ইসলামি মাওবাদকে উড়িয়ে দেবেন না, অঙ্কুরে বিনষ্ট করুন

আমাদের সাবধান হতে হবে। চট্টগ্রাম বিভাগের যেকোনো বিষয়ে প্রতিটি পদক্ষেপের সামরিক রাজনৈতিক বিশ্লেষণ এখন করতে হবে সর্বোচ্চ দক্ষতায়। নজদারি বাড়াতে হবে পার্বত্য চট্টগ্রামের নাজুক এলাকায়, বৃহত্তর কক্সবাজারে, চট্টগ্রাম বন্দরে ও ‘সমুদ্রবিজয়’ খ্যাত সামুদ্রিক সীমান্তে। [...]

যা লংমার্চ দিয়ে শুরু হয়েছে তা মুক্তাঞ্চলে রূপ নিতে পারে। এবং বাংলাদেশে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ সন্ত্রাসের জন্ম দিতে পারে। এবং কোন অঞ্চল থেকে? বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল কোনটি? – চট্টগ্রাম বিভাগ, নিঃসন্দেহে এবং বিচ্ছিনতাবাদী সন্ত্রাসের শুরু এখান থেকেই শুরু করা হবে, লংমার্চ করে ফেলা গেছে, এখন দরকার একটা মুক্তাঞ্চল সৃষ্টি – সেমহড়া রামুতে পটিয়াতে সাতকানিয়াতে বাঁশখালীতে ফটিকছড়িতে হয়েছে, সেমহড়া সফলতার লক্ষ্যে চলতে থাকবে।

এই যে সম্ভাব্য বিচ্ছিন্নতার কৌশল নিয়ে ভাবছি এরই মাটি তৈরি করবে ইসলামি মাওবাদ। এদের সবচেয়ে বড় পৃষ্টপোষক হয়ে উঠতে পারে বার্মার মাদকসম্রাটেরা এবং বার্মার সামরিক গোয়েন্দারা। আমাদের সাবধান হতে হবে। চট্টগ্রাম বিভাগের যেকোনো বিষয়ে প্রতিটি পদক্ষেপের সামরিক রাজনৈতিক বিশ্লেষণ এখন করতে হবে সর্বোচ্চ দক্ষতায়। নজদারি বাড়াতে হবে পার্বত্য চট্টগ্রামের নাজুক এলাকায়, বৃহত্তর কক্সবাজারে, চট্টগ্রাম বন্দরে ও ‘সমুদ্রবিজয়’ খ্যাত সামুদ্রিক সীমান্তে।

বাংলাদেশের এখন সবচেয়ে বড় স্ট্র্যাটেজিক আদান-প্রদান করতে হবে ভারত ও থাইল্যান্ডের সাথে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে এবং আমেরিকা ও রাশিয়ার সাথে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। চীনের সাথে এখন ব্যবসায়িক গুরুত্বপূর্ণতম অংশীদারি ভিত্তি গড়ে তুলতে হবে, এখনই চীনের সাথে স্ট্র্যাটেজিক আলোচনা নয়, তার চেয়ে জাপানের সাথে সেটা করা যেতে পারে দেশটির সাথে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো অংশীদারীত্বের কারণে।

বাংলাদেশকে কোনোভাবেই ‘ইসলামি’ তকমায় দ্বীন = রাষ্ট্র করে তোলা যাবে না। ইসলামি মাওবাদের সেটাই লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একাধিক মুক্তাঞ্চল সৃষ্টি করতে পারলেই এই শক্তি চট্টগ্রাম বিভাগকে বিচ্ছিন্ন করতে মূল বিচ্ছিন্নতাবাদী সংকল্পে ঝাঁপিয়ে পড়বে। এতে সবচেয়ে লাভবান হবে বার্মার মাদকসম্রাটেরা এবং অবশ্যই বার্মার ‘চীনমুখী’ সংখ্যাগরিষ্ঠ সামরিকপ্রশাসন এবং বার্মার ভিক্ষুসাম্রাজ্য।

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কাজ এখানেই সবচেয়ে বেশি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে হাসিনাকে নিতে হবে চট্টগ্রাম বিভাগের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও বেশি ভূমিকা। চট্টগ্রাম বিভাগে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অবস্থানটা খুবই নড়বড়ে। চট্টগ্রামের কোনো আওয়ামী নেতাই কেন্দ্রে প্রভাবশালী নন, হাছান মাহমুদ বড় মন্ত্রীত্ব ও বড় দলীয় পদ পেলেও চট্টগ্রামের রাজনীতিতে ‘মহিউদ্দীন বৈরিতা’য় খুবই নাজুক। ওবায়দুল কাদেরকে ঘিরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় রাজনীতির একটা বলিষ্ঠ রূপরেখা তৈরি করার কাজ খুব দ্রুতই সম্পন্ন করা প্রয়োজন, যাতে জোট শরিক মহিউদ্দিন খান বাদল ও চট্টগ্রামের চব্বিশ ঘন্টার রাজনীতিবিদ ও চট্টগ্রাম বিশেষজ্ঞ মহিউদ্দিন চৌধুরী যতদিন সক্রিয় রাজনীতিতে আছেন তার নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকান্ডগুলোকে বলয়ায়িত করে শক্তির দিকগুলোকে ব্যবহার করা যায় সেই লক্ষ্যে চট্টগ্রামের নতুন রাজনীতিবিদদের একটা ‘প্রেসার গ্রুপ’ গড়ে দেয়া খুবই প্রয়োজন। এভাবেই চট্টগ্রাম বিভাগে আধিপত্য ধরে রাখা বিএনপির শক্তিবলয়কে ঠেলে কোনঠাসা করা যাবে, এবং সেটা করতে পারলেই ইসলামি মাওবাদকে একবারে শুরুতেই ঠেসে ধরা যাবে।

