সবার আগে সরকারকে পার্বত্য শান্তিচুক্তিতে গতি দিয়ে প্রমাণ করতে হবে সরকার শুধু কথা নয় কাজও করতে চায় এবং সরকার আদিবাসী/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বিতর্কে অযথা সময় নষ্ট না করে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সব নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনগণের সাথে তার সম্পর্কের সম্পূর্ণ কুসংস্কারহীন বিনির্মাণ চায়।[...]

আদিবাসী/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বিতর্কে অযথা সময় নষ্ট করছেন সবাই। দীপু মনি যেরকম 'আদিবাসী' ব্যানারের পেছনে হেঁটেছেন এবং 'আদিবাসী' স্বার্থ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তেমনি রাজা দেবাশীষ রায়ও 'আদিবাসী সাংস্কৃতিক উৎসব ২০০৫'-এর উদ্বোধন করতে গিয়ে বলেছিলেন, 'উপজাতি '(ইংরেজি শব্দটা খুঁজে বের করতে হবে, ইংরেজরা নিশ্চয় উপজাতি বলেননি তাদের বলা কোনো ইংরেজি শব্দের এভাবে অনুবাদ করা হয়েছে) শব্দটি বৃটিশ উপনিবেশিক শব্দ। এই শব্দ ব্যবহারের মধ্যে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার প্রতি বৈষম্যের ইঙ্গিত রয়েছে। তাই 'আদিবাসী' বা 'স্বতন্ত্র জাতিসত্তা' বা 'জাতিগোষ্ঠী' শব্দগুলো ব্যবহার করা উচিত।[৮৯ পৃষ্টা, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সংস্কৃতি, সেড, প্রকাশকাল ২০০৭] বইয়ের নামটিও খেয়াল করতে হবে। আমরা দেখেশুনে এরকম সিদ্ধান্ত নিতেই পারি আমাদের লেখালেখি বক্তৃতায় প্রচলিত আদিবাসী শব্দটিকেই ব্যবহার করলাম। আর চুক্তি, বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট কাগজে পত্রে ও সরকারি বেসরকারি নথিতে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ব্যবহার করলাম। এসব বিতর্ক ফেলে আমাদের সবার সময় নিয়ে পড়া উচিত C169 Indigenous and Tribal Peoples Convention, 1989 Convention concerning Indigenous and Tribal Peoples in Independent Countries (Note: Date of coming into force: 05:09:1991.) -- ৪৪টি আর্টিকেলে বিভক্ত এই দলিলটি আদিবাসী এবং ট্রাইবালরা(এই শব্দটিকে বাংলায় বলছি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা জাতিসত্তা)যারা বিভিন্ন স্বাধীন দেশে বসবাস করছে তাদের অধিকারের স্বীকৃতি। এপর্যন্ত এই কনভেনশন অনুমোদন করেছে মাত্র ২২টি দেশ (আমাদের অঞ্চল থেকে শুধু নেপাল), শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দেয়নি কেউ, এখনো কেউ এই কনভেনশনের বাস্তব প্রয়োগের ঘোষণা দেয়নি এবং কেউ এই কনভেনশন প্রত্যাখ্যানও করেনি। C169 Indigenous and Tribal Peoples Convention, 1989 Convention concerning Indigenous and Tribal Peoples in Independent Countries (Note: Date of coming into force: 05:09:1991.) Convention:C169 Place:Geneva Session of the Conference:76 Date of adoption:27:06:1989 Subject classification: Indigenous and Tribal Peoples Subject: Indigenous and Tribal Peoples See the ratifications for this Convention Display the document in: French Spanish Status: Up-to-date instrument This Convention was adopted after 1985 and is considered up to date. The General Conference of the International Labour Organisation, Having been convened at Geneva by the Governing Body of the International Labour Office, and having met in its 76th Session on 7 June 1989, and Noting the international standards contained in the…

ভিকারুননিসা নুন স্কুল ও কলেজের বর্তমান ছাত্রীদের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে রচিত। [...]

