এবং এখন এই যে রোহিঙ্গারা তাদের গন্তব্য চট্টগ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে এই কঠিন বাস্তবতা চট্টগ্রাম অঞ্চল যেন মোকাবেলা করতে পারে তার জন্য শুধু বাংলাদেশ রাষ্ট্র কাজ করলেই চলবে না জাতিসংঘকে এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকেও বড় ভূমিকা রাখতে হবে [...]

শুনতে করুণ লাগতে পারে আত্মঘাতী মনে হতে পারে কিন্তু এটা মেনে নিতেই হবে দুসপ্তাহের মধ্যে যদি বার্মার রাখাইন প্রদেশের তিন ভাগের এক ভাগ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে আসতে পারে তাহলে দেড় মাসের মধ্যেই সব রোহিঙ্গা বাংলাদেশেই বসবাস শুরু করে দিতে পারে এবং এই পুরো চাপটি চট্টগ্রাম অঞ্চলকেই বহন করতে হবে এবং এটাও স্বীকার করে নিতে হবে রাখাইনবাসী রোহিঙ্গাদের গন্তব্য এখন চট্টগ্রাম।

২০১২ সালে এবং ২০১৬ সালে বাংলাদেশ চেষ্টা করেছে রোহিঙ্গারা যেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেইসাথে রাখাইনে রোহিঙ্গাদেরও আশা ছিল বার্মার ওই প্রদেশে তাদের সাময়িক নিবন্ধন সনদ নাগরিক সনদে রূপ না নিলেও অন্তত স্থায়ী নিবন্ধন সনদে উন্নীত হবে এবং তারা রাষ্ট্রহীন জনগোষ্ঠী থেকে রাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্ত জনগোষ্ঠীতে রূপান্তরের প্রাথমিক ধাপ অতিক্রম করবে।

রোহিঙ্গাদের এটাও আশা ছিল ২০১২ ও ২০১৬ সালের এআরএসএ-এর বিচ্ছিন্নতাবাদী আগ্রাসন ও তা দমনে বার্মার সিভিল ও সামরিক প্রশাসনের ঢালাও গ্রামের পর গ্রামে অবরোধ অগ্নিসংযোগ ধর্ষণ নির্যাতন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক উজ্জীবনের মধ্য দিয়ে কমে আসবে।

কিন্তু বার্মার রাখাইন প্রদেশে এবং বার্মার কেন্দ্রীয় সরকারে কোনো কিছুই সাধারণ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাশার অনুকূলে চলেনি। প্রাদেশিক সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গাদের বিষয়ে উদাসীনতার মাত্রা বাড়িয়ে সামরিক নজদারির মাত্রা চড়িয়ে রাষ্ট্রহীন জনগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রচ্যূত জনগোষ্ঠীর দিকে ঠেলে দিতে কঠোর থেকে কঠোরতর হতে লাগল এবং রাখাইন প্রদেশের সংখ্যাগুরু বৌদ্ধদের সাথে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ধর্মগত ও জনজাতিগত ব্যবধানের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাখাইন প্রদেশকে মা বা থা চরমপন্থা ও এআরএসএ-এর সশস্ত্র চরমপন্থার নৈরাজ্যের মধ্যে ঠেঁসে ধরল।

গত কয়েক বছরের আন্তর্জাতিক ইসলামি সন্ত্রাসবাদের বিকট বিস্তারের প্রেক্ষাপটে এআরএসএ হয়ে উঠল এমন সংগঠন যারা রোহিঙ্গা মুসলমানদের উদ্ধারের কথা বলে বেড়ে উঠলেও সন্ত্রাসবাদের সাধারণ নিয়মে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে থাকা মুসলিমদেরও শেষ করে দিতে বদ্ধপরিকর এবং তাদের কার্যকলাপ এমন হয়ে উঠল যাতে অং সান সু কি সহজেই বলতে পারছেন যেখানে মুসলমানরাও মুসলমানকে মারছে সেখানে আরাকানের সমস্যা সমাধান করা অনেক অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে যার ফলে এটা বলা অনেক সহজ আজকে এআরএসএ বার্মার গণতান্ত্রিক নেতার ও সামরিক প্রশাসনের রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের অনিচ্ছার পক্ষেই কাজ করছে এবং সাধারণ রোহিঙ্গাদের রাষ্ট্রচ্যূত করার নিয়ামক হিসেবেই তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিস্তার ঘটাচ্ছে।

এবং এখন এই যে রোহিঙ্গারা তাদের গন্তব্য চট্টগ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে এই কঠিন বাস্তবতা চট্টগ্রাম অঞ্চল যেন মোকাবেলা করতে পারে তার জন্য শুধু বাংলাদেশ রাষ্ট্র কাজ করলেই চলবে না জাতিসংঘকে এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকেও বড় ভূমিকা রাখতে হবে। সবার আগে এই রাষ্ট্রচ্যূত রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধনের কাজটা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করতে হবে। আর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র স্বরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা অর্থ এই চার মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটা বিশেষ দপ্তর চট্টগ্রামেই প্রতিষ্ঠা করতে হবে যাদের কাজ হবে রোহিঙ্গাদের সব রকমের শরণার্থী সেবা দেয়ার পাশাপাশি এই শরণার্থীরা যেন কোনো ভাবেই বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দখল না করতে পারে সেদিকে সার্বক্ষণিক নজর রাখা।

আর বাংলাদেশ পুলিশের যেহেতু এখন একটা বিশেষায়িত সন্ত্রাসবাদবিরোধী ইউনিট আছে তাদেরও চট্টগ্রামে শক্তি বাড়িয়ে তৎপরতার দিক থেকে সক্রিয়তার দৃষ্টান্ত রাখতে পারলে রোহিঙ্গা উদ্ভূত সন্ত্রাস মোকাবেলায় সফলতা আশা করা যায়।

রোহিঙ্গাদের গন্তব্য চট্টগ্রামের বাইরে যেন যেতে না পারে নিশ্চিত করতে পারলেই একমাত্র রোহিঙ্গাদের আবার তাদের আরাকান প্রদেশে ফিরিয়ে দেয়ার কাজ করা যাবে আর রোহিঙ্গাদের গন্তব্য যদি বাংলাদেশের যেকোনো জায়গা হয়ে যায় বা বাংলাদেশও ছাড়িয়ে যায় তাহলে রোহিঙ্গাদের আর আরাকান প্রদেশে ফিরিয়ে দেয়া যাবে না। তাই বলছিলাম রোহিঙ্গাদের গন্তব্য চট্টগ্রাম এবং আশা করছি তাই যেন হয় আমরা যেন তাই করতে পারি।

মাসুদ করিম

লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।

২৬ comments

  1. Pingback: রোহিঙ্গাদের গন্তব্য চট্টগ্রাম | প্রাত্যহিক পাঠ

  2. মাসুদ করিম - ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ (৬:১৪ অপরাহ্ণ)

    নির্যাতন বন্ধ করে নাগরিকদের ফিরিয়ে নিন: মিয়ানমারকে হাসিনা

    কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং ক্যাম্পের শরণার্থীদের মাঝে উপস্থিত হয়ে মিয়ানমার সরকারের প্রতি নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেছেন, “আমরা মিয়ানমার সরকারের কাছে অনুরোধ করব, তারা যেন নিরীহ মানুষের উপর নির্যাতন বন্ধ করে। তারা যেন প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে। এক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে যা যা সাহায্য করা দরকার, আমরা তা করব।”

    মানবিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ মিয়ানমারের শরণার্থীদের আশ্রয় দিলেও এ দেশের ভূমি ব্যবহার করে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানো হলে তা বরদাশত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছেন সরকারপ্রধান।

    মঙ্গলবার সকালে বিমানে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে প্রথমে কক্সবাজার এবং সেখান থেকে সড়কপথে উখিয়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

    কুতুপালং ক্যাম্পে পৌঁছে শেখ হাসিনা সেখানে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নারী, পুরুষ, শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন এবং শরণার্থীদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।

    রোহিঙ্গা নারীরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তারা এক বস্ত্রে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে এসেছেন। সঙ্গে করে কিছুই আনতে পারেননি।

    এ সময় নারী ও শিশুদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠলে চোখ ভিজে ওঠে শেখ হাসিনার। তার সঙ্গে থাকা ছোট বোন শেখ রেহানাকেও চোখ মুছতে দেখা যায়।
    পরে সংক্ষিপ্ত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের ঘটনাকে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

    বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, “এ ঘটনা দেখে চোখের পানি ধরে রাখা যায় না। মানুষ মানুষের মতো বাঁচবে। মানুষের কেন এত কষ্ট!”

    রোহিঙ্গাদের অসহায়ত্বের দিকটি তুলে করে শেখ হাসিনা বলেন, নাফ নদীতে শত শত নারী শিশুর লাশ ভাসছে, এটা ‘মানবতাবিরোধী’ কাজ ।

    “আমরা আমাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে, তা নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। মানবতার খাতিরে এই দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের বাংলাদেশে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছি। যতদিন মিয়ানমার সরকার তাদের ফিরিয়ে নিয়ে না যাবে, ততদিন আশ্রয়ের ব্যবস্থা করব।”

    গত ২৪ অগাস্ট রাতে পুলিশ পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে হামলার ঘটনার পর থেকে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে চালানো হচ্ছে হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ। যারা প্রাণে বেঁচে গেছেন, তারা ছুটে আসছেন বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে।

    গত কয়েক দশক ধরে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভার বহন করে আসা বাংলাদেশে এই দফায় আরও তিন লাখের মতো রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বলে ইতোমধ্যে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

    এই শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বার বার আহ্বান জানানো হলেও মিয়ানমার তাতে সাড়া দেয়নি। রোহিঙ্গাদের নিজেদের নাগরিক হিসেবে মেনে নিতেও তারা রাজি নয়।

    রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে নাগরিকত্ব দিয়ে নিরাপদে বসবাস করার সুযোগ করে দিতে মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ দেওয়ার একটি প্রস্তাব সোমবার বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।

    সেই প্রসঙ্গ টেনে কুতুপালং আশ্রয় শিবিরে শেখ হাসিনা বলেন, “তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে। নিরাপত্তা দিতে হবে যেন ভালোমত বাঁচতে পারে। তাদের সঙ্গে যেন অমানবিক আচরণ করা না হয়।”

    মিয়ানমারের ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আইন পরিবর্তন করে কেন এই ঘটনার সৃষ্টি করা হল?
    “এই ঘটনা না ঘটলে নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার হত না। ভুক্তভোগী কারা? নিরীহ মানুষ। কীভাবে তাদের উপর অত্যাচার হয়েছে! এই অবস্থা সত্যি সহ্য করা যায় না। কেন এই অত্যাচার? তারা তো তাদের নিজেদের দেশেরই লোক।”

    রাখাইন রাজ্যে বর্ডার পুলিশ, সীমান্তরক্ষীদের চৌকিতে হামলার ঘটনায় যারা দায়ী, তাদেরও কঠোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার বন্ধ করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

    বাংলাদেশের ভূমি থেকে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের চেষ্টা যাতে না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করার পাশাপাশি মিয়ানমারে দুই পক্ষকে মানবিক আচরণ দেখাতে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

    রাখাইন রাজ্যে বর্ডার পুলিশ, সীমান্তরক্ষীদের চৌকিতে হামলার ঘটনার দিকে ইংগিত করে তিনি বলেন, “যাদের জন্য এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তারা নিজেরাই দেখুক, তাদের মা-বোন ও শিশুদের উপর কী নির্যাতন হচ্ছে। তাদের অপকর্মের জন্য লাখ লাখ মানুষ ঘরছাড়া। সমস্যা থাকলে তারা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে।”

    বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমার সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানানোর কথাও প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।
    তিনি বলেন, “নিজ দেশের জনগণ অন্য দেশের শরণার্থী হিসেবে থাকা সম্মানজনক না। এ উপলদ্ধি থেকে মিয়ানমার যেন তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি চায়, সুসম্পর্ক চায়। কিন্তু অন্যায়কে ‘বরদাশত করা যায় না’।

    কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করেন, যারা আশ্রয়ের জন্য এসেছে, তাদের যেন কোনো কষ্ট না হয়।

    শরণার্থীদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের নামে কেউ যেন ‘নিজের ভাগ্য গড়ার খেলা’ খেলতে না পারে- সে ব্যাপারেও সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

    বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা ছাড়াও তার পুত্রবধূ আইওএম কর্মকর্তা পেপ্পি সিদ্দিক এ সময় কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন।

    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, পূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ ইকবালুর রহিম, কক্সবাজার-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন নদভী, মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলম, মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উখিয়ায় আসেন।

    এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, কক্সবাজারের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক ও র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদও উখিয়ায় উপস্থিত ছিলেন।

    মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর দমনপীড়নের মুখে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের পরিস্থিতিতে দেখতে ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকরাও বুধবার কক্সবাজারে যাবেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন।

  3. মাসুদ করিম - ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ (৪:০৪ অপরাহ্ণ)

    রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ২৭ ‘চেক পোস্ট’

    মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পুলিশ চট্টগ্রাম অঞ্চলে ২৭টি চেক পোস্ট বসিয়েছে।

    দমন-পীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের এই নাগরিকদের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়ার কয়েকটি ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার প্রেক্ষাপটে শনিবার চট্টগ্রাম নগরীতে নগরীতে এক মতবিনিময় সভায় এই তথ্য জানান পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান।

    তিনি বলেন, “মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা যাতে কোনো অবস্থাতেই মূল ভূ-খণ্ডে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে বিষয়ে পুলিশসহ প্রশাসন সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে। তাদের কক্সবাজারে সীমিত রাখার কাজ চলছে।

    “ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও চট্টগ্রামে পুলিশের মোট ২৭টি চেক পোস্ট বসানো হয়েছে।”

    মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের মুখে তিন সপ্তাহে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। আগে থেকে বাংলাদেশে রয়েছে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা।

    নতুন আসা রোহিঙ্গাদের রাখতে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীতে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে করেছে সরকার। অন্য কোথাও রোহিঙ্গাদের পেলে তাদের সেখানে পাঠানো হচ্ছে।

    ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড এলাকায় রোহিঙ্গাদের আটক করে কক্সবাজারে ফেরত পাঠায় পুলিশ।

    চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি বলেন, এবার এক সঙ্গে অনেক রোহিঙ্গা এলেও চট্টগ্রাম অঞ্চলের সব জেলায় তারা ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করেন না তিনি।

    শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ১১ জেলার পূজা উদযাপন পরিষদ এবং পুলিশ সুপারদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    দুর্গাপূজায় নিরাপত্তার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের চাপ উৎসবের আনন্দকে ম্লান করতে পারবে না বলেও মনে করেন ডিআইজি।

  4. মাসুদ করিম - ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ (৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ)

    PM places five-point proposal at UNGA on Rohingya crisis

    Seeks urgent steps from int’l community

    Calling upon the United Nations and the international community to take immediate and effective measures for a permanent solution to the protracted Rohingya crisis, Prime Minister Sheikh Hasina has placed a five-point proposal to the UN in this regard.
    “Myanmar must unconditionally stop the violence and the practice of ethnic cleansing in the Rakhine State immediately and forever,” she read out the first proposal while delivering her speech at the 72nd session of the UNGA on Thursday.

    In her second proposal, Sheikh Hasina said the UN Secretary General should immediately send a fact-finding mission to Myanmar.
    “All civilians irrespective of religion and ethnicity must be protected in Myanmar. For that ‘safe zones’ could be created inside Myanmar under UN supervision,” she said in her third proposal.
    She also called for ensuring sustainable return of all the forcibly-displaced Rohingyas in Bangladesh to their homes in Myanmar.
    In her last proposal, the Prime Minister said the recommendations of the Kofi Annan Commission Report must be immediately implemented unconditionally and in its entirety.
    At the beginning of her speech, Hasina said this was the 14th time she was addressing the UN General Assembly and this time she had come with a heavy heart.
    “I’ve come here just after seeing the hungry, distressed and hopeless Rohingyas from Myanmar who have taken shelter in Cox’s Bazar, Bangladesh. This forcibly-displaced people of Myanmar are fleeing an ‘ethnic cleansing’ in their own country where they’ve been living for centuries,” she said.
    Bangladesh is currently sheltering over 800,000 forcibly-displaced Rohingyas from Myanmar, she added.
    “The ongoing atrocities and human rights violations in the Rakhine State of Myanmar once again aggravated the situation at the Bangladesh-Myanmar border. Hundreds of thousands of Rohingyas from the Rakhine State are entering Bangladesh to flee violence,” said the Prime Minister.
    As estimated by IOM, she said, over 430,000 Rohingyas entered Bangladesh in the last three weeks.
    “We’re horrified to see that the Myanmar authorities are laying landmines along their stretch of the border to prevent the Ronhingyas from returning to Myanmar. This people must be able to return to their homeland with safety, security and dignity,” she told the UN.
    The Prime Minister thanked the members of the Security Council and the Secretary General for their proactive attempts to stop atrocities and bring in peace, and stability in Rakhine.
    Hasina mentioned that she could feel the pain of Rohingya refugees as she, along with her younger sister, had been refugees for six years after her father, the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, and almost all members of her family were assassinated in 1975.
    About terrorism and violent extremism, she said Bangladesh also condemns all kinds of terrorism and violent extremism and the government maintains ‘zero tolerance’ policy in this regard.
    Hasina said terrorism and violent extremism have become a major threat to peace, stability and development. “Terrorists have no religion, belief or race.”
    Having been a target of a number of terrorist attacks, Hasina said she personally empathises with the victims of terrorism and feels their need for protection.
    Bangladesh denounces the use of religion to justify violent extremism, she said and reiterated her call to stop arms supply to terrorists, end terrorist financing and settle all the international disputes peacefully.
    The Prime Minister also urged the UN to address the growing threats emanated from the cyberspace to prevent money laundering, terrorist financing and other transnational organised crimes.
    Regarding the migration issue, she said Bangladesh believes in promoting safe, orderly and regular migration.
    Last year, Bangladesh proposed developing a sound migration governance framework through the ‘Global Compact on Safe, Orderly and Regular Migration’, she said, adding that she is pleased that the UN is currently delivering on the formation of the compacts for migration and refugees.
    “I would like to say, we don’t want war. We want peace. We want people’s wellbeing – not destruction of humanity. We want sustainable development. Let this be our collective goal,” said the Prime Minister.
    Recalling the genocide committed by the Pakistani forces during the Liberation War of Bangladesh, she said the genocide included targeted elimination of individuals on the ground of religion, race and political belief. The intellectuals were killed brutally. “To pay homage to the victims of the genocide, our national parliament has recently declared March 25th ‘Genocide Day’.”
    In Bangladesh, she mentioned, the government has already taken the daunting task of bringing the key perpetrators to justice through the International Crimes Tribunal. “I urge the international community to take collective actions to prevent recurrence of such heinous crimes anywhere anytime. I believe, the recognition of past tragedies like the 1971 genocide would guide us to achieve ‘never again’.”
    In recognition of the potential role of the UN peace-building architecture, Hasina said Bangladesh is looking forward to bold and innovative proposals from the Secretary General on financing for ‘sustaining peace’. “I’m pleased to announce a token contribution of US$ 100,000 from Bangladesh for the UN Peace-building Fund (PBF),” she added.

  5. মাসুদ করিম - ৬ অক্টোবর ২০১৭ (১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ)

    Bangladesh to identify Rohingya refugees as ‘forcibly displaced Myanmar citizens’

    Bangladesh will identify the Rohingyas, who have fled violence in their homeland, as forcibly displaced Myanmar citizens.

    The government’s statement came on Thursday as hundreds of thousands of the Muslim-majority community poured into Bangladesh in a little over five weeks.

    More than half a million Rohingyas have fled across the border to Bangladesh after a counter-insurgency offensive by Myanmar’s army in the wake of militant attacks on security forces.

    The UN has described Myanmar’s strategy as “ethnic cleansing”.

    Bangladesh was already home to 400,000 Rohingya refugees before insurgents attacked 30 police outposts and an army base in the western Rakhine state on Aug 25.

    “The foreign ministry has said the Rohingyas in Bangladesh have to be identified as ‘forcibly displaced Myanmar citizens’,” Disaster Management and Relief Secretary Shah Kamal told the media in Dhaka.

    Following a meeting between the government and UN High Commissioner for Refugees Filippo Grandi on Sep 25, Bangladesh said they were yet to grant official refugee status to the Rohingyas.

    Bangladesh has already started biometric screening of the Rohingyas in Bangladesh and over 60,000 of them have already been registered.
    The government also said on Thursday that all Rohingyas will eventually be moved to the Kutupalong refugee camp as the other camps are slowly closed.

    “It has been decided that all Rohingyas outside the Kutupalong camp will slowly be moved into it,” said Disaster Management and Relief Minister Mofazzal Hossain Chowdhury.

    Efforts are underway to shift those Rohingyas who have taken refuge in the hilly areas of Bandarban into the camp. The relocation of the refugees will start on Oct 3.

  6. মাসুদ করিম - ৯ অক্টোবর ২০১৭ (২:০৯ অপরাহ্ণ)

    রোহিঙ্গা ইস্যুতে আতংক
    ইপিজেড থেকে নীরবে পালিয়েছে বহু উপজাতীয় শ্রমিক

    রোহিঙ্গা ইস্যুতে আতংকিত হয়ে বহু উপজাতীয় শ্রমিক নীরবে পালিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও চট্টগ্রাম থেকে দলে দলে উপজাতীয় শ্রমিকরা পাহাড়ে চলে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম ইপিজেড থেকে মাত্র সপ্তাহ খানেকের মধ্যে বহু শ্রমিক গোপনে চলে গেছে। এরা বাড়িওয়ালাদের ভাড়া দেয়নি। দোকানের বকেয়া পরিশোধ করেনি। ব্যাংকের ডিপিএস হিসাব বন্ধ করে রাতের আঁধারে কেটে পড়েছে। চট্টগ্রাম ইপিজেড থেকে প্রতিদিন ভোরে ১০/১২টি করে বাস পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বাড়িওয়ালা ও দোকানদাররা পাওনা আদায়ে পাহারা বসিয়েছে। শ্রমিক পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে নানা উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে আতংকের মধ্যে থাকা ইপিজেড এলাকার বাড়িওয়ালাদের কাছে শ্রমিক পালিয়ে যাওয়া নয়া আতংক হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

