মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এর মফিদুল হক বর্ণনা করছেন ঐতিহাসিক এই প্রথম দিনের চাক্ষুস অভিজ্ঞতা ...। চালু হয়ে গেল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কার্যক্রম, আমি বিস্ফারিত চোখে রুদ্ধশ্বাস হয়ে দেখছিলাম ইতিহাসের এই অপরূপ উদ্ভাবন[....]

মফিদুল হক লিখেছেন প্রথমদিনের চাক্ষুস অভিজ্ঞতা। ২৬ জুলাই সোমবার ঘড়ির কাঁটায় ঠিক সকাল সাড়ে দশটায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারকক্ষে প্রবেশ করলেন তিন বিজ্ঞ বিচারক। আইনজীবী, কৌসুলী, আদালত কর্মকর্তা, দর্শক, সাংবাদিক সকলে উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান জানালো বিচারপতিদের। আসন গ্রহণ করবার পর তিন সদস্যের প্যানেলের প্রধান বিচারপতি নাজমুল হক ট্রাইবুন্যালের প্রধান কৌসুলীকে তাঁর বক্তব্য পেশ করতে বললেন। প্রবীণ আইনজীবী গোলাম আরিফ টিপু তাঁর নির্ধারিত স্থানে উঠে গিয়ে বক্তব্য প্রদান শুরু করলেন। চালু হয়ে গেল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কার্যক্রম, আমি বিস্ফারিত চোখে রুদ্ধশ্বাস হয়ে দেখছিলাম ইতিহাসের এই অপরূপ উদ্ভাবন। বাংলাদেশে একাত্তর সালে গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের সংহারক বাহিনী গঠন করে যারা ঘৃণ্য অপরাধ কর্ম করেছে তাদের চারজন নিজামী, মুজাহিদ, কামরুজ্জামান ও কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগের মাত্রা মেলে ধরতে লাগলেন গোলাম আরিফ টিপু। ইউর লর্ডশিপ, বলে গোড়াতে এক সংক্ষিপ্ত বাক্যে তিনি স্মরণ করলেন সেই সমস্ত মহান শহীদদের যাঁদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমার আপনার সবার প্রিয় বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এই সূচনা বিশাল এক ঐতিহাসিক পরিবর্তনের পথে বাংলাদেশের অভিযাত্রা সূচিত করলো। এই যাত্রা বিচারহীনতা থেকে বিচার প্রতিষ্ঠার দিকে, সত্য ও ন্যায়ের বিজয় নিশ্চিত করবার দিকে। বিচার যখন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো, দাঁড়িয়ে উপস্থিত সবাই সম্মান জানালেন বিচারপতি ও আদালতকে, তখন মনে হচ্ছিল শতবর্ষী লাটভবনে স্থাপিত বিচারশালায় উপস্থিতজনেরা কেবল নয় গোটা বাংলাদেশের ষোল কোটি মানুষ উঠে দাঁড়িয়েছে একত্রে, যে যেখানে রয়েছে সবাই যেন দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানাচ্ছে আদালতকে। ১৯৭৩ সালে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে নব-নির্বাচিত সংসদ সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেয় - গণহত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিরা যত বলবানই হোক, আন্তর্জাতিক চাপ ও সমর্থনে অপরাধীরা সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশের নাগালের বাইরে চলে গেলেও বিচারের দাবির বাইরে তারা কখনো যেতে পারবে না। সঙ্গতভাবেই গণহত্যার মূল হোতা পাকিস্তানি শাসক ও সামরিক গোষ্ঠী ছিল আইনের প্রধান লক্ষ্য, সেই সাথে ছিল তাদের সহযোগী ও তাদের দ্বারা লেলিয়ে দেয়া হন্তারক বাহিনী হিসেবে ধর্মান্ধ মৌলবাদী দেশীয় গোষ্ঠীর সম-অপরাধমূলক ভূমিকার বিচার অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে রক্তস্নাত জাতি ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাঁর যাত্রা শুরু করেছিল সেই চেতনা এবং মাহাত্ম্য ১৯৭৩ সালে গৃহীত এই আইনের পরতে পরতে মিশে আছে। তারপর বইয়ে দেয়া হলো কত…

খানিক আগে আমাদের হাতে হাউজ অব লর্ডস-এর প্যাডে লর্ড অ্যাভবেরির একটি বিবৃতি এসে পৌঁছেছে, যেটি গত ২৩ জুন বুধবার যুক্তরাজ্যের অল পার্টি পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপের আয়োজিত সেমিনার সংক্রান্ত [...]

