সাদাই যদি হয় কালো টাকা[...]

সাদাই যদি হয় কালো টাকা তোমার কালো কি হবে না সাদা টাকা সবার?

বর্তমানে কানাডার স্থায়ী বাসিন্দা, শারিয়া ল' -- মুসলিম ক্যানাডিয়ান কংগ্রেস-এর পরিচালক এবং ওয়ার্ল্ড মুসলিম কংগ্রেস-এর সহযোগী সদস্য হাসান মাহমুদের ইসলাম ও শারিয়া বইটির তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। এই আলোচিত ও সমাদৃত বইটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার অবকাশ রয়েছে। বৃহত্তর পাঠক সমাজকে এই আলোচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়ার লক্ষ্যে লেখক ইসলাম ও শারিয়া-কে ই-বুক হিসেবেও প্রকাশ করেছেন (প্রদত্ত লিন্ক থেকে ই-বুকটি ডাউনলোড করুন)। 'রাজনৈতিক ইসলাম'-এর উত্থানের বিপদ কেবল বাংলাদেশেই নয়, বর্তমানে বিশ্ব জুড়েই তা আলোচিত। এ পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামের মর্মবাণী সম্পর্কে ধারণা লাভেও সহায়ক হবে হাসান মাহমুদের এই বইটি। ইসলামে মানবাধিকার প্রসঙ্গও এখানে সবিস্তারে আলোচিত হয়েছে। লেখকের নিজের ভাষায় : এ বইয়ে দেখানো হলো কিভাবে ইসলামের অপব্যবহার করে কোরাণ-বিরোধী, নারী-বিরোধী, ও মানবতা-বিরোধী এক ভয়ঙ্কর আত্মঘাতী অপদর্শন প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। পর্যালোচকের (বেলাল বেগ) মতে, একটি দীর্ঘ অনুপ্রাণিত বক্তৃতার মতো, অসাধারণ তেজস্বী ভঙ্গীতে লেখা এই বইটি ধার্মিক-অধার্মিক, মুসলমান-অমুসলমান, জামাতে ইসলামি, ছাত্রশিবির সহ সকল রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, স্কুল-কলেজ এমনকি মাদ্রাসার ছাত্র সহ লেখাপড়া জানা প্রত্যেক মানুষের পড়া উচিত। ই-বুকটি ডাউনলোড করে নিয়ে পড়ার জন্য ও আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। লেখক নিজেও এ আলোচনায় অংশ নেবেন। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের ধর্মব্যবসায়ী ও ১৯৭১-এ ধর্মের নামে গণহত্যায় লিপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের স্বরূপ উন্মোচনেও সহায়ক হবে হাসান মাহমুদের এই বই। পুরো বইটি এখানে এমবেড করে দেয়া হল পাঠকরে সুবিধার্থে:

অনেকে অনেক কারণেই কেঁদে থাকি। কিন্তু যে লোকটা খেতে পায় না, তার কান্নার সাথে কোনো কান্নারই তুলনা হয় না। বাংলাদেশে কত লোক খেতে পায় না? আমাদের কোনো পরিসংখ্যান নেই, না থাকলেও খেতে না পাওয়া মানুষের সংখ্যা কোটির অংকে হবে বলেই মনে হয়। আমাদের অগোচরে এই বিশাল বিস্তীর্ণ ক্ষুধার্ত মানুষের প্রতিদিনের কান্না তাদের নিজস্ব গণ্ডীর ভেতর বিকট বিপন্নতায় তাদের অস্তিত্ব ধ্বংস করে। কেউই পারে না ওদের সাহায্য করতে। ভিক্ষাবৃত্তি ও পাশের মানুষের সহানুভূতি, এর ওপরই টিকে আছে এ সমস্যার বর্তমান সমাধান। কিন্তু আর মনে হয় না এর ওপর নির্ভর করে চলবে। দিনে দিনে মানুষের ভিক্ষুকের প্রতি যে মনোভাব তৈরি হচ্ছে, তার বাস্তব ভিত্তি আছে, কারণ প্রচুর লোক ব্যক্তিগত ও সংঘবদ্ধ চক্রের মধ্য দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিকে একটি স্বকর্মসংস্থানে রূপ দিয়েছে। ফলে ধীরে ধীরে মানুষের ভিক্ষাদানের প্রবণতা আশংকাজনক হারে সংকুচিত হচ্ছে, ফলে ভিক্ষাকর্মীদের এখন আগের চেয়ে বেশি শ্রমঘন্টা কাজ করতে হচ্ছে, এবং নিয়মিত কর্মকুশলতার পরিচয় দিয়ে এলাকা ও অবয়বে নানা পরিবর্তন আনতে হচ্ছে। পুরো ব্যাপারটি একটি ব্যবসায়িক চেহারা পেয়েছে, এবং কারো ব্যবসা ভালো যাচ্ছে কারো যাচ্ছে না। এর সাথে কোনো সম্পর্ক নেই আমাদের আগের সামাজিক ভিক্ষাবৃত্তির, যখন কেউ খেতে না পেলে হাত পেতে লোক থেকে চাইত এবং খাওয়াটা জুটে গেলে আর হাত পেতে নিজেও লজ্জায় পড়ত না এবং অন্যকেও প্রতারণা করত না। ফলে অভাবের তাড়নায় ক্ষুধার জ্বালার যে ভিক্ষাবৃত্তি তা আজ খুবই হতাশার, দুঃখের এবং কখনো কখনো বিপদেরও। তাহলে এই বিশাল নীরব নিরুপায় খেতে না পাওয়া লোকগুলো কি খেতে না পেয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরবে? তাহলে কে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারে। আমরা সবাই দাঁড়াতে পারি, সবার নিজ নিজ সামর্থ মতো, কিন্তু উদ্যোগ তো নিতে হবে সরকারকেই, আর এ কাজ করতে তার লাগবে প্রচুর লোক, সে লোকই বা জোটাবে কে এবং জুটবেও বা কোথা থেকে। উত্তর একটাই ছাত্রসমাজ। তার জন্য সরকার প্রতিটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর ছাত্র সংসদ নির্বাচন বাধ্যতামূলক করে দিতে পারে, ছাত্ররা যে যার রাজনীতি করুক, কিন্তু ছাত্র সংসদের নির্বাচন হবে সম্পূর্ণভাবে প্যানেলহীন, স্বাধীনভাবে বিভিন্ন পদে ছাত্ররা নির্বাচনে প্রার্থী হবে এবং জয়ীরা সংসদে ছাত্রদের জন্য কাজ করবে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি ছাত্র সংসদ সরকারের জনসেবা ও…

