বার্মার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের দ্বিপাক্ষিক সমাধান প্রচেষ্টার সাথে আমরা যখন বার্মায় রোহিঙ্গাদের উপর সংঘটিত জনজাতিনিধনযজ্ঞের বিচার চাওয়াকে হুমকি মনে করি তখন বুঝতে হবে আমরা দুটোর মধ্যে পার্থক্য না ধরতে পেরে ভুল পন্থায় চিন্তার দিকে পা বাড়াচ্ছি [...]

বার্মা রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল কিনা, রোহিঙ্গাদেরকে তাদের আবাসভূমি রাখাইন অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করতে নিপীড়ন ধর্ষণ ও হত্যার পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিয়েছিল কিনা এই বিচারের জায়গাটা আন্তর্জাতিক অপরাধ বিচারের জায়গা এটা আমাদেরকে সবার আগে বুঝতে হবে। এবং এটা যদি আমরা বুঝতে পারি তাহলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মিয়ানমারের বিচার চাওয়ার সাথে একাত্ম হয়ে বাংলাদেশ সরকারের মিয়ানমারের বিচার চাওয়ার মধ্যে আর কোনো দ্বিধাই থাকতে পারে না। বার্মার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের দ্বিপাক্ষিক সমাধান প্রচেষ্টার সাথে আমরা যখন বার্মায় রোহিঙ্গাদের উপর সংঘটিত জনজাতিনিধনযজ্ঞের বিচার চাওয়াকে হুমকি মনে করি তখন বুঝতে হবে আমরা দুটোর মধ্যে পার্থক্য না ধরতে পেরে ভুল পন্থায় চিন্তার দিকে পা বাড়াচ্ছি। আর এভাবে পার্থক্য না বুঝলে আমি বিরক্ত হই। বাংলাদেশের সামনে স্পষ্ট পথ হল বার্মায় রোহিঙ্গাদের উপর সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধসমূহের বিচার করার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রাথমিক পদক্ষেপে সেই সম্ভাবনার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বিচারের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার সম্পূর্ণ সহযোগিতার দিকে অগ্রসর হওয়া। আর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন ও প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক অবস্থানকে সমুন্নত রেখে বার্মার উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়িয়ে এগিয়ে যাওয়া। আমি চাই বাংলাদেশ কোনোভাবেই যেন বার্মায় রোহিঙ্গাদের উপর সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন ও প্রত্যাবাসনের বাংলাদেশ মিয়ানমারের যৌথ প্রচেষ্টার সমঝোতা স্মারককে গুলিয়ে না ফেলে। বাংলাদেশ উভয় পথেই নিজেকে উচ্চকিত রাখবে এটাই ঠিক কূটনীতি কারণ বার্মা যেমন রোহিঙ্গাদের উপর সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধে অপরাধী তেমনি বার্মাকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন ও প্রত্যাবাসনও করতেই হবে। Prosecutor of @IntlCrimCourt #FatouBensouda wants the international criminal court to claim jurisdiction and investigate treatment of #Myanmar #Rohingya minority https://t.co/UXabvF6mdr #Burma #Bangladesh #Rakhine #crimeagainsthumanity — ICSF (@icsforum) April 10, 2018 it may be a long and winding process, but the ICC Prosecutor being finally empowered to officially investigate the #Rohingya issue is not too remote a possibility now: #ICSF Trustee Dr #AhmedZiauddin to #BBC https://t.co/mKiV3uhqNA - https://t.co/SwuwZ7UM68 — ICSF (@icsforum) April 12, 2018 Yesterday, International Criminal Court invited Bangladesh to submit amicus curiae brief on the #Rohingya situation. GoB should engage with the Court, and must respond. CONFIDENTIALLY,…

এবং এখন এই যে রোহিঙ্গারা তাদের গন্তব্য চট্টগ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে এই কঠিন বাস্তবতা চট্টগ্রাম অঞ্চল যেন মোকাবেলা করতে পারে তার জন্য শুধু বাংলাদেশ রাষ্ট্র কাজ করলেই চলবে না জাতিসংঘকে এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকেও বড় ভূমিকা রাখতে হবে [...]

