...২০১২-এর ১১ জানুয়ারিও হয়তো ২০০৭ সালের পুরানো চেহারায় ফিরে যেতে পারত। এ ধরণের অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটানোর মূল ধাত্রী বলে যাদের মনে করা হয় তাদের উৎসাহিত করার চেষ্টাও হয়েছে নানাভাবে। ‘সামরিক বাহিনীর মেধাবী কর্মকর্তারা গুম খুনের শিকার হচ্ছেন’, রাজনৈতিক অঙ্গনের এরকম বক্তব্যে ও লিফলেটে সেনাবাহিনীতে ভীতি-অসন্তোষ এবং বিক্ষোভ দেখা দেয়া অস্বাভাবিক ছিল না। নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরিরের পক্ষ থেকে তো সেনাবাহিনীর প্রতি সরাসরি বর্তমান সরকারকে অপসারণের আহ্বানই রাখা হয়েছিল। ...

একটি ক্রান্তিদিনই বলা যায় বোধকরি এবারের ১১ জানুয়ারিকে। এ দিনে আমাদের মনে হয় ২০০৭ সালের কথা, সামরিক বাহিনীশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উত্থানের কথা। সামরিকতন্ত্রের পৃষ্ঠপোষকতায় একনায়কতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে দিয়েই সম্ভব রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের পথ বন্ধ করা-এরকম একটি পাকিস্তানবাদী, সামরিকতান্ত্রিক ধারণা ফিরে আসতে শুরু করে ওই ১১ জানুয়ারি থেকে। এবং এ ধারণার পালে বাতাস যোগাতে থাকেন সুশীল নাগরিক ও বুদ্ধিজীবীরা। সেই অর্থে, ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সুশীলতন্ত্র ও সামরিকতন্ত্রের গাঁটছড়া বাঁধার দিবসও বটে। ২০১২ সালের ১১ জানুয়ারিও একইভাবে আলোচিত হয়ে উঠেছে। জনগণ দেখেছে, এদিন একদিকে গোলাম আযম গ্রেফতার হচ্ছেন, অন্যদিকে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে যাচ্ছেন, একইসঙ্গে আবার বিএনপি বিবৃতি দিয়ে জানাচ্ছে, সরকার ‘আইএসপিআরকে দিয়ে উস্কানি দিচ্ছে (প্রথম আলো, ২৯ পৌষ ১৪১৮)।’ রাজনীতির এরকম বড় বড় ঘটনাগুলির বাইরে ওইদিন দেখা গেছে, সিআইডি অভিযোগপত্র দিচ্ছে আওয়ামী লীগের কর্মী ইব্রাহিম আহমেদ খুনের মামলায় ভোলা-৩ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ নূরন্নবী চৌধুরী শাওনকে বাদ দিয়ে। সাক্ষী করা হয়েছেন নূরন্নবী শাওনকে (প্রথম আলো, ২৯ পৌষ ১৪১৮)। এখন জানা যাচ্ছে, এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার খন্দকার মোঃ আবদুল হালিম বিয়ে করেছেন এমপি শাওনের আপন মামাতো বোনকে (মানবজমিন, ১ মাঘ ১৪১৮)। নারায়নগঞ্জে এইদিন ‘যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ কমিটি’র নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে (প্রথম আলো, ২৯ পৌষ ১৪১৮) সরকার আমাদের আবারও নিশ্চিত করেছে, গণতন্ত্র আর সরকারি গণতন্ত্র দু’ রকম গণতন্ত্র, সরকারি গণতন্ত্রে নাগরিক অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর নির্যাতন জায়েজ করা আছে। অনেকেই হয়তো একমত হবেন না, তবে মনে হচ্ছে, এসব ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ছিল আইএসপিআর’এর বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি’র বিবৃতিটি। এ বিবৃতি থেকে মনে হওয়া স্বাভাবিক, বাংলাদেশের প্র্রধান বিরোধী দল বিএনপি সামরিক বাহিনীকে নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং তারা মনে করে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে থাকায় আইএসপিআর’কে বিরোধী দলীয় নেত্রীর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা দেয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা মনে করছেন, বেসামরিক পর্যায়ে যেমন গুম খুন চলছে, সামরিক সামরিক কর্মকর্তারাও তেমনি গুম হয়ে যাচ্ছেন (প্রথম আলো, ২৭ পৌষ ১৪১৮)। বলার অপেক্ষা রাখে না, বিএনপি’র এ অভিযোগ খুবই স্পর্শকাতর অভিযোগ। সামরিক বাহিনীতে কারও বিরুদ্ধে কোনও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে সে অপরাধ বিচারের জন্যে বাহিনীটির নিজস্ব আইন আছে। কিন্তু খালেদা জিয়ার এ অভিযোগ…

আজ একটি যুগের অবসান হল[...]

