আমি চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র নই। গত ২৪ জুন ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত ইসলাম শিক্ষার টিউটোরিয়াল পরীক্ষার প্রশ্নপত্রটি আমার নজরে পড়ার কথা ছিল না; তারপরও তার প্রথম পৃষ্ঠাটি এসে পৌঁছয় আমার হাতে, দিন কয়েক পর!
. . .
চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ
টিউটোরিয়াল পরীক্ষা
দশম শ্রেণী
ইসলাম শিক্ষা
সময় : ৪০ মিনিট পূর্ণমান : ২৫
১। নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং তৎসংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নাফিজ এবং সুমন সিদ্ধান্ত নিল যে ১লা বৈশাখে তারা ধুতি পরবে ও কপালে তিলক পরবে। হৃদি ও শবনম পরিকল্পনা করল যে, তারা লাল পারের [পাড়ের] শাড়ীর সাথে কপালে মানানসই টিপ পরবে। তারা সারাদিন ডিসি হিলে সময় কাটাবে। তাদের প্রত্যেকের পিতা মাতা মুসলিম এবং তারাও নিজেকে মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেয়।
ক) চার বন্ধুর কাজের পরিচয় দাও। ১
খ) মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও তাদের এই ধরনের কাজ করার মূল কারণ কী? ২
গ) মুসলমানগণ কিভাবে এই ধরণের কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে পারে? ৩
ঘ) কুফরের পরিণতি বর্ণনা কর। ৪
২। নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং তৎসংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আল কুরআন অনন্ত জ্ঞানের উৎস। মানবজীবনের যাবতীয় সমস্যা ও জিজ্ঞাসার সমাধান কুরআন মাজীদে বর্ণিত আছে। মানুষের ইহকালীন, আধ্যাত্মিক ও কর্মজীবনের যা কিছু প্রয়োজস [প্রয়োজন] তার সবই পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে।
ক) আসমানী কিতাবের পরিচয় দাও। ১
খ) সহীফা কী? সহীফার সংখ্যা কত? ২
গ) মানব জাতীর [জাতির] নৈতিক চরিত্র গঠনে পবিত্র কুরআন মাজীদ কি [কী] শিক্ষা দেয়? ৩
ঘ) আল-কুরআনের গুরুত্ব, মহাত্ব্য [মাহাত্ম্য] ও শ্রেষ্ঠত্ব মূল্যায়ন কর। ৪
[এই দুটি প্রশ্নের মান সাকুল্যে ২০; ৫ নম্বরের ৩য় আরেকটি প্রশ্ন নিশ্চয়ই পরের পৃষ্ঠার ছিল, যা আমি পাইনি।]
এই প্রশ্নপত্রের ধরণ দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, এর লক্ষ্য শিক্ষার্থীর ‘কম্প্রিহেনশন’ বা ‘উপলব্ধির ক্ষমতা’ যাচাই করা। নিজেকে কল্পনায় চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রের ভূমিকায় দাঁড় করিয়ে উপলব্ধি করি যে, আমার ‘উপলব্ধির ক্ষমতা’ বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে!
২ নং প্রশ্নের ৪টি খণ্ডপ্রশ্নের উত্তর দিয়ে ১০-এর মধ্যে হয়তো ৬/৭ পেয়ে যাব; কিন্তু যত গন্ডগোল ১ম প্রশ্নটি নিয়ে। এর ‘অনুচ্ছেদ’ অংশটির মর্মোদ্ধার করতেই গলদঘর্ম হবার উপক্রম! ‘তৎসংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর’ উত্তর খোঁজার আগে আমার জানতে ইচ্ছে করছে :
ক) কে এই প্রশ্নকর্তা?
খ) কারা এই প্রশ্নপত্রটি অনুমোদন করলেন?
গ) শিক্ষার্থীরাই-বা কী উত্তর দিল এসব প্রশ্নের?
ঘ) অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
ঙ) ধর্মীয় শিক্ষার নামে/পরিবর্তে শিক্ষাঙ্গনে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধির চর্চাকে আমরা কীভাবে ব্যাখ্যা করব? এর সম্ভাব্য প্রতিকারই-বা কী?
Have your say
You must be logged in to post a comment.