শুনতে করুণ লাগতে পারে আত্মঘাতী মনে হতে পারে কিন্তু এটা মেনে নিতেই হবে দুসপ্তাহের মধ্যে যদি বার্মার রাখাইন প্রদেশের তিন ভাগের এক ভাগ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে আসতে পারে তাহলে দেড় মাসের মধ্যেই সব রোহিঙ্গা বাংলাদেশেই বসবাস শুরু করে দিতে পারে এবং এই পুরো চাপটি চট্টগ্রাম অঞ্চলকেই বহন করতে হবে এবং এটাও স্বীকার করে নিতে হবে রাখাইনবাসী রোহিঙ্গাদের গন্তব্য এখন চট্টগ্রাম। ২০১২ সালে এবং ২০১৬ সালে বাংলাদেশ চেষ্টা করেছে রোহিঙ্গারা যেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেইসাথে রাখাইনে রোহিঙ্গাদেরও আশা ছিল বার্মার ওই প্রদেশে তাদের সাময়িক নিবন্ধন সনদ নাগরিক সনদে রূপ না নিলেও অন্তত স্থায়ী নিবন্ধন সনদে উন্নীত হবে এবং তারা রাষ্ট্রহীন জনগোষ্ঠী থেকে রাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্ত জনগোষ্ঠীতে রূপান্তরের প্রাথমিক ধাপ অতিক্রম করবে। রোহিঙ্গাদের এটাও আশা ছিল ২০১২ ও ২০১৬ সালের এআরএসএ-এর বিচ্ছিন্নতাবাদী আগ্রাসন ও তা দমনে বার্মার সিভিল ও সামরিক প্রশাসনের ঢালাও গ্রামের পর গ্রামে অবরোধ অগ্নিসংযোগ ধর্ষণ নির্যাতন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক উজ্জীবনের মধ্য দিয়ে কমে আসবে। কিন্তু বার্মার রাখাইন প্রদেশে এবং বার্মার কেন্দ্রীয় সরকারে কোনো কিছুই সাধারণ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাশার অনুকূলে চলেনি। প্রাদেশিক সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গাদের বিষয়ে উদাসীনতার মাত্রা বাড়িয়ে সামরিক নজদারির মাত্রা চড়িয়ে রাষ্ট্রহীন জনগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রচ্যূত জনগোষ্ঠীর দিকে ঠেলে দিতে কঠোর থেকে কঠোরতর হতে লাগল এবং রাখাইন প্রদেশের সংখ্যাগুরু বৌদ্ধদের সাথে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ধর্মগত ও জনজাতিগত ব্যবধানের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাখাইন প্রদেশকে মা বা থা চরমপন্থা ও এআরএসএ-এর সশস্ত্র চরমপন্থার নৈরাজ্যের মধ্যে ঠেঁসে ধরল। গত কয়েক বছরের আন্তর্জাতিক ইসলামি সন্ত্রাসবাদের বিকট বিস্তারের প্রেক্ষাপটে এআরএসএ হয়ে উঠল এমন সংগঠন যারা রোহিঙ্গা মুসলমানদের উদ্ধারের কথা বলে বেড়ে উঠলেও সন্ত্রাসবাদের সাধারণ নিয়মে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে থাকা মুসলিমদেরও শেষ করে দিতে বদ্ধপরিকর এবং তাদের কার্যকলাপ এমন হয়ে উঠল যাতে অং সান সু কি সহজেই বলতে পারছেন যেখানে মুসলমানরাও মুসলমানকে মারছে সেখানে আরাকানের সমস্যা সমাধান করা অনেক অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে যার ফলে এটা বলা অনেক সহজ আজকে এআরএসএ বার্মার গণতান্ত্রিক নেতার ও সামরিক প্রশাসনের রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের অনিচ্ছার পক্ষেই কাজ করছে এবং সাধারণ রোহিঙ্গাদের রাষ্ট্রচ্যূত করার নিয়ামক হিসেবেই তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিস্তার ঘটাচ্ছে। এবং এখন এই যে রোহিঙ্গারা তাদের গন্তব্য চট্টগ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে…

আমি সাধারণত ভ্রমণকাহিনি পড়ি না। কিন্তু কখনো কখনো এমন ভ্রমণকাহিনি হাতে পড়ে তা শুধু না পড়ে থাকা যায় না তা নয় একেবারে শেষ না করে ওঠা যায় না। [...]

