আমার মনে হয় না বিএনপির আর কোনো আশা আছে।[...]

আমার মনে হয় না বিএনপির আর কোনো আশা আছে। বিএনপির মহাসচিব থেকে শুরু করে বিএনপির সব শীর্ষ নেতা যতই বলে বেড়ান না কেন তারা নিজেরাও জানেন তারা ফাঁকা আওয়াজ তোলা ছাড়া আর সব রাজনীতি ভুলে গেছেন তাই যত দিন ফাঁকা আওয়াজ তুলে মিঠিয়া পাড়া, আমবেচাধর পাড়া ও সুশীলং পাড়ায় শোরগোল জারি রাখা যায় তত দিন তারা এসব বলে যাবেন আর তলে তলে তাদের লন্ডনি ওস্তাদের সন্ত্রাসের তরিকা নিয়ে মাঠে নামার জন্য প্রস্তুতি চলতে থাকবে। পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিএনপির অনুপস্থিত থাকাটাই আমার কাছে এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত মনে হচ্ছে এবং আমাদের জাতীয় জীবনে আবারো দুইহাজারতেরোচৌদ্দপনেরো ধরনের বিএনপি পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত গণসন্ত্রাসের আশঙ্কা করাটাই আমার কাছে খুব সম্ভব মনে হচ্ছে। এখন বর্তমান সরকারের প্রস্তুতি এই পথেই রাখতে হবে সবচেয়ে বেশি তাকে সব দিক থেকে যতটুকু সম্ভব এই গণসন্ত্রাস ঠেকানোর আগাম সতর্ক অবস্থান নিয়ে প্রতিরোধ কৌশল ভেবে রাখতে হবে পাশাপাশি বিএনপি নির্বাচনে আসলে তাকে নির্বাচনে হারানোর প্রস্তুতিও সম্পূর্ণভাবে নিয়ে রাখতে হবে। দুইহাজারআঠারো সালের নির্বাচনী রাজনীতিতে আওয়ামি লিগকে যেটা আমি মনে করিয়ে দিতে চাই

তা হল খালেদা জিয়া কিন্তু এবার আর নিজের জন্য যুদ্ধাপরাধীদের জন্য নির্বাচন মিশনে থাকবেন না এবার যদি বিএনপি নির্বাচনে আসে তিনি নির্বাচন মিশনে প্রক্সি দিতে নামবেন তার ছেলে তারেক জিয়ার হাতে বাংলাদেশ তুলে দেয়ার জন্য কারণ তারেক জিয়ার হাতে বাংলাদেশ তুলে দিতে পারলেই সেবাংলাদেশ আবার খুব সহজেই তার ও যুদ্ধাপরাধীগোষ্ঠীর হয়ে যাবে। কাজেই সবাই সাবধান বিএনপির ফখরুলরা আশি আশি করবেই কিন্তু তারা যেন আর তলে তলে পরিকল্পনা করে গণসন্ত্রাস করতে না পারে তারা যেন নির্বাচনে এসে আর বাংলাদেশের ক্ষমতায় এসে না পড়ে সেদিকে সংশিষ্ট সবারই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

তাহলে সময়ের এই ইঙ্গিতে বোঝা যায় আওয়ামি লিগের ভেতর সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জটিলতা ঘনীভূত হয়েছে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও ওবায়দুল কাদেরের মধ্যে। [...]

