গার্মেন্টস-মালিকদের বিরুদ্ধে আবারও ষড়যন্ত্র হচ্ছে! গত শনিবার টঙ্গী শিল্প এলাকায় ২ জন (মতান্তরে ৪ জন) শ্রমিকের নিহত হওয়ার ঘটনা সেই ষড়যন্ত্রেরই বহিঃপ্রকাশ! বিজিএমইএ-র কর্তারা বলেছেন নাশকতা, যার অর্থ করলে দাঁড়ায় শ্রমিকেরাই এই নাশকতার জন্ম দিয়েছে [...]

তিন রাউণ্ড গুলি খেলে তেইশজন মরে যায় লোকে এত বজ্জাত হয়েছে! স্কুলের যে ছেলেগুলি চৌকাঠেই ধ্বসে গেল অবশ্যই তারা ছিল সমাজবিরোধী। ওদিকে তাকিয়ে দেখো ধোয়া তুলসীপাতা উলটেও পারে না খেতে ভাজা মাছটি আহা অসহায় আত্মরক্ষা ছাড়া আর কিছুই জানে না বুলেটেরা দার্শনিক চোখ শুধু আকাশের তারা বটে দেখে মাঝে মাঝে। পুলিশ কখনো কোনো অন্যায় করে না তারা যতক্ষণ আমার পুলিশ। শঙ্খ ঘোষ, 'ন্যায়-অন্যায় জানিনে' গার্মেন্টস-মালিকদের বিরুদ্ধে আবারও ষড়যন্ত্র হচ্ছে! গত শনিবার টঙ্গী শিল্প এলাকায় ২ জন (মতান্তরে ৪ জন) শ্রমিকের নিহত হওয়ার ঘটনা সেই ষড়যন্ত্রেরই বহিঃপ্রকাশ! বিজিএমইএ-র কর্তারা বলেছেন নাশকতা, যার অর্থ করলে দাঁড়ায় শ্রমিকেরাই এই নাশকতার জন্ম দিয়েছে। তারা ভয়াবহ পরিকল্পনা আর ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পেয়েছেন। কোনো-কোনো পত্রিকার মতে দুই মাস, শ্রমিকদের দাবি ছয় মাস বেতন পাননি তারা। গত শুক্রবারও গার্মেন্টসটিতে রাত অবধি তারা কাজ করেছেন। শ্রমিকদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, ১০ নভেম্বরের মধ্যে সব বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। তাই বেতন না পেয়েও তারা রাস্তায় নামেননি। বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেননি। কিন্তু গত শনিবার কারখানার গেটে এসে শ্রমিকেরা যখন জানতে পারলেন গার্মেন্টস বন্ধ, তখন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন তারা। মালিকেরা আগেই পুলিশকে জানিয়ে রেখেছিল। কেবল শ্রমিকেরা জানতেন না কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা বেশ দায়িত্বের সাথেই গার্মেন্টসটি পাহারা দিয়েছে। শ্রমিকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে -- এ-কথা তো জানাই ছিল। কিন্তু তা-ই বলে গুলি খেয়ে মরবে! বিজিএমইএ-র নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে নাশকতার অভিযোগ তুলেছেন। তারা বলেছেন, আইন মেনেই কারখানা লে-অফ করা হয়েছে। তাদের আইন অনুযায়ী লে-অফের আগে শ্রমিকদের জানানোর প্রয়োজন পড়ে না। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, এদেশের আইন গার্মেন্টস-মালিকদের যা খুশি তা-ই করার অধিকার দিয়েছে। আর সেটা যাতে তারা নির্বিঘ্নে করতে পারেন, সেজন্য রাষ্ট্রের পুলিশ, বিচার বিভাগ, সান্ত্রী-সেপাই, আমলা-কামলা সব, সবাই তাদের সেবায় নিয়োজিত। তাই হুট করে এভাবে শ্রমিকদের মরে যাওয়ার ঘটনায় সকল পক্ষই যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পাবে, তা আর বিচিত্র কী! দৈনিক পত্রিকাগুলোতে চোখ বোলালে মনে হয়, এসব ঘটনায় শ্রমিকেরা কোনো এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙে, কারখানায় আগুন দেয়। যে-কোনো শ্রমিক-সংঘর্ষের সংবাদ পাঠ করলে শ্রমিকদের একটা নৈরাজ্যকর চেহারা পাঠকের মনে স্পষ্ট হয়। গত শনিবারের ঘটনাও…

কয়েক দিন আগে একটি বিভাগীয় সরকারি কলেজে কিছু ছাত্রের আমন্ত্রণে এক সান্ধ্য কবিতাপাঠের আসরে গিয়েছিলাম। কবিসংখ্যা ১০-১২, শ্রোতা একা আমি। পাঠ শুরু হতেই বিদ্যুৎ চলে গেল। অদম্য তরুণেরা মোবাইল ফোনসেটের আলোয় কবিতা পড়তে লাগল। [..]

