বাংলাদেশের সমুদ্রবক্ষের খনিজ সম্পদ বিদেশি কোম্পানীর হাতে তুলে দেয়ার প্রতিবাদ স্বরূপ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানের পাশাপাশি ইন্টারনেটেও স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ-বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে পিটিশনঅনলাইন.কম ওয়েবসাইটে ৭ দফা দাবী সম্বলিত একটি পিটিশন সেটআপ করা হয়েছে। স্বাক্ষর করতে এখানে ক্লিক করুন এই লিঙ্কটি ফেইসবুক, অন্যান্য ব্লগ ও ফোরামগুলোসহ ইন্টারনেটে যত বেশি সম্ভব ছড়িয়ে দিন।

বাঙালির কাছে বাংলা এখনো পুরোপুরি ‘শ্রদ্ধেয়’ হয়ে ওঠে নি। আড়াই শতাব্দি আগে তারা শ্রদ্ধা করেছে ফরাসিকে, গত দু-শো বছর ধ’রে শ্রদ্ধা ক’রে আসছে ইংরেজিকে : দুটিই সাম্রাজ্যবাদী রাজভাষা, যা বাঙালির কাছে আভিজাত্যের প্রতীক। বাঙলা শুধুই গ্লানি সঞ্চার করে [..]

বাঙালির কাছে বাংলা এখনো পুরোপুরি ‘শ্রদ্ধেয়’ হয়ে ওঠে নি। আড়াই শতাব্দি আগে তারা শ্রদ্ধা করেছে ফরাসিকে, গত দু-শো বছর ধ’রে শ্রদ্ধা ক’রে আসছে ইংরেজিকে : দুটিই সাম্রাজ্যবাদী রাজভাষা, যা বাঙালির কাছে আভিজাত্যের প্রতীক। বাংলা শুধুই গ্লানি সঞ্চার করে। তাই আমাদেরকে বাংলা বলার সাথে চোস্ত কিছু ইংরেজি না মেশালে বলায় ভাব আসে না। তাই বাংলাদেশ জুড়ে পালে পালে প্রসবিত হয় উপনিবেশিক জন্তুদের উত্তরাধিকার চমৎকার খচ্চরগণ, যারা ভুল বাংলা ও ভুল ইংরেজি মিশিয়ে এক ধরনের বিকট অশ্লীল বমিজাগানো ভাষার জন্ম দিয়েছে। যাদের মুখের মধ্যে এমন একটা কিছু ঢুকে আছে, যে মুখ-জিহবা সহজে নাড়াচাড়া করা যায় না। যারা হেয়ার জেলে আমির খান সেজে ভাষাকেন্দ্রিক আধিপত্য প্রয়োগের সম্পর্ককে জারী রেখে বহুজাতিক কর্পোরেশনের খেদমদগার মিডিয়া প্রভু নির্মিত গোলামির সংস্কৃতিকে বয়ে বেড়ায় রক্তে। চেতনায়। মাতৃভাষায়। আমাদের একুশ আর একাত্তর, আমাদের সমগ্র স্বপ্ন আর বিশ্বাস আজ বেহাত হয়ে গেছে। যে ভাষার স্বপ্নে আর অহংকারে আমরা আমাদের মগজ আর জমিনকে স্বাধীন করেছিলাম, সে ভাষার সর্বত্র আজ বিকৃতির অনপনেয় কালিমা। মিডিয়া দানবদের কর্পোরেট ধান্দাবাজি আর গোলকায়ন মোড়কে পুঁজি-মুনাফার উপনিবেশ আমাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে এফ এম রেডিও, ডিজুস কালচার। তাই আমাদের শুনতে হয় : ডিয়ার লিইসোনার্স, আপনাড়া শুনছেন ড়েডিও ...ওক্কে, শুরু হলো একটি নতুন দিন। আর এই সঙ্গে তোমাদের যাদেড় হ্যাপি বার্থ ডে তাদেড় উইশ করে নিচ্ছি...