বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ন্যাটোর প্রাসঙ্গিকতা এবং এর অবলুপ্তি বিষয়ে মূল নিবন্ধটি লিখেছেন শহিদুল ইসলাম। মুক্তাঙ্গনের পক্ষ থেকে নিবন্ধটি এখানে এমবেড করে তুলে দেয়া হল পাঠকের জন্য। পড়তে সমস্যা হলে অনুগ্রহ করে সংযুক্ত পিডিএফ-লিন্ক থেকে পুরো লেখাটি ডাউনলোড করে নিন [...]

[মুক্তাঙ্গনের পক্ষ থেকে শহিদুল ইসলামের নিবন্ধটি এখানে এমবেড করে দেয়া হল। পড়তে অসুবিধে হলে অনুগ্রহ করে নিবন্ধটির পিডিএফ কপি এই লিন্ক থেকে ডাউনলোড করে নিন]

প্রতিটি মৃত্যুই মানবতার মৃত্যু। তাহলেও যুদ্ধ, মহামারিসহ প্রাকৃতিক ও সামাজিক বিপর্যয়গুলো চিরকালই দরিদ্রপ্রেমী। হাইতির মতো দরিদ্র ও অনুন্নত দেশ যেকোনো বিপর্যয়ের সহজ শিকার হতে বাধ্য। [...]

No man is an island. entire of itself; every man is a piece of the continent, a part of the main; ... any man's death diminishes me, because I am involved in mankind, and therefore never send to know for whom the bell tolls; it tolls for thee. John Donne, Meditation XVII প্রতিটি মৃত্যুই মানবতার মৃত্যু। তাহলেও যুদ্ধ, মহামারিসহ প্রাকৃতিক ও সামাজিক বিপর্যয়গুলো চিরকালই দরিদ্রপ্রেমী। হাইতির মতো দরিদ্র ও অনুন্নত দেশ যেকোনো বিপর্যয়ের সহজ শিকার হতে বাধ্য। যে সাত মাত্রার ভূমিকম্পে হাইতির রাজধানী ধূলিতে মিশে গিছে, সেই মাত্রার ভূমিকম্পে নিউইয়র্ক বা সানফ্রান্সিসকো এভাবে ধসে যেত না। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকতো হতো না কয়েকদিন। প্রকৃতি ও সমাজের ভারসাম্য নষ্ট করা আখেরে যে আত্মঘাতী, সেই বুঝ আজ তাই আসা চাই। যা আমরা রক্ষা করতে পারি না, মানুষ হিসেবে তা আমাদের করবার প্রয়োজন নাই। পুঁজি অল্প সময়ে সর্বোচ্চ উদ্বৃত্ত আহরণ করতে চাইতে পারে, কিন্তু তা পুঁজির অধীন শ্রমিক-কৃষক ও মধ্যবিত্তদের জন্য শেষ বিচারে ভাল নয়। আজ হাইতিতে যা দেখছি, তা হাইতির দীর্ঘ বিদেশি শোষণ, দুর্নীতি ও অপশাসনের ফল। হাইতির প্রকৃতি ধ্বংস করা হয়েছে, হাইতির জাতীয় নেতৃত্বকে হত্যা-নির্বাসন দিয়ে শেষ করে সবসময় দেশিয় এলিটদের উতকৃষ্ট দালালটিকে প্রেসিডেন্ট করে বসিয়ে রাখা হয়েছে। আমেরিকা হাইতিকে ‘ক্যারিবিয়ার তাইওয়ান’ বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু আজ হাইতি কেবল বিশ্বের দরিদ্রতম দেশই নয়, এক অকার্যকর রাষ্ট্রের আদর্শ মডেল। মার্কিন মডেলের উন্নয়ন দেশটিকে আরও দরিদ্র করে ফেলে। রপ্তানীমুখী অর্থনীতির ধাক্কায় লাখ লাখ কৃষক গ্রামাঞ্চল থেকে জমি হারিয়ে ভিড় জমায় রাজধানীতে_আমাদের ঢাকার মতোই। বস্তি বাড়তে থাকে, দুর্বল কাঠামোর ওপর বাড়ির ওপর বাড়ি উঠতে থাকে। তারপর ২০ সেকেন্ডের এক ভূমিকম্পে একদিন সব তাসের ঘরের মতো মাটিতে লুটায়। যা লুটালো তা ‘উন্নয়ন’-এর ভ্রান্ত মডেল কিন্তু তার নিচে পড়ে থাকে সেইসব মানুষ, যারা জীবিত অবস্থায় সেই মডেলের শিকার হয়ে অমানবিকতার শেষ দশায় উপনীত হয়েছিল। মানুষের জীবন একটাই, সেই জীবন কীভাবে আগ্রাসী পুঁজির জাঁতাকলে গুঁড়িয়ে যায়, জলবায়ু পরিবর্তন আর হাইতির ভূমিকম্প তা ঘটিয়ে দেখাল। হাইতি এক দুর্ভাগা দেশ। স্পেনীয় অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাসের এই দ্বীপদেশে পা ফেলার দিন থেকেই হাইতির দুর্ভাগ্যের শুরু। প্রথমে স্পেনীয়, পরে ফরাসিরা দেশটিকে উপনিবেশ বানায়।…

ঘৃণা করো [...]

পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদকে ঘৃণা করো, পুঁজিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদীকে নয়।

বস্ত্র, বাসস্থানের আবিষ্কার ও উন্নয়নের মধ্য দিয়ে সভ্য মানুষ শৈত্যের সমস্যা দূর করেছে বহুকাল আগে। বরফ জমা ঠান্ডা আবহাওয়াতেও মানুষ জীবন-যাপন করেছে। তাহলে কেন এই একবিংশ শতকে সামান্য শীতে কোটি কোটি মানুষ সংকটাপন্ন? [...]

১৪তম শীতার্ত সহযোগিতা ও প্রচার কার্যক্রম ২০০৯ প্রগতির পরিব্রাজক দল, প্রপদ '৯৬ সাল থেকেই দেশের শীতার্ত মানুষের সহযোগিতার লক্ষ্যে শীত বস্ত্র সংগ্রহ ও বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও হাতে নিয়েছে ১৪ তম শীতার্ত সহযোগিতা ও প্রচার কার্যক্রম। এ কার্যক্রমে ব্লগমন্ডলের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ২০০৮ সালের শীতার্ত কার্যক্রমের প্রচারপত্র থেকে কিছু অংশ সবার অবগতির জন্য তুলে দেয়া হল। শীত সংকটের সমাধানে, শীতার্ত মানুষ, জাতি ও জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে আসুন, জনগণের উপর চেপে থাকা শোষণমূলক ব্যবস্থাকে আঘাত করি বছর বছর কয়েক শত মানুষ মৃত্যুবরণ করছে শীতে। শীত জনগণের জন্য আজও এক জীবন সংহারী সংকট। শীতে বাস্তুহীন-বস্ত্রহীন শীর্ণকায় কোন শিশু কিংবা বৃদ্ধের অসহায় কাঁপন যখন সাধারণের মানবিক অনুভূতিকে নিয়ত নাড়া দিচ্ছে, তখন এদেশের তাঁবেদার শাসক শ্রেণী এই সংকটের প্রতি নির্বিকার। তাদের শোষণ-লুণ্ঠনের "স্বাধীনতা' ও 'গণতন্ত্র'র এই দেশে তাদেরই হাতে শোষিত-লুণ্ঠিত-নিপীড়িত জনগণের সংকট ক্রমশঃ বেড়েই চলেছে। শীতের এই সংকট শৈত্যের সংকট নয় বস্ত্র, বাসস্থানের আবিষ্কার ও উন্নয়নের মধ্য দিয়ে সভ্য মানুষ শৈত্যের সমস্যা দূর করেছে বহুকাল আগে। বরফ জমা ঠান্ডা আবহাওয়াতেও মানুষ জীবন-যাপন করেছে। তাহলে কেন এই একবিংশ শতকে সামান্য শীতে কোটি কোটি মানুষ সংকটাপন্ন? কেন তাদের মৃত্যুর সাথে লড়তে হচ্ছে? সরল উত্তর: এদেশের বেশিরভাগ মানুষ ভাত, কাপড়, বাসস্থান, চিকিৎসার মত মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। শীত হতে আত্মরক্ষার ন্যূনতম ব্যবস্থাটুকু ভোগ করতে পারছে না জনসাধারণ সত্য আড়াল করায় যাদের স্বার্থ, তারা বলে "জনসংখ্যা বাড়ছে, দেশ গরিব, সম্পদ নাই। তাই মানুষের অভাব যায় না"। কিন্তু তথ্য কি বলে? তথ্য বলছে, ৩০ বছরে জনসংখ্যা হয়েছে দ্বিগুন অথচ মোট উৎপাদন বেড়েছে ৬০ গুণ। কিন্তু আমাদের প্রতিজনের আয় এই সময়ে ৩০ গুণ বেড়েছে কি? না বাড়েনি। বরং এক হিসাবে জানা যায়, '৮৩-'৯৬ সালের মধ্যে মাত্র আট বছরে সর্বনিম্ন আয়ের মানুষের প্রকৃত আয় ২৫% কমে গেছে। অন্যদিকে, '৭২ সালে যেখানে হাতে গোনা কয়েকজন কোটিপতি ছিল, এখন কয়েক হাজার কোটিপতি সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং, শৈত্য-জনসংখ্যা-গরিবী-সম্পদহীনতা কোনটাই শীত সংকটের উৎস নয়। 'স্বাধীন' ও 'গণতান্ত্রিক' বাংলাদেশের শোষণ, লুণ্ঠন ও বৈষম্য বৃদ্ধির অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অন্যতম ফলাফল এই সংকট। কৃষির ক্ষুদ্রাকার ও পশ্চাদপদ অবস্থা আজও অটুট রয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী ও ভারতীয়…

বারাক ওবামা, আপনাকে অভিনন্দন জনাব। গতকাল পর্যন্ত আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল সুপারপাওয়ারের মনোনীত সিজার হওয়া। নোবেল শান্তি পুরস্কার এর থেকে বড় অর্জন নয়, কারণ প্রেসিডেন্ট না হলে আপনি এ পুরস্কার পেতেন না। পাশাপাশি সাম্রাজ্যের ক্রান্তিকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনাকে বলবান করতেই হতো স্বঘোষিত বিশ্ববিবেক নোবেল কমিটিকে [...]