পুরনো বইপ্রস্থ বইপ্রস্থ ২৫ আগস্ট ২০০৯ বইপ্রস্থ ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ বইপ্রস্থ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ বইপ্রস্থ ২৬ জুন ২০১২ বইপ্রস্থ ২৩ এপ্রিল ২০১৩ বইপ্রস্থ ১৮ নভেম্বর ২০১৩ বইপ্রস্থ ১১ মে ২০১৪ বার্মাবস্তু Where China Meets India, Burma And The New Crossroad Of Asia ।। Thant Myint-U ।। প্রকাশক : faber and faber ।। মূল্য : UK ₤ 9.99 RRP আমি সাধারণত ভ্রমণকাহিনি পড়ি না। কিন্তু কখনো কখনো এমন ভ্রমণকাহিনি হাতে পড়ে তা শুধু না পড়ে থাকা যায় না তা নয় একেবারে শেষ না করে ওঠা যায় না। আমার হাতে এরকম যেকয়েকটা হাতে গোনা ভ্রমণকাহিনি পড়েছে এবং আমাকে তা দ্রুত পড়ে শেষ করতে হয়েছে, সেবইগুলোর মধ্যে একটা মিল আছে - আমি দেখেছি ইতিহাস রাজনীতি অর্থনীতি যখন হয় কোনো ভ্রমণকাহিনির অন্তর্লীন প্রবাহ তখনই আমার কাছে সেভ্রমণকাহিনির টান হয়ে ওঠে অপ্রতিরোধ্য। গত সপ্তাহটা তাই আমি থান্ট মাইইনট-ইউ এর এই ৩৩৩ পৃষ্টার বইটাতেই প্রোথিত ছিলাম। বলা চলে বার্মার ইতিহাস রাজনীতি অর্থনীতির ২১০০/২২০০ বছরে প্রচলের মধ্যে জড়িত হয়ে পড়েছিলাম যার মূল কথা হয়ে উঠেছে এটাই, হাজার হাজার বছর ধরে কীকরে একটা অঞ্চল এরকম বিচ্ছিন্ন বস্তু হয়ে বিন্যস্ত হয়ে থাকতে পারে। বার্মা কেন খিড়কি হয়েছিল, তিব্বত সিচুয়ান ইউনানের খিড়কি হয়ে থাকার নিয়তি তাকে কেন বরণ করতে হয়েছিল - এ কেমন বস্তু যার অস্তিত্ব সর্বক্ষণ পর্যালোচিত কিন্তু যাকে উন্মুক্ত করার কোনো প্রয়োজন নেই বলে সে চিরদিনের জন্যই আবদ্ধ। বার্মা আসাম পর্যন্ত তার দখলে নিয়েছিল আবার যখন আসাম হারাতে হল তখন হারাল - ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির আয়ত্তে স্কটিশরা আমাদের বাঙালিরা বড়ব্যবসা ছোটব্যবসা শিক্ষকতা ওকালতি ডাক্তারি সবই করল আবার একসময় তাদের যখন তাড়িয়ে দেয়া হল তারা চলে এল বার্মাতেই বার্মা শক্তিশালী হল - জাপানিরা চীনের বিরুদ্ধে বার্মা পর্যন্ত নিজেদের বিস্তারিত করেছিল কিন্তু যখন জাপানিদের হটে যেতে হল তখন বার্মা তো বার্মাতেই পড়ে রইল - বার্মা স্বাধীন হল, বার্মা কমিউনিস্ট হবে ভাবল, বার্মা সামরিক বাহিনির হয়ে গেল, বার্মায় গৃহযুদ্ধ চলল, বার্মায় বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা চলতে লাগল, বার্মায় গণতন্ত্রের আহবান এলো গণতন্ত্র গৃহবন্দী এলো, গৃহবন্দীত্ব কাটতেও চলল - কিন্তু বার্মার খিড়কি দশা কি কাটবে? বার্মার সাধারণ মানুষের জীবন কী শেষ পর্যন্ত পাবে জীবনমানের প্রসারের…

এবং এটাকে এরকম কোনোভাবেই ভাববেন না জামাতকে আড়াল করার জন্য এসব বলা হচ্ছে, আমার মতে বাংলাদেশে জামাত ইসুটা নিয়ে একটাই কথা হবে একাত্তরের আন্তর্জাতিক অপরাধের কারণে দলটি নিষিদ্ধ হতেই হবে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য যখন হবে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা তখন শুধু এটুকুতেই কাজ হবে না। ইসলামি মাওবাদকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। [...]

