গত কয়েকমাস ধরে কিছু মানুষের সাথে আলাপ করে একরকম হতাশাবোধ করছি[..]

গত কয়েকমাস ধরে কিছু মানুষের সাথে আলাপ করে একরকম হতাশাবোধ করছি। এদেশের অন্ততঃ অর্ধেক মানুষ আওয়ামীলীগের কট্টর বিরোধী এবং বিএনপির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমর্থক। কাউকে ছোট করার জন্য বলা নয়, আমার ধারনা বিএনপি সমর্থক মাত্রই খানিকটা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। জামাতের সাথে বিএনপির জোট হবার পর থেকেই এরা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে চিন্তিত মাত্রার উদাসীন। এই উদাসীন মানবগোষ্ঠীর অধিকাংশ জামাতের ঘৃণিত যুদ্ধাপরাধ নিয়ে মোটেও বিচলিত নয়। কারণ খালেদা জিয়ার অভিধানে যুদ্ধাপরাধ শব্দটি নেই। তাই এরাও এদের অভিধান থেকে মুছে দিয়েছে। কেবল আওয়ামী বিরোধীতার কারণে এরা নিজেদের রেখেছে ঘৃনিত যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থক কাতারে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকে কিছু সংখ্যক মানুষ ভারতের ষড়যন্ত্র মনে করতো। দেশকে কেটে ভাগ করার ষড়যন্ত্র মনে করতো। পাকিস্তানীরা সেই মানুষগুলোকেও যখন কচুকাটা করতে বাদ রাখলো না, তখন বুঝেছিল পাকিস্তানী হানাদার কখনো সভ্য মানুষের বন্ধু হতে পারে না। এই মানুষগুলোর জন্যও কি সেরকম ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে?

তোর তো সাহস বেশি, তুই রাজাকার ন, তুই বেডা জামাত![...]

স্থান : চট্টগ্রামের মহানগর বিএনপি অফিসের ঠিক উল্টা দিকে। রিকশা টেক্সির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে কিছু লোক ও কিছু রিক্সা। কাল : ২৯ রোজা ২০১০, দুপুর, একেবারেই কড়া দুপুর, জোহরের নামাজের ঠিক পরপর। পাত্র : একজন রিক্সাওয়ালা (*) বড় খোঁচা খোঁচা দাড়ি, রিক্সাওয়ালার সাথে ভাড়া নিয়ে দরাদরি করছে (**) সাদা চাপদাড়িওয়ালা একজন ছোটো দোকানি। ** গোলপাহাড়ের মোড়ে যাবি? * ২৫ টাকা। ** তুই বেডা রাজাকার! তোর রাজাকারের চেহারা, তোর ইনসাফ নাই, গোলপাহাড়ের মোড় এখান থেকে এখানে, ২৫ টাকা! * দেশে কার ইনসাফ আছে? কারো ইনসাফ নাই। দেশে শুধু ফাঁসির গল্প, ফাঁসির ধান্দা। ** তোর তো সাহস বেশি, তুই রাজাকার ন, তুই বেডা জামাত! * হাসিনার… রিক্সাওয়ালা এপর্যায়ে হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে কয়েকটা অশ্রাব্য গালি চার্জ করে বসে। ** তোর সাহস রাজাকার জামাতের তুনও বেশি, তুই বেডা বিএনপি! * বিএনপিই তো, বিএনপি অইলে কি অইছে! এপর্যায়ে সবাই রিক্সাওয়ালাটাকে সামনে থেকে সরে যেতে বলে, রোজা রমজানের দিন মারামারি করা ঠিক হবে না – এই তাদের মতামত। রিক্সাওয়ালা ওইখান থেকে সরে সামনে চলে যায়।

