প্রশ্ন, প্রশ্ন নিয়ে

আমি চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র নই। গত ২৪ জুন ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত ইসলাম শিক্ষার টিউটোরিয়াল পরীক্ষার প্রশ্নপত্রটি আমার নজরে পড়ার কথা ছিল না; তারপরও তার প্রথম পৃষ্ঠাটি এসে পৌঁছয় আমার হাতে, দিন কয়েক পর! [...]

আমি চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র নই। গত ২৪ জুন ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত ইসলাম শিক্ষার টিউটোরিয়াল পরীক্ষার প্রশ্নপত্রটি আমার নজরে পড়ার কথা ছিল না; তারপরও তার প্রথম পৃষ্ঠাটি এসে পৌঁছয় আমার হাতে, দিন কয়েক পর!

. . .

চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ
টিউটোরিয়াল পরীক্ষা
দশম শ্রেণী
ইসলাম শিক্ষা
সময় : ৪০ মিনিট                    পূর্ণমান : ২৫

১। নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং তৎসংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নাফিজ এবং সুমন সিদ্ধান্ত নিল যে ১লা বৈশাখে তারা ধুতি পরবে ও কপালে তিলক পরবে। হৃদি ও শবনম পরিকল্পনা করল যে, তারা লাল পারের [পাড়ের] শাড়ীর সাথে কপালে মানানসই টিপ পরবে। তারা সারাদিন ডিসি হিলে সময় কাটাবে। তাদের প্রত্যেকের পিতা মাতা মুসলিম এবং তারাও নিজেকে মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেয়।
ক) চার বন্ধুর কাজের পরিচয় দাও।                                                                ১
খ) মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও তাদের এই ধরনের কাজ করার মূল কারণ কী?             ২
গ) মুসলমানগণ কিভাবে এই ধরণের কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে পারে? ৩
ঘ) কুফরের পরিণতি বর্ণনা কর।                                                                   ৪

২। নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং তৎসংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আল কুরআন অনন্ত জ্ঞানের উৎস। মানবজীবনের যাবতীয় সমস্যা ও জিজ্ঞাসার সমাধান কুরআন মাজীদে বর্ণিত আছে। মানুষের ইহকালীন, আধ্যাত্মিক ও কর্মজীবনের যা কিছু প্রয়োজস [প্রয়োজন] তার সবই পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে।
ক) আসমানী কিতাবের পরিচয় দাও।                                                        ১
খ) সহীফা কী? সহীফার সংখ্যা কত?                                                      ২
গ) মানব জাতীর [জাতির] নৈতিক চরিত্র গঠনে পবিত্র কুরআন মাজীদ কি [কী] শিক্ষা দেয়?     ৩
ঘ) আল-কুরআনের গুরুত্ব, মহাত্ব্য [মাহাত্ম্য] ও শ্রেষ্ঠত্ব মূল্যায়ন কর।                            ৪

[এই দুটি প্রশ্নের মান সাকুল্যে ২০; ৫ নম্বরের ৩য় আরেকটি প্রশ্ন নিশ্চয়ই পরের পৃষ্ঠার ছিল, যা আমি পাইনি।]

এই প্রশ্নপত্রের ধরণ দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, এর লক্ষ্য শিক্ষার্থীর ‘কম্প্রিহেনশন’ বা ‘উপলব্ধির ক্ষমতা’ যাচাই করা। নিজেকে কল্পনায় চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রের ভূমিকায় দাঁড় করিয়ে উপলব্ধি করি যে, আমার ‘উপলব্ধির ক্ষমতা’ বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে!

২ নং প্রশ্নের ৪টি খণ্ডপ্রশ্নের উত্তর দিয়ে ১০-এর মধ্যে  হয়তো ৬/৭ পেয়ে যাব; কিন্তু যত গন্ডগোল ১ম প্রশ্নটি নিয়ে। এর ‘অনুচ্ছেদ’ অংশটির মর্মোদ্ধার করতেই গলদঘর্ম হবার উপক্রম! ‘তৎসংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর’ উত্তর খোঁজার আগে আমার জানতে ইচ্ছে করছে :
ক) কে এই প্রশ্নকর্তা?
খ) কারা এই প্রশ্নপত্রটি অনুমোদন করলেন?
গ) শিক্ষার্থীরাই-বা কী উত্তর দিল এসব প্রশ্নের?
ঘ) অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
ঙ) ধর্মীয় শিক্ষার নামে/পরিবর্তে শিক্ষাঙ্গনে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধির চর্চাকে আমরা কীভাবে ব্যাখ্যা করব? এর সম্ভাব্য প্রতিকারই-বা কী?

রেজাউল করিম সুমন

একজন সামান্য পাঠক।

৩৬ comments

  1. মাহতাব - ৬ জুলাই ২০০৯ (১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ)

    সুমন, প্রশ্নটা আমারও। প্রত্যকে মানুষের জীবনেই ধর্ম‍ শি‍ক্ষার প্রয়োজন আছে। কিন্তু এখানে যে-ধরনের ধর্ম শিক্ষা দেওয়া হয়, তার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সাম্প্রদায়িক মানুষ তৈরি করা।

  2. মুয়িন পার্ভেজ - ৭ জুলাই ২০০৯ (৯:১৮ পূর্বাহ্ণ)

    রেজাউল করিম সুমনের উপস্থাপিত পাঁচটি প্রশ্নই চিন্তাপ্রসারী। প্রথম প্রশ্নের উত্তর হয়তো কিঞ্চিৎ খোঁজখবর নিলেই পাওয়া যেতে পারে, দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় : বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তৃতীয় ও চতুর্থ প্রশ্নের উত্তর গবেষণাসাপেক্ষ। পঞ্চম প্রশ্নটি নিয়ে আলোচনায় বসা যায়।

    আমরা আসলে সেই বর্বর জাতি যারা ভাস্কর্যকে মূর্তিজ্ঞানে বিসর্জন দিই, ধর্মকে বর্ম বানিয়ে কুরুক্ষেত্রের আয়োজন করি বা সংবিধানকে রাফখাতা ভেবে কাটাকুটি করি। আমাদের প্রশ্নপত্রও যে প্রশ্নাতীত হয় না — এটাই স্বাভাবিক।

    প্রতিকারের উপায়? প্রচারণা। লেখায়, আঁকায়, কথায়। যদি কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙে!

