অনেক অনেক দিন আগে, আওয়ামী লীগের ৯৬-২০০১ এর 'কুশাসনে'র সময়ে, এক বন্ধুর সাথে গিয়েছিলাম চট্টগ্রাম ছাত্রলীগের এক সভায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে শিবিরমুক্ত করা যায় সেই নিয়ে আলাপ হচ্ছে,[..]

অনেক অনেক দিন আগে, আওয়ামী লীগের ৯৬-২০০১ এর 'কুশাসনে'র সময়ে, এক বন্ধুর সাথে গিয়েছিলাম চট্টগ্রাম ছাত্রলীগের এক সভায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে শিবিরমুক্ত করা যায় সেই নিয়ে আলাপ হচ্ছে, ছাত্রলীগ নেতার নাম ধাম কিছুই মনে নেই, কিন্তু কি বলেছিল সেটা এখনো মনে আছে, সে বলেছিল শিবির হচ্ছে তোমাদের স্কুলে পড়া Bogus Boo এর মত, রাতে একা পেয়ে গলা কেটে, সেই গল্প শুনিয়ে সবাইকে ভয়ে ভয়ে রাখতে চায়। বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে গেলে দেখবে শিবির এমন কিছু নয়। শাহবাগের আন্দোলনের এই পটভূমিতে জামাত নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বিভিন্ন টক শোতে বিশেষজ্ঞদের জামাত শিবির নিষিদ্ধ হলে আন্ডার গ্রাউন্ডে গিয়ে কি করবে না করবে এই নিয়ে মহা ভীত হতে দেখা যাচ্ছে। মিশরে, সিরিয়ায়, ইরানে এবং তুরানে ইসলামী পার্টি নিষিদ্ধ করে কি বাজে ফলাফল হয়েছিল সেই বিষয়ে জ্ঞান দিয়ে যাচ্ছেন। বাজিয়ে যাচ্ছেন সেই ভাঙ্গা রেকর্ড, জামাতকে "রাজনৈতিক" এবং "সাংস্কৃতিক" ভাবে মোকাবেলা করতে হবে। এই "রাজনৈতিক" এবং "সাংস্কৃতিক" লড়াইয়ের মানে হচ্ছে বর্ষীয়ান সাংবাদিক এ বি এম মুসা দিগন্ত টিভিতে বলে যাবেন ষাট দশকের উত্তাল দিনগুলোর কথা, বঙ্গবন্ধু তাঁকে সঙ্গে নিয়ে কতবার নাস্তা খেয়েছেন আর কত শলা পরামর্শ করেছেন। চলতে থাকবে বিএনপি আর আওয়ামী লীগের নেতাদের সৌহার্দপূর্ণ আলাপ (শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু বলে সম্বোধন করার ঢংও আজকাল কিছু কিছু বিএনপি নেতা করছেন)। দিগন্ত টিভি, নয়া দিগন্ত, ইবনে সিনা আর ইসলামী ব্যাঙ্কের ব্যবসা চলতেই থাকবে, ব্যবসার টাকায় দেওয়া হবে শিবির কর্মীদের মাসোহারা, রগ কাটার ট্রেনিং থেকে শুরু করে ইংল্যান্ডে ব্যারিস্টারি পড়ানো, সব ব্যবস্থাই সে টাকায় হবে। শিবিরকে 'রাজনৈতিক' ভাবে মোকাবেলার দায়িত্বটা অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হবে মফস্বলের চাঁদাবাজ, শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা ছাত্রলীগের হাতে। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছাত্রলীগের কিশোর কর্মীর রগ বা কবজি বা গলা কাটা চলতে থাকবে, বদলা নিয়ে ফেরারি হবে ছাত্রলীগের আরেক কর্মী। শিবির শাসিত কলেজে সাহস করে রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়া তরুণীকে দেওয়া হবে গণধর্ষণের হুমকি। রগকাটার খবর সাহস করে পত্রিকায় পাঠাবে না প্রথম আলোর মফস্বল প্রতিবেদক (ডাইনিঙের খাবার খারাপ হলে ছাত্রলীগের জানালা ভাঙ্গার খবর অবশ্য নিয়মিত ভাবেই আসবে)। ফিরে আসি Bogus Boo তত্ত্বের ছাত্রলীগ নেতার প্রসঙ্গে। সেই আওয়ামী 'ফ্যাসিবাদী' আমলে 'ফ্যাসিবাদী' পুলিশের তেমন কোন সাহায্য ছাড়াই অল্প কিছু সশস্ত্র…

