সব প্রস্তুত, লড়াই শুরু এখন [...]

সব প্রস্তুত, লড়াই শুরু এখন চীন : জাপান = ২(চীন, উত্তর কোরিয়া) : ২(জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া) চি জিনপিং (Xi Jinping) হলেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির জাপান খেদাও আন্দোলনের নায়ক চি ঝংচুনের (Xi Zhongxun) ছেলে। শিনজো আবে (Shinzo Abe) হলেন জাপানের যুদ্ধকালীন মন্ত্রী নবুসুকে কিশি (Nobusuke Kishi) যিনি জাপান অধিকৃত মাঞ্চুরিয়া শাসনে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন, তার নাতি। কিম জং-উন (Kim Jong-un) হলেন কিম ইল-সুং ( Kim Il-sung) যিনি জাপানের উপনিবেশ থেকে উত্তর কোরিয়াকে মুক্ত করেছিলেন, তার নাতি। পার্ক গিউন-হাই ( Park Geun-hye) হলেন ১৯৬১ সালে সেনা কু-এর মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা এবং ১৯৭৯ সালে খুন হওয়ার আগ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার একনায়ক পার্ক চুং-হি ( Park Chung-hee)এর মেয়ে। এই হল খেলোয়াড়দের কুষ্ঠি, এরাই ২০১৩ থেকে হয়ে উঠবে পৃথিবীর সবচেয়ে বিপদজনক খেলোয়াড়, এরাই করবে প্রশান্ত মহাসাগরের ঊর্মিমালা অশান্ত -- আর সেখানেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইউরোপের দূরবর্তী যোদ্ধাশক্তি আমেরিকা থাকবে কৌশলগত বিকট সর্বত্রব্যাপ্ত ইউএসমেরিনকর্পস হিসাবে।

কিন্তু বাংলাদেশের কাছে ন্যামের একটা গুরুত্ব আছে। এবং এবার ন্যাম শীর্ষ সম্মেলন যেখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেই ইরানকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ 'স্তান'রাষ্ট্রগুলোতে পৌঁছার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারে।[...]

বৈশ্বিক দক্ষিণ দরিদ্র এতে কোনো সন্দেহ নেই। ন্যামের বেশিরভাগ সদস্য রাষ্ট্র বৈশ্বিক দক্ষিণ -- আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা, এশিয়ায় অবস্থিত। তাই ন্যামের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত দারিদ্র দূরীকরণে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা। কিন্তু সেসহযোগিতা তেমন করে চোখে আমাদের পড়েনি। উল্টো জি-২০, ব্রিকস, আসিয়ান, অ্যাপেক, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন অনেক বেশি সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে ন্যামের প্রভাবশালী বিভিন্ন রাষ্ট্রকে ব্যস্ত করে রেখেছে। কিন্তু বাংলাদেশের কাছে ন্যামের একটা গুরুত্ব আছে। এবং এবার ন্যাম শীর্ষ সম্মেলন যেখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেই ইরানকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ 'স্তান'রাষ্ট্রগুলোতে পৌঁছার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারে। ইরানকে গুরুত্ব দিতে হবে এজন্য যে, পাকিস্তান ভারতকে 'ট্রানজিট' দেবে না আর দিলেও সেপথে 'স্তান'রাষ্ট্রগুলোর সাথে তুলা বাণিজ্য কতটুকু সম্ভব হবে সন্দেহ আছে। কাজেই বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল তুলার জন্য বাংলাদেশ ইরানের সাথে বিশেষ সম্পর্কের প্রচেষ্টা শুরু করতে পারে এই ন্যামেই। ইরানের আরো দুটো ক্ষেত্র বাংলাদেশের জন্য গুরুত্ব বয়ে আনতে পারে, অপরিশোধিত তেলের বিশাল ভাণ্ডার ইরান থেকে বাংলাদেশ তেল সংগ্রহ করে যৌথবিনিয়োগে তেল শোধনাগার করে বাংলাদেশে তেলের দাম আরো প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে পারে। ইরানের গাড়ি নির্মাণের সুদীর্ঘ ঐতিহ্য ও সুনাম আছে -- যদিও তার বিশেষ প্রচার নেই। বাংলাদেশের গাড়ি ব্যবসায়ীরা ইরানের সাথে গাড়ি ব্যবসা ও পরবর্তীতে কারখানা স্থাপনের সুযোগ সহজে নিতে পারেন। কম দামী পণ্যের একটা বড় বাজার অপেক্ষা করছে 'স্তান'রাষ্ট্রগুলোতে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারকেরা বিপুল সম্ভাবনাকে ব্যবহার করতে পারে ইরানকে গেটওয়ে বিবেচনা করে। এবারের ন্যাম বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে স্ট্র্যাটেজিক ন্যাম -- কারণ এবার ন্যাম হচ্ছে ইরানে যেইরান মধ্যএশিয়ার জলপথহীন দেশগুলোর কাছে পৌঁছতে বাংলাদেশের একমাত্র বিকল্প, যেহেতু কেউ জানে না কোন অদূর ভবিষ্যতে পাকিস্তান তার আয়ত্বে থাকা 'রেশমপথ' সবার জন্য উন্মুক্ত করবে। আমরাও অনন্তকাল অপেক্ষা না করে সময়োপযোগী 'তুলাপথ' নির্মাণে ইরানকে বিশেষ সম্পর্কে আবদ্ধ করার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ কূটনীতির প্রসার করতে যেন ব্যর্থ না হই। প্রাসঙ্গিক : বাংলাদেশের বৃহৎ সংঘ।

