২০১৪এর জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পাকিস্তানকে প্রতিহত করুন, একমাত্র এই পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে। আর কোনো পথের দিশা এই মুহূর্তে খুঁজে বাংলাদেশের কোনো লাভ নেই। [...]

বাংলাদেশি জাতীয়াবাদের ঝাণ্ডা নিয়ে পাকিস্তান কায়েমের লক্ষ্যে বাংলাদেশের একটা বৃহৎ রাজনৈতিক অংশের পদচারণা বাংলাদেশে অক্লান্ত অকপটভাবে চলছে। এই প্রচেষ্টার ৪০ বছর পূর্ণ হবে আগামী ২০১৫ সালের ১৫ই আগস্টে। ২০১৪ সালে এই বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পাকিস্তানকেই কি আবার ক্ষমতায় দেখতে হবে আমাদের? আমরা কি সেভাবেই সবকিছু হতে দেব যেন ২০১৫ সালে তারা তাদের ৪০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান করতে পারে পুরো বাংলাদেশ দাপিয়ে? জাতীয় নির্বাচনের আর ঠিকমতো ছয় মাসও নেই -- আমাদের তো এখনই নির্বাচনের ভাষায় নির্বাচনের প্রচারণাধর্মী কথাবার্তা বলা শুরু করে দেয়া উচিত। এই কাজে আওয়ামী লীগ তো পিছিয়ে পড়েই আছে তাদের অন্তর্কোন্দল আর সাংগঠনিক শৈথিল্যের জগদ্দল পাথর বুকে নিয়ে। কিন্তু আমরা তো বসে থাকতে পারি না। অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের, সাংস্কৃতিক অ্যাকটিভিস্টদের, গণজাগরণমঞ্চের অ্যাকটিভিস্টদের এবং সারা দেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক উদার প্রগতির পথের অ্যাকটিভিস্টদের তো আর এক মুহূর্ত সময়ও নেই বসে থাকার। এবং আওয়ামী লীগকেও এই লক্ষ্যেই পথে নামতে হবে যে তারা বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পাকিস্তান প্রতিহত করবেই। এবং তার নিজের অস্তিত্বের জন্যই তাকে সেটা করতেই হবে। তাকে মনে রাখতে হবে তার সব অপূর্ণতা অসভ্যতা অরাজকতার পরও বাংলাদেশকে বাংলাদেশ রাখার কাজে, বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক উদার প্রগতির পথ রচনার কাজটা এখনো সামনে থেকে তাকেই করতে হচ্ছে এবং আরো কয়েক দশক করতে হবে। শুধু যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকানো নয় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পাকিস্তান বাংলাদেশের সমাজব্যাবস্থারই আমূল পরিবর্তন অব্যাহত রাখবে যেমন ১৯৭৫এর পর থেকে তারা অনবরত তাই করেছে যা যা করে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পাকিস্তান কায়েম করা যাবে। ২০১৪এর জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পাকিস্তানকে প্রতিহত করুন, একমাত্র এই পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে। আর কোনো পথের দিশা এই মুহূর্তে খুঁজে বাংলাদেশের কোনো লাভ নেই।

কিন্তু সমস্ত সমস্যা দেখতাম ওই সোজা পথ ও আত্মসমর্পণ নিয়ে – দেখতাম মানে আজো দেখছি এবং এই সমস্যা পিছু ছাড়ছে না – এই দিকনির্দেশনার মধ্যেই আছে রাজনৈতিক ইসলাম অথবা ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার। [...]

