রাজাকার জামাত বিএনপি

তোর তো সাহস বেশি, তুই রাজাকার ন, তুই বেডা জামাত![...]

স্থান : চট্টগ্রামের মহানগর বিএনপি অফিসের ঠিক উল্টা দিকে। রিকশা টেক্সির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে কিছু লোক ও কিছু রিক্সা।
কাল : ২৯ রোজা ২০১০, দুপুর, একেবারেই কড়া দুপুর, জোহরের নামাজের ঠিক পরপর।
পাত্র : একজন রিক্সাওয়ালা (*) বড় খোঁচা খোঁচা দাড়ি, রিক্সাওয়ালার সাথে ভাড়া নিয়ে দরাদরি করছে (**) সাদা চাপদাড়িওয়ালা একজন ছোটো দোকানি।

** গোলপাহাড়ের মোড়ে যাবি?
* ২৫ টাকা।
** তুই বেডা রাজাকার! তোর রাজাকারের চেহারা, তোর ইনসাফ নাই, গোলপাহাড়ের মোড় এখান থেকে এখানে, ২৫ টাকা!
* দেশে কার ইনসাফ আছে? কারো ইনসাফ নাই। দেশে শুধু ফাঁসির গল্প, ফাঁসির ধান্দা।
** তোর তো সাহস বেশি, তুই রাজাকার ন, তুই বেডা জামাত!
* হাসিনার… রিক্সাওয়ালা এপর্যায়ে হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে কয়েকটা অশ্রাব্য গালি চার্জ করে বসে
** তোর সাহস রাজাকার জামাতের তুনও বেশি, তুই বেডা বিএনপি!
* বিএনপিই তো, বিএনপি অইলে কি অইছে!
এপর্যায়ে সবাই রিক্সাওয়ালাটাকে সামনে থেকে সরে যেতে বলে, রোজা রমজানের দিন মারামারি করা ঠিক হবে না – এই তাদের মতামত। রিক্সাওয়ালা ওইখান থেকে সরে সামনে চলে যায়।

মাসুদ করিম

লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।

২ comments

  1. অবিশ্রুত - ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ (৪:২৫ পূর্বাহ্ণ)

    রিকশাওয়ালা হয়তো বিএনপি-ই… অথবা ভাসমান রাজনৈতিক অবস্থানে থাকায় দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া যাওয়ার কারণে আওয়ামী সরকারবিরোধী বিধায় বিএনপির পাল্লায় পা দিয়েছে…
    কিন্তু ওই সাদা চাপ দাঁড়িওয়ালা ছোট দোকানী? সে কী?
    ইদানিং বাংলাদেশে এক জাতীয় লোক দেখা দিয়েছে, যারা অযথাই রাস্তাঘাটে নিম্নবিত্ত দাড়িওয়ালা মানুষদের রাজাকার জামাতি ইত্যাদি বলে গালি দিচ্ছে। এবং বলাই বাহুল্য, আদিষ্ট হয়ে… অর্থাৎ তাদের পার্টির নির্দেশ মোতাবেক।
    উদ্দেশ্য, মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলা, রাজাকার/ জামাত ইত্যাদি বলে যারা রাজাকার/ জামাতীদের বিরোধিতা করছে তাদের ওপর রুষ্ঠ করে তোলা।

  2. মাসুদ করিম - ১৫ আগস্ট ২০২৩ (১২:০৩ অপরাহ্ণ)

    //For those naive enough to believe and/or hope that #BNP and #JamaatEIslami #Bangladesh had parted ways, these msgs on the demise of a convicted #WarCriminal serving life in prison from #TariqueRahman, #MirzaFakhrul, and the BNP as an org should serve as a wake-up call. Both-

    …Tarique and Fakhrul glorified someone convicted of the worst #WarCrimes imaginable. By using his religious credentials, they covered up his heinous crimes, without any thought for the hundreds of #Sayeedee’s victims and their families.

    Tarique praised him for his ability to speak “truth to power words” and said “his death left a huge chasm”. Both him and Fakhrul called him a victim of political persecution. Fakhrul went one step ahead and blamed the govt for his death. And yes, this is the same Fakhrul who is supposed to lead the “liberal” faction of @bdbnp78
    !

    The reasons for any hope or belief about #BNP changing its political character eludes me though. Since it is Tarique who calls all the shots in BNP now, the man who brought the parties closer than ever before in 2001 and acted as the main bridge during their time together in govt (2001-06). This was not a serious discussion to begin with. They put on a “decoupling” act for the int’l community, some of whom I’m afraid, may have taken it seriously.//

    https://twitter.com/shah_farhad/status/1691195883432660992

    সাঈদীর মৃত্যুতে শোকগ্রস্ত বিএনপি
    https://bangla.bdnews24.com/politics/x0xb0nm86g
    বিএনপি মহাসচিব তার শোকবার্তায় বলেছেন, সাঈদীর মৃত্যু ‘স্বৈরশাসনের এক নির্দয় নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত’ হয়ে থাকবে।

    একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে তাদের এক সময়ের জোটসঙ্গী বিএনপি।

    দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আলাদা শোকবার্তায় এই জামায়াত নেতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

    বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরে দুটি বিবৃতি দলীয় প্যাডে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

    মির্জা ফখরুলের শোক বার্তায় বলা হয়, কারাবন্দি অবস্থায় সাঈদীর মৃত্যু ‘গভীর শোকাবহ’। তার মৃত্যু ‘স্বৈরশাসনের এক নির্দয় নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত’ হয়ে থাকবে।

    একাত্তরে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতের তখনকার নায়েবে আমির সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পরে ২০১৪ সালে আপিল বিভাগ সাঈদীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়।

    কাশিমপুর কারাগারে বন্দি সাঈদী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। সোমবার রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

    সাঈদীর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।তিনি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ‘হার্ট অ্যাটাকে’ তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. রেজাউর রহমান রাতে সংবাদিকদের জানান।

    একাত্তরে ‘দেইল্লা রাজাকার’ হিসেবে পরিচিত সাঈদী পরে ইসলাম ধর্মীয় বক্তা হিসেবে পরিচিতি কুড়ান। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জামায়াতের মনোনয়নে পিরোজপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন।

    ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর রায়ের পর দেশজুড়ে সহিংসতা চালায় জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। ওই তাণ্ডবে প্রথম তিন দিনেই নিহত হন অন্তত ৭০ জন। এছাড়া বহু গাড়ি-দোকানপাট ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, হিন্দুদের মন্দির-ঘরবাড়ি ভাংচুর করা হয়।

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.