    • আসমা বীথি - ৭ জুলাই ২০০৯ (২:২২ অপরাহ্ণ)

      কুম্ভকর্ণ কে মুয়িন? মহান ইশ্বর,না এ-জাতির বিবেক?যদি ইশ্বর হয় তার ঘুম কি ভাঙ্গবে!আমরা বরং পাশের বন্ধুটির দিকে তাকাই। সাম্প্রদায়িক চিন্তার সূক্ষ্ম কোনো কাঁটাও যদি লুকিয়ে হাত মেলাতে আসে তবে ফিরিয়ে দিই তাকে।
      প্রশ্নপত্রের ঘটনাটি এরকমই ঘটতে থাকা চারপাশের অসংখ্য ঘটনার একটি নমুনা।চলুক লেখা,আঁকা এবং কথার সরব প্রতিবাদ।

  3. রেজাউল করিম সুমন - ৭ জুলাই ২০০৯ (১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ)

    প্রশ্নপত্র : পৃষ্ঠা ১

    প্রশ্নপত্র : পৃষ্ঠা ২

  4. Mohammed Munim - ৭ জুলাই ২০০৯ (৬:৫৩ অপরাহ্ণ)

    Thanks to Sumon for highlighting such an interesting topic. A few years ago, there was a question in SSC exam regarding Eid observance (How do you spend your Eid day?) directed to all the students. These kinds of stupid questions were on exam papers before and they will be in future. On the other hand, Phahela Baishakh festival will get bigger and bigger and more Nafis’ and Ridis (quite a secular name) will wear Dhuti and Shaari. Because that’s where they belong.

  5. Shahnewaz Mohammad - ৭ জুলাই ২০০৯ (৭:১৮ অপরাহ্ণ)

    Wow! I was so shocked to see such questions, and I can’t believe that those were directed towards those kids of 10th grade! After spending so many years at graduate schools, I even don’t know how to answer those questions! This shows how our education system has been vulnerable! Its really alarming! Its also alarming when our so called “educated society” (including parents of those schools) are keeping silent!

    Thanks Sumon for highlighting this very critical problem of your education system!

  6. সাইদুল ইসলাম - ৮ জুলাই ২০০৯ (১১:০৯ পূর্বাহ্ণ)

    এ দেশের কুম্ভকর্ণরা যে জেগে ঘুমায়, তাদের ঘুম কি ভাঙবে?আমরা মুখোশের আড়ালে এ চিত্রটিই তো ধারণ করছি। নাহলে এত স্বাধীনতার এত বছর পরও কেন ভেদবুদ্ধির কোনো পরিবর্তন ঘটল না?
    যারা ধর্ম নিয়ে চিন্তা করেন, ভাবেন, মানবতার পক্ষে কখনও কখনও ধর্মকে প্রতিস্থাপন করেন, অর্থাত ইসলামী চিন্তাবিদ, ধর্মকে যে এভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, এ ব্যাপারে তারা কী বলেন?এ যে প্রকৃত ধর্ম নয় এ সম্পর্কে তারা কী ভূমিকা পালন করবেন, দেখা যাক। আমরা বোধহয় আসমা বীথির উদ্দোগটিকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে গ্রহণ করতে পারি? কাঁটাগুলো উপড়ে ফেলতে হবে।

  7. আহমেদ মুনির - ৮ জুলাই ২০০৯ (২:৪৭ অপরাহ্ণ)

    সমাজে ও পরিবারগুলোতে এই ধরনের সংস্কার আগে থেকেই রয়েছে। তাই এই ধরনের প্রশ্নপত্র খুব বয়বীয় নয় । আমরা আমাদের লড়াইটা সেভাবে করেছি কী ‍? আধুনিকতা আর ভোগবাদের পার্থক্য আমাদের কাছে মাঝে মাঝে গুলিয়ে যায় । সাধারণ মানুষের মনোভাব পাল্টানোর জন্য কতটুকু কাজ আমরা করেছি ? এই প্রশ্নপত্র প্রনেতার শাস্তি হোক । আর আসুন আমরা নিজের সামনে দাঁড়াই ।রেজাউল করিম সুমনকে ধন্যবাদ আমদের প্রশ্নের মুখোমুখি করার জন্য।

    • রায়হান রশিদ - ৮ জুলাই ২০০৯ (৩:৪০ অপরাহ্ণ)

      আধুনিকতা-ভোগবাদের সাথে স্কুলের ধর্মীয় পাঠ্যক্রমে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পের যোগাযোগটা ঠিক বোধগম্য হল না। বক্তব্যের বাকী অংশের সাথে একমত।

      • আহমেদ মুনির - ৯ জুলাই ২০০৯ (৭:১৫ অপরাহ্ণ)

        রায়হানকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আধুনিকতা আর ভোগবাদের সীমারেখা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না। এটা আমার আত্মোপলব্ধি। কথাটা ব্যাখ্যা করে বলা হয়নি, তাই অপ্রাসঙ্গিক মনে হতে পারে। আমি বলতে চেয়েছি : আমরা যারা আধুনিক, যারা বাঙালি সংস্কৃতির ধারক, তাদের জীবনাচরণ দেখে দেশের সাধারণ নিম্নবর্গের মানুষের ভিন্ন প্রতিক্রিয়া হয় অনেক সময়। আমরা সমাজকে পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যাবার কথা বলি না। অর্থাৎ মানুষের প্রতি আমাদের যে-কমিটমেন্ট, তাকে অস্বীকার করি। সে-অবস্থানে থেকে একজন কৃষকের বা সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের মনস্তত্ত্ব হৃদয় দিয়ে বোঝা সম্ভব নয়। সানকিতে পান্তাভাত আর ইলিশমাছ খেয়ে এ-দেশের কৃষকদের জীবনাচারকে এক মুহূর্তের জন্য নিজের বলে ভাবছি। অথচ এটা সম্পূর্ণতই উপরিতলের চর্চা। আমাদের পরিবার বা সমাজে পিছিয়ে পড়া মানসিকতাকে কী করে আমরা মোকাবেলা করব, সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিচ্ছে। অথচ চ্যালেঞ্জটা আমরা নিচ্ছি উপর-উপর। গা বাঁচিয়ে। অর্থাৎ নিরাপদ অবস্থানে থেকে।

  8. মুয়িন পার্ভেজ - ৯ জুলাই ২০০৯ (৬:৪৯ অপরাহ্ণ)

    যদ্দূর জানি, ‘মুক্তাঙ্গন’ বাঙালিদের জন্য বাঙালিদের দ্বারা গঠিত ব্লগ। যে-বাঙালি সংস্কৃতির ছায়ায় আমাদের প্রাণ জুড়োয়, তার মুখ্য উপাদানই তো বাঙলা। কিন্তু মোহাম্মেদ মুনিম ও শাহনেওয়াজ মোহাম্মাদের ইংরেজিমন্তব্য, মনে হয়, নিজের পায়ে কুড়ুল মারার মতোই ব্যাপার! এই আত্মঘাত কি সাম্প্রদায়িক বিভেদচর্চার চেয়ে কিছু কম?