    দেশের প্রথম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা চট্টগ্রাম ইপিজেডের বিভিন্ন কারখানায় হাজার হাজার উপজাতীয় নারী শ্রমিক কাজ করেন। দীর্ঘদিন ধরে চাকমা, মার্মা, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন উপজাতীয় তরুণীরা এখানে কাজ করে আসছেন। এসব শ্রমিকরা স্থানীয় বিভিন্ন বাড়িওয়ালাদের বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস এবং বিভিন্ন দোকানে মাসিক ভিত্তিতে বকেয়ায় কেনাকাটা করেন। মাস শেষে বেতন পেলে দোকানের বকেয়া ও বাড়িভাড়া পরিশোধ করেন। চট্টগ্রাম ইপিজেডের হাজার হাজার শ্রমিক নগরীর ইপিজেড এলাকার অর্থনীতির বড় নিয়ন্ত্রক। দীর্ঘদিন ধরে ইপিজেড এলাকায় হাজার হাজার উপজাতীয় নারী পুরুষ বসবাস করলেও কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনা তুঙ্গে উঠলেও চট্টগ্রাম ইপিজেডসহ কোথাও কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে চট্টগ্রাম ইপিজেডের হাজার হাজার শ্রমিক রাতের আঁধারে পালিয়ে গেছে। কারখানা কর্তৃপক্ষকেও কোন কিছু বলে যাননি। হঠাৎ কাজে অনুপস্থিতি কারখানার উৎপাদনে মারাত্মক সংকট সৃষ্টি করেছে।

    গতকাল চট্টগ্রাম ইপিজেড এর একাধিক কারখানা মালিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, উপজাতীয় মেয়েরা বেশ পরিশ্রমী। তারা শান্তও। তাই বিভিন্ন কারখানায় শত শত উপজাতীয় শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু তাদের বেশির ভাগ চলে যাওয়ায় আমরা সমস্যায় পড়েছি। ইপিজেড এলাকার একটি পাঁচ তলা ভবনের মালিক মোহাম্মদ আসলাম দৈনিক আজাদীকে জানান, একই রাতে তার ৪৫টি ঘর খালি করে দিয়ে পালিয়ে গেছে উপজাতীয় তরুণীরা। ঘরগুলো তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। এ অবস্থায় তালা ভেঙ্গে ঘরগুলো ঠিকঠাক করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ৪৫টি ঘরের কোন ভাড়া কেউ দেয়নি। রয়ে গেছে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বিল। তিনি বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে চরম আতংকের মধ্যে আছি। আমার ঘরের এসেসমেন্ট ৬৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। এ অবস্থায় একই সাথে ৪৫টি ঘর খালি হয়ে যাওয়ায় চোখে–মুখে অন্ধকার দেখছি। স্থানীয় দোকানদার রাশেদুল ইসলাম গতকাল দৈনিক আজাদীকে বলেন, ভাই পথে বসার উপক্রম হয়েছে। পুরো মাস বাকিতে নিত্য পণ্য দিয়েছি। চাল ডাল থেকে শুরু করে টেলিফোনের কার্ড পর্যন্ত। এখন একটি টাকাও না দিয়ে তারা চলে গেছে। দোকানের পুরো পুঁজি চলে গেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ অবস্থা শুধু আমার একার নয়। বিশ হাজারেরও বেশি শ্রমিক রাতের আঁধারে চলে গেছে। যারা আমার মতো অনেককেই পথে বসিয়ে দিয়ে গেছে।

    উপজাতীয় শ্রমিকরা চাকরি থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ডিপিএস একাউন্ট করে কিছু অর্থ সঞ্চয় করতো। চলে যাওয়ার আগ দিয়ে তারা সেসব ডিপিএস ভেঙ্গে ফেলছে। স্থানীয় মার্কেন্টাইল ব্যাংকে শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার একদিনেই ৬৫টি ডিপিএস হিসেব ভেঙ্গে টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। গত কয়েকদিনে এই ব্যাংকের ১৫০টির মতো ডিপিএস হিসেব বন্ধ করে শ্রমিকরা টাকা তুলে নিয়েছে।

    গতকাল ইপিজেড এলাকায় কয়েকজন শ্রমিকের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। রাজন চাকমা নামের এক শ্রমিক বললো, কোন সমস্যা নেই। যারা চলে গেছে তারা কেন চলে গেছে তা আমরা জানি না। ভয়ে চলে যেতে পারে। ভয় করার মতো কিছু ঘটেছে কিনা জিজ্ঞেস করা হলে কল্পনা চাকমা নামের অপর এক শ্রমিক বলেন, তেমন কিছু আমরা দেখিনি। তবে তারা কিছু দেখেছে কিনা তাতো আর আমরা বলতে পারবো না। রাজন ও কল্পনা রাতের আঁধারে যাবে না বলেও জানান। এব্যাপারে গতকাল পাহাড়ী শ্রমিক কল্যাণ ফোরামের সভাপতি সুমন চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিশ হাজারের মতো শ্রমিক চলে গেছে। তাদেরকে না যাওয়ার জন্য আমরা বিভিন্নভাবে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা শুনেনি।

    সুমন চাকমা বলেন, এখানে কোন ধরনের সমস্যা নেই। আমাদের নিরাপত্তার কোন অভাব নেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আমি ইপিজেড থানার ওসির সাথে বৈঠক করেছি। এনএসআই, এসবির কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছি। ব্যারিস্টার সুলতান আহমদ চৌধুরী কলেজের ছাদের উপর প্রায় সাড়ে পাঁচশ’ শ্রমিকের সমাবেশ করেছি। তাদের বুঝিয়েছি যে, পালিয়ে যাওয়ার মতো কিছু ঘটেনি। ঘটবে না। শ্রমিকদের ঘরে ঘরে গিয়ে আশ্বস্ত করেছি। কিন্তু বহু শ্রমিক পালিয়ে গেছে। সুমন চাকমা বলেন, আমরা যোগাযোগ করছি। পালিয়ে যাওয়া শ্রমিকদের কেউ কেউ ফিরেও আসছে। সুমন চাকমা বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীতে এক লাখের মতো উপজাতীয় নারী–পুরুষ বসবাস করছে। নগরীর ইপিজেড ছাড়াও চান্দগাঁও ও অক্সিজেন এলাকায়ও প্রচুর উপজাতীয় নারী–পুরুষ বসবাস করেন বলেও তিনি জানান।

    স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমনের সাথে গতকাল যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোথাও কোন সমস্যা নেই। তবুও উপজাতীয় শ্রমিকরা রাতের আঁধারে পালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বহু শ্রমিক চলে গেছে উল্লেখ করে নিজেরও বিশ ত্রিশটি ঘরের ভাড়া না দিয়ে শ্রমিকরা রাতের আঁধারে পালিয়ে গেছে বলে তিনি জানান। কাউন্সিলর সুমন বলেন, আমরা এলাকায় শান্তি শৃংখলা নিয়ে কোন ধরনের উদ্বিগ্ন নয়। সবই ঠিক আছে। প্রশাসনের তরফ থেকে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

    গতকাল বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আতংকিত উপজাতীয় নারী পুরুষ রাতের আঁধারে পালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন গভীর রাতেই পাহাড়ী এলাকার গাড়ি আসে ইপিজেড এলাকায়। আর শ্রমিকরা ওই গাড়িতে করে চলে যাচ্ছেন। গতকাল থেকে স্থানীয় বাড়িওয়ালা ও দোকানদাররা পাহারা বসিয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। শ্রমিকদের কাছ থেকে যেন বকেয়া আদায়ের পাশাপাশি বাড়ি ভাড়া আদায় করা যায় সেজন্য এই বিশেষ পাহারা বলেও তারা জানান। এব্যাপারে গতকাল ইপিজেড থানার ওসি মোহাম্মদ আহসান বলেন, এগুলো পুরানো ঘটনা। রোহিঙ্গা আসা শুরু করলে এখান থেকে কিছু কিছু উপজাতীয় তরুণী চলে যায়। তিনি বলেন, উপজাতীয় মেয়েরা ভয় পাচ্ছে বলে একটি কারখানা থেকে আমাকে ফোন করা হয়। আমি গেলাম। কিন্তু কে ভয় দেখাচ্ছে তা তারা বলতে পারলো না। এখন কেউ যদি নিজে নিজে ভয় পাই সেক্ষেত্রে কারো কিছু করার থাকে না। তিনি বলেন, আমরা বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়ে বৈঠক করেছি। সবাইকে নিয়ে কথাবার্তা বলেছি। কোথাও কোন সমস্যা নেই। কেউ কোন ধরনের অভিযোগও করেনি। ইপিজেড এলাকা থেকে কয়েক হাজার উপজাতীয় শ্রমিক চলে যাওয়ার ব্যাপারটি পুলিশের জানা নেই বলেও তিনি জানান।

  7. মাসুদ করিম - ২০ নভেম্বর ২০১৭ (৮:০০ অপরাহ্ণ)

    রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানে ৩ স্তরের চীনা ফর্মুলা

    রোহিঙ্গা সঙ্কটের অবসানে তিন স্তরের সমাধান প্রস্তাব করেছে চীন, যার শুরুতে মিয়ানমারের রাখাইনে অস্ত্রবিরতি কার্যকর করার মাধ্যমে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার পরিবেশ তৈরির কথা বলা হয়েছে।

    এশিয়া-ইউরোপের দেশগুলোর জোট-আসেমের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে গিয়ে এই প্রস্তাব তুলে ধরেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।

    মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি সোমবার আসেম সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, যেখানে এশিয়া ও ইউরোপের ৫১টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নিচ্ছেন।

    ঢাকা সফর শেষে নেপিদোতে পৌঁছে ওয়াং ই রোববার বলেন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ- দুই দেশকেই চীন বন্ধু রাষ্ট্র বলে মনে করে। বেইজিং বিশ্বাস করে, দুই দেশ মিলে পরস্পরের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সমাধানের পথ ঠিকই বের করতে পারবে।

    চীনের প্রস্তাব
    ১. প্রথম পর্যায়ে রাখাইনে অস্ত্রবিরতি কার্যকর করতে হবে, যাতে শৃঙ্খলা আর স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে পারে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয় এবং মানুষকে আর ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে না হয়।

    ২. অস্ত্রবিরতি কার্যকর হলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে, যাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পথ তৈরি হয়।

    ৩. চূড়ান্ত ধাপে রোহিঙ্গা সঙ্কটের দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে মনোযোগ দিতে হবে, যেখানে দারিদ্র্য বিমোচনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।

    চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, সব পক্ষের চেষ্টায় এই ফর্মুলার প্রথম ধাপ ইতোমধ্যে ‘অর্জিত হয়েছে’। এখন সেখানে যাতে নতুন করে কোনো যুদ্ধের উসকানি তৈরি না হয়, সেটা নিশ্চিত করা সবচেয়ে জরুরি।

    অগাস্টের শেষ দিকে রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত সোয়া ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ এই অভিযানকে চিহ্নিত করেছে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে।

    পশ্চিমা অধিকার সংগঠনগুলো মিয়ানমারের নেত্রী নোবেলবিজয়ী সু চিরও সমালোচনা করে আসছে। তারা বলছে, সু চির সরকার রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধে যথেষ্ট কঠোর অবস্থান নিতে পারেনি।
    চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, রাখাইনের সঙ্কটের অবসানে তারা একটি গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে আগ্রহী।

    বেইজিং যে ফর্মুলা প্রস্তাব করেছে, তার অনেক কিছু গত সপ্তাহে মিয়ানমার সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের কথাতেও এসেছে।

    তবে তিনি রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের স্বাধীন তদন্তের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যা চীনের প্রস্তাবে নেই।

    বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা শুরু করলেও শর্ত নিয়ে এখনও সমঝোতায় আসতে পারেনি দুই দেশ।

  8. মাসুদ করিম - ২৩ নভেম্বর ২০১৭ (৩:৩০ অপরাহ্ণ)

    রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সমঝোতা স্মারক সই

    রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরার পথ তৈরি করতে সমঝোতা স্মারকে সই করেছে দুই দেশ।

    রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরার পথ তৈরি করতে সমঝোতায় পৌঁছেছে দুই দেশ।

