তাই খোলা চোখ চেয়ে দেখুন বাংলাদেশে আজ ভালবাসার দিক থেকে আনন্দের দিক থেকে যৌনতার দিক থেকে উদযাপন ও অনুসঙ্গতার সবকিছু নির্মমতম নিষ্ঠুরতায় ধ্বস্ত [...]

ভালবাসার দিক থেকে আনন্দের দিক থেকে যৌনতার দিক থেকে মানুষের অর্থাৎ নারী পুরুষ বা অন্যান্য লিঙ্গের এক ধরনের পারস্পরিক দ্বৈরথ থাকেই - কিন্তু কখন সেটি অপরাধে রূপ নেয়, কখন সেটি জঙ্গিহানা হয়ে ওঠে তা যেসমাজ বোঝে না - সেসমাজ পুরুষতান্ত্রিক ক্ষমতার আগ্রাসনে নারী ও অন্যান্য লিঙ্গের কাপড় আর চালচলনের মান্দাতার কিছু বুলি ছাড়া আর কিছুই বোঝে না - আর তার শক্তি নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণীর যৌন অপরাধী ও জঙ্গিরা সমাজে দাবড়ে বেড়াচ্ছে - এবং এই সামুহিক কুশিক্ষার প্রভাবেই বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্র ও তার সরকারেরা অন্য ধর্মের উপাসনালয় ও জনপদ ভাঙলে, নারী ও অন্যান্য লিঙ্গের উপর অপরাধী ও জঙ্গি আক্রমণ হলে, নাস্তিক ব্লগার ও প্রগতিশীল মানুষের মাথা কুপিয়ে হযরতকে সমুন্নত করলে, উন্মুক্ত উৎসব ও সাংস্কৃতিক অবস্থানে ইসলামবাদী হামলা করলে তার বিচার করতে পারে না - এখানে রাষ্ট্র ও সরকার সমাজের সামুহিক কুশিক্ষাকে প্রণোদনা দেয় কারণ তার মধ্যে এটা জোরেশোরে কাজ করে যে এই সামুহিক কুশিক্ষার তোয়াজ করলেই সহজেই টিকে থাকে ক্ষমতা, রাষ্ট্র ও সরকার এটা বোঝে না সেই টিকে থাকার নির্লজ্জ ক্ষমতাকে সার্বক্ষণিক ব্যঙ্গ করে মানবতা। তাই খোলা চোখ চেয়ে দেখুন বাংলাদেশে আজ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বহুবিভক্তির বহুরূপী বর্ণার্ঢ্যতা বিপর্যস্ত - তাই খোলা চোখ চেয়ে দেখুন বাংলাদেশে আজ ভালবাসার দিক থেকে আনন্দের দিক থেকে যৌনতার দিক থেকে উদযাপন ও অনুসঙ্গতার সবকিছু নির্মমতম নিষ্ঠুরতায় ধ্বস্ত।

এসময়ে সবচেয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো নিয়ে, তেলের থেকে সব প্রাপ্তি যেন সরকার এদেরকে খাইয়ে না দেয় [...]

টুইট করতে করতে অনেক সময় এমন কিছু গুচ্ছ টুইট হয়ে যায় যেগুলোকে পোস্টের রূপ সহজে দেয়া যায়। সেকাজটাই এখানে করা হল। আগে এরকম প্রচুর টুইট কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। এখন থেকে ভাবছি, এরকম টুইটগুলোকে ‘টুইট থেকে পোস্টে’ সিরিজে সংগ্রহ করে রাখব। তেলের উৎপাদক বেড়েছে চাহিদা সামান্য বেড়েছে তেলের দাম তো কমবেই— MasudKarimমাক (@urumurum) January 7, 2015 উৎপাদকদের সর্বনাশ হলেও বাংলাদেশের মতো সরকারগুলোর এখন দাপটে থাকার সময় - এসময়ে সবচেয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো— MasudKarimমাক (@urumurum) January 7, 2015 নিয়ে, তেলের থেকে সব প্রাপ্তি যেন সরকার এদেরকে খাইয়ে না দেয়, মাঝারি ও বৃহৎ বিদ্যুৎ প্রকল্প গিয়ে রেন্টাল বন্ধ করার এমন ভাল সুযোগ আর আসবে— MasudKarimমাক (@urumurum) January 7, 2015 না - কিন্তু সরকার যদি অতি লোভে এগুলি থেকে সরে না এসে আরো রেন্টালে ডুবে যায় তাহলে কিন্তু সরকার তাড়াতে রাজনীতি লাগবে না - তেলনীতি দফারফা— MasudKarimমাক (@urumurum) January 7, 2015 দেবে, কাজেই লোভে পড়বেন না কৌশলী হয়ে বড় প্রকল্পের দিকে চলে যান, কোনো নীতিই তখন আপাতত সরকার তাড়াতে পারবে না।— MasudKarimমাক (@urumurum) January 7, 2015 তেলের উৎপাদক বেড়েছে চাহিদা সামান্য বেড়েছে তেলের দাম তো কমবেই – উৎপাদকদের সর্বনাশ হলেও বাংলাদেশের মতো সরকারগুলোর এখন দাপটে থাকার সময় – এসময়ে সবচেয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো নিয়ে, তেলের থেকে সব প্রাপ্তি যেন সরকার এদেরকে খাইয়ে না দেয়, মাঝারি ও বৃহৎ বিদ্যুৎ প্রকল্পে গিয়ে রেন্টাল বন্ধ করার এমন ভাল সুযোগ আর আসবে না – কিন্তু সরকার যদি অতি লোভে এগুলি থেকে সরে না এসে আরো রেন্টালে ডুবে যায় তাহলে কিন্তু সরকার তাড়াতে রাজনীতি লাগবে না – তেলনীতি দফারফা করে দেবে, কাজেই লোভে পড়বেন না কৌশলী হয়ে বড় প্রকল্পের দিকে চলে যান, কোনো নীতিই তখন আপাতত সরকার তাড়াতে পারবে না।

