একটা ট্রেন্ড উঠে আসছে তেইশ তারিখে লর্ড এভবারি'র কাধে বন্দুক রেখে জামাতের আইন শিকার করা দেখে। এই কারবারটা তারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে পুরো দুনিয়া জুড়েই চালাচ্ছে [...]

একটা ট্রেন্ড উঠে আসছে তেইশ তারিখে লর্ড এভবারি’র কাধে বন্দুক রেখে জামাতের আইন শিকার করা দেখে। এই কারবারটা তারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে পুরো দুনিয়া জুড়েই চালাচ্ছে। চমৎকার। আর আমরা যে তিমিরে ছিলাম, সেখানেই রয়ে যাচ্ছি।

ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো, এই মিটিংটা কাভার করা হয়নি কোনো মিডিয়াতেই। হালকা প্রপাগান্ডা চালানো হয়েছে, কিন্তু ওয়ার ক্রাইমস ফাইল খ্যাত ডেভিড বার্গম্যানের বিডিনিউজ২৪এক্সক্লুসিভ প্রকাশ হবার পরে জামাতী ও ছদ্মবেশী জামাতী/শিবিরের প্রায় সকল প্রচেষ্টাই মুষড়ে পরে।

বিশ্বস্ত সূত্রের খবর মতে, লর্ড এভবারি সভা শেষ করে দেন তাড়াহুড়া করেই, কারন সভার মাঝপথেই উত্থাপিত হয় বিডিনিউজ২৪ প্রকাশিত খবর বিষয়ক বিতর্কসূচক প্রশ্ন ও কেন বাংলাদেশ সরকারের কোনো প্রতিনিধি এই সভা য় উপস্থিত নেই। এছাড়াও আরো কিছু মানবাধিকার সংগঠনও এই সভা বয়কট করে প্রমাণিত জামাতী সংশ্লিষ্টতার কারনে।
সভায় উপস্থিত আন্তর্জাতিক বার এসোসিয়েশন ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সভ্যগন একটি ন্যয্য বিচার নিশ্চিত করার উপর জোর আরোপ করেই তাদের বক্তব্য শেষ করে দেন।

নিউইয়র্কেও এধনের কার্যক্রমের আলামত দেখা যাচ্ছে।
নিচের নিউজটা দেখুন…

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের মামলার বিপক্ষে আমেরিকা প্রশাসনের মতামত জোরদারের অভিপ্রায়ে ২০ জুন ওয়াশিংটন ডিসি এসেছেন জামায়াত ইসলামী নেতা ব্যারিস্টার রাজ্জাক। তিনি স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং ক্যাপিটাল হিলের গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিবর্গের সাথে সাক্ষাতের পাশাপাশি বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক রয়েছে এমন সব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগনের সাথেও বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন। জানা গেছে, বিএনপি নেতা ও সুপ‌্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন গত সপ্তাহে ন্যুইয়র্ক মানবাধিকার বিষয়ক একটি সেমিনারে একাত্তরের ঘাতকদের বিচারের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন। ঐ সেমিনারের নেপথ্যে ছিলো জামাতেস্লামীর বাংলাদেশী সাবেক নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিষদ যুক্তরাষ্ট্রে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেক্রেটারী শিতাংশু গুহ এবং যুবলীগ নেতা মেসবাহউদ্দিন এনা’কে বলেন, এডভোকেট প্রকাশ্য সমাবেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাবার পরই জামাত নেতা ব্যারিস্টার রাজ্জাক যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। এ খাতে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ করেন। অপরদিকে জানা গেছে, ব্যরিস্টার রাজ্জাক নিউইয়র্ক মিডিয়ার সাথেও মতবিনিময় করবেন তার যুক্তরাষ্ট্রে সফরের আলোকে।

১ comment

  1. অবিশ্রুত - ২৭ জুন ২০১০ (৪:২৬ পূর্বাহ্ণ)

