আমার মেমো ৪ : হিলারি আসিবার পূর্বে সন্ত্রাসবাদ মারিয়া ফেলুন

এবং এটাকে এরকম কোনোভাবেই ভাববেন না জামাতকে আড়াল করার জন্য এসব বলা হচ্ছে, আমার মতে বাংলাদেশে জামাত ইসুটা নিয়ে একটাই কথা হবে একাত্তরের আন্তর্জাতিক অপরাধের কারণে দলটি নিষিদ্ধ হতেই হবে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য যখন হবে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা তখন শুধু এটুকুতেই কাজ হবে না। ইসলামি মাওবাদকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। [...]

বিএনপির চেয়ারম্যান ইসলামি মাওবাদের চেয়ারম্যান। [ বাংলাদেশকে কোনোভাবেই ‘ইসলামি’ তকমায় দ্বীন = রাষ্ট্র করে তোলা যাবে না। ইসলামি মাওবাদের সেটাই লক্ষ্য। ] আমার খুব মনে হয় যারা ‘জামাত ছাড়া বিএনপি’কে সমাধান ভাবছেন তারা ভুল করছেন, জামাত ছাড়া বিএনপির জন্য অসম্ভব আমি এদিক থেকে কথাটা বলছি না, আমি বলছি এদিক থেকে যে সেই অসম্ভবকে বিএনপি সম্ভব করেই ফেলল তা ধরে নিয়েই, আমি এটাও ধরে নিচ্ছি শুধু নিবন্ধন বাতিল নয় জামাতের রাজনীতিই নিষিদ্ধ করে দেয়া হল, কিন্তু বিএনপি ইসলামি মাওবাদের পৃষ্টপোষকতা ছাড়ল না, তাহলে তো সন্ত্রাসবাদ গেল না, বরং ইসলামি মাওবাদ বিএনপির নেটওয়ার্ক ধরে তলে তলে বিকট ব্যাপ্তিতে ছড়িয়ে গেল, কাজেই সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে গেলে যা এখনি করতে হবে — বিএনপির চেয়ারম্যানকে ইসলামি মাওবাদের চেয়ারম্যান হতে কোনোভাবেই আর দেয়া যাবে না, বালুর ট্রাক জলকামান তুলে জাল দিয়ে চেয়ারম্যানকেই মাছের মতো তুলে নিতে হবে।

এবং এটাকে এরকম কোনোভাবেই ভাববেন না জামাতকে আড়াল করার জন্য এসব বলা হচ্ছে, আমার মতে বাংলাদেশে জামাত ইসুটা নিয়ে একটাই কথা হবে একাত্তরের আন্তর্জাতিক অপরাধের কারণে দলটি নিষিদ্ধ হতেই হবে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য যখন হবে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা তখন শুধু এটুকুতেই কাজ হবে না। ইসলামি মাওবাদকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। এবং সেকাজ করার সময় হাতে আছে তিন বছর, ২০১৬এর শেষে বর্তমান প্রক্ষেপ অনুযায়ী হিলারি ক্লিনটন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই একাজ সম্পন্ন করতেই হবে। হিলারি ক্লিনটন হবেন আমেরিকার রকস্টার প্রেসিডেন্ট, এবং তিনি অনেক সিদ্ধান্তগ্রহণ তুড়ির দ্রুততায় নিজের দিকে আনার দক্ষতা দেখাবেন উন্মাদের মতো, তারপাশে আরো দুটো প্রক্ষেপ ভেবে নিন — একজন মমতা ও আরেকজন সুকি, একজন ২৫ ভাগ মুসলিম ভোটের জন্য আল্লামামুফতিইমামদের কব্জায় পুরোপুরি তখন হবেন পর্যবসিত আরেকজন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে হবেন চূড়ান্ত নাস্তানাবুদ, এদুজনকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে নিজের মন্ত্রে চালিত করতে চাইবেন হিলারি — একবার ভাবুন তখনও যদি একই দুর্বলতা থেকে যায় আমাদের সাতক্ষীরা রামুতে, বুঝতে পারছেন কত দাপটে তখন খেলবেন হিলারি?

কাজেই প্রাণপ্রিয় দেশের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করুন — বিএনপির হাতের মোয়া ইসলামি মাওবাদ এখনই বিনষ্ট করুন — আর দেরি না করে সংকল্পবদ্ধ হয়ে হিলারি আসিবার পূর্বে সন্ত্রাসবাদ মারিয়া ফেলুন

মাসুদ করিম

লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।

২১ comments

  1. Pingback: হিলারি আসিবার পূর্বে সন্ত্রাসবাদ মারিয়া ফেলুন | প্রাত্যহিক পাঠ

  2. মাসুদ করিম - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ (১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ)

  3. মাসুদ করিম - ১২ মার্চ ২০১৪ (৯:৫১ পূর্বাহ্ণ)

    ওআইসি মহাসচিবের সাথে বৈঠক বাতিল করেই খালেদা কাতারের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বসলেন, কী বোঝা যাচ্ছে?

  4. মাসুদ করিম - ২৬ আগস্ট ২০১৪ (৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ)

    Saradha Money Fuelled Fire against Awami League Govt

    Saradha Group chairman Sudipto Sen, prime accused in the multi-crore chit fund scam, not only funded political parties in India, but also Islamic fundamentalists in Bangladesh.

    The investigating agencies CBI and Enforcement Directorate (ED) have stumbled upon sensational information that suggests that in order to fan the agitation against the Awami League Government in Bangladesh, Sen sent large amounts of money through an influential politician, who is now a Rajya Sabha MP.

    The CBI contacted various agencies of the Ministry of Home Affairs, as well as the Ministry of External Affairs, and learnt several dossiers had existed for decades about the MP with the Home Department of the state government. All these agencies were aware of the MP’s antecedents and links with various Islamic fundamentalist organisations, including Students Islamic Movement of India(SIMI), of which he was a key member.
    The CBI and ED learnt that the funds collected from the public, through Saradha’s chit fund schemes, were centrally deposited at the group’s offices in Salt Lake. After being accounted for, hundreds of crores were transported to various centres close to the Indo-Bangladesh border.

    The cash was put in huge bags and taken by ambulances belonging to the Saradha group. The Indian currency was then secretly converted to Bangladeshi Taka and European currencies at a “Foreign Currency Convertor Centre”, belonging to a man from Kolkata.

    Armed couriers of radical Islamic outfits would then smuggle the converted currency across the border, under the cover of darkness.

    The deal was that Sen would finance these radical outfits, mainly the Jamaat-e-Islami Bangladesh, but separately large amount of his funds would also be delivered to designated places in Bangladesh. The leaders of these outfits had to arrange for Sen’s funds to be sent to banks in Europe through their couriers.

    The sleuths believe that thousands of crores, collected from Indian citizens by the Saradha group, had reached these “Anti-India radical Islamic groups in Bangladesh” and also to several terrorist outfits of the country, who were earlier operating in Bangladesh.

    Though the CBI or the ED is refusing to disclose the identity of the MP, many former senior Intelligence Bureau officials were more forthcoming. They said they were not aware of the transfer of funds to Bangladesh, but drew the attention of Union Home Minister Rajnath Singh, National Security Advisor Ajit Doval and also the Prime Minister’s Office.

    Former Special Director, Intelligence Bureau, Dhanesh Chandra Nath said, “We all know who this man is. It is unfortunate that West Bengal Chief Minister and TMC chief Mamata Banerjee sent Ahmed Hassan, alias Imran, to the Rajya Sabha, despite knowing his antecedents.

    When SIMI was banned in 2001, Mamata was a Union Minister and she should have known about its leader’s activities in the state. What is of serious concern to us is the planned infiltration of the known subversive elements, into the most sacred and highest corridors of power,” he said.

    Nath, who was earlier Joint Director, SIB, in Kolkata for six years, revealed that Hassan, during his days at Aligarh Muslim University, came in touch with SIMI and was given charge of West Bengal. He was also Amir-e-Halka for Jamaat-e-Islami Hind for the Eastern region of the country.

    In 1981, Hassan started a Bengali magazine — “Kalam” — from 19 Dargah Road, but later, in 1998, shifted to another address on 45 Elliot Road. The Dargah office then became a guest house for SIMI.

    Intelligence agencies have reports about SIMI’s link with Islamic Development Bank, which has its headquarters in Abu Dhabi. There are reports that Hassan was the key man for IDB in Eastern India. Mamul Al-Azam, Managing Director of IDB and son of president of Jamaat-e-Islami Bangladesh, Golam Azam, is his close friend.

    After turning “Kalam” into a daily and having come in contact with Sen, he sold the newspaper to the Saradha group, but remained its editor. Hassan was introduced to Sen by suspended TMC Rajya Sabha MP Kunal Ghosh, who was a journalist and media advisor to the Saradha group. He is now in jail.