১. বারাক ওবামা, আপনাকে অভিনন্দন জনাব। গতকাল পর্যন্ত আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল সুপারপাওয়ারের মনোনীত সিজার হওয়া। নোবেল শান্তি পুরস্কার এর থেকে বড় অর্জন নয়, কারণ প্রেসিডেন্ট না হলে আপনি এ পুরস্কার পেতেন না। পাশাপাশি সাম্রাজ্যের ক্রান্তিকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনাকে বলবান করতেই হতো স্বঘোষিত বিশ্ববিবেক নোবেল কমিটিকে। আমেরিকার ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে প্রয়োজন ছিল একজন বিনয়ী সম্রাট ও একটি নোবেল। দুটো আজ এক দেহে লীন হলো। ২. রাজনীতিতে আপনার মহত্তম অবদান আশার পুনর্জন্ম ঘটানো। আপনি আশার ফেরিওয়ালা হয়েও একে একে ফিরিয়ে নিয়েছেন সেইসব প্রতিশ্রুতি যা আশাকে জাগিয়েছিল। আপনি বুশের বেইল আউটকে আরো বাড়িয়ে ওয়ালস্ট্রীটের লুটেরাদের নবযৌবন দিয়েছেন। আপনি বুশের হেরে যাওয়া যুদ্ধকে জেতাতে আগে সতের হাজার এখন আরো চল্লিশ হাজার সৈন্য আফগানিস্তানে পাঠাতে বদ্ধপরিকর। আপনি গুয়ানতানামো বে-র দোজখ এখনো বন্ধ তো করেনইনি, বাড়তি তৃতীয় দুনিয়ার গোপন কারাগারে নির্যাতন চালাবার বন্দোবস্ত করেছেন। আপনি মার্কিন দেশে নতুন স্বাস্থ্যবীমা কর্মসূচিকে অবহেলায় পরাজিত হতে দিয়েছেন। আপনি বুশের দলের সব দাবি আপসে মেনে নিয়ে নেকড়ের গায়ে হরিণের ছাল জড়িয়েছেন। আপনাকে ও নোবেল কমিটিকে তাই অভিনন্দন। ৩. আপনার শান্তির সন্ত্রাসের সশস্ত্র আহ্বান না ইরান, না তালেবান, না উত্তর কোরিয়া গ্রহণ করেছে। রুশ ভালুক পুতিন আপনার বন্ধুত্ব নেননি। নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনে জবরদখল বসতি স্থাপন ও হত্যা বন্ধ করেনি। আপনি তার উপহাসের পাত্র। আপনি ইরান-ভেনেজুয়েলা-হন্ডুরাস ও মেক্সিকোয় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে আপনার প্রশাসনের ভূমিকাকে থামাননি। আপনি দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পারমানবিক বোমা তৈরিকে বৈধ করেছেন, সহযোগিতার জন্য চুক্তি করেছেন। পাকিস্তান ও বার্মার সামরিক জান্তা আপনার কাছ থেকে ছাড় পেয়ে আসছে। যখন বিশ্বে সত্যিই আরো মেরু দাঁড়িয়ে গেছে, তখন আপনি মাল্টিপোলার বিশ্বের নেতা হতে লেগেছেন। নোবেল কমিটি আপনার যে যোগ্যতার তালিকা দিয়েছে, সেসব আপনার গুণ নয় পরাশক্তির ব্যর্থতাজাত আপাত আপসপন্থা। আপসের আড়ালে ছুরির শান আপনার অবদান। ৪. জনতার আশাকে আহত করলেও আপনি পতনমুখী সাম্রাজ্যের আশাকে চাঙ্গা করেছেন। আমেরিকার একাধিপত্য আবার আসবে বলে আপনাকে নেতা করেছে পাশ্চাত্য। আপনি তাদের দিয়েছেন বাস্তব ভরসা আর এশিয়-আফ্রিকীয়-ল্যাটিনো এবং আরব মুসলিমদের সামনে দিয়েছেন রংদার বক্তৃতা। আপনার হাসিকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয় মানুষের, আপনার হাত নাড়ায় তারা তবু অভয় পেতে চায়। কারণ, তারা সত্যিকার আশা করার সাহস ভুলে গেছে। তারা…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.