যারা সমকামিতা প্রকৃতিবিরুদ্ধ বলে তাদের উদ্দেশে একটি ছোট্ট পোস্ট

প্রকৃতিবিরুদ্ধ কারণ [...]

সব যৌনতাই প্রকৃতিবিরুদ্ধ, কারণ যৌনতা প্রকৃতির ডাক নয়।

মাসুদ করিম

লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।

১৩ comments

  1. নায়েম লিটু - ৭ জুলাই ২০১১ (৭:২৪ অপরাহ্ণ)

    …যৌনতা প্রকৃতির ডাক নয়।
    কোনো দ্বন্দে না গিয়ে মানলাম।
    কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মানুষ কি প্রকৃতির বাইরের কেউ?

    • মাসুদ করিম - ৮ জুলাই ২০১১ (১:৪৫ পূর্বাহ্ণ)

      মানুষ প্রকৃতির বাইরে নয়। কিন্তু প্রকৃতির অন্য প্রাণীদের যৌনতা বলতে তো আমরা শুধু প্রজনন বুঝি। প্রাণীদের মধ্যে প্রজনন বর্হিভূত যৌনতা আছে কি না আমরা এখনো বিশদ জানি না। অবশ্য অনেক সেক্সোলজিস্ট বলছেন বেশ কিছু পশুর মধ্যে তারা সমকামিতা লক্ষ্য করেছেন। যৌনতার আছে জটিল মানসিক স্তর এবং সমকামিতা বিষমকামিতার মতোই প্রেম ভালবাসা আকাঙ্ক্ষার এক নিবিড় ভুবন। এই ব্লগেই আছে অভিজিৎ রায়ের লেখা : সমকামিতা : একটি বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্বিক অনুসন্ধান

      • নায়েম লিটু - ১১ জুলাই ২০১১ (১:১১ অপরাহ্ণ)

        আধুনিক এই যুগে সবকিছুকেই আমরা বিজ্ঞান দিয়ে যাচাই করতে চাই। এই জিজ্ঞাসু মানসীকতা থেকেই আবেগ নিঃসৃতÑ প্রেম ভালোবাসা মায়া মমতা একে অপরের প্রতি আন্তরিকতাকেও বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব দিয়ে কাটা-ছেঁড়া করে মীম্ংসায় পেীঁছতে চাই! সমকামীতাও কি আবেগি একটা বিষয় নয়? এবং একে বিকৃতি ভাবা অনুচিত। অন্তত আমি সেভাবেই বিষয়টাকে দেখি। আর সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে যেকোনো প্রাণীরই স্বভাবে চরিত্রে পরিবর্তন ঘটে। সৃষ্টির শুরু থেকেই এই পরিবর্তন চলছে প্রতিনিয়ত। ধন্যবাদ।

  2. nashir - ১৩ জুলাই ২০১১ (৫:৪২ অপরাহ্ণ)

    সমকামিতাকে স্বাগতম জানালে সমাজ থেকে শান্তি হারিেয় জােব।

    • অদিতি কবির - ১৮ জুলাই ২০১১ (৯:৫৪ পূর্বাহ্ণ)

      nashir ভাই, কিভাবে?

  3. মুশফিক ইমতিয়াজ চৌধুরী - ২৩ জুলাই ২০১১ (১২:২০ অপরাহ্ণ)

    পোস্টকারী ভুল কথা এবং ভুল যুক্তি দিয়েছেন ।

    যৌনতা মানুষের সবচেয়ে কমন মনোবাসনা এবং তাই যৌনতা প্রকৃতিবিরুদ্ধ একেবারেই নয়। কিন্তু প্রকৃতবিরুদ্ধ হওয়া বা না হওয়া বড় ব্যাপার নয়, বড় ব্যাপার হলো সেটি সমাজের জন্য ক্ষতি বয়ে আনছে কিনা ?

    এইডস, সিফিলিস, এনাল ফিশার,হেমোরয়েডসহ বিভিন্ন যৌনবাহিত এবং প্যারাসাইটিক রোগের জন্য সমকামিতা ( গে সেক্স, লেসবিয়ানিজম অতটা নয়) চরমভাবে দায়ী । তাই লেসবিয়ানিজমের বিপক্ষে আমার খুব একটা আপত্তি নেই যেহেতু সেটি এসব রোগে তেমন ভূমিকা রাখেনা। কিন্তু গে-সেক্স চরম ভূমিকা রাখে এবং সেজন্যই গে-সেক্স বর্জনীয় । অভিজিৎ রায় সমকামিতার স্বপক্ষে একটি বই লিখেছেন, সমকামিতার স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা না করেই সেখানে তিনি একপেশেভাবে শুধু মানবাধিকার নিয়ে পড়ে থেকেছেন।

    মানবাধিকারের সমর্থক আমিও, কিন্তু সেটির চেয়ে বড় ব্যক্তিক সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় প্রভাবগুলো । যেমন – সিগারেট খাওয়া ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হতে পারে, কিন্তু পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাই সিগারেটকে ব্যক্তি স্বাধীনতার কারণে চালিয়ে দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়, এটি চলছে পুঁজিবাদী কারণে । তেমনি গে-সেক্সকেও ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে চালিয়ে দেওয়াটা খুবই অপপ্রচেষ্টার কাজ কেননা জীবন মরন বনাম মানবাধিকারের প্রশ্নে জীবনমরণের বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে এবং জীবন না থাকলে মানবতাবাদ, মানবাধিকারবাদসহ সকল বাদ নিরর্থক হয়ে যাবে ।