প্রতিরক্ষা নিয়ে গভীর মনোযোগ ও অবলোকন এবং রাজনীতির শক্তিবলয় গড়তে আগামী কয়েক মাসের পরিশ্রমই এখন সরকারের প্রধানততম কাজ হওয়া উচিত চট্টগ্রাম বিভাগে। এখানেই ইসলামি মাওবাদকে পর্যবসিত করে দিতে পারলে সারা দেশের জন্য একটা বড় অর্জন হয়ে উঠবে এই শিক্ষা এবং তখন যেকোনো বিচ্ছিন্নতাবাদের মোকাবেলা রাষ্ট্র আরো ভাল ভাবে করতে পারবে আরো দক্ষতার উপকরণ তার অভিজ্ঞতায় যুক্ত হবে।

মাসুদ করিম

লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।

১২ comments

  1. রায়হান রশিদ - ১৩ এপ্রিল ২০১৩ (৮:০৩ পূর্বাহ্ণ)

    মাসুদ ভাইয়ের এই লেখাটা সরকারকে পড়ানো গেলে হতো।

  2. আঃ হাকিম চাকলাদার - ২০ এপ্রিল ২০১৩ (৫:১৯ পূর্বাহ্ণ)

    “যা লংমার্চ দিয়ে শুরু হয়েছে তা মুক্তাঞ্চলে রূপ নিতে পারে। এবং বাংলাদেশে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ সন্ত্রাসের জন্ম দিতে পারে। এবং কোন অঞ্চল থেকে? বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল কোনটি? – চট্টগ্রাম বিভাগ, নিঃসন্দেহে এবং বিচ্ছিনতাবাদী সন্ত্রাসের শুরু এখান থেকেই শুরু করা হবে, লংমার্চ করে ফেলা গেছে, এখন দরকার একটা মুক্তাঞ্চল সৃষ্টি – সেমহড়া রামুতে পটিয়াতে সাতকানিয়াতে বাঁশখালীতে ফটিকছড়িতে হয়েছে, সেমহড়া সফলতার লক্ষ্যে চলতে থাকবে।”

    সহমত।

  3. মাসুদ করিম - ৫ আগস্ট ২০১৩ (২:৫৬ অপরাহ্ণ)

    এই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সাথেই খুব স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে হেফাজতের, নিঃসন্দেহে।

  4. মাসুদ করিম - ১৬ আগস্ট ২০১৩ (৯:১০ অপরাহ্ণ)

    মিয়ানমারে তালেবান আস্তানায় ‘জঙ্গি প্রশিক্ষণ’

    পাকিস্তানি তালেবান উগ্রপন্থী মুসলমানদের সংগঠিত করে এ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে ওই ফোরাম জানিয়েছে। এ জঙ্গি গ্রুপের নাম দেয়া হয়েছে ‘রোহিঙ্গা মুজাহিদিন’।

    ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিডল ইস্ট মিডিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জিহাদ ও সন্ত্রাসবাদ হুমকি পর্যবেক্ষণকারী ইউনিটের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) এ তথ্য জানিয়েছে।

    তারা বলছে, গত ১২ জুলাই বাব-এ-ইসলাম জিহাদি ইন্টারনেট ফোরাম ওই সব আলোকচিত্র প্রকাশ করে। তাদের আলোকচিত্রে দেখা যায়, পাকিস্তানি তালেবানের গড়ে তোলা জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা মিয়ানমারের কোনো একটি জায়গায় সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।

    আরাহমাহ ডটকমের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই ইন্টারনেট ফোরামের একটি ছবিতে দেখা যায়, জঙ্গি প্রশিক্ষণার্থীরা নামাজ পড়ছেন।

    বাব-এ-ইসলাম জিহাদি ইন্টারনেট ফোরামের উর্দু ভাষায় দেয়া একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করে মিডল ইস্ট মিডিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট জানায়, কমান্ডার আবু সুফিয়া ও আবু আরিফের নেতৃত্বে নতুন এই জিহাদি বাহিনী মিয়ানমারে প্রবেশ করেছে।

    “তারা সম্প্রতি মিয়ানমারের দুটি সামরিক যান ধ্বংস করেছে এবং ১৭ জন সৈন্যকে হত্যা করেছে। এছাড়া তারা তিন জন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর শিরচ্ছেদ করেছে, যারা মুসলিম হত্যায় জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। নিহতদের মধ্যে একজন ধর্মগুরুও রয়েছেন।”

    গত বছর মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের শিকার হয় মুসলিম রোহিঙ্গারা। সে সময় সহিংসতায় কয়েকশ’ রোহিঙ্গার প্রাণহানির পাশাপাশি কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন হয়।

    ইন্টারনেটে প্রকাশিত আলোকচিত্রে দেখা হয়, এক থেকে দুইশ’র মতো রোহিঙ্গা মুজাহিদিন সামরিক পোশাকে গুলি চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

    ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বাব-এ-ইসলামের মাধ্যমে মূলত আনসারুল্লাহ জিহাদি ফোরাম উর্দু ভাষায় ইন্টারনেটে কার্যক্রম পরিচালনা করে।

  5. মাসুদ করিম - ২৮ আগস্ট ২০১৩ (১:৪৫ পূর্বাহ্ণ)

    মুক্তাঞ্চল ঘোষণার পরিকল্পনা আনসারুল্লা’র

    আনসারুল্লাহ বাংলাটিম সকল জঙ্গি সংগঠনের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে। বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের জঙ্গিরা আনসারুল্লাহর নাম ধারণ করে সামরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। পাহাড়ি এবং নির্জন এলাকায় তাদের প্রশিক্ষণও হয়।

    এদের লক্ষ্য দেশের কোন এক এলাকাকে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করে সশস্ত্র অবস্থান নেয়া। আর এর সমন্বয়ক ছিলেন পুলিশের হাতে আটক জসিমউদ্দীন রাহমানি। সামরিক কমান্ডার হিসেবে রয়েছেন সেনাবাহিনীর থেকে চাকরিচ্যুত পলাতক মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক। অর্থসংগ্রাহক ছিলেন পাকিস্থানে বসবাসরত বাংলাদেশি ইজাজ হোসেন।