আপনি যদি সত্যিকারের রাজনৈতিক বিশ্লেষক হতে চান তবে প্রথমেই যেকোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের যে কোনো প্রচারিত ভাষ্যের 'কাল' বিবেচনা করবেন, এরপর 'পাত্র' (কে বলছেন কাকে বলছেন কার ঘাড়ে চাপাচ্ছেন কার উপর ঝাল ঝাড়ছেন - এরকম সম্ভাব্য সব 'ট্যাগ') আর 'স্থান' বিবেচনা করতেও পারেন নাও করতে পারেন। এবং যেজিনিশটি আপনি একদম ধর্তব্যের মধ্যে আনবেন না তা হল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বটি কী 'বিষয়'এ কথা বলেছেন। কিন্তু আমাদের এখানে দুঃখজনক হলেও সত্য প্রায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের যে কোনো প্রচারিত ভাষ্যের 'বিষয়' নিয়েই লেপ্টে থাকেন। ফলে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কী বলা উচিত ছিল তিনি কী বলেছেন সব আলোচনা এনিয়ে ঘুরপাক খেতে থাকে - মানে আমাদের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের যে কোনো প্রচারিত ভাষ্যকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মতো মোকাবেলা করেন অথচ তারা আরো কার্যকর হয়ে উঠতেন যদি তারা রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতো মোকাবেলা করতেন। বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সাম্প্রতিক একটি প্রচারিত ভাষ্যকে উদাহরণ হিসেবে নিলাম। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ইতিহাসের একটি অংশ। কিন্তু জাসদের নেতা-কর্মীরা এই সফল মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছিল। বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরার আগেই দেশকে

ছিন্নভিন্ন করার চেষ্টা করেছিল। তারা যদি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার সমস্ত পরিবেশ সৃষ্টি না করত, তবে বাংলাদেশ একটি ভিন্ন বাংলাদেশ হত। বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে দেশ আগেই অর্থনৈতিক অগ্রসরতা অর্জন করত। শুধু হঠকারীদের কারণে তা সম্ভব হয়নি। এদের একজনকে আবার মন্ত্রিত্বও দেওয়া হযেছে, যার প্রায়শ্চিত্ত আওয়ামী লীগকে আজীবন করতে হবে। [জাসদ থেকে মন্ত্রী করার প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে: আশরাফ] এখন এই কথার পর আমাদের প্রায় সব রাজনৈতিক বিশ্লেষকের কথা বলার বিষয় হয়ে উঠল জাসদ, মুক্তিযুদ্ধ, শেখ মুজিব হত্যা আর ইঙ্গিতে বলা হাসানুল হক ইনু। কিন্তু একথা কখন বলা হচ্ছে সেই কালটা নিয়েই কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষককে কথা বলতে দেখলাম না। অথচ, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমন এক সময় কথাটা বলছেন, যখন বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের কাউন্সিল এবছর দ্বিতীয় বারের মতো পিছিয়ে দেয়া হয়েছে, এবং কে না জানে, বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের কাউন্সিল মানেই দলের সাধারণ সম্পাদক কে হবে এই জল্পনাকল্পনা, এবং সবাই খেয়াল করবেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের এই কথার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের ওবায়দুল কাদের থেকে এসেছে, তাহলে সময়ের এই ইঙ্গিতে বোঝা যায় আওয়ামি লিগের ভেতর…

সময় শুরু এখন [...]

