শাসন করা তারই সাজে শোষণ করে যে।
শাসন করা তারই সাজে[...]
শাসন করা তারই সাজে[...]
শাসন করা তারই সাজে শোষণ করে যে।
মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন যাঁরা, তাদের কত অংশ রাজনীতি অর্থনীতির জটিল তত্ত্বপাঠ নিয়ে তারপর অংশ নিয়েছিলেন আর কত অংশ গিয়েছিলেন স্রেফ ভালোবাসার তাগিদে? মানুষের প্রতি নেতৃত্বের, আর নেতৃত্বের প্রতি মানুষের সেই ভালোবাসা [..]
১. আর্নেস্তো চে গুয়েভারার ওপর নির্মিত স্টিভেন সডেরবার্গ এর ছবি 'দি আর্জেন্টাইন' দেখছিলাম। ছবিটি শুরু হয়েছে ১৯৬৪ সালে হাভানায় সাংবাদিক লিসা হাওয়ার্ডের নেয়া চে গুয়েভারার একটি সাক্ষাৎকারকে পটভূমিতে রেখে। সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে লিসা জিজ্ঞেস করলেন: - What is the most important quality for a revolutionary to possess? - l`amour. ('ভালোবাসা', চে'র উত্তর। 'মানুষের প্রতি, ন্যায় এর প্রতি, আর সত্যের প্রতি ভালোবাসা')। তরুণ বয়সে চে তখনো চে হয়ে ওঠেননি, স্রেফ আর্নেস্তো। বেরিয়ে পড়েছিলেন লাতিন আমেরিকা ঘুরে দেখতে। সম্বল একটি মটরসাইকেল আর মানুষের প্রতি গভীর মমতা আর ভালোবাসা। মানুষকে ভালোবেসেই ক্রমে আর্নেস্তো হয়ে উঠেছিলেন চে। সেই ভালোবাসা মানুষও তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে দু'হাতে। চের মৃত্যুর পর ৪৩ বছরেও সেই ভালোবাসা এতটুকু ম্লান হয়নি, বরং দেশ কাল সীমানা সময় ডিঙিয়ে - লাতিন আমেরিকা ইউরোপ থেকে শুরু করে বাংলার একটি তরুন কিংবা কিশোরের চোখেও সেই ভালোবাসা সমান দীপ্তি নিয়ে জ্বলে। ২. আরেকটি সাক্ষাৎকারের কথা বলি এবার। স্বাধীনতার ঠিক পর পরই সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টকে দেয়া বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎকার। ফ্রস্ট প্রশ্ন করলেন - 'আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি কি'? বঙ্গবন্ধু বললেন - 'আমি আমার মানুষকে ভালোবাসি' ফ্রস্ট এবার জিজ্ঞেস করলেন - 'আপনার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা কি'? একটু থেমে বঙ্গবন্ধু বললেন - 'আমি তাদের বড় বেশী ভালোবাসি' বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন - 'আমি আমার দেশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, সেই ভালোবাসা নিয়ে মরতে চাই, আর কিছু চাই না'। ৩. মানুষ রাজনীতি করে মানুষেরই জন্য। আর সেই মানুষও ভালোবেসেই কাউকে তাদের নেতা বানায়। নেতার এক ডাকে মুক্তির বাণী বুকে নিয়ে রাজপথে জীবন দেয়, স্টেনগান হাতে তুলে নেয়। বিশ্বের সবচেয়ে পরাক্রমশালী রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে যায়। কখনো কখনো এই ভালোবাসাই কয়েক দশকের মিথ্যা ক্লেদ গ্লানি স্তাবকতাকে দু'হাতে সরিয়ে সত্যের সন্ধান করে। মিথ্যাচার দেখলে প্রতিবাদ করে, মিথ্যাবাদীদেরকে এবং তাদের দোসরদের চিহ্নিত করে। ৪. মনে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এক বন্ধুর সাথে তার নেতার বক্তৃতা শুনতে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে বন্ধুটিকে বলেছিলাম - 'যে নেতৃত্বের প্রত্যাশা আমি করি, তার নেতার মধ্যে আমি সেটি খুঁজে পাইনি'। বন্ধুটি দুঃখিত হয়ে আমাকে একটি লম্বা লেকচার দিয়েছিল - ব্যক্তিগত ক্যারিশমা বা মমতা দিয়ে কেন একজন নেতাকে বিচার করা সঠিক নয় (বৈজ্ঞানিক তো…
বস্ত্র, বাসস্থানের আবিষ্কার ও উন্নয়নের মধ্য দিয়ে সভ্য মানুষ শৈত্যের সমস্যা দূর করেছে বহুকাল আগে। বরফ জমা ঠান্ডা আবহাওয়াতেও মানুষ জীবন-যাপন করেছে। তাহলে কেন এই একবিংশ শতকে সামান্য শীতে কোটি কোটি মানুষ সংকটাপন্ন? [...]