৩৬ comments
মাহতাব - ৬ জুলাই ২০০৯ (১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ)
সুমন, প্রশ্নটা আমারও। প্রত্যকে মানুষের জীবনেই ধর্ম শিক্ষার প্রয়োজন আছে। কিন্তু এখানে যে-ধরনের ধর্ম শিক্ষা দেওয়া হয়, তার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সাম্প্রদায়িক মানুষ তৈরি করা।
মুয়িন পার্ভেজ - ৭ জুলাই ২০০৯ (৯:১৮ পূর্বাহ্ণ)
রেজাউল করিম সুমনের উপস্থাপিত পাঁচটি প্রশ্নই চিন্তাপ্রসারী। প্রথম প্রশ্নের উত্তর হয়তো কিঞ্চিৎ খোঁজখবর নিলেই পাওয়া যেতে পারে, দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় : বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তৃতীয় ও চতুর্থ প্রশ্নের উত্তর গবেষণাসাপেক্ষ। পঞ্চম প্রশ্নটি নিয়ে আলোচনায় বসা যায়।
আমরা আসলে সেই বর্বর জাতি যারা ভাস্কর্যকে মূর্তিজ্ঞানে বিসর্জন দিই, ধর্মকে বর্ম বানিয়ে কুরুক্ষেত্রের আয়োজন করি বা সংবিধানকে রাফখাতা ভেবে কাটাকুটি করি। আমাদের প্রশ্নপত্রও যে প্রশ্নাতীত হয় না — এটাই স্বাভাবিক।
প্রতিকারের উপায়? প্রচারণা। লেখায়, আঁকায়, কথায়। যদি কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙে!
আসমা বীথি - ৭ জুলাই ২০০৯ (২:২২ অপরাহ্ণ)
কুম্ভকর্ণ কে মুয়িন? মহান ইশ্বর,না এ-জাতির বিবেক?যদি ইশ্বর হয় তার ঘুম কি ভাঙ্গবে!আমরা বরং পাশের বন্ধুটির দিকে তাকাই। সাম্প্রদায়িক চিন্তার সূক্ষ্ম কোনো কাঁটাও যদি লুকিয়ে হাত মেলাতে আসে তবে ফিরিয়ে দিই তাকে।
প্রশ্নপত্রের ঘটনাটি এরকমই ঘটতে থাকা চারপাশের অসংখ্য ঘটনার একটি নমুনা।চলুক লেখা,আঁকা এবং কথার সরব প্রতিবাদ।
রেজাউল করিম সুমন - ৭ জুলাই ২০০৯ (১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ)
Mohammed Munim - ৭ জুলাই ২০০৯ (৬:৫৩ অপরাহ্ণ)
Thanks to Sumon for highlighting such an interesting topic. A few years ago, there was a question in SSC exam regarding Eid observance (How do you spend your Eid day?) directed to all the students. These kinds of stupid questions were on exam papers before and they will be in future. On the other hand, Phahela Baishakh festival will get bigger and bigger and more Nafis’ and Ridis (quite a secular name) will wear Dhuti and Shaari. Because that’s where they belong.
Shahnewaz Mohammad - ৭ জুলাই ২০০৯ (৭:১৮ অপরাহ্ণ)
Wow! I was so shocked to see such questions, and I can’t believe that those were directed towards those kids of 10th grade! After spending so many years at graduate schools, I even don’t know how to answer those questions! This shows how our education system has been vulnerable! Its really alarming! Its also alarming when our so called “educated society” (including parents of those schools) are keeping silent!
Thanks Sumon for highlighting this very critical problem of your education system!
সাইদুল ইসলাম - ৮ জুলাই ২০০৯ (১১:০৯ পূর্বাহ্ণ)
এ দেশের কুম্ভকর্ণরা যে জেগে ঘুমায়, তাদের ঘুম কি ভাঙবে?আমরা মুখোশের আড়ালে এ চিত্রটিই তো ধারণ করছি। নাহলে এত স্বাধীনতার এত বছর পরও কেন ভেদবুদ্ধির কোনো পরিবর্তন ঘটল না?