    • মাসুদ করিম - ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ (১:৪৩ অপরাহ্ণ)

      জামাতের সন্ত্রাসেও সারদার টাকা

      সারদার জল এ বার গড়াল বাংলাদেশেও।
      সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি করতে কাজে লাগানো হয়েছে সারদার কোটি কোটি টাকা। আর তার সঙ্গে জড়িত তৃণমূল সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান। এ ব্যাপারে ভারতের কাছে সরকারি ভাবে অভিযোগও জানিয়েছে বাংলাদেশ।
      এই ঘটনার তদন্ত চেয়ে সরব হয়েছেন বাংলাদেশের জামাত-উপদ্রুত দুই এলাকা রাজশাহি ও সাতক্ষীরার দুই সাংসদ। যদিও ইমরান নিজে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, জামাতের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই।
      কী বলা হয়েছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা রিপোর্টে?
      সে দেশের তদন্তকারীদের দাবি, ২০১২-’১৩ সালে ইমরানের মাধ্যমে ভারত থেকে দফায় দফায় বিপুল পরিমাণ অর্থ পৌঁছেছে জামাতে ইসলামি ও তাদের নানা শাখা সংগঠনের হাতে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগ সরকার জামাতের প্রথম সারির নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা শুরু করার পরে বাংলাদেশে দাঙ্গা, নাশকতা ও সন্ত্রাস শুরু করেছিল মৌলবাদীরা। সরকার জামাতকে নিষিদ্ধ করার হুঁশিয়ারি দিলে ‘হেফাজতে ইসলাম’ নামে বকলমে আরও একটি মৌলবাদী সংগঠন গজিয়ে ওঠে। তারা ঢাকা অবরোধ করে সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র করেছিল। গোয়েন্দা সূত্র অনুসারে, সেই কাজে ইন্ধন জোগাতেই এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল। যার একটা বড় অংশ সারদা অর্থলগ্নি সংস্থার।
      ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্টও এই বক্তব্যকে অনেকটাই সমর্থন করছে। বাংলাদেশের গোয়েন্দা রিপোর্টে অবশ্য এই দাবিও করা হয়েছে যে, ইমরানের মাধ্যমে অর্থের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকের বেশ কয়েকটি চালানও ভারত থেকে পৌঁছে গিয়েছিল জামাতের হাতে।
      কী ভাবে?
      ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, সারদার বেশ কিছু অ্যাম্বুল্যান্সে কাঁচা টাকার বান্ডিল ভরে তা নিয়ে যাওয়া হতো বনগাঁ, বসিরহাট, নদিয়া, মালদহ, বালুরঘাট ও কোচবিহারের সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে। তার পরে তা বাংলাদেশি টাকা, ডলার বা ইউরোয় পরিবর্তন করে জামাতের এজেন্টদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষও ইডি-কে লেখা চিঠিতে সারদার অ্যাম্বুল্যান্সে করে বাংলাদেশে জামাতে ইসলামির কাছে টাকার বান্ডিল চালান যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। এ ছাড়া, হাওয়ালা ও হুন্ডির মাধ্যমেও গিয়েছে সারদার টাকা। বাংলাদেশের গোয়েন্দা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জামাত পরিচালিত বেশ কিছু হাসপাতাল, ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বেনামে লগ্নিও করেছে সারদা। সেই অর্থও কার্যত জামাতের ‘জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন’-এই খরচ হয়েছে।
      রাজশাহির সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে নিজেদের নেতাদের বিচার বানচাল করতে বাংলাদেশ জুড়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস শুরু করেছিল জামাতে ইসলামি। রেললাইন উপড়ে, বাস-ট্রেন জ্বালিয়ে অজস্র মানুষকে হত্যা করা হয়। প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে তাঁদের প্রতিরোধ করেন। বাদশা বলেন, “বিশেষ করে রাজশাহি ও সাতক্ষীরার মতো সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে এই সন্ত্রাস মাত্রাছাড়া হওয়ায় ভারত থেকে থেকে অস্ত্র-বিস্ফোরক ও অর্থ আসার বিষয়ে আমরা সন্দিহান হই। পরে পুলিশ ও আধাসেনারা এই সব জায়গায় অভিযান চালিয়ে বহু মৌলবাদীকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকেই এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।”
      সাতক্ষীরার সাংসদ মুস্তাফা লুৎফুল্লা বলেন, “জামাতের দুষ্কৃতীরা পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে। সেখানে শাসক দলের নেতারা তাদের আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করছে বলে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট খবর আছে। সন্ত্রাসের সময়েও সীমান্ত-পার থেকে নিয়মিত অর্থের জোগান পেয়েছে মৌলবাদীরা।”
      কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই বাংলাদেশের জামাতে ইসলামির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু উর্দুভাষী নেতার দহরম মহরম শুরু হয়। ২০১১-র ভোটে সীমান্ত এলাকায় জামাত কর্মীরা তৃণমূলের হয়ে কাজ করে। সে সময়ে তৃণমূলকে অর্থেরও জোগান দিয়েছিল জামাতে ইসলামি। গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেই সুসম্পর্ক থেকেই পরবর্তী কালে জামাতকে তৃণমূল শুধু পাল্টা সাহায্যই করেনি, তিস্তা চুক্তি ও স্থল সীমান্ত চুক্তি আটকে দিয়ে বাংলাদেশ সরকারকেও বিপদে ফেলার চেষ্টা করে। বাংলাদেশ সংক্রান্ত নীতির বিষয়ে মমতা বরাবর জামাতের সঙ্গে নিত্য যোগাযোগ রাখা উর্দুভাষী নেতাদের মতামতই মেনে চলেছেন বলে গোয়েন্দা রিপোর্টের দাবি।
      বাংলাদেশের এক কূটনীতিকের মতে, শেখ হাসিনার আমলে ঢাকার সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক যতটা মধুর হয়েছে, ততটাই তেতো হয়েছে কলকাতার সঙ্গে। এর জন্য তিনি দায়ী করেছেন তিস্তা ও স্থলসীমান্ত চুক্তি নিয়ে মমতার কট্টর বিরোধিতাকে। ওই পদস্থ কূটনীতিকের দাবি, তৃণমূলের জামাত-ঘনিষ্ঠ নেতারাই মমতাকে এ কাজে প্রভাবিত করতে সফল হয়েছেন। ওই নেতারাই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা জামাতের দুষ্কৃতীদের কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের নানা জায়গায় মাসের পর মাস আশ্রয় দিয়ে রেখেছেন। বাংলাদেশ সরকার এই বিষয়টিও ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। ওই কূটনীতিকের অভিযোগ, তার পরেও সেই সব আশ্রয়শিবির কিন্তু বহাল রয়েছে। গত পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে এই সব অনুপ্রবেশকারী জামাত কর্মীরা তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন।
      এই সব কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষিতেই প্রাক্তন সিমি নেতা, বর্তমান তৃণমূল সাংসদ ইমরানকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। দলের কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ এ দিন বলেন, “সিমি-কে নিষিদ্ধ করার সময়ে মমতা কেন্দ্রে মন্ত্রী ছিলেন। তিনি সবই জানতেন। তার পরেও কেন তিনি ইমরানকে রাজ্যসভায় পাঠালেন?” তাঁর দাবি, জামাতের সঙ্গে বোঝাপড়া করেই তৃণমূল নেত্রী এই প্রার্থী বাছাই করেছেন। মমতার এই কাজকে ‘দেশদ্রোহ’ বলে মন্তব্য করে ওই বিজেপি নেতার অভিযোগ, এক জন মুখ্যমন্ত্রীর এমন কাজের জন্য রাজ্যে জঙ্গি ও দুষ্কৃতীরা সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকছে। নাগরিকদের নিরাপত্তা বিপন্ন হচ্ছে।

      ‘জামায়াতের সন্ত্রাসে তৃণমূলের টাকা’

      ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর ‘নিবিড় যোগাযোগের’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’।

      বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাকে উদ্ধৃত করে তারা বলেছে, বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরির প্রেক্ষাপটে কাজ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলটির একজন সাংসদের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পৌঁছানো হয় জামায়াতের হাতে।

      প্রথম পাতায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে তৃণমূল সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরানের নাম উঠে এসেছে দুই দলের মধ্যে যোগাযোগের সেতুবন্ধনকারী হিসাবে।

      যদিও ইমরান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই।

      ইতোমধ্যে এসব অভিযোগের বিষয়ে নয়া দিল্লিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকার পক্ষ থেকে নালিশ করা হয়েছে বলে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

      বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে পত্রিকাটিতে বলা হয়েছে, “২০১২-১৩ সালে ইমরানের মাধ্যমে ভারত থেকে দফায় দফায় বিপুল পরিমাণ অর্থ পৌঁছেছে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের নানা শাখা সংগঠনের হাতে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতের প্রথম সারির নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা শুরু করার পরে বাংলাদেশে দাঙ্গা, নাশকতা ও সন্ত্রাস শুরু করেছিল মৌলবাদীরা। সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার হুঁশিয়ারি দিলে ‘হেফাজতে ইসলাম’ নামে বকলমে আরও একটি মৌলবাদী সংগঠন গজিয়ে ওঠে। তারা ঢাকা অবরোধ করে সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র করেছিল। গোয়েন্দা সূত্র অনুসারে, সেই কাজে ইন্ধন জোগাতেই এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল। যার একটা বড় অংশ সারদা অর্থলগ্নি সংস্থার।”

      ঢাকার অভিযোগের সত্যতা নয়া দিল্লি পেয়েছে, যার ভিত্তি ভারতের গোয়েন্দা প্রতিবেদন।

      বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ইমরানের মাধ্যমে অর্থের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকের বেশ কয়েকটি চালানও ভারত থেকে জামায়াতের হাতে দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

      আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “ভারতের গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারদার বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্সে কাঁচা টাকার বান্ডিল ভরে তা নিয়ে যাওয়া হতো বনগাঁ, বসিরহাট, নদিয়া, মালদহ, বালুরঘাট ও কোচবিহারের সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে। পরে তা বাংলাদেশি টাকা, ডলার বা ইউরোতে পরিবর্তন করে জামায়াতের এজেন্টদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষও ইডি-কে লেখা চিঠিতে সারদার অ্যাম্বুলেন্সে করে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর কাছে টাকার বান্ডিল চালান যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। এ ছাড়া, হাওয়ালা ও হুন্ডির মাধ্যমেও গিয়েছে সারদার টাকা। বাংলাদেশের গোয়েন্দা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জামায়াত পরিচালিত বেশ কিছু হাসপাতাল, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বেনামে লগ্নিও করেছে সারদা। সেই অর্থও কার্যত জামায়াতের ‘জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনে’ খরচ হয়েছে।