নাফিস অপরাধী নাকি নির্দোষ, তা এই প্রবন্ধের বিষয় নয়, আদালতেই তা নির্ধারিত হবে। আমি একটু ভিন্ন আঙ্গিকে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করছি। একটা প্রশ্ন বরাবরই আমাকে উদ্বিগ্ন করে। কেন এই সব তরুণ যুবকরা কেন সন্ত্রাসবাদের পথ বেছে নিচ্ছে, কখনোবা হয়ে উঠছে আত্মঘাতী? ঘটনা তো একটা দুটো নয়, সারা বিশ্ব জুড়েই ঘটে চলেছে শত শত। আমেরিকায় ২০০১ সালে ৯/১১ এর তাণ্ডবলীলা শেষ হতে না হতেই ২০০৫ সালে লন্ডনের পাতাল রেলে ঘটেছিল ৭/৭ এর ঘটনা। নাফিসের তরুণ বয়স দেখে অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। [...]

[ডিসক্লেইমার – নাফিস নামটি প্রবন্ধে বেশ কয়েকবার ব্যবহৃত হলেও তিনি এ প্রবন্ধের মূল বিষয় নন। নাফিসকে অপরাধী ভেবে না নিয়ে পুরো বিষয়টিকে অর্থাৎ উগ্র বিশ্বাসের উৎসের ব্যবচ্ছেদ করাই হবে এই প্রবন্ধের মূল লক্ষ্য। নাফিস যদি আমেরিকার আদালতে নিজেকে নিরপরাধী প্রমাণ করে বেড়িয়ে আসতে পারেন, তবে তার চেয়ে সুখকর বিষয় আমার জন্য, আমাদের জন্য আর কিছুই হতে পারে না। এটি ঘটলে সবচেয়ে খুশি হব আমিই।  আমেরিকায় অবস্থিত প্রবাসী বাঙালিরাও শঙ্কামুক্ত হতে পারবেন। নাফিস নয়, বরং নাফিস, করিম, সাবেত, অনিরুদ্ধ যেই হোক না কেন, তরুণদের বিশ্বাস-নির্ভরতা কীভাবে এবং কেন উগ্রবাদী রূপ নিয়ে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি করে, কিংবা করতে পারে, সেটা বিশ্লেষণ করাই এ প্রবন্ধের উদ্দেশ্য। নাফিসের ঘটনাটি ঘটার পর পরই এ বিষয়ে এ কটি ব্লগ লেখার চিন্তা করলেও পরে বিবিধ কারণে বিলম্ব ঘটে।  নির্মাণ ব্লগে অনেকদিন ধরেই কিছু লেখা হয় না, এ চিন্তা থেকেই লেখাটা এখানে দেয়া।  লেখাটির কিছু উদাহরণ ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ বইটি থেকে নেয়া।]   কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিস নামে এক একুশ বছরের এক যুবক যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গ্রেফতার হয়েছেন - এটি  গত সপ্তাহগুলোতে পত্র-পত্রিকার আলোচিত খবর ছিল। নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ভবন বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও এফবিআই। অনেক মিডিয়ায় আবার এও বলা হয়েছে যে ২০০১ সালে ৯/১১ এর ঘটনার পর এটাই নাকি আমেরিকায় সবচেয়ে বড় ‘টেরোরিস্ট প্লট’। আমাদের জন্য এটি উদ্বেগের, কারণ এই প্লটের মূল উদ্যোক্তা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে একজন বাংলাদেশীকে। সন্দেহভাজনের তালিকায় বাংলাদেশের নাম উঠে আসায় নতুন করে শঙ্কা তৈরি হয়েছে আমেরিকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে। নাফিসের এই ঘটনা অবশ্য বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে সারা বিশ্ব জুড়েই নানা ধরনের সন্ত্রাসবাদ, আত্মঘাতী বোমা হামলা এবং ‘সুইসাইড টেরোরিজম’এর মাধ্যমে নির্বিচারে হত্যা এবং আতংক তৈরি ধর্মীয় উগ্রপন্থী দলগুলোর জন্য খুব জনপ্রিয় একটা পদ্ধতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর  আল-কায়দার ১৯ জন সন্ত্রাসী চারটি যাত্রীবাহী বিমান দখল করে নেয়। তারপর বিমানগুলো কব্জা করে আমেরিকার বৃহৎ দুটি স্থাপনার ওপর ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছিল। নিউইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার এবং ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর বা পেন্টাগনে ঐ হামলা চালানো…