    বৃহস্পতিবার নেপিদোতে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চির পক্ষে তার দপ্তরের মন্ত্রী কিয়া তিন্ত সোয়ে এ বিষয়ে একটি সম্মতিপত্রে (অ্যারেঞ্জমেন্ট) সই করেন।

    পরে মাহমুদ আলী সময় টেলিভিশনকে বলেন, এ ‘প্রথম পদক্ষেপ’, দুই দেশকে এখন ‘পরের স্টেপে’ যেতে হবে।

    “এখন কাজটা শুরু করতে হবে। সব ডিটেইল এর (অ্যারেঞ্জমেন্ট) মধ্যে আছে। আমরা ঢাকায় ফিরে বিস্তারিত জানাব।”

    সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা চার লাখের মত রোহিঙ্গা গত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে। আর গত ২৫ অগাস্ট রাখাইনে নতুন করে দমন অভিযান শুরুর পর আরও সোয়া ছয় লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে।

    জাতিসংঘ ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ বলে আসছে। আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই রোহিঙ্গা সঙ্কটকে এশিয়ার এ অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিন সপ্তাহের মধ্যে একটি ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন করে দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু এবং তিন মাসের মধ্যে সুনির্দিষ্ট চুক্তি স্বক্ষরের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে সম্মতিপত্রে।

    অবশ্য এ বিষয়ে সময় টিভির প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তিন মাসের মধ্যে ফেরত না তো, এখন যেটা হচ্ছে এই কাজটা শুরু করতে হবে। ওখানে বাড়িঘরগুলোতো জ্বালিয়ে দিয়েছে… সমান করে দিয়েছে। এগুলো, বাড়িঘরতো তৈরি করতে হবে।”

    অন্যদিকে মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন ও জনসংখ্যা বিষয় দপ্তরের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি মিন্ট চিং বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “বাংলাদেশে ফরম (রোহিঙ্গাদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিবন্ধন ফরম) পূরণ করে আমাদের ফেরত পাঠালেই যত দ্রুত সম্ভব আমরা তাদের (রোহিঙ্গা) ফিরিয়ে আনতে চাই।”

    মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলরের দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইনের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে ওই সম্মতিপত্র তৈরি করা হয়েছে ১৯৯২ সালে দুই দেশের যৌথ ঘোষণার ভিত্তিতে, যেখানে সনাক্তকরণ ও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সাধারণ নীতিমালা ঠিক করা হয়েছিল।

    রাখাইনে কয়েকশ বছর ধরে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বসবাসের ইতিহাস থাকলেও ১৯৮২ সালে আইন করে তাদের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা হয়। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতাই রোহিঙ্গাদের বর্ণনা করে আসছেন ‘বাঙালি সন্ত্রাসী’ ও ‘অবৈধ অভিবাসী’ হিসেবে। স্টেট কাউন্সিলরের দপ্তরের এক বিবৃতিতেও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উল্লেখ করা হয়নি।

    রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সামরিক সরকার ও বাংলাদেশের মধ্যে বেশ কিছুদিন কূটনৈতিক আলোচনার পর ১৯৯২ সালে ওই যৌথ ঘোষণা আসে। সেখানে রোহিঙ্গাদের ‘মিয়ানমার সমাজের সদস্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

    ওই চুক্তির আওতায় মিয়ানমার সে সময় দুই লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৯ জন রোহিঙ্গাকে দেশে ফিরিয়ে নেয়। চুক্তি নির্ধারিত যাচাই প্রক্রিয়ায় আরও ২৪১৫ জন শরণার্থীকে সে সময় মিয়ানমার থেকে আসা বলে চিহ্নিত করা হলেও মিয়ানমার তাদের আর ফিরিয়ে নেয়নি।

    আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার মধ্যে এর ধারাবাহিকতায় সু চির দপ্তরের মন্ত্রী কিয়া তিন্ত সোয়ে অক্টোবরের শুরুতে ঢাকায় এলে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে দুই দেশ একটি ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠনের বিষয়ে সম্মত হয়। সেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নতুন একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির প্রস্তাব করা হয়, যেখানে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়টিও থাকবে।

    বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়, যে প্রেক্ষাপটে ১৯৯২ সালের চুক্তির নীতিমালা ও যাচাইয়ের প্রক্রিয়াগুলো ঠিক করা হয়েছিল, বর্তমান পরিস্থিতি তার তুলনায় অনেকটাই আলাদা। সুতরাং ওই চুক্তি অনুসারে এবার রোহিঙ্গাদের পরিচয় শনাক্ত করার প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয়। কিন্তু মিয়ানমারের সাড়া না পাওয়ায় বিষয়টি আটকে থাকে দেড় মাস।

    এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়তে থাকে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে একটি বিবৃতিও দেয়।

  9. মাসুদ করিম - ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ (৬:২৭ অপরাহ্ণ)

  10. মাসুদ করিম - ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ (৬:৪৩ অপরাহ্ণ)

    Myanmar/Bangladesh: MSF surveys estimate that at least 6,700 Rohingya were killed during the attacks in Myanmar

    Surveys conducted by Médecins Sans Frontières (MSF) in refugee settlement camps in Bangladesh estimate that at least 9,000 Rohingya died in Myanmar, in Rakhine state, between 25 August and 24 September. As 71.7% of the reported deaths were caused by violence, at least 6,700 Rohingya, in the most conservative estimations, are estimated to have been killed, including at least 730 children below the age of five years.

    The findings of MSF’s surveys show that the Rohingya have been targeted, and are the clearest indication yet of the widespread violence that started on 25 August when the Myanmar military, police and local militias launched the latest ‘clearance operations’ in Rakhine in response to attacks by the Arakan Rohingya Salvation Army. Since then, more than 647,000 Rohingya (according to the Intersector Coordination Group as of 12 December) have fled from Myanmar into Bangladesh.

    “We met and spoke with survivors of violence in Myanmar, who are now sheltering in overcrowded and unsanitary camps in Bangladesh. What we uncovered was staggering, both in terms of the numbers of people who reported a family member died as a result of violence, and the horrific ways in which they said they were killed or severely injured. The peak in deaths coincides with the launch of the latest ‘clearance operations’ by Myanmar security forces in the last week of August,” says Dr. Sidney Wong, MSF Medical Director.

    In early November MSF conducted six retrospective mortality surveys in different sections of the refugee settlements in Cox’s Bazar, just over the border from Myanmar, in Bangladesh. The total population of the areas covered by the surveys was 608,108 people; of which 503,698 had fled Myanmar after 25 August.

    The overall mortality rate between 25 August and 24 September of people in households surveyed was 8.0/10,000 persons per day. This is equivalent to the death of 2.26% (between 1.87% and 2.73%) of the sampled population. If this proportion is applied to the total population that had arrived since 25 August in the camps which were covered by the surveys, it would suggest that between 9,425 and 13,759 Rohingya died during the initial 31 days following the start of the violence, including at least 1,000 children below the age of five years.

    The surveys show that of these deaths at least 71.7% were due to violence, including among children under 5 years old. This represents at least 6,700 people, including 730 children. Overall, gunshots were the cause of death in 69% of the violence-related deaths, followed by being burnt to death in their houses (9%) and beaten to death (5%). Among children below the age of 5 years, more than 59% killed during that period were reportedly shot, 15% burnt to death in their home, 7% beaten to death and 2% died due to landmine blasts.

    “The numbers of deaths are likely to be an underestimation as we have not surveyed all refugee settlements in Bangladesh and because the surveys don’t account for the families who never made it out of Myanmar,” Dr. Sidney Wong says. “We heard reports of entire families who perished after they were locked inside their homes, while they were set alight.”

    “Currently people are still fleeing from Myanmar to Bangladesh and those who do manage to cross the border still report being subject to violence in recent weeks,” Dr. Sidney Wong adds. “With very few independent aid groups able to access Maungdaw district in Rakhine, we fear for the fate of Rohingya people who are still there.”

    Consequently, the signing of an agreement for the return of the refugees between the governments of Myanmar and Bangladesh is premature. Rohingya should not be forced to return and their safety and rights need to be guaranteed before any such plans can be seriously considered.

  11. মাসুদ করিম - ১৩ জানুয়ারি ২০১৮ (৪:৩৪ অপরাহ্ণ)

    Japan to give $3.0m to Myanmar for Rohingya return

    Japanese’s foreign minister on Friday urged Myanmar’s civilian leader Aung San Suu Kyi to guarantee the safe and voluntary return of Rohingya Muslims who have fled violence in troubled Rakhine state.

    While Foreign Minister Taro Kono is visiting Myanmar, the Japanese government announced a grant of $3 million to Myanmar’s government to help facilitate the repatriation of the Rohingya.

    Myanmar and Bangladesh signed an agreement on the repatriation of Rohingya refugees on Nov. 23, and Myanmar said it would start the process by Jan 23. The exact numbers and extent of the repatriation is still unclear.

    “We have decided to provide the aid in response to the agreement between Myanmar and Bangladesh to represent an international message of support so that the repatriation can be carried out promptly,” said Foreign Ministry official Shinobu Yamaguchi in a statement.

    Kono’s three-day visit to Myanmar includes traveling to Rakhine state. Humanitarian groups and independent media are prohibited from traveling to the area freely.

    More than 650,000 Rohingya have fled to neighboring Bangladesh to escape a brutal crackdown in which security forces have been accused of systematic abuses tantamount to ethnic cleansing.

    During a meeting on Friday, Kono asked Suu Kyi’s government to allow humanitarian and media access to the affected area, the resettlement of returned refugees, and the implementation of recommendations made by former U.N Secretary-General Kofi Annan.

    Kono also said Japan plans to give further aid to improve humanitarian conditions and development in Rakhine state.

    “We are thankful to Japan for its willingness to support the needs both for short term and long term,” Suu Kyi said at the joint news conference.

    Yamaguchi stressed that Japan will monitor how the repatriation will be carried out. “The money will be paid in a timely manner based on the progress of repatriation,” Yamaguchi added.

    Myanmar’s state-run media on Wednesday said authorities have started the land work to construct buildings to accommodate returned refugees from Bangladesh in northern Rakhine, where refugees will be temporarily placed after their citizenship is scrutinised.