বিএনপির চেয়ারম্যান ইসলামি মাওবাদের চেয়ারম্যান। [ বাংলাদেশকে কোনোভাবেই ‘ইসলামি’ তকমায় দ্বীন = রাষ্ট্র করে তোলা যাবে না। ইসলামি মাওবাদের সেটাই লক্ষ্য। ] আমার খুব মনে হয় যারা ‘জামাত ছাড়া বিএনপি’কে সমাধান ভাবছেন তারা ভুল করছেন, জামাত ছাড়া বিএনপির জন্য অসম্ভব আমি এদিক থেকে কথাটা বলছি না, আমি বলছি এদিক থেকে যে সেই অসম্ভবকে বিএনপি সম্ভব করেই ফেলল তা ধরে নিয়েই, আমি এটাও ধরে নিচ্ছি শুধু নিবন্ধন বাতিল নয় জামাতের রাজনীতিই নিষিদ্ধ করে দেয়া হল, কিন্তু বিএনপি ইসলামি মাওবাদের পৃষ্টপোষকতা ছাড়ল না, তাহলে তো সন্ত্রাসবাদ গেল না, বরং ইসলামি মাওবাদ বিএনপির নেটওয়ার্ক ধরে তলে তলে বিকট ব্যাপ্তিতে ছড়িয়ে গেল, কাজেই সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে গেলে যা এখনি করতে হবে — বিএনপির চেয়ারম্যানকে ইসলামি মাওবাদের চেয়ারম্যান হতে কোনোভাবেই আর দেয়া যাবে না, বালুর ট্রাক জলকামান তুলে জাল দিয়ে চেয়ারম্যানকেই মাছের মতো তুলে নিতে হবে। এবং এটাকে এরকম কোনোভাবেই ভাববেন না জামাতকে আড়াল করার জন্য এসব বলা হচ্ছে, আমার মতে বাংলাদেশে জামাত ইসুটা নিয়ে একটাই কথা হবে একাত্তরের আন্তর্জাতিক অপরাধের কারণে দলটি নিষিদ্ধ হতেই হবে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য যখন হবে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা তখন শুধু এটুকুতেই কাজ হবে না। ইসলামি মাওবাদকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। এবং সেকাজ করার সময় হাতে আছে তিন বছর, ২০১৬এর শেষে বর্তমান প্রক্ষেপ অনুযায়ী হিলারি ক্লিনটন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই একাজ সম্পন্ন করতেই হবে। হিলারি ক্লিনটন হবেন আমেরিকার রকস্টার প্রেসিডেন্ট, এবং তিনি অনেক সিদ্ধান্তগ্রহণ তুড়ির দ্রুততায় নিজের দিকে আনার দক্ষতা দেখাবেন উন্মাদের মতো, তারপাশে আরো দুটো প্রক্ষেপ ভেবে নিন — একজন মমতা ও আরেকজন সুকি, একজন ২৫ ভাগ মুসলিম ভোটের জন্য আল্লামামুফতিইমামদের কব্জায় পুরোপুরি তখন হবেন পর্যবসিত আরেকজন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে হবেন চূড়ান্ত নাস্তানাবুদ, এদুজনকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে নিজের মন্ত্রে চালিত করতে চাইবেন হিলারি — একবার ভাবুন তখনও যদি একই দুর্বলতা থেকে যায় আমাদের সাতক্ষীরা রামুতে, বুঝতে পারছেন কত দাপটে তখন খেলবেন হিলারি? কাজেই প্রাণপ্রিয় দেশের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করুন — বিএনপির হাতের মোয়া ইসলামি মাওবাদ এখনই বিনষ্ট করুন — আর দেরি না করে সংকল্পবদ্ধ হয়ে হিলারি আসিবার পূর্বে সন্ত্রাসবাদ মারিয়া ফেলুন।

আমাদের সাবধান হতে হবে। চট্টগ্রাম বিভাগের যেকোনো বিষয়ে প্রতিটি পদক্ষেপের সামরিক রাজনৈতিক বিশ্লেষণ এখন করতে হবে সর্বোচ্চ দক্ষতায়। নজদারি বাড়াতে হবে পার্বত্য চট্টগ্রামের নাজুক এলাকায়, বৃহত্তর কক্সবাজারে, চট্টগ্রাম বন্দরে ও ‘সমুদ্রবিজয়’ খ্যাত সামুদ্রিক সীমান্তে। [...]