[...] খুন-ধর্ষণের বিচার হতেই হবে, সেটাই কি ইসলাম নয়? সেটা তখনই “ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র” হয় যখন খুনী ধর্ষকেরা ইসলামের মালিকানা হাতিয়ে নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা করে। অপরাধীরা চিরকাল ‘‘ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র”, “কোরানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র” এসব বাহানায় নিজেদের শুধু রক্ষাই করেনি বরং প্রতিপক্ষকে হেনস্থা ও হত্যা করেছে। কারবালায় শিশু-নারী সহ ইমাম হুসেইন (রা.)-কে নৃশংসভাবে হত্যার আগে ‘‘ইসলাম রক্ষা”র হুজুগ এরাই তুলেছিল। ‘‘ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র” চীৎকারে এরাই কাবার দেয়াল ভেঙে তার চাদর আগুনে পুড়িয়েছিল, হজরত জুবায়েরকে কাবার ভেতরে হত্যা করেছিল। আজ গণহত্যা ও গণধর্ষণের মত মারাত্মক অপরাধের বিচার বানচাল করতেও এরা ইসলামকে হাতিয়ার করার চেষ্টা করছে । [...]

‘‘অথচ ক’দিন আগে গো-আযমকে দেখলাম হেঁটে মসজিদে যেতে যেতে টিভি ক্যামেরায় কথা বলছে” -- শরিফ এ. কাফি উল্লাসে ফেটে পড়েছে জাতি। অবশেষে বিচারের লাঠি একাত্তরের গণহত্যাকারী গণধর্ষণকারীদের তাড়া করেছে । যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামাতের তখনকার আমীর গোলাম আজম ও কিছু কেন্দ্রীয় নেতাদের বিচার চলছে। জামাত ও তার সহযোগীরা দাবী করছে এ বিচার নাকি ইসলাম ধ্বংসের ষড়যন্ত্র। কী নির্লজ্জ মিথ্যা কথা! খুন-ধর্ষণের বিচার হতেই হবে, সেটাই কি ইসলাম নয়? সেটা তখনই “ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র” হয় যখন খুনী ধর্ষকেরা ইসলামের মালিকানা হাতিয়ে নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা করে। সেজন্যই নিজামী চটগ্রামের এক বক্তৃতায় বলেছিল জামাতের সমালোচনা করা নাকি ইসলামের সমালোচনা করা। স্পর্ধা দেখুন!! ওদের ভয়ংকর ইসলামি ব্যাখ্যাই ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র যা আসলে মৌদুদিবাদ। সেজন্যই মৌদুদী'র উত্থানকালে ভারতবর্ষের বহু মওলানা তাঁকে কাফের বলেছেন, দজ্জাল বলেছেন। সৌদি পেট্রোডলার আর অপরাজনীতির ষড়যন্ত্র না হলে এই অপশক্তির মৃত্যু তখনই হত। বাংলাদেশের নোংরা রাজনীতি না হলে তাদের কোথাও জায়গা হত না, চেহারায় জনগণের ঘৃণার থুথু নিয়েই মরতে হত। এদের কারণেই রসুল বলেছেন: ‘‘উম্মতের জন্য আমার সর্বাপেক্ষা গভীর উদ্বেগ পথভ্রষ্টকারী ইমামদের নিয়া” -- সহি ইবনে মাজাহ ৫ খণ্ড ৩৯৫২। অপরাধীরা চিরকাল ‘‘ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র”, “কোরানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র” এসব বাহানায় নিজেদের শুধু রক্ষাই করেনি বরং প্রতিপক্ষকে হেনস্থা ও হত্যা করেছে। কারবালায় শিশু-নারী সহ ইমাম হুসেইন (রা.)