সীমিত আসনের কারণে অংশগ্রহণের জন্য আগেই রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। [...]

প্রথম সপ্তাহের টপিক সেশন ১ : সাম্প্রতিক অগ্রগতি ও স্ট্র্যাটেজিক বিশ্লেষণ সেশন ২ : 'আন্তর্জাতিক মান' নিয়ে আলোচনা সেশন ৩ : অ্যাকটিভিস্ট টুল হিসেবে 'টুইটার'-এর ব্যবহার তারিখ : ২৩/০৩/২০১৩, বিকেল (৪ - ৭) ইউকে সময় স্থান : লন্ডন ( সুনির্দিষ্টভাবে 'টিবিসি') আরো সুযোগ আছে : স্কাইপ ও ভিডিও লিন্কের মাধ্যমে অংশগ্রহণের সীমিত আসনের কারণে অংশগ্রহণের জন্য আগেই রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। ইমেইল : info@icsforum.org আরো দেখুন এখানে। আয়োজনে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) আইসিএসএফ মূল পোর্টাল: http://icsforum.org মিডিয়া আর্কাইভ: http://icsforum.org/mediarchive ই-লাইব্রেরি: http://icsforum.org/library ফেসবুক: http://facebook.com/icsforum টুইটার: http://twitter.com/icsforum ইউটিউব: http://youtube.com/icsforum যোগাযোগ: info@icsforum.org

সামাজিক বিষয়ে কখনো লিখতে হবে ভাবিনি। তবে বর্তমানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, আমরা একটা দারুণ সংকট কালে এসে পৌঁছেছি। পৃথিবীর অনেক দেশই এরকম একটা সময় পাড়ি দেয়। তারপর আবার নতুন করে সব শুরু করে।[...]

সামাজিক বিষয়ে কখনো লিখতে হবে ভাবিনি। তবে বর্তমানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, আমরা একটা দারুণ সংকট কালে এসে পৌঁছেছি। পৃথিবীর অনেক দেশই এরকম একটা সময় পাড়ি দেয়। তারপর আবার নতুন করে সব শুরু করে। আমরা একে ‘বৈপ্লবিক পরিবর্তন’ বলি বা ‘সামাজিক উত্তরন’ যাই বলি না কেন, সময় পার হলে দেখা যাবে আমরা একটা নতুন পরিবেশে চলে এসেছি। সেটা খারাপও হতে পারে, আবার ভালোও হতে পারে। কিন্তু সেটা নির্ভর করছে, আমাদের চলমান প্রস্তুতির উপর। গত সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে ঘটে যাওয়া ‘আরব বসন্ত’ আমরা বিশ্লেষণ করলে দেখি, পরিবর্তনের পর সেখানে দেখা গেলো, প্রগতিশীলদের হটিয়ে ইসলামীপন্থীরা নির্বাচনে জয়লাভ করে। ফলে লাভ কি হল তা আরব বসন্তের পতাকাবাহীরা বলতে পারবেন। আমাদের দেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ তেমনি একটি সময়কাল। আমরা একটি পরিবর্তন চাইছিলাম ; ধর্ম-বর্ণ– জাতি নির্বিশেষে সাম্য, সামাজিক মর্যাদা এবং স্বাধীন সার্বভৌম ভাবে বেচে থাকার নিশ্চয়তয়ার জন্য লড়াই। আমরা ছোটবেলার পাঠ্যবইয়ে পড়লাম ‘ স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন’ । একদল মানুষ নয়মাস সংগ্রাম করেছিল ‘স্বাধীনতা’ অর্জনের, স্বাধীনতা এলো। এরপর আমাদের ৪২ বছর কাটল। কিন্তু আমরা কি স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রামে নিয়োজিত ছিলাম বা আছি ? ঠিক মনে হয় না । কারণ তাহলে সাধারণ, একেবারে নিত্য নৈমত্তিক কিছু সভ্য, সুস্থ ও নিরাপদ মানসকিতা আমদের মধ্যে তৈরি হতো। যা একজন আধুনিক মানুষের সমাজে বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য। আমরা সেই সংগ্রাম করেছি বলে মনে হয় না। আমি বলছিনা এর জন্য প্রতিদিন রাজনীতি করতে হয়। রাজনীতি করাটা যে বিশাল বিপদজনক কাজ, আমার মনে হয় ১৯৭২ থেকে এখন পর্যন্ত যত রাজনীতিবিদ আছেন, ভালো বলতে পারবেন। রাজনীতি আমরা অনেকেই করিনা, কিন্তু ‘রাজনৈতিক সচেতনতা’ হারিয়ে যাওয়াটা শুভ কিছু নয়। আমরা ভাবছি - আমি সবকিছু উপেক্ষা করে, অর্থ, সম্পদ আর ক্ষমতা’র চর্চা করলাম, সন্তান-পরিবারের দিকে তাকিয়ে, কিন্তু সেই সন্তান উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে, উগ্র কোন আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত। আমি নিজে আদর্শগত ভাবে দারুণ অসাম্প্রদায়িক, কিন্তু আমার সামাজিক, অর্থনৈতিক চর্চার দুর্বল ফাঁক-ফোকর গলে আমার সন্তানদের মধ্যে হয়তো সাম্প্রদায়িক বীজ বুনে যাচ্ছে। আবার দেখা গেলো, আমি খুবই ধার্মিক, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। এদিকে ঘুষের টাকায় বিশাল সম্পদ গড়ে তোলার পর,…