    মধ্যপ্রাচ্য, পাকিস্তান এবং আল কায়দার পাঠানো অর্থ সে দেশে জসিমউদ্দীন রাহমানীর নিকট পাঠাতো। আর এই অর্থেই পরিচালিত হতো সংগঠনটি।

    গোয়েন্দা সংস্থা থেকে এসব তথ্য জানা থেকে গেছে।

    গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, টিএফআই সেল (টাস্ক ফোর্স ইন্টারগেশন সেল) এ জিজ্ঞাসাবাদে আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রধান ও আধ্যাত্মিক নেতা জসীমইদ্দীন রাহমানী জানিয়েছেন পলাতক মেজর জিয়া দেশেই রয়েছেন। আর তাকে আটক করতে চলছে অভিযান।

    মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তাঞ্চল গঠন করার লক্ষ্য থাকলেও তারা এখন পর্যন্ত সেই শক্তি অর্জন করতে পারেনি। তারা প্রাথমিকভাবে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।

    থানা বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা করে তাদের অস্ত্র লুট করে নিজেরা ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল।

    তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানে বসবাসরত বাংলাদেশি ইজাজ হোসেন জঙ্গি গ্রুপের অর্থ সহায়তা করতো। সে আল কায়দা, মধ্যপ্রাচ্য ও পাকিস্তান থেকে অর্থ সংগ্রহ করে এই সংগঠনের পেছনে ব্যয় করতো।

    গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাতে তিনি বলেন, ‘টিএফআই সেলে জিজ্ঞাসাবাদে জসীম উদ্দীন রাহমানী গোয়েন্দাদের কাছে বলেছেন, তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় বই লিখতেন। আর সেই বই প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা আর জিহাদের উপর জোর দিতেন। বইগুলো পড়ে গত বছর মেজর জিয়া চট্রগ্রামে এসে তার সঙ্গে দেখা করেন।

    ইসলামী শরিয়াহ আইন প্রতিষ্ঠায় তিনিও এক সঙ্গে কাজ করতে চান বলে জানান। এ সময় জঙ্গি সংগঠন জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ, হিযবুত তাহরীরসহ বেশ কিছু ধর্মীয় সংগঠনের নেতারাও ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন পাকিস্থানে পলাতক ইজাজ হোসেনও।

    এ সময় জিয়া সবাইকে বলেন, দেশে ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা ও যারা ইসলামের শত্রু তাদের ধ্বংস করতে জিহাদ ছাড়া আর অন্য কোন উপায় নেই। এ সময় যেহেতু জেএমবি, হরকাতুল জিহাদসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন সরকারের টার্গেটে রয়েছে সেহেতু তাদের চোখ এড়াতে আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের নেতৃত্বে থাকলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়ানো সম্ভব।

    এছাড়াও অস্ত্র প্রশিক্ষণের ব্যাপারে আর্মির লোক হওয়ায় অস্ত্র চালানোয় দক্ষতা থাকায় বিষয়টি তিনি দেখবেন বলেও জানান।

    গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, জিয়ার কথামতো তার কথায় সবাই একমত হয়। প্রাথমিক কাজ হিসেবে তারা সারাদেশে সদস্য সংগ্রহ বাড়ানো, তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করে। বিশেষ করে পাহাড়ি ও নির্জন এলাকায় সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও রয়েছে তাদের। আর্থিক স্বচ্ছল পরিবারের ছাত্র, তরুণ ও যুবকদের দলে ভেড়ানোর ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত ছিলো।

    গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, জিয়ার পরামর্শেই বিশ্বের অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের মতই তারা স্লিপার সেল গঠন করে। যেন এক দল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও অন্যদল সম্পর্কে খোঁজ দিতে না পারে।

    জিজ্ঞাসাবাদে জসিমউদ্দীন রাহমানী গোয়েন্দাদের বলেন, ‘মায়ানমারে আরাকানে দাঙ্গা বাঁধলে আমরা মুসলমানদের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে যাওয়ার বিরোধীতা করেন জিয়া। তিনি মতামত দেন, আমাদের তেমন অস্ত্র ও টাকা পয়সা নেই। এখনো সেই রকম সাংগঠনিক শক্তিও হয় নি। আমরা সেখানে যাব না। আমাদের আর কিছুদিন পর শক্তি পুরোপুরি অর্জন হলে দেশের কোন এক এলাকাকে আমাদে নিজের এলাকা ‘মুক্তাঞ্চল’ গঠন করবো। এরপর আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী একেক অপারেশন শুরু করা হবে।

    জিয়ার এমন সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিতে পারিনি। আমরা যাওয়ার সিদ্ধান্তে ছিলাম। এ নিয়ে তার সঙ্গে কিছু মনমালিন্য হয়। তারপর থেকে আমাদের যোগাযোগ কিছুটা কম হয়। এরপর আমরা মোহাম্মদপুরের মসজিদে কার্যক্রম শুরু করি। পাশাপাশি দেশের প্রতিটি অঞ্চলে মসজিদ মাদ্রাসায় ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কাজ শুরু করি।”

    গোয়েন্দা সূত্র জানায়, এ কাজে অর্থ সহায়তা দিতো পাকিস্তানে থাকা ইজাজ হোসেন। আর ট্রেনিং বিষয়টি দেখতো জিয়া। ইজাজ মাঝে মধ্যেই পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আসতো। বাংলাদেশে এসে প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতো।

    গোয়েন্দারা বলেন, শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ চলাকালীন সময়ে ব্লগারদের ভূমিকা নিয়ে বৈঠক করে আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের আধ্যাত্মিক নেতা আটক জসিমসহ প্রথমসারীর কয়েকজন নেতা। ব্লগারদের নাস্তিক আখ্যা দিয়ে আনসারুল্লার ৪ ধারা (দাওয়া, ইদাদ, রিবাত এবং কিতাল) সর্বশেষ ধারা কিতাল অনুযায়ী তাদেরকে হত্যার সিদ্ধান্ত হয়। সেই অনুযায়ী এক স্লিপার সেলকে দায়িত্ব দেয়া হয়। আর সেই স্লিপার সেল ব্লগার রাজিব কে হত্যা করে। আসিফ মহিউদ্দীনকে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা আক্রমণ করে। কিন্তু সে প্রাণে রক্ষা পায়। এছাড়া মিরপুরে একজন ও বুয়েটের ছাত্র আরিফ রায়হান দ্বীপকে হত্যা করে। প্রত্যেকটি ঘটনাতেই পৃথক স্লিপার সেল দায়িত্ব পালন করে। হত্যার একটি তালিকাও (হিটলিস্ট) তারা তৈরি করে। বর্তমানে তাদের সংগঠনের যে ধারা সকল ধারাতেই ধাপের সদস্য রয়েছে।