-কে নৃশংসভাবে হত্যার আগে ‘‘ইসলাম রক্ষা”র হুজুগ এরাই তুলেছিল। ‘‘ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র” চীৎকারে এরাই কাবার দেয়াল ভেঙে তার চাদর আগুনে পুড়িয়েছিল, হজরত জুবায়েরকে কাবার ভেতরে হত্যা করেছিল। “কোরানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র” চীৎকারে এরাই ইমাম বুখারীকে আমৃত্যু নির্বাসনে পাঠিয়েছে, ইবনে খালদুনের মত "ইতিহাস বিজ্ঞানের পিতা"কে দেশে দেশে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে, বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানীর মত দরবেশকে "কাফের" ফতোয়া দিয়েছে। এরা একাত্তরের ঘাতক, এরা ধর্মদস্যু, এরা আমেরিকা-ইউরোপ যেখানেই পালিয়েছে, আলখাল্লা-দাড়ি-টুপি পরে ইসলামি সংগঠনে ঢুকে পড়েছে। লন্ডনের আবু সাঈদ, মইনুদ্দীন, নিউ ইয়র্কের আশরাফ তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আজ গণহত্যা ও গণধর্ষণের মত মারাত্মক অপরাধের বিচার বানচাল করতেও এরা ইসলামকে হাতিয়ার করার চেষ্টা করছে । ইসলামের ধ্বজাধারী এই ধর্মদস্যুরা মিথ্যের পর মিথ্যেও বলে চলেছে। অথচ কোরান কতবার বলেছে সত্য গোপন না করতে, মিথ্যা থেকে দূরে থাকতে -- (বাকারা ১০, ৪২ ও ২৮৩, মায়েদা…

আমরা যারা এই পাহাড়ের কাছাকাছি থাকি আমরা এই পাহাড়কে কোনোমতেই হারাতে চাই না। যেরকম আমরা হারাতে চাই না : ম্যানোলা পাহাড়, মেডিকেলের ভেতরের পাহাড়, জেমস ফিনলে পাহাড়, জয় পাহাড়, জিলিপি পাহাড়। চট্টগ্রামের আর একটি পাহাড়ও আমরা হারাতে চাই না [...]

প্রবর্ত্তক সংঘের এই পাহাড় থেকে প্রবর্ত্তক সংঘের কমিটি, ইসকন, শেভরন, প্রাইম ব্যাংক, ডিভিশানাল কন্ট্রোলার অফ একাউন্টসের কার্যালয় (একটা সরকারি অফিস কিকরে এই বিতর্কিত স্থাপনায় এসে উঠল?) – অনাথাশ্রম, এর প্রশাসনিক ভবন, স্কুল ছাড়া – আর সবাইকে বের করে দিন। এটা এখনই সরকারি রক্ষণাবেক্ষণে নিয়ে আসুন – প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, শিক্ষামন্ত্রণালয় ও পরিবেশমন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসা হোক – এই অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পাহাড়টিকে। এখানে ধর্ম বর্ণ গোত্র লিঙ্গ নির্বিশেষে একটা অনাথাশ্রম গড়ে তোলার কাজ করুক ওই তিন মন্ত্রণালয় এবং আরো ভাল হয় এর সাথে নাগরিক যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে অনাথাশ্রম প্রকল্পটির প্রতিটি কাজে প্রতিনিয়ত বেসরকারি তৎপরতার পথটিও খোলা রাখা। এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই জন্য, যদি এখানে অনাথাশ্রমের এরকম মডেল তৈরি করা যায়, তাহলে এই মডেলে দেশে আরো আরো এরকম অনাথাশ্রম গড়ে উঠতে পারে। এর ফলে মাদ্রাসার আধিপত্য থেকে দেশে অন্যধরনের এতিমখানার প্রসার বাড়ানোর চেষ্টাও করা যেতে পারে। আমরা যারা এই পাহাড়ের কাছাকাছি থাকি আমরা এই পাহাড়কে কোনোমতেই হারাতে চাই না। যেরকম আমরা হারাতে চাই না : ম্যানোলা পাহাড়, মেডিকেলের ভেতরের পাহাড়, জেমস ফিনলে পাহাড়, জয় পাহাড়, জিলিপি পাহাড়, স্যারসেন রোডের পাহাড়গুচ্ছ, বাঘঘোনা খুলশি শেরশাহ ফযেজলেক ভাটিয়ারি বোস্তামি ফতেয়াবাদ হাটহাজারির পাহাড়গুচ্ছ, টাইগারপাস সিআরবি মতিঝর্ণার পাহাড়গুচ্ছ। চট্টগ্রামের আর একটি পাহাড়ও আমরা হারাতে চাই না, পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী হাছান মাহমুদ চট্টগ্রামের সন্তান, শেখ হাসিনা কথায় কথায় চট্টগ্রামের দায়িত্ব তার কাঁধে এই প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন, তাই এই প্রবর্ত্তক সংঘের পাহাড়কে উদ্ধারের মধ্য দিয়ে এবং এখানে জনকল্যাণমূলক সাধারণ অনাথাশ্রম গড়ে তুলে শিক্ষা পরিবেশ ও প্রধানমন্ত্রীত্বের এক কার্যকর দৃষ্টান্ত গড়ে তোলা যায়।