যারা ধর্ম নিয়ে চিন্তা করেন, ভাবেন, মানবতার পক্ষে কখনও কখনও ধর্মকে প্রতিস্থাপন করেন, অর্থাত ইসলামী চিন্তাবিদ, ধর্মকে যে এভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, এ ব্যাপারে তারা কী বলেন?এ যে প্রকৃত ধর্ম নয় এ সম্পর্কে তারা কী ভূমিকা পালন করবেন, দেখা যাক। আমরা বোধহয় আসমা বীথির উদ্দোগটিকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে গ্রহণ করতে পারি? কাঁটাগুলো উপড়ে ফেলতে হবে।
আহমেদ মুনির - ৮ জুলাই ২০০৯ (২:৪৭ অপরাহ্ণ)
সমাজে ও পরিবারগুলোতে এই ধরনের সংস্কার আগে থেকেই রয়েছে। তাই এই ধরনের প্রশ্নপত্র খুব বয়বীয় নয় । আমরা আমাদের লড়াইটা সেভাবে করেছি কী ? আধুনিকতা আর ভোগবাদের পার্থক্য আমাদের কাছে মাঝে মাঝে গুলিয়ে যায় । সাধারণ মানুষের মনোভাব পাল্টানোর জন্য কতটুকু কাজ আমরা করেছি ? এই প্রশ্নপত্র প্রনেতার শাস্তি হোক । আর আসুন আমরা নিজের সামনে দাঁড়াই ।রেজাউল করিম সুমনকে ধন্যবাদ আমদের প্রশ্নের মুখোমুখি করার জন্য।
রায়হান রশিদ - ৮ জুলাই ২০০৯ (৩:৪০ অপরাহ্ণ)
আধুনিকতা-ভোগবাদের সাথে স্কুলের ধর্মীয় পাঠ্যক্রমে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পের যোগাযোগটা ঠিক বোধগম্য হল না। বক্তব্যের বাকী অংশের সাথে একমত।
আহমেদ মুনির - ৯ জুলাই ২০০৯ (৭:১৫ অপরাহ্ণ)
রায়হানকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আধুনিকতা আর ভোগবাদের সীমারেখা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না। এটা আমার আত্মোপলব্ধি। কথাটা ব্যাখ্যা করে বলা হয়নি, তাই অপ্রাসঙ্গিক মনে হতে পারে। আমি বলতে চেয়েছি : আমরা যারা আধুনিক, যারা বাঙালি সংস্কৃতির ধারক, তাদের জীবনাচরণ দেখে দেশের সাধারণ নিম্নবর্গের মানুষের ভিন্ন প্রতিক্রিয়া হয় অনেক সময়। আমরা সমাজকে পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যাবার কথা বলি না। অর্থাৎ মানুষের প্রতি আমাদের যে-কমিটমেন্ট, তাকে অস্বীকার করি। সে-অবস্থানে থেকে একজন কৃষকের বা সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের মনস্তত্ত্ব হৃদয় দিয়ে বোঝা সম্ভব নয়। সানকিতে পান্তাভাত আর ইলিশমাছ খেয়ে এ-দেশের কৃষকদের জীবনাচারকে এক মুহূর্তের জন্য নিজের বলে ভাবছি। অথচ এটা সম্পূর্ণতই উপরিতলের চর্চা। আমাদের পরিবার বা সমাজে পিছিয়ে পড়া মানসিকতাকে কী করে আমরা মোকাবেলা করব, সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিচ্ছে। অথচ চ্যালেঞ্জটা আমরা নিচ্ছি উপর-উপর। গা বাঁচিয়ে। অর্থাৎ নিরাপদ অবস্থানে থেকে।
রায়হান রশিদ - ৯ জুলাই ২০০৯ (৭:৫৪ অপরাহ্ণ)
এভাবে ভাবা হয়নি কখনো। ধন্যবাদ মুনির।
মুয়িন পার্ভেজ - ৯ জুলাই ২০০৯ (৬:৪৯ অপরাহ্ণ)
যদ্দূর জানি, ‘মুক্তাঙ্গন’ বাঙালিদের জন্য বাঙালিদের দ্বারা গঠিত ব্লগ। যে-বাঙালি সংস্কৃতির ছায়ায় আমাদের প্রাণ জুড়োয়, তার মুখ্য উপাদানই তো বাঙলা। কিন্তু মোহাম্মেদ মুনিম ও শাহনেওয়াজ মোহাম্মাদের ইংরেজিমন্তব্য, মনে হয়, নিজের পায়ে কুড়ুল মারার মতোই ব্যাপার! এই আত্মঘাত কি সাম্প্রদায়িক বিভেদচর্চার চেয়ে কিছু কম?