    গোয়েন্দারা বলেন, আনসারুল্লাহ বাংলাটিম দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে সকল জঙ্গিদের মুখপাত্র হয়ে কাজ করছিল। তাদের সঙ্গে হুজি, জেএমবি, হিযবুত তাহরীর ছাড়াও খতমে নবুয়ত আন্দোলন, জামিউতুল ফালাহ, ইসলামিক সলিডারিটি ফ্রন্ট, আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন, আরাকান পিপলস আর্মি, আরাকান মুজাহিদ পার্টি, মিয়ানমার লিবারেশন ফোর্স, রোহিঙ্গা লিবারেশন ফোর্স, রোহিঙ্গা ইনডিপেন্ডেন্স পার্টি, রোহিঙ্গা প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্ট, মুসলিম মিল্লাত, আল হারাত-আল-ইসলামিয়া, ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ফ্রন্ট, তৌহিদি জনতা, জুমাআতুল আল সাদাত, তামির উদ্বীন বাংলাদেশ, জামাত-আস-সাদাত, আল খিদমত, হিজবুল মাহদি, হিজবুল্লাহ ইসলামী সমাজ, দাওয়াতি কাফেলা, বাংলাদেশ এন্টি টেররিস্ট পার্র্টি, আল মারকাজুল আল ইসলামী, আল ইসলাম মাটর্নেস ব্রিগেড, সত্যবাদ, মুসলিম মিল্লাত, শরিয়া কাউন্সিল, তাজির বাংলাদেশ, হায়াতুর ইলাহা, ফোরকান মুভমেন্ট, জামিউতুল এহজিয়া এরতাজ, আনজুমানে তালামিজ ইসলামিয়া, কলেমার জামাত, তাজির বাংলাদেশ, সাহাবা পরিষদ, কাতেল বাহিনী, মুজাহিদিন-ই-তাজিম, এশার বাহিনী, আল ফাহাদ, হরকাতুল মুজাহিদিন ও জাদিদ আল কায়দা কাজ করছে। এ সকল সংগঠনের অনেক নেতাই চট্রগ্রামের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। কয়েকটি রাজনৈতিক দলও মদদ দিচ্ছে।

    গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে বলেন, ‘জসিমউদ্দীন রাহমানির দেয়া তথ্যে জিয়া এখন দেশে রয়েছেন এমন তথ্যের পর গোয়েন্দা পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। এরইমধ্যে চট্রগ্রামসহ কয়েক জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি জঙ্গি এই সংগঠনের কর্মীদের গ্রেফতারে মাঠে কাজ করছে গোয়েন্দারা।

    এদিকে আনসারুল্লাহ’র আটক ৯ সদস্যকে রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনের মত জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সহকারী কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আটক সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পাশাপাশি অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

  6. Pingback: আমার মেমো ৪ : হিলারি আসিবার পূর্বে সন্ত্রাসবাদ মারিয়া ফেলুন | মাসুদ করিম

  7. মাসুদ করিম - ৪ মার্চ ২০১৪ (১১:৩২ পূর্বাহ্ণ)

    বাংলাদেশের এখন সবচেয়ে বড় স্ট্র্যাটেজিক আদান-প্রদান করতে হবে ভারত ও থাইল্যান্ডের সাথে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে

  8. মাসুদ করিম - ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ (১২:৪৫ অপরাহ্ণ)

  9. মাসুদ করিম - ২৪ মার্চ ২০১৫ (৮:৫৯ অপরাহ্ণ)

    JMB man reveals plan for Islamic Bangladesh by 2020

    Based on interrogation of a militant commander, law enforcers reveal that militant groups are working in concert to establish a Sharia-based state with the help of international terrorist group Islamic State.

    The police arrested a regional commander of banned Islamist outfit Jama’atul Mujahideen Bangladesh yesterday and made the statement after initial questioning.

    Their aim is to turn Bangladesh into a model Islamic country by 2020 incorporating parts of India and Myanmar with it, said the police. A new umbrella of militants named “International Lions Force of Hindustan” has also been working to turn the three neighbouring countries into one unified Islamic state in the long run.

    A four-member delegation of the IS from Syria visited Chittagong in October last year and sat with the top leaders of banned Islamist outfits JMB, Huji and Hizb ut-Tahrir, and the recently-emerged Ansarullah Bangla Team, according to the information given out by the militant commander in custody.

    JMB chief Saidur Rahman, Ansarullah’s Mufti Jashim Uddin Rahmani, and several top leaders of Huji held meetings inside the Kashimpur High Security Jail in September last year and decided to work together as they had the same goal – establishing an Islamic state in Bangladesh, said detectives.

    Members of Chittagong city’s Akbar Shah police yesterday morning arrested Ershad Hossain alias Mamun, 20, of Birol upazila in Dinajpur, at a residence in the city’s New Monsurabad area. Police claim that grenade maker Ershad is the district commander of JMB, banned since 2005.

    During interrogation, Ershad said the JMB members were working jointly with banned Huji and Hizb ut-Tahrir and other extremist groups including Islami Chhatra Shibir.

    Their primary mission is to establish a separate Islamic country comprising Chittagong, Cox’s Bazar, Rangamati, Bandarban, Khagrachhari, and some border areas of India and Myanmar. Later they intend to bring entire Bangladesh under their grip.

    Former Chhatra Shibir leader Ershad told the police that JMB alone has over 1,000 camouflaged members in the district preparing for jihad. Many of them were trained in Pakistan.