জামায়াতে ইসলামী'র ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০১০ বৃহঃস্পতিবার পুরানো পল্টনের জামায়াত-এর ঢাকা মহানগর কার্যালয়ের সামনে যারা যুদ্ধ অপরাধের বিচারের নামে ইসলামী শক্তি তথা জামায়াতে ইসলামীকে নির্মূল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছেন । এ ব্যাপারে আজকের (১৫-১০-২০১০) প্রথম আলোতে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছেঃ দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ’ করার ডাক দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, এই যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে তাঁরা স্বাধীনভাবে দেশ চালাতে চান। আধিপত্যবাদী শক্তি ও যারা ইসলামি শক্তিকে নির্মূল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ করবে জামায়াত। এই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতের গ্রেপ্তার হওয়া শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পুরানা পল্টনে ঢাকা মহানগর কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে এ টি এম আজহার এ বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ শুরু করি। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্রকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করা যাবে। এই যুদ্ধে বিজয়ী হলে আমরা স্বাধীনভাবে বাংলাদেশ শাসন করতে পারব। ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে ঈমান-আকিদার ভিত্তিতে দেশ চালাতে পারব। যুদ্ধ করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ অবশ্যই হবে।’ তবে জামায়াত প্রথম মুক্তিযুদ্ধ কত সালে করেছে, এ বিষয়ে কিছু বলেননি আজহারুল ইসলাম। মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াতের নেতাদের নির্দোষ দাবি করে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ’৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত তাঁরা বাংলাদেশেই অবস্থান করছিলেন। তখন বাংলাদেশের কোনো থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা বা সাধারণ ডায়েরি হয়নি। এ টি এম আজহার বলেন, ‘আইন লঙ্ঘন করে আমাদের নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা যুদ্ধাপরাধ করবেন তো দূরের কথা, তাঁরা বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মানুষ। আমাদের আমির ও সেক্রেটারি জেনারেল চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তিনটি মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছেন। যারা কথায় কথায় আমাদের ভুল ধরে, সেই পত্রিকাগুলো আমাদের নেতাদের বিরুদ্ধে একটি টাকাও আত্মসাতের প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তার মানে, তাঁরা সৎ লোক। আর সৎ লোক মানেই তাঁরা খুন করতে পারেন না।’ সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির সাংসদ হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, সরকার স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। তারা…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.