টুইট করতে করতে অনেক সময় এমন কিছু গুচ্ছ টুইট হয়ে যায় যেগুলোকে পোস্টের রূপ সহজে দেয়া যায়। সেকাজটাই এখানে করা হল। আগে এরকম প্রচুর টুইট কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। এখন থেকে ভাবছি, এরকম টুইটগুলোকে ‘টুইট থেকে পোস্টে’ সিরিজে সংগ্রহ করে রাখব। এখন আমেরিকা যেসব #ব্লগার #হামব্লগার*-দের আশ্রয় দেবে যেসব #এক্টিভিস্ট #হামএক্টিভিস্ট-দের আশ্রয় দেবে ১/... * https://t.co/fiYupDwZeo— MasudKarimমাক (@urumurum) May 4, 2016 তাদেরকে ইউএস @StateDept অলিখিত আবশ্যিকতায় #বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণায় মদত দেবে তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। আমেরিকা এধরনের সুযোগ ২/...— MasudKarimমাক (@urumurum) May 4, 2016 কখনোই কোনো দেশের খাতিরেই ছাড়ে না, আর #বাংলাদেশ-এর ক্ষেত্রে তো তারা মুখিয়েই থাকে, কারণ তারা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় #FDI পার্টনার অথচ ৩/...— MasudKarimমাক (@urumurum) May 4, 2016 #বাংলাদেশ-এর জনগনের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ এখনো #১৯৭১মুক্তিযুদ্ধ-এ আমেরিকার সরকারের #বাংলাদেশ বিরোধী ভূমিকার জন্য এখনো #আমেরিকা-কে ৪/...— MasudKarimমাক (@urumurum) May 4, 2016 প্রধান #আন্তর্জাতিক শত্রু হিসেবেই দেখে, যদিও বাংলাদেশের সেইসব মানুষদের মধ্যে আমেরিকার সাধারণ মানুষদের প্রতি ও আমেরিকায় বসবাসের প্রতি ৫/...— MasudKarimমাক (@urumurum) May 4, 2016 একধরনের #আকর্ষণ সবসময়ের জন্যই পরিলক্ষিত হয়, এবং এটা #কেরিয়ার জীবনদর্শনের খুব সহজ নিয়মের অন্তর্গত তাই স্বাভাবিকভাবেই এতে দোষের কিছু ৬/...— MasudKarimমাক (@urumurum) May 4, 2016 নেই। কিন্তু সমস্যাটা হয় #বাংলাদেশ #ভারত কিংবা #চীন নয়, ভারত কিংবা চীনের আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে #ইউএস @StateDeptএর ঘোঁট পাকানোর ৭/...— MasudKarimমাক (@urumurum) May 4, 2016 চেষ্টা বিরতিহীনভাবে অব্যাহত থাকলেও চীন ও ভারতের #সামরিক ও #রাজনৈতিক শক্তির বিবেচনায় আমেরিকাকে সবসময় #তৈলাক্তবাঁশ মডেলের বিদেশনীতির ৮/...— MasudKarimমাক (@urumurum) May 4, 2016 অনুসরনেই #সর্বক্ষণ লেগে থাকতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশের এখনো পর্যন্ত না আছে সেই অর্থে #জনগণবাদী আঞ্চলিক সামরিকশক্তি না আছে শক্তমাটির উপর ৯/...— MasudKarimমাক (@urumurum) May 4, 2016 দাঁড়ানো ক্ষমতাধর আধিপত্যের #রাজনীতি, কাজেই #বাংলাদেশ-এর উপর আমেরিকার ক্ষমতার আধিপত্যের বাণিজ্যিক কূটকচাল #কৌটিল্যকথিত পথেই চলবে, এবং ১০/...— MasudKarimমাক (@urumurum) May 4, 2016 এভাবেই আমেরিকার এখনকার #সরকার তার আসন্ন সরকারের হাতে সব কলকাঠি তুলে দিতে যথারীতি #বদ্ধপরিকর, এবং তার পাশাপাশি আমাদের সরকার ও ১১/...— MasudKarimমাক (@urumurum) May 4, 2016 #রাষ্ট্রযন্ত্র-এর যেখানে যেখানে এখনই ঘুণের উপদ্রব বাড়াতে হবে তার কাজ পূর্ণোদ্যমে শুরু করে দিয়েছে ইউএস @StateDept। মূলত…

এক দুরারোগ্য অভ্যাসবশত কোনো কিছু না বুঝেও ধুপধাপ কোনো কোনো বই পড়ে ফেলতে পারি, তেমনি হাতে পাওয়ার ৬/৭ দিনের মধ্যেই পড়ে ফেললাম কৌশিক বসুর সাম্প্রতিক বই অ্যান ইকোনোমিস্ট ইন দ্য রিয়েল ওয়ার্ল্ড : দ্য আর্ট অফ পলিসিম্যাকিং ইন ইন্ডিয়া।[..]