      “পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই বাংলাদেশের জামাতে ইসলামীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু উর্দুভাষী নেতার দহরম মহরম শুরু হয়। ২০১১-র ভোটে সীমান্ত এলাকায় জামায়াত কর্মীরা তৃণমূলের হয়ে কাজ করে। সে সময়ে তৃণমূলকে অর্থেরও জোগান দিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী।

      “গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেই সুসম্পর্ক থেকেই পরবর্তী কালে জামায়াতকে তৃণমূল শুধু পাল্টা সাহায্যই করেনি, তিস্তা চুক্তি ও স্থল সীমান্ত চুক্তি আটকে দিয়ে বাংলাদেশ সরকারকেও বিপদে ফেলার চেষ্টা করে।”

      বাংলাদেশ সংক্রান্ত নীতির বিষয়ে মমতা বরাবর জামায়াতের সঙ্গে নিত্য যোগাযোগ রাখা উর্দুভাষী নেতাদের মতামতই মেনে চলেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

      এসব কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষিতে প্রাক্তন সিমি নেতা, বর্তমান তৃণমূল সাংসদ ইমরানকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

      দলের কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ আনন্দবাজারকে বলেন, “সিমি-কে নিষিদ্ধ করার সময়ে মমতা কেন্দ্রে মন্ত্রী ছিলেন। তিনি সবই জানতেন। তার পরেও কেন তিনি ইমরানকে রাজ্যসভায় পাঠালেন?”

      তার দাবি, জামায়াতের সঙ্গে বোঝাপড়া করেই তৃণমূল নেত্রী এই প্রার্থী বাছাই করেছেন। মমতার এই কাজকে ‘দেশদ্রোহ’ বলে মন্তব্য করে ওই বিজেপি নেতার অভিযোগ, এক জন মুখ্যমন্ত্রীর এমন কাজের জন্য রাজ্যে জঙ্গি ও দুষ্কৃতীরা সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকছে। নাগরিকদের নিরাপত্তা বিপন্ন হচ্ছে।

      • মাসুদ করিম - ৪ ডিসেম্বর ২০১৪ (১০:২৮ পূর্বাহ্ণ)

        Mamata hits back at Amit Shah with ‘bamboo on the backside’ jibe as Centre denies Burdwan-Saradha link

        Three days after BJP president Amit Shah alleged in Kolkata that Saradha money had been used to fund terror, union minister Jitendra Singh told Lok Sabha that investigators had found no such link. Within hours, a triumphant Mamata Banerjee declared, in colourful language, that unpredictable consequences befall those who spend their time looking for ways to harass others.

        “…Shanti na thakle kono kichhu hoyna… nijera korte paaren-ni, jaara korchhe, sarakkhon taader pichhone ki kore bamboo deya jaaye, taar chinta kore berachhe… (Nothing is possible without peace… they could do nothing themselves, and are now all the time looking for ways to stick a bamboo up the backside of those who are trying to do something),” the Trinamool Congress chief told a public rally in Jalpaiguri in North Bengal on Wednesday.

        “Bamboo jangal-e hoy, ghar-baari toiri-te kaaje laage. Aar jaane na, bamboo dite-dite bamboo jokhon taara kore na shobaike, tokhon je kothaye jaabe… raakhar jayega thaakbe na… (Bamboo grows in forests, and is used to build homes. But they don’t know, when bamboo turns around and starts to chase people, no one knows where it might go…),” Mamata said.

        Without mentioning Shah, she added, “keu-keu ektu beshi kotha bole felechhe (Some people have talked a bit too much)… I have no problems with people speaking, if they are speaking the truth. But speaking untruths, lies… Just because I have a channel, I will say what I want, there has to be a limit to everything…”

        The West Bengal’s Chief Minister’s extraordinary outburst came after Singh, Minister of State in the PMO, said in a written reply to Parliament, “The (Saradha chit fund scam) investigation has so far not revealed any such transaction where money was routed to Bangladesh to fund terrorist activities.”

        The minister’s statement squarely contradicted Shah, who had said at a BJP rally on Sunday, “Saradha chit fund money was used in the Burdwan blast. The NIA is not being allowed to probe the blast properly. Hurdles are being erected. It is being done in order to save Trinamool Congress leaders who are involved in the blast.”

        Singh was replying to an unstarred question from BJP MPs Hari Manjhi (Gaya) and Pralhad Joshi (Dharwad) on whether the government had sought details of the Saradha probe after reports indicated that a part of the money was routed to Bangladesh to fund terror activities.

        Trinamool spokesman Derek O’Brien said: “Amit Shah has to apologise to the people of Bengal for deliberately misleading them. On the floor of the House the minister has said there is no proof of what he said at his rally, yet he made that statement in the rally linking Saradha to the Burdwan blasts and to Bangladesh.”

        In West Bengal, a senior minister in Mamata’s cabinet, Subrata Mukherjee, said the Trinamool might consider taking Shah to court for slander.

        Late in the evening, in an apparent attempt at issuing a clarification, Environment Minister Prakash Javadekar tweeted, “There are three facts 1. Sharda Scam is a reality. 2. Millions of poor have been defrauded. 3. Many in TMC have been found as beneficiaries.”

        Interestingly, only a day before Shah alleged that Mamata’s government was blocking the Burdwan investigation, Home Minister Rajnath Singh had told a police officers’ conference in Guwahati that West Bengal police and NIA were working together on the probe.

        The NIA itself has been appreciative. Burdwan SP S M Meerza said the central agency has communicated to him that it would like to reward several police officers for their contribution to the investigation.

        “We have provided the basic investigative framework to the NIA, including Google maps locations, telephone numbers, photos, confessional statements, etc., so the NIA can take the probe forward. Some key arrests, like that of Zia-ul-Haque [who taught Arabic at a school in Talit, Malda, and was arrested early last month] were made on the basis of inputs provide by the Burdwan police,” Meerza said.

  5. মাসুদ করিম - ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ (৭:৩০ পূর্বাহ্ণ)

    ‘হাসিনাকে উৎখাতে মার্কিন তৎপরতা’

    বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারকে সরিয়ে দিতে মার্কিনিদের অর্থ ব্যয়ের তথ্য পাওয়ার দাবি করেছেন ভারতের গোয়েন্দারা।

    সেই সঙ্গে ত্রিপুরার বামপন্থি সরকারকেও মার্কিনিরা দুর্বল করার তৎপরতা চালাচ্ছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।

    মার্কিনিদের এই তৎপরতার বিষয়ে ভারতের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের একজন প্রতিনিধি দেখেছেন, যাতে এই পরিকল্পনায় পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সংশ্লিষ্টতা দেখা গেছে।

    পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট সরকারকে হটাতে মমতা বন্দোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পেয়েছিল বলে মনে করা হয়।

    এই তৃণমূল কংগ্রেসই এখন বাংলাদেশে তাদের সমমনা মৌলবাদী গোষ্ঠিগুলোকে কয়েক মিলিয়ন ডলার দিয়েছে বলে ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দাবি।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যসভায় তৃণমূলের এমপি আহমেদ হাসান ইমরান এবং টেকনাফ থেকে ভারতে পাড়ি জমানো মাওলানা আসিফ খান গত ছয় মাস ধরে খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠাচ্ছেন।

    ভারতের ঊর্ধ্বতন এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব ও তাদের কর্মীদের হত্যা এবং জন অসন্তোষের মাধ্যমে বাংলাদেশে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিই মূল পরিকল্পনা।”

    বিএনপি ও জামায়াত নেতারা বাংলাদেশে নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রেরও মনোভাবও নতুন নির্বাচনের পক্ষে।
    মার্কিনিদের এই তৎপরতার সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও জড়িত রয়েছে বলে এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা দাবি করেছেন।

    গোয়েন্দারা বলছেন, তৃণমূলের এমপি মুনমুন সেন পাকিস্তানের তেহরিক-ই ইনসাফ নেতা ইমরানের খানের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে চলেন।

    ইমরান ক্রিকেটার থাকার সময় সুচিত্রাকন্যা মুনমুনের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে বেশ আলোচনা ছিল। রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান বর্তমানে তার দেশে নওয়াজ শরিফের সরকার হটানোর আন্দোলনে রয়েছেন।

    ইমরান-মুনমুনের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগকে ব্যবহার করেই সম্প্রতি কলকাতায় পাকিস্তানি হাইকমিশনারের সফরের ব্যবস্থা করা হয়।

    পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে পাকিস্তান হাইকমিশনারের বৈঠকের পর কলকাতার একদল সাংবাদিকের পাকিস্তান সফরের ব্যবস্থাও হয়।

    ওই সময় পাকিস্তানি হাইকমিশনার পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের পাকিস্তানি ভিসা পাওয়া সহজ করতে কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশন খোলার প্রস্তাব জানান মমতার কাছে। ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অবশ্য ওই দাবি নাকচ করে দেন।

    গোয়েন্দারা মনে করেন, কলকাতার উর্দুভাষীদের ভোট নিশ্চিত করতেই পাকিস্তানি কূটনীতিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন মমতা।

    পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম ভোটারদের ভোট বরাবরই কংগ্রেস ও সিপিএম পেয়ে আসছিল। এই বছরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে তৃণমূলের জয়জয়কার হলেও মুসলিম ভোটের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা যায়নি।