দর্শন, মহাকাব্য, জ্যামিতি ও থিয়েটারেরও আগে ছিল ক্রীড়ার সৌসাম্য।[...]

দর্শন, মহাকাব্য, জ্যামিতি ও থিয়েটারেরও আগে ছিল ক্রীড়ার সৌসাম্য। আমিও প্রবলভাবে ক্রীড়ার প্রতি শারীরিক গতি কৌশলের প্রতিযোগিতার প্রতি তীব্র মানসিক স্ফূর্তির প্রতি অনুপ্রেরণা বোধ করি। অপ্রতিরোধ্য কিন্তু স্বল্পায়ু গ্রিক সভ্যতার চেয়ে সুন্দর আর কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না। আর অলিম্পিক সেই সভ্যতার এক অনন্য সংগঠন। আমি তার তন্নিষ্ট দর্শক। গণতন্ত্র শিল্পবিপ্লব বিশ্বযুদ্ধ সমাজতান্ত্রিকবিপ্লব ঠাণ্ডাযুদ্ধ বিশ্বায়ন অপ্রতিরোধ্য উৎপাদনের অলিম্পিক এবার দুর্যোগ অর্থনীতির অলিম্পিকের যুগে প্রবেশ করল, সেযুগের শুরু হল শিল্পবিপ্লবের চিমনিসঙ্কুল লন্ডন থেকে। সামনের অলিম্পিকগুলোর আয়োজনে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা গুরুত্ব পাবে, এই বিশাল অর্থযজ্ঞ দুর্যোগ অর্থনীতি কতটুকু সইতে পারবে, তাই ভাবতে হবে সবার আগে। এমনকি এই লন্ডন অলিম্পিক শেষ হলে ইংল্যান্ডকেও করতে হবে প্রচুর ঝুঁকির হিসাব কিতাব। কিন্তু আমরা কি উপভোগ করব না শারীরিক গতি কৌশলের প্রতিযোগিতার প্রতি তীব্র মানসিক স্ফূর্তি? অবশ্যই করব, নানাভাবে করব, আগামী কয়েকদিন আটকে থাকব স্পোর্টসের দার্শনিক মহাকাব্যিক জ্যামিতিক থিয়েট্রিক্যাল উদ্ভাসনের জগতে।

আন্তর্জাতিক অপরাধের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত আসামীর বয়স কোনো বিষয় না। পার হয়ে যাওয়া দশকের দোহাই দিয়ে পার পাওয়া যাবে না অপরাধের দায় থেকে। অপরাধে সম্পৃক্তি (complicity)-ও গুরুতর অপরাধ, এবং বিচারযোগ্য অপরাধ।