    Police say the militant groups are regrouping mainly following the announcements by al-Qaeda leader Ayman al Zawahiri last year who urged Bangladeshi Muslims to take part in the holy war adopting al-Qaeda’s version of Islam. The leader vowed to export jihad to India, Myanmar and Bangladesh to defend vulnerable Muslims in the region.

    Last month, law enforcers busted a number of militant dens and arrested some of their mid-level organisers in Chittagong. Since September last year, a number of militant leaders were arrested for suspected links to al-Qaeda, Islamic State and other international militant outfits. After the Bardhaman blasts, it was revealed that the JMB has its men in West Bengal of India too.

    CMP Commissioner Abdul Jalil Mandal said: “Though they belong to different groups, the militants are now working together exploiting the anti-government movement to launching violent attacks on the members of different law enforcement agencies.”

    He claimed that the members of Jamaat-e-Islami were carrying out subversive acts together with the JMB tactically. Police recently found arms, ammunition and explosives from two Shibir-dominated government colleges in the port city meant for conducting sabotage.

    Camouflaged members

    Kept in police custody, Ershad told the Dhaka Tribune that under his leadership, the district unit of JMB had about 15 commanders who control around 150 Eshar (key members), 500 Gayri Eshar (mid-level members) and a number of ansar (associate members).

    To hide their identity and evade arrest, the members usually get engaged in different professions including stationery salesmen, day labourers and hawkers. Some of them have set up small shops in densely-populated areas of the city to ensure smooth contact within the group.

    The ansar members can contact only their immediate seniors and they are asked not to use their own mobile phones, Ershad said.

    Ershad himself has had been working at a stationery shop in the port city since early 2014 when he became the district commander.

    Police found crude bomb-like objects, gunpowder, grenade-making materials, jihadi books and other documents in Ershad’s possession. Ershad confessed that he took training on sophisticated arms in Bogra and can make grenades, Akbar Shah police OC Sadip Kumar Das said.

    Ershad was arrested around 7:30am at his shop beside the rail tracks in Baganbari Residential Area’s NR Gate after some members of Chittagong district unit Ansar had called the police finding his activities suspicious.

    Abdul Hamid, platoon commander of Chittagong Ansar, told the Dhaka Tribune that while they were on patrol duty on the rail tracks, some locals sought for help to solve an altercation between Ershad and a local woman over making a phone call.

    “We found that Ershad wanted to use the woman’s mobile phone to call somebody. Asked why he wanted to use another person’s phone, he tried to avoid us. Then we started enquiring about his details, went to his rented house nearby and found many suspicious and unusual objects. Later, we called the police,” Hamid said.

    Police said Ershad had regular communication with two people who used to visit him at the shop.

    Ershad said he became involved with Chhatra Shibir politics in 2011 as a student of Balandor High School in Dinajpur. After passing the SSC exams that year, he met with a Chhatra Shibir leader named Al Fuad alias Rocky from Gaibandha at a party meeting.

    Rocky later joined the JMB in Bogra and was appointed the divisional commander of Chittagong. He then chose Ershad as the Chittagong district commander.

    Police are out to arrest Rocky. Akbar Shah police said they would produce Ershad in court today.

    Joint Commissioner of DB police Monirul Islam acknowledged that militant groups were regrouping across the country, mainly in Chittagong, in the wake of recent video statements of the IS and al-Qaeda.

    He said the law enforcers were gathering intelligence and arresting the leaders to uproot militancy from the country. “In a proposal submitted to the Home Ministry recently, we have proposed a special force to tackle militant outfits.”

  10. মাসুদ করিম - ২৯ আগস্ট ২০১৫ (৩:৩৪ অপরাহ্ণ)

    ‘ভৌগলিক সুবিধা’ কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রামে জঙ্গি আস্তানা

    চট্টগ্রামের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলো আস্তানা গড়ার ‘নিরাপদ স্থান’ হিসেবে ব্যবহার করছে বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

    সম্প্রতি র‌্যাব কর্তৃক চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘শহীদ হামজা ব্রিগেডের’ কয়েকটি আস্তানা চিহ্নিত করে অস্ত্র উদ্ধার ও জঙ্গিদের গ্রেপ্তারের পর বিষয়টি সামনে উঠে এসেছে।

    র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুর্গম পাহাড় ও জঙ্গল থাকায় বৃহত্তর চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও তৎপরতার জন্য বেছে নিচ্ছে জঙ্গিরা।

    “শহীদ হামজা বিগ্রেড চট্টগ্রামভিত্তিক সংগঠন হলেও কর্মীদের দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে আনা হয়। ভৌগলিক সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রামে এসে সামরিক প্রশিক্ষণ নেয়।”

    তিনি বলেন, চট্টগ্রামে এসে তারা সহজে ছদ্মবেশে থাকতে পারেন এবং বিভিন্ন শিল্প কারখানায় চাকরি নিয়ে আড়াল নেওয়ার সুবিধা থেকে নিরাপদ মনে করে জঙ্গিরা।

    ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ‘আল মাদরাসাতুল আবু বকর’ মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে ২৫ জনকে আটকের পর ১২ জনকে গ্রেপ্তার দেখায় র‌্যাব-৭।

    তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ২১ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুরের লটমনি পাহাড় থেকে জঙ্গি আস্তানা চিহ্নিত করে বিপুল অস্ত্রসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে।

    র‌্যাব তখন বলেছিল, হাটহাজারি মাদ্রাসায় আরবি শিক্ষার আড়ালে শিক্ষার্থীদের তাত্ত্বিক এবং বাঁশখালীতে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হত।

    র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, খামারের আড়ালে লটমনি পাহাড়ে আস্তানা গেড়ে সেখানে নিয়মিত ‘জঙ্গি প্রশিক্ষণ’ দেওয়া হত।