    কলকাতার উর্দুভাষী মুসলিমরা সবসময়ই মৌলবাদীদের সমর্থন করে থাকে। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সভা-সমাবেশেও তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ দেখা যায়।

    একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় একটি পত্রিকার সম্পাদক, যিনি নিজেও উর্দুভাষী, বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির জন্য এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন।

    ওই সম্পাদক কিছুদিন আগে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সূত্রটি।

    ভারতে বর্তমানে ক্ষমতাসীন বিজেপির সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ স্থাপনে ওই সম্পাদককে সহায়তা করছেন এক ব্যবসায়ী, যার বিরুদ্ধে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং-‘র’ এর হয়ে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে।

    তবে বিজেপির জ্যেষ্ঠ অনেক নেতাই দলভুক্ত ওই সম্পাদকের তৎপরতায় নাখোশ হয়েছেন। তারা বলছেন, দলে নিজের গোষ্ঠীর মধ্যে তিনি বিএনপির একটি লবি তৈরি করছেন।

    পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী, কিন্তু মনে হচ্ছে এই মুসলিম সম্পাদক বিএনপি-বিজেপি শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরির কাজটি নিজের কাঁধেই নিয়েছেন।”

    মমতার মনোনয়নে রাজ্যসভার সদস্য হওয়া আহমেদ হাসান ইমরান সম্পর্কে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি নিষিদ্ধ স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়ার (সিমা) নেতা ছিলেন।

    প্রতিবেদনে সংগঠনটির সঙ্গে মুসলিম সন্ত্রাসী দলগুলোর সম্পর্ক থাকার পাশাপাশি এমপি ইমরান কিভাবে সীমান্তপথে টাকা পাঠাচ্ছেন তারও বিবরণ রয়েছে।

    ইমরান বাংলাদেশের দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করেছেন, যে সংবাদপত্রটি জামায়াতঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

    একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, দণ্ডিত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং মীর কাসেম আলীর সঙ্গে ইমরানের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।
    ভারতীয় গোয়েন্দারা বলছেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধে সৌদি আরবের মতো শক্তিশালী ইসলামী দেশগুলোর সঙ্গে মিলে একাত্তরে পরাজিত পাকিস্তানও চেষ্টা চালাচ্ছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত ক্ষমতায় গেলে সেইন্ট মার্টিন দ্বীপে নৌঘাঁটি স্থাপনে অনুমতির প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় বিএনপি-জামায়াতকে সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

    ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জেনেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে বর্তমানে লন্ডনে থাকা তারেক রহমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বৈঠকও করেছেন।

    মিয়ানমারের রাখাইন অধ্যুষিত এলাকা কাইয়ুকপিউতে চীনের বন্দর অবকাঠামো নির্মাণ এবং বাংলাদেশের প্রস্তাবিত সোনাদিয়া বন্দরের ওপর নজর রাখতেই এই নৌঘাঁটি স্থাপন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

    গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের পর এখন বাংলাদেশলাগোয়া ত্রিপুরার মানিক সরকার নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকারকে দুর্বল করে দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি সম্ভব হলে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্কে আগ্রহী ভারতের ওই রাজ্য সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনাও বাদ দিচ্ছে না।

    Major US operation ‘to oust Hasina’

    Indian intelligence officials say they have unravelled a US-funded move to topple Sheikh Hasina’s government in Bangladesh and ‘weaken’ the Left regime in Tripura.

    West Bengal’s ruling party Trinamool Congress, which is said to have been hugely funded by the US in its oust-Left drive in West Bengal between 2009-2011, has transferred millions of dollars to its fundamentalist associates in Bangladesh, they claim.

    A central intelligence report accessed by a bdnews24.com com correspondent in India says Trinamool MP in Rajya Sabha Ahmed Hassan Imran and another Maulana Asif Khan (originally from Teknaf) had been sending huge amounts of money to Jamaat and BNP over the past six months.

    “The whole idea is to foment unrest on a large scale that would involve killing of Awami League leaders and activists and public disorder,” said a top central intelligence official.

    BNP and Jamaat leaders have been meting out those threats and pushing for a fresh election, almost in tandem with the US.

    Pakistani agencies are also involved, the source claims.

  6. মাসুদ করিম - ৬ ডিসেম্বর ২০১৪ (৯:২০ পূর্বাহ্ণ)

    কোনো দেশ পাশে না থাকলে মরে যাব না: প্রধানমন্ত্রী

    যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরাশক্তির বিরোধিতার পরও মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ যদি স্বাধীন হতে পারে, তাহলে কোনো একটি দেশকে পাশে না পেলেও এখন বাংলাদেশের সমস্যা হবে না বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
    আর কোনো বিষয়ে মতবিরোধ হলেই একটি দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাবে বলেও তিনি মনে করেন না।

    শুক্রবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেসাই বিসওয়ালের সাম্প্রতিক সফর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের এই প্রতিক্রিয়া।

    স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘দুই আনার মন্ত্রী’ বলায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেতে পারে বলে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এক সাংবাদিক।

    শেখ হাসিনা বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের যে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন, তিনি বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। কেউ যদি কোনো মতামত দিয়ে থাকেন তাহলে সে দায়িত্ব তার। তাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই তা করা হয়েছিল বলেও শোনা গেছে।

    “আমাদের বিরুদ্ধে অপবাদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সারা বিশ্ব তন্ন তন্ন করে খুঁজেও প্রমাণ পায়নি।”

    কোনো সমস্যা হলেই কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাবে বলে মনে করেন না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আর একটা দেশ পাশে না থাকলে আমরা একেবারে শেষ হয়ে যাব? … একাত্তরেও যুক্তরাষ্ট্র বিরুদ্ধে ছিল বাংলাদেশ শেষ হয়ে যায়নি।”

    গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন যাতে না হয় সেজন্য ‘সব রকম চেষ্টা’ যুক্তরাষ্ট্র করেছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রেও বাংলাদেশের বন্ধু রয়েছে। তাদের সহযোগিতা বাংলাদেশ সব সময় পেয়েছে।

    “মুক্তিযুদ্ধের সময় যদি আমরা লড়াই করে টিকে থাকতে পারি তাহলে স্বাধীন দেশ হিসাবে এখনো পারব।”

    “প্রত্যেকটা নাগরিককে বলব, এটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। সে মর্যাদা নিয়ে চলতে হবে। কেউ পাশে থাকলে বাঁচব, না থাকলে মরে যাব, এটা ঠিক না।”

    ভাল থাকলে বন্ধুর অভাব হবে না বলেও মন্তব্য করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, “আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত স্বচ্ছ। এটা পূর্ব না পশ্চিম, উত্তর না দক্ষিণ- তা আমি বিবেচনায় নিতে চাই না।… বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে কারো সাথে সম্পর্ক আরো গভীর করতে হয়, তা করব।”

    কাউকে ছাড়া বাংলাদেশ চলতে পারবে না- এমন চিন্তা ‘না থাকাই ভাল’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

  7. মাসুদ করিম - ৩১ মার্চ ২০১৫ (৭:৫৩ অপরাহ্ণ)

  8. মাসুদ করিম - ৩ এপ্রিল ২০১৫ (১২:৩৮ অপরাহ্ণ)

  9. মাসুদ করিম - ১১ এপ্রিল ২০১৫ (১২:২০ পূর্বাহ্ণ)

    Hillary to announce presidential bid Sunday

    Hillary Clinton is expected on Sunday to announce, via video and social media, her intention to seek the Democratic presidential nomination, a party official told Reuters on Friday.

    Following the announcement, the former secretary of state will travel to the key primary states of Iowa and New Hampshire, said the source, who is close to Clinton.

    “She’s expected to make her intention to run known on Sunday,” the source said.

    In her previous presidential run in 2008, Clinton lost to the current president, Barack Obama, in part because of the Obama campaign’s clever use of social media to draw attention to his candidacy and raise huge sums through small donations.

    Her use of social media is also an appeal to young voters, whom Clinton needs to become American’s first woman president. In 2012, young political staffers made the now 67-year-old former first lady an Internet sensation with the blog “Texts from Hillary.”

    Also on Friday, Clinton released an update to her memoir, “Hard Choices,” in which she described her final days as secretary of state and her feelings about her first grandchild, as her campaign is expected to concentrate on making her relatable to ordinary Americans.

    “Becoming a grandmother has made me think deeply about the responsibility we all share as stewards of the world we inherit and will one day pass on. Rather than make me want to slow down, it has spurred me to speed up,” she wrote.

  10. মাসুদ করিম - ২৫ জুন ২০১৫ (১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ)

    Clinton faces early test on U.S.-Pacific Rim trade deal fight

    Less than a week after formally launching her presidential campaign, Hillary Clinton is already being tested on a thorny issue for Democrats: free-trade deals and their impact on workers.

    The issue is a backdrop for almost any global economic affairs debate in Washington, with many Democrats and their backers arguing that free-trade deals help big corporations, but drive American jobs abroad to cheaper labor markets.

    On Thursday, the debate rose to a full boil when members of Congress from both parties announced legislation that would give President Barack Obama the “fast-track” trade negotiating authority he needs to complete a massive Asia-Pacific free-trade deal.
    ADVERTISING

    Over two days of campaigning in Iowa this week, where she discussed economics, Clinton, who is the commanding front-runner to be the Democratic nominee for the 2016 election, uttered not a word about the potential Trans-Pacific Partnership (TPP) between the United States and 11 other Pacific Rim countries.

    If Obama does not get fast-track “trade promotion authority” (TPA) from Congress setting rules for debating TPP, it will be nearly impossible to complete the sprawling pact that aims to lower trade barriers and further stimulate trade with countries ranging from Australia, Japan and Chile to Singapore and Vietnam.