খানিক আগে আমাদের হাতে হাউজ অব লর্ডস-এর প্যাডে লর্ড অ্যাভবেরির একটি বিবৃতি এসে পৌঁছেছে (এখানে দেখুন), যেটি গত ২৩ জুন বুধবার যুক্তরাজ্যের অল পার্টি পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপের আয়োজিত সেমিনার সংক্রান্ত। বিবৃতিটির উল্লেখযোগ্য দিকগুলি হলো, লর্ড অ্যাভবেরির পক্ষ থেকে সেখানে বলা হয়েছে : ১. অল পার্টি পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপ-এর অনুরোধে ওয়ার ক্রাইমস কমিটি অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল বার এসোসিয়েশন সংক্ষেপে আই বি এ বাংলাদেশে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধসমূহ বিচারের জন্যে যে আইন অনুসরণ করছে তার উপযোগিতা মূল্যায়ন করে দেখেছে। ২. এর উদ্দেশ্য এই নয় যে, বাংলাদেশে সংগঠিত যুদ্ধাপরাধকে খাটো করে দেখা হচ্ছে- বরং ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশের আওতায় বিচার সংগঠিত হলে তার আইনী যৌক্তিকতা যেন গত ৩৭ বছরে উন্নীত আইনি স্ট্যান্ডার্ডের বিচারে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেটি নিশ্চিত করা। ৩. গত ২০০৯-এর শেষের দিকে পার্লামেন্টারী হিউম্যান রাইটস গ্রুপ (পিএইচআরজি)-এর কাছে ওয়ার ক্রাইমস কমিটি তাদের প্রাপ্তি বা ফাইন্ডিংগুলি পাঠায়। প্রাপ্তিসমূহ নিজেদের মধ্যে মূল্যায়নের পর পিএইচআরজি-এর চেয়ার মিস অ্যান ক্লুয়েড বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলির মন্তব্যের জন্যে যুক্তরাজ্যের দায়িত্বে নিয়োজিত বাংলাদেশ হাই কমিশনারের কাছে হস্তান্তর করেন। ৪. আইবিএ-র এ রিপোর্ট পর্যালোচনার জন্যে ২৪ জুন হাউজ অব লর্ডস-এ সেমিনারের আয়োজন করা হয় এবং ২১ জুন যুক্তরাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনার তাদের মন্তব্য পাঠান। তবে তিনি বা তাঁর কোনও প্রতিনিধি সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন না। ৫. সেমিনারের প্রধান বক্তা হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশের- সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট খন্দকার মাহবুব হোসেন। ৬. আইবিএ-র প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে বার বার বলেছেন যে বাংলাদেশের আইনটির উন্নতিসাধনে বা সংশোধনের ক্ষেত্রে পরামর্শ দিতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন, যাতে এ আইনটি আন-র্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সংবিধি, অধুনালুপ্ত যুগোশ্লাভিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, রুয়ান্ডাসংক্রান- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ পূর্ব তিমুর ও সিয়েরা লিয়েনের জাতীয় ট্রাইব্যুনালগুলির মতোই আন্তর্জাতিক মানসম্মত হয়ে ওঠে। ৭. বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ সংক্রান্ত সংলাপ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বাহকের দায়িত্ব পালন করছেন লর্ড অ্যাভবেরি। এবার লর্ড অ্যাভবেরি, আপনি আমাদের এই কথাগুলি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, শুনুন : ১. বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পরপরই যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হয়েছিল ১৯৭২ সালে, দালাল আইনের আওতায়। এর মান নিয়ে কোনও আপত্তিই ওঠেনি তখন, বরং…

একটা ট্রেন্ড উঠে আসছে তেইশ তারিখে লর্ড এভবারি'র কাধে বন্দুক রেখে জামাতের আইন শিকার করা দেখে। এই কারবারটা তারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে পুরো দুনিয়া জুড়েই চালাচ্ছে [...]

