[পোস্টের শিরোনাম ঈষৎ বদলে নেয়া হল] ঘটনার প্রথম প্রহরেই আমরা দ্রুত কিছু বিষয়ে অগ্রিম ইঙ্গিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম (এখানে)। এবার এ বিষয়গুলো নিয়ে আরেকটু বিস্তারিত আলোচনা করা দরকার। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য এবং কিছু আনুমানিক বিশ্লেষণকে ভিত্তি করে দ্রুত লিখছি: ১. সাম্প্রতিক সময়ে এমন কী ঘটেছে যা এ ধরণের সশস্ত্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে? সাম্প্রতিক সময়ের দুটো ঘটনায় এর কিছু উত্তর মিলতে পারে। (ক) উপমহাদেশে আন্তঃদেশীয় জঙ্গিবাদের উত্থান ইস্যুকে সামনে রেখে সার্ক টাস্ক ফোর্সের উদ্যোগ এবং তাতে বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার এবং সক্রিয় উদ্যোগ। এ নিয়ে সার্কভুক্ত দেশগুলোর নেতৃবৃন্দের মধ্যে কিছু আলাপ-আলোচনার খবর ইতোমধ্যেই পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বদল করার মাধ্যমে উদ্যোগটিকে অচল করা এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের কারণ হতে পারে। (খ) আওয়ামী লীগ সরকার জাতির বহুদিনকার দাবি ১৯৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুটিকে সামনে নিয়ে এসেছে। এটি ছিল তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। কেবল প্রতিশ্রুতিতেই তা থেমে থাকেনি। ইতোমধ্যে সংসদে এ সংক্রান্ত পদক্ষেপকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব পাশ হয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধ বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও তা
নিয়ে জোরালো আলোচনা শুরু হয়েছে সরকারের উদ্যোগে। সুতরাং এটা এখন স্পষ্ট যে, সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এই সব উদ্যোগে দেশের ভেতরের একটি শ্রেণীর শঙ্কিত বোধ করার কথা। তাদের পক্ষে পুরো উদ্যোগকে বিপথগামী বা (চরম জাতীয় সংকট তৈরির মাধ্যমে) নস্যাৎ করার পরিকল্পনা করা অসম্ভব নয়। যুদ্ধাপরাধী শুধু দেশের ভেতরেই নেই, দেশের বাইরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৯৫ জন কর্মকর্তার মধ্যেও রয়েছে। সুতরাং এ ঘটনায় বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার সরাসরি মদদ থাকাও বিচিত্র নয়। ২. কী অর্জন করতে চেয়েছিল সশস্ত্র আক্রমণকারীরা? এতে এখন আর কোন সন্দেহ নেই যে, এমন মাপের হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য সরকারকে পুরোপুরি অস্থিতিশীল করে দেয়া এবং দেশের মধ্যে চরম রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করা। এর ব্যাপ্তির সাথে কেবল ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১-এর বুদ্ধিজীবী হত্যা কিংবা ১৯৭৫-এর ঘটনাবলিরই তুলনা করা যায়। কিন্তু কেন? প্রথম দৃষ্টিতে মনে হয়েছে দাবি আদায়, কিন্তু এখন আমরা নিঃসন্দেহ যে সেটি ছিল cover বা front, যা নীড়সন্ধানীর মন্তব্যেও উঠে এসেছে। এর উত্তর খুঁজতে হবে হত্যাকাণ্ড এবং অরাজকতার সংখ্যার মধ্যে নয়। খুঁজতে হবে হত্যাকাণ্ডের ও অরাজকতার ধরণ এবং ঘটনাপ্রবাহের…