চোর নির্বাচন [...]

টুইট করতে করতে অনেক সময় এমন কিছু গুচ্ছ টুইট হয়ে যায় যেগুলোকে পোস্টের রূপ সহজে দেয়া যায়। সেকাজটাই এখানে করা হল। আগে এরকম প্রচুর টুইট কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। এখন থেকে ভাবছি, এরকম টুইটগুলোকে ‘টুইট থেকে পোস্টে’ সিরিজে সংগ্রহ করে রাখব। এই পোস্টে সংকলিত টুইটগুলো ক্রমান্বয়ে : এক, দুই, তিন। এখন শুধু একথা মুখ ফুটে বলার বাকি আছে, আমাদের চুরিতে জনগণের সমর্থন আছে -- কারণ জনগণের ভোটে আমরা নির্বাচিত হয়েছি। আর বিরোধীদের একথা মুখ ফুটে বলার বাকি আছে, ওরা আর কত চুরি করবে এবার আমাদেরকে চুরি করার সুযোগ দিন। আর ভোটারদের একথা মুখ ফুটে বলার আছে, আমরা চোর নির্বাচন করি। নির্বাচিত চোর হতে চাইলে আমাদের দুয়ারে আপনাদের আসতেই হবে।

এই বিশ্বমন্দার চাপে আমাদের মতো ইমার্জিং মার্কেটের (EM) দেশের সরকারের একটা বড় ভাবনার বিষয় কিভাবে ভর্তুকি কমানো যায় এবং কী গতিতে।[...]

একথা মনে হয় যখন বিদ্যুৎ বিল হাতে পাই, যখন ঘরভাড়ার সাথে গ্যাসের জন্য নির্ধারিত মাসিক টাকাটা যোগ করি, যখন পেট্রোল কিনি -- একটা ভাউচার চাই : সরকার আমার জন্য যে ভর্তুকি দিচ্ছে তার ভাউচারটা চাই। সরকার শিক্ষায় ভর্তুকি দেয়, কৃষিতে ভর্তুকি দেয়, সরকার আরো অনেক কিছুতে ভর্তুকি দেয় -- যতটুকু সম্ভব প্রত্যেক ক্ষেত্রে ভাউচারের ব্যবস্থাটা করুক সরকার। এই বিশ্বমন্দার চাপে আমাদের মতো ইমার্জিং মার্কেটের (EM) দেশের সরকারের একটা বড় ভাবনার বিষয় কিভাবে ভর্তুকি কমানো যায় এবং কী গতিতে। এটা অর্থনীতির ভয়ংকর জটিল একটা সিদ্ধান্তের জায়গা। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কাজ নয় এর সব দিক ও নির্দেশনাকে বুঝতে পারা। কিন্ত আমরা সাধারণ মানুষেরা কিছু সাধারণ জিনিস তো খুব সহজে বুঝি -- আমরা বুঝি ভর্তুকি কমাতে থাকলে মুদ্রাস্ফীতি হবে এবং ভর্তুকি কমানোর গতি দ্রুত হলে এই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা দুঃসাধ্য হয়ে উঠবে। ভর্তুকি শব্দটাই আমরা পরিবর্তন করে দিই যদি -- আমরা যদি ভর্তুকিকে সরকারের বিনিয়োগ হিসেবে দেখি, তাহলে সরকার আমার জীবনে কত ভাবে কত বিনিয়োগ করছে তার একটা হদিস যদি পাই ভাউচারের মাধ্যমে -- আমার মনে হয় আমাদের দুপক্ষের মধ্যে একটা ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। শিক্ষা খাতে সরকার এত ভর্তুকি দেয়, বিদ্যুৎ খাতে সরকার এত ভর্তুকি দেয় -- এর পরিবর্তে ভাউচারের মাধ্যমে সরকার যদি জানিয়ে দেয় তোমাকে পড়ালেখা শেখাতে আমি এই অর্থটা বিনিয়োগ করেছি, তোমার বিদ্যুৎ বিলের এই অংশটা তোমার সরকারের বিনিয়োগ, তাহলে আমি সাধারণ ভর্তুকির চেয়ে আমার খাতে সরকারের বিনিয়োগটাকে স্পষ্ট দেখতে পাব। তাই ভাউচারটা চাই।