    The TPA fight in Congress could be over this year, long before the election campaigns really heat up. But if Congress approves fast-track, the second chapter – an up-or-down vote by Congress on whatever TPP deal Obama agrees to – could be raging as the November 2016 election nears.

    “She puts herself in a very difficult position no matter what she says” about trade, said Paul Sracic, who heads Youngstown State University’s Politics and International Relations Department in Ohio and focuses on global trade.

    That is because Clinton, who has spent decades in the national limelight including as secretary of state from 2009-2013, could face attacks from many angles, especially in swing states like Ohio that could decide who wins the White House.

    If Clinton were to align herself with the labor unions – a position that would also put her in the same camp as conservative Tea Party Republicans – that are already trying to defeat TPA and TPP, she could win points in Ohio, Nevada and other states rich in organized labor votes.

    But at the same time, she would be distancing herself from some of the work she did when she was a top official in the Obama administration at the exact time Obama, her ex-boss, is traveling the country selling the free-trade deal.

    “One of her primary accomplishments as secretary of state was the so-called Asia pivot” that refocused U.S. diplomacy away from the Middle East and toward the Asian countries that are central to the TPP, Sracic noted.

    Conversely, if Clinton were to embrace the pact and campaign on it, she would put herself at odds with Democratic stalwarts such as former Ohio Governor Ted Strickland who is running for a Senate seat and Senator Sherrod Brown, also from Ohio, who opposes the fast-track legislation as drafted and is prodding Clinton to make her views known.

    CAUTIOUS RESPONSE SO FAR

    For the moment, Clinton’s response was noncommittal.

    In a statement on Friday, Clinton spokesman Nick Merrill said Clinton believes the United States “should be willing to walk away” from any trade measure that does not “protect American workers and create more good jobs at home” while also strengthening national security.

    Clinton, he said, “will be watching closely” to see how the final deal tackles currency manipulation, labor rights and other contentious issues.

    The AFL-CIO, the largest U.S. labor organization, is already working to stop the trade deal and is urging its members to sign a petition “and tell Congress to stop the fast-track bill; it’s undemocratic and bad for working families.”

    Meanwhile former Maryland Governor Martin O’Malley, who is considering challenging Clinton for the Democratic presidential nomination, on Friday laid down a marker when he blasted TPA and said, “Chasing cheaper labor abroad will not help us build a stronger economy here at home.”

    Labor was a power to be reckoned with when TPA was before Congress in late 2001. At the time, the House of Representatives voted 215-214 in favor of giving then-President George W. Bush fast-track negotiating authority. A mere 21 Democrats voted yes while 189 voted no.

    That is a stark result that Clinton likely will weigh when forming and explaining her position to voters.

    A senior House Democratic aide said Obama will “have to make a strong case” for TPA and TPP and “educate a lot of people” to win the day.

  11. মাসুদ করিম - ৩০ জুন ২০১৫ (৯:০৯ পূর্বাহ্ণ)

    The Islamic State Is a Formidable Threat

    Differences must not be allowed to hamper the fight against international terrorism.

    I believe the world’s biggest threat is coming from the growing Islamic State, formerly known as the Islamic State of Iraq and Syria, or ISIS.

    The Islamic State is a mixture of various movements, none of which was especially dangerous until recently. It is believed that Sunnite radicals from Iraq’s Sunni Triangle formed the core of the Islamic State. They were joined by the Baath officers, who created a number of secret organizations after the US invasion. This strengthened the combat ability of the Islamic State, although future relations with the former Baath members, whose world outlook does not always coincide with Islamic State ideology, are unclear.

    Islamic State’s rabid militant groups moved into Syria under religious banners, becoming the leading force in opposition to the Alawite government of Bashar Assad. They recruited new members in Syria, growing stronger and launching an offensive in Iraq, unexpectedly for many, where they seized control of a third of the country’s territory in a matter of days.

    The expansion and the victorious march of the Islamic State were largely a consequence of US policy, which included the intervention in Iraq, and the policy of the occupation authorities. The US intervention unleashed chaos, unbalanced Iraq and led to bloody clashes between two main Islamic branches, the Sunnis and Shias. Saddam Hussein’s government, which consisted mostly of the Sunni minority, was fighting the Shias long before the US intervention. But these clashes, sometimes very harsh, were never based on religious differences. At least there were no weekly explosions at mosques. The current bloody clashes between the Sunnis and Shias in Iraq have become especially bitter since the US initiated a policy of pushing Sunnis out of the Iraqi administration. This is when the center of gravity shifted toward religious differences, which even the advocates of US policy will be unable to deny.

    Worse still, the short-sighted (to say the least) US policy included the supply of weapons to the radical terrorists, who later turned their guns against the United States. One would argue that there was nothing wrong with the US occupation authorities spending handsome sums to arm the Sunni tribal defense units in an effort to oust al-Qaeda from the Sunni Triangle. However, they deceived the Sunnis by defaulting on their promise of high posts in the regular Iraqi army. To maintain its pro-Shia policy, Washington sided with former Prime Minister al-Maliki, who said that it would be inexpedient to give Sunnis officer positions in the Iraqi army.

    Actually, this dangerous situation calls for a cooperative response to the Islamic State from the international community, primarily the permanent UN Security Council members.

    An even more negative element was Washington’s all-out support for the armed opposition groups fighting the Bashar Assad’s government in Syria. The argument that the United States and its allies were arming, not the Islamic State but a more moderate group, the Free Syrian Army, holds no water. While giving wide-ranging support to the Syrian opposition, the United States could not and did not want to create a buffer between the Islamic State and other groups. Essentially, US policy is aimed at attaining its goals even when they contradict the goals of other countries and disregarding the consequences. The fruits of this logic can be seen in Afghanistan, where the United States backed the al-Qaeda terrorists and their war against the Soviet army.

    The destabilization in Iraq, which the IS has used to its advantage, was deepened by the removal from office and blacklisting of members of the Baath party, which was dissolved after Hussein’s death. The new Iraqi army and security services were created from scratch and proved totally ineffective, as evidenced by the panic and flight of the Iraqi army, which has ceded nearly all its positions to the IS militants, leaving behind military equipment, including armored personnel carriers, tanks, artillery guns and other systems, which had been supplied by the United States and its allies. IS militants gladly took possession of these weapons.

    Exactly why is the Islamic State so dangerous?

    First, the victorious IS advance is inspiring other extremist Islamic organizations, turning the IS into a global center for irreconcilable Islamic radicals.

    Second, IS military strength is growing fast, especially with new Islamic jihadist recruits from the Middle East, North Africa, Europe, America and Australia. Many members of the Free Syrian Army and Jabhat al-Nusra, which is affiliated with al- Qaeda, have joined the IS as the winning team. This is changing the balance of the forces that are fighting the Syrian government. According to the CIA, three months after the IS went public by seizing Iraq’s second largest city, Mosul, and other areas, the number of IS militants has grown threefold to over 30,000.

    Third, the IS has become financially self-sufficient by assuming control of Mosul oil producing and refining facilities. They sell oil to Turkish, Jordanian, Syrian and other black market operators who disregard Washington’s tough talk.

    Fourth, the IS concept of a caliphate incorporating all Muslim regions appeals to many. On the other hand, several Arab countries have joined the states that have declared a willingness to stand up against the IS. Therefore, the lineup of forces in the Arab world is far from simple or clear.

    The United States has started bombing IS positions in Iraq and then turned on Syria without agreement from Damascus. This is not only contrary to international law but is also breeding the fear that an attempt could be made to bomb the Syrian regime out without a UN Security Council mandate.

    In short, the situation is alarming and requires a cooperative response from the international community, primarily permanent Security Council members. No differences, including the Ukraine issue, should hinder the fight against international terrorism.

  12. মাসুদ করিম - ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ (৪:০৪ অপরাহ্ণ)

    ই–মেল ভুল: ক্ষমা চাইলেন হিলারি

    বিদেশ মন্ত্রকের কাজে ই–মেল করতে নিজের ব্যক্তিগত মেল–ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন বলে শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইলেন হিলারি ক্লিন্টন। বিরোধীরা ব্যাপারটা নিয়ে এমন হইচই শুরু করেছিল যে ক্ষতি হচ্ছিল প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারির প্রচারে। গণ ই–মেল করে সমর্থকদের কাছে হিলারি স্বীকার করেছেন, কাজটা একটু অবিবেচকের মতোই হয়েছিল। যদিও হিলারি এমন কিছু গর্হিত কাজ করেননি। সরকারি কাজে কেবল সুরক্ষিত দাপ্তরিক ই–মেলই ব্যবহার করতে হবে, অরক্ষিত নিজস্ব মেল নয়, এমন বিধিনিষেধ হিলারি বিদেশমন্ত্রী থাকার সময় ছিল না। মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের গোপন কোনও তথ্য ব্যক্তিগত মেলের আলগা সুরক্ষার ফাঁক গলে ফাঁস হয়ে গেছে, এমনও নয়। তবু এফ বি আই গোয়েন্দাদের হাতে মেল সার্ভার এবং নিজের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তুলে দিতে হয়েছে হিলারিকে। কিন্তু তার পরেও বিরোধীদের মুখ বন্ধ করা যায়নি। তার একটা কারণ, এফ বি আই সমস্ত মেল খতিয়ে দেখে, কিছু তথ্যকে চিহ্নিত করেছে, যা পরবর্তীতে গোপনীয় তালিকায় চলে গিয়েছিল। বিরোধীদের সমালোচনার মূল বক্তব্য স্বাভাবিকভাবেই একমুখী যে, যিনি জাতীয় তথ্যের গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ, তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার প্রয়োজন সম্পর্কে এত অসতর্ক, তিনি কী করে দেশের সর্বোচ্চ পদে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন! ফলে হিলারি ক্লিন্টন অন্তত নিজের ঘর সামলানোর চেষ্টা করলেন। ভোটারদের বোঝালেন, ভুলটা তাঁরই। অবশ্য সরকারের দেওয়া ব্ল্যাকবেরি ফোনে যে একটির বেশি ই–মেল ব্যবহার করা যায় না, নিজের রোজকার কর্মসূচি চেয়ে নেওয়ার মতো মামুলি কাজেই যে নিজের দপ্তরকে মেল করতেন, এমন আরও কিছু যুক্তি ছিল হিলারির স্বপক্ষে। কিন্তু সে সব তরজায় না গিয়ে সোজাসাপ্টা ক্ষমা চেয়ে যাবতীয় বিতর্কে জল ঢালতে চাইছেন হিলারি রডহ্যাম ক্নিন্টন, আগামী বছরের ভোটে জিতলে যিনি হবেন আমেরিকার প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট।

  13. মাসুদ করিম - ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ (৭:৩২ অপরাহ্ণ)

    Cherie Blair lobbied Hillary Clinton on behalf of Qatari royal family

    Cherie Blair, wife of former Prime Minister Tony Blair, helped arrange private meetings between members of the Qatari royal family and Hilary Clinton while she served as US Secretary of State.