সোজা পথ। আত্নসমর্পণ। মানুষের জীবনের লক্ষ্য নিয়ে ইসলামের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনার পাশাপাশি আছে সাক্ষ্য, প্রার্থনা, দান, সংযম, বিসর্জন ও তীর্থ সম্মেলন। ছোটোবেলা থেকেই দেখছি – সাক্ষ্য, প্রার্থনা, দান, সংযম, বিসর্জন ও তীর্থ সম্মেলন নিয়ে তেমন সমস্যার কোনো কিছু নেই। এসব পালনীয় ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট করণকৌশল ও আচরণবিধি আছে এবং হুজুরদের সাথে সাধারণ মুসলমানের এসব নিয়ে তেমন কোনো তুলকালাম ব্যাপারস্যাপার নেই বললেই চলে – বরং এগুলোই সমাজে হুজুর ও সাধারণ মুসলমানদের ধর্মীয় সম্পর্কের মূলভিত্তি। কিন্তু সমস্ত সমস্যা দেখতাম ওই সোজা পথ ও আত্মসমর্পণ নিয়ে – দেখতাম মানে আজো দেখছি এবং এই সমস্যা পিছু ছাড়ছে না – এই দিকনির্দেশনার মধ্যেই আছে রাজনৈতিক ইসলাম অথবা ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার। কোনটা সোজা পথ? কিভাবে চলতে হয় এই সোজা পথ ধরে? কার জন্য কোনটা সোজা পথ? আত্মসমর্পণ কার কাছে? কার আত্মসমর্পণ? কতভাবে আত্মসমর্পণ? কত মাত্রার আত্মসমর্পণ? রাজনৈতিক ইসলাম চায় নিজের রাজনৈতিক জয় এবং তার জয়লাভের মাধ্যমই হবে এটি প্রচার করা যে একটি ইসলামি রাষ্ট্র পেলেই সোজা পথ হাসিল হবে এবং একটি ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম হলে সেই রাষ্ট্রের কাছে সবার আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে সবার জীবনের লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে। অর্থাৎ একটা সর্বব্যাপী অনুশাসন কায়েম হবে – সেই অনুশাসনের রক্ষণাবেক্ষণে প্রজন্মের পর প্রজন্ম রাজনৈতিক মুক্তি পাবে। কিন্তু সাধারণ মুসলমানরা কি রাজনৈতিক ইসলামের এই সোজা পথ ও আত্মসমর্পণের সূত্র মানে? রাজনৈতিক ইসলাম বাংলাদেশে এখনো শতকরা ৪ – ৭ ভাগের বেশি ভোট পায় না। কাজেই আমরা তো সহজেই বলতে পারি বাংলাদেশের মুসলামনেরা সাক্ষ্য, প্রার্থনা, দান, সংযম, বিসর্জন ও তীর্থ সম্মেলনে পরিবেষ্টিত (যদিও সেখানে উল্লেখযোগ্য হারে অনাচরণীয় মুসলমান বিদ্যমান) এবং তারা সোজা পথ ও আত্মসমর্পণের রাজনৈতিক ইসলামের সূত্র মানে না। কিন্তু না, ২৬শে মে ২০১৩ আইসিএসএফ আয়োজিত ‘ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশে রাজনৈতিক ইসলাম’ শীর্ষক সেমিনারের প্রথম পর্বের আলোচক হাসান মাহমুদের একটা বাস্তব আর্তি আমরা যারা কোটি কোটি লোক ধর্মে বিশ্বাস করি। আমরা মানুষ হিসাবে দুর্বল। ষড়রিপুর তাড়নায় আমরা তাড়িত, আমরা ভুল করতে পারি শুনে আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম। আমার মনে হল এই কোটি কোটি মানুষ সোজা পথ ও আত্মসমর্পণ নিয়ে তাহলে এভাবেই বিজড়িত। তাহলে এই কোটি কোটি মানুষের শতকরা ৬৫ ভাগ মনে করে…

আমাকে এখন একটু মরতে দিন। [...]