আমাদের জানা দরকার এই ছাত্রসরকার সরকারের কোথায় কোথায় তাদের আয়ের টাকার ভাগ পৌঁছে দেয়। পৌঁছে অবশ্যই দেয়। আর যদি পৌঁছে না দেয়, সরকারের সতর্ক হওয়া উচিত, কারণ এর অর্থ দাঁড়ায় – কোথাও আছে এক সমান্তরাল সরকার, যার সাথে নিয়মিত চলে ছাত্রসরকারের লেনদেন।[...]

ছাত্ররাই জাতির ভবিষ্যৎ। ছাত্ররা রাজনীতিরও ভবিষ্যৎ। রাজনীতি কি জাতির ভবিষ্যৎ? তাহলে ছাত্র রাজনীতি জাতির ভবিষ্যতের সবকিছু? কিন্তু এখন ছাত্র রাজনীতি উবে গেলে ভবিষ্যতে রাজনীতিও মরে যাবে? রাজনীতি মরে গেলে জাতিও মরে যাবে? মৃত্যু অপরিহার্য। কিন্তু ধর্ম মরেনি, শাসন মরেনি, শোষণ মরেনি : রাজনীতি তাহলে কেন মরবে? মৃত্যু অপরিহার্য নয়, ধর্ম শাসন শোষণ রাজনীতি অমর। কেন? প্রক্রিয়া বড় শক্ত জিনিস। ছাত্ররাই প্রথম একসাথে চলা। এরাই ঝাঁকে ঝাঁকে চলে। এরাই সংঘবদ্ধতা। তাই এরা রাজনীতির ক্যাডার। এরাই প্রাণভোমরা। কিন্তু জনমত দিনে দিনে ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে চলে গেছে। এদিকে জনমত রাজনীতির সপক্ষেও নেই। তাহলে সরকার? ভোট ব্যক্তির অধিকার হিসেবে টিকে আছে। তাই সরকার তৈরি হচ্ছে। ছাত্র রাজনীতির সাথে ব্যক্তির ভোটের সম্পর্ক নেই। তাই বলে ফেলি – ছাত্র রাজনীতি চাই না। রাজনীতি চাই না, এটাও বলি, কিন্তু ভোট দিতে ঠিকই হাজির হয়ে যাই। রাজনীতি আর থাকে না। কিন্তু সরকার থাকে। আর ওদিকে ছাত্ররা কী করে? এরাও আর রাজনীতি করে না। যা করার তাই করে তাদের প্রবল প্রতিনিধিরা ছাত্রসরকার চালায়। এটা নিয়ন্ত্রণ করে ওটা নিয়ন্ত্রণ করে, এখান থেকে খায় ওখান থেকে খায়, একে ধরে নিয়ে যায় ওকে ধরে নিয়ে যায়। তাহলে এই প্রবল ছাত্রসরকারকে কে প্রতিহত করবে? সরকারই করবে। কিন্তু আমরা তো তেমন কিছু দেখতে পাচ্ছি না। তাহলে সরকারের সাথে ছাত্রসরকারের নিয়মিত বোঝাপড়া চলছে। ছাত্রসরকারের অর্জন সরকারের কাছে নিশ্চয়ই পৌঁছে যাচ্ছে। সরকার প্রধান ছাত্রসরকারের দায়িত্ব ছেড়েছেন, কিন্তু সংঘবদ্ধতা তো ছাড়েননি। সংঘং শরণং গচ্ছামি। শুধু সরকার। তাই শুধু ছাত্রসরকার। আমাদের জানা দরকার এই ছাত্রসরকার সরকারের কোথায় কোথায় তাদের আয়ের টাকার ভাগ পৌঁছে দেয়। পৌঁছে অবশ্যই দেয়। আর যদি পৌঁছে না দেয়, সরকারের সতর্ক হওয়া উচিত, কারণ এর অর্থ দাঁড়ায় – কোথাও আছে এক সমান্তরাল সরকার, যার সাথে নিয়মিত চলে ছাত্রসরকারের লেনদেন। লেনদেন কখনোই গোষ্ঠীহীন নয়, শরণ নিতেই হয়, সংঘং শরণং গচ্ছামি। রাজনীতিই এর সমাধান। সরকার ছাত্রসরকারের রাশ টেনে রাখতে পারে রাজনীতি। আমাদের রাজনীতি যে নেই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ আমাদের সরকার ছাত্রসরকারের দাপটেই সবকিছু চলছে। জীবন যাপনে যে পরিমাণ দাপটের নীচে আমাদের বসবাস, যে সংঘবদ্ধ লোলুপতা আমাদের চারপাশ কুরে কুরে খাচ্ছে, তার কাছ থেকে বাঁচতে হলে রাজনীতিকে…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.