যা লংমার্চ দিয়ে শুরু হয়েছে তা মুক্তাঞ্চলে রূপ নিতে পারে। এবং বাংলাদেশে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ সন্ত্রাসের জন্ম দিতে পারে। এবং কোন অঞ্চল থেকে? বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল কোনটি? – চট্টগ্রাম বিভাগ, নিঃসন্দেহে এবং বিচ্ছিনতাবাদী সন্ত্রাসের শুরু এখান থেকেই শুরু করা হবে, লংমার্চ করে ফেলা গেছে, এখন দরকার একটা মুক্তাঞ্চল সৃষ্টি – সেমহড়া রামুতে পটিয়াতে সাতকানিয়াতে বাঁশখালীতে ফটিকছড়িতে হয়েছে, সেমহড়া সফলতার লক্ষ্যে চলতে থাকবে। এই যে সম্ভাব্য বিচ্ছিন্নতার কৌশল নিয়ে ভাবছি এরই মাটি তৈরি করবে ইসলামি মাওবাদ। এদের সবচেয়ে বড় পৃষ্টপোষক হয়ে উঠতে পারে বার্মার মাদকসম্রাটেরা এবং বার্মার সামরিক গোয়েন্দারা। আমাদের সাবধান হতে হবে। চট্টগ্রাম বিভাগের যেকোনো বিষয়ে প্রতিটি পদক্ষেপের সামরিক রাজনৈতিক বিশ্লেষণ এখন করতে হবে সর্বোচ্চ দক্ষতায়। নজদারি বাড়াতে হবে পার্বত্য চট্টগ্রামের নাজুক এলাকায়, বৃহত্তর কক্সবাজারে, চট্টগ্রাম বন্দরে ও ‘সমুদ্রবিজয়’ খ্যাত সামুদ্রিক সীমান্তে। বাংলাদেশের এখন সবচেয়ে বড় স্ট্র্যাটেজিক আদান-প্রদান করতে হবে ভারত ও থাইল্যান্ডের সাথে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে এবং আমেরিকা ও রাশিয়ার সাথে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। চীনের সাথে এখন ব্যবসায়িক গুরুত্বপূর্ণতম অংশীদারি ভিত্তি গড়ে তুলতে হবে, এখনই চীনের সাথে স্ট্র্যাটেজিক আলোচনা নয়, তার চেয়ে জাপানের সাথে সেটা করা যেতে পারে দেশটির সাথে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো অংশীদারীত্বের কারণে। বাংলাদেশকে কোনোভাবেই ‘ইসলামি’ তকমায় দ্বীন = রাষ্ট্র করে তোলা যাবে না। ইসলামি মাওবাদের সেটাই লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একাধিক মুক্তাঞ্চল সৃষ্টি করতে পারলেই এই শক্তি চট্টগ্রাম বিভাগকে বিচ্ছিন্ন করতে মূল বিচ্ছিন্নতাবাদী সংকল্পে ঝাঁপিয়ে পড়বে। এতে সবচেয়ে লাভবান হবে বার্মার মাদকসম্রাটেরা এবং অবশ্যই বার্মার ‘চীনমুখী’ সংখ্যাগরিষ্ঠ সামরিকপ্রশাসন এবং বার্মার ভিক্ষুসাম্রাজ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কাজ এখানেই সবচেয়ে বেশি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে হাসিনাকে নিতে হবে চট্টগ্রাম বিভাগের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও বেশি ভূমিকা। চট্টগ্রাম বিভাগে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অবস্থানটা খুবই নড়বড়ে। চট্টগ্রামের কোনো আওয়ামী নেতাই কেন্দ্রে প্রভাবশালী নন, হাছান মাহমুদ বড় মন্ত্রীত্ব ও বড় দলীয় পদ পেলেও চট্টগ্রামের রাজনীতিতে ‘মহিউদ্দীন বৈরিতা’য় খুবই নাজুক। ওবায়দুল কাদেরকে ঘিরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় রাজনীতির একটা বলিষ্ঠ রূপরেখা তৈরি করার কাজ খুব দ্রুতই সম্পন্ন করা প্রয়োজন, যাতে জোট শরিক মহিউদ্দিন খান বাদল ও চট্টগ্রামের চব্বিশ ঘন্টার রাজনীতিবিদ ও চট্টগ্রাম বিশেষজ্ঞ মহিউদ্দিন চৌধুরী যতদিন সক্রিয় রাজনীতিতে আছেন তার নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকান্ডগুলোকে বলয়ায়িত করে শক্তির দিকগুলোকে…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.