আমি যে বেঁচে আছি এটা আমার সমস্যা নয় অমরত্বের সমস্যা। আমি মরতেই চেয়েছিলাম কিন্তু আমাকে টেনে টেনে আত্মার সূত্র ধরে ক্লান্তিহীন ভাবে চারিদিকে একাকার করে রাখা হল। এতে কার লাভ হল কার ক্ষতি হল এপ্রশ্ন তোলার কোনো অধিকার আজ আমার নেই, আর আমার নিজের কী লাভ হল কী ক্ষতি হল এপ্রশ্ন তোলার মতো বোধবুদ্ধি তো আজ আমার অবশিষ্ট থাকার কথা নয়। এটি একটি চরম বিপর্যয় কথা নেই বার্তা নেই সময় নেই অসময় নেই যখন যার যেখানে ইচ্ছে আমাকে স্রেফ নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমি কে? এপ্রশ্নটাই আজ পৃথিবীর সবচেয়ে অবান্তর প্রশ্নে পরিণত হয়েছে। ইংরেজের স্কুল ছেড়েছিলাম খুব সহজ কারণে, কারণ এটা আমার কাছে জলের মতো পরিস্কার ছিল ঠাকুরবাড়ির স্কুলটাই আমাকে গড়ে তুলবে, ঠাকুরবাড়ির স্কুলটাতেই আমার স্ফূর্তি আর আমি যা যা পড়তে চেয়েছি শিখতে চেয়েছি ঠাকুরবাড়ির স্কুলটাতেই তার অপূরণীয় সনিদর্শন ব্যবস্থা ছিল। অনেকে শান্তিনিকেতন নিয়ে মহাতোড়জোড়ে আমাকে গুরুদেব পর্যায়ে পর্যবসিত করে – সেই আমাকে ভুল বিবেচনার শুরু, শান্তিনিকেতন, কোনো কারণ ছাড়াই ঠাকুরবাড়ির স্কুলটারই অধিকতর সম্প্রসারণ, নিজের পড়াশুনার ধরনটাকেই অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার

চেষ্টা, তাকে একটা জনহিতকর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা – সেই হিতকরতা আরো দূরে ছড়াল না, কেউ একে মডেল ধরে এগিয়ে গেল না – ওই শান্তিনিকেতন শান্তিনেকেতন হয়েই পড়ে রইল – আমিও ওই গুরুদেব পর্যন্ত উঠে নির্বাসিত হলাম। স্বাধীনতার কথা বলব না। ওই পথে বাংলার পরিবার থেকেই মানা। আমরা সেই মানাকে আজো রদ করতেই পারলাম না। জীবনের কাছে যতদিন ছিলাম জীবনটাকে নিংড়ে নিঃশেষ করে সৃষ্টির কাজে নিজেকে রাখতে পেরেছি সেটাই সার্থকতা – যদিও ওই সার্থকতা সম্পূর্ণ বিফলও হতে পারত। কারণ জীবনের ধরনটাই এমন, কখনো হাজার চেয়েও হাজার তাকিয়ে থেকেও নির্বিকল্প পথে হেঁটেও প্রাচীন বৈরিতার দেয়ালের অমোঘতার কাছে জীবনকে লাঞ্চিত হতে হয়। আমাকে এখন একটু মরতে দিন। ও, অমরত্ব। ও, পাঠক। ও, শিল্পী। ও, গায়ক। ও, কর্মবীর। ও, নায়ক। ও, রাজা। আমাকে একটু মরতে দেবেন? আরো গোপন ডায়েরি : আসব আগের দিন আজ যাই : মনমোহন সিংয়ের গোপন ডায়েরি পুতুল প্রতিভা : মওদুদ আহমেদের গোপন ডায়েরি চাণক্য নই : প্রণব মুখার্জির গোপন ডায়েরি কই মাছের প্রাণ : এরশাদের গোপন ডায়েরি এক বিয়োগ…

আমাদের সাবধান হতে হবে। চট্টগ্রাম বিভাগের যেকোনো বিষয়ে প্রতিটি পদক্ষেপের সামরিক রাজনৈতিক বিশ্লেষণ এখন করতে হবে সর্বোচ্চ দক্ষতায়। নজদারি বাড়াতে হবে পার্বত্য চট্টগ্রামের নাজুক এলাকায়, বৃহত্তর কক্সবাজারে, চট্টগ্রাম বন্দরে ও ‘সমুদ্রবিজয়’ খ্যাত সামুদ্রিক সীমান্তে। [...]