পুরনো বইপ্রস্থ বইপ্রস্থ ২৫ আগস্ট ২০০৯ বইপ্রস্থ ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ বইপ্রস্থ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ বইপ্রস্থ ২৬ জুন ২০১২ বইপ্রস্থ ২৩ এপ্রিল ২০১৩ বইপ্রস্থ ১৮ নভেম্বর ২০১৩ বইপ্রস্থ ১১ মে ২০১৪ বইপ্রস্থ ৫ নভেম্বর ২০১৫ বইপ্রস্থ ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ অর্থনীতিরব্যর্থনীতিঅব্যর্থনীতিসমাজনীতিরাজনীতিসংস্কৃতি An Economist in the Real World : The Art of Policymaking in India ।। Kaushik Basu ।। প্রকাশক : Penguin Viking ।। মূল্য : 599 ভারতীয় টাকা এক দুরারোগ্য অভ্যাসবশত কোনো কিছু না বুঝেও ধুপধাপ কোনো কোনো বই পড়ে ফেলতে পারি, তেমনি হাতে পাওয়ার ৬/৭ দিনের মধ্যেই পড়ে ফেললাম কৌশিক বসুর সাম্প্রতিক বই অ্যান ইকোনোমিস্ট ইন দ্য রিয়েল ওয়ার্ল্ড : দ্য আর্ট অফ পলিসিম্যাকিং ইন ইন্ডিয়া। কৌশিক বসু মনমোহন সিংয়ের দ্বিতীয় টার্মে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন প্রায় তিন বছরের মতো সময়কাল জুড়ে, আমার সাথেও সেসময়েই পরিচয় কৌশিক বসুর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত তার এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের সুবাদে, সে সাক্ষাৎকারের মূল বিষয় ছিল ভারতের ক্রমবর্ধমান ভ্রষ্টাচার যাকে আমরা অতিপ্রচলিত ‘ভুল’ দুর্নীতি শব্দ দিয়ে corruption এর বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহার করছি, সেসাক্ষাৎকারেই তার এই প্রস্তাব আমার ভাল লেগেছিল যে ‘অপমানমূলক ঘুষ (harassment bribery)’ দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে ঘুষ দাতাকে আইন করে নির্দোষ ঘোষণা করে ভারতের বিকট দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটা জরুরি পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে যেখানে ভারতীয় প্রচলিত আইনে দাতা ও গ্রহীতা দুজনেই অপরাধী, এই বইয়েও অষ্টম পরিচ্ছেদে এনিয়ে বিশদ আলোচনা আছে, আমার মতে আমাদের সবারই এপরিচ্ছেদটি পড়ে দেখা উচিত, বাংলাদেশেও আমার মতে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতির বিরুদ্ধে কৌশিক বসুর এই প্রস্তাবটি ভেবে দেখা উচিত। Let me present the gist of this idea. In India ordinary citizens and, at times, even large corporations are asked to pay a bribe for something to which they have legal entitlement. I had called these ''harassment bribes.'' Say a woman has filed her tax return properly and it turns out that the Income Tax Department owes her some money. It is not uncommon for a critical employee of the department to ask for some money before he releases the reimbursement. To give another example: a person has imported…

একই সময়ে সংগ্রহ করিনি বই দুটি। কিন্তু একই সময়ে পড়েছি। একই সময়ে পড়ে উপকৃত হয়েছি। এই বিজ্ঞাপন বলছে, এদুটো বই একসাথে পড়ুন – পড়লেই বুঝবেন দুটোর পরিপূরকতা কোথায়।[...]

