(গত পর্বের পর) পদত্যাগের কারণ সংসদীয় কমিটিতে তলব? সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তলবের কারণেই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের পদ থেকে লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) হাসান মশহুদ চৌধূরী পদত্যাগ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর। সূত্র জানায়, গত এক এপ্রিল অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ে আলোচনার জন্য পরবর্তী বৈঠকে হাসান মশহুদ চৌধূরীকে তলব করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে নোটিস দিয়ে তলবের কথা বলা হয়। এ খবর জানার পর এবং সরকারের সঙ্গে চলমান টানাপোড়েনসহ একাধিক কারণে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন হাসান মশহুদ। অসহযোগিতাও অন্যতম কারণ? সরকারের চাপ ও অসহযোগিতার কারণেই চলে যেতে হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হাসান মশহুদ চৌধুরীকে। দুদক-এর দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানায়, ইদানীং সরকারের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতাই করা হচ্ছিল না তাকে। জানা গেছে, এই অসহযোগিতার অংশ হিসেবে দুদক-এর মতামতের তোয়াক্কা না করেই দু’ কর্মকর্তার নিয়োগ আদেশ বাতিল করে আওয়ামী লীগ সরকার অন্য দু’জনকে দুদক-এর ঊর্ধ্বতন দু’টি পদে নিয়োগ দেয়। এ কারণে এক কর্মকর্তাকে কোন দায়িত্বও দেয়নি দুদক। এছাড়াও দুদক-এর মতামত না নিয়ে পরিচালক পদে আরও কয়েকটি নিয়োগ দেয় সরকার। সর্বশেষ দুদক-এর সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালক ও পরিচালক পর্যায়ে পদোন্নতি দেয়ার বিষয়ে গঠিত কমিটির বৈঠক নিয়ে সরকারের সঙ্গে হাসান মশহুদ চৌধুরীর সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়ে। দুদক-এর সচিবের সভাপতিত্বে পদোন্নতি বিষয়ক কমিটির এ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল গত ২৯ মার্চ। পদোন্নতি কমিটির পাঁচ সদস্যের মধ্যে ওই দিন সরকারি এক সদস্য বৈঠকে উপস্থিত না হওয়ায় তা স্থগিত করে পরদিন ৩০ মার্চ করার সিদ্ধান্ত হয়। পরের দিনও ওই সদস্যকে পাঠানো হয়নি বৈঠকে। পরে চেয়ারম্যান খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ইঙ্গিতেই তাকে বৈঠকে যেতে বারণ করা হয়। এরপরই পদত্যাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন হাসান মশহুদ চৌধুরী। এর একদিন পরই তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান। এছাড়া আরও কিছু বিষয়েও কেবিনেট থেকে দুদককে অসহযোগিতা করা হয়। যেমন, দুদকের জনবল কাঠামো অনুমোদন করেনি সরকার। মামলা পরিচালনায় এটর্নি জেনারেলের অফিস থেকেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া হচ্ছিল…
টেলিভিশনে ওই দৃশ্য অনেকেই দেখেছেন,- প্রবীণ রাজনীতিক আবদুল জলিল সংসদে বক্তৃতা দিতে গিয়ে কাঁদছেন। আমার টিভি দেখা হয় না, আমি শুনেছি এবং সংবাদ পড়েছি (বিডি নিউজ টুয়েন্টি ফোর, ২৯ জানুয়ারি)। কাঁদতে কাঁদতে তিনি তার সদ্য কারানির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন, ডিজিএফআই-এর দোর্দণ্ড প্রতাপ সম্পর্কে আর তাঁর অবর্ণনীয় মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে কিছু কথা বলেছেন। এসব ঘটনা এমন যে তা কখনও পুরোপুরি বর্ণনা করা যায় না, শ্রোতাদের খানিকটা অনুমানও করে নিতে হয়। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, আবদুল জলিল যখন কাঁদছিলেন তখন তাঁকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্যে কোনও দলীয় নেতা এগিয়ে যাননি, সহানুভূতির কথা শোনাননি। স্পীকারের বাম দিকের আসন থেকে উঠে গিয়ে তাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন। বোধহয় আওয়ামী লীগ সাংসদদের কেউই ঝুঁকি নিতে চাননি। ঝুঁকি,- হয়তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরাগভাজন হওয়ার ঝুঁকি! যদিও শেখ হাসিনা নিজে ওই সময় ছিলেন না সংসদে। সকলের কাছেই আমাদের অনুরোধ থাকবে, এ ঘটনাটি বিবেচনা করে দেখবার। সংসদীয় গণতন্ত্রে মন্ত্রিসভা গঠনে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকাই মুখ্য; সেদিক থেকে খুবই স্বাভাবিক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এমন ব্যক্তিদের মন্ত্রিসভায় রাখবেন। এ ব্যাপারে আমরা আপাতত এটুকুই বলতে পারি, শেখ হাসিনা তাঁর অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছ, পরীক্ষিত, অনুগত প্রবীণ ও তরুণদের বেছে নিয়েছেন তাঁর মন্ত্রিপরিষদ গঠন করতে গিয়ে। এখনও অনেকে পাইপলাইনে, অপেক্ষা করছেন মন্ত্রিত্বের জন্যে। আবদুল জলিল অবশ্য সেই তালিকায় নেই, সেটা তিনি নিজেও জানেন। মজার ব্যাপার হলো, তিনি যে-সময়ে ডিজিএফআই-এর কর্মসীমানা নির্ধারণ করে দেয়ার কথা বলেছেন, সে-সময়েই সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল মইন উদ্দিন আহমেদ একটা মোটাসোটা বই লিখে তাঁর সামরিক জীবনের স্মৃতিচারণ করেছেন। প্রজাতন্ত্রের একজন সরকারি সামরিক কর্মকর্তা তাঁর চাকরি জীবনের স্পর্শকাতর বিষয়গুলি নিয়ে চাকরিরত অবস্থাতেই জনসমক্ষে লেখালেখি করতে পারেন কি না, সে প্রশ্নের উত্তর জানা আছে আমাদের। তাই রাজনীতিতে ডিজিএফআই-এর হস্তক্ষেপ বন্ধ করার জন্যে আবদুল জলিলের ওই কান্নাসিক্ত দাবি আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে যে পূরণ করা সম্ভব হবে না, সেটিও আমরা বুঝতে পারি। আওয়ামী লীগ সরকার এর মধ্যে কৃষকদের জন্যে ইতিবাচক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, দ্রব্যমূল্য কমানোর জন্যেও চেষ্টা চালাচ্ছে, সংসদে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে একটি প্রস্তাবও গত ২৯ জানুয়ারি বৃহষ্পতিবার সংসদে অনুমোদন পেয়েছে এবং এ ব্যাপারে সরকার পদক্ষেপ নিতে চলেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন কয়েকদিন আগে…
অনেক ত্যাগ, সংগ্রামের পর গত ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯ বাংলাদেশের নাগরিকরা নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে তাদের অন্যতম নাগরিক অধিকার অর্থাৎ নিজেদের পছন্দসই প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার অধিকার ফিরে পেয়েছে। সুযোগ নয়, দেশি-বিদেশি অধিকাংশ সংগঠন ও মানুষের কাছে নির্বাচনটি হয়েছে নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট তিন-চতুর্থাংশের চেয়ে বেশি আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে এই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এর মধ্যে প্রধান দুই জোট-নেত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা রয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী তারেক-কোকো’র মা বেগম খালেদা জিয়ার নামেও মামলা রয়েছে। মামলাগুলো উচ্চতর আদালতে বিচারাধীন। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যাঁরা মামলা দায়ের করেছিলেন এই দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে, সেসব বাদীপক্ষ মামলা প্রত্যাহারের আবেদনও করেছেন ইতোমধ্যে। রাজনীতি করলে মামলা-হামলা থাকবেই, এতেই আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা অভ্যস্ত। কিন্তু প্রসঙ্গ অন্যত্র। [...]