জাতীয় শিক্ষানীতিতে সরকারি বিদ্যালয় ও কলেজ ব্যবস্থাপনা পরিবর্তনের সুনির্দিষ্ট কোনো সুপারিশ নেই। শুধু এরকম কথা লেখা আছে ‘ব্যবস্থাপনা কমিটিকে প্রয়োজনে অধিকতর ক্ষমতা দিয়ে আরও জোরদার করা হবে। অভিভাবক, শিক্ষানুরাগী...সমন্বয়ে জন-তত্ত্বাবধানের ব্যবস্থা করা হবে।’ অর্থাৎ বাকিটা সরকারি সিদ্ধান্তের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। কয়েক দিন আগে একটি বিভাগীয় সরকারি কলেজে কিছু ছাত্রের আমন্ত্রণে এক সান্ধ্য কবিতাপাঠের আসরে গিয়েছিলাম। কবিসংখ্যা ১০-১২, শ্রোতা একা আমি। পাঠ শুরু হতেই বিদ্যুৎ চলে গেল। অদম্য তরুণেরা মোবাইল ফোনসেটের আলোয় কবিতা পড়তে লাগল। কিন্তু ভ্যাপসা গরম আর মশার জন্য তিষ্টানো গেল না। আমরা বাইরে এসে হাঁটতে ও কথা বলতে লাগলাম। বিশাল চত্বর, বড় বড় পুকুর, গাছগাছালির বন, দুটি ফুটবল মাঠ। একসময় এখানে শিক্ষকতা করেছি, দেখলাম, আমার লাগানো গাছেরও কয়েকটি আছে। কিন্তু দুঃখ হলো, আমাদের টেনিস কোর্টগুলো আর নেই, সেখানে সবজিক্ষেত। বোটানিক গার্ডেন আগাছাভরা, ফুটবল মাঠে হাঁটুসমান ঘাস। ‘তোমরা খেলাধুলা করো না?’ জানতে চাই। মিহি সুরে উত্তর আসে, ‘না’। ‘বার্ষিকী বের হয়? সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক হয়?’ একই উত্তর,- না। মনে পড়ে, পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকের কথা। শীতে টেনিসের সমারোহ আয়োজন, নিয়মিত ক্রিকেট ম্যাচ, গোটা বর্ষাজুড়ে ফুটবল। কলেজ বার্ষিকী ছাড়াও ছিল একটি বিজ্ঞানবার্ষিকী। ১৯৫৯ সালে আমরাই প্রথম উদ্ভিদবিদ্যার স্নাতক কোর্স খুলি। অধ্যক্ষ ও বিজ্ঞান শিক্ষকদের ঐকান্তিক এবং অনুক্ষণ সহায়তায় দুই বছরের মধ্যেই গড়ে ওঠে চমৎকার ল্যাবরেটরি, হার্বোরিয়াম, মিউজিয়াম, বিভাগীয় গ্রন্থসংগ্রহ, বোটানিক গার্ডেন, কোনোটা ন্যূনতম খরচায়, কোনোটা নিখরচায়। ১৯৬২ সালে সরকারিকরণের পর যত দিন পুরোনো শিক্ষকেরা ছিলেন, তত দিন এ রেওয়াজ তেমন বদলায়নি। হাঁটতে হাঁটতে ছাত্রদের এসব কথা শোনাই এবং জিজ্ঞেস করি, ‘তোমাদের আজ এ হাল কেন?’ জবাব আসে, ‘মোবাইল ফোন স্যার, ওটিই খেলাধুলা, সংস্কৃতি সব গিলে ফেলেছে।’ ভেবেছিলাম, দলীয় ছাত্ররাজনীতির কথা শুনব, কিন্তু খবরটি সম্পূর্ণ নতুন। সত্যিই মোবাইল ফোন কি? আংশিক সত্য হলেও সিংহভাগ সমাধা করেছে সরকারি আমলাতন্ত্র। শিক্ষকেরা আজ কলেজের সঙ্গে একাত্মবোধ হারিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি তাঁদের কাছে পরকীয় হয়ে গেছে। অন্যান্য আমলাতন্ত্রের মতো শিক্ষা-আমলাতন্ত্র একটি নির্মুখ সত্তা। এই শহরে এলে অন্তত একবার কলেজে যাই, চত্বরে হাঁটি, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগেও গিয়ে বসি। আমার কাছে পড়েছে, এমন শিক্ষকও আগে পেতাম, এখন সবাই অচেনা। একবার দেখলাম ফুটবল মাঠের পাশে একসার গগনশিরীষ কে যেন লাগিয়েছেন,…