    তাই সমকামিতা বর্জনীয় তবে পোস্টকারী যেই কথাটি বলছেন সেটিও চরম ভুল একটি কথা ।

    ধন্যবাদ ।

    • মাসুদ করিম - ২৩ জুলাই ২০১১ (১:০৪ অপরাহ্ণ)

      এইডস, সিফিলিস, এনাল ফিশার,হেমোরয়েডসহ বিভিন্ন যৌনবাহিত এবং প্যারাসাইটিক রোগের জন্য সমকামিতা

      পুরুষ-পুরুষ সমকামিতা থেকে এরোগগুলো কেন হয়? এইডস ও সিফিলিস সবারই হয়, এনাল ফিশার ও হেমোরয়েড সম্বন্ধে আমার জানা নেই। তবে ‘এনাল’ শব্দটি দেখে একটা ব্যাপার বেশ বুঝতে পারছি — মন্তব্যকারী আরো অনেকের মতো প্রচলিত ধারণার বশবর্তী হয়ে ‘পায়ু সঙ্গম’ আর ‘পুরুষ-পুরুষ সমকামিতা’কে সমার্থক ভাবছেন, সেজন্যই তিনি নারী-নারী সমকামিতাকে স্বাস্থ্যের দিক থেকে কম ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে পুরুষ-পুরুষ সমকামিতা শুধুই ‘পায়ু সঙ্গম’ নয়, এটা একটা জৈব-মানসিক প্রক্রিয়া।

      যৌনরোগের সবচেয়ে বড় কারণ সবসময়ের জন্য যৌনরোগ বহন করছে এরকম কারো সাথে প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে যৌনসঙ্গম করা। এর জন্য বিশেষ কোনো ‘কাম’ দায়ী নয়।

    • রায়হান রশিদ - ২৩ জুলাই ২০১১ (৬:০১ অপরাহ্ণ)

      @ মুশফিক ইমতিয়াজ চৌধুরী # ৩,

      অভিজিৎ রায় সমকামিতার স্বপক্ষে একটি বই লিখেছেন, সমকামিতার স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা না করেই সেখানে তিনি একপেশেভাবে শুধু মানবাধিকার নিয়ে পড়ে থেকেছেন।

      দিল্লী হাইকোর্টের রায়টি পড়ে দেখতে পারেন, তার সাথে অভিজিৎ রায়ের কিংবা যুক্তিনির্ভর স্বাস্থ্যগত বিবেচনার কোন বিরোধ নেই। এখানে: “সমকামিতা অপরাধ নয়”, দিল্লী হাইকোর্টের যুগান্তকারী রায়। পুরো রায়ের কপি প্রদত্ত লিন্কে পাবেন। প্রেজুডিস এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন আচরণের পরিণতিগুলো সেই মামলায় উঠে এসেছিল।

      লিখেছেন –

      এইডস, সিফিলিস, এনাল ফিশার,হেমোরয়েডসহ বিভিন্ন যৌনবাহিত এবং প্যারাসাইটিক রোগের জন্য সমকামিতা ( গে সেক্স, লেসবিয়ানিজম অতটা নয়) চরমভাবে দায়ী ।

      আপনার যুক্তিটি ঠিক স্পষ্ট হল না। এইডস, সিফিলিস, গনোরিয়া ইত্যাদি যৌনবাহিত রোগ সংক্রমণের ক্ষেত্রে হেটেরোসেক্সুয়াল সম্পর্কের ভূমিকা কি কোন অংশে কম? আপনার কাছে অনুরোধ থাকবে বক্তব্যের সমর্থনে এ সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক এবং তুলনামূলক পরিসংখ্যানগুলো তুলে ধরবার, তাহলে হয়তো বুঝতে সুবিধা হবে।

  4. সপ্তক - ২২ সেপ্টেম্বর ২০১১ (৮:১২ অপরাহ্ণ)

    সমকামিতা যদি চিকিৎসা বিজ্ঞান স্বাভাবিক বলে মত দেয় তবে তা স্বাভাবিক ।

  5. Pingback: ছোট্ট পোস্টে পাড়ি | মাসুদ করিম

  6. মাসুদ করিম - ২৭ জুন ২০১৫ (১১:১০ পূর্বাহ্ণ)

    • মাসুদ করিম - ২৭ জুন ২০১৫ (১:০৫ অপরাহ্ণ)

  7. মাসুদ করিম - ২৮ জুন ২০১৫ (১২:১৯ পূর্বাহ্ণ)

    যারা সমকামিতা প্রকৃতিবিরুদ্ধ বলে তাদের উদ্দেশে একটি ছোট্ট পোস্টসব যৌনতাই প্রকৃতিবিরুদ্ধ, কারণ যৌনতা প্রকৃতির ডাক নয়।

    Posted by Masud Karim on Saturday, June 27, 2015

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.