অনেকেই আমাদের বলেন আমরা নাকি ‘প্রিভিলেজড গ্রুপ’। সমাজের 'ফরচুনেট' অংশের প্রতিনিধি। বাঙালি শিক্ষিত মধ্যবিত্তের সন্তানই আমাদের অধিকাংশ। বিত্তবান না হলেও সচ্ছল বলা চলে আমাদের অনেককেই। খাওয়া-পরা-পড়াশোনা-টিভি দেখা-ঘুরে বেড়ানো এসব খাতে হিসেবের মধ্যে থেকেও আমাদের জন্য কিছুটা বিলাসি খরচ মাঝে-মাঝেই হয়তো করেন আমাদের অভিভাবকেরা। আবদার-আহ্লাদ করে খেলনা-জামাকাপড়-গল্পের বই দশবার চাইলে পাঁচবার তো নিদেনপক্ষে মিলেই যায়! কিন্তু সচ্ছলতার নির্ভরতার চেয়েও বড় ‘প্রিভিলেজ’ হল আমাদের জীবনের এক পুঁজি যা থেকে বাংলাদেশের অধিকাংশ মেয়েশিশু বঞ্চিত -- সেই পুঁজির নাম ‘স্বপ্ন’। আমাদের মা কিংবা বাবা যেদিন প্রথম আমাদের নির্ভরতার-আঙুল-পেলেই-মুঠি-মুড়ে-ধরে-ফেলার ছোট্ট হাত ধরে এই বিশাল চত্বরের মাঝে ছেড়ে দিয়েছিলেন, সেদিন প্রথম নিজেদের স্বপ্ন আমাদের মাঝে সংক্রমিত করেছেন তাঁরা। তাঁদের মেয়েদের রয়েছে স্বপ্ন দেখার অধিকার, ব্যক্তিত্ববিকাশের অধিকার, বড় হয়ে সমাজ-গড়ায় নিজ নিজ হাতের ছাপ রাখার অধিকার -- তাঁরা জানতেন এবং বিশ্বাস করতেন! বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক, প্রায়-নিষ্ঠুর পরীক্ষা—প্রথম শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ভয়-ভীতি-বাধার তীব্রতা অতিক্রম করে অবলীলায় মা’কে স্কুলগেটের বাইরে পিছে ফেলে এসে নতুন বন্ধুর পাশে এসে বসতে পেরেছি আমরা শুধু ওই স্বপ্ন-সংক্রমণের কারণে। ওই সংক্রমণ আমাদের পুতুলের মত ঠুনকো শিশুশরীরে সঞ্চার করেছে অপার শক্তি। পাঁচ-ছয় বছর বয়সে মায়ের শ্রমে শিখে আসা বাংলা বর্ণমালা আর ইংরেজি এলফাবেট দিয়ে দুনিয়াটাকে দেখতে শিখেছি; পড়তে শিখেছি ক্লাসের আপার দেওয়া পাঠ; কাঁড়ি-কাঁড়ি হোমওয়ার্কের বোঝা বহন করেছি; সমাধান করেছি বীজগণিতের খটোমটো ফরমুলা; চোখ গোল করে গল্প শুনেছি ইতিহাসের; পাবলিক পরীক্ষার ভুতুড়ে সকালে চুলে তেল দিয়ে টান-টান করে বেণি বেঁধে কলমের খস-খসানিতে পৃষ্ঠা ভরিয়েছি; কেমিস্ট্রি ল্যাবের বীকারে সবজে-নীল অধঃক্ষেপ দেখে পৃথিবীকে রঙিন ভেবেছি; বিতর্কের মঞ্চে প্রতিপক্ষের তার্কিক আর বিচারক প্যানেলকে চমৎকৃত করেছি বৈশ্বিক অর্থনীতির ভরাডুবির খতিয়ান দেখিয়ে; বিশাল কাঠের বোর্ডে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে মেধাবী সিনিয়ার আপুদের নাম, সেই ১৯৬১ সাল থেকে; ঘাড় কাত করে সেই নামগুলো দেখেছি আর ভেবেছি ওদের মত হতে পারব কিনা। আর বাড়ি এসে মাকে দিয়েছি তাচ্ছিল্যের ভর্ৎসনা -- “ধ্যুত, আমাদের আপা বলেছেন এটাই ঠিক। মা, তুমি কিচ্ছু জানো না!” মা নিশ্চয়ই খুশি হয়ে ভাবতেন, “ছোট্ট মেয়েটা কত বড় হয়ে যাচ্ছে!” বাবাকে বলতেন, “জানো তোমার মেয়ে স্কুলে কী কী করে? কী কী শেখে?” বাবা আত্মপ্রসাদের হাসি হাসতেন। মুখে বলতেন না, কিন্তু মনে…

প্রতি জেলার পুলিশ সুপার যেন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত জেলে রাখেন, সময়মতো ওই ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করতে হবে। কার কার নামের আগে ডি-ভোটার তকমাটি জুড়ে দিতে হবে সে ব্যাপারে নির্ণয় নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকারও জেলা পুলিশ সুপারের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে ওই রায়ে।[...]