বিডিআর-এর বর্তমান মহাপরিচালক বিডিআর-এর নাম ও পোষাক পরিবর্তনের পরিকল্পনার কথা মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন। এখনো এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রধান মন্ত্রীর দপ্তর, স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির কাছ থেকে কোনো মতামত এখনো জানা যায়নি। মহাপরিচালকের যুক্তি পিলখানার ঘটনায় বিডিআর ও এর পোষাকের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। কিন্তু যে ঘটনাটিকে আমরা অনেক আগেই জঙ্গিহানা বলেছি তার সাথে কেনো বিডিআর-এর ভাবমূর্তি গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে ? হ্যাঁ দৃশ্যমাধ্যমগুলোতে ঘটনার সময়ের বিডিআর-এর ছবি ও দৃশ্য মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে, জঙ্গিরা ও বহিরাগতরা এবং বিডিআর-এর আভ্যন্তরীন জঙ্গি অংশ বিডিআর-এর পোষাক পরেই অ্যাকশনে ছিল, সেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দূর করতে বিডিআর-এর পোষাক পরিবর্তনই যথেষ্ট। বিডিআর শুধু পিলখানা হত্যাযজ্ঞেরই প্রতিনিধিত্ব করে না। বিডিআর মুক্তিযুদ্ধের অপরিসীম সাহস ও আত্নত্যাগেরও প্রতীক। সত্যিকার অর্থে তারা মুক্তিযুদ্ধের আনসাংগ হিরো। সামরিক বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর কথা যত বলা হয়েছে আমাদের প্যারামিলিটারি ও পুলিসের কথা কিন্তু সেভাবে কখনো বলা হয়নি। বিডিআর আমাদের সীমান্ত রক্ষায়ও যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এসেছে স্বাধীনতার পর থেকেই। বিডিআর-কে বিপথে চালিত করার জন্য কাউকে যদি সবচেয়ে বেশি দায়ী করতে হয় তাহলে ২০০১-২০০৬ এর জঙ্গি সরকারকেই দায়ী করতে হয়। ওই সরকারের দায়িত্বহীন নিয়োগ বিডিআর-এর মধ্যে আত্মঘাতী শক্তির অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিল। সেই অনুপ্রবেশ বাংলাদেশের সশস্ত্র সব বাহিনীতেই হয়েছে। পিলখানার মতো ঘটনা বাংলাদেশের যে কোনো বাহিনীতেই ঘটতে পারে, তাই বলে কি আমরা সে রকম কিছু ঘটলেই অনবরত সব সশস্ত্র বাহিনীর নাম পরিবর্তন করতে থাকব ? বিডিআর-এর নাম পরিবর্তন মোটেই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। বড় জোর পোষাকের পরিবর্তন ঘটিয়ে ভাবমূর্তি পরিবর্তনের চেষ্টা অনেক বেশি প্রতীকী ও কার্যকর হবে বলেই মনে হচ্ছে। তবে সবচেয়ে পরিবর্তন আনতে হবে সাধারণ জওয়ানদের যথার্থ দাবী-দাওয়াগুলো মিটিয়ে সরকার যে বিডিআর বান্ধব তার সংকেত বিডিআর-এর প্রত্যেকটি সদস্যের কাছে পৌঁছানো। সেনাবহিনীর কর্তৃত্ব এখনই খর্ব করা যাবে না কিন্তু দিনে দিনে খর্ব করা হবে এবং সে লক্ষ্যে এখনই কাজ শুরু করা হবে সেই প্রতিশ্রুতি বিডিআর-কে দেয়া।