  12. মাসুদ করিম - ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ (৮:৪৭ অপরাহ্ণ)

    চুক্তি সই, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দুই বছরে

    নিপীড়নের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কীভাবে ফেরত পাঠানো হবে, তা চূড়ান্ত করে একটি চুক্তিতে সই করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ।

    এই ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ অনুযায়ী, প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সম্মত হওয়ার সময় থেকে দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।

    মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে সোমবার থেকে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের দীর্ঘ বৈঠকে চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার পর মঙ্গলবার দুই পক্ষ তাতে সই করে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

    জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের দীর্ঘ বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক। আর মিয়ানমারের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ‘আন্তরিক পরিবেশে’ দুই পক্ষের ওই বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। ওই খসড়া তৈরি করা হয় দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সম্মতিপত্র এবং যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের দলিলের (টার্মস অব রেফারেন্স) ভিত্তিতে।

    গত ২৫ অগাস্ট রাখাইনে নতুন করে সেনা অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারে নিপীড়নের মুখে গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে আরও প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা।
    সেনাবাহিনীর ওই অভিযান এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে শরণার্থীদের ফেরত নিতে সম্মত হয় মিয়ানমার। রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরার পথ তৈরি করতে গত ২৩ নভেম্বর নেপিদোতে দুই দেশের মধ্যে একটি সম্মতিপত্র স্বাক্ষরিত হয়।

    সেখানে বলা হয়, প্রথম দফায় শুধু এবার আসা শরণার্থীদেরই ফেরত নেবে মিয়ানমার। ওই সম্মতিপত্র স্বাক্ষরের তিন সপ্তাহের মধ্যে ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন করে দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করা হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব একটি সুনির্দিষ্ট চুক্তিতে সই করবে দুই দেশ।

    তবে সেই ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন করা হয় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পর, গতবছর ১৯ ডিসেম্বর। ঢাকায় ওই বৈঠকেই যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের টার্মস অব রেফারেন্স ঠিক করা হয়।

    সম্মতিপত্রে স্বাক্ষরের ৫৪ দিনের মাথায় দুই পক্ষ মঙ্গলবার ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ চূড়ান্ত করল। আর প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য সম্মতিপত্রে নির্ধারিত দুই মাস সময় শেষ হচ্ছে ২৩ জানুয়ারি।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাইয়ের জন্য একটি ফরমও চূড়ান্ত করা হয়েছে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে। ঠিক হয়েছে, পরিচয় যাচাই ও প্রত্যাবাসনের কাজটি হবে প্রতিটি পরিবারকে একটি ইউনিট ধরে। অনাথ ও ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায়’ জন্ম নেওয়া শিশুদের প্রত্যাবাসনের বিষয়েও বলা হয়েছে চুক্তিতে।
    ওই চুক্তিতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য সীমান্তে পাঁচটি ট্রানজিট ক্যাম্প খুলবে বাংলাদেশ। সেখান থেকে তাদের নিয়ে প্রাথমিকভাবে রাখা হবে মিয়ানমারের দুটি ক্যাম্পে। পরে সাময়িকভাবে তাদের থাকার ব্যবস্থা হবে হ্লা পো কুংয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে। পাশাপাশি ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গাদের ভিটামাটিতে দ্রুততার সঙ্গে বাড়িঘর পুননির্মাণের ব্যবস্থা নেবে মিয়ানমার।

    বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্টে যে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছে,তাদের দিয়েই প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিয়ানমার সরকার মঙ্গলবারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাদের বাসিন্দাদের বাংলাদেশে আসা বন্ধ করার ব্যবস্থা তারা নেবে।

    রোহিঙ্গাদের যাচাই এবং প্রত্যাবাসন কাজের সুবিধার জন্য দুটি টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের বিষয়েও দুই পক্ষ একমত হয়েছে।

  13. মাসুদ করিম - ২০ জানুয়ারি ২০১৮ (১:১৬ অপরাহ্ণ)

    Why Bangladesh Cannot Accept All the Rohingya

    A government adviser explains Dhaka’s approach to the refugee crisis.

    Nearly a million Rohingya refugees have crossed from their homes in western Myanmar into southeast Bangladesh since August, joining hundreds of thousands of their brothers and sisters who made the same journey in previous years. The Rohingya fled what the United Nations calls “a textbook example of ethnic cleansing,” recounting horrific stories of burned villages and killings at the hands of Myanmar’s military.

    Bangladesh has accepted the Rohingya and has worked hard to help them. At the same time, Bangladesh negotiated with Myanmar to facilitate their repatriation, and the two sides recently agreed to do so over the next two years.

    Bangladesh has expanded and improved existing refugee camps for the Rohingya and is building new ones. The government is vaccinating children, registering Rohingya so they can receive assistance, and building living quarters and other infrastructure. These actions have been praised around the world, including by Pope Francis who visited Bangladesh in December.

    Even so, the government of Bangladesh has drawn criticism for limiting the Rohingyas’ movements to inside the camps and by not granting them permanent residency. Neither is the result of a lack of compassion. Rather, the policies are designed to protect the security of the Bangladeshi people.

    The media are reporting that the military crackdown on the Rohingya – though clearly unjustified in its scale and cruelty – began as a response to the killing of 12 Myanmar security officers by the Rohingya militant group known as ARSA or the Arakan Rohingya Salvation Army. The group has been linked to ISIS and al-Qaeda, though ASRA denies this, saying it is fighting for the rights of the Rohingya.

    Bangladesh’s security concern stems from the fact that the armed ARSA militants, that have crossed into Bangladesh along with the waves of other Rohingya, make the refugee camps a breeding ground for radicalization.

    In a December article in the Financial Times, analyst Richard Horsey, who lives in Myanmar, wrote, “Any long-term hopeless situation is very conducive for recruitment by radical groups who want to pursue their agenda.” He added, “ARSA will have no problem in identifying young people willing to join” in the Rohingya camps in Bangladesh.

    This is why Bangladesh cannot safely allow countrywide freedom of movement to the Rohingya. The government can’t ensure that terrorists will not recruit new members to carry out cross-border attacks into Myanmar or, more importantly, to wage terror in Bangladesh.

    Over the years, Bangladesh has granted refugee status to about 30,000 Rohingya that have fled from Myanmar. But absorbing all 1.3 million Rohingya would constitute an instant population increase of nearly one percent. That may sound small, but similar spikes have contributed to destabilization in other governments around the world. Further, nearly all of the Rohingya in Bangladesh are at the lowest end of the economic spectrum and thus would present an outsized burden on the nation’s social safety net.

    Bangladesh is proud of its rapid development. In 2015, the World Bank said Bangladesh moved into its lower-middle-income bracket and its annual Gross Domestic Product (GDP) growth is over 7 percent. But Bangladesh isn’t a wealthy country. It can help the Rohingya in the short-term and is expending resources to do so. But granting all of the Rohingya permanent residency would shock the economy and set back hard-won gains for everyone.

    Other than the Rohingya, almost nobody has wanted to emigrate to Bangladesh. As a result, Bangladesh does not have an immigration system like more developed nations. The only way anyone can get Bangladeshi citizenship is by marriage or if one parent is Bangladeshi. Being born in Bangladesh does not confer citizenship. As such, there is no legal path to citizenship for immigrants or refugees.

    Bangladesh has managed to balance two conflicting demands: supplying humanitarian aid to the Rohingya while ensuring the stability and security in Bangladesh. The government will continue to do everything it can for the Rohingya and will work with Myanmar during their repatriation. But it must also protect the Bangladeshi people.

  14. মাসুদ করিম - ২০ জানুয়ারি ২০১৮ (১:২৪ অপরাহ্ণ)

    Rohingyas chart demands ahead of repatriation
    Citizenship, security guarantee top list

    Rohingya leaders in a refugee camp have charted demands they want Myanmar to meet before authorities begin the repatriation process expected to begin next week and last for two years, report agencies.

    The demands have been voiced as Rohingya refugees are still continuing to flee from Myanmar into Bangladesh, a Bangladesh official said Friday. More than 100 Rohingya entered Bangladesh in the past two days, according to the official.

    Hundreds of Rohingya refugees staged protests in Bangladesh on Friday against the plans to send them back to Myanmar, where a military crackdown last year sparked a mass exodus.

    The refugees chanted slogans and held banners demanding citizenship and guarantees of security before they return to their home state of Rakhine in Myanmar.

    The protest was staged ahead of a visit by UN special rapporteur Yanghee Lee to the camps in southeastern Bangladesh where around a million of the Muslim minority are now living.

    A statement issued Thursday by nearly two dozen Rohingya organisations around the world demanded security guarantees for the refugees and their property before they return. The statement said there had been “no change of attitude of the Myanmar government and its military toward Rohingya.”

    Under the November agreement, Rohingya will need to provide evidence of their residency in Myanmar in order to return – something many do not have.

    The petition by Rohingya leaders is the latest indication of the challenges ahead for Bangladesh and Myanmar as they try to engineer the return of refugees who fear continued military operations in Rakhine State and are dismayed about the prospect of a prolonged stay in “temporary camps” in Myanmar when they go back.

    A half-dozen Rohingya elders, saying they represented 40 villages from Rakhine, showed the list of demands to a Reuters reporter at the Kutupalong refugee camp, where most of the Rohingya refugees are staying.

    The petition, handwritten in Burmese, said none of the Muslim Rohingyas would return to mainly Buddhist Myanmar unless the demands were met.

    The petition, which has still to be finalised, demanded the Myanmar government publicly announce it is giving Rohingya long-denied citizenship and inclusion on a list of the country’s recognised ethnic groups. It asks that land once occupied by the refugees be returned to them and their homes, mosques and schools rebuilt.

    It wants the military held accountable for alleged killings, looting and rape, and the release from jails of “innocent Rohingya” picked up in counter-insurgency operations.

    It also wants Myanmar to stop listing people with their photographs as “terrorists” in state media and on government Facebook pages.

    Myanmar state newspapers this week issued a supplement listing the names and photos of alleged members of the Arakan Rohingya Salvation Army or ARSA, whose attacks on security posts on Aug 25 triggered a sweeping counter-insurgency operation.

    The United Nations has described the Myanmar military operations in the northern part of Rakhine as a classic case of ethnic cleansing.

    The military says it has only conducted legitimate operations and denies there have been cases of sexual assault.

    But the military said last week soldiers had killed 10 captured Muslim “terrorists” during insurgent attacks at the beginning of September, after Buddhist villagers had forced the captured men into a grave the villagers had dug.

    It was a rare acknowledgment of wrongdoing by the Myanmar military during its operations in the western state of Rakhine.

    ARSA said in a statement last week the 10 Rohingya in the mass grave were “innocent civilians” and not members of their group.

    The Rohingya elders Reuters spoke to said they were still finalising their list of demands before showing it to Bangladesh authorities and to aid agencies administering the camps.

    They said the 40 village leaders they discussed the petition with represent the interests of all Rohingya at the camp, but that could not be independently verified and aid agencies were unable to comment pending formal issuance of the petition.

    Myanmar Police Colonel Myo Thu Soe, spokesman for the military-controlled Home Affairs Ministry, told Reuters on Thursday “there’s no clearance operation going on in the villages”.

    But, he added, “security forces are still trying to take control of the area” in northern Rakhine. He declined to elaborate.

    Rights groups and the UN say any repatriation must be voluntary.

  15. মাসুদ করিম - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ (১০:০৯ পূর্বাহ্ণ)

    Buddhist villagers confess to committing crime against humanity

    Reuters Special Report

    Bound together, the 10 Rohingya Muslim captives watched their Buddhist neighbors dig a shallow grave. Soon afterwards, on the morning of Septtember 2, all 10 lay dead. At least two were hacked to death by Buddhist villagers. The rest were shot by Myanmar troops, two of the gravediggers said.

    “One grave for 10 people,” said Soe Chay, 55, a retired soldier from Inn Din’s Rakhine Buddhist community who said he helped dig the pit and saw the killings. The soldiers shot each man two or three times, he said. “When they were being buried, some were still making noises. Others were already dead.”

    The killings in the coastal village of Inn Din marked another bloody episode in the ethnic violence sweeping northern Rakhine state, on Myanmar’s western fringe. Nearly 690,000 Rohingya Muslims have fled their villages and crossed the border into Bangladesh since August. None of Inn Din’s 6,000 Rohingya remained in the village as of October.

    The Rohingya accuse the army of arson, rapes and killings aimed at rubbing them out of existence in this mainly Buddhist nation of 53 million. The United Nations has said the army may have committed genocide; the United States has called the action ethnic cleansing. Myanmar says its “clearance operation” is a legitimate response to attacks by Rohingya insurgents.

    Reuters has pieced together what happened in Inn Din in the days leading up to the killing of the 10 Rohingya – eight men and two high school students in their late teens.

    Until now, accounts of the violence against the Rohingya in Rakhine state have been provided only by its victims. The Reuters reconstruction draws for the first time on interviews with Buddhist villagers who confessed to torching Rohingya homes, burying bodies and killing Muslims.