আজ একটি যুগের অবসান হল, আমার ব্যক্তিগত সংবাদপাঠের অভ্যাসে, যেসামান্য জায়গাটুকুও ছিল প্রথম আলোর তার পরিসমাপ্তি ঘটল। এই ৫ নভেম্বর ২০১০ থেকে আমি আর একেবারেই প্রথম আলো পড়ছি না। প্রথম আলোর যুগপূর্তির উৎসবে মতিউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের মৌল আদর্শগুলো লিখছেন এরকম গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সামাজিক সাম্য ও ন্যায়বিচার এবং অসাম্প্রদায়িকতা লিখেছেন এখানে। আইনের শাসন, সামাজিক সাম্য ও ন্যায়বিচার এবং অসাম্প্রদায়িকতা ! ভালো, প্রথম আলো। বাংলাদেশে এখন একটি স্বতন্ত্র পথ তৈরি হয়েছে, কিছু প্রগতিওয়ালা এখন প্রমতির অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এই পথ এই লক্ষ্য অনেক আগেই মতিউর রহমান প্রথম আলোর পথচলা শুরু করতেই নির্ধারণ করেছেন। আমার স্মৃতি আছে স্মৃতিশক্তি নেই – ওয়াহিদুল হক মারা যাবার কয়েকদিন পর, ৪ নভেম্বর ২০১০এ প্রথম আলোর সম্পাদকীয় পাতায় যেখানে তপন মাহমুদের কলিম শরাফী শ্রদ্ধাঞ্জলি ছাপা হয়েছে, সেখানটায় মতিউর রহমান লিখেছিলেন ওয়াহিদুল হক শ্রদ্ধাঞ্জলি, সেই লেখায় ওয়াহিদুল হকের চেয়ে বেশি কথা ছিল মতিউর রহমানের মাকে নিয়ে কারণ ওই একই হাসপাতালে যেখানে ওয়াহিদুল হক মৃত্যুবরণ করেছিলেন সেখানে বছর কয়েক আগে মতিউর রহমানের মায়েরও মৃত্যু হয়েছিল, সেই লেখায় এমন এক উদ্দেশ্যের কথা ইঙ্গিতে বলা ছিল যেমহান উদ্দেশ্যের সাথে ওয়াহিদুল হক সম্মিলিত হতে ব্যর্থ হয়েছেন, কিন্তু মতিউর ও প্রথম আলো সেপথে হাঁটবেন ঠিক করে রেখেছেন – এক এলিটিস্ট সিভিল ‘মিডিয়া’ তারা গড়ে তুলবেন, আর যখন ওই ওয়াহিদুল হক শ্রদ্ধাঞ্জলি তিনি লিখছিলেন তখন তো ফসল তোলার সময়, দেশে তখন সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত ‘এলিটিস্ট সিভিল’ সরকার, যেসরকারকে কিছুদিন হল এখন তিনি বলতে শুরু করেছেন ‘সশস্ত্র বাহিনী সমর্থিত অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ – প্রমতির খেয়াল হল যেকোনো নিকট অতীতও নিজের প্রয়োজনে নিমেষে বদলে ফেলা। তাই তো তিনি বলেন, যা কিছু আমার জন্য ভালো তার সঙ্গে প্রথম আলো – এখন তিনি আরো এগিয়ে গিয়ে বলেন, যত খুশি যত পার বদলে যাও বদলে দাও। আমি ওই পুরনো প্রগতির পথেই হাঁটতে চাই, প্রমতির সঙ্গে কখনো হাঁটিনি তবে খবরাখবর রেখেছি, আজ থেকে খবর রাখাও বন্ধ করে দিলাম। বিভিন্ন সময়ে 'মুক্তাঙ্গন'এ প্রথম আলো নিয়ে আমার পোস্ট ও মন্তব্যের লিন্ক। খবর নেই গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের ‘গণমাধ্যম,সম্পাদক ও প্রকাশকদের জন্য প্রশিক্ষণ চাই’ লেখাটি বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতের সংকট ও রাজনীতিকে…