রায়হান রশিদ - ৯ জুলাই ২০০৯ (৮:০০ অপরাহ্ণ)
কম্পিউটারে বাংলার ব্যবহারটা যত দ্রুত শিখে নেয়া যায় ততো ভাল। অনেকটা আলসেমী করেই অনেকে শিখতে চান না, কিংবা বাংলার উপযোগী করে কম্পিউটার সেটাপ করে নেন না। বাংলা লেখা এখন আগের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশী সহজ; বড় জোর এক সপ্তাহ লাগে আয়ত্ত করতে। আর স্ক্রিনে একেকটা বাংলা অক্ষর ফুটে উঠতে দেখা যে কতখানি প্রাণ জুড়ানো তা যিনি লেখেননি তিনি কোন দিন উপলদ্ধি করতে পারবেন না। শাহনেওয়াজ এবং মোহাম্মদ মুনিম, নিজেকে কিন্তু বঞ্চিত করছেন, বিশ্বাস করুন।
মুয়িন পার্ভেজ - ১০ জুলাই ২০০৯ (৬:৫২ পূর্বাহ্ণ)
ধন্যবাদ, রায়হান রশিদ। আমার গল্পকারবন্ধু ফজলুল কবিরী কথাপ্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘কম্পিউটারে প্রথম যেদিন বাঙলা লিখেছিলাম, সেদিন চোখে পানি এসেছিল। সে-অনুভূতি কী, বোঝানো যায় না।’ রাষ্ট্রভাষা বাঙলা হওয়া সত্ত্বেও আমাদের রাষ্ট্রকাঠামোর ত্বক পুরোপুরি বাঙলা হয়ে ওঠেনি। নামবাহারি বিজ্ঞাপনী ফলকে এখনও ইংরেজিরই দৌরাত্ম্য; বাঙলা যে-টুকু আছে, তাও জগাখিচুড়ি। ‘মুক্তাঙ্গন’ আমাদের অনেক আশার জায়গা। কিন্তু যখন এখানেও ভুল ও বর্জিত বানান দেখি, বিশেষত, উৎসমুখ ‘ভৌগলিক’-এর মতো ভুল বানান, তখন মনখারাপ তো হবেই। যা হোক, আমরা কথাকেন্দ্রে আসতে চাই আবার।
মুক্তাঙ্গন - ১০ জুলাই ২০০৯ (৮:০৪ পূর্বাহ্ণ)
ধন্যবাদ মুয়িন। এমন আরও ভুল থাকতে পারে। চোখে পড়লেই সে সব তুলে ধরলে খুব ভাল হয়। আশা করি তাতে কেউই ব্যক্তিগতভাবে আহত বা লজ্জিত বোধ করবেন না। এটা আসলেই জরুরী। এভাবেই আমরা সবাই মিলে শুদ্ধ বানানের ব্যাপারে একটা সামগ্রিক সচেতনতার জায়গায় পৌঁছাতে পারবো।
আসমা বীথি - ১০ জুলাই ২০০৯ (৪:৩২ পূর্বাহ্ণ)
হ্যাঁ সত্যি, এই কিছুদিন আগে পর্যন্ত কীরকম অসম্ভব মনে হতো কম্পিউটারে বাংলা!
Mohammed Munim - ১০ জুলাই ২০০৯ (৪:৫৬ অপরাহ্ণ)
I have been following Muktangon for a long time, but could not leave any comment because of my inability and lack of effort to learn Bangla typing. I apologize for breaking the ‘rhythm’ of this discussion with my English comments.
However, according to ‘Prothom Alo’ reporting, the teacher who prepared the questions has already been fired from the school and the school principal apologized for the incident. Now that the teacher has been fired, what is the next thing he will do? Will he learn from his mistake, or he will join some rural school and continue radicalizing students? Most likely he will do the second thing. My question is was it the right decision to fire him? He could be reprimanded by the school authority and kept in his position. The Islamic education teachers I have seen in my school were madrassa graduates with no respect to progressive thinking, other religions or even very ideals of formation of Bangladesh. They openly made fun of Hindus, mocked Liberation war and freedom fighters in our classrooms. There was no effort to control them by our school authority.
