কোন কারণে শেখ হাসিনার সফর সূচিতে সুকি নেই, জানা খুবই দরকার।[...]

কোথাও কি কেউ এমন লেখা দেখেছেন -- শেখ হাসিনার সাথে সুকি-র দেখা করতে দিতে চায়নি বার্মা সরকার অথবা সুকি-র সাথে দেখা করতে চায় না শেখ হাসিনা অথবা সুকি চায় না শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে। নাকি এসবের কিছুই নয়, এবারের বার্মা সফর শুধু কিছু চুক্তির সফর? নাকি এর পেছনে আছে হিলারি ক্লিনটনের প্রলম্বিত ছায়া অথবা চীনের পিপলস আর্মির সেনাকূটনীতি? কোন কারণে শেখ হাসিনার সফর সূচিতে সুকি নেই, জানা খুবই দরকার।

বাংলাদেশে এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্তত একজন গুরত্বপূর্ণ ব্যক্তি অবস্থান করছেন। তিনি যে আসবেন, এ সংবাদ তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদপত্রে ছাপা হয়নি। অবশ্য তাতে কোনও অসুবিধা হয় নি তাঁর, যাঁদের কাছে তিনি এসেছিলেন এবং যাঁদের জন্যে এসেছিলেন, তাঁরা ঠিকই জানতেন তাঁর আসার খবর। [...]

বাংলাদেশে এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্তত একজন গুরত্বপূর্ণ ব্যক্তি অবস্থান করছেন। তিনি যে আসবেন, এ সংবাদ তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদপত্রে ছাপা হয়নি। অবশ্য তাতে কোনও অসুবিধা হয়নি তাঁর, যাঁদের কাছে তিনি এসেছিলেন এবং যাঁদের জন্যে এসেছিলেন, তাঁরা ঠিকই জানতেন তাঁর আসার খবর। ঢাকায় তিনি এসেছিলেন গত ১২ অগ্রহায়ণ (২৬ নভেম্বর) শনিবার। ১৩ অগ্রহায়ণ (২৭ নভেম্বর) রবিবার ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ পর্যবেক্ষণ করার পর তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি মন্তব্যও করেছেন, বিচারের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্যে বাংলাদেশ সরকারের কাছে দফাওয়ারি যেসব প্রস্তাব তাঁদের পক্ষ থেকে করা হয়েছিল, তার অনেক কিছু গ্রহণ করা হয়নি। তবে যাওয়ার আগে তিনি যা বলে গেছেন তার সোজা মানে হলো, আমরা না কি আন্তর্জাতিক অপরাধের সংজ্ঞা কী তা ঠিকমতো বুঝি না এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে এর সংজ্ঞা ঠিক করতে হবে। তা ছাড়া বিদেশি আইনজীবীদের কেন আসতে দেয়া হচ্ছে না, তারও ব্যাখ্যা চেয়েছেন তিনি। এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিটি হলেন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন র‌্যাপ। কোনো কোনো আইনজীবী মনে করেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারকে যদি আন্তর্জাতিক মানসম্মত হতে হয়, তা হলে অবশ্যই স্টিফেন র‌্যাপের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। র‌্যাপকে এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন কে? মনে করছেন লন্ডনের আইনজীবী টোবি ক্যাডম্যান। মনে করছেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল, টোবি ক্যাডম্যানকে অভিযুক্ত পাঁচ যুদ্ধাপরাধীর আইনজীবী হিসাবে নিয়ে আসার। শুধু টোবিই নন, জামায়াতে ইসলামীর এই তালিকায় ছিলেন আরও দুজন বিদেশি আইনজীবী স্টিভেন কে কিউসি ও জন ক্যামেহ। কিন্তু বাংলাদেশে আইনজীবীদের পেশাগত অনুমতি নিয়ন্ত্রণ আইনের কারণে তাঁরা কেউই আসতে পারেননি। এ নিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির আইনজীবীরা হইচই করছেন, মিডিয়ায় অনেক কথাই বলে বেড়াচ্ছেন; কিন্তু এঁদের কেউই বলছেন না, শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের প্রতিটি দেশেই আইনজীবীদের পেশাগত অনুমতি নিয়ন্ত্রণের জন্যে বার কাউন্সিল জাতীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এমনকি টোবি ক্যাডম্যানদের দেশেও একই ধরণের বিধিনিষেধ রয়েছে। চাইলেই কোনো আইনজীবী বাংলাদেশ বা অন্য কোনও দেশ থেকে গিয়ে ইংল্যান্ডের আদালতে আইনজীবী হিসেবে দাঁড়াতে পারেন না। টোবি ক্যাডম্যানরা কি বাংলাদেশের আইন ও আইনগত সংস্কৃতি জানেন? জানেন না, জানলে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের কাছে সরাসরি চিঠি পাঠিয়ে, একইসঙ্গে সেই চিঠি প্রচারমাধ্যমে প্রকাশ করে আদালত অবমাননা…