একটা ট্রেন্ড উঠে আসছে তেইশ তারিখে লর্ড এভবারি'র কাধে বন্দুক রেখে জামাতের আইন শিকার করা দেখে। এই কারবারটা তারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে পুরো দুনিয়া জুড়েই চালাচ্ছে। চমৎকার। আর আমরা যে তিমিরে ছিলাম, সেখানেই রয়ে যাচ্ছি। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো, এই মিটিংটা কাভার করা হয়নি কোনো মিডিয়াতেই। হালকা প্রপাগান্ডা চালানো হয়েছে, কিন্তু ওয়ার ক্রাইমস ফাইল খ্যাত ডেভিড বার্গম্যানের বিডিনিউজ২৪এক্সক্লুসিভ প্রকাশ হবার পরে জামাতী ও ছদ্মবেশী জামাতী/শিবিরের প্রায় সকল প্রচেষ্টাই মুষড়ে পরে। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর মতে, লর্ড এভবারি সভা শেষ করে দেন তাড়াহুড়া করেই, কারন সভার মাঝপথেই উত্থাপিত হয় বিডিনিউজ২৪ প্রকাশিত খবর বিষয়ক বিতর্কসূচক প্রশ্ন ও কেন বাংলাদেশ সরকারের কোনো প্রতিনিধি এই সভা য় উপস্থিত নেই। এছাড়াও আরো কিছু মানবাধিকার সংগঠনও এই সভা বয়কট করে প্রমাণিত জামাতী সংশ্লিষ্টতার কারনে। সভায় উপস্থিত আন্তর্জাতিক বার এসোসিয়েশন ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সভ্যগন একটি ন্যয্য বিচার নিশ্চিত করার উপর জোর আরোপ করেই তাদের বক্তব্য শেষ করে দেন। নিউইয়র্কেও এধনের কার্যক্রমের আলামত দেখা যাচ্ছে। নিচের নিউজটা দেখুন... একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের মামলার বিপক্ষে আমেরিকা প্রশাসনের মতামত জোরদারের অভিপ্রায়ে ২০ জুন ওয়াশিংটন ডিসি এসেছেন জামায়াত ইসলামী নেতা ব্যারিস্টার রাজ্জাক। তিনি স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং ক্যাপিটাল হিলের গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিবর্গের সাথে সাক্ষাতের পাশাপাশি বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক রয়েছে এমন সব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগনের সাথেও বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন। জানা গেছে, বিএনপি নেতা ও সুপ‌্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন গত সপ্তাহে ন্যুইয়র্ক মানবাধিকার বিষয়ক একটি সেমিনারে একাত্তরের ঘাতকদের বিচারের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন। ঐ সেমিনারের নেপথ্যে ছিলো জামাতেস্লামীর বাংলাদেশী সাবেক নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিষদ যুক্তরাষ্ট্রে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেক্রেটারী শিতাংশু গুহ এবং যুবলীগ নেতা মেসবাহউদ্দিন এনা'কে বলেন, এডভোকেট প্রকাশ্য সমাবেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাবার পরই জামাত নেতা ব্যারিস্টার রাজ্জাক যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। এ খাতে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ করেন। অপরদিকে জানা গেছে, ব্যরিস্টার রাজ্জাক নিউইয়র্ক মিডিয়ার সাথেও মতবিনিময় করবেন তার যুক্তরাষ্ট্রে সফরের আলোকে।

বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী বিচারের উদ্যোগ ও প্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যে যুক্তরাজ্যে গৃহীত একটি উদ্যোগ ভেস্তে গেছে। জাস্টিস কনসার্ন নামে একটি ভূঁইফোড় সংগঠন যুক্তরাজ্যের অল পার্টি পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপ এপিপিজিএইচআর -এর মাধ্যমে এ প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। এ ঘটনায় এপিপিজিএইচআর-এর ভাইস চেয়ারম্যান লর্ড অ্যাভবেরির ভূমিকা নিয়েও বিভিন্ন মহলে নানা সংশয় দেখা দিয়েছে। এ সেমিনারে ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন, অতএব এটিতে উপস্থিত না হলে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নের মুখে পড়বে ইত্যাদি যুক্তি দেখানো হয় জামাতমনস্ক লবিস্টদের পক্ষ থেকে। কিন্তু 'ওয়ার ক্রাইম স্ট্র্যাটেজি ফোরাম'-এর তথ্যপত্র থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে এ সেমিনারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ফলে সরকারের পক্ষ থেকেও এতে কেউ যোগ দিচ্ছেন না।

লন্ডন, ২২ জুন : বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী বিচারের উদ্যোগ ও প্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যে যুক্তরাজ্যে গৃহীত একটি উদ্যোগ ভেস্তে গেছে। জাস্টিস কনসার্ন নামে একটি ভূঁইফোড় সংগঠন যুক্তরাজ্যের অল-পার্টি পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপ (এপিপিজিএইচআর) -এর মাধ্যমে এ প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। এ ঘটনায় এপিপিজিএইচআর-এর ভাইস চেয়ারম্যান লর্ড অ্যাভবেরির ভূমিকা নিয়েও বিভিন্ন মহলে নানা সংশয় দেখা দিয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্তদের প্রধান আশ্রয়দানকারী রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষত যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে যুদ্ধাপরাধ বিচারের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। জাস্টিস কনসার্ন সেরকমই একটি সংগঠন, যার কোনও তৎপরতাই এর আগে যুক্তরাজ্যে দেখা যায়নি। জাস্টিস কনসার্ন নামের এ সংগঠনটি বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ বিচারের প্রয়াসকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ইউ কে অল-পার্টি পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপের ওপর ভর করার অপচেষ্টা চালায়। প্রাথমিক পর্যায়ে এ প্রচেষ্টায় তারা সফলতাও অর্জন করে এবং ২৩ জুন যুক্তরাজ্যে হাউস অব লর্ডসে এপিপিজিএইচআর-এর পৃষ্ঠপোষকতায় ‘বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩ : আন্তর্জাতিক মান বিচার' শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে। জাস্টিস কনর্সানের তৎপরতা থেকে বোঝা গেছে যে, তাদের উদ্দেশ্য ছিল এ সেমিনারকে খুবই গুরুত্ববহ করে তোলা এবং এতে বাংলাদেশের সরকার পর্যায়ের প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করা। কিন্তু এ উদ্যোগে জাস্টিস কনসার্ন কেবল ব্যর্থই হয়নি, বরং তারা যে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত তা ফাঁস হয়ে যায়। ফলে এপিপিজিএইচআর-এর এ সেমিনারটি সম্পর্কে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, এপিপিজিএইচআর আয়োজিত সেমিনারটিতে উপস্থিতির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় যোগাযোগের জন্যে যে টেলিফোন নাম্বারটি দেয়া হয়েছিল, সেটিতে বেশ কয়েকবার চেষ্টা চালিয়ে গত ২১ জুন কথা বলা সম্ভব হয়েছে। এ সময় টেলিফোনটি ধরেন জাস্টিস কনসার্নের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। সেমিনারটির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‌জাস্টিস কনসার্ন আর এ আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত নেই। এটি আয়োজন করছে এপিপিজিএইচআর।' এরপর এপিপিজিএইচআর অফিসে যোগাযোগ করা হলে সেখানকার একজন কর্মকর্তা জানান, ‌এরকম কোনও ইভেন্ট-এ এপিপিজিএইচআর-এর সম্পৃক্তির কথা তাদের জানা নেই। এপিপিজিএইচআর-এর অফিস থেকে এরকম জানানো হলেও যুক্তরাজ্যে ওয়ার ক্রাইম স্ট্র্যাটেজি ফোরামের (WCSF) একজন সংগঠক জানিয়েছেন, ‌লর্ড অ্যাভবেরি তাদের সেমিনারে উপস্থিত থাকার জন্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তবে তারা সুনির্দিষ্ট তথ্যপত্র উপস্থাপন করে জানিয়েছেন, এর সঙ্গে জামায়াতচক্র সংশ্লিষ্ট থাকায় উদ্যোগটির উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের সন্দেহ…

গত ১৩ জুন সংসদ প্রশ্নোত্তর পর্বে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব এ বি তাজুল ইসলাম বেশ চমৎকার একটি তথ্য দিয়েছেন, তথ্যটি হচ্ছে যে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কোন তালিকা সরকারের কাছে নেই [..]