The teacher in our discussion was more than communal, ‘Shari’ and ‘Dhuti’ are threat to his self identity and ideals. And most of the Islamic education teachers throughout BD share his mindset. While few urbanites celebrate Pahela Baishakh with Shari and Dhuti, a far bigger number of suburbanites and rural Bangladeshis are being dragged into the dark world of radical Islam, and that’s very worrisome.
Mohammed Munim - ১০ জুলাই ২০০৯ (৯:০২ অপরাহ্ণ)
জয় বাংলা, এখন থেকে বাংলায় লিখবো।
রায়হান রশিদ - ১০ জুলাই ২০০৯ (৯:৩৪ অপরাহ্ণ)
অনেক অভিনন্দন আপনাকে। কেমন লাগছে লিখতে?
মোহাম্মদ মুনিম - ১১ জুলাই ২০০৯ (১২:১৩ পূর্বাহ্ণ)
একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিলাম আগের লেখাটি শেষ করে। আমাদের মার্কিনদেশীয় অফিস সহকারীকে invoice-টি শেষ করতে তাগাদা দিলাম, বাংলায়। এছাড়া চমৎকার অনুভূতি। মাউস দিয়ে লিখছি, একেকটি অক্ষর দেখছি আর ভাবছি, এই অক্ষর অনেক রক্ত দিয়ে কেনা, বাঙালির রক্ত — ধুতি, লুঙ্গি আর লাল পাড়ের শাড়ি পরা বাঙালির রক্ত। এই অক্ষর দিয়ে ‘কুফর’ জাতীয় ক্লেদাক্ত শব্দ কী করে লেখা হয়, কে জানে!
রায়হান রশিদ - ১১ জুলাই ২০০৯ (৮:০১ পূর্বাহ্ণ)
ব্যাপারটা বেশ মজার হয়ে গেল। জানি আপনার অনুভূতি। আপনার কাজ আরেকটু সহজ করে দেয়া সম্ভব:
বেশ কিছু বাংলা কীবোর্ড রয়েছে এখন যেগুলো উচ্চারণ এবং ধ্বনির ওপর ভিত্তি করে ইংরেজী অক্ষরকে বাংলায় রূপান্তর করে। এগুলোতে “a m a r” টাইপ করলে তা “আমার” হয়ে যায়। এই কীবোর্ডগুলো হল:
অভ্র: ডাউনলোড করে নেয়া যায় (এখান থেকে)
প্রভাত: সাইটের সাথেই যুক্ত রয়েছে। কীবোর্ডটির লে-আউট পাবেন এখানে।
ফোনেটিক: এটিও সাইটের সাথেই যুক্ত রয়েছে।
যুক্তাক্ষর ইত্যাদির নিয়মগুলো একবার দেখে নিলে আপনার কাজ আরও অনেক সহজ হয়ে যাবে। ধন্যবাদ।
তমসো দীপ - ১৬ জুলাই ২০০৯ (৯:১৬ পূর্বাহ্ণ)
পড়লাম। আগেও পড়েছি, প্রথম আলোয়। নতুন কিছু নয়।
রেজাউল করিম সুমন - ১৬ জুলাই ২০০৯ (১২:৫৩ অপরাহ্ণ)
কী নতুন নয়?
এ ধরনের প্রশ্নপত্র? না কি প্রথম আলো-য় আগেই রিপোর্ট ছাপা হয়েছিল এটা নিয়ে?
মোহাম্মদ মুনিম - ১৭ জুলাই ২০০৯ (১২:১০ পূর্বাহ্ণ)
প্রথম আলো-য় রিপোর্টটি ছাপা হয়েছে সুমনের লেখার পরে। রিপোর্টটি কি তুমি করেছিলে, সুমন?