    This account also marks the first time soldiers and paramilitary police have been implicated by testimony from security personnel themselves. Members of the paramilitary police gave Reuters insider descriptions of the operation to drive out the Rohingya from Inn Din, confirming that the military played the lead role in the campaign.

    The slain men’s families, now sheltering in Bangladesh refugee camps, identified the victims through photographs shown to them by Reuters.

    The dead men were fishermen, shopkeepers, the two teenage students and an Islamic teacher.

    Three photographs, provided to Reuters by a Buddhist village elder, capture key moments in the massacre at Inn Din, from the Rohingya men’s detention by soldiers in the early evening of Sept. 1 to their execution shortly after 10 a.m. on September 2. Two photos – one taken the first day, the other on the day of the killings – show the 10 captives lined up in a row, kneeling. The final photograph shows the men’s bloodied bodies piled in the shallow grave.

    The Reuters investigation of the Inn Din massacre was what prompted Myanmar police authorities to arrest two of the news agency’s reporters. The reporters, Burmese citizens Wa Lone and Kyaw Soe Oo, were detained on December 12 for allegedly obtaining confidential documents relating to Rakhine.

    Then, on Jan. 10, the military issued a statement that confirmed portions of what Wa Lone, Kyaw Soe Oo and their colleagues were preparing to report, acknowledging that 10 Rohingya men were massacred in the village. It confirmed that Buddhist villagers attacked some of the men with swords and soldiers shot the others dead.

    The statement coincided with an application to the court by prosecutors to charge Wa Lone and Kyaw Soe Oo under Myanmar’s Official Secrets Act, which dates back to the time of colonial British rule. The charges carry a maximum 14-year prison sentence.

  16. মাসুদ করিম - ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ (১০:২১ পূর্বাহ্ণ)

  17. মাসুদ করিম - ৯ জুন ২০১৮ (১০:০৮ পূর্বাহ্ণ)

    Myanmar army, govt hold rare meeting over Rohingya crisis

    Myanmar’s army and civilian leadership held a rare “national security” meeting on Friday over the Rohingya crisis.

    They discussed an internal investigation into the Rohingya crisis in Rakhine state, the president’s office said.

    The meeting is the third of its kind since Aung San Suu Kyi’s government took power in 2016.

    The meeting follows a deal to allow the UN to enter Rakhine to assess when refugees may be able to return.

    About 700,000 of the Muslim minority have fled over the border to Bangladesh after the military launched a violent crackdown on Rohingya insurgents last August.

    The UN and the US have called it “ethnic cleansing”.

    Until this week’s deal with the UN, Myanmar had dragged its feet for months over the repatriation of the stateless minority. Myanmar was insisting the region was safe for their return but refused access of outsiders there to evaluate conditions.

    Pressure is also mounting from the International Criminal Court (ICC), which is due to discuss on June 20 whether to launch an investigation into the crackdown.

    Myanmar, which denies the ethnic cleansing allegations, has dismissed the move.

    It is not a signatory or member of the Rome Statute which underpins the ICC.

    The country has said it will establish its own independent probe to investigate human rights abuses.

    Suu Kyi and Commander-in-Chief Min Aung Hlaing were among the 15 attendees at Friday’s meeting in Naypyidaw, a Facebook post by the office of President Win Myint said.

    It covered “national security and international relations including the crisis in Rakhine state” and the formation of an “investigative commission” on Rakhine.

    The select group last convened immediately after the August 25 attacks last year by Rohingya militants.

    The attacks killed around a dozen border police and triggered the army’s campaign against the Rohingya.

    Analysts say high-level meetings between the civilian government and military could help sink differences.

    Myanmar and Bangladesh signed a repatriation deal in November for the Rohingya refugees.

    But only around 1,000 refugees have been cleared for return.

    But virtually none has gone back, demanding safety guarantees, citizenship and compensation for razed villages and commandeered farmland.

    New UN envoy Christine Schraner Burgener is expected to visit Myanmar shortly to discuss the Rohingya crisis.

    UNB adds: The US has urged the government of Myanmar to fulfil its commitment to working with two UN agencies on the Annan Commission report on Rakhine.

    “We welcome the signing of a Memorandum of Understanding (MOU) by UNHCR, UNDP, and the Myanmar government,” US State Department Spokesperson Heather Nauert said on Thursday.

    Under the MoU, Myanmar agreed to support creation of conditions conducive to the voluntary, safe, dignified and sustainable return of Rohingya refugees, she added.

    Nauert said this is a positive step and that they see this MoU as a confidence-building measure.

    If effectively implemented, it could allow much-needed humanitarian assistance to all the affected communities, she noted.

    It also could assist Myanmar in creating necessary conditions for voluntary return and supporting recovery and resilience-based development for the benefit of all communities living in Rakhine State, she added.

  18. মাসুদ করিম - ১৪ আগস্ট ২০১৮ (১২:০৭ অপরাহ্ণ)

    রোহিঙ্গাবাহী নৌকা ফেরত পাঠাল বিজিবি

    কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীর শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্ট দিয়ে শূন্যরেখা অতিক্রমের সময় ১১ রোহিঙ্গাবাহী একটি নৌকা ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি।

    ওই নৌকায় পাঁচটি শিশু, তিনজন নারী ও তিনজন পুরুষ ছিলেন বলে জানিয়েছেন বিজিবি সদস্যরা।

    এক বছর আগে অগাস্ট মাসেই মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তাতে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল।

    এই রোহিঙ্গাদের ফের নিতে মিয়ানমার প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ার মধ্যে সোমবার রাতে বাংলাদেশে আসতে চাওয়া রোহিঙ্গা নৌকা ফেরত পাঠান হল।

    বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর মো. শরীফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার সাংবাদিকদের বলেন, “রাত সোয়া ১১টার দিকে নাফ নদীর শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্টে বিজিবির একটি দল টহল দিচ্ছিল। এক পর্যায়ে মিয়ানমারের দিক থেকে আসা একটি নৌকাকে জলসীমার শূন্যরেখা অতিক্রম করতে দেখে বিজিবির সদস্যরা থামার জন্য সংকেত দেয়।

    “এরপরও রোহিঙ্গাবাহী নৌকাটি বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করতে চাইলে বিজিবির সদস্যরা ফিরিয়ে দেয়।”

    সীমান্তে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ রোধসহ যে কোনো অপরাধ দমনে বিজিবি কঠোর নজরদারি অব্যাহত রেখেছে বলে জানান মেজর শরীফুল।

  19. মাসুদ করিম - ১৪ আগস্ট ২০১৮ (১২:১০ অপরাহ্ণ)

    FM: There is a trail of devastation in Rakhine State

    Foreign Minister AH Mahmood Ali is currently in Myanmar on a four-day visit

    Foreign Minister AH Mahmood Ali, currently in Myanmar on a four-day visit, yesterday emphasized the need for accelerating efforts to create an environment conducive to repatriation in Myanmar for Rohingya refugees.

    His visit is related to discussions regarding the repatriation of the forcibly displaced Rohingya refugees who have taken shelter in Bangladesh.

    According to a Foreign Ministry statement, the minister saw a “trail of devastation” during his visit to Rakhine.

    Myanmar Social Welfare, Relief and Resettlement Minister Win Myat Aye accompanied the Bangladesh delegation, which also included Foreign Secretary M Shahidul Haque.

    Both sides agreed on the need for early resettlement of the displaced people currently staying at the boundary line (Zero line), between border pillars 34 and 35, to their original villages.

    Myanmar requested Bangladesh stop providing humanitarian assistance to Rohingya refugees through the International Committee of the Red Cross (ICRC), UNDP, and INGOs, proposing the arrangement of the supply of humanitarian assistance from Myanmar.

    The two countries also discussed Myanmar’s suggestion to jointly conduct a fresh survey of the zero line.

    The Bangladesh delegation left Sittwe for Maungdaw at noon, and returned to Yangon through Sittwe, Bangladesh Ambassador to Yangon Manjurul Karim Khan Chowdhury told UNB.

    The foreign minister was taken to the zero line, where a few thousand displaced Rohingyas have been staying on the Myanmar side and visited reception centres at Taung Pyo Let Yar and Nga Khu Ya, and the transit camp at Hla Poe Kaung. The transit camp has the capacity to support 30,000 people.

    The foreign minister further visited Shwe Zar village, where 148 pre-fabricated houses for returning refugees are being built with assistance from the Government of India.

    He also visited Pan Taw Pyin village, from where most of the 15,000 inhabitants had fled to Bangladesh.

    Mahmood Ali was informed that Rohingya Muslims who had stayed behind were living there with their Buddhist and Hindu neighbours.

    The Myanmar government has built 72 houses in the village – 22 houses for internally displaced people 50 for prospective returnees.

    The foreign minister also visited Kaing Gyi village, which is inhabited by ethnic Rakhine and Mro people.

    Earlier, he had a meeting with Union Minister of the Office of the State Counsellor of Myanmar Kyaw Tint Swe in Nay Pyi Taw on Friday, followed by a ministerial meeting between the two sides.

    In the afternoon, the minister paid a courtesy call on Vice President of the Union of Myanmar Myint Swe.

    At the bilateral meeting, various aspects and challenges concerning the repatriation of the forcibly displaced Rohingya refugees were discussed at length.

    The two sides reached an understanding on the distribution of verification forms among the prospective returnees, as well as on the building of a reception centre on the Bangladesh side.

    It was also agreed that a hotline between the two ministers will be set up.

    In addition, Bangladesh requested that Myanmar take steps to address the unwillingness of prospective returnees to accept the National Verification Card (NVC).

    Myanmar agreed to send teams to the camps in Cox’s Bazar to explain the advantages of holding NVCs, and disseminate information on various steps taken by Myanmar for repatriation.

    AH Mahmood Ali is set to leave Myanmar today.

  20. মাসুদ করিম - ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (৯:০২ অপরাহ্ণ)

  21. মাসুদ করিম - ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ (৬:৪২ অপরাহ্ণ)

    Rohingya crisis: Foreign minister sees no ‘easy solution’

    Foreign Minister AK Abdul Momen does not see any easy solution to the crisis surrounding the Rohingya people, which he says is “a very serious issue”.

    “There will be no easy solution. We’ll have to face difficulties,” the newly-appointed minister told reporters at his office on Monday as he took questions, reports bdnews24.com.

    He said he would work hard to devise new plans to deal with the crisis.

    “It’s a very serious issue. We have to discuss a lot. After the crisis broke out, our prime minister placed a five-point proposal in the UN General Assembly. But those proposals were not reflected in our negotiations,” he said.

    “We want solutions,” he said, and added that he was studying strategies for successfully dealing with the crisis.

    Prime Minister Sheikh Hasina’s proposals included sustainable repatriation of the Rohingya refugees to Myanmar and punishment of those who committed crimes against the minority group, he said.

    “How will we do that, we don’t know. We’ll work on it. It’s a serious issue. It’ll remain a priority issue,” said the new minister, who was Bangladesh’s permanent representative to the UN from 2009 to 2015.

    “Myanmar is our friend and neighbour. We expect that Myanmar will give us the return of that friendship. We’ll be happy.”

    Momen said he had asked his ministry to make an impact analysis of the crisis from the economic, social and security dimensions.

    “If the crisis persists, then the interests of our neighbours India, Thailand, Myanmar and China will all be affected. Instabilities may develop. Different interest groups may enter the scene,” he said.

    He said he believed the international community did not do enough to resolve the crisis. “It should be everybody’s obligation that no instability is created. All neighbours must work together.”

    “We have to make them understand, those who are not paying proper attention, that their interests will also be affected.”

    He said China has shifted its initial position on the crisis and Russia is also showing positivity.