পুরনো বইপ্রস্থ বইপ্রস্থ ২৫ আগস্ট ২০০৯ বইপ্রস্থ ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ একই সময়ে সংগ্রহ করিনি বই দুটি। কিন্তু একই সময়ে পড়েছি। একই সময়ে পড়ে উপকৃত হয়েছি। এই বিজ্ঞাপন বলছে, এদুটো বই একসাথে পড়ুন – পড়লেই বুঝবেন দুটোর পরিপূরকতা কোথায়। অতীত প্রগতির খেলাঘর বেহাত বিপ্লব ১৯৭১।।সলিমুল্লাহ খান সম্পাদিত।। আগামী প্রকাশনী, ঢাকা।। প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০০৭।। মূল্য ৩২০ টাকা।। এটি এক ভয়ংকর নাটকীয় প্লট, বিপ্লব মুক্তিযুদ্ধ দেশগড়ারসংগ্রাম হল, ১৯৪৭ থেকে ১৯৭৫, এইসময়ের জনগণনায়কেরা বিকট রাজনৈতিক জটিলতায় নিজেদের সব অর্জন নিজেরাই শেষ করে দিয়ে চলে গেল। রয়ে গেল কিছু নিয়ত ‘বেহাত’ তাত্ত্বিক। তেমনই একজন সলিমুল্লাহ খান সম্পাদনা করেছেন ‘বেহাত বিপ্লব ১৯৭১’, আহমদ ছফার ১৯৭৭এ লেখা ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক জটিলতা’ প্রবন্ধটিকে বইটির প্রধানকর্ম বিবেচনা করে। এবং এই বইটিকে ঘোষণা করা হয়েছে ‘আহমদ ছফা মহাফেজখানা ১’ । সলিমুল্লাহ খানের বই পড়া আমার হয়ে ওঠে না, পত্রিকা মারফত কিছু কলাম ও প্রবন্ধ পড়েই বুঝে নিয়েছি, এপথ মাড়িয়ে আমার কাজ নেই। এবারের এই বই নিতান্ত লেখক হিসেবে ছফার গুরুত্ব বিবেচনায় পড়তে নিয়েছি এবং ছফাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের জটিলতার দিকটি অনুধাবন করেছি। এবং যারই এই জটিলতা বোঝার প্রয়োজন আছে তাকেই আমি অনুরোধ করব এই বইটি পড়ে নিতে। ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, নিষিদ্ধ কমিউনিস্ট পার্টি ও কমিউনিস্ট পার্টি(এম-এল), আওয়ামী লীগ এই চতুর্ভুজের আভ্যন্তরীন জটিলতা ও রাশিয়া আমেরিকা ভারত চীন এই চতুর্ভুজের আন্তর্জাতিক জটিলতার হিরণ্ময় বাংলাদেশ কেন শেষ পর্যন্ত মুসলমানের বাংলাদেশ হয়ে উঠল? আসলে বাংলাদেশের অতীতের প্রগতির সব প্রাণশক্তি একে একে উধাও হয়ে গিয়েছিল। আভ্যন্তরীন চারধারা একে অপরকে খেয়ে ফেলেছিল, আন্তর্জাতিক চৌকোষ নিজ নিকেতনে ফিরে গিয়েছিল, পড়ে ছিল পাকিস্তানপন্থার মৌলবাদীরা আর আমেরিকা প্রতাপশালী হয়ে উঠছিল তেলসমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে – তাতেই শক্তিশালী হয়ে উঠল পাকিস্তান – আর বাংলাদেশ জিয়া এরশাদের হাত ধরে চলে গেল একতরফা ধর্মীয় অন্ধকারে। বাংলাদেশের ভবিষ্যতের পাঠ নিতে ‘বেহাত বিপ্লব ১৯৭১’ কাজে লাগবে ঠিকই কিন্তু ‘বেহাত’ তাত্ত্বিকদের কাজে লাগার কোনো সম্ভাবনা আর নেই। একটি মুরগি ভারত অন্দরের অবরোধ।। এম. জে. আকবর।। অনুবাদ অশোক হালদার।। আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা।। প্রথম সংস্করণ জানুয়ারি ১৯৯২।। মূল্য ৬০ ভারতীয় টাকা।। অথবা India The Siege Within || M. J. AKBAR || Penguin India || First Edition 1985 ||…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.