রেজাউল করিম সুমন - ২১ জুলাই ২০০৯ (৯:১৮ পূর্বাহ্ণ)
না। আমি তো সাংবাদিক নই।
প্রসূণ তালুকদার প্রথম আলো-কে জানিয়েছিলেন এবং তারও আগে সর্বপ্রথম আলোচনার সূত্রপাত করেছিলেন ফেসবুকে। তবে প্রথম আলো খবরটা ছাপে এর কয়েকদিন পরে। তার আগেই খবর বেরোয় অন্য পত্রিকায়।
প্রসূন তালুকদার - ২৭ জুলাই ২০০৯ (১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ)
আমি দেবাশীষ দার থেকে পেয়িছলাম । তার পর থেকে কয়েকদিন চেষ্টার পর সাপ্তািহক ২০০০ ও ভোরের কাগজ ছাপলো ।
মাসুদ করিম - ১৫ নভেম্বর ২০০৯ (৫:০৪ অপরাহ্ণ)
সৃজনশীল প্রশ্ন, এরপর প্রেপ্তার। পড়ুন আজাদীতে ও সমকালে।
মুয়িন পার্ভেজ - ১৫ নভেম্বর ২০০৯ (৫:৪৭ অপরাহ্ণ)
ধন্যবাদ, মাসুদ করিম, এই তথ্য যথাস্থানে যথাসময়ে সংযোজন করার জন্য।
বিনয়ভূষণ ধর - ২২ নভেম্বর ২০০৯ (২:১৫ অপরাহ্ণ)
অবমাননাকর ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্নপত্র আবারও!!! এবারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ভোলাচং উচ্চ বিদ্যালয়ে। প্রথম আলো-র বিস্তারিত প্রতিবেদন:
প্রশ্নপত্রে হাসিনার বান্ধবী মতিয়া চৌধুরী
তারিখ: ২০-১১-২০০৯
রেজাউল করিম সুমন - ২২ নভেম্বর ২০০৯ (২:৩০ অপরাহ্ণ)
… এবং আবারও! আজকের প্রথম আলো থেকে —
চট্টগ্রামের স্কুলের প্রশ্নপত্র
মাওলানা নিজামীর দেশপ্রেম!
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | তারিখ: ২২-১১-২০০৯
মাসুদ করিম - ২৪ নভেম্বর ২০০৯ (৯:০৩ পূর্বাহ্ণ)
এবার পড়ুন এখানে সুলভমূল্যে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয় ও সৃজনশীল প্রশ্ন নিয়ে বিপত্তি, সরকারের আট দফা নির্দেশনা।
রেজাউল করিম সুমন - ২৭ মে ২০১৫ (১:২৮ পূর্বাহ্ণ)
এবার প্রশ্ন উঠেছে হলি ক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির একই বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্নপত্র নিয়ে।
নারীর পোশাককে দায়ী করে স্কুলের প্রশ্নপত্র
হাসিবা আলী বর্ণা, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, ২৬ মে ২০১৫
বিনয়ভূষণ ধর - ২৭ মে ২০১৫ (১২:৪৭ অপরাহ্ণ)
পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে দিনদিন খারাপের দিকেই যাচ্ছে! জিহাদের ডাক বুঝি এসেই গেলো!
বিনয়ভূষণ ধর - ২৭ মে ২০১৫ (৪:২৪ অপরাহ্ণ)
যৌন নিপীড়নের জন্য
নারীর পোশাকের দিকে
ইঙ্গিত করে পরীক্ষার
প্রশ্নপত্র তৈরির ঘটনায় ‘দুঃখ’
প্রকাশ করেছেন রাজধানীর
খ্যাতনামা স্কুল হলিক্রস উচ্চ
বালিকা বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক সিস্টার
রানী ক্যাথরিন গোমেজ।…..
http://m.bdnews24.com/bn/detail/bangladesh/973972
রেজাউল করিম সুমন - ১০ জুন ২০১৫ (৭:৫১ পূর্বাহ্ণ)
স্কুলপ্রশ্নে ফের নারীপোশাককে আক্রমণ
৯ জুন ২০১৫
জসিমউদ্দিন - ২৮ অক্টোবর ২০১৭ (৯:৩১ অপরাহ্ণ)
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবার প্রশ্নবিদ্ধ!
২৭ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে প্রথম আলোয় প্রকাশিত নিজস্ব প্রতিবেদকের পাঠানো প্রতিবেদন :
* * *
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে প্রশ্ন