    • রায়হান রশিদ - ৯ জুলাই ২০০৯ (৮:০০ অপরাহ্ণ)

      কম্পিউটারে বাংলার ব্যবহারটা যত দ্রুত শিখে নেয়া যায় ততো ভাল। অনেকটা আলসেমী করেই অনেকে শিখতে চান না, কিংবা বাংলার উপযোগী করে কম্পিউটার ‍সেটাপ করে নেন না। বাংলা লেখা এখন আগের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশী সহজ; বড় জোর এক সপ্তাহ লাগে আয়ত্ত করতে। আর স্ক্রিনে একেকটা বাংলা অক্ষর ফুটে উঠতে দেখা যে কতখানি প্রাণ জুড়ানো তা যিনি লেখেননি তিনি কোন দিন উপলদ্ধি করতে পারবেন না। শাহনেওয়াজ এবং মোহাম্মদ মুনিম, নিজেকে কিন্তু বঞ্চিত করছেন, বিশ্বাস করুন।

      • মুয়িন পার্ভেজ - ১০ জুলাই ২০০৯ (৬:৫২ পূর্বাহ্ণ)

        ধন্যবাদ, রায়হান রশিদ। আমার গল্পকারবন্ধু ফজলুল কবিরী কথাপ্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘কম্পিউটারে প্রথম যেদিন বাঙলা লিখেছিলাম, সেদিন চোখে পানি এসেছিল। সে-অনুভূতি কী, বোঝানো যায় না।’ রাষ্ট্রভাষা বাঙলা হওয়া সত্ত্বেও আমাদের রাষ্ট্রকাঠামোর ত্বক পুরোপুরি বাঙলা হয়ে ওঠেনি। নামবাহারি বিজ্ঞাপনী ফলকে এখনও ইংরেজিরই দৌরাত্ম্য; বাঙলা যে-টুকু আছে, তাও জগাখিচুড়ি। ‘মুক্তাঙ্গন’ আমাদের অনেক আশার জায়গা। কিন্তু যখন এখানেও ভুল ও বর্জিত বানান দেখি, বিশেষত, উৎসমুখ ‘ভৌগলিক’-এর মতো ভুল বানান, তখন মনখারাপ তো হবেই। যা হোক, আমরা কথাকেন্দ্রে আসতে চাই আবার।

        • মুক্তাঙ্গন - ১০ জুলাই ২০০৯ (৮:০৪ পূর্বাহ্ণ)

          ধন্যবাদ মুয়িন। এমন আরও ভুল থাকতে পারে। চোখে পড়লেই সে সব তুলে ধরলে খুব ভাল হয়। আশা করি তাতে কেউই ব্যক্তিগতভাবে আহত বা লজ্জিত বোধ করবেন না। এটা আসলেই জরুরী। এভাবেই আমরা সবাই মিলে শুদ্ধ বানানের ব্যাপারে একটা সামগ্রিক সচেতনতার জায়গায় পৌঁছাতে পারবো।

      • আসমা বীথি - ১০ জুলাই ২০০৯ (৪:৩২ পূর্বাহ্ণ)

        হ্যাঁ সত্যি, এই কিছুদিন আগে পর্যন্ত কীরকম অসম্ভব মনে হতো কম্পিউটারে বাংলা!

  9. Mohammed Munim - ১০ জুলাই ২০০৯ (৪:৫৬ অপরাহ্ণ)

    I have been following Muktangon for a long time, but could not leave any comment because of my inability and lack of effort to learn Bangla typing. I apologize for breaking the ‘rhythm’ of this discussion with my English comments.
    However, according to ‘Prothom Alo’ reporting, the teacher who prepared the questions has already been fired from the school and the school principal apologized for the incident. Now that the teacher has been fired, what is the next thing he will do? Will he learn from his mistake, or he will join some rural school and continue radicalizing students? Most likely he will do the second thing. My question is was it the right decision to fire him? He could be reprimanded by the school authority and kept in his position. The Islamic education teachers I have seen in my school were madrassa graduates with no respect to progressive thinking, other religions or even very ideals of formation of Bangladesh. They openly made fun of Hindus, mocked Liberation war and freedom fighters in our classrooms. There was no effort to control them by our school authority.
    The teacher in our discussion was more than communal, ‘Shari’ and ‘Dhuti’ are threat to his self identity and ideals. And most of the Islamic education teachers throughout BD share his mindset. While few urbanites celebrate Pahela Baishakh with Shari and Dhuti, a far bigger number of suburbanites and rural Bangladeshis are being dragged into the dark world of radical Islam, and that’s very worrisome.

  10. Mohammed Munim - ১০ জুলাই ২০০৯ (৯:০২ অপরাহ্ণ)

    জয় বাংলা, এখন থেকে বাংলায় লিখবো।

  11. মোহাম্মদ মুনিম - ১১ জুলাই ২০০৯ (১২:১৩ পূর্বাহ্ণ)

    একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিলাম আগের লেখাটি শেষ করে। আমাদের মার্কিনদেশীয় অফিস সহকারীকে invoice-টি শেষ করতে তাগাদা দিলাম, বাংলায়। এছাড়া চমৎকার অনুভূতি। মাউস দিয়ে লিখছি, একেকটি অক্ষর দেখছি আর ভাবছি, এই অক্ষর অনেক রক্ত দিয়ে কেনা, বাঙালির রক্ত — ধুতি, লুঙ্গি আর লাল পাড়ের শাড়ি পরা বাঙালির রক্ত। এই অক্ষর দিয়ে ‘কুফর’ জাতীয় ক্লেদাক্ত শব্দ কী করে লেখা হয়, কে জানে!