    Blair contacted Clinton on behalf of several members of the Qatari royal family in 2009 and 2010, according to emails released from Clinton’s personal email account.

    The prominent British lawyer tried to broker a deal to clean up the 2010 Deepwater Horizon oil spill in the Gulf of Mexico and said the royal family wanted to promote US-Qatari cooperation.

    While the emails show no wrongdoing between the two women, they demonstrate the lengths to which Blair went to promote her Qatari friends in the US.

    At this point, Tony Blair was Envoy to the Middle East Quartet tasked with restarting the stalled peace process between Israel and Palestine.

    Blair’s emails suggest she had a close relationship with the Qatari royal family at the time, one of the most conservative ruling families in the region.

    Blair helped broker a meeting between then Secretary of State Clinton and the Crown Prince of Qatar in June 2010.

    She told Clinton that Prince Tamim Bin Hamad Bin Khalifa Al-Thani wished to discuss food security and stronger ties with the US. Blair also said the prince suggested they could help with the “oil spill problem,” referring to the 2010 BP Deepwater Horizon disaster.

    “Sheikha Mosah’s son is the Crown Prince and she is keen that he starts to build a wider international profile,” Blair wrote.

    Tamim, who is now Emir of Qatar following his father’s abdication, had been appointed to lead a government program researching Qatar’s food security.

    He “would love to meet with you in person to discuss this,” Blair said. “He is keen to talk more generally about US/Qatari co-operation and even suggested they could help out with the oil spill problem.”

    When Clinton agreed to meet the Crown Prince, Blair asked for “a telephone number the Qatar Crown Prince can ring you on … Alternatively I can get his personal phone number for you.” Clinton called Tamim on July 7 that year, according to her schedule.

    Blair first reached out to Clinton in 2009, when she began a series of emails urging the Secretary of State to meet with one of Qatar’s most powerful women, Sheikha Mozah, the second wife of the then Emir.

    “Sheika Mozah has approached me privately saying they are keen to get their relationship with the USA on a more positive footing and she was hoping for a ‘woman to woman’ private meeting with you. She is happy to come to Washington if you could make some time available,” Blair wrote.

    Clinton replied, nine days later: “Cherie – So sorry I’ve been slow in responding but I’m very interested in talking.”

    The two discussed a suitable date to meet, and Clinton eventually agreed to “follow up.”

    Blair responded enthusiastically: “Great. All the best to you it’s fantastic to see you doing so well and when I see what a difference you are making it reminds me why politics is too important to be left to the bad people.”

    Sheikha Mozah met Clinton in September 2010, after which Clinton emailed Blair to apologize for missing her during a European trip.

    Blair’s office said she had a relationship with Mozah for “a number of years,” as they both share an interest in disability issues.

    “As the email also makes clear, she was merely acting as a conduit – on a woman to woman basis – between Sheikha Mozah and Hillary Clinton,” the office adds.

    The e-mails have been released from Clinton’s personal account as part of an ongoing investigation by the Department of Justice. Clinton has come under fire for not using a secure government email system during her tenure as Secretary of State.

    Under a court order, batches of Clinton’s emails have been published monthly since May. To date, she has turned over some 55,000 pages of emails to the State Department, which is currently reviewing and releasing them. The largest batch was released on September 2.

  14. মাসুদ করিম - ৮ ডিসেম্বর ২০১৫ (১২:০৭ পূর্বাহ্ণ)

    What’s in a Name?

    On February 25, 1994, Baruch Goldstein entered the Ibrahimi Mosque, also known as the Cave of the Patriarchs, during dawn prayers and murdered twenty-nine Palestinians. He derived justification for this violence in the way he read sacred Jewish texts. Goldstein was a radical Jewish terrorist. So was Yigal Amir, the man who murdered Israeli Prime Minister Yitzhak Rabin in 1995 based on a particular interpretation of a concept found in the Babylonian Talmud that allows for the murder of someone who puts Jewish lives in danger. That Goldstein and Amir were violent Jewish extremists seems so obvious that it is hardly worth the eighty-something words that I have spent on it. However, when it comes to Muslims and terrorism, naming names seems enormously complicated. Why? I am not sure. It does not seem as problematic as some Muslims and analysts suggests. That said, it is also unclear what purpose stating an event or an organization as “radical Islamic terrorism” serves.

    I am not a scholar of religion, but I am fairly certain I am on solid ground when I say that Abu Bakr al-Baghdadi, Ayman al-Zawahiri, Anwar al-Awlaki, Abdelhamid Abaaoud, Syed Rizwan Farook, and Tafsheen Malik are radical Islamist terrorists. They all seek justification for their violence in the selective interpretations of the Quran and the Islamic tradition—including the sunna, the hadith, and the scholarly works of Islamic thinkers across history. They have all declared war on the West. Although he has a doctorate in Islamic studies from the Saddam University for Islamic Studies, I am told that the self-declared caliph’s interpretations of Islam are not learned. That may very well be so, but al-Baghdadi’s lack of sophistication is not sufficient criteria to render the so-called Islamic State “un-Islamic” or “not Islam.” It thus seems clear that the United States is fighting people who are violent Islamist extremists. There is an important distinction to be made between “Islamic” and “Islamist.” The former is an adjective describing something directly related to Islam, a religion. It is also a civilization, which is where we get something called “Islamic art,” for example. The term “Islamist,” however, is related to a particular political style and worldview, one that is authoritarian and moralizing. Some Islamists are not violent; others are very much so. To term something “radical Islamic violence” condemns a religion and leaves one with the erroneous impression that the competing modern interpretations of Islam that specifically refute violent Islamism’s worldview do not exist.

    Critics of the Obama administration have consistently demanded that the president take a stand and declare that the United States is fighting “radical Islamic terrorism” (“violent Islamic extremism” is another variant of this phrase that is often repeated) because “we must understand exactly who we are fighting.” As odd as it is to me that people go to some logically contorted length to deny the “Islam-ness” of the Islamic State, the demand that President Obama utter the words “violent Islamic extremism” also seems utterly strange.

    Let’s play a thought experiment: Imagine that last night, in his Oval Office address, Obama said, “My fellow Americans, let me be clear: We are at war with radical Islamic terrorism. I know this is uncomfortable for some, but unless we understand who we are fighting, we cannot defeat them.” How exactly would that change the struggle in which we now find ourselves? How would it make the war any easier? I suppose that those who insist the president say “radical Islamic terrorism” and “violent Islamic extremism” would argue that a clear and clarion call concerning the identity of our enemies would galvanize the West to take up the fight and make the sacrifices necessary to march armies on Raqqa. If that is the case, I remain unconvinced. We already know that the dark visions of these extremist groups are inconsistent with the values to which we aspire. Syria remains an extraordinarily complicated military undertaking, whether or not we label the Islamic State as “radical Islam” or “violent extremism.” Most Americans are fearful of radical Islamic terrorism, but seem unwilling to make a significant military commitment to the Middle East again. In addition, calling the Islamic State a violent Islamic extremist group seems to me to a meaningless gesture. Radical Islamic terrorists have groups that go by specific names. What is wrong with saying “we are fighting the Islamic State”? Or declaring that “the enemy is al-Qaeda”?

    I have a few friends who will no doubt argue that the real reason Obama and the contenders for the Democratic presidential nomination will not say “radical Islamic terrorism” is because to do so would be politically incorrect. At the risk of doing politics as opposed to policy for the moment, I am willing to guess that political correctness is part of the reason some politicians have been so reluctant to use the phrase. At the same time, given the stomach-turning Islamophobia that has become a feature of mainstream American politics, it is probably prudent not to abet a divisive discourse that pits citizens against each other. In addition, I can understand the concern among many Muslims that Islam, their faith—which is a crucial part of their identity—with all its complexities, is being reduced to violence. Christian, Muslim, and Jewish texts can be interpreted to justify violence, but that does not mean that they are inherently violent religions.

    It strikes me that saying “violent Islamic extremism” will make some of us feel good, but it will not likely make a difference in the fight. In March 1983, Ronald Reagan called the Soviet Union an “evil empire.” I am sure it warmed the hearts of the coldest of Cold Warriors, who no doubt saw it as a moment of clarity after the squishy era of détente. Despite what Reaganites may believe, his words did not alter the global struggle between the two superpowers in some fundamental way nor did they hasten the Soviet demise. If politicians want to go ahead and say “radical Islamic terrorism,” I guess they can. But once they do, besides saying they are going to “defeat radical Islamic terrorism,” what are they going to do to about the Islamic State, al-Qaeda, al-Qaeda in the Islamic Magreb, al-Qaeda in the Arabian Peninsula, al-Mourabitoun in Mali, Boko Haram in Nigeria, and al-Shabab in Somalia?

