প্রমতি

আজ একটি যুগের অবসান হল[...]

আজ একটি যুগের অবসান হল, আমার ব্যক্তিগত সংবাদপাঠের অভ্যাসে, যেসামান্য জায়গাটুকুও ছিল প্রথম আলোর তার পরিসমাপ্তি ঘটল। এই ৫ নভেম্বর ২০১০ থেকে আমি আর একেবারেই প্রথম আলো পড়ছি না। প্রথম আলোর যুগপূর্তির উৎসবে মতিউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের মৌল আদর্শগুলো লিখছেন এরকম

গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সামাজিক সাম্য ও ন্যায়বিচার এবং অসাম্প্রদায়িকতা

লিখেছেন এখানেআইনের শাসন, সামাজিক সাম্য ও ন্যায়বিচার এবং অসাম্প্রদায়িকতা ! ভালো, প্রথম আলো।

বাংলাদেশে এখন একটি স্বতন্ত্র পথ তৈরি হয়েছে, কিছু প্রগতিওয়ালা এখন প্রমতির অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এই পথ এই লক্ষ্য অনেক আগেই মতিউর রহমান প্রথম আলোর পথচলা শুরু করতেই নির্ধারণ করেছেন। আমার স্মৃতি আছে স্মৃতিশক্তি নেই – ওয়াহিদুল হক মারা যাবার কয়েকদিন পর, ৪ নভেম্বর ২০১০এ প্রথম আলোর সম্পাদকীয় পাতায় যেখানে তপন মাহমুদের কলিম শরাফী শ্রদ্ধাঞ্জলি ছাপা হয়েছে, সেখানটায় মতিউর রহমান লিখেছিলেন ওয়াহিদুল হক শ্রদ্ধাঞ্জলি, সেই লেখায় ওয়াহিদুল হকের চেয়ে বেশি কথা ছিল মতিউর রহমানের মাকে নিয়ে কারণ ওই একই হাসপাতালে যেখানে ওয়াহিদুল হক মৃত্যুবরণ করেছিলেন সেখানে বছর কয়েক আগে মতিউর রহমানের মায়েরও মৃত্যু হয়েছিল, সেই লেখায় এমন এক উদ্দেশ্যের কথা ইঙ্গিতে বলা ছিল যেমহান উদ্দেশ্যের সাথে ওয়াহিদুল হক সম্মিলিত হতে ব্যর্থ হয়েছেন, কিন্তু মতিউর ও প্রথম আলো সেপথে হাঁটবেন ঠিক করে রেখেছেন – এক এলিটিস্ট সিভিল ‘মিডিয়া’ তারা গড়ে তুলবেন, আর যখন ওই ওয়াহিদুল হক শ্রদ্ধাঞ্জলি তিনি লিখছিলেন তখন তো ফসল তোলার সময়, দেশে তখন সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত ‘এলিটিস্ট সিভিল’ সরকার, যেসরকারকে কিছুদিন হল এখন তিনি বলতে শুরু করেছেন ‘সশস্ত্র বাহিনী সমর্থিত অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ – প্রমতির খেয়াল হল যেকোনো নিকট অতীতও নিজের প্রয়োজনে নিমেষে বদলে ফেলা। তাই তো তিনি বলেন, যা কিছু আমার জন্য ভালো তার সঙ্গে প্রথম আলো – এখন তিনি আরো এগিয়ে গিয়ে বলেন, যত খুশি যত পার বদলে যাও বদলে দাও।

আমি ওই পুরনো প্রগতির পথেই হাঁটতে চাই, প্রমতির সঙ্গে কখনো হাঁটিনি তবে খবরাখবর রেখেছি, আজ থেকে খবর রাখাও বন্ধ করে দিলাম।

বিভিন্ন সময়ে ‘মুক্তাঙ্গন’এ প্রথম আলো নিয়ে আমার পোস্ট ও মন্তব্যের লিন্ক।

খবর নেই

গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের ‘গণমাধ্যম,সম্পাদক ও প্রকাশকদের জন্য প্রশিক্ষণ চাই’ লেখাটি বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতের সংকট ও রাজনীতিকে সবার সামনে উন্মুক্ত করেছে

মতিউর রহমান বাংলাদেশের সবচেয়ে খ্যাতিমান সম্পাদক। তার ‘প্রথম আলো’ বাংলাদেশের সবচেয়ে খ্যাতিমান দৈনিক পত্রিকা

টিপু সুলতান ও মতিউর রহমান বাংলাদেশের সংবাদ জগতের এক অসম জুটি এবং এক বিশেষ ক্ষমতাচক্রের ঘনিষ্ঠ সহচর। কিন্তু সেটা কি এতদূর পর্যন্ত

ছোটবেলার কোরান শিক্ষার স্মৃতি বলে ‘আল-ইসরাত’ নামে কোনো সুরা কোরানে নেই। আগ্রহীরা খুঁজে দেখতে পারেন। ভুলভালে ভরে যাচ্ছে ‘প্রথম আলো

শুক্রবারের কালের কণ্ঠে প্রথম পাতার খবর মুসলমানদের ইমান ধ্বংসের চক্রান্তে লিপ্ত প্রথম আলো এবং তাদেরই সহযোগী অনলাইন পত্রিকা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর খবর প্রথম আলো বন্ধের দাবি ইসলামী ও সমমনা ১২ দলের : এবং এই সংবাদ পরিবেশনের ধরনে কালের কণ্ঠ ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আচরণ খুবই উদ্বেগের

‘প্রথম আলো’ ভুল সংবাদ পরিবেশনের জন্য ক্ষমা না চেয়ে একটা নতুন স্লোগান বানাতে পারে : বদলে যাও, বদলে দাও — ভুল সংবাদ চলতে দাও। ‘জাইকা’র বোর্ড মিটিংই হয়নি কিন্তু প্রথম আলো সেটা করিয়ে ছেড়েছে এবং সেই বোর্ড মিটিংয়ে ঢাকার মেট্রোরেলের ঋণপ্রস্তাব নাকচ করে দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের আত্মস্বীকৃত সেরা বাংলা পত্রিকা ‘ওয়েট্রেস’এর বাংলা করেছে ‘পরিচারিকা’। আমি শুধু বাকরুদ্ধ নই, সর্বস্বরুদ্ধ। প্রথম আলো এভাবেই বদলে যায় বদলে দেয়

সাবস্ক্রাইব করুন
অবগত করুন
guest

40 মন্তব্যসমূহ
সবচেয়ে পুরোনো
সাম্প্রতিকতম সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত
Inline Feedbacks
View all comments
40
0
আপনার ভাবনাগুলোও শেয়ার করুনx
  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.