দুইজন যুদ্ধাপরাধীর পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল গত ১৬ আগস্ট। এ চ্যালেঞ্জের মীমাংসা হাইকোর্টে কীভাবে হতো, তা আমাদের আপাতত অজানাই রয়ে গেল রিট আবেদনটি প্রত্যাহার করে নেয়াতে। এটি স্পষ্ট যে বিপত্তি ঘটতে পারে বলেই তারা একটি অজুহাত দাঁড় করিয়ে পিছিয়ে গেছেন এবং সুবিধাজনক সময়ে এরপর আবারও কোনও একদিন কোনও এক বেঞ্চে এই রিট আবেদন আবারও তোলা হবে। কি জামায়াতে ইসলামী, কি বিএনপি,- মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার নিয়ে অপপ্রচারে কেউই পিছিয়ে নেই। কিন্তু আইনি যুদ্ধ ঘোষণা করে সেখান থেকে তাদের এই পিছিয়ে আসার মানে, সত্যিকার অর্থে তাদের ওই চ্যালেঞ্জের কোনও অর্থ নেই, কোনও যৌক্তিকতাও নেই।

দুইজন যুদ্ধাপরাধীর পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল গত ১৬ আগস্ট। এ চ্যালেঞ্জের মীমাংসা হাইকোর্টে কীভাবে হতো, তা আমাদের আপাতত অজানাই রয়ে গেল রিট আবেদনটি প্রত্যাহার করে নেয়াতে। ২২ আগস্ট সকাল বেলা দুই দিনের শুনানির পর হঠাৎ করেই ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক, যাকে না কি জামায়াতে ইসলামী তাদের এই আইনি যুদ্ধের প্রধান প্রতিরক্ষা কাউন্সেল নিয়োগ করেছেন, তিনি আবেদন করে বসলেন রিট আবেদনটি ফেরৎ নিতে। এ পর্যায়ে বিচারপতি আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞা ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিটটি উঠানো হয়নি বিবেচনায় খারিজ করে দেন। আবদুর রাজ্জাক অবশ্য সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছেন, রুল জারি করার বিষয়ে সন্তুষ্ট না হওয়ায় রিটটি ফেরৎ নেয়ার জন্যে আদালতে আবেদন করা হয়। রিপোর্টারদের সামনে আবদুর রাজ্জাক যাই বলুন, এটি স্পষ্ট যে বিপত্তি ঘটতে পারে বলেই তারা একটি অজুহাত দাঁড় করিয়ে পিছিয়ে গেছেন এবং সুবিধাজনক সময়ে এরপর আবারও কোনও একদিন কোনও এক বেঞ্চে এই রিট আবেদন আবারও তোলা হবে। কি জামায়াতে ইসলামী, কি বিএনপি,- মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার নিয়ে অপপ্রচারে এসব দলের কোনওটিই পিছিয়ে নেই। কিন্তু আইনি যুদ্ধ ঘোষণা করে সেখান থেকে যুদ্ধাপরাধী চক্রের এই পিছিয়ে আসার মানে, সত্যিকার অর্থে তাদের ওই চ্যালেঞ্জের কোনও অর্থ নেই, কোনও যৌক্তিকতাও নেই। কিন্তু তারপরও তারা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার পণ করে বসে আছে, কেননা তাদের প্রকৃত লক্ষ্য পাকিস্তান রাষ্ট্রটির আদলে বাংলাদেশকে দাড় করিয়ে রাখা, আর ওই কাজে তাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা যুদ্ধাপরাধীরাই। অথচ পাকিস্তানের মতো হয়ে কোনও রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না, বিকশিত হতে পারে না, জনগণের মঙ্গল করতে পারে না- পাকিস্তান নামের রাষ্ট্রটিই যার সবচেয়ে বড় সাক্ষী। আইনী তৎপরতার পাশাপাশি তারা তাই খুলে বসেছে অসংখ্য অপপ্রচারের দোকান। এই অপপ্রচারের একটি সামান্য উদাহরণ হল, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বিচার থেকে যুদ্ধাপরাধ বিচারকে আলাদা করে দেখা, একটিকে আরেকটির বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর আপ্রাণ অপচেষ্টা। এই কথাটা যে কোনও আইন-বিশেষজ্ঞই জানেন এবং বোঝেন, যুদ্ধাপরাধ অথবা যুদ্ধাপরাধীর বিচার কথাটি ব্যবহার করে যুদ্ধাপরাধ বিচারের ব্যাপকতাকে পুরোপুরি ধারণ করা সম্ভব নয়। ওই ব্যাপকতা ধারণ করার জন্যে তাই ব্যবহার করা হয় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রত্যয়টিকে। কিন্তু মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ যেহেতু যুদ্ধাপরাধীরাই করে থাকেন, সে কারণে সাধারণভাবে…