১৪তম শীতার্ত সহযোগিতা ও প্রচার কার্যক্রম ২০০৯ প্রগতির পরিব্রাজক দল, প্রপদ '৯৬ সাল থেকেই দেশের শীতার্ত মানুষের সহযোগিতার লক্ষ্যে শীত বস্ত্র সংগ্রহ ও বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও হাতে নিয়েছে ১৪ তম শীতার্ত সহযোগিতা ও প্রচার কার্যক্রম। এ কার্যক্রমে ব্লগমন্ডলের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ২০০৮ সালের শীতার্ত কার্যক্রমের প্রচারপত্র থেকে কিছু অংশ সবার অবগতির জন্য তুলে দেয়া হল। শীত সংকটের সমাধানে, শীতার্ত মানুষ, জাতি ও জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে আসুন, জনগণের উপর চেপে থাকা শোষণমূলক ব্যবস্থাকে আঘাত করি বছর বছর কয়েক শত মানুষ মৃত্যুবরণ করছে শীতে। শীত জনগণের জন্য আজও এক জীবন সংহারী সংকট। শীতে বাস্তুহীন-বস্ত্রহীন শীর্ণকায় কোন শিশু কিংবা বৃদ্ধের অসহায় কাঁপন যখন সাধারণের মানবিক অনুভূতিকে নিয়ত নাড়া দিচ্ছে, তখন এদেশের তাঁবেদার শাসক শ্রেণী এই সংকটের প্রতি নির্বিকার। তাদের শোষণ-লুণ্ঠনের "স্বাধীনতা' ও 'গণতন্ত্র'র এই দেশে তাদেরই হাতে শোষিত-লুণ্ঠিত-নিপীড়িত জনগণের সংকট ক্রমশঃ বেড়েই চলেছে। শীতের এই সংকট শৈত্যের সংকট নয় বস্ত্র, বাসস্থানের আবিষ্কার ও উন্নয়নের মধ্য দিয়ে সভ্য মানুষ শৈত্যের সমস্যা দূর করেছে বহুকাল আগে। বরফ জমা ঠান্ডা আবহাওয়াতেও মানুষ জীবন-যাপন করেছে। তাহলে কেন এই একবিংশ শতকে সামান্য শীতে কোটি কোটি মানুষ সংকটাপন্ন? কেন তাদের মৃত্যুর সাথে লড়তে হচ্ছে? সরল উত্তর: এদেশের বেশিরভাগ মানুষ ভাত, কাপড়, বাসস্থান, চিকিৎসার মত মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। শীত হতে আত্মরক্ষার ন্যূনতম ব্যবস্থাটুকু ভোগ করতে পারছে না জনসাধারণ সত্য আড়াল করায় যাদের স্বার্থ, তারা বলে "জনসংখ্যা বাড়ছে, দেশ গরিব, সম্পদ নাই। তাই মানুষের অভাব যায় না"। কিন্তু তথ্য কি বলে? তথ্য বলছে, ৩০ বছরে জনসংখ্যা হয়েছে দ্বিগুন অথচ মোট উৎপাদন বেড়েছে ৬০ গুণ। কিন্তু আমাদের প্রতিজনের আয় এই সময়ে ৩০ গুণ বেড়েছে কি? না বাড়েনি। বরং এক হিসাবে জানা যায়, '৮৩-'৯৬ সালের মধ্যে মাত্র আট বছরে সর্বনিম্ন আয়ের মানুষের প্রকৃত আয় ২৫% কমে গেছে। অন্যদিকে, '৭২ সালে যেখানে হাতে গোনা কয়েকজন কোটিপতি ছিল, এখন কয়েক হাজার কোটিপতি সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং, শৈত্য-জনসংখ্যা-গরিবী-সম্পদহীনতা কোনটাই শীত সংকটের উৎস নয়। 'স্বাধীন' ও 'গণতান্ত্রিক' বাংলাদেশের শোষণ, লুণ্ঠন ও বৈষম্য বৃদ্ধির অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অন্যতম ফলাফল এই সংকট। কৃষির ক্ষুদ্রাকার ও পশ্চাদপদ অবস্থা আজও অটুট রয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী ও ভারতীয়…
তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি সোমবার ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অর্ধদিবস হরতাল ডেকেছে। কেন এই হরতাল, এবং ইদের পুজোর লম্বা ছুটির আগে যে সপ্তাহটি শেষ পূর্ণ কর্মসপ্তাহ তার দ্বিতীয়দিনের অর্ধেক হরতালের মতো বহুপরীক্ষিত স্বতঃস্ফূর্ততাহীন কর্মসূচী দিতে জাতীয় কমিটিকে কারা প্ররোচিত করেছে? আমরা প্ররোচনাকারীদের মধ্যে যাদের নাম দেখতে পাচ্ছি তারা হল: বাসদ, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, গণসংহতি আন্দোলনসহ কয়েকটি বামন রাজনৈতিক সংগঠন। কী এদের জনভিত্তি যে জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনকে হরতালের মতো একটি নষ্ট কর্মসূচী দিয়ে জনগণের কাছে হাসির পাত্র হচ্ছেন? অবশ্য উল্লেখিত প্রত্যেকটি বামন রাজনৈতিক দলের শিষ্যনেতৃত্ব এমনই হাস্যকর তাদের কাছ থেকে এরচেয়ে বেশি কিছু আশা করাই ভুল হবে। আমাদের আশা সরকারের দিকে হরতালের মতো একটা জনক্ষতিকর ব্যয়বহুল পঁচাডিম ছোঁড়ার এই সিদ্ধান্ত থেকে আপনারা সরে আসুন, অন্তত এই বামন সংগঠনের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদলের কাছে আহ্বান: আপনাদের হাস্যকর শীর্ষনেতৃত্বকে একটু সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে চাপপ্রয়োগ করুন, আন্দোলনে থাকুন কিন্তু হরতাল পরিহার করুন। আর রাজনীতি করতে হলে মানুষের মনোভাবটা বুঝতে হয় সবার আগে, আপনাদের আগে আপনাদের দৃষ্টিতে বুর্জোয়া জুটি চোরডাকাত আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যেরকম সর্দিকাশির মতো হরতাল করে গণআন্দোলনের এই মানবিক অস্ত্রটিকে পুরোপুরি ধারহীন করে গেছেন—তারাও ইদের আগের সপ্তাহে এরকম হরতাল ডাকতেন না, আর আপনারা মানুষের মনোভাবের পুরো বিপরীতে যে হরতাল ডাকলেন—এতে আপনাদের বিপ্লবী রাজনীতি আরো একবার প্রমাণ করল, যে কথা শুনলে ঘোড়াও হাসবে সেধরনের কথার প্রতি আপনাদের রক্তের প্রবল টানে হয়তো কোনোদিনই ভাটা পড়বে না।
এঁদো পচা ঘেয়ো র্দুগন্ধযুক্ত আলোবাতাসহীন বদ্ধ এক চিলতে ঘরে ছেঁড়া কাঁথা কিংবা স্রেফ চটের বস্তার উপর কোনও ভাবে বিয়োচ্ছে। পশুর মতই তার মা চেটেচুটে(মুছে) তাকে সাফসুতোর করছে। তারপর কোন এক হেকমতি বুজর্গটাইপ ধান্ধাবাজের তাবিজ-কোবজ, সূতো পড়া কিংবা মাদুলি পরিয়ে স্যাঁতসেঁতে মেঝেয় শুইয়ে রাখা হচ্ছে। মাত্র ক’দিনের মধ্যেই তার মা কাজে চলে যাচ্ছে, কেননা তা না হলে তার মায়ের পেটে ভাত জুটবে না। আর পেটে যদি ভাতই না যায় তাহলে বুকে দুধ কি ভাবে আসবে? যদিও তার পরেও বুকে দুধ আসে না। হালা, ফ্যান, এটা ওটা ছাইপাশ মুখে দিয়েই তার বেড়ে ওঠা। কুকুর, কাক, চিল , পোকামাকড় আর মশামাছির সাথে সহাবস্থানে সেই জীবনের বেড়ে ওঠা। এর বিপরীতে উন্নত বিশ্বের একটি শিশু কি ভাবে জন্মে, বেড়ে ওঠে দেখুন [...]