    • রায়হান রশিদ - ১১ জুলাই ২০০৯ (৮:০১ পূর্বাহ্ণ)

      ব্যাপারটা বেশ মজার হয়ে গেল। জানি আপনার অনুভূতি। আপনার কাজ আরেকটু সহজ করে দেয়া সম্ভব:
      বেশ কিছু বাংলা কীবোর্ড রয়েছে এখন যেগুলো উচ্চারণ এবং ধ্বনির ওপর ভিত্তি করে ইংরেজী অক্ষরকে বাংলায় রূপান্তর করে। এগুলোতে “a m a r” টাইপ করলে তা “আমার” হয়ে যায়। এই কীবোর্ডগুলো হল:
      অভ্র: ডাউনলোড করে নেয়া যায় (এখান থেকে)
      প্রভাত: সাইটের সাথেই যুক্ত রয়েছে। কীবোর্ডটির লে‌-আউট পাবেন এখানে
      ফোনেটিক: এটিও সাইটের সাথেই যুক্ত রয়েছে।

      যুক্তাক্ষর ইত্যাদির নিয়মগুলো একবার দেখে নিলে আপনার কাজ আরও অনেক সহজ হয়ে যাবে। ধন্যবাদ।

  12. তমসো দীপ - ১৬ জুলাই ২০০৯ (৯:১৬ পূর্বাহ্ণ)

    পড়লাম। আগেও পড়েছি, প্রথম আলোয়। নতুন কিছু নয়।

    • রেজাউল করিম সুমন - ১৬ জুলাই ২০০৯ (১২:৫৩ অপরাহ্ণ)

      কী নতুন নয়?
      এ ধরনের প্রশ্নপত্র? না কি প্রথম আলো-য় আগেই রিপোর্ট ছাপা হয়েছিল এটা নিয়ে?

  13. মোহাম্মদ মুনিম - ১৭ জুলাই ২০০৯ (১২:১০ পূর্বাহ্ণ)

    প্রথম আলো-য় রিপোর্টটি ছাপা হয়েছে সুমনের লেখার পরে। রিপোর্টটি কি তুমি করেছিলে, সুমন?

    • রেজাউল করিম সুমন - ২১ জুলাই ২০০৯ (৯:১৮ পূর্বাহ্ণ)

      না। আমি তো সাংবাদিক নই।

      প্রসূণ তালুকদার প্রথম আলো-কে জানিয়েছিলেন এবং তারও আগে সর্বপ্রথম আলোচনার সূত্রপাত করেছিলেন ফেসবুকে। তবে প্রথম আলো খবরটা ছাপে এর কয়েকদিন পরে। তার আগেই খবর বেরোয় অন্য পত্রিকায়।

  14. প্রসূন তালুকদার - ২৭ জুলাই ২০০৯ (১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ)

    আমি দেবাশীষ দার থেকে পেয়িছলাম । তার পর থেকে কয়েকদিন চেষ্টার পর সাপ্তািহক ২০০০ ও ভোরের কাগজ ছাপলো ।

  15. মাসুদ করিম - ১৫ নভেম্বর ২০০৯ (৫:০৪ অপরাহ্ণ)

    সৃজনশীল প্রশ্ন, এরপর প্রেপ্তার। পড়ুন আজাদীতে ও সমকালে।

    প্রশ্নপত্রে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি
    চট্টগ্রামে স্কুলশিক্ষক গ্রেফতার
    চট্টগ্রাম ব্যুরো
    চট্টগ্রামে স্কুল পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করার অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি হলেন চট্টগ্রাম সিটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইসলাম ধর্ম বিষয়ের
    শিক্ষক
    মোহাম্মদ তজলি্ল আজাদ। গতকাল শনিবার দুপুরে ডবলমুরিং থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত শিক্ষক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে খালেদা জিয়াকে ‘নামাজি’ এবং শেখ হাসিনাকে ‘বেনামাজি’ হিসেবে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
    চট্টগ্রাম সরকারি সিটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় অষ্টম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা। ওই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করেন স্কুলের শিক্ষক তজলি্ল আজাদ। তিনি প্রশ্নপত্রে তিন নম্বর প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীকে ‘বেনামাজি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিন নম্বর প্রশ্নটি ছিল এমন_ ‘হাছিনা ও খালেদা দু’জন বান্ধবী, উভয়ে টেলিভিশনের পর্দায় বসে আছে। এমতাবস্থায় মাগরিবের আযান হল। খালেদা অজু করে নামাজ আদায় করতে গেল। কিন্তু হাছিনা টিভি দেখতে থাকল। পরে খালেদা হাছিনাকে নামাজ না পড়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে বলে মনে চায় নাই যে তাই যায়নি। খালেদা বলল, কেন আত্মার কুমন্ত্রণার বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হবে না। মূলত জিহাদের গুরুত্ব অনেক বেশী।
    ক) জিহাদের সর্বশেষ পর্যায় কী? খ) জিহাদ কাকে বলে? গ) খালেদার কথা মতে হাছিনা কিভাবে জিহাদ করতে পারে? ব্যক্ত কর। ঘ) কুরআন ও হাদীসের আলোকে জিহাদের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।’
    প্রশ্নপত্রটি দেখে অভিভাবকদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের নজরে আসে। পরে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার জন্য শিক্ষক তজলি্ল আজাদকে গ্রেফতার ও অপসারণের দাবি ওঠে। স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী এবং অভিভাবকরা গতকাল শনিবার দুপুরে ওই দাবিতে আইস ফ্যাক্টরি রোডে সিটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ঘেরাও করেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুচরিতা দাশ বিক্ষোভকারীদের শান্ত করেন এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। ডবলমুরিং থানা পুলিশ পরে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে।
    শিক্ষক তজলি্ল আজাদ অবশ্য বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে ছোট-বড় করার জন্য প্রশ্নপত্র তৈরি করেননি। তবে এখন বুঝতে পারছেন, ওই ধরনের প্রশ্নপত্র তৈরি করা ঠিক হয়নি। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেন। তবে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতারা বলছেন, তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। জেনেশুনেই তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার দুঃসাহস দেখিয়েছেন। ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি এমএম বাতেন বলেছেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে এ ব্যাপারে মামলা করা হবে।
    প্রধান শিক্ষিকা সুচরিতা দাশ জানান, অষ্টম শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। নতুন প্রশ্নপত্রে পরে ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও প্রধানমন্ত্রীকে অবমাননার অভিযোগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাকির হোসেন জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    • মুয়িন পার্ভেজ - ১৫ নভেম্বর ২০০৯ (৫:৪৭ অপরাহ্ণ)