গত ১৩ জুন সংসদ প্রশ্নোত্তর পর্বে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব এ বি তাজুল ইসলাম বেশ চমৎকার একটি তথ্য দিয়েছেন, তথ্যটি হচ্ছে যে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কোন তালিকা সরকারের কাছে নেই (দৈনিক ইত্তেফাক, ১৫ই জুন, ২০১০)। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কোন শান্তি কমিটির কথা বুঝিয়েছেন, সেটা ঠিক বোঝা গেল না, তবে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় কতৃক প্রকাশিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র (৭ম খন্ডের) ৭১২ নম্বর পৃষ্ঠাতে কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির আহবায়ক এবং সদস্যসহ সবার নামই বলা আছে। শান্তি কমিটির নতুন নামকরণ গত বুধবার শান্তি কমিটি নামে পরিচিত নাগরিক শান্তি কমিটির এক সভায় সংস্থার নতুন নামকরণ করা হয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের জন্য কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি এবং পূর্ব পাকিস্তানকে এই কমিটির কাজের আওতায় আনা হয়েছে। এপিপি পরিবেশিত এই খবরে বলা হয়েছে যে, কমিটি প্রয়োজনমত আরো সদস্য কো-অপট করতে পারবেন। জনসাধারণ যাতে দ্রুত প্রদেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য তাদের পেশার কাজ শুরু করতে পারেন তার জন্য কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি প্রদেশে সত্বর স্বাভাবিক অবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। কমিটি তাদের লক্ষ্য পুরনের জন্য জেলা ও মহকুমা পর্যায়ে ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্রীয় শান্তি কমিটি তাদের কাজ দ্রুত ও যথোপযুক্তভাবে চালিয়ে যাওয়ার ও তাদের নীতি পুর্ণ আন্তরিকতার সাথে কার্যকরী করার জন্য নিম্নলিখিত ২১ জন সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করেছেঃ – ১) আহবায়ক সৈয়দ খাজা খয়েরঊদ্দিন ২) জনাব এ কিঊ এম শফিক ইসলাম ৩) অধ্যাপক গোলাম আযম ৪) জনাব মাহমুদ আলী ৫) জনাব আব্দুল জব্বার খদ্দর ৬) মওলানা সিদ্দিক আহমেদ ৭) জনাব আবুল কাসেম ৮) জনাব মোহন মিয়া ৯) মওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মাসুদ ১০) জনাব আব্দুল মতিন ১১) অধ্যাপক গোলাম সরওয়ার ১২) ব্যারিষ্টার আখতার উদ্দিন ১৩) পীর মহসিন উদ্দিন ১৪) জনাব এ এস এম সোলায়মান ১৫) জনাব এ কে রফিকুল হোসেন ১৬) জনাব নুরুজ্জামান ১৭) জনাব আতাউল হক খান ১৮) জনাব তোয়াহা বিন হাবিব ১৯) মেজর আফসারউদ্দিন ২০) দেওয়ান ওয়ারাসাত আলী ২১) হাকিম ইরতেয়াজুর রহমান। দৈনিক পাকিস্তান, ১৫ এপ্রিল, ১৯৭১ আঞ্চলিক শান্তি কমিটি গুলোর কার্যকলাপ নিয়েও কিছু তথ্য একই খন্ডে আছে (পৃষ্ঠা নম্বর ৭১০ থেকে ৭২৯, স্ক্যান করা কপি এখানে)। স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র ১৯৮৪ সালে ১৬ খন্ডে…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.