লাজলো সাতারির বয়স এখন ৯৭ বছর, অবশেষে তাকে খুঁজে পাওয়া গেল বুদাপেস্ট শহরে। এতদিন পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন কুখ্যাত এই নাজি যুদ্ধাপরাধী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হাঙ্গেরীর কাস্সা শহরে ইহুদীদের জন্য তৈরী ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলো এই লাজলো একজন পুলিশ কমান্ডার হিসেবে। সেখান থেকে কম পক্ষে ১৬০০০ ইহুদীকে অসউইৎজ 'মৃত্যু ক্যাম্পে' পাঠানোতে এই লাজলোর ভূমিকা ছিল, যে কারণে এখন তার বিরুদ্ধে অপরাধে সম্পৃক্তির (complicity) অভিযোগ আনা হতে পারে। লাজলোর এখন বিচার হওয়ার জোর সম্ভাবনা, ছয় (৬) দশক পেরিয়ে গেছে, তারপরও। কয়েকটি বিষয় লক্ষনীয় এখানে। এক: লাজলোর বয়স; দুই: লাজলোর অপরাধের ধরণ। প্রসঙ্গতঃ লাজলো যে অপরাধের কারণে বিচারের সম্মুখীন হবেন, ঠিক সেই একই ধরণের অপরাধে আসামী গোলাম আযমের বিচার ইতোমধ্যেই হচ্ছে বাংলাদেশের মাটিতে। অপরাধটির নাম হল সম্পৃক্তি (complicity)। কিসে সম্পৃক্তি? আইনে উল্লেখিত বিভিন্ন ধরণের আন্তর্জাতিক অপরাধে "সম্পৃক্তি"। অবশ্য গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ৬ টি ভিন্ন অভিযোগের একটি হল এই "সম্পৃক্তি", অর্থাত তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগের বিচার চলছে। লাজলোর বিচারের কথাবার্তা শুরু হয়েছে যখন তার বয়স ৯৭ বছর। আর অন্যদিকে, যখন বিচার শুরু হয়, তখন গোলাম আযমের বয়স ছিল ৮৯ বছর। গোলাম আযমের আইনজীবিরা তার বার্ধক্যের অজুহাত দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেছিল। সে আবেদন মঞ্জুর হয়নি। কারণ, যেখানে আসামীর বিরুদ্ধে “আন্তর্জাতিক অপরাধ”-এর মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে সেখানে আসামীর বয়স কিংবা কোনো স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা জামিনের পক্ষে যুক্তি হতে পারে না। [এই পোস্টে বিস্তারিত] আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে যেখানে গোলাম আযমের চেয়ে আরও বেশি বয়সের আসামীকেও “আন্তর্জাতিক অপরাধের” বিচারকালে জামিন দেয়া হয়নি। উদাহরণ হিসেবে ৯১ বছর বয়স্ক নাৎসি যুদ্ধাপরাধী জন দেমইয়ানযুক (John Demjanjuk) -এর বিচারের ঘটনাটি উল্লেখ করা যেতে পারে — গোলাম আযমের জামিনের শুনানির সময় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকেও দেমইয়ানযুক এর মামলাটি উল্লেখ করা হয়েছে। দেমইয়ানযুকের ক্ষেত্রে ঘটনা কি ছিল? আসুন জেনে নিই। আমেরিকা-নিবাসী ইউক্রেনীয় দেমইয়ানযুকের বিরুদ্ধে মিউনিখের এক আদালতের অভিযোগ ছিল — তিনি ১৯৪৩ সালে ইউক্রেনের এক নাৎসি মৃত্যুশিবিরে প্রায় ২৭,০০০ ইহুদি নিধনে সহযোগিতা করেছিলেন। ২০০৯ সালে জার্মানির আদালত দেমইয়ানযুক-এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। একই বছর তাঁকে বিচারের জন্য আমেরিকা থেকে জার্মানিতে নিয়ে যাওয়া হয়। পুরো বিচারকালীন সময়টুকুতেই তাঁকে স্টাডেলহেইম জেলখানার মেডিকেল ইউনিটে…

৩ জুন ২০১২তে বাস থামিয়ে যে দশ জন মুসলিমকে ছুরির আঘাতে হত্যা করা হয়েছিল তার মধ্যে আট জনই ছিলেন রেঙ্গুনের মুসলমান যারা রাখাইন প্রদেশে তবলিগি চিল্লা শেষে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলেন। [...]

