এই বিশ্বমন্দার চাপে আমাদের মতো ইমার্জিং মার্কেটের (EM) দেশের সরকারের একটা বড় ভাবনার বিষয় কিভাবে ভর্তুকি কমানো যায় এবং কী গতিতে।[...]

একথা মনে হয় যখন বিদ্যুৎ বিল হাতে পাই, যখন ঘরভাড়ার সাথে গ্যাসের জন্য নির্ধারিত মাসিক টাকাটা যোগ করি, যখন পেট্রোল কিনি — একটা ভাউচার চাই : সরকার আমার জন্য যে ভর্তুকি দিচ্ছে তার ভাউচারটা চাই। সরকার শিক্ষায় ভর্তুকি দেয়, কৃষিতে ভর্তুকি দেয়, সরকার আরো অনেক কিছুতে ভর্তুকি দেয় — যতটুকু সম্ভব প্রত্যেক ক্ষেত্রে ভাউচারের ব্যবস্থাটা করুক সরকার।

এই বিশ্বমন্দার চাপে আমাদের মতো ইমার্জিং মার্কেটের (EM) দেশের সরকারের একটা বড় ভাবনার বিষয় কিভাবে ভর্তুকি কমানো যায় এবং কী গতিতে। এটা অর্থনীতির ভয়ংকর জটিল একটা সিদ্ধান্তের জায়গা। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কাজ নয় এর সব দিক ও নির্দেশনাকে বুঝতে পারা। কিন্ত আমরা সাধারণ মানুষেরা কিছু সাধারণ জিনিস তো খুব সহজে বুঝি — আমরা বুঝি ভর্তুকি কমাতে থাকলে মুদ্রাস্ফীতি হবে এবং ভর্তুকি কমানোর গতি দ্রুত হলে এই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা দুঃসাধ্য হয়ে উঠবে।

ভর্তুকি শব্দটাই আমরা পরিবর্তন করে দিই যদি — আমরা যদি ভর্তুকিকে সরকারের বিনিয়োগ হিসেবে দেখি, তাহলে সরকার আমার জীবনে কত ভাবে কত বিনিয়োগ করছে তার একটা হদিস যদি পাই ভাউচারের মাধ্যমে — আমার মনে হয় আমাদের দুপক্ষের মধ্যে একটা ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। শিক্ষা খাতে সরকার এত ভর্তুকি দেয়, বিদ্যুৎ খাতে সরকার এত ভর্তুকি দেয় — এর পরিবর্তে ভাউচারের মাধ্যমে সরকার যদি জানিয়ে দেয় তোমাকে পড়ালেখা শেখাতে আমি এই অর্থটা বিনিয়োগ করেছি, তোমার বিদ্যুৎ বিলের এই অংশটা তোমার সরকারের বিনিয়োগ, তাহলে আমি সাধারণ ভর্তুকির চেয়ে আমার খাতে সরকারের বিনিয়োগটাকে স্পষ্ট দেখতে পাব।

তাই ভাউচারটা চাই।

মাসুদ করিম

লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।

২ comments

  1. মাসুদ করিম - ২ মে ২০১৫ (৯:২৬ অপরাহ্ণ)

    সেমিনারেই প্রশ্নের মুখে সিপিডি

    ভর্তুকি ব্যবস্থাপনা নিয়ে সিপিডি আয়োজিত এক সেমিনারে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির তথ্য বিশ্লেষণের বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অধ্যাপক শামসুল আলম।

    শনিবার সকালে রাজধানীর লেইক শোর হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের ওই সেমিনারে মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচক ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) এই সদস্য।

    অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, “প্রবন্ধে বিভিন্ন অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকির বরাদ্দ যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তার মধ্যে বস্তুনিষ্ঠতা ও সামঞ্জস্যতা নেই।”

    কয়েক বছর ধরে খাদ্য, কৃষি ও বিদ্যুৎসহ বেশ কয়েকটি খাতে ভর্তুকির জন্য প্রায় সমান বরাদ্দ দেওয়া হলেও প্রবন্ধের তথ্যে তা অসামঞ্জস্য করে দেখানো হয়েছে বলে তার পর্যবেক্ষণ।

    অধ্যাপক শামসুল বলেন, এভাবে বিদ্যুৎ, পাট, বিপিসি ও পিডিবির বরাদ্দ বিশ্লেষণেও সামঞ্জস্য নেই।

    তথ্য বিশ্লেষণে বস্তুনিষ্ঠতার এরকম অভাব হলে সিপিডি বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    সেমিনারে মূল প্রবন্ধে সিপিডির ভিজিটিং ফেলো কানিজ সিদ্দিক দেশি-বিদেশি আর্থিক খাত থেকে ঋণ নিয়ে দেওয়া ভর্তুকির যথাযথ ব্যবস্থাপনার উপর জোর দেন।

    অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সিপিডির সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য ভর্তুকির সংজ্ঞা, দক্ষতা বৃদ্ধির জায়গা চিহ্নিত করা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতের পরামর্শ দেন।