ভেরি ভেরি ভেরি হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ। আর টেলিভিশনের পর্দায় একজন নাটক নির্মাতা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী (আলোকিত খচ্চর প্রজন্মের প্রতিভূ) যখন লেখেন, --পুলা না মাইয়া হইছে দেইখা আইতে এ্যাত সময় লাগল? ‌--উস্তাদ আজান তো পরে নাই। --আজান না পড়ুক। পুলা না মাইয়া বাচ্চাডার উপর-নিচে দেইখা আইলেই ত হয়। ...তখন বমি পায় আমাদের। লজ্জায় ঘৃণায় নতমুখ হতে হতে একবিন্দু হয়ে যায় আমাদের শহীদ মিনার ! মানুষকে শিতি করার যে বাহাদুরি বুলি দিয়ে মিডিয়া তার মতাদর্শিক ও বাণিজ্যিক ফিকিরকে প্রতিনিয়ত আগ্রাসী করে তুলেছে, তার ধরণধারণ, যাবতীয় অশ্লীল প্রকল্পসমূহের গোছা ধরে টান মারার সময় এসেছে। তাই আমরাও সচেষ্ট হই প্রতিনিয়ত চালাকবাক্স (সুশোভিত নাম টেলিভিশন) তার পর্দায় ঝুলিয়ে রাখা জগাখিচুড়ি মার্কা কিম্ভুতকিমাকার ভুলে ভরা বিকট এক ভাষা, যাকে ভাষাবোদ্ধাদের কেউ কেউ আদর করে ‘বাংলিশ’ বলে ডাকেন, তার…

গার্মেন্টস-মালিকদের বিরুদ্ধে আবারও ষড়যন্ত্র হচ্ছে! গত শনিবার টঙ্গী শিল্প এলাকায় ২ জন (মতান্তরে ৪ জন) শ্রমিকের নিহত হওয়ার ঘটনা সেই ষড়যন্ত্রেরই বহিঃপ্রকাশ! বিজিএমইএ-র কর্তারা বলেছেন নাশকতা, যার অর্থ করলে দাঁড়ায় শ্রমিকেরাই এই নাশকতার জন্ম দিয়েছে [...]

তিন রাউণ্ড গুলি খেলে তেইশজন মরে যায় লোকে এত বজ্জাত হয়েছে! স্কুলের যে ছেলেগুলি চৌকাঠেই ধ্বসে গেল অবশ্যই তারা ছিল সমাজবিরোধী। ওদিকে তাকিয়ে দেখো ধোয়া তুলসীপাতা উলটেও পারে না খেতে ভাজা মাছটি আহা অসহায় আত্মরক্ষা ছাড়া আর কিছুই জানে না বুলেটেরা দার্শনিক চোখ শুধু আকাশের তারা বটে দেখে মাঝে মাঝে। পুলিশ কখনো কোনো অন্যায় করে না তারা যতক্ষণ আমার পুলিশ। শঙ্খ ঘোষ, 'ন্যায়-অন্যায় জানিনে' গার্মেন্টস-মালিকদের বিরুদ্ধে আবারও ষড়যন্ত্র হচ্ছে! গত শনিবার টঙ্গী শিল্প এলাকায় ২ জন (মতান্তরে ৪ জন) শ্রমিকের নিহত হওয়ার ঘটনা সেই ষড়যন্ত্রেরই বহিঃপ্রকাশ! বিজিএমইএ-র কর্তারা বলেছেন নাশকতা, যার অর্থ করলে দাঁড়ায় শ্রমিকেরাই এই নাশকতার জন্ম দিয়েছে। তারা ভয়াবহ পরিকল্পনা আর ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পেয়েছেন। কোনো-কোনো পত্রিকার মতে দুই মাস, শ্রমিকদের দাবি ছয় মাস বেতন পাননি তারা। গত শুক্রবারও গার্মেন্টসটিতে রাত অবধি তারা কাজ করেছেন। শ্রমিকদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, ১০ নভেম্বরের মধ্যে সব বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। তাই বেতন না পেয়েও তারা রাস্তায় নামেননি। বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেননি। কিন্তু