অনেক ত্যাগ, সংগ্রামের পর গত ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯ বাংলাদেশের নাগরিকরা নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে তাদের অন্যতম নাগরিক অধিকার অর্থাৎ নিজেদের পছন্দসই প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার অধিকার ফিরে পেয়েছে। সুযোগ নয়, দেশি-বিদেশি অধিকাংশ সংগঠন ও মানুষের কাছে নির্বাচনটি হয়েছে নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট তিন-চতুর্থাংশের চেয়ে বেশি আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে এই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এর মধ্যে প্রধান দুই জোট-নেত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা রয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী তারেক-কোকো’র মা বেগম খালেদা জিয়ার নামেও মামলা রয়েছে। মামলাগুলো উচ্চতর আদালতে বিচারাধীন। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যাঁরা মামলা দায়ের করেছিলেন এই দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে, সেসব বাদীপক্ষ মামলা প্রত্যাহারের আবেদনও করেছেন ইতোমধ্যে। রাজনীতি করলে মামলা-হামলা থাকবেই, এতেই আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা অভ্যস্ত। কিন্তু প্রসঙ্গ অন্যত্র। গত বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় বিভিন্ন গণ্যমান্য বুদ্ধিদীপ্ত সম্মানিত ব্যক্তির বেশ কয়েকটি ফোরাম কাজ করছে। আমরা অতি ক্ষুদ্র, সাধারণ অল্পশিক্ষিত নাগরিকরা তাঁদেরকে ‘সুশীল সমাজ’ বা ‘সিভিল সোসাইটি’ বলেই জানি। এই সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের মধ্যে শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাবেক আমলা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, নারী নেত্রী, এনজিও কর্মকর্তা, পুলিশ, বিডিআর ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাও রয়েছেন -- অর্থাৎ এককথায় এখানে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। দেশ ও জাতির বিভিন্ন সংকটে এই ‘সুশীল সমাজ’ নানা সেমিনার-সিম্পোজিয়াম আয়োজন করেন, বিবৃতি ও উপদেশ দিয়ে থাকেন। দেশ-জাতি তাতে উপকৃত কতটুকু হয়েছে তা এদেশের সাধারণ মানুষই ভালো বলতে পারবেন। দেশে সুশাসন কে না চায়? সবাই চায় দুর্নীতি, সন্ত্রাস, ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও অশিক্ষা-মুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। সেই সাথে অবশ্যই ধর্মনিরপেক্ষ ও রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ -- অল্প কিছু জনগোষ্ঠী ছাড়া। এই সুশাসনকে নিশ্চিত করার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে ‘সুজন’ অর্থাৎ ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক’ নামে একটি খ্যাতনামা সামাজিক সংগঠন। সাংগঠনিকভাবে দেশের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই এদের কমিটি রয়েছে। সচেতনতামূলক কাজের জন্য সংগঠনটি বেশ কিছু কাজ করছে। সমাজের বিশিষ্ট বিজ্ঞজনেরা রয়েছেন এই ‘সুজন’-এর সাথে। এর প্রধান নেতৃত্বে রয়েছেন খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ, পরিবেশবাদী সংগঠক, দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সংগঠন টিআইবি’র (ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ) প্রধান শ্রদ্ধাভাজন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ। এই বয়সেও তিনি সমাজের বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাপারে সোচ্চার কণ্ঠ হয়ে আমাদের দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভাবতেই ভালো লাগে বিষয়টি। সংসদ, রাজনীতি,…