      ধন্যবাদ, মাসুদ করিম, এই তথ্য যথাস্থানে যথাসময়ে সংযোজন করার জন্য।

    • বিনয়ভূষণ ধর - ২২ নভেম্বর ২০০৯ (২:১৫ অপরাহ্ণ)

      অবমাননাকর ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্নপত্র আবারও!!! এবারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ভোলাচং উচ্চ বিদ্যালয়ে। প্রথম আলো-র বিস্তারিত প্রতিবেদন:

      প্রশ্নপত্রে হাসিনার বান্ধবী মতিয়া চৌধুরী
      তারিখ: ২০-১১-২০০৯

      ‘হাসিনার মামা আমেরিকা থাকেন। তিনি প্রায়ই ফোনে হাসিনার খোঁজখবর রাখেন। তিনি একদিন ফোনে জানালেন, হাসিনার বায়োডাটা ই-মেইল করতে। হাসিনা ই-মেইল শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু ই-মেইল কীভাবে করতে হয়, এর সুবিধা কী এবং এর জন্য কী কী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হয়, তা সে জানে না। সে তার বান্ধবী মতিয়া চৌধুরীর শরণাপন্ন হয়। মতিয়া চৌধুরী হাসিনাকে সবকিছু বুঝিয়ে দিল এবং বলল, ফ্যাক্সের মাধ্যমে অল্প সময়ে যোগাযোগ করা সম্ভব—এ বলে হাসিনাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করল।’
      এটি নবম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় সাধারণ বিজ্ঞান (সৃজনশীল) বিষয়ের প্রশ্নের একটি অংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ভোলাচং উচ্চবিদ্যালয়ে শুরু হয় এ পরীক্ষা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর নাম অবমাননাকরভাবে ব্যবহারের অভিযোগে পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গিয়াস উদ্দিন ও জীববিজ্ঞানের জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা সেলিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
      ভোলাচং উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষক পার্থ পাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশ্নপত্র বিলি করা হয়। প্রশ্নটি পড়ে আমরা দেখি, একটি অনুচ্ছেদে প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর নাম অবমাননাকরভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানিয়ে পরীক্ষা বাতিলের অনুরোধ করি, কিন্তু তিনি তা করেননি।’ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নের ওই অনুচ্ছেদের বিষয়টি কয়েকজন অভিভাবক জেনে ফেলেন। অভিভাবক শেখ মিজানুর রহমান ও জগদীশ সাহা জানান, বিষয়টি আমরা নবীনগর থানার পুলিশকে জানাই। প্রশ্নপত্রে এভাবে প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর নাম ব্যবহারের বিষয়টি খুব দুঃখজনক। এতে বিদ্যালয়ের সঙ্গে এলাকার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। বেলা পৌনে ১২টার দিকে পুলিশের একটি দল বিদ্যালয়ে গিয়ে সব প্রশ্নপত্র জব্দ করে। প্রশ্ন করার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক ও জীববিজ্ঞানের ওই শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
      জীববিজ্ঞানের শিক্ষক সেলিনা বেগম বলেন, ‘প্রশ্ন তৈরির সঙ্গে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই। প্রধান শিক্ষক নিজে প্রশ্নটি বাইরে থেকে কিনে এনেছেন।’
      প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘প্রশ্নকুটির নামে কুমিল্লার শহরের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এসব প্রশ্ন কিনে আনি। প্রশ্ন না দেখেই পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা বাতিল করে দিই।’ নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপক কুমার সাহা বলেন, প্রশ্নপত্রে প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর নাম অবমাননাকরভাবে ব্যবহারের অভিযোগে ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপপরিদর্শক (এসআই) প্রভাষচন্দ্র ধর বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

      • রেজাউল করিম সুমন - ২২ নভেম্বর ২০০৯ (২:৩০ অপরাহ্ণ)

        … এবং আবারও! আজকের প্রথম আলো থেকে —

        চট্টগ্রামের স্কুলের প্রশ্নপত্র
        মাওলানা নিজামীর দেশপ্রেম!
        নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | তারিখ: ২২-১১-২০০৯

        ‘নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও: মাওলানা নিজামী সাহেব রিয়াজউদ্দিন বাজারের আজমির ক্লথ স্টোরে গিয়ে বললেন, আমাকে একটি শাড়ী কাপড় দিন। দোকানদার পেছন থেকে দুটি শাড়ী কাপড় এনে বললেন হুজুর এ দুটি খুব ভাল, ইন্ডিয়ান কাপড়। নিজামী সাহেব বললেন, আমি ইন্ডিয়ান কাপড় চাই না। আমাকে ভাল দেশি কাপড় দিন। দোকানদার ভাল দুটি দেশি কাপড় দিলেন এবং বললেন, হুজুর আপনার মত যদি দেশের সবার স্বদেশ প্রেম থাকত, তাহলে আমরা অনেক উন্নতি করতে পারতাম।

        ক. স্বদেশ প্রেম কাকে বলে? খ. মাওলানা নিজামী ইন্ডিয়ান কাপড় কিনতে চাইলেন না কেন? গ. একজন মানুষ কিভাবে দেশের প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে? ঘ. ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে স্বদেশ প্রেমের গুরুত্ব সীমাহীন— মূল্যায়ন কর।’

        ওপরের অংশটি ছিল চট্টগ্রাম মুসলিম হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের প্রশ্নপত্রের সৃজনশীল অংশের। গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শুরুর আগে স্কুল কর্তৃপক্ষ কলম দিয়ে ‘মাওলানা নিজামী’ কেটে ‘রহিম’ সংযুক্ত করে। আর ‘ইন্ডিয়া’ কেটে যুক্ত করা হয় বিদেশি। মুসলিম হাইস্কুলের শিক্ষক মো. ওয়াহিদুল হক নূরী এই প্রশ্নপত্রের প্রণেতা বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, জামায়াতে ইসলামীর আমিরের নাম মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী।

        গত বৃহস্পতিবার এই প্রশ্নপত্র দেখে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অভিভাবকেরা প্রথম আলোর চট্টগ্রাম কার্যালয়ে যোগাযোগ করে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেন।

        শিক্ষক মো. ওয়াহিদুল হক নূরী আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, “আমার নামও নিজামী ছিল। বাবা তা পরিবর্তন করে নূরী রেখেছেন। আমার পরিবারের কয়েকজনের নাম নিজামী। ওই কারণে আমি প্রশ্নপত্রে ‘মাওলানা নিজামী’ নাম ব্যবহার করেছি।”