এক কথায় বলতে গেলে, বাংলাদেশের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। নির্বাচন কমিশন শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন, একটি তুলনামূলক স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করতে পেরেছেন, কালো টাকার দৌরাত্ম্যকে সামাল দেয়ার জন্যে কিছু কিছু উদ্যোগও নিয়েছেন। নির্বাচনের যারা পর্যবেক্ষক ছিলেন, তারা এ নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও কারচুপিমুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন। নির্বাচনের পরদিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাৎক্ষণিকভাবে বিরুপ করলেও পরে মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে তাদের অভিযোগ যা-ই হোক না কেন, তারা মনে করেন যে একটি অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে নির্বাচিত সরকার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এও জানিয়েছেন, 'বড়ভাইয়ের (আওয়ামী লীগ) উচিত, ছোটভাইকে (বিএনপি) দেখা। একটি দল বিজয় অর্জন করেছে, অন্যদের কাছে যাওয়ার দায়িত্ব তার (ইত্তেফাক, ৩ জানুয়ারি ২০০৯)।' আবার নির্বাচনের আগে স্বৈরাচারী এরশাদকেও বার বার বলতে শোনা গেছে, 'ভাইবোনে মিলে দেশটিকে ঢেলে সাজাবো!' অতএব বলা যায়, এ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে আমরা সরকারি কিংবা বিরোধী বিভিন্ন দলগুলির আত্মীয়তার মাধুর্যও উপভোগ করছি। এদিকে নির্বাচনের পরপরই, গত চারদিনে পাঠকমহলে সংবাদের জন্যে অপেক্ষাকৃত গ্রহণযোগ্য পত্রিকাগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র ইত্তেফাকেই নির্বাচনোত্তর সংঘাতের যত খবর ছাপা হয়েছে তা জোড়া দিলে সংবাদপত্রের দু' পৃষ্ঠাতেও আটানো সম্ভব হবে না। এমনকি আমরা এ-ও জানতে পেরেছি, ফেনীতে জয়নাল হাজারীর সুযোগ্য ক্যাডাররা এখন মিছিল করছেন ও শ্লোগান দিচ্ছেন, ‌শেখ হাসিনা হাসছে, জয়নাল হাজারী আসছে।' জনগণ এইসব নতুন করে সহ্য করছে। ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছে। কেননা, আওয়ামী লীগকে ঘিরে তাদের একধরণের প্রত্যাশা জন্ম নিয়েছে। সেই প্রত্যাশা এতই আকাশচুম্বী যে তারা স্বৈরাচারের প্রতিভূ জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের মহাজোট গঠনও মেনে নিয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রতি হয়তো তারা আস্থাশীল নয়, কিন্তু নির্ভরশীল হওয়ার মতো উপাদান তারা দলটির মধ্যে খুজেঁ পেয়েছে। তাই এদের প্রার্থীদের ঘিরে তাদের মধ্যে প্রত্যাশাবোধের জন্ম হয়েছে। কিন্তু এত প্রত্যাশার ভিত্তি কোথায়? বোধকরি, প্রথমত ব্যাপক নারী ভোটার। গত পাঁচ বছর ধরে এই নারীরা সরাসরি দ্রব্যমূল্যের আঁচ অনুভব করেছে। গার্মেন্টস শ্রমিকসহ নিম্নপেশাভুক্ত দরিদ্র নারী থেকে শুরু করে কর্মজীবী মধ্যবিত্ত ব্যাপকসংখ্যক নারী তো বটেই এমনকি গৃহিনী নারীরাও এখন বাজার থেকে কেনাকাটার সঙ্গে আগের চেয়ে অনেক বেশি সম্পৃক্ত। সন্তান ও পরিবার সদস্যদের করুণ মুখ প্রতিক্ষণ…

বাংলাদেশের সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন মিডিয়া বিগত কয়েক বছরের আপ্রাণ চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মধ্যে কুশল বিনিময়ের আয়োজন করতে পেরেছেন। অবশ্য এই আয়োজনের মূল কৃতিত্ব ঠিক সুশীল সমাজ ও মিডিয়াকে দেয়া যায় না। বলতে গেলে, গত আঠারো বছর থেকে আমরা দেখে আসছি, পৃথিবীর একটি বিশেষ দেশে, একটি বিশেষ বাহিনীর বিশেষ একটি দিনে বিশেষ একটি ঘটনা ঘটে; আর সেই বিশেষ ঘটনাটি হলো, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সশস্ত্র দিবসে সেনাকুঞ্জে দেশটির দুই রাজনৈতিক নেতা শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া পাশাপাশি বসেন, কখনও কথা বলেন, কখনও আবার কথা বলেন না। কথা যখন বলেন না তখন তারা সামনের দিকে এত মনযোগ দিয়ে তাকিয়ে থাকেন যে মনে হয় শেক্সপিয়রের কোনও নাটক দেখতে বসেছেন।