মুক্তাঙ্গন ব্লগে পিলখানা ট্র্যাজেডি ও গণহত্যার প্রথম দিনেই আমরা পেয়েছি রায়হান রশিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ লেখা,- যা ঘটনার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও আশঙ্কা তুলে ধরেছিল। ঘটনা-পরম্পরায় লেখাটি আরও পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত হয়েছে এবং তাঁর প্রশ্ন ও আশঙ্কাগুলি আরও ইঙ্গিতময় হয়ে উঠেছে। অনেকেই এতে মন্তব্য করেছেন ও করবেন। বলা ভালো, এ লেখাটিও সেরকম মন্তব্যের পর্যায়ভুক্ত, রায়হান রশিদের চিন্তাঝড়েরই প্রতিক্রিয়া ও অনুষঙ্গ। অবশ্য রায়হান রশিদের প্রথম প্রতিবেদনেই আমি একটি প্রতিক্রিয়া যুক্ত করেছিলাম। তখনও আমরা বেশ অন্ধকারে ছিলাম, তাই সে-প্রতিক্রিয়ার সূত্র ছিল এক অর্থে মিডিয়াপ্রভাবিত। সেখানে আমার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘এই ঘটনা সামরিক বাহিনী ও বিডিআর-এর মধ্যে যে নীরব দ্বন্দ্ব ছিল তাকে আরও সুস্পষ্ট করলো’। কিন্তু ঘটনাটি ষড়যন্ত্রের পর্যায়ভুক্ত হওয়ার কারণে এখন এ নীরব দ্বন্দ্বগুলিকে হয়তো অনেকেই আমলে নেবেন না। কেউ কেউ ব্লগে বিষয়টিকে ‘শ্রেণীসংগ্রাম’ বলে উল্লেখ করায় আমি বিস্ময়বোধক চিহ্ন ব্যবহার করেছিলাম তখন, রায়হান রশিদ, নীড়সন্ধানী এবং আরও দু'একজন এ ব্যাপারে মন্তব্য করেছিলেন আরও স্পষ্টভাবে (একজন আমাকে জানালেন, যে বা যারা বিষয়টিকে শ্রেণীসংগ্রাম বলে উল্লেখ করেছিলেন, তাদের কাউকে না কি এখন আবার সামরিক বাহিনীর জনসংযোগ অধিদপ্তরের ভাষ্য লিখতে দেখা যাচ্ছে!)। প্রতিক্রিয়াটিতে আমি আরও লিখেছিলাম, ‘...অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করাও মূল কারণ হতে পারে -- যাতে সাধারণ বিডিআর সদস্যদের অসন্তোষকে পুঁজি করা হয়েছে’। এখন বিষয়টি আমাদের কাছে সুস্পষ্ট, এর লক্ষ্য ছিল অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা। তাই যে-দাবিগুলিকে প্রচারণায় নিয়ে এসে এই অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার চেষ্টা চালানো হয়েছিল, সেই দাবিগুলি সম্পর্কে আমাদের স্বচ্ছ হওয়া দরকার। এখন যেমনটি দেখা যাচ্ছে, -- অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্য থেকে দাবিগুলি তোলা হয়েছিল বলে এসব দাবিগুলিকে অনেকে অচ্ছুৎ ভাবতে শুরু করেছেন এবং তা ধামাচাপা পড়তে শুরু করেছে -- দাবিগুলির এরকম পরিণতি আমি আশা করি না। দাবিগুলির ন্যায্যতা ও অন্যায্যতা আমাদের অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার। প্রসঙ্গত বলি, এইসব দাবিদাওয়া সম্পর্কে আমারও পরিষ্কার ধারণা নেই। ছাড়া-ছাড়াভাবে এবং মিডিয়ার কল্যাণে যে-সব দফা কানে এসেছে সেগুলি হলো, বিডিআর-এ সামরিক কর্মকর্তাদের প্রেষণে নিয়োগ বন্ধ, শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বিডিআর সদস্যদের পাঠানোর ব্যবস্থা করা এবং অপারেশন ডালভাত কর্মসূচিতে দুর্নীতিপ্রসঙ্গ। এর মধ্যে, গতকাল সংঘটিত হয়েছে পাকিস্তানে আর এক জঘন্য ঘটনা। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট টিমের খেলোয়ারদের ওপর চলেছে আক্রমণ। নিহত হয়েছেন ছয়জন…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.