        এক প্রশ্নের জবাবে ওয়াহিদুল বলেন, স্কুলে বিতর্ক হবে এমন আশঙ্কায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিয়াউদ্দিন ‘মাওলানা নিজামী’ কেটে ‘রহিম’ নাম জুড়ে দেন। জিয়াউদ্দিন ১১ নভেম্বর মুসলিম হাইস্কুলে যোগ দেন। আর ওই প্রশ্নপত্রের অনুমোদন দিয়ে গেছেন সাবেক প্রধান শিক্ষক জসিমউদ্দিন, যিনি এখন কক্সবাজার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

        মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এম আর আজিম এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘মুসলিম হাইস্কুলে অন্তত সাতজন শিক্ষক প্রত্যক্ষভাবে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিভিন্ন সময়ে কৌশলে তাঁরা ছাত্রদের মধ্যে জামায়াতের মতাদর্শ প্রচার করেন। এই প্রশ্নপত্র সেই অপকৌশলেরই অংশ। ওই শিক্ষকদের অবশ্যই চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে নিতে হবে। নইলে আমরা আন্দোলনে যাব।’

        কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মাহমুদ প্রশ্নপত্রের ওই অংশটিকে স্পর্শকাতর অভিহিত করে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জানার পর তদন্ত শুরু করেছি। ওই শিক্ষক সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলেই এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

  16. মাসুদ করিম - ২৪ নভেম্বর ২০০৯ (৯:০৩ পূর্বাহ্ণ)

    এবার পড়ুন এখানে সুলভমূল্যে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়সৃজনশীল প্রশ্ন নিয়ে বিপত্তি, সরকারের আট দফা নির্দেশনা

    ‘এখানে সুলভমূল্যে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়’—কুমিল্লা শহরের বেশ কয়েকটি দোকানে এ ধরনের লেখাসংবলিত সাইনবোর্ড টাঙানো রয়েছে। সরকারি ও প্রতিষ্ঠিত দু-একটি বেসরকারি বিদ্যালয় ছাড়া কুমিল্লা বোর্ডের অধিকাংশ বিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করা হয় এই দোকানগুলো থেকে।
    জানা গেছে, শহরের প্রশ্নবিপণি, পুঁথিপত্র, প্রশ্নবিতান, প্রশ্ননীড়, কুমিল্লা প্রশ্নভাণ্ডার, প্রশ্নালোক, কুমিল্লা প্রশ্নসম্ভার, ছাপাবিতান, সৈয়দ প্রশ্নঘর ও পাঠচক্র থেকে সবচেয়ে বেশি প্রশ্নপত্র বিক্রি হয়।

    এ ব্যাপারে পুঁথিপত্র প্রকাশনীর পরিচালক নিজাম উদ্দিন মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ‘সৃজনশীল প্রশ্ন চালু হওয়ার কারণে গ্রামের শিক্ষকদের প্রশ্নপত্র করতে অসুবিধা হচ্ছে। আমরা শহরের বিভিন্ন নামকরা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দিয়ে প্রশ্ন করে থাকি। এ ক্ষেত্রে তাঁদের সম্মানী দিতে হয়। তবে অধিকাংশ দোকানে ঢালাওভাবে প্রশ্নপত্র করে বিক্রি করা হয়।’

    অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো নিজেরা প্রশ্ন তৈরি করলেও অধিকাংশ বেসরকারি বিদ্যালয় প্রশ্নপত্র বাইরে থেকে কেনে। এ ক্ষেত্রে দেশের অধিকাংশ উপজেলায় প্রচলিত নিয়ম হচ্ছে, শিক্ষক সমিতির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র তৈরি করে তা বিক্রি করা। সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হওয়ার পর এই নিয়ম আরও জোরদার হয়েছে এবং কেনা প্রশ্নের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে। প্রত্যেক উপজেলার অধিকাংশ বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বা অন্য কোনো উপায়ে তৈরি করা প্রশ্নপত্র কিনেছে।

    সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে গঠন করা হয়েছিল সাত সদস্যের কমিটি। ওই কমিটির সদস্য শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আগামী পাঁচ বছর সৃজনশীল প্রশ্ন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তৈরি করে তা বিতরণের প্রস্তাব দিয়েছি। এটা ছাড়া বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান হবে বলে মনে হয় না।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সৃজনশীল প্রশ্নকে আন্তরিকভাবে কেউ কেউ মেনে নিতে পারেনি। কারণ, এটা চালু হলে অনেকের সমস্যা হবে। তা ছাড়া কিছু শিক্ষকের বোঝার সীমাবদ্ধতা আছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে যাঁরা বিষয়টি আয়ত্ত করতে পেরেছেন, তাঁদের দিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করে কেন্দ্রীয়ভাবে বিতরণ করা যেতে পারে।
    জানা যায়, সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি এবার প্রথম চালু হওয়ায় শিক্ষকেরাও কিছুটা বিভ্রান্ত। এ জন্য মফস্বলের স্কুলগুলো অন্যের তৈরি করা প্রশ্নপত্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। এ নিয়ে বিতর্কিত কিছু ঘটনাও ঘটে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির নাম প্রশ্নপত্রে ব্যঙ্গাত্মকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
    এ প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ হরিমোহন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজমেরি খাতুন বলেন, কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটা করলে তা আপত্তিকর। কিন্তু এ ধরনের প্রশ্ন করতে গিয়ে শিক্ষকেরা বিপাকে পড়ছেন। দৃষ্টান্ত হিসেবে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে মাসুদের নাম উল্লেখ করা হলো। এখন মাসুদ নামের যেকোনো কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে আপত্তি করতে পারেন।
    শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের প্রধান সমন্বয়কারী মো. সেলিম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের প্রশ্নপত্র নিজেদের তৈরি করা উচিত। কিছু স্থানে সমিতির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র তৈরি হয়ে আসছে। মফস্বলে আর্থিকভাবে অসচ্ছল প্রতিষ্ঠান এ প্রশ্ন নিয়ে পরীক্ষা সম্পন্ন করে। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে প্রশ্ন হলেও সমস্যা হতে পারে। কারণ, সব স্কুলের শিক্ষার্থীদের মান সমান নয়।
    সিলেট বোর্ডের চেয়ারম্যান এস এম আব্দুল খালেক প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিটি বিদ্যালয়ের উচিত নিজেদের প্রশ্ন নিজেরা তৈরি করা। কারণ, এর মাধ্যমে একজন শিক্ষকের মান ও দক্ষতা যাচাই করা যায়।