হুমায়ুন আহমেদের ‘দেয়াল’ উপন্যাস বিষয়ে ফেসবুকে এবং বিভিন্ন ব্লগে বেশ কয়েকটি লেখা এসেছে। যে দুটি অধ্যায় প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছে তা নিশ্চয় অনেকেরই পড়া হয়ে গেছে [..]

হুমায়ুন আহমেদের ‘দেয়াল’ উপন্যাস বিষয়ে ফেসবুকে এবং বিভিন্ন ব্লগে বেশ কয়েকটি লেখা এসেছে। যে দুটি অধ্যায় প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছে তা নিশ্চয় অনেকেরই পড়া হয়ে গেছে, এই অধ্যায় দুটো পড়ে সে সময় সম্পর্কে যা ধারনা পাওয়া যায় তা মোটামুটি এমন: • কর্নেল ফারুক মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন এবং বীরত্বের সাথেই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, এ ছাড়াও তিনি একজন শখের ফটোগ্রাফার এবং রোমান্টিক ব্যক্তি ছিলেন (বৃষ্টি দেখলেই তাঁর ভিজতে ইচ্ছে হত) (ব্লগার হাসান মোরশেদ বলছেন মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার মোটে তিন দিন আগে ফারুক ‘মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন’।) • ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর এজেন্টদের বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে অবাধ প্রবেশাধিকার ছিল এবং তারা প্রায়ই পান বিড়ি বিক্রেতা বা অন্যান্য ছদ্মবেশে তার সাথে দেখা করতে আসতেন এবং তাঁকে ইন্টেলিজেন্স ব্রিফিং দিতেন (তার মানে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি বঙ্গবন্ধুর কোন আস্থা ছিল না) • বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা ‘র’এর এজেন্ট বলেছেন (তার মানে জিয়াউর রহমানের ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণের তথ্য ভুলও হতে পারে)। • খন্দকার মোশতাক নিরীহ এবং নার্ভাস টাইপের মানুষ ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে তিনি অংশ নেননি (খন্দকার মোশতাক আমার ছোট খালুর চাচা, ৯৬ সালে মোশতাকের লাশ গ্রামের বাড়ী নেওয়ার পথে পাবলিক লাশের নানা অসম্মান করে বলে পত্রিকায় দেখেছিলাম, খালুকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করাতে তিনি বলেন ঘটনা সত্য এবং মোশতাকের এই অসম্মান প্রাপ্য ছিল)। • রক্ষীবাহিনীর নির্যাতনে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ ছিল এবং বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে তাঁর গ্রামের বাড়ী লুট করে জনগণ মনের ঝাল মেটায় (এটা লিখতে হুমায়ুন আহমেদের বুক ফেটে গেছে, কিন্তু কোন উপায় নেই, তিনি ইতিহাস বিকৃত করতে পারেন না।) • বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্র শেখ রাসেলকে অন্যদের হত্যার সাথে সাথে ব্রাশ ফায়ারে মারা হয় (তাকে মারা হয় সবার শেষে মাথায় গুলি করে, সেই গুলিতে তার মগজসহ এক চোখ ছিটকে বেরিয়ে আসে, রাসেলকে মারার আগে বলা হয় “তোমাকে মায়ের কাছে নিয়ে যাচ্ছি”।) • বঙ্গবন্ধু রাস্তাঘাটে মুচি, ধোপা, নাপিত এই জাতীয় লোকজনের সাথে কোলাকুলি করে ‘বঙ্গবন্ধু’ হয়েছিলেন (বঙ্গবন্ধু চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য আন্দোলন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিষ্কৃত হয়েছেন, অসংখ্যবার জেলে গিয়েছেন, জেলে অনশন করেছেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা মোকাবেলা করেছেন, ৬-দফার আন্দোলন করেছেন। এভাবেই একজন ‘বঙ্গবন্ধু’ তৈরি…