...সামাজিক আন্তর্জালগুলো ব্যবহার করে সংগঠিত এই তরুণ-তরুণীরা তখনো জানতেন না, নতুন এক ইতিহাস লিখতে যাচ্ছেন তারা। তারা জানতেন না, নতুন এই ইতিহাস পাল্টে দিতে চলেছে গণতন্ত্রের ধারণা, বদলে দিতে যাচ্ছে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বের প্রক্রিয়া। তারা জানতেন না, রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা আর কার্যক্রমও নতুন করে খতিয়ে দেখার পরিসর তৈরি করবে তাদের এই আপাতদৃষ্টিতে অসংগঠিত ও স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন।...

শীত ছুঁই ছুঁই সেপ্টেম্বরের ১৭-তে নিউইয়র্কের জুকোট্টি পার্কে মাত্র শ দুয়ের মতো তরুণ-তরুণী অবস্থান নিয়েছিল তাঁবু, টর্চলাইট ইত্যাদি নিয়ে। তার আগে তারা সারাদিন পদযাত্রা করেছে বিভিন্ন রাস্তায়। তখন তাদের সঙ্গে ছিল আরো অনেক সঙ্গী। তাদের সবার লক্ষ্য, শান্তিপূর্ণ উপায়ে ওয়াল স্ট্রিট দখল করা। ওয়াল স্ট্রিটের কাছে জুকোট্টি পার্কে অবস্থান নেয় তারা সবাই- কেননা অন্য কোনো পার্কে অবস্থান নেয়া সম্ভব ছিল না, ব্যক্তিমালিকানাধীন এ পার্কটিই ছিল তাদের একমাত্র ভরসা, যেখানে অবস্থান নিলে রাষ্ট্রশক্তি জোর খাটিয়ে তাড়িয়ে দিতে পারবে না রাতের বেলা। কিন্তু সন্ধ্যার পর যতই সময় গড়াতে শুরু করল, বিক্ষোভকারীর সংখ্যাও ক্রমেই কমতে শুরু করল, হাজারখানেক থেকে তা কমে এসে দাঁড়াল শ'দুয়েকে। কেননা অবস্থান নেয়ার অনুমতি থাকলেও পার্কে তাঁবু টাঙানোর অনুমতি ছিল না। কয়েক মাস ধরে প্রস্তুতি নেয়ার পর এমন হলে হতোদ্যমই হওয়ার কথা কিন্তু হতাশ হননি তারা। যদিও সামাজিক আন্তর্জালগুলো ব্যবহার করে সংগঠিত এই তরুণ-তরুণীরা তখনো জানতেন না, নতুন এক ইতিহাস লিখতে যাচ্ছেন তারা। তারা জানতেন না, নতুন এই ইতিহাস পাল্টে দিতে চলেছে গণতন্ত্রের ধারণা, বদলে দিতে যাচ্ছে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বের প্রক্রিয়া। তারা জানতেন না, রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা আর কার্যক্রমও নতুন করে খতিয়ে দেখার পরিসর তৈরি করবে তাদের এই আপাতদৃষ্টিতে অসংগঠিত ও স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। তারা এ-ও জানতেন না, যে যে মতাদর্শেরই হোন না কেন, এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে তারা আবারো জীবন্ত করে তুলছেন পুরনো এক মুক্তিকামী চিন্তাবিদ ও রাজনৈতিক নেতাকে - কার্ল মার্কসকে। ‘ওয়াল স্ট্রিট দখল কর’ আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের কাউকে কাউকে প্রেরণা জুগিয়েছে আরব বসন্ত। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিপ্রেক্ষিতে এ রকম একটি বিক্ষোভের পরিস্থিতি দানা বাঁধতে শুরু করে প্রকৃতপক্ষে ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাভাবের পর থেকেই-যা ২০০৯ সালে আমেরিকায়, পরে যুক্তরাজ্যেও তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি করে। ১৯৩০-এর দশকের বিশ্ব অর্থনীতির মহামন্দার পর যেমন বিশ্বের দেশে দেশে মুক্তির আন্দোলন দানা বেঁধেছিল, ২০০৯ সালের অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়েও তেমনি মানুষের মনে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা জেগে ওঠে নতুন করে। করপোরেট মিডিয়াগুলো ‘আরব বসন্ত’কে বড় করে তুললেও বিক্ষোভের সূচনা ঘটে মূলত ইউরোপেই, বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, গ্রিস ও স্পেনে। আরব দেশগুলোতে বিক্ষোভ দেখা দেওয়ায় করপোরেট মিডিয়াগুলো হাঁফ ছেড়ে বাঁচে, ইউরোপের বিক্ষোভকে…