  17. রেজাউল করিম সুমন - ২৭ মে ২০১৫ (১:২৮ পূর্বাহ্ণ)

    এবার প্রশ্ন উঠেছে হলি ক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির একই বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্নপত্র নিয়ে।

    নারীর পোশাককে দায়ী করে স্কুলের প্রশ্নপত্র
    হাসিবা আলী বর্ণা, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, ২৬ মে ২০১৫

    যৌন নিপীড়নের জন্য নারীর পোশাকের দিকে ইঙ্গিত করে প্রশ্ন হয়েছে রাজধানীর খ্যাতনামা একটি স্কুলে।

    এ প্রশ্ন পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে এই বালিকা বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী অস্বস্তিতে ভোগার কথা জানিয়েছেন। এতে শিক্ষার্থীদের মনে দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

    হলি ক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির প্রথম সাময়িকীর ইসলাম ধর্ম (সৃজনশীল) পরীক্ষা হয় গত সোমবার। ৫০ নম্বরের প্রশ্নপত্রের ৫ নম্বর প্রশ্নে নারীকে অবমাননা এবং নারীর পোশাককে উদাহরণ টেনে নারীর প্রতি সহিংসতা উস্কে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

    ৫ নম্বর প্রশ্নে বলা হয়েছে,

    “সানজিদার চালচলন, বেশভূষা ও কথাবার্তায় বেশ মার্জিত সবাই তার সাথে সদাচরণ করে। অপরপক্ষে তার সহপাঠী রুমানা আটসাঁট পোশাক পরে। তাই সে গেঞ্জি ও জিন্সের প্যান্ট পরে প্রতিবছর বৈশাখী মেলাসহ বিভিন্ন মেলায় অংশ গ্রহণ করে। মাঝে মধ্যে সে অনেক সমস্যায় পড়ে, তার কথাবার্তা চালচলন মার্জিত নয়। পাড়ার ছেলেরা অনেক সময় তাকে উত্যক্ত করে। এ বছর বৈশাখী মেলায় ঘটে যাওয়া বিষয় সম্পর্কে রুমানা –সানজিদাকে জানালে সানজিদা তাকে পোশাক পরিচ্ছদে শালীনতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়।”

    ক. শালীনতা কী? ১
    খ. রুমানা পোশাক পরিচ্ছদে শালীনতা অবলম্বন করবে কেন? ব্যাখ্যা কর। ২
    গ. সানজিদাকে অনুসরণ করে আমরা কীভাবে সামাজিক অবক্ষয় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারি? ব্যাখ্যা কর। ৩
    ঘ. সুস্থ, সুন্দর সমাজ গঠনে শালীনতার তাৎপর্য ও গুরুত্ব কুরআন- হাদীসের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

    বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের ছয়টি সেকশনের শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষায় অংশ নেন। আবদুল হাই ও জিন্নাত আলী নামে দুই শিক্ষক বিদ্যালয়ের মর্নিং ও ডে শিফটে ইসলাম শিক্ষার ক্লাশ নেন বলে শিক্ষার্থীরা জানান। তবে কে এই প্রশ্ন প্রণয়ন করেছেন তা জানা যায়নি।

    নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, প্রশ্নপত্রে এই প্রশ্ন আসার পর অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। অনেকে অস্বস্তিতে ভুগছেন বলেও জানিয়েছেন।

    এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ও বেসরকারি সংস্থা গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা যে বা যারাই করুক, কোন একটা উদ্দেশ্য নিয়ে করেছেন। কিন্তু আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্য হল- মানুষকে জ্ঞানের জগতে পরিচিত করানো। সেখানে নৈতিকতা বা ধর্ম শিক্ষার নামে ব্যক্তিগত উদাহরণ টেনে মেয়েদের টার্গেট করে নেতিবাচক ধারণা দেওয়া হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মনে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ”

    তিনি বলেন, “এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এখানে ছেলেদের তো উদাহরণ টেনে বলা হয়নি। টার্গেট তো মেয়েদের করা হয়েছে। ছেলেরাও তো গেঞ্জি, জিন্স পরে, মেলায় যায়। কিন্তু মেয়েদের টার্গেট করে নেতিবাচক ধারণা দেওয়া হয়েছে।

    “এটি যে কোন নারীর মানবাধিকারকে অবজ্ঞা করার শামিল। শিক্ষার মাধ্যমে মানবাধিকার অবজ্ঞা করার এই শিক্ষা আমরা দিতে পারি না। সে অধিকার আমাদের নেই।

    “মেয়েদের নির্যাতনের কারণ হিসেবে সামাজিক আচরণকে দায়ী না করে মেয়েদের পোশাক- পরিচ্ছদকে দায়ী করার প্রবণতা কোনো স্বাস্থ্যকর প্রবণতা নয়। সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয়, এতে নারীর উপর নির্যাতন, নারীকে অবদমন করাকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।”

    গত ১৪ এপ্রিল বর্ষবরণ উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় নারীদের উপর নিপীড়নের ঘটনা দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবিতে এখনো আন্দোলন করছে বিভিন্ন সংগঠন। ঘটনার ফুটেজ দেখে আটজনের চিত্র প্রকাশ করে তাদের ধরিয়ে দিতে পারলে প্রত্যেকের জন্য লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।

    এরইমধ্যে রাজধানীর একটি স্কুলে এ ধরনের প্রশ্ন করা নিয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, “এটি একটি সেনসেটিভ বিষয়। এ ধরনের বিষয় প্রশ্নপত্রে পরিহার করাই ভালো।”

    এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে হলি ক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিস্টার রানী ক্যাথরিন গোমেজকে অফিসের ফোনে একাধিকবার কল করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

  18. বিনয়ভূষণ ধর - ২৭ মে ২০১৫ (১২:৪৭ অপরাহ্ণ)

    পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে দিনদিন খারাপের দিকেই যাচ্ছে! জিহাদের ডাক বুঝি এসেই গেলো!