আমরা বাংলাদেশের মানুষেরা আসামের শুধু উলফা সমস্যার কথাই জানি। কিন্তু আসামের আরো একটি বড় সমস্যা হল ‘ডি-ভোটার’ দাগাঙ্কিত করে কাউকে Detention Camp-এ আটকে রেখে মানুষের নাগরিকতার মানবাধিকারকে চরম অবমাননা করা। এই সমস্যার সাথে দেশভাগ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এসব জড়িত। তাছাড়া এই সমস্যা হিন্দু-মুসলমান উভয়েরই সমস্যা এবং এই সমস্যা দূরীকরণে দুই সম্প্রদায়কেই সমান সক্রিয় হতে হবে। তাছাড়া বাংলাভাষী হিসেবে বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার বাঙালিদেরও এই সমস্যা সমাধানে আন্তরিক সংহতি প্রকাশ করা উচিত। এই বিষয়ে সুপারিশকৃত লিন্কে প্রথম আলোকপাত করেছিলাম ২৭ এপ্রিল ২০১১ তারিখে। ২২ জুন ২০১১ দৈনিক যুগশঙ্খ-এ প্রকাশিত ধ্রুবকুমার সাহার উত্তরসম্পাদকীয়টি আজ এখানে তুলে দিলাম এবিষয়ে আমরা মোটামুটি একটা ধারণা লাভ করতে পারব এই আশায়। ডি-ভোটার নির্দেশের কোনও আইনি বৈধতা নেই ধ্রুবকুমার সাহা অসমে বসবাসকারী অনসমিয়া ভারতীয়দের নাগরিক জীবনের অন্তর্হিত সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হল ‘ডি-ভোটার’ পরিচয় নিয়ে সংকটটি। হাইকোর্টের বিচারপতি বিকে গোস্বামী ২১-০৪-২০১১ তারিখে এক রায়দানে ঘোষণা করেছেন যে সন্দিহান ব্যক্তির নামের আগে 'ডি-ভোটার' শব্দটি সংযোজিত হওয়া সেই ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকা থেকে কেটে ফেলতে হবে এবং তাকে ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’ তথা জেলে পুরে দিতে হবে। প্রতি জেলার পুলিশ সুপার যেন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত জেলে রাখেন, সময়মতো ওই ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করতে হবে। কার কার নামের আগে ‘ডি-ভোটার’ তকমাটি জুড়ে দিতে হবে সে ব্যাপারে নির্ণয় নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকারও জেলা পুলিশ সুপারের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে ওই রায়ে। রাজ্যের সর্বত্র তাই সুবিজ্ঞ মহলে এক চাপা ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হতে দেখা যায়। অনেক মহলে এই রায়কে সম্পূর্ণ বেআইনি, অমানবিক এবং পক্ষপাতদুষ্ট বলে আখ্যায়িত করছে। এ ব্যাপারে ভারতীয় সংবিধান, দেশের সর্বোচ্চ আদালত কিংবা উচ্চ ন্যায়ালয়গুলির অবস্থান কী তা খতিয়ে দেখতেই এ লেখার অবতারণা। ভারতবর্ষের The Govt. of India Act’ 1935, The Registration of Foeigners Act এবং এটির নির্দেশনাবলী অনুধাবন করলে দেখা যায়, এর নীতি-নিয়মগুলি অখণ্ড ভারতের জন্য প্রণীত ছিল। ১৯৪৭-এ স্বাধীনতালাভ ও তৎসহ সাময়িক দেশবিভাগের পর ১৯৪৯ সালে গৃহীত ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬ ও ৭ অনুধাবন করলে আমরা দেখতে পাই যে প্রধানত সদ্য তৈরি ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রদ্বয়ের অগণিত উদ্বাস্তুর কথা মাথায় রেখে এই ধারাগুলি সংযোজিত হয়। এতে আছে যে ১৯৪৮ সালের…

আমরা এখনো আদমশুমারি ২০১১-এর ফলাফল পাইনি তবে ধারণা করা হয় বর্তমানে বাংলাদেশে হিন্দুর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৭ থেকে ৮ ভাগ হতে পারে। তার মানে বাংলাদেশের ৪০ বছরে হিন্দুদের শতকরা হার প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে।[...]