বিগত চারদলীয় জোট সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিরা বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে যে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন এর চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পুত্র আরাফাত রহমান কোকো ছিলেন সব টেন্ডারবাজির নেপথ্য কারিগর। এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন প্রায় একডজন মন্ত্রী এসব কথা জানা যাচ্ছে বিদেশের বিভিন্ন সূত্র থেকে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দু’শীর্ষ কর্মকর্তা এ বিষয়ে ঢাকা সফরে গেলে দেশজুড়ে হৈ চৈ পড়ে। খবর আসতে থাকে মিডিয়ায়ও। বিএনপি-জামায়াত সরকার দেশে যে একটি চরম ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করেছিল তা কারও অজানা নয়। শীর্ষ নেতারাই শুধু নয়, বিভিন্ন অঞ্চলে দলীয় নেতা-কর্মীরাও তৈরি করেছিল নিজস্ব মগের মুল্লুক। রিকশাওয়ালা, ঠেলাওলায়া থেকে বারকি শ্রমিক কারও কাছ থেকে চাঁদা নিতে তারা বাকি রাখেনি। তাদের লক্ষ্য ছিল এভাবে স্খায়ী লুটপাটের রাজস্ব কায়েম করা এবং ক্ষমতার স্খায়ী ইজারা নেয়া। হাওয়া ভবনে মস্তান পোষা হচ্ছিল সেসব কারণেই। বলতে হবে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য ভাল বলেই ওয়ান-ইলেভেনের মাধ্যমে এই সিন্ডিকেটের কোমর ভেঙে দেয়া সম্ভব হয়েছে। উঠতি চাঁদাবাজরা মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য হয়েছে। বিএনপি জামায়াত জানতো সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা ভরাডুবির মুখে পড়বে। তাই তারা নির্বাচন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সব ধাপ সম্পন্ন করে রেখেছিল আগে-ভাগেই। ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটি গণনির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সরকার ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র কয়েকদিন পরই যুক্তরাষ্ট্রে মামলা হয়েছে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে কোকো গংয়ের বিরুদ্ধে। বর্তমান আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সব সহযোগিতা দেয়া হবে। অন্যদিকে বিএনপি বলা শুরু করেছে জিয়া পরিবারের ইমেজ ক্ষুণí করার জন্য এমন মামলা করা হয়েছে। দেখতে হবে মামলাটি কে করেছে? মামলাটি করেছে বিদেশী সংস্খা। তারপরও বিএনপি নানা ছল-ছুঁতোয় সরকারকে গালমন্দ শুরু করে দিয়েছে। যা অনেকটাই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার শামিল। কারণ তারা জানে, তারা দুর্নীতি করেছে এবং তাদের হাতগুলো কলুষিত। বিদেশে অর্থপাচারে জড়িত সাবেক মন্ত্রীদের নাম দেশবাসী এখনও জানে না। আইনমন্ত্রী বলেছেন, শিগগিরই নামগুলো জানতে পারবে দেশবাসী। প্রথমে বলা হয়েছিল ২০০ মিলিয়ন ডলার। এখন জানা গেছে হাজার হাজার মিলিয়ন ডলার। এটর্নি জেনারেল সালাহউদ্দিন আহমদ তার পদত্যাগপত্র সরকারের কাছে জমা দিয়েছেন। নতুন সরকার এলে এসব গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবর্তন আসে সেটাই নিয়ম। পদত্যাগী এটর্নি জেনারেলও বলেছেন, সাবেক জোট সরকারের দুর্নীতির নেটওয়ার্ক ব্যাপকভাবে বিস্তৃত ছিল। দুই.…
এই পোস্টের গত পর্বে সরকারের জবাবদিহিতায় কেবিনেটের ভূমিকা নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করা হয়েছিল। এই পর্বে আলোকপাত করার চেষ্টা করবো সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে সংসদীয় কমিটিগুলোর ভূমিকার ওপর। গত দু'বছরে জবাবদিহিতা ও দুর্নীতি দমন ইস্যুতে কম আলোচনা হয়নি। তৈরি হয়েছে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান, প্রস্তাবিত হয়েছে নতুন নতুন কৌশল। সে-সব নিয়ে আলোচনা থেকে আপাতত বিরত থাকছি। সে-সবের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, প্রচলিত আইনে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক জবাবদিহিতা কাঠামোর আওতাতেই কার্যকর কিছু বিধান রয়েছে; সে-বিষয়ে আলোচনা করতেই এই পোস্ট। এই পোস্টের আরেকটি লক্ষ্য হল -- প্রচলিত আইনের আওতায় এই জবাবদিহিতা কাঠামোটি কেন আশানুরূপভাবে কাজ করছে না বা কী করলে তা কার্যকর হয়ে উঠতে পারে -- তাও নিরূপণের চেষ্টা করা। [...]