    গত ২৩ মার্চ নগরীর আকবর শাহ থানা এলাকায় রেল লাইনের পাশে একটি বাসা থেকে পুলিশ বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ জেএমবি চট্টগ্রামের কমান্ডার মো. এরশাদ হোসেন ওরফে মামুনকে গ্রেপ্তার করে।
    এরশাদ জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, চট্টগ্রামে এসে নগরীর কর্ণেল হাটে জেএমবি পরিচালিত একটি ফটোকপির দোকানে কাজ নেয়। জেএমবি সদস্যরা বন্দরনগরীতে বিভিন্ন ধরনের প্রায় ১০০টি দোকান পরিচালনা করার কথাও উল্লেখ করে।

    কেউ সন্দেহ না করার জন্য নগরীর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা বেছে নেওয়া হতো বলেও এরশাদ জিজ্ঞাসাবাদে উল্লেখ করে।

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি এবং অবৈধভাবে আসা রোহিঙ্গাদের কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন আস্তানা গড়ে তুলছে।

    চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার কুসুম দেওয়ান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই অঞ্চলের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি ধর্মের ‘অপব্যবহার’ করে এই ধরনের জঙ্গি সংগঠনগুলো কাজ করে থাকে।”

    এছাড়া চট্টগ্রাম ও বান্দরবানের পাহাড়গুলোকে প্রশিক্ষণের জন্য নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলো কাজে লাগাতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।

    কারাগারে আটক জঙ্গি সংগঠন ‘শহীদ হামজা বিগ্রেডের’ অন্যতম সংগঠক মনিরুজ্জামন ডন বাঁশখালীর লটমনি পাহাড়ে জঙ্গি আস্তানা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, ২০১৪ সালের শেষ দিকে তিনি ওই পাহাড়ে এবং ২০১২ সালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।

    আমাদের প্রথম উপগ্রহটি কম্যুনিকেশন স্যাটেলাইট হতে যাচ্ছে৷ এরপর আমাদের দরকার রিমোট সেনসিং উপগ্রহ ৷ সেটি দিয়ে উপর থেকে এসব দুর্গম এলাকার ছবি তুলে বিশ্লেষণ করে পুলিশকে দিলে তাদের কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে৷ অনেক কোম্পানি আছে স্যাটেলাইট দিয়ে তোলা ছবি বিক্রি করে৷ যত দিন স্যাটেলাইট পাঠানো হচ্ছে না কেনা ছবি দিয়ে কাজ চালানো যেতে পারে৷ : ওমর শেহাব

  11. মাসুদ করিম - ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ (১০:১৮ পূর্বাহ্ণ)

    British jihadis in Bangladesh fanning flames of extremism, says Dhaka

    Bangladeshi prime minister urges action to tackle recruiters from UK Bengali diaspora communities, as extremist groups, including Isis, gain support

    The prime minister of Bangladesh has warned David Cameron that he needs to do more to combat radicalism amid concerns that British jihadis are fuelling a rise in extremism in the world’s third most populous Muslim nation.

    Security and intelligence experts in Dhaka says British jihadis are stoking an Islamist revival in Bangladesh, schooling a new generation of young religious radicals sympathetic to Isis.

    Recruiters and extremist funding from Britain’s Bengali diaspora communities are encouraging locals to join the cause of international jihad, and the number of Bangladeshis involved in salafi groups is rising, the experts say.

    “The British government should take more steps on the ground,” the Bangladeshi prime minister Sheikh Hasina Wazed told the Guardian. “Jamaat [-e-Islami – Bangladesh’s leading Islamist party] has a strong influence in east London. That’s true. They are collecting money, they are sending money.”

    The warnings come after the arrest in Dhaka last month of Touhidur Rahman, a British man of Bangladeshi origin, who is alleged by police to be the “mastermind” behind the machete murders of two secular bloggers by Islamists earlier this year.

    Several other cases linking individuals from Britain’s Bengali population to extremist groups active in Bangladesh and elsewhere, including Jamaat-ul-Mujahideen (JMB), Islamic State and al-Qaida in the Indian Subcontinent (AQIS), have come to light in recent months.

    Most recently, it emerged that two of the three British citizens recruited by Isis and killed by British and US drone strikes in Syria last month – Ruhul Amin and Reyaad Khan – were of Bangladeshi origin.

    Security analysts, intelligence specialists and former officials in Dhaka warn that Bangladesh, a severely impoverished, low-middle income country with about 160 million people, is increasingly ripe for radicalisation.

    Although the number of domestic terror attacks has fallen, in part due to a government crackdown, Sunni Muslim Bangladesh is undergoing a fundamentalist revival akin to that in Pakistan and several Middle East countries, the analysts said, and the lull in terrorist activity could quickly be reversed.

    “Isis has its eye on Bangladesh,” said an ex-army intelligence specialist, who like most of the people interviewed for this report asked not be identified.

    “Unofficially, the number of Bangladeshis going to fight in Syria and Iraq is up to 30. Bangladesh is becoming a transit route to Isis from India. We also have growing numbers of Bangladeshi diaspora guys coming here from Britain to recruit,” the intelligence specialist said.

    Fertile ground awaits the foreign visitors. “There are very strong pockets of fundamentalism throughout Bangladesh,” said the director of an NGO specialising in security issues. “Jamaat-e-Islami [JEI] has a lot of grassroots support.”

    “There are very large numbers of young men who don’t have a job or any prospects. Their only experience is the madrasa [religious school] and the mosque. In rural areas they don’t even have access to social media.

    “These people want to be used, so they are very easily manipulated. When Bengalis from the UK come in, they are very easy to lead. The jihadi recruiters are coming from London, from Germany, from the US. They are educated, they have been to university, so they are more sophisticated,” the director said.

    “The lack of government services and political exclusion [JEI has been barred from standing in national elections] has created space for the fundamentalists. They tell people: come to the mosque, follow religious rules, bring your friends. It is all softly, softly … These kids will do whatever they’re told. Nobody asks any questions of religious leaders. If the leaders say ‘do it’, they do it.”

    Britain and the US have backed the government’s hardline counter-terrorist stance, despite its negative impact on civil liberties. But Dhaka insiders say they are missing the bigger picture: the below-the-radar, large-scale radicalisation of younger generations.