    “Nothing is certain in international politics. Today’s friend can be tomorrow’s enemy. Today’s enemy can be tomorrow’s friend. That’s the world we live in,” he said, replying to questions about China and Russia, which had both vetoed in favour of Myanmar at the UN Security Council.

    “The issue for us is that we have to work hard if we want to achieve our target,” said the new foreign minister.

    Over 700,000 new Rohingya refugees crossed the border into Bangladesh to escape ethnic cleansing after the Myanmar army began a crackdown in Rakhine in late August of 2017. The number of Rohingyas living in Bangladesh is now over 1.1 million.

    The first phase of the voluntary repatriation plan in mid-Nov last year was stopped because Rohingyas did not want to return in current conditions.

  22. মাসুদ করিম - ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ (৬:০৬ অপরাহ্ণ)

  23. মাসুদ করিম - ১২ মার্চ ২০১৯ (৯:২৫ অপরাহ্ণ)

    কার স্বার্থে কাজ করছে আরসা-আরএসও

    মিয়ানমারভিত্তিক দুটি ‘উগ্রপন্থি’ সংগঠন আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের জন্য। মিয়ানমার সরকার এরই মধ্যে আরসাকে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিলেও বাংলাদেশে আশ্রিত অধিকাংশ রোহিঙ্গা বিশ্বাস করে যে, আরসা ও আরএসও গোপনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর স্বার্থেই কাজ করছে। এমন তথ্যে বিশ্বাস করেন বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার অনেক সদস্যও। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে আরসা ও আরএসওর তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগজনক বেশকিছু তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের বিতর্কিত এ দুই সংগঠন বিভিন্ন ধরনের নাশকতা ও হামলার ছক কষছে। বলা হয়েছে, কক্সবাজার অঞ্চলে কোনো কোনো পুলিশ চেকপোস্টে হামলা চালিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে পারে- এমন শঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। এমনকি দেশি-বিদেশি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আরসা-আরএসওর জড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তীক্ষষ্ট নজর রাখা হচ্ছে। তাই দুটি সংগঠনের কর্মকাণ্ডের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয় প্রতিবেদনে। এ জন্য গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর তাগিদও দেওয়া হয়েছে।

    যদিও আরসা ও আরএসও বিভিন্ন সময় বিবৃতি দিয়ে দাবি করে আসছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে যে অত্যাচার চালিয়ে আসছে, তার বিরুদ্ধে সোচ্চার তারা। তারা বলছে, রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে চায়। নিজেদের ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে মনে করে না তারা।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন সমকালকে বলেন, বাংলাদেশের মাটি কোনো উগ্রবাদী বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ব্যবহার করতে পারবে না। এ ব্যাপারে সরকারের নীতি জিরো টলারেন্স। আরসা বা আরএসওর মতো সংগঠনের ওপর তীক্ষষ্ট নজরদারি রয়েছে গোয়েন্দাদের।

    টেকনাফ লেদা রোহিঙ্গা শিবির ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব বলেন, সাধারণ ও নিরীহ রোহিঙ্গারা আরসা এবং আরএসও কার্যক্রম সম্পর্কে কোনো তথ্য জানে না। কারণ আরসা ও আরএসও সাধারণ রোহিঙ্গাদের স্বার্থে কাজ করছে- এমন কোনো নজির নেই। বরং মিয়ানমার সেনাক্যাম্পে আরসা হামলা করে, এ অভিযোগ তুলেই মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের পাশবিক নির্যাতন করে দেশত্যাগে বাধ্য করেছে। এখনও বাস্তুচ্যুত এই অনিশ্চিত জীবন যাপনের কারণ মূলত আরসা ও আরএসও।

    গোয়েন্দা প্রতিবেদনে শঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, আরসার সদস্যরা জাল নোট তৈরি করে তা অপতৎপরতামূলক কাজে ব্যবহার করতে পারে। এ ছাড়া ইয়াবা কারবারে জড়িত রয়েছে এই সংগঠনের সদস্যরা। এ থেকে প্রাপ্ত অর্থ তারা সংগঠনের কাজে ব্যয় করছে। এ দুই সংগঠন মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও অন্যান্য বিদেশি সংস্থার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করছে। সম্প্রতি দেশের বাইরে থেকে সাত কোটি টাকার একটি পলিসি প্ল্যান তৈরি করেছে আরসা। গোয়েন্দা সংস্থার আদলে নকল পোশাক বানানোসহ সদস্যদের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তারা এ অর্থ ব্যয় করতে পারে বলে প্রতিবেদনে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

    প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আদলে তারা যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বাড়াতে ওয়াকিটকি সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া আরসার কার্যক্রমে যারা বিরোধিতা করছে, তাদের হত্যার চেষ্টাও করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের একটি অংশ মনে করছে, আরসা মিয়ানমারভিত্তিক উগ্রবাদী সংগঠন হলেও দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের গোপন সুসম্পর্ক রয়েছে। সংগঠনটির সক্রিয় সদস্য আনুমানিক ২৭০। আরসা আগে ‘ফেইথ মুভমেন্ট’ নামে তৎপরতা চালাত। তবে মিয়ানমারে স্থানীয়ভাবে তাদের পরিচিতি ছিল ‘হারকাহ্‌ আল ইয়াকিন’ নামে। অনেকের ধারণা, আরসার বর্তমান নেতৃত্বে রয়েছেন আতাউল্লাহ নামে একজন রোহিঙ্গা। আতাউল্লাহর বাবা রাখাইন থেকে পাকিস্তানের করাচিতে চলে যান। আতাউল্লাহ করাচিতে জন্মগ্রহণ করলেও বেড়ে উঠেছেন সৌদি আরবে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আত্মগোপনে রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার সুসম্পর্ক রয়েছে বলে বিশ্বাস করেন গোয়েন্দারা।

    আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, আরসা মূলত গড়ে উঠেছে সৌদি আরবে চলে যাওয়া রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে। আতাউল্লাহ ‘আবু আমর জুনুনি’ নামেও পরিচিত। রাখাইনের রোহিঙ্গারা যে ভাষায় কথা বলে সেই ভাষা এবং আরবিতে অনর্গল বলতে পারেন তিনি। ২০১২ সালে আতাউল্লাহ সৌদি আরব থেকে অদৃশ্য হয়ে যান। ২০১৬ সালের অক্টোবরের শেষ দিকে আরসার প্রধানের ১৮ মিনিটের এক ভিডিওবার্তা প্রকাশ হয়। সেখানে তিনি মিয়ানমারের পুলিশ ক্যাম্পে হামলাকে ‘সমর্থন’ জানান। তার সেকেন্ড ইন কমান্ড হলেন মৌলবি হামিদ।

    ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ আরও বলছে, মূলত রোহিঙ্গা যুবকদের দিয়েই গঠিত হয়েছে আরসা। তারা ‘আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের গেরিলা যুদ্ধে’র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। চরম দারিদ্র্য, নিজ দেশে স্বীকৃতি না পাওয়া ও চলাচলের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণেই রোহিঙ্গারা এ পথ বেছে নিয়েছে বলে মনে করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ।

    আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সমকালকে জানান, রোহিঙ্গা নারীদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতেই ‘উগ্রপন্থা’ বেছে নিয়েছে আরসা। তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চায়। কর্মকর্তা আরও বলেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গা নারীদের বিভিন্ন এনজিওসহ বিদেশি প্রতিষ্ঠান চাকরি দিচ্ছে। আরসা মনে করে- চাকরির নামে রোহিঙ্গা নারীরা আবারও ‘নির্যাতনের ফাঁদে’ আটকা পড়ছে। রোহিঙ্গা নারীদের এভাবে চাকরির নামে পুনর্বাসনের বিরোধী তারা।

    সম্প্রতি উখিয়ায় হামিদ মাস্টার নামে এক রোহিঙ্গা খুন হন। ওই ঘটনার তদন্তে দেখা যায়, হামিদ মাস্টার প্রায়ই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঝগড়া-বিবাদ মীমাংসার জন্য সালিশ বৈঠক করতেন। সম্প্রতি একটি সালিশে এক তরুণীকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন তিনি। এতে ওই তরুণীর স্বামীর পক্ষ খুশি হলেও ক্ষোভে ফেটে পড়ে প্রতিপক্ষ। তারা তরুণীর পক্ষ নিয়ে হামিদ মাস্টারের ওপর হামলা চালায়। এতে মারা যান তিনি। ওই ঘটনায় জড়িতরা নিজেদের ‘আরসার সমর্থক’ বলে দাবি করে।

    আরসা এবং আরএসওর সঙ্গে পাকিস্তান বা অন্য দেশের জঙ্গিদের যোগসূত্র রয়েছে কি-না সে বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন গোয়েন্দারা। থাইল্যান্ডের যে সূত্র থেকে তারা অস্ত্র পাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে সে ব্যাপারে বিশদ তথ্য সংগ্রহ চলছে।

    গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষিত ধর্মীয় জ্ঞানসম্পন্ন লোকজনকে টার্গেট করছে আরসা। তাদের জোরপূর্বক তুলে নিয়ে আরসার পক্ষে ‘ফতোয়া’ জারির জন্য চাপ দিচ্ছে। কয়েকটি যুক্তিতে আরসা ও আরএসওর কর্মকাণ্ডকে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখছেন। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে বিতাড়নের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রথমে একটি স্লোগান দেয় আরসা। সেখানে বলা হয়, ‘রোহিঙ্গারা গণহত্যার বিচার চায়। তারা মিয়ানমারে ফিরতে চায়।’ অল্প সময়ের মধ্যে ওই স্লোগানের কথা বদলে ফেলে আরসা। সেখানে নতুন করে বলা হয়, ‘রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে থাকতে চায়। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব চায়।’

    বাংলাদেশের গোয়েন্দারা বলছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্ররোচনায় রাতারাতি স্লোগান বদলে ফেলেছে আরসা। এতে স্পষ্ট, তাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। আরসা ও আরএসও পৃথকভাবে কর্মকাণ্ড চালালেও যে কোনো সময় তারা নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়াতে পারে- এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে।

    আবার অনেকের বিশ্বাস, আরসা পরিকল্পিতভাবে মিয়ানমারের সেনাক্যাম্পে ‘হামলা’ চালিয়ে রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত করতে বাধ্য করেছে। আবার মিয়ানমারে নিজ দেশে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হলে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গাড়িতে ফের হামলা চালায় আরসা। ওই ঘটনার জন্য আরসাকে দায়ী করা হয়। এতে আবার থমকে যায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। প্রত্যাবাসন কার্যক্রম দীর্ঘায়িত করতে আরসা-আরএসও ‘মিয়ানমারের ঘুঁটি’ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বলে মনে করা হয়।

    ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে রাখাইনের তিনটি পুলিশ ক্যাম্পে হামলায় ৯ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় আরসাকে দায়ী করে আসছে মিয়ানমার। ওই হামলার পর আবার অশান্ত হয়ে ওঠে রাখাইন। এরপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে অভিযান শুরু করে। এর জেরে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর নিষ্ঠুর পাশবিক নিপীড়ন চালানো হয়। ৭৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। ২০১৭ সালের আগস্টে একইভাবে মিয়ানমারের সীমান্ত চৌকিতে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১১ সদস্য নিহত হন। ওই প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে। অভিযানে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। জীবন বাঁচাতে রোহিঙ্গারা দলে দলে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়।

  24. মাসুদ করিম - ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ (৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ)

    রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সর্বশেষ অগ্রগতি বিষয়ে সংরক্ষিত আসনের রুমানা আলীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার প্রশ্নে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। ২২ আগস্ট ২০১৯ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের তারিখ ঠিক করা হয়। যাবতীয় প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও কোনো রোহিঙ্গা ফিরে যেতে সম্মত না হওয়ায় প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হয়নি।”

    এ সময় প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার কারণ হিসেবে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়ন না হওয়া, রোহিঙ্গাদের পূর্ণাঙ্গ পরিবার অনুযায়ী ভেরিফিকেশন না করা, নিজ বাসস্থান বা গ্রামে ফেরত ও স্থাবর সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা, স্বাধীনভাবে চলাফেরা এবং জীবিকার অধিকারসহ অন্যান্য নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের সুনির্দিষ্ট নিশ্চয়তার অভাব এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনসহ সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ার কথা তুলে ধরেন।

  25. মাসুদ করিম - ১ অক্টোবর ২০১৯ (৩:৩৬ পূর্বাহ্ণ)

    The Rohingya crisis can’t stay Bangladesh’s burden, prime minister says

    About two years ago, Bangladesh let in some 750,000 Rohingya people fleeing a military-led campaign of ethnic cleansing on the other side of the border. Authorities in Myanmar view the Rohingya, a predominantly Muslim minority, as interlopers and noncitizens — a position largely rejected by the international community. Marooned in squalid camps, the Rohingya in Bangladesh face a hopeless situation. Do they contemplate returning home to a country where their political rights will not be guaranteed and threats of violence remain? Or do they remain in limbo in the camps, eking out a bleak existence in a country that is straining under their presence?