  15. মাসুদ করিম - ১৯ মে ২০১৬ (৮:৪০ অপরাহ্ণ)

    হিলারি ক্লিনটন হবেন আমেরিকার রকস্টার প্রেসিডেন্ট, এবং তিনি অনেক সিদ্ধান্তগ্রহণ তুড়ির দ্রুততায় নিজের দিকে আনার দক্ষতা দেখাবেন উন্মাদের মতো, তারপাশে আরো দুটো প্রক্ষেপ ভেবে নিন — একজন মমতা ও আরেকজন সুকি, একজন ২৫ ভাগ মুসলিম ভোটের জন্য আল্লামামুফতিইমামদের কব্জায় পুরোপুরি তখন হবেন পর্যবসিত আরেকজন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে হবেন চূড়ান্ত নাস্তানাবুদ, এদুজনকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে নিজের মন্ত্রে চালিত করতে চাইবেন হিলারি — একবার ভাবুন তখনও যদি একই দুর্বলতা থেকে যায় আমাদের সাতক্ষীরা রামুতে, বুঝতে পারছেন কত দাপটে তখন খেলবেন হিলারি?

    মমতা সুকি তো চলেই এল এবার হিলারির পালা, কিন্তু আমাদের খবর কী?

  16. মাসুদ করিম - ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ (৪:৫২ অপরাহ্ণ)

    হিলারির দিকে তাকিয়ে খালেদা-মমতা

    আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই নির্বাচনের দিকেই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া, তাঁর দোসর জামায়াত এবং এপার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক মহলের ধারণা, দুই বাংলার দুই নেত্রী যা চাইবেন, তা-ই উপুড়হস্ত হয়ে দেবেন হিলারি ক্লিনটন। ওবামা মন্ত্রিসভার বিদেশমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি ছুটে এসেছিলেন ঢাকা ও কলকাতায়। কলকাতায় বঙ্গেশ্বরীর সঙ্গে একান্তে ঘণ্টা দুয়েক আলোচনা করেছিলেন।

    পরে তাঁর দলের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, হিলারি মমতাকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেছেন, “মার্কিনিরা গত শতকের আটের দশকের গোড়ায় গর্ভাচভের সাহায্যে রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপ থেকে কম্যুনিস্টদের মুছে দিয়েছে। আর আপনি পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩৪ বছরের ‘জগদ্দল পাথর’ সরিয়ে দিয়েছেন।”

    মমতা নাকি হাসতে হাসতে বলেছিলেন, “আপনাদের সাহায্যেই এটা সম্ভব হয়েছে।”

    ৯/১১ ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জুনিয়র বুশ ঘোষণা করেছিলেন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বা ‘ওয়ার অন টেরর’। গোটা বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতারা সেদিন ওয়াশিংটনে ছুটে গিয়েছিলেন। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটনে গিয়ে বলেছিলেন, “আমরাও এই যুদ্ধের শরিক।”

    ইসলামাবাদ থেকে গিয়েছিলেন জেনারেল পারভেজ মুশারফ। তিনিও এই যুদ্ধের সমর্থনে ছিলেন। তার কিছুদিনের মধ্যেই ঘটে যায় মুম্বাইয়ের ২৬/১১ বিস্ফোরণ। সন্ত্রাসের ঘটনার কোনো বিরাম ভারত বা বাংলাদেশ কোথাও নেই। সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে আমেরিকাই। বিন লাদেনকে তারা একদা তোল্লাই দিয়েছিল। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার লাদেনকে আমেরিকাই সন্ত্রাসবাদী বানায়।

    একুশ শতকে আমেরিকা, বাংলাদেশ থেকে শুরু করে ভারত– সর্বত্রই সন্ত্রাসবাদীদের দাপট বাড়ছে বৈ কমছে না। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী হাফিজ সঈদদের মদদ দিচ্ছেই-বা কারা? ভারতের কাশ্মীরসহ একের পর এক ঘটনা যখন তীব্র থেকে তীব্র হচ্ছে, ইরাক, সিরিয়ার ঘটনা গোটা বিশ্বকে বিচলিত করে রেখেছে।

    ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে মমতার আমলেই। তিন বছর আগে বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণে বহু লোক মারা যায়। ভারত সরকারের গোয়েন্দারা যৌথভাবে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের সঙ্গে তদন্ত করে দেখেছেন, বিষয়টি নেহাত ছোট নয়। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদেরই একটি অঙ্গ। আর সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বাচ্ছা ছেলেরা কালিপূজোর পটকা বানাচ্ছিল!

    বিষয়টি তিনি সেদিন হালকা করে দেখার ফল যা ঘটার, তা-ই ঘটছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর কলকাতা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে ডায়মন্ড হারবারে একটি অস্ত্র তৈরির কারখানা উদ্ধার হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা খবর দেওয়ার পরে। তা নিয়ে তৃণমূল সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।

    ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করছে, এই কারখানার খবর তিন সপ্তাহ আগে তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন। তাঁরা আরও বলেছেন, এখানে তৈরি অস্ত্রশস্ত্রই যেত বাংলাদেশে জামায়াতদের হাতে। কদিন আগেই মালদহের সীমান্তে এই ধরনের বেশ কয়েকটি কারখানার খোঁজ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিককালের ঘটনাবলীর নিন্দা গোটা দুনিয়া যখন করেছে, তখন পশ্চিবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী টুঁ শব্দটিও করেননি।

    এবার একটু ইতিহাস খুঁজে দেখা যাক। বিগত শতকের ৯৮-৯৯ সালে কেন্দ্রের জোট সরকারের শরিক হিসেবে কংগ্রেস ছেড়ে মমতা মন্ত্রী হন।

    ভারতের গোয়েন্দা দপ্তর এবং বাংলাদেশের গোয়েন্দা দপ্তরের পুরনো ফাইল খুঁজে দেখলেই এমন সব তথ্য প্রকাশ্যে এসে যাবে, যাতে রহস্য উদ্‌ঘাটন হওয়া খুবই স্বাভাবিক। ২০০১ সালে জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায়, তখন ঢাকায় সম্ভবত সিআইএর দায়িত্বে ছিলেন ন্যান্সি পাওয়েল। এই মহিলা ছিলেন হিলারির খুব ঘনিষ্ঠ। ঢাকা থেকে কলকাতায় আসেন মার্কিন কনসাল জেনারেল হয়ে। প্রথমবার মমতা নির্বাচনে জেতার পর ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত করে কিছুদিনের জন্য তাঁকে দিল্লিতে পাঠানো হয়। ২০০২ সালে জামায়াত-বিএনপি এবং মমতার মধ্যে সেতুবন্ধন করেন এই ন্যান্সি পাওয়েলই। কিন্তু কীভাবে?

    সে সময় কলকাতায় বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ছিলেন একজন জামায়াত নেতা। ৯ নম্বর সার্কাস এভিন্যুতে কনসাল জেনারেলের অফিসে ছুটির দিনে এক গোপন বৈঠক হয়। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা যায়, সেখানে ন্যান্সি পাওয়েল বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ থেকে আপনাকে কম্যুনিস্টদের সরাতে হবে।’ ঢাকা থেকে কয়েকজন জামায়াত নেতাকেও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন পাওয়েল। সেদিন মমতাকে বলা হয়েছিল, যত টাকা লাগে তারা সরবরাহ করবেন। মমতাকে দেওয়ার জন্য ট্রাংকে করে ১৬ কোটি টাকাও তাঁরা নিয়ে এসেছিলেন।

    সে সময় থেকেই ঠিক হয়, জামায়াতের কিছু লোক পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেবে এবং তার জন্য যত টাকা লাগে সেটা জামায়াত সরবরাহ করবে। সেই ট্র্যাডিশন এখনও চলে আসছে। বরং এখন তা আরও বেড়েছে। কারণ, মমতা সেদিন ছিলেন বিরোধী নেত্রী, আর এখন তিনি রাজ্যের প্রধান।

    উপরোক্ত ঘটনাটি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে থেকে পাওয়া। বস্তুত ওই জামায়াত নেতাদের প্রেপ্তার করার জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা কনসাল জেনারেলের দপ্তরের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। বাইরে পুলিশ আসার খবর পেয়ে সেদিন পিছনের দরজা খুলে দেওয়া হয়। সেই পিছনের দরজা দিয়েই ওই টাকা উধাও হয়ে গিয়েছিল। খোঁজ মেলেনি ওই জামায়াত নেতাদেরও।

    এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট খালেদা সরকারকে জানানো হয়েছিল। তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। পরে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ওই কনসালকে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে রেখেছিলেন। অবসরের কিছু আগে তাকে দুমাসের জন্য নেপালে পাঠিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে ন্যান্সি পাওয়েলও ঢাকা থেকে কলকাতায় বদলি হয়ে আসেন।

    কিন্তু ইদানিং যা ঘটছে তা আরও মারাত্মক। মমতা ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই শত শত জামায়াতপন্থী, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগণা এবং কলকাতার খিদিরপুর, পার্ক শার্কাস, রাজাবাজার এবং বন্দর এলাকায় এসে জড়ো হয়েছে। তারা আছে তৃণমূল সরকারের আশ্রয়েই। ঢাকা এবং দিল্লির দুই সরকারই জানে কে কীভাবে কোথায় আছে। আর মমতা সরকারের পুলিশ তাদের শুধু নিরাপত্তাই দিচ্ছে না, উল্টো তাদের থেকে টাকা-পয়সাও নিচ্ছে। ইউপিএ আমল থেতেই দিল্লির গোয়েন্দারা বার বার পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনকে বলেছে আত্মগোপন করে থাকা জামায়াত নেতাদের বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে। কিন্তু প্রত্যেকবারই তাঁরা প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন।