  19. বিনয়ভূষণ ধর - ২৭ মে ২০১৫ (৪:২৪ অপরাহ্ণ)

    যৌন নিপীড়নের জন্য
    নারীর পোশাকের দিকে
    ইঙ্গিত করে পরীক্ষার
    প্রশ্নপত্র তৈরির ঘটনায় ‘দুঃখ’
    প্রকাশ করেছেন রাজধানীর
    খ্যাতনামা স্কুল হলিক্রস উচ্চ
    বালিকা বিদ্যালয়ের
    প্রধান শিক্ষক সিস্টার
    রানী ক্যাথরিন গোমেজ।…..

    http://m.bdnews24.com/bn/detail/bangladesh/973972

  20. রেজাউল করিম সুমন - ১০ জুন ২০১৫ (৭:৫১ পূর্বাহ্ণ)

    স্কুলপ্রশ্নে ফের নারীপোশাককে আক্রমণ

    ৯ জুন ২০১৫

    হলিক্রসের পর যৌন নিপীড়নের জন্য মেয়েদের পোশাককে দায়ী করে আবার পরীক্ষায় প্রশ্ন হয়েছে ঢাকার আরেকটি স্কুলে।

    এই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক পরীক্ষার্থী জানায় মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা (সৃজনশীল) এর পরীক্ষায় এই প্রশ্ন হয় বলে জানায়।

    ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অর্ধবার্ষিক এই পরীক্ষার ৮ নং প্রশ্নে লেখা হয়, ‘ফারিয়া আইডিয়াল স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। সে পোশাক পরিচ্ছদ ও চলাফেরায় অতি আধুনিকতার ছাপ ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করে। স্কুলে ও কোচিং এ যাওয়ার সময় এলাকার বখাটে ছেলেরা তার পিছু নেয়। বাধ্য হয়ে তার মা নিজে বা অন্যকারো সাথে তাকে কোচিং এ পাঠান। ধর্মীয় শিক্ষক শারমিন আপা বললেন, নারী পুরুষ শালীনতার সঙ্গে চললে এবং শালীন পোশাক পরলে অনেক অঘটন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।’

    ৮ নং প্রশ্নের ঘ নম্বরে বলা হয়েছে, ফারিয়া কীভাবে চললে বখাটে ছেলেদের হাত থেকে বাঁচতে পারে?

    ওই ছাত্রের মতে, দিবা শাখার প্রায় তিনশ শিক্ষার্থী এই প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে। তবে প্রভাতি শাখায় একই প্রশ্নে পরীক্ষা হয়েছে কিনা তা জানে না।

    এর আগে হলি ক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির প্রথম সাময়িকীর ইসলাম ধর্ম (সৃজনশীল) পরীক্ষায় যৌন নির্যাতনের জন্য নারীর পোশাককে দায়ী করে প্রশ্ন করা হয়।

    শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে আপত্তি জানালে গত ২৫ মে এই প্রশ্নপত্রটি নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন হয়।

    ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর স্কুল কর্তৃপক্ষ দু:খ প্রকাশ করে। পাশাপাশি ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, শিগগিরই সব বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে আন্তঃবোর্ড বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    তিনি বলেন, “ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে এ ধরনের বিষয় পরিহার করা উচিত ছিল। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যারা প্রশ্ন করেন বোর্ড থেকে তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। শিক্ষকরা সিগনেচার দিয়ে যান সে নির্দেশনায়। তারা এ সব জানেন না তা নয়, ট্রেইনিংয়ে এসব বিষয় নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়। এরপরও প্রশ্ন সংক্রান্ত বিষয়ে বিপত্তি ঘটে।”

  21. জসিমউদ্দিন - ২৮ অক্টোবর ২০১৭ (৯:৩১ অপরাহ্ণ)

    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবার প্রশ্নবিদ্ধ!

    ২৭ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে প্রথম আলোয় প্রকাশিত নিজস্ব প্রতিবেদকের পাঠানো প্রতিবেদন :

    * * *
    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
    ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে প্রশ্ন

    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ‘আই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বইছে। এমন প্রশ্নের প্রতিবাদ ও জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।

    গত বুধবার অনুষ্ঠিত ‘আই’ ইউনিটের দুই নম্বর সেট কোডের প্রশ্নপত্রের ৪১ নম্বর প্রশ্নে বলা হয়েছে, ‘মুসলমান রোহিঙ্গাদের উপর মায়ানমারের সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা সশস্ত্র হামলা চালায় কত তারিখে?’ ৭৬ নম্বর প্রশ্নে বলা হয়েছে, ‘পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থের নাম কি?’ এর চারটি বিকল্প উত্তর হিসেবে লেখা রয়েছে পবিত্র কোরআন শরিফ, পবিত্র বাইবেল, পবিত্র ইঞ্জিল ও গীতা। গীতার আগে ‘পবিত্র’ লেখা নেই।

    এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে প্রশ্ন প্রণয়নকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট। মানববন্ধনে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি প্রদীপ মার্ডী বলেন, উত্তরের বিকল্পগুলোর মধ্যে যদি চারটি ধর্মগ্রন্থের নাম দেওয়া থাকে, তাহলে পরীক্ষার্থীরা এর সঠিক উত্তর কী দেবেন? চারুকলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় এমন প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাম্প্রদায়িক চিন্তার প্রতিফলন ঘটিয়েছে।

    এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্র ফেডারেশনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারুকলা অনুষদের অধিকর্তা (ডিন) মুস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, একদিক দিয়ে এটাকে ভুল বলা যাবে না। কারণ, শিল্পকলার ধারণা আসলে তৈরি হয়েছিল ধর্মীয় চেতনা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য থেকে, সে কারণেই হয়তো এ ধরনের প্রশ্ন চলে এসেছে। প্রাচীন গুহাবাসী এ কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এ জন্য পরীক্ষার সময় তিনি প্রতিটি হলের নিয়ন্ত্রণকক্ষে জানিয়ে দিয়েছেন, এই প্রশ্নের সব উত্তরই সঠিক। তার পরও ব্যাপারটা কীভাবে ঘটল, বিভাগের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বসে তা খতিয়ে দেখা হবে। এ জন্য কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যবস্থা গ্রহণের তো কিছু নেই।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি তাঁরা ফেসবুক ও অন্যান্য মাধ্যম থেকে জানতে পেরেছেন। জানার পরই তাঁরা চারুকলা অনুষদের ডিনকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। ডিনকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হবে। এই প্রশ্ন প্রণয়নের সঙ্গে কোন কোন শিক্ষক জড়িত, তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে। তাঁরা এটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। তবে কোনোমতেই এটা ভুলক্রমে হওয়ার কথা নয়। তিনি বলেন, এ ধরনের প্রশ্ন সাধারণভাবে গ্রহণযোগ্য হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বিধি অনুযায়ী এই প্রশ্ন প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.