ঢাকার বিরক্তির প্রথম আঁচ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের উপরই পড়বে।[...]

ঢাকার বিরক্তির প্রথম আঁচ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের উপরই পড়বে। আঞ্চলিক রাজনীতির সার্বক্ষণিক দোলাচাল কোথাও কাউকে এগিয়ে নেয় না। বাহবাই সব নয়। সমাধানসূত্র বের করার বড় চাপটা এখন পশ্চিমবঙ্গকেই সামলাতে হবে। বড় দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতকে বুঝতে হবে। সুযোগের সমাধানসূত্র বের করতেই হবে। রবীন্দ্রনাথের ১৫০ বা আজমির যাওয়ার ভাল ব্যবস্থা করে দিয়ে কিছু হবে না। এসব মানুষের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের কোনো কাজে লাগে না। মমতা যেভাবে চাপ সৃষ্টি করলেন, ঠিক সেভাবেই চাপমুক্ত করতে যদি পারেন -- তাহলেই বলতে হবে তিনি সফল হয়েছেন। তা যদি তিনি করতে না পারেন, তাহলে এই আন্তর্জাতিক ব্যর্থতার দায় তাকেই নিতে হবে। মমতাকে বুঝতে হবে ঢাকা বাংলায় কথা বলে ঠিকই কিন্তু ঢাকা বিশ্বদৃষ্টিতে দিল্লির সমপর্যায়ের -- ঢাকার সাথে যেকোনো ব্যর্থতা আঞ্চলিকতায় পর্যবসিত হবে না -- নিঃসন্দেহে সেটা মমতার আন্তর্জাতিক ব্যর্থতা হিসাবেই বিবেচিত হবে। ততক্ষণ আশাবাদী আছি, যতক্ষণ পর্যন্ত মমতা একটা গ্রহণযোগ্য সমাধানসূত্র বের করতে না পারছেন। আর যদি সমাধানসূত্র তিনি একেবারেই বের করতে না পারেন -- তাহলে ভারতের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী সময়মতো ট্রেনে উঠতে পারেননি বলেই ভবিষ্যতে প্রতীয়মান হবে।

সবার আগে সরকারকে পার্বত্য শান্তিচুক্তিতে গতি দিয়ে প্রমাণ করতে হবে সরকার শুধু কথা নয় কাজও করতে চায় এবং সরকার আদিবাসী/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বিতর্কে অযথা সময় নষ্ট না করে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সব নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনগণের সাথে তার সম্পর্কের সম্পূর্ণ কুসংস্কারহীন বিনির্মাণ চায়।[...]