গত শনিবার কারখানার গেটে এসে শ্রমিকেরা যখন জানতে পারলেন গার্মেন্টস বন্ধ, তখন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন তারা। মালিকেরা আগেই পুলিশকে জানিয়ে রেখেছিল। কেবল শ্রমিকেরা জানতেন না কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা বেশ দায়িত্বের সাথেই গার্মেন্টসটি পাহারা দিয়েছে। শ্রমিকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে -- এ-কথা তো জানাই ছিল। কিন্তু তা-ই বলে গুলি খেয়ে মরবে! বিজিএমইএ-র নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে নাশকতার অভিযোগ তুলেছেন। তারা বলেছেন, আইন মেনেই কারখানা লে-অফ করা হয়েছে। তাদের আইন অনুযায়ী লে-অফের আগে শ্রমিকদের জানানোর প্রয়োজন পড়ে না। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, এদেশের আইন গার্মেন্টস-মালিকদের যা খুশি তা-ই করার অধিকার দিয়েছে। আর সেটা যাতে তারা নির্বিঘ্নে করতে পারেন, সেজন্য রাষ্ট্রের পুলিশ, বিচার বিভাগ, সান্ত্রী-সেপাই, আমলা-কামলা সব, সবাই তাদের সেবায় নিয়োজিত। তাই হুট করে এভাবে শ্রমিকদের মরে যাওয়ার ঘটনায় সকল পক্ষই যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পাবে, তা আর বিচিত্র কী! দৈনিক পত্রিকাগুলোতে চোখ বোলালে মনে হয়, এসব ঘটনায় শ্রমিকেরা কোনো এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙে, কারখানায় আগুন দেয়। যে-কোনো শ্রমিক-সংঘর্ষের সংবাদ পাঠ করলে শ্রমিকদের একটা নৈরাজ্যকর চেহারা পাঠকের মনে স্পষ্ট হয়। গত শনিবারের ঘটনাও…

“‌‌‌ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, তিনি আমাকে এথেন্সবাসী করেছেন, বর্বর করেননি, তাঁকে ধন্যবাদ, তিনি আমাকে মুক্তপুরুষ তৈরি করেছেন, স্ত্রীলোক বা ক্রীতদাস করে তৈরি করেন নি।” [...]

“‌‌‌ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, তিনি আমাকে এথেন্সবাসী করেছেন, বর্বর করেননি, তাঁকে ধন্যবাদ, তিনি আমাকে মুক্তপুরুষ তৈরি করেছেন, স্ত্রীলোক বা ক্রীতদাস করে তৈরি করেন নি।”' উক্তিটি যেন-তেন কারো নয়; বিখ্যাত গ্রিক দার্শনিক প্লেটো-র। কারো কারো মতে যিনি নারীমুক্তি আন্দোলনের পথপ্রদর্শক এবং বিশ্বাসী। তৎকালীন সমাজব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নাকি ব্যক্তিগত মানসিকতা, মনস্তাত্ত্বিকতা বা দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী প্লেটো উক্তিটি করেছেন তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। সে বিতর্কে যাবার জায়গা এটা নয়। তবে উক্তিটিতে স্পষ্টভাবেই তিনি নারীকে ক্রীতদাসদের সমতূল্য বিবেচনা করেছেন। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকে করা প্লেটোর এ উক্তির বাস্তবতা যে আজও বহাল তবিয়তে রয়েছে তা জানতে আমাদের বেশি দূর যেতে হয় না। এর জন্য পাবলিক বাসগুলোর দিকে তাকানোই যথেষ্ট; যেখানে কিছু আসন সংরক্ষিতকরণের চিহ্নস্বরূপ লেখা থাকে- মহিলা/শিশু/প্রতিবন্ধি। ইঙ্গিতটি স্পষ্ট। নারীকে বিবেচনা করা হচ্ছে শিশু ও প্রতিবন্ধিদের মতো দুর্বল হিসেবে; যাদের বাড়তি সুবিধার প্রয়োজন। বাসওয়ালারা যে অবচেতন মনেই এ কাজটি করেছেন তা ধরে নেয়া যায়। আমাদের শক্তিশালী সামজিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিলিকৃত মতাদর্শ আমাদের এতটাই আচ্ছন্ন করে রেখেছে যে শুধু এই অর্ধশিক্ষিত কিংবা নিরক্ষর বাসওয়ালারাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারীরাও নারীকে এরকম দুর্বল, অধস্তন, পুরুষের প্রতি নির্ভরশীল, সৌন্দর্য ও যৌনপ্রতীক হিসেবে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। প্রচলিত গালি, প্রবাদ, সঙ্গীত কিংবা কৌতুকেও এর প্রকাশ ঘটে। একটু খেয়াল করলেই দেখা যায় আমাদের প্রচলিত গালিগুলো যাকে উদ্দেশ্য করেই নিক্ষিপ্ত হোক না কেন, গালির মাধ্যমে যাকে আক্রমণ করা হয় সে হলো কোন নারী, মা বা বোন বা স্ত্রী। কোন পুরুষকে অপদস্ত করবার সবচেয়ে কার্যকর পথ হচ্ছে তার মা, বোন, কন্যা বা স্ত্রীর ‘সতীত্ব’ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন বা তাদের কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের ইঙ্গিত। এছাড়া প্রতিটি ভাষায় বিশেষ্য-বিশেষণ পদগুলো খেয়াল করলে দেখা যায় তার অধিকাংশই পুরুষবাচক; আকার-ইকারযোগে শব্দের রূপান্তর ঘটিয়ে নারীবাচক শব্দ তৈরি করা হয়েছে। এতেই বোঝা যায় আমাদের সংস্কৃতি-সভ্যতা নির্মাণ ও টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে পুরুষ কতটা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এতটাই শক্তিশালী যে খোদ নারীরাও নিজেদেরকে এরকম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হিসেবে বিশ্বাস করে। সিমঁ দ্য ব্যুভুয়া যেমনটা বলেছেন, “নারীর কোনো পৃথক জগৎ নেই। জগতের তাবৎ বিষয় সে বিচার করে পুরুষের দৃষ্টিকোণ থেকে। নারীর বাস্তবতা আসলে পুরুষেরই বাস্তবতা।” এ বাস্তবতা তৈরিকরণ ও শক্তিশালীকরণে যেসব…

পরাধীন দেশের গণমাধ্যম নিয়া সে দেশের মানুষের কোনো স্বপ্ন থাকে না । থাকিতে পারে না। আমাদের ও ছিলো না [...]