    ভর্তুকির ইতিবাচক দিক ‍তুলে ধরতে গিয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের বিষয়টি সবার নজরে আনেন অধ্যাপক শামসুল আলম।

    “কল্যাণ রাষ্ট্র তৈরির জন্য ভর্তুকি দরকার। তবে ভর্তুকির জন্য নীতিমালা প্রয়োজন।”

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশে আগে থেকেই ভর্তুকি আছে। ভর্তুকির প্রধান উদ্দেশ্য অসাম্য কমিয়ে আনা।

    “২০১০ সালে যখন সরকার রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করেছিল, তখন জনগণের যে কোনো মূল্যে বিদ্যুৎ পাওয়ার আগ্রহ ছিল। এখন ভর্তুকি কমিয়ে আনতে সরকার দীর্ঘমেয়াদী কয়লা ও গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করছে।”

    অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, “যে লক্ষ্যে বাজেটে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে, তা অর্জিত হচ্ছে কি না, তা গবেষণা করতে হবে। ভর্তুকিতে সংস্কার, উদ্দেশ্য ও স্বচ্ছতা দরকার।”

    • মাসুদ করিম - ৩ মে ২০১৫ (৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ)

      Subsidies usually do not reach target groups, promote inequality

      Experts at CPD dialogue call for nat’l subsidy policy

      The urgency for formulation of a national subsidy policy was highlighted when speakers at a dialogue on Saturday expressed their concern over indiscriminate allocation and abuse of subsidy.

      Subsidy is financial support the government provides to keep the price/cost of products or services at low level.

      To ensure transparency and accountability, they wanted a review of the overall subsidy programme of the government, analysing its distribution system and impact. They also suggested phasing out of fuel and power subsidies and reducing agriculture and food subsidies.

      If required, they said, subsidies should be given at the level of end-users.

      They observed that, in most cases, the subsidies do not reach the target groups and promote inequality. The benefits are usually harnessed by the high-income group defeating the very purpose of providing subsidy.

      They identified, among others, quick rental power plants and some government enterprises where the subsidies are being abused widely.

      “The quick rental power plants are which use the most inefficient technologies devour huge amounts of subsidies through the Power Development Board and the Bangladesh Petroleum Corporation,” said Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS) Professorial Research Fellow Dr M Asaduzzaman.

      “The government should not extend the tenures of the quick rental power plants to ease its subsidy burden,”

      said the economist seeking its selective and judicial use while allocating subsidies.

      State Minister for Finance and Planning MA Mannan, who attended the programme as the chief guest, however, said quick rental power plants were allowed to meet immediate necessity, as people wanted electricity at any cost. So, the minister said, these cannot be withdrawn immediately.

      But he agreed that many of such subsidies are creating distortions.

      The subsidies, the minister said, are given with a view to reducing poverty and inequality.

      “Sometimes, subsidy can be an investment if made available to the right place like education. But it may considered spending in case of electricity and fertiliser,” said the minister.

      Former Advisor to the caretaker government Dr AB Mirza Azizul Islam, who attended the programme as the guest of honour, also stressed the need for more transparent, judicial and accountable system for allocation of subsidies and urged the government to shift from generalised system of subsidies to targeted subsidies.

      In case of government enterprises, which fail to generate income and mostly depend on government allocations, he strongly recommended for not allocating any subsidy for those. “If the commercial enterprises cannot meet their variable costs, those should be closed down,” felt the economist.

      “Jute mills do not have money to buy jute. Sugar mills produce sugar, but cannot sell it. If this is the situation, the government should privatise the mills or close down those,” said the former adviser.

      Private think-tank, Centre for Policy Dialogue (CPD), organised the dialogue on “Subsidy Management in Bangladesh: Efficiency and Equity Issues” at the city’s Lakeshore Hotel on Saturday which was attended by a large number of economists, researchers, businessmen, academics and officials from government and non-government organisations.

      Presided over by CPD’s Distinguished Fellow Dr Debapriya Bhattacharya, the dialogue was addressed among others by Economic Research Group (ERG) Research Director Dr Sajjad Zohir, Planning Commission Member Dr Shamsul Alam, DCCI’s Senior Vice President Humayun Rashid, Dr. Akhtaruzzaman of IFPRI, Dr. Bimal Saha of BIDS, prof. Golam Hafiz of Bangladesh Agriculture University and Energy and Power Editor Molla Amzad Hossain. CPD’s Visiting Fellow Dr Kaniz Siddique presented the keynote paper on the subject.

      In his speech, Dr Debapriya Bhattacharya also highlighted the urgency for properly defining subsidy, its areas and modes of allocation with formulation of a notational policy for judicial use of the fund.

      Dr Kaniz in her paper explained how wealthier people are being benefited from the money, usually paid by the government to keep prices stable, reduce cost and help the poor.

      “It certainly helps some poor, but large farmers are benefited relatively more,” she added. Fuel like kerosene is subsidised more because a large number of users live in rural areas. But subsidy on petroleum is not pro-poor, she said demanding restructuring of subsidy components to ensure its efficiency and effectiveness of public expenditure.

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.