আদিবাসী/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বিতর্কে অযথা সময় নষ্ট করছেন সবাই। দীপু মনি যেরকম 'আদিবাসী' ব্যানারের পেছনে হেঁটেছেন এবং 'আদিবাসী' স্বার্থ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তেমনি রাজা দেবাশীষ রায়ও 'আদিবাসী সাংস্কৃতিক উৎসব ২০০৫'-এর উদ্বোধন করতে গিয়ে বলেছিলেন, 'উপজাতি '(ইংরেজি শব্দটা খুঁজে বের করতে হবে, ইংরেজরা নিশ্চয় উপজাতি বলেননি তাদের বলা কোনো ইংরেজি শব্দের এভাবে অনুবাদ করা হয়েছে) শব্দটি বৃটিশ উপনিবেশিক শব্দ। এই শব্দ ব্যবহারের মধ্যে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার প্রতি বৈষম্যের ইঙ্গিত রয়েছে। তাই 'আদিবাসী' বা 'স্বতন্ত্র জাতিসত্তা' বা 'জাতিগোষ্ঠী' শব্দগুলো ব্যবহার করা উচিত।[৮৯ পৃষ্টা, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সংস্কৃতি, সেড, প্রকাশকাল ২০০৭] বইয়ের নামটিও খেয়াল করতে হবে। আমরা দেখেশুনে এরকম সিদ্ধান্ত নিতেই পারি আমাদের লেখালেখি বক্তৃতায় প্রচলিত আদিবাসী শব্দটিকেই ব্যবহার করলাম। আর চুক্তি, বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট কাগজে পত্রে ও সরকারি বেসরকারি নথিতে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ব্যবহার করলাম। এসব বিতর্ক ফেলে আমাদের সবার সময় নিয়ে পড়া উচিত C169 Indigenous and Tribal Peoples Convention, 1989 Convention concerning Indigenous and Tribal Peoples in Independent Countries (Note: Date of coming into force: 05:09:1991.) -- ৪৪টি আর্টিকেলে বিভক্ত এই দলিলটি আদিবাসী এবং ট্রাইবালরা(এই শব্দটিকে বাংলায় বলছি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা জাতিসত্তা)যারা বিভিন্ন স্বাধীন দেশে বসবাস করছে তাদের অধিকারের স্বীকৃতি। এপর্যন্ত এই কনভেনশন অনুমোদন করেছে মাত্র ২২টি দেশ (আমাদের অঞ্চল থেকে শুধু নেপাল), শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দেয়নি কেউ, এখনো কেউ এই কনভেনশনের বাস্তব প্রয়োগের ঘোষণা দেয়নি এবং কেউ এই কনভেনশন প্রত্যাখ্যানও করেনি। C169 Indigenous and Tribal Peoples Convention, 1989 Convention concerning Indigenous and Tribal Peoples in Independent Countries (Note: Date of coming into force: 05:09:1991.) Convention:C169 Place:Geneva Session of the Conference:76 Date of adoption:27:06:1989 Subject classification: Indigenous and Tribal Peoples Subject: Indigenous and Tribal Peoples See the ratifications for this Convention Display the document in: French Spanish Status: Up-to-date instrument This Convention was adopted after 1985 and is considered up to date. The General Conference of the International Labour Organisation, Having been convened at Geneva by the Governing Body of the International Labour Office, and having met in its 76th Session on 7 June 1989, and Noting the international standards contained in the…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.