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে আল-জাজিরায় গোলাম আযমের গ্রেফতার এবং বিচার নিয়ে প্রচারিত এক বিতর্কিত সংবাদ প্রতিবেদনকে ঘিরে দেশী বিদেশী সংবাদ মাধ্যমগুলোতে এবং মূলত সাংবাদিকদের মধ্যে পরবর্তী সময়ে নতুন কিছু বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের নাগরিক সমাজের দুটি অংশের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদন সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিপরীত প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। বহুল-আলোচিত এই প্রতিবেদনটির বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক অপরাধগুলোর বিচারের বিষয়ে আল-জাজিরা ঘরানার সাংবাদিকতাকে আরেকটু ভালভাবে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে এই লেখায়। [...]

[এই লেখাটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়েছে 'সাপ্তাহিক ২০০০' পত্রিকার স্বাধীনতা দিবস (২০১২) সংখ্যায়] আজ থেকে দু'বছর আগে ২০১০ সালের স্বাধীনতা দিবসকে সাক্ষী রেখে শুরু হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে ১৯৭১-এ সংঘটিত অপরাধ সমূহের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার যাত্রা। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়েছে, বিচারকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে, প্রসিকিউশন টিম গঠন করা হয়েছে, তদন্ত সংস্থা গঠন করা হয়েছে। গত দু'বছরের মধ্যে গোলাম আযমসহ আট জন আসামীর প্রত্যেকের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট এবং আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রও জমা দেয়া হয়ে গেছে; আসামী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত চার্জ গঠন করে মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণও শুরু হয়ে গেছে। এই বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতির সাথে সাথে একদিকে যেমন অবসান ঘটছে ১৯৭১-এ সংঘটিত অপরাধগুলোকে ঘিরে প্রায় দীর্ঘ চার দশক বিস্তৃত বিচারহীনতার এক অন্ধকার অধ্যায়ের, তেমনি বিচার প্রক্রিয়াকে প্রতি পদে বাধাগ্রস্ত করার, বিতর্কিত করার, প্রশ্নবিদ্ধ করার তৎপরতাগুলোও চলছে সমান জোরের সাথে। বিতর্কের এই নতুন ফ্রন্টগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে মিডিয়া, উইকিপিডিয়ার মতো উম্মুক্ত বিশ্বকোষ, এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং ফোরামগুলোকেও। লক্ষণীয় হল, এই সব প্রচারণার ক্ষেত্রে কি দেশী কি বিদেশী মিডিয়া, কেউই কিন্তু কারও থেকে পিছিয়ে নেই। যেমন, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দায়ের হয় ১২ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে। অথচ, তার দু’দিনের মাথায়, ১৪ ডিসেম্বর, দেশের সমস্ত টিভি মিডিয়ার উপস্থিতিতে গোলাম আযম সংবাদ সম্মেলন করেন এবং তা দেশের প্রধান টিভি চ্যানেলগুলোতে ফলাও করে সময় দিয়ে প্রচারও করা হয়। আসামী গোলাম আযমের মতো একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বক্তব্যের ব্যাপারে মিডিয়ার আগ্রহ থাকতেই পারে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত একজন আসামী এভাবে মিডিয়ার সামনে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন কি না, কিংবা সংবাদমাধ্যমগুলোরও সে বিষয়ে কোন দায় দায়িত্ব আছে কি না -- সেই সব বিষয়ও ভেবে দেখার অবকাশ রয়েছে। এবার আসুন চোখ ফেরাই বিদেশী সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার দিকে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্বখ্যাত এই টিভি চ্যানেলে গোলাম আযমের গ্রেফতার এবং বিচার নিয়ে প্রচারিত হয় বিতর্কিত এক সংবাদ প্রতিবেদন। ২ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড দীর্ঘ এই প্রতিবেদনকে ঘিরে আবার দেশী বিদেশী সংবাদ মাধ্যমগুলোতে এবং মূলত সাংবাদিকদের মধ্যে পরবর্তী সময়ে নতুন কিছু বিতর্কেরও সৃষ্টি হতে আমরা দেখেছি। আমাদের নাগরিক সমাজের একাংশ মিডিয়াতে আল-জাজিরার প্রতিবেদনটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত,…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.