেছে। 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়ে গেলে জামাত শেষ, জামাত শেষ মানে বিএনপি শেষ, আওয়ামী লীগের একচ্ছত্র শাসন, ফিরে আসবে '৭২-'৭৫-এর দুঃশাসন' এই জাতীয় কিছু অতি সরলীকৃত রাজনৈতিক বিশ্লেষণ আছে। '৭২-'৭৫-এর আমল ভালো না খারাপ এটা নিয়ে শুধু অর্থহীন বিতর্কই করা চলে, সেই আমল কখনোই ফিরে আসবে না, ইতিহাস কখনোই পিছনের দিকে যায় না। ২০০১ সালে বঙ্গবন্ধুর নামে আকাশ বাতাস নদী ও সাগরের…

রোম যখন পুড়ছিল, তখন নীরো বাঁশী বাজাচ্ছিলেন না, কারণ তখন বাঁশী আবিস্কারই (খ্রীস্টীয় প্রথম শতকে) হয়নি [..]

রোম যখন পুড়ছিল, তখন নীরো বাঁশী বাজাচ্ছিলেন না, কারণ তখন বাঁশী আবিস্কারই (খ্রীস্টীয় প্রথম শতকে) হয়নি। তবে তিনি কি বাজাচ্ছিলেন, গীটার? তাও না। গীটার তো আধুনিক ব্যাপার, গীটারের পুর্বশুরি লাইয়ার? না তাও না। তবে, একটা কিছু তো বাজাচ্ছিলেন? না, তিনি কিছুই বাজাচ্ছিলেন না। বস্তুত তিনি তখন রোমেই ছিলেন না। তিনি ছিলেন আনযিওতে, রোম থেকে ষাট মাইল দূরে। আগুনের খবর শুনে তিনি কি করলেন? ছুটে এলেন রোমে। রোমে এসে তিনি শুরু করলেন ত্রানকার্য, নিজের পয়সায়। নিজের প্রাসাদ খুলে দিলেন জনসাধারণের জন্য। লোকে যেন না খেয়ে মারা না যায়, নিয়মিত খাবারের ব্যবস্থা করলেন। পূড়ে যাওয়া রোম নতুন করে তৈরি করলেন, প্রশস্ত রাস্তা আর দুধারে ইটের তৈরি বাড়ি, যেন আবার আগুন লাগলে নিভিয়ে ফেলা যায়। আগুন লাগালো কে? নীরো নিজে? না তিনি তো তখন রোমেই ছিলেন না। তবে কে? রোমের সংখ্যালঘু খ্রিস্টানরা? ও বেচারারা লাগাবে কেন? তবে কে? কোন এক অসাবধানী দোকানদার। রোমের দক্ষিণের স্টেডিয়াম লাগোয়া ‘বঙ্গবাজারের’ এক দোকানদার। সেই ব্যাটা কোথায়? কোথায় আবার, নিজেই পুড়ে শেষ। এতবড়ো আগুন? শুধু এক দোকানদার, হতেই পারে না। নীরো ব্যাটাই লাগিয়েছে। কেন লাগাবে? নিজের বাড়িতে সে আগুন লাগাবে কেন? লাগাবে যেন আবার এক বড় বাড়ি বানাতে পারে, জনগণের পয়সায়। শোন, বই বিক্রি করাটাই বড় কথা। নীরোর রিলিফ টিলিফের কথা লেখার দরকার নেই। লেখ “অত্যাচারী সম্রাট নীরো নিজের স্ত্রী কতৃক প্ররোচিত হইয়া নিজের মাতাকে হত্যা করেন। শুধু তাহাই নন, নিজের রোম শহরে আগুন লাগাইয়া মনের সুখে বাঁশী বাজাইতে থাকেন। পাঁচদিন ধরিয়া সে আগুন জ্বলে। রোম পুড়িয়া ছাই হইয়া যায়। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। সেই ধ্বংসস্তুপের উপরে নীরো পছন্দমত শহর তৈরি করেন। এত অত্যাচার জনগণের সহে নাই। তাঁহারা বিদ্রোহে ফাটিয়া পড়ে। কাপুরুষ নীরো পালাইয়া গিয়া আত্নহত্যা করেন। তাঁহার মৃতুর খবর শুনিয়া জনগণ আনন্দে উৎসবে মাতিয়া উঠে। রোমে শান্তি ফিরিয়া আসে।” নীরো সম্পর্কে আলাপ এখানেই শেষ, আলাপ বেশি করাটা ঠিক নয়, নীরোর ‘কাল্ট’ দাঁড়িয়ে যেতে পারে। তবে একটা কথা না বললেই নয়, বঙ্গবন্ধুকে দেখে ওরিয়ানা ফালাচীর প্রথম প্রতিক্রিয়া “একজন ঋজু রোমান সম্রাট”।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.