গত ১৫ই আগস্ট ছিল বিএনপি সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন, ১৯৭৫ সালের একই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সপরিবারে একদল সামরিক কর্মকর্তার আক্রমণে নিহত হন[..]

গত ১৫ই আগস্ট ছিল বিএনপি সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন, ১৯৭৫ সালের একই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সপরিবারে একদল সামরিক কর্মকর্তার আক্রমণে নিহত হন। জন্ম মৃত্যুর উপর আমাদের কারো নিয়ন্ত্রণ নেই, বিখ্যাত কারো মৃত্যুবার্ষিকীতে আমার জন্মদিন হলে আমি জন্মদিন উদযাপন করতে পারবো না এমন কোন কথা নেই। কিন্তু উদযাপনের ব্যাপারটা যখন সারা দিন ব্যাপী গোটা পাঁচেক কেক কেটে করা হয় তখনই ব্যাপারটা চোখে লাগে। Wikipediaতে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, খালেদা জিয়া জন্ম নেন ভারতে, ৪৬ সালে। তাঁর পরিবার দেশভাগের পরে বাংলাদেশে (মানে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে) চলে আসেন। দেশভাগের টানাপোড়েনে তাঁর পরিবারের পক্ষে খালেদা জিয়ার জন্মদিন ঘটা করে পালন করা সম্ভব ছিল না, এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক। ১৯৯৬ সালের আগ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপন নিয়ে কোন কথাও শোনা যায়নি। জন্মদিন উদযাপন একটি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ব্যাপার, খালেদা জিয়াও তাঁর জন্মদিন নিভৃতেই উদ্‌যাপন করেছেন বলে মনে হচ্ছে। ১৯৯৬ সাল, বাংলাদেশে প্রথমবারের মত রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। অবশ্য সে পালনের ব্যাপারটা বিভিন্ন অতি উৎসাহী ব্যক্তির কল্যাণে মোটামুটি ‘উদযাপনের পর্যায়েই পড়ে। এই উদযাপনের সাথে যুক্ত হয় খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপন। দলের নেতা কর্মী পরিবেষ্টিত অবস্থায় তিন স্তর বিশিষ্ট কেকসহ তাঁর হাস্যোজ্জল ছবি পত্র পত্রিকায় দেখা গেল। পুরো ব্যাপারটা করা হলো বঙ্গবন্ধুর ইমেজকে defy করার জন্য, মানে বঙ্গবন্ধু স্রেফ একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, তাঁর মৃত্যুদিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের কিছু নেই, ১৫ই আগস্ট নিতান্তই সাধারন একটা দিন, এই দিনে জন্মদিন উদ্‌যাপন করাই যায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টে বঙ্গবন্ধু বন্দুকের গুলিতে মৃত্যুবরণ না করে জ্বরে ভুগে বা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মরতে পারতেন। কোন ব্যক্তি বিশেষের মৃত্যুর উপর কোন জাতির ভাগ্য নির্ভর করে না, কিন্তু বাংলাদেশের সামনের দিকে এগিয়ে চলা সেই বিশেষ দিনেই শেষ হয়ে গিয়েছিল, কারণ ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাথে সাথে তাঁকে রাজনৈতিক ভাবে মেরে ফেলার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ১৯৭১ সালে একটা ছুতো ধরে তাঁর পরিবারকে পাকিস্তানীরা সহজেই মেরে ফেলতে পারতো, যে কারণেই হোক এটা না করার মানবিকতাটুকু তারা দেখিয়েছে। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের একদল তরুণ সামরিক কর্মকর্তা, যাদেরকে তিনি পুত্রবৎ স্নেহ করতেন, তারা তাঁকে, তাঁর গর্ভবতী পুত্রবধূ এবং শিশুপুত্রকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্কে গুলি করে মেরে ফেলে।…

বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালানোর পর শেষ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীকে গতকাল বাংলাদেশেই ফিরে আসতে হয়েছে। অনেক আগে থেকেই যেমনটি আমাদের অনেকে ধারণা করছিলেন, ঘটনা ঠিক সেরকমই ঘটেছে- দু’জন যুদ্ধাপরাধীর (যারা একই সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীরও গুরুত্বপূর্ণ নেতা) পক্ষ থেকে গতকাল ১৬ আগস্ট বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী এ দু’জন হলো যথাক্রমে জামায়াতে ইসলামীর কামারুজ্জামান এবং আবদুল কাদের মোল্লা।[...]

বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালানোর পর শেষ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীকে গতকাল বাংলাদেশেই ফিরে আসতে হয়েছে। অনেক আগে থেকেই যেমনটি আমাদের অনেকে ধারণা করছিলেন, ঘটনা ঠিক সেরকমই ঘটেছে- দু’জন যুদ্ধাপরাধীর (যারা একই সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীরও গুরুত্বপূর্ণ নেতা) পক্ষ থেকে গতকাল ১৬ আগস্ট বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী এ দু’জন হলো যথাক্রমে জামায়াতে ইসলামীর কামারুজ্জামান এবং আবদুল কাদের মোল্লা। তাদের হয়ে আজ ১৭ আগস্ট হাইকোর্টে রিট আবেদনটি পরিচালনা করবেন বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। একই সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর অঘোষিত মুখপত্র ‘আমার দেশ’-এ আজ প্রকাশিত এক সংবাদ থেকে দেখা যাচ্ছে যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এক চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে যে, যুদ্ধাপরাধী বিচারকে গ্রহণযোগ্য করতে হলে ১৯৭৩-এর ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্টকে পরিবর্তন করতে হবে। এই ১৯৭৩-এর অ্যাক্টকে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি বছরখানেক সময় ধরে এমনভাবে প্রচার চালিয়েছে যে, কারো কারো কাছে মনে হতে পারে, এ অ্যাক্ট বোধহয় ধরে-বেধে মানুষকে প্রহসনের বিচার করার আইন। পাশাপাশি, বাংলাদেশে বিশেষ বিশেষ ধারা অনুযায়ী অপরাধের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকার বিষয়টিকেও এ সময়ে ব্যাপক নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। চূড়ান্ত শাস্তি হিসেবে অনেকেরই মৃত্যুদণ্ডের বিধানটি নিয়ে আপত্তি রয়েছে, কিন্তু বিষয়টিকে রদ করার জোর প্রচারণা এমন এক সময় চালানো হচ্ছে, যখন আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রত্যাশা করছি; চূড়ান্ত শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধানটির বিরুদ্ধে প্রচারণার আড়ালে আসলে চেষ্টা চলছে ১৯৭৩-এর এই অ্যাক্টটি সম্পর্কেই জনমনে ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে দেয়ার। যাই হোক, আমার মনে হয় না যে আমাদের সবাই হিউম্যান রাইটস ওয়াচের চিঠি পড়ে কিংবা যুদ্ধাপরাধী দু’জনের রিট আবেদন দেখে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের মতো আবেগপ্রবণ হয়ে উঠবেন, বলবেন যে, ৩৯ বছর আগে কোথায় ছিল আপনাদের মানবাধিকার? আমি যে-টুকু বুঝি এবং আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী বিচারের সপক্ষে যারা আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছেন, যে-সব ভুক্তভোগীরা ন্যায় বিচারের জন্যে অপেক্ষা করছেন তারাও এটা বোঝেন যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের এসব দিকগুলির চুলচেরা বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে পেশাদারি বিশ্লেষণ ও যুক্তিবিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে। পল্টনের ময়দানে, জনসভার মঞ্চে কিংবা পথসভায় দাঁড়িয়ে সেটি করা…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.