    Hasina defended her zero-tolerance approach to terrorism, which has provoked fierce criticism from human rights groups. She insisted the security situation in Bangladesh was under control.

    “[The fundamentalist groups] are trying, no doubt about it, and there are some people trying to encourage them, but we have controlled the situation,” she said.

    But Hasina said closer international cooperation was necessary to stop the spread of radical ideas from the west to Bangladesh: “Certainly we want cooperation from all other countries so that they should be very careful that no illegal money or arms or terrorists should take any chance to create any problem to any other country.”

    While JEI is regarded by Britain and the US as a moderate Islamist political party, others strongly disagree.

    Shahriar Kabir, a Dhaka journalist and author, described Jamaat as “the godfather of all terrorism” and said it posed an existentialist threat to Bangladesh’s secular tradition.

    “If the BNP [the opposition Bangladesh Nationalist party that is allied to JEI] wins the next election, Bangladesh will become Islamicised,” Kabir said. “Isis and al-Qaida are targeting Bangladesh. Jihadis are coming here from abroad, some from the UK. And money for the Islamists is coming from Islamic NGOs and individuals in Britain and Saudi Arabia and Pakistan.

    “We are fighting to maintain a secular society. But we are losing ground. If we lose we will become a centre of global jihadi terrorism,” Kabir said.

    Jamaat-e-Islami’s connection to the Bangladeshi community in east London and other British cities is well-established. On its website, the East London mosque, a focal point for the community, states it is “not affiliated to or controlled by JEI” although it says it has hosted JEI speakers in the past.

    One such speaker was the former leading Jamaat MP, Delwar Hossain Sayeedi, who was tried and sentenced to death in 2013 by a special war crimes tribunal set up by the Awami League government, which appears to view most JEI leaders as terrorists.

    According to the Jewish-Muslim interfaith organisation, StandForPeace, “the East London mosque and the Islamic Forum of Europe are both leading Jamaat organisers in Britain. Both institutions heavily promote the writings of Syed Maududi, the founder of Jamaat Islamism, whose book, Let Us Be Muslims, tells followers: “You must strive to change the wrong basis of government, and seize all powers to rule.”

    The British connection in the Bangladesh blogger murder cases is only one of several such links. Last year, Bangladeshi police arrested Samiun Rahman, a British man of Bangladeshi origin, on suspicion of recruiting for Isis in Dhaka and the north-eastern city of Sylhet.

    In addition, several British Bangladeshis have reportedly been killed in Syria while fighting for Isis or other Islamist groups. In another well-publicised case, Mashudur Choudhury, from Portsmouth, was convicted of terror crimes linked to Syria last year. He belonged a group calling itself the “Britani Bangladesh Bad Boys”. The other four members of the group have since been killed.

    Islamist organisations involved in, or benefiting from, Bangladesh’s fundamentalist revival include the JMB terror group, which is notorious for exploding 500 bombs in a single day in 2005.

    JMB cells are reported to be increasingly active again. In July police said they had arrested eight JMB militants, including the group’s leader. They were accused of plotting “to kill important personalities of the state and free their leaders from jail”. Last October Indian security officials said they had uncovered a JMB plot to assassinate Hasina, after two members of the group were killed in an explosion while making bombs in the state of West Bengal, which borders Bangladesh.

    The ex-army intelligence specialist said Bangladeshi Islamists also have links to AQIS, which is active in India, Pakistan and Myanmar, and to the anti-India, Pakistan-based group Lashkar-e-Taiba (Army of God).

    LET was responsible for the 2001 terrorist attacks on the Indian parliament and the 2008 Mumbai attacks. Its aim is to establish a caliphate, or Islamic state, in southern Asia. Bangladeshi cities said to be particularly supportive of fundamentalist ideas include Satkhira and Khulna in the south-west and Sylhet.

    The brains behind the Islamist revival in Bangladesh is Hizb ut-Tahrir, the non-violent, pan-Islamist political organisation that also operates in Britain and the US among other countries, the intelligence specialist said.

    “Hizb is a hearts and minds organisation,” the specialist said. “It runs a very savvy information and communications operation. It is extremely active in Bangladesh, one reason for its success being Hasina’s creation of a political vacuum.

    “Hizb want a caliphate. They want to be a province or a state of Isis. Hizb activists are middle class or upper middle class, they are university educated, they have a growing presence in Britain and the US, and they have a large female following, all wearing headscarves. In Bangladesh, they recruit the foot-soldiers.”

    A veteran Dhaka politician offered a more personal perspective. His family recently experienced the fundamentalist shift in Bangladeshi society at first hand, he said.

    “My nephew came back from college in the US. He’s having a great education, something I never had. So what’s the first thing he says? He says to me: ‘Why don’t you grow a beard?’”

    Downing Street acknowledged the UK needed to do more to tackle extremism but pointed to the number of foreign Isis fighters from other countries.

    David Cameron’s official spokeswoman said: “The PM … set out his thinking in a big speech before the summer. He does believe the government needs to be working with communities in a cross-country effort.

    “Alongside that, in many of the bilaterals that he has had with other leaders he also talks to them about what more we can do to work together to look at the best ways to address radicalisation and extremism. When he was in south-east Asia that was one of the things he talked to them about.”

    Asked whether there was concern about Britain being a hotbed of radicalisation that is influencing other countries, she said: “I don’t think I have seen particular evidence pointing to that. Clearly we have concerns about British foreign fighters going to fight for Isis.

    “But when you look at the number of foreign fighters Isil are recruiting it illustrates the fact that many countries are facing this problem whether it is other European countries or Asian countries too.”

  12. মাসুদ করিম - ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ)

    Rohingya refugees: A threat to Bangladesh?

    The Rohingya refugee situation needs to be dealt with carefully, before it turns into a national threat

    Following some recent unprecedented violent incidents in the country, like bomb attacks on Shia Muslim community in Old Dhaka, continuous fatal attacks on free thinkers or bloggers, in which local and foreign Islamic radical groups are reportedly directly involved, time has come for the Bangladesh government to seriously think of the Rohingya refugee issue afresh and deal with it more meticulously.