এ বছর সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী হেয়ার্টা ম্যুলারের একটি বিখ্যাত উপন্যাস 'সবুজ কুলের দেশ'। গ্রন্থটি জার্মান ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে 'দ্য ল্যান্ড অব গ্রিন প্লাম্‌স্' নামে। ম্যুলারের এই উপন্যাস নানা কারণেই সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। [...]

এ বছর সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী হেয়ার্টা ম্যুলারের একটি বিখ্যাত উপন্যাস সবুজ কুলের দেশ। গ্রন্থটি জার্মান ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে দ্য ল্যান্ড অব গ্রিন প্লাম্‌স্ নামে। ম্যুলারের এই উপন্যাস নানা কারণেই সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। তাঁর এই উপন্যাসের পাঠোত্তর প্রতিক্রিয়া লিখেছিলেন ল্যারি উল্ফ। উল্ফের সেই নাতিদীর্ঘ সমালোচনার সারাংশ থেকে ম্যুলারের সাহিত্যকীর্তি সম্পর্কে একটা সহজ ধারণা আমরা পেতে পারি। হেয়ার্টা ম্যুলারের এই উপন্যাসটির পটভূমি রচিত হয়েছে রুমানিয়ার বিগত কমিউনিস্ট শাসক নিকোলাই চসেস্কুর শাসনামলে। গ্রামাঞ্চল থেকে আসা দরিদ্র ছাত্রী লোলার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীনিবাসের কক্ষ থেকেই এর কাহিনীর সূত্রপাত। একটি উইমেন ইউনিভার্সিটির রুশ ভাষার ছাত্রী লোলা এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়। লোলা এবং হোস্টেলে তার সহপাঠী রুমমেটরা বালিশের নিচে সাজসজ্জার সরঞ্জাম রাখে অতি গোপনে। চোখ কালো করার মাশকারা লাগিয়ে গোপনে রূপচর্চা করে তারা। লোলার নগরজীবনটা শুরু হয় দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে। শৈশব গ্রামে অতিবাহিত হয়েছে তার। নগরজীবনের জন্য নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুতও করে তোলা হয়নি। তার আগেই তাকে এসে পড়তে হয় দুঃস্বপ্নের নগরীতে। এখানে এসেই মর্মান্তিক যৌন নিপীড়নের শিকার হয় সে। এ ঘটনায় কেউ সাহায্যের হাত বাড়ায় না। বরং তাকে বহিষ্কার করা হয় কমিউনিস্ট পার্টি থেকে। পুরো উপন্যাসটি বয়ান করা হয়েছে লোলারই এক রুমমেটের মুখ দিয়ে। কমিউনিস্ট পার্টি হতে বহিষ্কৃত হবার পর লোলার ওপর নজরদারি চলছিল। সন্দেহের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছিল সে। যার পরিণামে নিজের মাশকারার শিশি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে গিয়েছিল সে। লোলার বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যাবার পর তার রুমমমেট বিছানা উল্টাতে গিয়ে অদ্ভুত এক দৃশ্য দেখতে পায়। সে দেখে বিছানার ঠিক মাঝখানে সেঁটে আছে একটা শূকরের কান। কোনোভাবেই ছাড়ানো যাচ্ছে না কানটাকে। যেন আঠা দিয়ে কেউ লাগিয়ে দিয়েছে। মেয়েটি বুঝতে পারে কানটি এখানেই থাকবে। অন্তত তাদের পাহারা দেওয়ার স্বার্থে। রুমানিয়ার গোপন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সীমাহীন অত্যাচার এভাবেই শূকরের কানের ঘটনার মধ্য দিয়েই প্রকাশ করেছেন হেয়ার্টা ম্যুলার। সবুজ কুলের দেশ সম্পর্কে এককথায় বলতে গেলে একে নিপীড়িতের কবিতা বলাই শ্রেয়। এই কবিতার মধ্য দিয়ে রুমানিয়ার কমিউনিস্ট জমানার আধ্যাত্মিক ও জাগতিক অবস্থার করুণ চিত্র তুলে ধরেছেন লেখক। জীবন সেখানে কেমন নিষ্ঠুর ও কুৎসিত ছিল তা অনুধাবন করানোই ছিল লেখকের লক্ষ্য। বইটি রুমানিয়ার লেখা হলেও প্রকাশিত হয় জার্মানি থেকে।…