যা লংমার্চ দিয়ে শুরু হয়েছে তা মুক্তাঞ্চলে রূপ নিতে পারে। এবং বাংলাদেশে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ সন্ত্রাসের জন্ম দিতে পারে। এবং কোন অঞ্চল থেকে? বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল কোনটি? – চট্টগ্রাম বিভাগ, নিঃসন্দেহে এবং বিচ্ছিনতাবাদী সন্ত্রাসের শুরু এখান থেকেই শুরু করা হবে, লংমার্চ করে ফেলা গেছে, এখন দরকার একটা মুক্তাঞ্চল সৃষ্টি – সেমহড়া রামুতে পটিয়াতে সাতকানিয়াতে বাঁশখালীতে ফটিকছড়িতে হয়েছে, সেমহড়া সফলতার লক্ষ্যে চলতে থাকবে। এই যে সম্ভাব্য বিচ্ছিন্নতার কৌশল নিয়ে ভাবছি এরই মাটি তৈরি করবে ইসলামি মাওবাদ। এদের সবচেয়ে বড় পৃষ্টপোষক হয়ে উঠতে পারে বার্মার মাদকসম্রাটেরা এবং বার্মার সামরিক গোয়েন্দারা। আমাদের সাবধান হতে হবে। চট্টগ্রাম বিভাগের যেকোনো বিষয়ে প্রতিটি পদক্ষেপের সামরিক রাজনৈতিক বিশ্লেষণ এখন করতে হবে সর্বোচ্চ দক্ষতায়। নজদারি বাড়াতে হবে পার্বত্য চট্টগ্রামের নাজুক এলাকায়, বৃহত্তর কক্সবাজারে, চট্টগ্রাম বন্দরে ও ‘সমুদ্রবিজয়’ খ্যাত সামুদ্রিক সীমান্তে। বাংলাদেশের এখন সবচেয়ে বড় স্ট্র্যাটেজিক আদান-প্রদান করতে হবে ভারত ও থাইল্যান্ডের সাথে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে এবং আমেরিকা ও রাশিয়ার সাথে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। চীনের সাথে এখন ব্যবসায়িক গুরুত্বপূর্ণতম অংশীদারি ভিত্তি গড়ে তুলতে হবে, এখনই চীনের সাথে স্ট্র্যাটেজিক আলোচনা নয়, তার চেয়ে জাপানের সাথে সেটা করা যেতে পারে দেশটির সাথে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো অংশীদারীত্বের কারণে। বাংলাদেশকে কোনোভাবেই ‘ইসলামি’ তকমায় দ্বীন = রাষ্ট্র করে তোলা যাবে না। ইসলামি মাওবাদের সেটাই লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একাধিক মুক্তাঞ্চল সৃষ্টি করতে পারলেই এই শক্তি চট্টগ্রাম বিভাগকে বিচ্ছিন্ন করতে মূল বিচ্ছিন্নতাবাদী সংকল্পে ঝাঁপিয়ে পড়বে। এতে সবচেয়ে লাভবান হবে বার্মার মাদকসম্রাটেরা এবং অবশ্যই বার্মার ‘চীনমুখী’ সংখ্যাগরিষ্ঠ সামরিকপ্রশাসন এবং বার্মার ভিক্ষুসাম্রাজ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কাজ এখানেই সবচেয়ে বেশি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে হাসিনাকে নিতে হবে চট্টগ্রাম বিভাগের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও বেশি ভূমিকা। চট্টগ্রাম বিভাগে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অবস্থানটা খুবই নড়বড়ে। চট্টগ্রামের কোনো আওয়ামী নেতাই কেন্দ্রে প্রভাবশালী নন, হাছান মাহমুদ বড় মন্ত্রীত্ব ও বড় দলীয় পদ পেলেও চট্টগ্রামের রাজনীতিতে ‘মহিউদ্দীন বৈরিতা’য় খুবই নাজুক। ওবায়দুল কাদেরকে ঘিরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় রাজনীতির একটা বলিষ্ঠ রূপরেখা তৈরি করার কাজ খুব দ্রুতই সম্পন্ন করা প্রয়োজন, যাতে জোট শরিক মহিউদ্দিন খান বাদল ও চট্টগ্রামের চব্বিশ ঘন্টার রাজনীতিবিদ ও চট্টগ্রাম বিশেষজ্ঞ মহিউদ্দিন চৌধুরী যতদিন সক্রিয় রাজনীতিতে আছেন তার নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকান্ডগুলোকে বলয়ায়িত করে শক্তির দিকগুলোকে…