বাংলাদেশের সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন মিডিয়া বিগত কয়েক বছরের আপ্রাণ চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মধ্যে কুশল বিনিময়ের আয়োজন করতে পেরেছেন। অবশ্য এই আয়োজনের মূল কৃতিত্ব ঠিক সুশীল সমাজ ও মিডিয়াকে দেয়া যায় না। বলতে গেলে, গত আঠারো বছর থেকে আমরা দেখে আসছি, পৃথিবীর একটি বিশেষ দেশে, একটি বিশেষ বাহিনীর বিশেষ একটি দিনে বিশেষ একটি ঘটনা ঘটে; আর সেই বিশেষ ঘটনাটি হলো, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সশস্ত্র দিবসে সেনাকুঞ্জে দেশটির দুই রাজনৈতিক নেতা শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া পাশাপাশি বসেন, কখনও কথা বলেন, কখনও আবার কথা বলেন না। কথা যখন বলেন না তখন তারা সামনের দিকে এত মনযোগ দিয়ে তাকিয়ে থাকেন যে মনে হয় শেক্সপিয়রের কোনও নাটক দেখতে বসেছেন। দু'এক বছর অবশ্য এই ঘটনার ব্যতিক্রম ঘটেছে, কেউ হয়তো বিশেষ কোনও কারণে ওই অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি, কারও যাবার পথে হয়তো বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয়েছে; কিন্তু সেগুলো উল্লেখ করার মতো কিছু নয়। শক্তি অনেক কিছুর ধাত্রী হিসেবে কাজ করে থাকে; শক্তিমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীই যে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার এই কুশলবিনিময়ের ধাত্রী হিসেবে কাজ করেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। নিশ্চয়ই এটি একটি বড় ঘটনা, আর তা কেবল সুশীল সমাজ ও মিডিয়ার সাফল্যের অর্থে নয়, রাজনৈতিক অর্থেও।ক্ষমতা নেয়ার প্রথম দিন থেকেই বাংলাদেশের বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি উদ্দেশ্য সামনে রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে চলেছেন; উদ্দেশ্যটি হলো, যে-দলই আগামী জাতীয় সংসদের মাধ্যমে সরকার গঠন করুন না কেন, তাকে সুনির্দিষ্ট কিছু ইস্যু বাস্তবায়ন করতে হবে এবং বিরোধী দল সে-ক্ষেত্রে তেমন কোনও তীব্র বাগড়া বসাতে পারবে না। আর এই ইস্যু বাস্তবায়নের কাজটি যাতে আরও নিপূণভাবে করা যায়, সেজন্যে তারা জাতীয় সরকার প্রসঙ্গটিকেও বার বার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছেন। ২০০১ সালের আগে একই উদ্দেশ্য (দলনির্বিশেষে সুনির্দিষ্ট কর্পোরেট স্বার্থ বাস্তবায়ন) নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রীয়-স্বার্থের তথা সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থের প্রতিনিধি জিমি কার্টার। কিন্তু ওই নির্বাচনের পর নির্বাচিত চারদলীয় সরকারের পক্ষে একমাত্র আদমজী পাটকলকে বিক্রি করার কাজটি ছাড়া আর কোনও বড় কর্পোরেট স্বার্থ সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। এবার তাই আরও আটঘাট বেধে নেমেছে কর্পোরেট শক্তি। প্রায় দুই বছর ধরে তারা প্রধান রাজনৈতিক দলদুটিকে এ-উদ্দেশ্যে ঘোলাজলে হাবুডুবু খাইয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন…

২৮ জুলাই ২০০৮; সাধারণ একটি দিন। ওইদিন বাংলাদেশের চট্টগ্রামে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এক মানববন্ধনের আয়োজন করেছিল রাজাকার-আলবদর-আলশামসসহ সব যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে। সেই মানববন্ধনে যোগ দিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোহাম্মদ আলী আমান, যিনি সম্প্রতি নিগৃহীত হন মুক্তিযোদ্ধা দাবিদার জামাতিদের সমাবেশে গিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করে। আরও ছিলেন ড. আনোয়ার হোসেন, যাকে ১১ জানুয়ারিতে ক্ষমতাদখলকারী সেনাবাহিনীর সদস্যরা ‘আমরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নই’ বলে আশ্বস্ত করে নির্যাতনের নিকৃষ্টতম স্থান ব্ল্যাকহোলে নিয়ে গিয়েছিল। (more…)

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.