ব্রাইটনে লেবার পার্টির কনফারেন্স কাঁপিয়ে গেলেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক। গাজায় যুদ্ধাপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করার আবেদন করেছিলেন ব্রিটেনের কয়েক আইনজীবী। ১৬ জন প্যালেস্টাইনির পক্ষ থেকে এই আইনজীবীরা গত ২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার মামলা করে আবেদন জানিয়েছিলেন, এহুদ বারাকের বিরুদ্ধে আর্ন্তজাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবার জন্যে। হা হতোষ্মী, ওই আবেদন নামঞ্জুর করেছে ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত [...]

ব্রাইটনে লেবার পার্টির কনফারেন্স কাঁপিয়ে গেলেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক। গাজায় যুদ্ধাপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করার আবেদন করেছিলেন ব্রিটেনের কয়েক আইনজীবী। ১৬ জন প্যালেস্টাইনির পক্ষ থেকে এই আইনজীবীরা গত ২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার মামলা করে আবেদন জানিয়েছিলেন, এহুদ বারাকের বিরুদ্ধে আর্ন্তজাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবার জন্যে। হা হতোষ্মী, ওই আবেদন নামঞ্জুর করেছে ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। আমরা জানতে পারছি, বিচারক নাকি তার রায়ে বলেছেন, একটি দেশের ক্ষমতাসীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে এহুদ বারাক যোগ্যতা রাখেন যে-কোনও মামলা থেকে কূটনৈতিক অব্যাহতি পাওয়ার। আসলে বিচারকের হাতে রায়ের এ তূণ তুলে দিয়েছেন ব্রিটেনে বসবাসরত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত রন প্রোসর, ২৯ সেপ্টেম্বর যিনি খুবই তৎপর ছিলেন ব্রিটিশ ফরেন অফিসে এবং বার বার দাবি করছিলেন, মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পৃথিবীর কোথাও কোনও ক্ষমতাসীন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি কিংবা গ্রেফতার করার একটিও দৃষ্টান্ত নেই। রন প্রোসরের ব্যাখায় অথবা চাপে শেষ পর্যন্ত তুষ্ট হয়েছে ব্রিটেনের ফরেন অফিস। মামলার আবেদন নাকচ হয়ে গেছে। সদম্ভে ব্রাইটনে দু’দিন ব্যাপী লেবার পার্টির সম্মেলনে যোগদান শেষে ইসরাইলে ফিরে গেছেন তিনি। ‘লেবার ফ্রেইন্ডস অব ইসরাইলের’ একজন এই এহুদ বারাক, যার পদধূলিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এবং আবারও ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরাইলের প্রতি তার এবং তার দল আগের মতোই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ; ইহদি লবির প্রতি তার আনুগত্য প্রকাশ পেয়েছে এই স্তুতিতে, এলএফআই (লেবার ফ্রেইন্ডস অব ইসরাইল) ব্রিটেনের সবচেয়ে সফল ক্যাম্পেইনিং সংগঠনগুলির অন্যতম। এখানেই শেষ নয়, ‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই, চ্যালায় ধরে গামছা’, ওই ‘গামছা’ ধরেছেন ফরেইন অফিস মিনিস্টার ইভান লুইস, এই সজ্জন ব্যক্তিটি বলেছেন, ওই সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী একেবারে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে কথা বলেছেন! অথচ দিনের শুরুতেও ২৯ সেপ্টেম্বর আমাদের জানা ছিল, এহুদ বারাকের এই সফর কূটনৈতিক নয়, ডিপ্লোম্যাটিক ইম্যুনিটি নেই তার এবং তাই তিনি ব্রিটিশ আইনের আওতায় পড়বেন এই সফরকালে। কিন্তু মামলার রায় ঝুলিয়ে রাখা হয় এবং সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জানানো হয়, তার এ সফরের কূটনৈতিক পরিসর রয়েছে! ব্রিটেনে একটি আইন আছে, যে-আইনের বলে এখানে অন্য কোনও দেশের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগেও যে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করার অধিকার রয়েছে। গাজায় নির্বিচার গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের সাক্ষী ওই ১৬জন প্যালেস্টাইনি নাগরিকের প্রত্যাশা ছিল, এই আইনটির যথাযথ প্রয়োগ ঘটবে এবং…