পূর্ব প্রকাশিতের পর . . . এই পোস্টের গত পর্বে সরকারের জবাবদিহিতায় কেবিনেটের ভূমিকা নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করা হয়েছিল। এই পর্বে আলোকপাত করার চেষ্টা করবো সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে সংসদীয় কমিটিগুলোর ভূমিকার ওপর। গত দু'বছরে জবাবদিহিতা ও দুর্নীতি দমন ইস্যুতে কম আলোচনা হয়নি। তৈরি হয়েছে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান, প্রস্তাবিত হয়েছে নতুন নতুন কৌশল। সে-সব নিয়ে আলোচনা থেকে আপাতত বিরত থাকছি। সে-সবের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, প্রচলিত আইনে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক জবাবদিহিতা কাঠামোর আওতাতেই কার্যকর কিছু বিধান রয়েছে; সে-বিষয়ে আলোচনা করতেই এই পোস্ট। এই পোস্টের আরেকটি লক্ষ্য হল -- প্রচলিত আইনের আওতায় এই জবাবদিহিতা কাঠামোটি কেন আশানুরূপভাবে কাজ করছে না বা কী করলে তা কার্যকর হয়ে উঠতে পারে -- তাও নিরূপণের চেষ্টা করা। কারণ, প্রথমেই এই বিষয়গুলোতে মনযোগ না দিয়ে বিকল্প হিসেবে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরির চেষ্টা করাটা কিছুটা অযৌক্তিক। কারণ, বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে-সব 'ভূত' রয়ে গেছে, সেগুলো যে নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরও ভর করবে না, তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? সংসদীয় কমিটি সংবিধানের ৭৫(১) ধারায় বর্ণিত বিধানের আওতায় সংসদের সার্বিক পরিচালনার জন্য রয়েছে Rules of Procedure (লেখকের অনুবাদ : "কার্যবিধি")। এই কার্যবিধির অধ্যায় ২৭-এ সংসদীয় কমিটিগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত বিধান রয়েছে। সংসদীয় গণতন্ত্রে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে এই কমিটিগুলোর ভূমিকা অপরিসীম। পার্লামেন্টে মোশনের মাধ্যমে এই কমিটিগুলো গঠিত হয় ((কার্যবিধি, ধারা#১৮৮(১) ))। কোনো নির্দিষ্ট কমিটির ম্যানডেটের বিষয়ে যদি কোনো সাংসদের ব্যক্তিগত, আর্থিক বা সরাসরি অন্য কোনো স্বার্থ জড়িত থাকে তবে তিনি সেই কমিটির সদস্য পদ লাভে অযোগ্য বলে বিবেচিত হন। সংসদীয় এই কমিটিগুলো ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী। যেমন: কমিটি চাইলে সরকারি যে-কোনো দফতরের যে-কোনো রেকর্ড, দলিল, ফাইল কিংবা তথ্য পরীক্ষা করে দেখতে চাইতে পারে ((ধারা#২০২: (1) A witness may be summoned by an order signed by the Secretary and shall produce such documents as are required for the use of a Committee. (2) It shall be in the discretion of the Committee to treat any evidence given before it as secret or confidential. (3) No document submitted to the Committee shall be withdrawn or altered without the knowledge and approval of the Committee. )) । শুধু তাই নয়,…