বাংলাদেশের বড় সংখ্যালঘু হচ্ছে হিন্দু জনগোষ্ঠী। ১৯৪১ সালে আমাদের এই অঞ্চলে হিন্দুরা ছিলেন জনসংখ্যার ২৮ ভাগ, ১৯৫১ সালে এসে হল ২২ ভাগ। এভাবে ১৯৬১ সালে ১৮.৫০ ভাগ, ১৯৭১ সালে ১৩.৫০ ভাগ, ১৯৮১ সালে ১২.১৩ ভাগ, ১৯৯১ সালে ১১.৬২ ভাগ, ২০০১ সালে ৯.২০ ভাগ। এই ষাট বছরে প্রায় ১৯ ভাগ হিন্দু জনগোষ্ঠী কমে গেল আমাদের মোট জনসংখ্যা থেকে – তারমধ্যে প্রায় ১৫ ভাগই কমে গিয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগের ৩০ বছরে এবং আরো ৪ ভাগ কমেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরের ৩০ বছরে। আমরা এখনো আদমশুমারি ২০১১-এর ফলাফল পাইনি তবে ধারণা করা হয় বর্তমানে বাংলাদেশে হিন্দুর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৭ থেকে ৮ ভাগ হতে পারে। তার মানে বাংলাদেশের ৪০ বছরে হিন্দুদের শতকরা হার প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে। কেন কমে যাচ্ছে হিন্দুরা? পাকিস্তান আমলে হিন্দুদের ভাগ কমে যাওয়ার মূল কারণ যদি হয়ে থাকে রাষ্ট্রীয় বৈষম্য ও রাজনৈতিক হিংসা তাহলে বাংলাদেশ আমলেও হিন্দুদের ভাগ কমে যাওয়ার অন্য কোনো কারণ থাকার কথা নয় – ওই একই কারণে কমে যাচ্ছে বাংলাদেশের বড় সংখ্যালঘুর শতকরা অবস্থান। আর এই যদি হয় বড় সংখ্যালঘুর অবস্থা তাহলে ক্ষুদ্র সংখ্যালঘু ও আদিবাসী নৃ-গোষ্ঠীর অবস্থা যে এর চেয়ে শোচনীয় হবে তাতে তো আর কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। আর কতদিন ‘ভোটব্যাংক’ হয়ে থেকে নিজেদের রাজনৈতিক শক্তির চর্চা করবেন বাংলাদেশের বড় সংখ্যালঘুরা, যাদের চিহ্নিত ‘ভোটব্যাংক’ হয়ে থাকেন তারা সেই আওয়ামী লীগের আমলেও তো অত্যাচারের সংখ্যা কমলেও অত্যাচার তো বন্ধ থাকে না। বরঞ্চ বিএনপি আমলে অত্যাচার হলে অন্তত আওয়ামী লীগকে বলতে পারেন কিন্তু আওয়ামী লীগ আমলে হলে তো আর কাউকেই বলতে পারেন না তাদের অত্যাচারের কথা। হ্যাঁ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আছে – কিন্তু এটি তো কোনো রাজনৈতিক দল নয়, তারা বড় জোর রাজনৈতিক তদবির করতে পারেন সংখ্যালঘুদের পক্ষে। কিন্তু আর কতকাল কাটবে রাজনৈতিক তদবিরে, যদি এই অব্যাহত অত্যাচারে রাজনৈতিক দলের কথা ভাবেন বড় সংখ্যালঘুরা – সাথে যদি নেন অন্য সংখ্যালঘুদেরও তখন বাংলাদেশের যা একটু ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির চেহারা আছে তার কী অবস্থা হবে?

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.