উদার জাতীয়তাবাদী, উদার ধর্মবিশ্বাসী, উদার উন্নয়নকর্মী, উদার গণমাধ্যমকর্মী, উদার বাম, উদার সাংস্কৃতিককর্মী – রক্ষণশীল ও গড্ডল মধ্যপন্থীদের মধ্যের উদারতান্ত্রিকদের পেলে তো আরো ভাল, না পেলে তাদের ছাড়াই একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ এখন খুবই জরুরি। [...]

এবং খুব দ্রুত, এমাসে দলের নাম গঠনতন্ত্র নিয়ে কাজ গুছিয়ে মে মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হোক। বাংলাদেশের উদারতান্ত্রিকতার একটা রাজনৈতিক পরিচয়ের শক্তিসঞ্চয় খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। উদার জাতীয়তাবাদী, উদার ধর্মবিশ্বাসী, উদার উন্নয়নকর্মী, উদার গণমাধ্যমকর্মী, উদার বাম, উদার সাংস্কৃতিককর্মী – রক্ষণশীল ও গড্ডল মধ্যপন্থীদের মধ্যের উদারতান্ত্রিকদের পেলে তো আরো ভাল, না পেলে তাদের ছাড়াই একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ এখন খুবই জরুরি। গণজাগরণ শুধু ‘মটিভেশন’ ‘প্রেসার গ্রুপ’ এসব কাজ করে বেশি দূর যেতে পারবে না এটা ঠিক নয় – যেতে ঠিকই পারবে। কিন্তু এটা কি আরো ভাল নয় নিজেদের কাজের মূল্যায়ন নিজেরা করার রাজনৈতিক শক্তি অর্জনের চেষ্টা করা? কারণ রাজনৈতিক শক্তি অর্জনের সত্যিকারের চেষ্টা একটা এমন প্রক্রিয়া যা বহুবর্ষব্যাপী মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে স্বতঃজাগ্রত রাখতে সবচেয়ে সাবলীল সংগ্রামী সংঘবদ্ধতা। এবং এর কোনো বিকল্প নেই। অনেক দূর হাঁটার মানসিক শক্তির সম্মিলন হলে গণজাগরণকে প্রজন্মের দাবিকে নিজেদের রক্ষাকবচ ধরে নিয়ে রাজনৈতিক শক্তির পথে বেরিয়ে পড়াটাই হবে আজকের স্বরাজ। আশু লক্ষ্য হবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৫ থেকে ১০ ভাগ ভোট নিজেদের করায়ত্ত করার কঠিন রাজনৈতিক সংকল্পে নিজেদের শ্রেষ্ঠ সময়ের সাধ্যের সমস্ত পরিশ্রম নিংড়ে দেয়া। এবং সেটা সংকল্পবদ্ধ হলে করা সম্ভব। প্রাণ দেয়ার প্রয়োজন নেই সাধ্যের সবটুকু উজাড় করে দিলে সংঘবদ্ধতায় কঠিন থাকলে এরকম একটি রাজনৈতিক দল আমরা পেতেই পারি, যার হাতের শক্তি সঞ্চয়ে উদারতান্ত্রিকতার মুক্তিসংগ্রামের বাঙালির আন্তঃধর্মের সকল-জনজাতির বাংলাদেশ নির্ভয়ে মুক্তপথের পথিক হতে পারবে।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.