যেসব গরুকে নাম ধরে ডাকা হয় নামহীন গরুর চাইতে তারা বেশি দুধ দেয় -- এমন গবেষণা উপস্থাপন করে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের ক্যাথরিন ডগলাস এবং পিটার রওলিনসন। কেবল এ দু'জনই নয়, অদ্ভুত সব কাণ্ডকারখানার জন্য দশটি ক্যাটাগরিতে ঘোষিত হয়েছে ২০০৯ সালের নোবেল পুরস্কার। এর মধ্যে মাথা লক্ষ্য করে নয় বরং মাথার ওপর দিয়ে বোতল ছুঁড়ে মারার পরামর্শ দেয়ার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার যেমন দেয়া হয়েছে, তেমনি সর্বোচ্চ ৫০টি জরিমানার টিকিট লেখার জন্য দেয়া হয়েছে সাহিত্যে নোবেল। [...]

যেসব গরুকে নাম ধরে ডাকা হয় নামহীন গরুর চাইতে তারা বেশি দুধ দেয় -- এমন গবেষণা উপস্থাপন করে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের ক্যাথরিন ডগলাস এবং পিটার রওলিনসন। কেবল এ দু'জনই নয়, অদ্ভুত সব কাণ্ডকারখানার জন্য দশটি ক্যাটাগরিতে ঘোষিত হয়েছে ২০০৯ সালের নোবেল পুরস্কার। এর মধ্যে মাথা লক্ষ্য করে নয় বরং মাথার ওপর দিয়ে বোতল ছুঁড়ে মারার পরামর্শ দেয়ার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার যেমন দেয়া হয়েছে, তেমনি সর্বোচ্চ ৫০টি জরিমানার টিকিট লেখার জন্য দেয়া হয়েছে সাহিত্যে নোবেল। অবাক হওয়ার মতো খবর হলেও এই ঘটনা পুরোপুরি সত্যি। তবে এই নোবেল পুরস্কার সুইডিশ একাডেমি ঘোষণা করে না। আইজি নোবেল নামের মজার এই পুরস্কার দেয়া হয় একটি বিজ্ঞান বিষয়ক হাসির পত্রিকা এআইআর-এর পক্ষ থেকে। তবে পুরস্কার প্রদানের স্থান যেনতেন নয়। প্রতিবছর অক্টোবর মাসে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার-হলে এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। অভিনব আবিষ্কারকদের হাতে আইজি নোবেল তুলে দেন খ্যাতনামা নোবেল বিজয়ীরা। এই পুরস্কারের মূল স্লোগান হলো : 'প্রথমে মানুষকে হাসতে দিন, তারপর চিন্তা করার সুযোগ দিন'। ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিবছর অক্টোবর মাসে এই পুরস্কার ঘোষিত হয়ে আসছে। পশু চিকিৎসা, শান্তি, জীববিজ্ঞান, চিকিৎসা, অর্থনীতি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, জনস্বাস্থ্য এবং গণিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। আইজি নোবেল -- এই নামের মধ্যেও রয়েছে কৌতুক। আইজি শব্দটি ইংরেজি ignobel শব্দের সংক্ষেপিত রূপ। এর অর্থ হল তলানি বা নিচু। অপরদিকে ডায়নামাইটের আবিষ্কারক এবং নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তক আলফ্রেড নোবেলের নামও এর সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়েছে। ২০০৯ সালে যাঁরা আইজি নোবেল জয় করেছেন নীচে তাঁদের তালিকা ও কীর্তির কথা তুলে ধরা হলো : পশু চিকিৎসা : যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসলের ক্যাথরিন ডগলাস ও পিটার রওলিনসন এই বিভাগে নোবেল পেয়েছেন। তাঁদের গবেষণায় দেখানো হয়েছে : নামওয়ালা গরু নামহীন গরুর চাইতে বেশি দুধ দেয়। শান্তি : সুইজারল্যান্ডের বার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক মাথা লক্ষ্য করে বিয়ারের বোতল না ছুঁড়ে মাথার ওপর দিয়ে ছোঁড়ার পরামর্শ দিয়ে জিতে নিয়েছেন শান্তি পুরস্কার। এঁরা হলেন স্টেফান বোলিগার, স্টিফেন রস, লার্‌স্ ওস্‌টার্‌হেল্‌বেগ, মিশেল থালি এবং বিট কেনুবুয়েল। জীব বিজ্ঞান : জাপানের সাগামিহারায় অবস্থিত কিটাসাতো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিন বিভাগের ফুমিআকি তাগুচি, সং গউফুউ এবং ঝাং গুয়াংলেই জীববিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন। এঁরা…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.