আগামী ১৬ জুন নোবেল ফাউন্ডেশন এক বিলম্বিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৯৯১ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার তুলে দেবেন সু কি'র হাতে। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ও তার পূর্বাপর ইউরোপ সফরের উদ্দেশ্যে আজ রেঙ্গুন ছাড়বেন সু কি। বর্তমানে বার্মার রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিম-রাখাইন বৌদ্ধ যেদাঙ্গা হচ্ছে তা পেছনে ফেলে ইউরোপ সফর এবং সফর শেষে দেশে ফিরে আসাই এখন তার মূল লক্ষ্য, তাই দায়সারা মন্তব্যের চেয়ে বেশি কিছু বলছেন না তিনি। অথচ ৩ জুন ২০১২তে বাস থামিয়ে যে দশ জন মুসলিমকে ছুরির আঘাতে হত্যা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে আট জনই ছিলেন রেঙ্গুনের মুসলমান যারা রাখাইন প্রদেশে তবলিগি চিল্লা শেষে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলেন। রাখাইন বৌদ্ধরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ২৮ মে ২০১২তে রাখাইন এক মেয়েকে কয়েকজন রোহিঙ্গা মুসলিমের ধর্ষণ ও পরবর্তীতে খুনের রেশ ধরে। বার্মার রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা মুসলমানেরা ২০১০ সালে ভোটার লিস্টে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন এবং কথা ছিল সেনাবাহিনী সমর্থিত দলের প্রার্থীকে ভোট দিলে তাদেরকে বার্মার জাতীয়তাও দেয়া হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এবিষয়ে কোনো তৎপরতা থাইন সাইন সরকারের মধ্যে দেখা যায়নি। রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যে সন্ত্রাসবাদী আছে এটা ঠিক, কিন্তু সাধারণ রোহিঙ্গা মুসলমানরা তো সন্ত্রাসবাদী নয়। সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্নিত করে সাধারণ রোহিঙ্গা মুসলমানদের জাতীয়তা দেয়ার প্রশ্নে সু কি'র কোনো স্পষ্ট অবস্থান এখনো আমাদের চোখে পড়েনি। জাতিসংঘ ও হিউম্যান রাইট ওয়াচ বাংলাদেশকে বলছে বাংলাদেশের সীমান্ত রোহিঙ্গা সাধারণ শরণার্থী মুসলমানদের জন্য শিথিল করে দিতে। কিন্তু জাতিসংঘ ও হিউম্যান রাইট ওয়াচ নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্ত সু কি'কে কেন বলছে না, রাখাইন প্রদেশেই এই শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘ ক্যাম্প সৃষ্টিতে সহায়তা করতে? জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা যদি এরকম ক্যাম্প সৃষ্টি করতে পারে তাহলে সেই ক্যাম্পে যাবতীয় সাহায্য সহযোগিতা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত থাকবে। এবং বাংলাদেশে শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরও পর্যায়ক্রমে সেই ক্যাম্পে স্থানান্তরিত করতে নীতিগত সহায়তা চাইবে। আর যদি এর জন্য জাতিসংঘের শান্তি মিশন প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রেও বাংলাদেশ সাড়া দেবে। আর এই সবকিছু সম্ভব সু কি যদি এবিষয়ে নিজেকে জড়াতে চান। কিন্তু সু কি'র যা অবস্থা তাতে তো শুধু এটাই মনে হচ্ছে তিনি নোবেলে ও সংসদে আটকা পড়ে গেছেন।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.