    যা মনে হচ্ছে, জাস্টিস কনসার্ন ও তার পেছনে লুকিয়ে থাকা জামাতিদের লক্ষ্য ছিল, সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার পর সেটির ফাইন্ডিংস নিয়ে প্রচারণা চালানো। কিন্তু তাদের পরিচয় উন্মোচিত হয়ে পড়ায় সেমিনারটি যেমন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে, ঠিক তেমনি তাদের প্রচারণার কাজেও তারা খানিকটা ভাটা দিয়েছে।
    তার মানে এই নয় যে, তারা থেমে পড়েছে। তারা নতুনভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরপর তারা তাদের ওয়েবসাইটগুলির ব্যাপারে আরও সতর্ক হবে। ঢেলে সাজানোর কাজও করবে, যাতে তা তাদের প্রপাগাণ্ডার কাজে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়।
    ব্যারিস্টার রাজ্জাক এর মধ্যে নিউইয়র্কে তার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসংক্রান্ত খবর ছাপা হয়েছে দৈনিক সংগ্রামে ২৬ জুনে :

    নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত নেতা ব্যারিস্টার রাজ্জাক
    সরকার যা করেছে তা ওয়ান ইলেভেন থেকেও ভয়াবহ

    সত্যিকারের বিচার হলে জামায়াতের একজনকেও যুদ্ধাপরাধী সাব্যস্ত করা যাবে না
    নিউইয়র্ক থেকে এনা : জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার রাজ্জাক ২৪ জুন নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে যুদ্ধাপরাধী প্রসংগে বলেন, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আমাদের কারও বিরুদ্ধে এলে জামায়াতে ইসলামী আইনগত লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজপথেও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করবে। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এবং দলগতভাবে জামায়াত কখনোই কোন অন্যায়কে প্রশয় দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি উল্লেখ করেন, একাত্তরে জামায়াতের রাজনৈতিক ভূমিকার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি ৪০ বছর ধরেই শুনে আসছি। এটি কোন নতুন ঘটনা নয়। তবে তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়েছে সেখানে ন্যায় বিচার পাবার কোনই সম্ভাবনা নেই। ব্যারিস্টার রাজ্জাক জোর দিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী ন্যায় বিচার হলে জামায়াতের একজনকেও দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না-এ ব্যাপারে আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট নিশ্চিত। তিনি বাংলাদেশে আইনের শাসন নিয়ে গভীর শংকা প্রকাশ করে বলেন, সরকারের এহেন অগণতান্ত্রিক আচরণ বন্ধ না হলে মানুষ ক্ষেপে উঠতে বাধ্য হবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে জনগণ সে রায় প্রদান করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের অথবা মানবতা বিরোধী অপরাধী হিসেবে সন্দেহযুক্তদের যে তালিকা সরকার তৈরী করেছে সেখানে তারও নাম রয়েছে কিনা জানতে চাইলে ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, সেখানে আপনার নামও থাকতে পারে। একাত্তর সালে যার বয়স ৩ বছর ছিল তার নামও রয়েছে ঐ তালিকায়।
    ম্যানহাটানে একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুসলিম উম্মাহ’র সাবেক নেতা মাহতাবউদ্দিন। উল্লেখ্য যে, ৩ দিন আগে ব্যারিস্টার রাজ্জাক ওয়াশিংটন ডিসিতে এসেছেন। সে সময় তিনি প্রেসিডেন্ট বরাক ওবামার বিশেষ দূত রাশেদ হাসান, স্টেট ডিপার্টমেন্টে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অতুল কেসাপ, ঢাকায় কয়েক দশক আগে দায়িত্বপালনকারী রাষ্ট্রদূত হাওয়ার্ড শেফার্ড, ইউএস রিলিজিয়াস কমিশনের পরিচালক পিটার কভাক প্রমুখের সাথে বৈঠক করেন। সে সব উদ্ধৃতি দিয়ে জামায়াত নেতা ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে তারা উচ্চাশা পোষণ করেছেন। বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই অগ্রগতি সাধন করেছে বলে তারা সকলেই মনে করছেন। তারা আরো বলেছেন যে, বাংলাদেশে কিছু সমস্যা রয়েছে, তবে তা খুব স্বল্প সময়েই দূর হয়ে যাবে। ইন্টারন্যাশনাল পলিসি ইন্সটিটিউটের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে জামায়াত নেতা আরো বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে বেসরকারী সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে। এই ইন্সটিটিউটের কর্মকর্তারাও বিশ্বব্যাংকের একটি রিপোর্টের সাথে একমত পোষণ করেছেন যে, বাংলাদেশের বর্তমানের ধারা অব্যাহত থাকলে, রাজনৈতিক স্থিতি বজায় থাকলে-২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মাঝারী ধরনের উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবেই।
    ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বাইরের চাপ প্রয়োজন হবে কেন? আমরা সে ধরনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। তবে বিশ্বায়নের এ যুগে সকলের সহযোগিতা ব্যতিত কেউ সামনে এগুতে পারবেন না। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগত সফরে এসেছি। শনিবার লন্ডনে যাবো। এরপর ফিরবো ঢাকায়। আমি যুদ্ধাপরাধী বিচার বন্ধে বিদেশীদের কাছে ধরনা দিতে আসিনি। তিনি বলেন, সরকার আজ যা করছে তা ১/১১ চেয়েও ভয়াবহ। গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে এমন আচরণ কাম্য হতে পারে না। আওয়ামী লীগে অনেক ভাল লোক রয়েছেন, তারাও সরকারের আচরণে ক্ষুব্ধ।