যাহারা সংবাদপত্রকে রাষ্ট্রযন্ত্রের চতুর্থখাম্বা বলিয়া প্রচার করিয়া থাকেন, তাঁহারা নিশ্চিতভাবেই ধর্মকে বিশেষ করিয়া ইসলাম ধর্মকে রাষ্ট্রের আসমান বলিয়া মানেন । পাশাপাশি নির্মাণ করিয়া চলেন ধর্মভিত্তিক নানা মধ্যযুগীয় মতাদর্শের আধুনিক সংস্করণ। লুঙ্গির কাপড় হাঁটু পর্যন্ত উঠাইয়া নামেন ধর্মের বহুবিধ ফজিলত, আমল-আখলাকের গল্প প্রচারে। তাঁহাদের এই যুদ্ধে, ধর্মকে রাষ্ট্রের আসমান হিসাবে নির্মাণ ও নিশ্চিতকরণের রেসে সহযোদ্ধা হিসেবে চতুর্থখাম্বাটি প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবে প্রাধান্যশীল হইয়া উঠিয়াছে; উঠিতেছে প্রতিনিয়ত। পরাধীন দেশের গণমাধ্যম নিয়া সে দেশের মানুষের কোনো স্বপ্ন থাকে না। থাকিতে পারে না। আমাদেরও ছিলো না। ধলা ভদ্দরলোক এবং তাহাদের দেশি দোস্তরা আমাদের দেশ নিয়া, দেশের ধর্ম নিয়া, নারী নিয়া, নোংরা রাজনীতি নিয়া যে নোংরা সাংবাদিকতার জন্ম দিয়াছিলেন, তাহা নিয়া আমার-আমাদের কোনো বিলাপ নাই। বিলাপ থাকিবার মতো কোনো কারণও হয়তো নাই। কিন্তু একটা স্বাধীন দেশের গণমাধ্যম নিয়া সেই দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখিতেই পারে। বাংলাদেশও স্বপ্ন দেখিয়া ছিলো। কিন্তু যে প্রজাতিটি আদতেই ধর্ষণপ্রবণ, তাহাদের দ্বারা কোনো স্বপ্নেরই যে বাস্তবতা নির্মাণ সহজতর হয় না। বাঙালী বড়ই ধর্ষণপটু প্রজাতি। তাহারা একটি দেশকে স্বাধীন করিবার পর যেভাবে তাহাকে পরাধীন করিয়া তুলিয়া ছিল, ঠিক সেভাবেই একটি জ্যোর্তিময় সংবিধানের জন্ম দিয়া তাহাকে বলাৎকারে বলাৎকারে রক্তাক্ত করাতেও বাধে নাই বাঙালীর। ধর্মের সহিত রাষ্ট্রের কোনো যোগ থাকিবে না, একটা স্বাধীন দেশে সে রকমটাই আশা করা গিয়াছিল। কিন্তু হায়, গরিবের আবার লাল পিরান! আমাদের স্বর্গীয় ব্যবসায়ী-রাজনীতিকেরা সবচেয়ে যে ভালো ব্যবসাটি শিখিয়াছিলেন; তাহা ধর্মের ব্যবসা। স্বর্গীয় মহাপিতারা, যাহারা এখন বেহেশতে বসিয়া হুর সঙ্গম করিতেছেন, আমরা তাঁহাদের - সেসব ধর্ম ব্যবসায়ীদের উত্তরপুরুষ । আমাদের সবচেয়ে মেধাবী এবং সৎ ধার্মিকটি এখন পত্রিকার ধর্ম পাতার কলাম লেখক। প্রথম প্রথম বিভিন্ন ইসলামী দিবস উপলক্ষে দুই-একটা কলাম ছাপা হইত পত্রিকার পাতায়। সেখানে জায়গা করিয়া নিত অন্য ধর্মাবলম্বীরাও। তাদের বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রযন্ত্রের চতুর্থখাম্বাটি সাজিতো নানা উৎসবে। পূর্বে পরোক্ষভাবে হইলেও পত্রিকাগুলো ছিলো ধর্মনিরপেক্ষ। ছিলো সব ধর্মের মানুষের। ২. যাহা কিছু ভালো তাহার সঙ্গে আমাদের প্রথম আলো। প্রচারসংখ্যায় সর্বাধিক। প্রচারপটুতায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম। ইহার সম্পাদক জনাব মতিউর রহমান সম্ভবত বাংলাদেশের ধার্মিক সম্পাদকসমূহের মধ্যে প্রধানতম। তিনি এই দুনিয়ায় বসিয়া পরজনমের সুখ-সম্ভোগ নিশ্চিত করিবার জন্যে উঠিয়া পড়িয়া লাগিয়াছেন। চোখ বুজিলেই দেখিতে পান…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.