    Why look at the matter? One thing should be made clear at the outset, that the Rohingya crisis is surely a humanitarian catastrophe, but it is imperative that we focus on it from the aspect of Bangladesh’s security.

    The first mass exodus of Rohingya refugees, standing around 250,000, into Bangladesh from Myanmar’s south-western province of Rakhine took place in the late 1970s due to repression by the then Myanmar’s military junta. Again, almost the same number of Rohingyas crossed into Bangladesh in the beginning of the 1990s. Apart from that, a trickling of small numbers of Rohingyas into Bangladesh takes place every now and then. Many have been repatriated, but still a big number of them are living in Bangladesh. According to the United Nations High Commissioner for Refugees (UNHCR), there are, at present, more than 32,000 registered or documented Rohingya refugees living in two camps of Cox’s Bazar district, and around 200,000-500,000 undocumented refugees living in the adjoining areas including the CHT.

    This huge number of Rohingya refugees is a matter of serious security concern because, for various Islamic extremist groups — both local and foreign — this area is fertile ground for recruiting members from the Rohingya youths. Taking advantage of poverty, the extremist groups recruit them by paying around Tk10,000 every month.

    Recently, New Delhi-based Asian Centre for Human Rights expressed concern, saying that the Rohingyas in Bangladesh are vulnerable to traffickers and recruitment by extremist Islamic groups due to negligence of the UNHCR and Bangladeshi authorities.

    The Rohingyas have some militant groups of their own: Rohingya Patriotic Front, Arakan Rohingya Islamic Front, Tehrek-e-Azadi Arakan, and Rohingya Solidarity Organisation (RSO). Of these, the RSO is the most infamous.

    Demands of these armed groups range from autonomy to a separate Islamic state. Various sources say the base camps of these armed groups are situated inside the bordering areas of Bangladesh, with local administrations feigning ignorance on the fact.

    The Rohingya youths, recruited by foreign terrorist groups, are treated as cannon fodder in Afghanistan, Kashmir, Chechnya, and elsewhere, in the name of Jihad. One of the instructing languages in al-Qaeda training camps is Bengali that the Rohingyas speak in.

    Seeing the close nexus in between the Rohingya militants and al-Qaeda, some experts claim that the largest al-Qaeda cell in South-East Asia is said to be in Myanmar, surely hinting at the areas close to Bangladesh-Myanmar border.

    The RSO maintains close ties with Indonesia’s most fearful terrorist outfit: Jemaah Islamiyah (JI), which was responsible for the 2002 Bali bombings that killed more than 200 people. Other than the JI, many radical Islamic groups in Indonesia have vowed to retaliate against Myanmar’s interests. In May 2013, Indonesian security forces foiled an attack on Myanmar’s embassy, which was found to be orchestrated by sympathisers of the Rohingyas. Mahabodhi Temple, a most revered holy site of the Buddhists in India, came under a series of bomb attacks on July 7, 2013. On October 2, 2014, a bomb blast took place in the Burdhman area of West Bengal that accidentally claimed two members of Bangladesh’s outfit, Jamaat-ul-Mujahideen Bangladesh (JMB). In connection with these incidents, the Indian security forces either arrested the RSO members or their sympathisers.

    A Rohingya militant group along with eight other radical Islamic groups, including India’s North-east’s the Muslim Liberation Tigers of Assam and the Islamic Oikya Jote, a political party in Bangladesh, formed an umbrella organisation, named the Bangladesh Islamic Manch, back in 2002.

    This organisation had ties with Osama bin Laden through the Harakat-ul-Jihad-ul-Islami network. The main goal of this organisation is to set up an Islamic state in this region, stretching from Assam of India in the north, to Rakhaine province of Myanmar in the South-east, with Bangladesh in the middle.

    Already in a situation of losing the capacity of taking in new settlements, the CHT bears the brunt of influx of Rohingya refugees. The Parbattya Chattagram Jana Samhati Samiti (PCJSS), a regional political party of the indigenous Jumma peoples that signed the 1997 CHT Accord with the Bangladesh government, ending over two decades long armed resistance, directly brings serious allegations that the local administrations in the CHT are not only settling the Muslim Rohingya refugees in the CHT, but also enlisting them in the voter list, and providing them with permanent residence certificates — in clear violation of the 1997 CHT Accord.

    If what the PCJSS claims are found true, then surely the CHT problem is getting worse in the coming days, especially at a time when the indigenous Jumma peoples are in utter frustration seeing the accord not being implemented in full yet, even after 18 long years.

    Furthermore, there are reports that the RSO and different Islamic radical groups are running training camps and drug trafficking operations within the CHT. Their funds mostly come from middle-east based charities like Rabeta Al-Alam Al-Islami and the Al Harmain Islami Foundation.

    Indian Home Secretary Anil Goswami, in the Indo-Bangladesh home secretary level talks held in July 2013, raised concerns over the military training camps run inside the CHT by the RSO with the assistance of local and foreign terrorist groups, like Pakistan-based Lashker-e-Taiba and JMB.

    As part of taking a precautionary security move following recent intrusion of the Rohingyas into its north-east region, and involvement in terrorist activities in India and elsewhere — the Indian Home Ministry is contemplating a census of around 5,000 Rohingyas living in India. There are also around 300,000 Rohingya refugees living in Pakistan, 600,000 in Saudi Arabia, and 20,000 in Thailand.Bangladesh is not yet a signatory of the UN Refugee Convention, 1951, nor its Protocol 1967. It does not have any institutional mechanism for Refugee Status Determination (RSD), or any law or formal policy to oversee the cases of refugees, and political asylum-seekers. The members of Rohingya refugees involved in terrorist activities are using these technical loopholes in their favour.

    For being host of some hundreds of thousands of undocumented Rohingya refugees, and the one of having land border with Rakhaine state of Myanmar, Bangladesh should take some pragmatic steps to address the Rohingya refugee crisis more prudently, the failure of which will make the Bangladesh-Myanmar border become a new theatre of global jihad, and this will not only affect Bangladesh’s national security but also of the entire region.

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.