    ব্যারিস্টার রাজ্জাক খুব তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বলেছেন, যুদ্ধাপরাধ বিচারের কথা তিনি নাকি ৪০ বছর ধরে শুনে আসছেন। কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন, যুদ্ধাপরাধ বিচারের প্রচেষ্টা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে অতীতে মাত্র কয়েক বছরই চলেছিল- ১৯৭৫-এর আগস্টের পর এ প্রচেষ্টা রাষ্ট্রীয়ভাবে ধামাচাপা দেয়া হয়। তারপর এ নিয়ে আন্দোলন চললেও রাষ্ট্র ও সরকার কোনও পাত্তা দেয়নি, কেননা রাষ্ট্র ও সরকার জামাতের কাছে ন্যুব্জ হয়ে পড়েছিল।
    এবার এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং জামাতচক্র ভীত হয়ে পড়েছে- তারা তাদের শ্রেণী ঐক্যের জায়গাগুলি বার বার তুলে ধরছে আওয়ামী লীগের কাছে। এইভাবে ঐক্যের জায়গাগুলি দেখানোর মাধ্যমে তারা আওয়ামী লীগকে বোঝানোর চেষ্টা করছে, রসুন কোয়া কোয়া- কিন্তু গোড়া তো এক জায়গাতেই। তোমরা কেন আমাদের বিচার করার চেষ্টা করছো?
    এই লক্ষ্যে তারা নানা প্রচারণা চালাচ্ছে। যেমন,
    ক. তারা আওয়ামী লীগকে নানাভাবে ছাড় দিচ্ছে। বলছে, বঙ্গবন্ধু মহান নেতা, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছেন। তিনি বেচে থাকলে আমাদের এই বেহাল অবস্থা হতো না।
    খ. আওয়ামী লীগ বামদের ফাদেঁ পা দিয়েছে। এই বামদের ফাঁদে পা দিয়ে তারা একবার বাকশাল করে নিজেদের সর্বনাশ করেছিল, এবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে গিয়ে আরেকটা সর্বনাশ করবে।
    গ. আওয়ামী লীগের সঙ্গে তো আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেছিলাম, এরশাদের সময় পাশাপাশি নির্বাচন করেছিলাম, কত প্রেম আমাদের! ‘তবে কেন, তবে কেন মিছে দূরাশা/ মন দিয়ে মন পেতে চাহি….’ ইত্যাদি।
    এই ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারকেও ভাবতে হবে, অতীতের মতো তারা জামায়াতের ফাঁদে পা দেবে, না কি অতীতে জামাতের ফাঁদে পা দিয়ে যে-ভুল করেছিল, তা এবার শুধরে নেবে।

    জামায়াতের মুখোশ উন্মোচন করার জন্যে ওয়ার ক্রাইম স্ট্র্যাটেজি ফোরাম তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুক। এই মুহূর্তে তাদের জরুরি দায়িত্ব হলো, জামাত যে-সব জায়গায় আন্তর্জাতিক প্রচারণা ও লবিং করছে সেসব প্রচারণার চরিত্র উন্মোচন করা এবং জামায়াতের হয়ে যারা লবিং করতে এগিয়ে আসছেন তাদের ওপর সার্চ লাইট ফেলে রাখা।

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.