    প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সব জেনেও নরেন্দ্র মোদি কেন মমতা বন্দ্যোপাথ্যায়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন না। পশ্চিমবঙ্গ যে জামায়াতদের ‘দ্বিতীয় ঘর’ হয়ে উঠেছে তা স্বয়ং মোদির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তিন-চারটি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা খুব ভালো করেই জানে। কিন্তু তাদের কেন বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়েই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন কূটনীতিক এবং সেনাকর্তারা। হতাশ হয়ে পড়ছেন রাজ্যের বিজেপি নেতারাও।

    তারা জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী বসিরহাট অঞ্চলে অর্ধেকের বেশি লোক এখন জামায়াত বা জামায়াতের আশ্রয়দাতা। এদের অনেকেই ভারতের নাগরিকত্বত্ত নিয়ে নিয়েছে। যেখান যেখানে জামায়াতের আস্তানা হয়েছে, সেখানে তারা বাড়ি কিনছে, ফ্ল্যাট কিনছে এবং গোপনে সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণও দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সবই জানে। কিন্তু জামায়াতদের ফেরত দেওয়ার কথা উঠলেই তারা বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কোনো অর্ডার নেই।’ তারা বিনামূল্যে এই সমাজসেবা করছেন না। জামায়াতের থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়েই এ কাজ করে চলেছেন। কিন্তু এই টাকা আসছে কোথা থেকে?

    একটি ঘটনা এখানে উল্লেখ করছি। বছর খানেক আগে বসিরহাট খোজাডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফেরর হাতে কজন নেতা ৪৫ কিলোগ্রাম সোনাসহ ধরা পড়ে। তার তিন দিন পরে চোরাচালানকারী জামায়াতিদের যখন আদালতে তোলা হয়, সে সময় পুলিশ আদালতে জানায়, ওসব সোনা নয়, তামা ছিল। তাহলে ধরার সময় কেন সোনা দেখানো হয়েছিল? কোথায় উধাও হয়ে গেল সেই সোনা? এ ধরনের ঘটনার পেছনে কে বা কারা কলকাঠি নাড়েন?

    বসিরহাটের বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য রাখঢাক না করে সরাসরি বলেন, ‘বসিরহাটের অর্ধেক মানুষই জামায়াতপন্থী।’ তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমাদের কিছুই করার নেই। সবই ভোট ব্যাংকের রাজনীতি।’

    মমতা ক্ষমতায় এসেই ইমাম ভাতা ঘোষণা করেছিলেন। পরে আদালতে মামলা হওয়ায় বিষয়টি এখনও ঝুলে রয়েছে। সব ব্যাপারেই দ্বিচারিতা করছেন মমতা! একদিকে বাঙালি মুসলমানদের বলছেন, ‘আপনারা বামফ্রন্টকে শেষ করে দিন। আমি আপনাদের নিরাপত্তা দেব’– বাস্তবে তিনি নিরাপত্তা দিচ্ছেন জামায়াত আর রাজাকারদের। এরাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে ৩০ লক্ষ বঙ্গভাষীকে হত্যা করেছিল। মমতা হয়তো সে সবের খবরও রাখেন না!

    এদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, খাগড়াগড় কাণ্ডের দুই মূল চক্রী পশ্চিমবঙ্গেরই বাসিন্দা। খাগড়াগড়ের ঘটনার ৯ বছর আগে সীমান্ত পেরিয়ে তারা বাংলাদেশে ঢুকে ধারাবাহিক নাশকতা ঘটিয়েছিল। খাগড়াগড় কাণ্ডের এই দুই চক্রীকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, বর্ধমানের কৃষ্ণবাটী গ্রামের ইউসুফ গাজি এবং মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের লাল মহম্মদ ওরফে ইব্রাহিমই ২০০৫ সালে বাংলাদেশ কাঁপিয়ে দেওয়া ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। আর খাগড়াগড় কাণ্ডের আরেক চক্রী বাংলাদেশের নাগরিক কাওসর ওরফে বোমা মিজানই তাদের সঙ্গে করে চোরাপথে সীমান্ত পার হয়।

    খাগড়াগড় বিস্ফোরণের দিনই জানা যায় এই কাওসরের নাম। উল্লেখ্য, কাওসর, ইউসুফ গাজিসহ ৫-৬ জন চক্রী এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। তাদের গোপন আস্তানার খবর পেতে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) বহু পুরনো এক সদস্যকে সম্প্রতি জেরা করেছেন গোয়েন্দারা। মুর্শিদাবাদের এই ব্যক্তির আর জঙ্গি-সংস্রব নেই বলেই ধারণা গোয়েন্দাদের। ২০০৭ সালে সন্দেহজনক কাজকর্মের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে। জেএমবির এ রাজ্যে তৎপরতা সম্পর্কে এমনই প্রথম জানা যায়। পরে তার বয়ান সমর্থন করে লাল মহম্মদও।

    জামায়াত-বিএনপি সন্ত্রাসবাদীরা পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় নাগরিক হওয়ার যাবতীয় পরিচয়পত্র পেয়ে যাচ্ছে। কী করে তারা এগুলো পাচ্ছে তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞারা। শুধু কি টাকা বা ভোট ব্যাংক? নাকি এর পেছনে আরও বড় কিছু আছে? বিভিন্ন মহল থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    শুরুতেই বলা হয়েছে মমতা, খালেদা এবং জামায়াতের সুসম্পর্কের ব্যাপারে। আরেকটি ঘটনা এখানে উল্লেখ করা দরকার। ২০১২ সালে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং একগুচ্ছ প্রস্তাব নিয়ে ঢাকায় শেখ হাসিনার সঙ্গে চুক্তি করতে গিয়েছিলেন। তাঁর কর্মসূচির মধ্যে ছিল দীর্ঘদিনের বকেয়া ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি এবং তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি। মনমোহন ঢাকা যাওয়ার আগে দিল্লি থেকে প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেমন, প্রাক্তন বিদেশ সচিব এবং কেন্দ্রের সেচ সচিব কলকাতায় ছুটে এসে তিস্তা চুক্তির বিষয়বস্তু নিয়ে মমতাকে বোঝান।

    মনমোহন সিং তাঁকে ফোন করে বলেন, উত্তরপূর্বের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা তাঁর সঙ্গে ঢাকা যাচ্ছেন। মমতাও যেন যান। চুক্তির খসড়াও দেওয়া হয় মমতাকে। কিন্তু মমতা রাজি না হয়ে শেষ পর্যন্ত ঢাকা যাননি।

    মমতা কেন মনমোহনের সঙ্গে গেলেন না, কেনই-বা তিস্তা চুক্তিতে বাগড়া দিলেন, সে ব্যাপারে দেশের গোয়েন্দারা যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন তা হল, খালেদা তৃণমূলের দুজন সাংসদের মাধ্যমে খবর পাঠিয়েছিলেন যে, তিনি ক্ষমতায় এলে তাঁর সঙ্গেই যেন চুক্তি করেন মমতা, যা ভারতীয় আইনের বিরোধী।

    মনমোহন সিং ফিরে আসার পর একাধিক টিভি চ্যানেলে তাঁর সফর নিয়ে আলোচনা হয়। সে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন মমতার মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী নেতা ফিরহাদ হাকিম। তাঁকে প্রশ্ন করা হয় তিস্তা চুক্তিতে কেন বাধা দিলেন? উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশের নির্বাচনে (২০১৪) হাসিনাকে জেতানোর জন্য কি তিস্তা চুক্তি করব? আর তা দেখিয়ে তিনি ভোট পাবেন? আমরা তা কিছুতেই হতে দেব না।”

    দু-চার দিনের মাথায় অন্য একটি চ্যানেলে একই বিষয়ে আলোচনায় ফিরহাদ হাকিমও ছিলেন, আমিও ছিলাম। কথা প্রসঙ্গে, আমি জিজ্ঞেস করলাম, “তিস্তার পানি চুক্তি হলে হাসিনা জিতে আসবে। তাহলে আপনারা বাংলাদেশে কাকে জেতাতে চান। আপনারা কার পক্ষে?”

    এতেই স্পষ্ট হয়ে যায় মমতা ও খালেদার মধ্যে আসল সম্পর্কটি।

    বিজেপি এবং মমতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রমাণ হল, পরবর্তীকালে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার সীমান্ত চুক্তির সময় বাংলাদেশে সদলবল হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বাংলাদেশ থেকে মন্ত্রী, সংসদ বা ভিআইপিরা কলকাতায় এলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা এলেই মমতা বলেন, “আমাদের ইলিশ মাছ দিন।”

    তাঁরা যখন উল্টো তিস্তার জলচুক্তির কথা বলেন, তখন স্পিকটি-নট হয়ে যান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

    ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহল মনে করেন, মমতা হয়তো সেদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন, যতদিন না খালেদা জিয়া নতুন করে ক্ষমতায় আসেন।

  17. মাসুদ করিম - ৬ নভেম্বর ২০১৬ (১১:৪১ পূর্বাহ্ণ)

  18. মাসুদ করিম - ৯ নভেম্বর ২০১৬ (৬:০২ অপরাহ্ণ)

    হিলারি আসতে পারলেন না।

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.