    In her speech last week from the dais of the U.N. General Assembly, Bangladeshi Prime Minister Sheikh Hasina said the international community must “understand the untenability” of the status quo. Her nation, she added, is dealing with “a crisis which is Myanmar’s own making.”

    Hasina is sympathetic to the Rohingya plight. “It’s a big burden for Bangladesh, no doubt about it. But what they faced was almost some kind of genocide,” she told Today’s WorldView at a midtown hotel in Manhattan on Friday, referring to the violence meted out on Rohingya communities in 2017. “Killing, torturing, arson, rape, so many things happened. They were bound to run away from their country for their safety and security.”

    Although there have been agreements with Myanmar, also known as Burma, to repatriate small numbers of refugees, the overwhelming majority are too afraid to return. Rohingya rights advocates say the refugees fear returning to a precarious state in Myanmar, where they could be vulnerable to attacks from the sort of pro-government vigilante mobs and military forces who razed their villages and murdered and raped their loved ones.

    They demand a guarantee of citizenship from state authorities, something the government of Myanmar is hardly willing to oblige. A citizenship law enacted in 1982 stripped the Rohingya of the same privileges and citizenship rights of other ethnic minority groups in the country. Officials in Myanmar cast the Rohingya as a “Bengali” population and describe the violent campaign in 2017 as a counterterrorism operation against dangerous insurgents in Rakhine state, which borders Bangladesh.

    Others are not so convinced. “The Myanmar government are unaffected and maintain that these were efforts to fight terrorists,” lamented Malaysian Prime Minister Mahathir Mohamad at the United Nations last week. “This is what we are disappointed with, because we know that what is truly happening is a genocide.”

    That’s not exactly hyperbole. A recent U.N.-commissioned report warned that the same violent conditions that provoked the 2017 exodus persist in Rakhine state. “There is a strong inference of genocidal intent on the part of [Myanmar’s government], there is a serious risk that genocidal actions may recur, and Myanmar is failing in its obligation to prevent genocide, to investigate genocide and to enact effective legislation criminalizing and punishing genocide,” the report concluded.

    On the sidelines of U.N. meetings last week, the top U.S. official for foreign aid, Mark Green, spoke to ABC News about what he saw on a fact-finding trip to western Myanmar and the refugee camps in Bangladesh: “I’ll never forget this: A young Rohingya father looked me in the eyes and said, ‘There are no teachers; my kids can’t go to school. We don’t have a mosque, so we can’t worship. I’m not allowed to leave without written permission, which I never get. And the only food I’ve got is what you give me. What do I tell my kids?’ ”

    “Myanmar has done nothing to dismantle the system of violence and persecution and the Rohingya who remain in Rakhine live in the same dire circumstances that they did prior to the events of August 2017,” Yanghee Lee, the U.N. special rapporteur on Myanmar, told reporters earlier this month.

    The situation in Bangladesh is also grim. Hasina said that what is now her country’s burden could turn into a regional crisis. An increasingly disaffected, jobless refugee population is ripe for radicalization and extremism, she said. “If they stay longer, very easily they can be converted or join” militant groups, Hasina said.

    Her government confirmed new measures last week to build barbed-wire fences around Rohingya camps and to patrol their perimeters. Bangladeshi authorities already have cut Internet and cellphone access to the Rohingya and, in some instances, confiscated smartphones and SIM cards from refugees. It also plans to relocate possibly tens of thousands of refugees to large facilities erected on a low-lying silt island off the Bangladeshi coast known as Bhashan Char, which critics fear could be subject to flooding and other natural disasters.

    A statement this month from Human Rights Watch warned that such moves “made matters worse by imposing restrictions on refugee communications and freedom of movement.” The organization earlier this year cited a local journalist who described the operation at Bhashan Char as potentially a kind of “prison.”

    Hasina balked at the “talk” from nongovernmental organizations and international agencies and said her government is acting in the interests of the refugees’ “safety and security.” She pointed to reports of girls and young women falling prey to illicit human-trafficking networks that have reached into the ramshackle camps, home to more than 1 million Rohingya refugees.

    “Through these mobile phones, they are doing drugs business, arms business, even women and child trafficking,” Hasina said.

    The Bangladeshi prime minister says the Rohingya are welcome to stay for now. “They are in my soil,” she said. “What else can we do?”

    She said she hopes the international community can apply more pressure on her neighbor. “The problem with Myanmar is that they don’t listen to anybody,” she said. When asked what more can be done to squeeze Myanmar — including a possible arms embargo and tougher sanctions than those already imposed by the United States on the country’s top brass — she demurred.

    “I don’t want to fight with anybody. I want a peaceful solution, because they are my next door neighbor,” Hasina told Today’s WorldView. “But if the international community thinks that those kind of sanctions work, then fine, well and good. But I can’t suggest that.”

    Hasina indicated that she has discussed the matter with Aung San Suu Kyi, a Nobel laureate and Myanmar’s de facto civilian leader who has presided over the country’s now-stalled democratic transition.

    “She blamed the military. She told me that the military doesn’t listen to her that much,” Hasina said, referring to a 2016 conversation at a regional summit hosted in India. Suu Kyi has since followed in lockstep with the country’s military and refuses to even use the word “Rohingya” to describe the ethnic group long persecuted by the central state in Rakhine.

    “Now I can see she has changed her position,” Hasina added.

  26. মাসুদ করিম - ১৮ নভেম্বর ২০২১ (৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ)

    মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা সঙ্কট অবসানের তাগিদ দিতে জাতিসংঘ কমিটিতে সর্বসম্মত প্রস্তাব পাস

    https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1971049.bdnews

    জরুরি অবস্থার অবসান ঘটিয়ে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি রোহিঙ্গা সঙ্কটের অবসানের তাগিদ দিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘের একটি কমিটিতে।

    রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণ খুঁজে বের করা, বাংলাদেশের সাথে স্বাক্ষরিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তির বাধ্যবাধকতাগুলো পূরণ করা, এবং মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতসহ জাতিসংঘের সকল মানবাধিকার ব্যবস্থাপনাকে পূর্ণ সহযোগিতা দিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানোর কথা বলা হয়েছে সেখানে।

    ওআইসি ও ইউরোপিও ইউনিয়নের আনা এ প্রস্তাব বুধবর সাধারণ পরিষদের থার্ড কমিটিতে (সোশাল, হিউম্যানিটারিয়ান অ্যন্ড কালচারাল) সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয় বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

    প্রস্তাবটি অনুমোদনের সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, “জাতিসংঘে এবারই প্রথম সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হল রোহিঙ্গা রেজুলেশন, যা এই সঙ্কটের সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।

    জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক এ প্রস্তাবে প্রাথমিকভাবে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং জরুরি অবস্থা জারির পরের পরিস্থিতি।

    চলতি বছরের গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা নেয় সেনাবাহিনী। শীর্ষ রাজনীতিবিদদের গ্রেপ্তার করে জারি করা হয় জরুরি অবস্থা। এর পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে চলছে বিক্ষোভ ও অস্থিরতা, এরই মধ্যে সেখানে হাজারো মানুষের প্রাণ গেছে সামরিক জান্তার দমন-পীড়নে।

    জাতিসংঘ জানিয়েছে, থার্ড কমিটির অনুমোদন পাওয়া প্রস্তাবে সাধারণ পরিষদকে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের নাগরিকদের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষার প্রতি পূর্ণ সম্মান দেখাতে দেশটির নিরাপত্তা ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি যেন আহ্বান জানানো হয়। সেই সঙ্গে গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তর, আইনের শাসন নিশ্চিত করা এবং জরুরি অবস্থার অবসানের আহ্বান জানানোর কথা বলা হয়েছে সেখানে।

    প্রস্তাব পাসের প্রক্রিয়ার সময় মিয়ানমারের প্রতিনিধি বলেন, সামরিক জান্তার দমন-পীড়নে দেশের সকল নাগরিককে যে ভুগতে হচ্ছে, তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। অভ্যুত্থানের আগে ও পরে সেনাবাহিনীর চালানো সন্ত্রাস ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিবরণও তিনি বক্তৃতায় তুলে ধরেন।

    মিয়ানমারের প্রতিনিধি বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। হাজারো বেসামরিক নাগরিক ঘারবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে।

    মার্টিন লুথার কিংয়ের বক্তব্য থেকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, “কোথাও যদি অবিচার হয়, তা সুবিচারের প্রতি হুমকি তৈরি করে সব জায়গায়। আমরা সুবিচারের জন্য লড়ছি।”
    ২০১৭ সালের অগাস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর অভিযানের মুখেই সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে শুরু করে। সে সময় ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ হিসেবে বর্ণনা করে জাতিসংঘ।

    সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা। আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন আজও শুরু হয়নি।

    জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন জানিয়েছে, থার্ড কমিটিতে পাস হওয়া প্রস্তাবে মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং মিয়ানমারকে সম্পৃক্ত করে তার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে।

    “রাখাইন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে মিয়ানমার, ইউএনএইচসিআর এবং ইউএনডিপি এর মধ্যে স্বাক্ষরিত ত্রি-পক্ষীয় সমঝোতা স্মারকটি নবায়ন ও এর কার্যকর বাস্তবায়ন করার কথা রয়েছে রেজুলেশনে।”

    রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক বিবেচনায় ২০১৭ সালে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, রোহিঙ্গাদের স্বপ্রণোদিত, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে মিয়ানমার ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।”

    তিনি বলেন, প্রত্যাবাসনের অগ্রগতি না হওয়ায় রোহিঙ্গাদের হতাশা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে, যা এ অঞ্চলে নানা ধরনের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।

    সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়া এবারের প্রস্তাবটি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ যোগাবে এবং দীর্ঘ এ সমস্যার টেকসই সমাধানে ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা’ রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের দূত।

    বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন জানিয়েছে, মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে এবারের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ১০৭টি দেশ সমর্থন দিয়েছে।

    রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, “একটি শক্তিশালী ম্যান্ডেট নিয়ে এবারের রেজুলেশন গৃহীত হলো যা রোহিঙ্গাদের মনে নতুন আশার সঞ্চার করবে যে জন্য তারা পথ চেয়ে বসে আছে।”

    https://twitter.com/rababfh2016/status/1461029958256635907

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.