এঁদো পচা ঘেয়ো র্দুগন্ধযুক্ত আলোবাতাসহীন বদ্ধ এক চিলতে ঘরে ছেঁড়া কাঁথা কিংবা স্রেফ চটের বস্তার উপর কোনও ভাবে বিয়োচ্ছে। পশুর মতই তার মা চেটেচুটে(মুছে) তাকে সাফসুতোর করছে। তারপর কোন এক হেকমতি বুজর্গটাইপ ধান্ধাবাজের তাবিজ-কোবজ, সূতো পড়া কিংবা মাদুলি পরিয়ে স্যাঁতসেঁতে মেঝেয় শুইয়ে রাখা হচ্ছে। মাত্র ক’দিনের মধ্যেই তার মা কাজে চলে যাচ্ছে, কেননা তা না হলে তার মায়ের পেটে ভাত জুটবে না। আর পেটে যদি ভাতই না যায় তাহলে বুকে দুধ কি ভাবে আসবে? যদিও তার পরেও বুকে দুধ আসে না। হালা, ফ্যান, এটা ওটা ছাইপাশ মুখে দিয়েই তার বেড়ে ওঠা। কুকুর, কাক, চিল , পোকামাকড় আর মশামাছির সাথে সহাবস্থানে সেই জীবনের বেড়ে ওঠা। এর বিপরীতে উন্নত বিশ্বের একটি শিশু কি ভাবে জন্মে, বেড়ে ওঠে দেখুন: ধূলোবালিহীন অত্যাধুনিক হাসপাতালের কাঁচ ঘেরা কুঠরিতে জন্মানোর পর প্রচন্ড রকম হাইজেনিক ব্যবস্থা বজায় রাখা একদল নার্সের সেবায় দিনে দিনে একটু একটু করে বাড়তে থাকে এই শিশুরা।মায়ের কি দরকার, শিশুর কি দরকার সবই ঠিক করে দেয় ম্যাটার্নিটি বা হাসপাতাল। ওই শিশুটি এরপর বাড়ি ফেরে। সেখানেও সেই হাসপাতালের মতই সুব্যবস্থা।ন্যাকার-পুকার, ডায়াপার, প্যাম্পারস, সব দামী দামী গেজেট সহ সে বাড়তে থাকে। যদি কোন কারণে কোন শিশু কেঁদে ওঠে, আর সেটা যদি রাষ্ট্রর আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ শুনে ফেলে সাথে সাথে সেই বাবা-মা কে তলব করে জানিয়ে দেওয়া হয়- শিশুর যত্ন নিতে তারা অপারগ হলে তাকে যেন নিদৃষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ রাষ্ট্র পুরোপুরিই এক একটি শিশুকে আগামীর নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। আরো বড় হয়ে সেই শিশুটির যখন স্কুলে যাবার সময় হয়, তখনো রাষ্ট্র তার লেখাপড়ার যাবতীয় দায়-দায়িত্ব তুলে নেয়। তার মেধার বিকাশের ফলোআপ দেখে তাকে সেই বিষয়েই লেখাপড়া করানো হয়। সাথে সাথে রাষ্ট্র তাকে খেলাধুলা থেকে শুরু করে যাবতীয় সামাজিক আচার-আচরণ, সংস্কৃতি সবই শেখায়। এভাবেই আজকের শিশু আগামী দিনের নাগরিক হয়ে ওঠে। এবার সেই নাগরিককে আর কোনভাবেই নাগরিক দায়-দায়িত্ব বোঝানোর দরকার করে না। আর আমাদের এরা ? আরো পরে একটু হাঁটতে শিখলেই যেন নিজেই খাবার যোগাড় করে নিতে পারে সেই চেষ্টায় তাকে ঠেলে দেওয়া হয় বাইরে। গু-মুতের পাশে পাশে শুরু হয় তার জীবন সংগ্রাম। সেই…